#ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ
#writer_sumaiya_afrin_oishi
#পার্টঃ১৩+১৪
“সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে আর কিছুক্ষণ বাকি। গোধূলির হলুদ আভা ছেয়ে গেছে পুরো প্রকৃতি জুড়ে। চৈতী কোচিং করে আসতে আজকে দেরী হয়ে গিয়েছে।
কোচিং থেকে ফিরার পথে পিরিয়ড হয়েছে চৈতীর। ফার্মেসি ছিলো কিন্তু লোকজন গিজগিজ কোলাহল পরিবেশ।
তাই আর প্যাড কিনতে যায়নি।
বাধ্য হয়ে নিজের ওড়না টার কিছু অংশ খুলে কোমরে বেঁধে নিলো। তার উপরে কোন খালি রিক্সা বা গাড়ি পাচ্ছে না।
“কথায় আছে না, বিপদ যখন আসে চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরে”!
চৈতী দ্রুত পা চালাচ্ছে। দাঁড়িয়ে থেকে সময় নষ্ট করলো না।পিছনে একদল বখাটে ছেলেদের দেখা যাচ্ছে।
যারা চৈতী কে ফলো করছে। ভয়ে হাত পা শিউরে উঠলো চৈতীর।
হাঁটার গতি আরো বাড়িয়ে দিলো।পিছন থেকে একটি ছেলে বিচ্ছিরি ভাবে হেসে বলে উঠলো –
“ইউ আর লুকিং সো হট”!
কথাটা কানে আসতেই পা থেমে গেলো, গাঁ ঘিনঘিন করতে লাগলো চৈতীর। রাগে হাত-পা কাঁপছে রীতিমতো। মানুষ কতটা জঘন্য হলে এসব বলে। চাইলেও কিছু বলতে পারছেনা। কারণ, এমনিতেই সন্ধা হয়ে আসছে।
তারমধ্যে চৈতী একা,ছেলেগুলো কয়েক জন।
কি একটা অসহায় পরিস্থিতি।
নিজেকে সব থেকে অসহায় মনে হচ্ছে এখণ চৈতী।
রাগে ঘৃণায় মাথা নিচু করে দ্রুত পা চালিয়ে হাঁটতে লাগলো। বলা যায় রীতিমতো দৌড়াচ্ছে।
“নিজের ওড়না যদি সামলাতে নাই পারো, তা হলে পড়তে যাও কেন?
যদি এতই নিজের শরীর দেখানোর ইচ্ছা, তাইলে একদম না পড়লেই হতো। তোমরা মেয়েরা এই ভাবে চলাফেরা করবে, আর ছেলেরা কিছু বললেই খারাপ, বখাটে?
“এতই যখন হ*ট সে*ক্সি শুনতে ইচ্ছে করে, তাইলে ওড়নাটা একদম ফেলে দিতে।”
“কানের একদম নিকটে এসে কথা গুলো বললো কেউ! কথাগুলো শুনে চৈতীর অন্তরআত্মা কেঁপে উঠলো। ভয়ে হাত-পা রীতিমতো কাঁপছে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো। শরীর ঘামছে। পিছন থেকে সেই মানুষটাকে দেখার সাহস টুক আর হলো না।
সাথে রাগ হচ্ছে খুব। শরীর ঘিনঘিন করে উঠলো। ছিঃ! মানুষ এতটা বিশ্রী ভাবে কি করে কথা বলে?
মানুষের সমস্যা না জেনে একটা মানুষ সম্পর্কে এত বাজে মন্তব্য করে দিলো?
কথা গুলো ভাবতেই রাগে ফুঁসছে চৈতী।
এতক্ষণের সব ভয় যেন পালিয়ে গেলো।
পিছনে তাকিয়ে কাঙ্ক্ষিত মানুষটিকে দেখে হতবাক।
এই মানুষটা এই কথা গুলো বলছে, যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না।
কিছুখন ‘থ’ হয়ে তাকিয়ে রইলো।
যেন বাকশক্তি হারিয়ে ফেলছে চৈতী।
“অবাক কণ্ঠে বললো, স্যার আপনি?
