ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ #পার্ট _৪ #Writer_Sumaiya_Afrin_Oishi

0
200

#ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ
#পার্ট _৪
#Writer_Sumaiya_Afrin_Oishi

“ক্লান্ত দুপুরে শেষ প্রহর! গুমোট আবহাওয়ায় জনসমাগমের গুনগুন কোলাহলে ভরপুর বিয়ে বাড়ি “। জনশূন্য নিরব পরিবেশ একমাত্র ছাদ। কেননা এখন সবাই বাগান বাড়ি তে আছে। ঐখানে ই বিয়ের সব আয়োজন।
আকাশে সিঁদুররাঙা মেঘের আনাগোনার ফাঁকে ফাঁকে উড়ে যাওয়া পাখিদের দিকে বার বার চোখ যাচ্ছে আমার।”

“এরি মধ্যে রাফিন ভাই আসলো ছাদে। কারো উপস্থিতি টের পেয়ে সামনে পাশে দিকে তাকালাম আমি। রাফিন কে পাশ ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকতে দেখে হকচকিয়ে পড়ে ঐশী। এখানে এই সময় মোটেও আশা করেনি রাফিন কে।”

“তৃক্ষ্ম দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে বললাম,

কিছু বলবেন রাফিন ভাই?”

“উনি আমার দিকে ভ্রুরু কুঁচকে চোখের মাধ্যমে জিজ্ঞেস করলো,
কি হয়েছে ধানিলঙ্কা? মন খারাপ এখানে একা একা কি কর?”

“আমি দৃষ্টি স্বাভাবিক রেখে বললাম,তেমন কিছু না। ভ্যাবসা গরম মানুষ জনের ভেতর ভালো লাগেনা।”

“উনি হয়তো আমার কথা টা স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারেনি! কুঁচকে যাওয়া ভ্রুরু আর কুঁচকে বললো ব্যাস্ত ভঙ্গিতে বললো-

“তোমার কি শরীর খারাপ? না কেউ কিছু বলেছে আমাকে বলো? যে মেয়ে কোলাহল ছাড়া থাকে না, সে বলে আমার ভালো লাগেনা মানুষ জন! শেষের কথা টা ব্যাঙ্গ করে বললো উনি”।

“আমি স্বাভাবিক ভাবেই নিচু সুরে বললাম,
তেমন কিছু না সত্যি ভালো লাগেনা কিছু। সবসময় কি সবকিছু ভালো লাগে রাফিন ভাই? তাছাড়া মিতু সকাল থেকে মন খারাপ করে আছে অপু আপুর জন্য তাই আমার ও ভালো লাগেনা!”

“উনি নতদৃষ্টিতে নিচে দিকে চেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বললো,

“ওহ্। এইজন্য মন খারাপ তোমার? বান্ধুবীর জন্য এত টান বাব্বাহ। আগে শুনছি তোমাদের বন্ধুত্বের কথা! আজকে চোখ দেখলাম ভালোই খারাপ না ব্যাপারটা। তা একে বারে চলে আসলে কেমন হয় তোমার বেস্টুর কাছে?”

“আমি কৌতুহল হয়ে বললাম, তা কি ভাবে সম্ভব?

“উনি এক ধ্যানেই বললো, তোমার এই ছোট মাথায় এতকিছু ডুকবেনা পিচ্চি! সময় হলে সব কিছু বুঝে যাবে।”

“তার পড়ে তার হাতে থাকা একটা আইসক্রিম এর বক্স আমাকে দিয়ে বললো ধরো এইটা। খেয়ে মাথা ঠান্ডা করো। আর যে গরম খেয়ে নেও ভালো লাগবে । ওদের সবাই কে দিয়েছি তোমাকে ওখানে পাইনি তাই ভাবলাম তুমি হয়তো এখানে ই আছো।
দেখছো তোমাকে পেয়েও গেলাম। এটাই হয়তো হৃদয়ের টান। শেষে কথাটা আনমনে বলে উঠলো রাফিন।”

“ঐশী বিষ্মমিত চোখে চেয়ে বললো, হেই কিছু বললেন?