হ্যাঁ উনি হচ্ছে চৈতীর ভার্সিটির ইংলিশ লেকচারাল “সাইফ লিমন চৌধুরী”।
মাএ তিনমাস হলো জয়েন করছেন উনি।
এই মানুষটা অনেক আগে থেকেই ফলো করে চৈতী কে।
কখনো কিছু বলেনি। হয়তো ভালো লাগে চৈতী কে।
বিষয়টি বুঝতে পেরে ও চৈতী পাওা দেয়নি।
হঠাৎ একদিন ক্লাসে টিচার হিসেবে দেখে চমকে গিয়েছিলো চৈতী। আজকে আবার এমন কথা শুনে চৈতী বিস্মিত হয়ে গেলো। এতক্ষণের ভয়টা কেটে গেছে। ভরসা পেলো যেন কিছুটা।
এই মানুষটা রাগী, বদমেজাজী, হলে ও, এই মুহূর্তে যেন ভরসা পেলো।
বখাটে গুলোর ভয়টা কেটে গেছে। উনাকে দেখেই ছেলেগুলো কেটে পড়লো।
“কি হলো এভাবে তাকিয়ে কি দেখছো?”এত দেরী কেন হলো তোমার? একা একা এভাবে কেন যাচ্ছো?
আমি যদি এখানে ই এখন না আসতাম, কি হতো ধারণা আছে তোমার ইডিয়ট?
বাসায় ফোন করোনি কেন?
তোমার আব্বু এসে নিয়ে যেত? জানো কতটা টেনশনে ছিলাম। দাঁতে দাঁতে চেপে কথা গুলো বললো সাইফ।”
“আপনাকে কে এত ভাবতে বললো আমার কথা?
আমার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করার রাইট কে দিয়েছে আপনাকে? কারো সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে এসব উদ্ভব ফাল*তু নলেজ দিতে আসবেন না। দ্বিগুন রাগ দেখিয়ে চেঁচিয়ে বললো চৈতী।”
“চৈতীকে এত রাগতে দেখে ভড়কে গেলো সাইফ।
তাহলে আমার কোথাও ভুল হয়েছে।
এমন মেয়ে তো চৈতী না।বিষয়টা বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হলো সাইফ। ইশসস রাগের মাথায় কি বলে ফেললাম।
নিজেকে নিজেই বকা দেয় সাইফ।
চটজলদি নিজের কোটা খুলে চৈতীর হাতে দিলো। স্যরি আসলে আমি বুঝতে পারিনি। প্লিজ! এটা পড়ে নেও।”
“আই’ম ভেরী ভেরী স্যরি ম্যাডাম!”
আসলে খুব রাগ হচ্ছিলো। ওদের রাগটা তোমার উপরে দেখালাম। আমি অনুতপ্ত এসবের জন্য। হুট করে এই ব্যাপারটা ধরতে পারিনি। আর একটা কথা বলে রাখি চৈতী, তোমার উপরে সব রকমের রাইট শুধু মাএ আমার হবে। গড ইট!খুব স্বাভাবিক ভাবে বললো কথা গুলো সাইফ।”
চৈতী আর কথা না বাড়িয়ে কোটটা শরীরে জড়িয়ে নিলো। তারপরে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে বললো-
“রাগে গিয়ে আজে বাজে কথা বলবেন?
এটা কেমন রাগ শুনি?”