“হুস আসলো রাফিনের হকচকিয়ে এক পলক তাকালো ঐশীর দিকে। বেশি তাকানো যাবে না এই মেয়ের দিকে! তাহলে যে রাফিন নিজের এতদিনের জমানো অনূভুতি গুলো ধলা পাকিয়ে আসে! এই হরিন কন্যার ডাগর ডাগর আঁখি! এলোমেলো কেশ, তাকেই এলোমেলো করে দেয়! প্রেয়সীর জ্বল জ্বল নিত্য নতুন সৌন্দর্যে। যেন মাদকতার মতো আকর্ষণ করছে রাফিন কে।”

“এই মেয়ে’টাকে ই তো কিশোর বয়স থেকে ভালোবেসে আসছে! যা তার প্রেয়সী ও যানে না। হৃদয়ের কতটা জুড়ে আছে ঐ মায়াবিনী! সকল প্রেমিকের কাছে ই হয়তো তার শ্রেয়সীই সব থেকে সুন্দরী রমনী! যে নারী এক নারীতে আসক্ত প্রেমিক পুরুষ পায়,সেই নারী নিঃসন্দেহে ভাগ্যবতী!
তার মধ্যে ঐশী ও এক ভাগ্যবতী। বোকা মেয়ে জানেই না তাকে এক যুবক পাগলের মতো ভালোবাসে!”

-“রাফিন আর কথা না বাড়িয়ে হাতের বক্সটা ঐশীর হাতে দিয়ে বিনাবাক্যে গটগট পায়ে চলে গেলো।”

“বক্সটা খুলেই আমার মনটা ভালো হয়ে গেলো নিমিষেই। খুশিতেই চকচকে উঠেছে চোখ। মুখে একচিল হাসি!”

“আহা চকলেট ফ্লেভার আইসক্রিম। রাফিন ভাই জানালো কি করে আমার এইটা পছন্দ?
দূর আমি আবার এসব কি ভাবতেছি। হয়তো সবার জন্য ই এনেছে। সে যাই হোক ধন্যবাদ একটা দিয়ে দিবো। মনে মনে এসব ভাবতে ভাবতে মনোযোগ দিয়ে খাওয়া শুরু করলো আইসক্রিম।”

❤️” সারাদিন হাসি আনন্দে কেটে গেটে গেলো সময়। সময় তো কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সে-তো স্রোতের ন্যায় বয়ে চলে। বিয়ে অনুষ্ঠান ভালো ভাবেই মিটে গেলো। কেউ নতুন পাওয়ার আনন্দে হাসে। কেউ এতদিনের আগলে রাখা পোষা পাখিটি অন্যের হাতে তুলে দিবার জন্য কাঁদে!”

“কান্না একটি ছোঁয়াচে রোগ! বিশেষ করে আপনজনের কান্না। নিজের প্রিয় মানুষদের কান্না দেখলেই নিজের চোখ দিয়ে অশ্রু টলটল করে পড়ে, নিজেদের অজান্তেই। মনের ভিতরের দুঃখের নদীতে জোয়ার উঠে!”

“তেমনি অপুর বিদায় বেলা তার কান্না ছড়িয়ে গেলো ভাইরাসের মতো তার পরিবারের উপর!
অপুর বাবা কামাল সাহেব তার স্ত্রী কে বললো
“আমার ঘরের লক্ষীটি আমার ঘর অন্ধকার করে অন্যের ঘরে চলে যাবে রে অপুর মা”!

“অপুর মা শাড়ীর আঁচলে চোখ মুছে বললো, আপনি এভাবে ভেঙে পড়লে মেয়েটা যে আরো কষ্ট পাবে।
মেয়েদের কি ক্ষমতা আছে বাবার বাড়ি থাকার? সবাই কে ই তো একদিন পরের ঘরে যেতে হয়! মেয়েতো পরের ঘরে দিবার জন্য ই জন্ম! এটাই তো দুনিয়ার নিয়ম! এই নিয়ম চলে আসছে চলবেই আজীবন!”

“দুজনের চোখ ভিজা হারানো বেদনা , তবুও সন্তানের কাছে প্রকাশ করলো না। জামাইয়ের হাতে তুলে দিল কলিজার টুকরো কন্যা কে!”

“হয়ে গেলো বিদায়ের পালা গাড়িতে নিয়ে চলে গেলো নতুন বধূ। অপু আপুর বিদায়ের পালা দেখে মনে হলো আমার আপুর কথা! আমাদের পরিবারের সবাই আসছে বিয়েতে। চৈতী আপু আমার পাশেই ছিলো। আমি তাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে দিলাম।”

“আমার হঠাৎ কান্না দেখে আপু ভড়কে গেলো। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আদুরে কন্ঠে বললো,

কি হয়েছে?”

“আমি আপুকে আরো শক্তকরে জড়িয়ে ধরে কান্না জড়ানো কন্ঠে বললাম,

“তোমাকে কখনো বিয়ে দিবো না আপু! সবসময় আমার চোখে চোখে থাকবে আমাদের বাড়ি থাকবে।”

“আপু আমাকে হাসানোর জন্য বললো,

“আচ্ছা বাবা ঠিক আছে। আমি ঘরজামাই নিয়া বাড়িতে ই থাকবো! এবার খুশি তো এবার কান্না বন্ধ কর।”

“এরই মধ্যে আমাদের গ্যাঞ্জাম পার্টির এসে হাজির। আমাকে ব্যাঙ্গ করে মাথায় গাট্টি মেরে রবিন বললো,

“ছিছ কাঁদুনি তোর বোনের তো বিয়ে হয়নি। তুই কান্দোস কেন? তোরা মেয়েদের চোখে কি পানির টাঙ্কি ফিট করা? বুঝি না বাপু এত চোখের পানি কই পাও। আমাদেরর ও বল আমরা ও একটু কান্দি।”

“আমি ওর দিকে চোখ গরম করে তাকালাম রবিন মেকি হেসে বললো,
দোস্ত মজা মজা করছি, চল দেখি গিয়ে মিতু রুমে মন খারাপ করে বসে আছে।”

” রিয়া ও আমাদের তাড়া দিয়ে নিয়ে গেলো মিতুর রুমে। ”

“আপু এসে পিছন থেকে বললো-
তোমরা আজকে মিতুর কাছে থাকো গ্যাঞ্জাম পার্টি। এমনি মেয়েটা মন খারাপ তোমরা থাকলে ভালো লাগবে ওর।”

“আপুকে থামিয়ে দিয়ে জান্নাত ইনসেন্ট ফেস করে বললো-
আপু আমরা মোটে ও গ্যাঞ্জাম করি না। আমাদের মতো ভদ্র ছেলেমেয়ে এই যুগে দ্বিতৃয় আর নেই। আমি তো এমন কোথাও দেখিনি যারা আমাদের থেকে ভদ্র। তুমি দেখেছো আপু?”

“জান্নাত কে থামিয়ে দিয়ে আপু বললো -আমার ভুল হয়ে গেছে আপা, আমাকে ক্ষমা করে দিন! আপনাদের মতো মানুষ আর আমি দুটো দেখিনি! যাক বাবা ভুতের মুখে রামায়ন”😏

“আপু অপমান করো না রিয়া ফোরন কেটে বললো।

“যাহ্ বাবা! আমিতো তোমাদের প্রশংশা করলাম! বায়”দা ওয়ে ঐশী আমি যাচ্ছি রে। আব্বু আম্মু ভাইয়া আমার জন্য ওয়েট করছে। সাবধানে থাকিস বনু বলে – আমার কপালে একটা ভালোবাসার পরশ এঁকে দিয়ে চলে গেলো। আবার পিছনে ফিরে মিতুর উদ্দেশ্য বললো -মন খারাপ করো না।৷ আবার তো আপু চলে আসবে দুলাভাই কে নিয়ে। টেক কেয়ার! বায় গাইস! বলে দ্রুতো পায়ে চলে গেলো।

“মিতুর কাছে গিয়ে আমি বললাম কাঁদিস না রে। তুই এভাবে কাঁদলে আংকেল আন্টি কে, কে সামলাবে? মিতু বরাবরই স্ট্রং মেয়ে। সহজে ভেঙে পড়েনা। এতক্ষণের আটকে রাখা কান্না, মাথার উপরে আদুরে হাত পেয়ে – আমাকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে দিল! আমি আর কিছু বললাম না কাঁদতে দিলাম ওকে।
কাঁদলে কষ্ট কমে। বুকের ভেতর চাপা ব্যাথা কমে যায়, তাই কাঁদা প্রয়জন।”

“কেউ আর কোনো কথা না বলে সবাই চুপচাপ। বিয়ে বাড়ি এতক্ষণে মানুষের কোলাহলে সবাই চলে যাওয়ায় এখন পিন পয়েন্ট নিরবতা। ছুঁম – ছাম পরিবেশ।

___________________________

“রাত ১০ টা বাড়ির সবাই সুয়ে পরেছে। সারাদিন সবার উপরে অনেক ধকল গেছে। যাবেই তো বিয়ে বাড়ি বলে কথা।কনে পক্ষ, বর পক্ষ কত মানুষ ছিলো তিন দিন ধরে। তাদের সবার খেয়াল রাখা চারটে খানিক কথা না! তাই আজকে বাড়ির বড় রা সুয়ে পরেছে। শুধু জেগে আছি আমরা বন্ধু মহল গ্যাঞ্জাম পার্টি। আর মিতুর একমাত্র ফুপির ছেলে মেয়ে দুটো। ওরা আমাদের থেকে ছোট তাও সবার সাথে ভাব জমে গেছে এই দুই তিন দিনে।”

“রাফিন ভাই আর মিতুরা যৌথ পরিবার। বাপ চাচা বলতে দুই ভাই , রাফিন ভাই এর বাবা বড়, কালাম আজাদ চৌধুরী । মিতুর বাবা রেজওয়ান আজাদ চৌধুরী মেঝ। দুই ভাই এক বাড়িতে ই থাকে। উনারা দুই ভাই মিলে বিজনেস করে। বাড়ি তিন সন্তান, রাফিন ভাই, বাড়ির বড় ছেলে। সবার একটু বেশিই আদরের। এটা স্বাভাবিক বাড়ির প্রথম সন্তান রা সবার প্রিয়, আদরের থাকে! কামাল সাহেবের একমাত্র ছেলে। আর মিতুরা দুই বো।সবাই আদুরীর ঘরে বাঁদর!”