আচ্ছা বাবা স্যরি বলাম তো। চলো তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেই। আর এমনটা করবে না। কোচিং থেকে ফিরতে দেরী হলে আমাকে বা আংকেল কে ফোন দিয়ো প্লিজ! জানো কতটা ভয় পেয়ে গেছিলাম আমি। ভাগ্যিস আমি এই দিকটায় ছিলাম।” আর ঐ ছেলেগুলো মোটেও ভালো না। ওদের তো আমি দেখে নিবো। কিছুটা রেগে গিয়ে বললো।”
“জানেন আমরা মেয়েরা চাইলেও বহু কিছু করতে পারিনা। এই যে হুটহাট চাইলেই একা কোথায় যেতে পারিনা। চাইলেই সন্ধ্যার পর একা একা উদ্যেশ্যহীন হাঁটতে পারি না।
চাইলেও একা একা পাহাড়, সমুদ্র, নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারিনা।
চাইলেই সন্ধ্যার পরে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় ডিসেম্বরে বাতাসে ঘ্রান নিতে নিতে, টং দোকানে চায়ের কাপের আসর জমাতে পারিনা।
আমাদের মন খারাপ হলে হুটহাট নিরিবিলি কোন জায়গায় গিয়ে একা একা প্রকৃতি উপভোগ করতে পারিনা। চাইলেই আমরা হুটহাট ট্যুরের প্লান করতে পারি না।
বন্ধুদের নিয়ে বহু দূরে ঘুরতে যাও হয়না।
আর না একা একা গার্ডিয়ান যেতে দেয়না।
কেন যেতে দেয়না জানেন? কেন আমরা একা একা চলাফেরা করতে পারিনা?
কারণ, আমরা কোথাও নিরাপদ না।
আমাদের সমাজের একদল পুরুষ আছে।
যাদের অনেক ক্ষুধা, চোখের ক্ষুধা, শরীরের ক্ষুধা।
এরা কোন মেয়েকে একা পেলে, হিংস্র প*শুর মতো ছিড়ে ছিড়ে খায়।
আমাদের সমাজের পুরুষদের যদি এত ক্ষুধা না থাকতো।
তহলে পৃথিবীটা কত না সুন্দর হতো!”
“আমরা মেয়েরা শুধু পারি দূর থেকে দূর শহরে যাওয়ার প্লান করে”ইস যদি যেতে পারতাম ” বলে আফসোস করতে।” আর সন্ধ্যার আগে আগেই পাখির মতো বাড়ি ফিরতে। আমরা মেয়েরা চাইলেও বহু কিছু করতে পারিনা। বহু কিছু করা আমাদের অভিধানে নেই…….”
“সাইফ মুগ্ধ হয়ে শুনছিলো চৈতীর কথা গুলো।
মেয়েটা কি সুন্দর করে বিজ্ঞদের মতে কথা বলতে জানে। আসলেই তো মেয়েরা তো অনেক ইচ্ছা চাইলেই পূরন করতে পারে না।”
“এই সমাজের মানুষ রুপি কিছু জানো*য়ারদের জন্য।
এই সমাজে মুখোশের আড়ালে কত নর*পিচাশ আছে।
যাদের জন্য মেয়েরা পুরুষদের ভয় পায়।
এদের জন্য বিশ্বাস উঠে গেছে পুরুষদের উপর থেকে।
তাদের ধারণা জন্মায় এরা শুধু নারীর শরীর ভোগ করতে জানে।
কিন্তু পৃথিবীতে ভালো ভালো খারাপ সব রকমের মানুষ আছে।
এখানো অনেক পুরুষ আছে যারা মেয়েদের সম্মান দিতে জানে। ভালো মানুষ এখনো আছে দেখে পৃথিবী আজও টিকে আছে। না হয় কবে ধংশ হয়ে যেতো।
মনে মনে খুব আপসেট হলো সাইফ।”
“তা আমিও তো পুরুষ চৈতী, আমাকে ভায় পাচ্ছো না?
এই যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলো ভয় লাগে না একটুও? সাইফ বললো।”
“উঁহু মোটেও না। আপনার মতো অনেক পুরুষ আজও আছে। যারা মেয়েদের সম্মান দিতে জানে। আপনাকে যে কেউ চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারে।
তবে রাগটা কন্টোল করুন।
এক দিন দেখবেন এই রাগের জন্য নিজেকে পস্তাতে হবে। কাঠকাঠ জবাব দিলো চৈতী।”
“যাক সুন্দরীদের বিশ্বাসটা তো অর্জন করতে পারছি।
তাতেই আমার জীবন স্বার্থক। মুচকি হাসি দিয়ে বললো সাইফ। আর কি যেন বললে?”
ও হ্যাঁ রাগ।
রাগটা ও কমবে একজন যদি আমাকে একটু বুঝতো।
চলো তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেই?”
আমি একাই পারবো আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না স্যার। বললো চৈতী।
“আমি বলছি না আমি ও সাথে যাবো। নিজের জি*নিস নিজেই হেফাজতে রাখতে হয়।
বেশি কথা না বলে চলো? না কি তোমার হাত ধরে যেতে হবে , দাঁড়িয়ে আছো যে? চোখ টিপ দিয়ে বললো সাইফ। ”
দেখুন আমাার সাথে অধিকার খাঁটাতে আসবেন না। আমি আপ,,,,,,,
আর বলতে পারলো না চৈতী।
সাইফ থামিয়ে দিলো।
“অধিকার ”
বড্ড অভিমানী একটা শব্দ,
এই শব্দ জুড়েই কত কিছু!
“এই যে ভরা মানুষের চেনা শহরটার গলিতে, যখন ১০২ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে অচেনার মত একা হেঁটে যাই, ঠিক সেসময় টা মনে হয়, কেউ আমার হাত টা ধরে এগিয়ে দিয়ে আসুক আমার গন্তব্যে।
আর সে সব যদিও না হয়,অন্তত ফোন করে গালি দিক -“কেন বেড়িয়েছি জ্বর গায়ে?”
শুধু এই ছোট্ট অধিকারটাই চাই।
ধুলো পরা কথাদের স্তুপ সরিয়ে
ইচ্ছে করে মনের কথার মেলা সাজিয়ে দেই, বলে দেই আমি তোমার যত্ন নিতে চাই। পারিনা, ওই যে অধিকার
সে ছোট্ট অধিকার টুকুই আমার চাই।”
কখনো কখনো তোমার জন্য অভিমানে চোখ ছল ছল করতে ইচ্ছে হয়, বলতে ইচ্ছে হয়
কেন??
কেন?? আমায় দূরে রেখেছো?
তোমার উপর ভিষন রাগ করতে ইচ্ছে হয়, রেগে গিয়ে তোমায় খাম/চি দিতে ইচ্ছে হয়, চুল টেনে ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে হয়।”
কিন্তু অধিকার!
মাঝে মাঝে মনে হয় আন্দোলনে নেমে যাই,, ওই পরিবারটা নিজের দাবি -বলে বলে মিছিল করি।
ইচ্ছে করে আম্মু-আব্বুকে রোজ ফোন দিয়ে তোমার নামে বিচার দিতে। আর তুমি উলটে রাগ দেখাবে আমায়।তোমার ওই রাগান্বিত চোখে আমি ভালবাসার স্নেহ ছড়িয়ে দিতে চাই শুধুমাত্র অধিকার নিয়েই
জানি তুমি ভিষণ কষ্ট পাও,
তোমাকে সময় দেইনা,,তোমাকে ঠিক ঠাক রিপ্লে দেইনা আমার ইচ্ছেরা অনিচ্ছায় রুপ নেয়।”
কেন জানো? হা হা হা আমিও জানিনা।
হয়তো কোথাও অধিকার এর অভাব।
আমার ছোট্ট ছোট্ট এই অধিকার গুলোই চাই!”