-আর এক বোন তাদের।বোনের বিয়ের পরেই ইন্ডিয়া সেটেল্ড হয়ে গেছে। বিয়ে উপলক্ষে আসছে বাড়িতে সহ পরিবার।”

“আমরা সবাই ডাইনিং রুমে বসে আড্ডায় মেতে আছি।
এরি মধ্যে নাজমা চৌধুরী মানে রাফিন ভাইয়ের “মা” কিচেন থেকে ডাক দিলো ঐশী মা এদিকে আয়তো। আমি আন্টির পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললাম,

“আন্টি তুমি ঘুমাওনি এখনো?”

“উনি গ্যাসের চুলা জ্বালাতে জ্বালাতে বললো না রে। ছেলেটা কত দিন পড়ে আসলো বাড়িতে। আসতে পারেনা পড়ার অনেক চাপ, ক্লাস করে আবার বাসায় গিয়ে একা একা রান্না করে খায়! কি খায় না কি খায়, তাই ওর জন্য ওর পছন্দের গাজরের হালুয়া রান্না করি। ”

“আমি তার কথা শুনে চট করে বললাম, সে কি আন্টি একা একা থাকে কেন? একটা বিয়ে করিয়ে দেও। তাইলে তো আর রান্না করতে হবে না। বউয়ের রান্না খাবে আয়েশ করে!”

“উনি আমার গালে হালকা টান দিয়ে এটু হেসে বললো – বিয়ে তো দিবোই আমার বউ মা টা আর একটু বড় হলেই নিয়ে এসবো একেবারে। ভাবছি এখনই নিয়ে এসবো সে তো অনেক বড়ে হয়ে গেছে। আমার ছেলের কষ্ট টা ও বুঝে দেখছি।”

“আমি কৌতুহল স্বরে বললাম – আন্টি তুমি ও জানো তার ভালোবাসার মেয়েটির কথা? তুমি চেনো তাকে? দেখতে খুব সুন্দরী নিশ্চয়ই?”

“উনি আবার ও হেঁসে বললো – আমি তো জানিই সে কে! সবাই জানে শুধু তুই ছাড়া।”

“আমি মুখ গোমড়া করে বললাম -আমি কি তোমাদের শ’ত্রু নাকি আমাকে বললে কি এমন হবে? আমি তো তোমাদের পর ই তাই বলো না,তাইনা আন্ট?”

“উনি আবার বললো আরে বোকা মেয়ে! সময় হলে তো সবই দেখবি। আর তোকে তো আমি সব কথা ই বলি। আচ্ছা ঐশী মেয়েটা যদি তুই হও তা কেমন হবে বলতো? আমার বৌ মা কিন্তু তোর মতো দেখতে!

“উনি কি বললো সব আমার মাথার উপর দিয়ে গেলো। আমি আরো কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই উনি আমাকে তাড়া দিয়ে বললো –

“হ্যারে যার জন্য তো কে ডেকেছি শোন? ”

“হাতে একটা কফির মগ দিয়ে বললো -আমি একটু ব্যাস্ত আছি মা। তুই একটু রাফিন কে কফি টা দিয়ে আয় মা! সেই কখন কফি চাইলো যা জলদি গিয়ে দিয়ে আয়।”

“আমি আর কথা না বাড়িয়ে কফি নিয়ে পা বাড়ালাম রাফিন ভাই এর রুমে।”

“দরজা হালকা খোলা তা দেখে নক না করেই ভিতরে চলে গেলাম। ওমা দরজা খুলেই দেখি উনি,,,,,,,,,,,,,,,

চলবে…. …

[বিঃ দ্র- কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ ]

প্রিয় পাঠক মহল পেজে ফলো দিয়ো দয়া করে! আমার পেজের নাম – Sumaiya Afrin oishi।
👆
অনেই দেখি শেয়ার দেয় বাট, একটা ফলো দেয়না পেজে☹️
শেষ পযর্ন্ত পাশে থাকবেন 🙂
ভালোবাসা অবিরাম বাচ্চারা,❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here