“কথা গুলো বলেই।, হঠাৎ করে হাতটা ধরে একটা রিক্সা ডেকে উঠে পড়লো সাইফ।
চৈতী কিছুটা চমকালো, মানুষটা গাঁয়ের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক।
এত জ্বর তাও কোনো হেলদোল নেই।
কি সুন্দর স্বাভাবিক।
হাতটা ছাড়িয়ে নিলো মুঠ থেকে।
না চাইতে ও হাতটা কপালে ছোঁয়ালো।
সাইফ যেন জমে গেলো। এমনটা কল্পনা ও করে নি সাইফ।
অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো চৈতীর মুখপানে। ”
চৈতী ইতস্তত হলো, কিছুটা অস্বস্তি হচ্ছে। একটু নড়েচড়ে বসে ইনিয়ে বিনিয়ে বললো –
“স্যার আপনার গায়ে তো খুব জ্বর?”
এত জ্বর নিয়ে আপার না আসলেও হতো।
আপনি বাসায় যান।
আমি এখন একা ই যেতে পারবো।
বাসার কাছেই এসে গেছি।
আপনি প্লিজ বাসায় চলে যান!”
“হুঁস এত ভাবতে হবে না তোমাকে। জ্বর হয়ে যদি সুন্দরীদের ছোঁয়া পাওয়া যায়।
তা হলে এই জ্বর আমি সারাবছর চাই। বললো সাইফ।”
“ছিঃ!কি অসভ্য, বদ লোক। তোর জ্বর হয়েছে বেশ হয়েছে মনেমনে বললো চৈতী।”
“কি এত ভাবছো ভাবুক রানী?
নিশ্চয়ই আমাকে নিয়ে? এত ভেবো না তুমি ছুঁয়ে দিয়েছো না , দেখবে এমনিতেই সেরে যাবে। মেকি হেসে বললো সাইফ। ”
“চৈতী রেগে গেলো, বদ লোক তো আপনি। আমার এত সময় নেই আপনাকে নিয়ে ভাবার হু। বলে ভেংচি কাটলো চৈতী।”সাইফ কিছু বললো না শুধু হাসলো।”
“এরি মধ্যে রিকশা ওয়ালা বলে উঠলো, স্যার নামেন আইয়া পড়ছি।”
দুজনেই নেমে পড়লো রিকশা থেকে। ভাড়া মিটিয়ে দিলো সাইফ।
“ধন্যবাদ স্যার! আমার জন্য আপনার এত কষ্ট করতে হলো।
আমি আসি এখন। আপনি নিজের খেয়াল রাখবেন।চৈতী বললো।”
“আপনি আমার! একমাত্র এবং একান্ত নিজের। আমার জিনিসটা কে অবশ্যই আমি আগলে রাখবো।
এর বিনিময়ে ধন্যবাদ কিংবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ নিষ্পপ্রয়োজনিতা ও অযৌক্তিক মিস চৈতী!”
আপনি এখণ ভিতরে চলে যান। আমি আসি এখন।
বলে এক মুহূর্ত দেরী করলো না সাইফ। দ্রুত চলে গেলো।
চৈতীকে কিছু বলার সুযোগ দিলো না। চৈতী কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো যাওয়ার দিকে।
এত কিছু আর ভাবলো না চৈতী।
তাড়াতাড়ি করে বাসার ভিতরে চলে গেলো।
এখন লম্বা একটা সাওয়াব প্রয়োজন।
সারাদিন অনেক ধকল গেছে শরীরের উপর দিয়ে তার ।
চলবে………
[ কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ! ]
রিচেক দেইনি, বানান ভুল হলে একটু বুঝে নিবেন। আর স্যরি এই কয়দিন গল্প দিতে পারিনি। একটু ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য। এজন্য আজকে দুই পর্ব একসাথে দিলাম।
এখন থেকে নিয়মিত দিবার চেষ্টা করবো।
রেসপন্স না পেলে কিন্তু এক এক পার্ট ছয় মাস পর পর দিবো😐