#ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ
#writer_sumaiya_afrin_oishi
#পার্টঃ৪০
যত যাই হয়ে যাক মায়ের সাথে নিয়মিত ফোনে কথা বলতে ভুল হয় না রাফিনে’র। নতুন সংসার জীবন শুরু করার আগে মায়ের কাছ থেকে আর্শীবাদ নিয়ে নিলো দু’জন। নাজমা কামাল প্রাণ ভরে দোয়া করে দিলো ছেলে এবং ছেলের বউ কে। হঠাৎ রাফিন আবদারের সুরে ঐশী কে বললো,
“এই মুহুর্তে বউয়ের হাতে এক মগ গরম গরম কফি খেতে ইচ্ছে করছে। যদি একটু করে দিতো সে।”
“অবশ্য’ই দিবো আপনি বসুন আমি এক্ষুনি যাচ্ছি। বলে’ই দ্রুত রান্না ঘরে চলে গেলো ঐশী।”
রাফিন খাটের উপরে বসে লেপটপ নিয়ে অনলাইনে কিছু একটা কাজ করছে গভীর মনোযোগ দিয়ে। এরি মধ্যে ঐশী হাতে করে দু’ইটা কফির মগ নিয়ে আসলো। রাফিন কে একটা দিয়ে নিজের কফির মগে এক চুমুক দিলো। হুট করে রাফিন ঐশী’র মগ’টা হাত থেকে নিয়ে নিজের মগ’টা দিয়ে দিলো। ঐশী যে স্হানে ঠোঁট রেখে খেয়ে ছিলো, রাফিন ও ঠিক সেখান থেকে চুমুক দিয়ে খাচ্ছে আর লেপটপ টিপছে। ঐশী বুঝতে পেরে মুচকি হাসলো।
” দু’জন মিলে খুনসুটি,গল্প করতে করতে ঘড়ির কাঁটায় রাত আট’টা জানান দিলো। ঐশী উঠে কিচেনে গিয়েছে রান্না করার জন্য। রান্না ঘরে এসে ভাবতে লাগলো কী রান্না করবে। বাসায় বসে তেমন কিছু রান্না করেনি, সব সময় তার আম্মু না হয় বোন করেছে। ফ্যামিলিতে মা,বড় বোন থাকলে ছোট মেয়েদের তেমন একটা কাজ করা হয় না।যার জন্য তাদের প্রথম কাজ করতে গিয়ে মনে হয় কিচ্ছু হচ্ছে না, সব কিছু আনইজি লাগে। এখানে তো আর কেউ নেই, তার কাজ তো তাকেই করতে হবে। রাফিন মুরগী এনেছিলো যা কাটাও হয়নি। এতো কিছু ভাবলো না, চেষ্টা করলে সব সম্ভব। ভাত রান্না’র জন্য চাল ধুয়ে চুলায় বসিয়ে দিলো। ব’টি নিয়ে বসলো মুরগী কাঁ’টা’র জন্য, কিন্তু মনে হচ্ছে এই বুঝি হাত কেটে যাচ্ছে। রাফিন নিজের কাজ সেরে রান্না করার জন্য’ই মূলত রান্না ঘরে আসলো। এসে দেখলো ঐশী মুরগী কাঁ’টার চেষ্টা করছে। রাফিন দ্রুত এসে ঐশী’কে উঠিয়ে দিয়ে মৃদু ধমক দিয়ে বললো,
“এই কী করছো তুমি? যদি হাতটা কে’টে যেতো। তুমি রান্না ঘরে আসতে গেলে কেনো? যা পারো না তা করতে আসো কেনো?”
ঐশী ক্ষীণ কন্ঠে বললো,
“ধমকাচ্ছেন কেনো? হাত তো আর কাটে নাই। পারি না তাই বলে চেষ্টা তো করতে পারি।”
“এতো রিক্স নিয়ে চেষ্টা করতে হবে না তোমার, আমি তো আছি নাকি। আগে শিখে নেও তারপর না হয় করিও। তুমি আমার সামনে বসে থাকো, আমি রান্না করছি।”
“আপনি সব রান্না করতে পারেন?”
“পারি মোটামুটি। ঢাকায় এসে তো নিজের রান্না নিজে করেই খেতে হয়েছে। সেই সুবাদে শেখা হয়েছে। না শিখলে আজ বউকে কী ভাবে হেল্প করতাম।”
বিনিময়ে দু’জনই হাসলো।
“রাফিন না করার পরে-ও ঐশী এটা সেটা করে দিচ্ছে রাফিন কে। দুজন মিলে রান্না শেষ করলো। হঠাৎ বাসার কলিং বেল ভেজে উঠলো, রাফিন গিয়ে দরজা খুলে দিলো৷ আরাফ এসেছে, মূলতো রাফিন’ই আসতে বলছে এক সাথে ডিনার করবে বলে। তিনজন মিলে কতক্ষণ আড্ডা দিয়ে ডিনার করলো। রাত অনেক হয়েছে, আরাফ বিদায় নিয়ে চলে গেলো নিজের বাসায়। রাফিন ও ঐশী সুয়ে পড়লো, ক্লান্ত থাকার কারণে দু’জনই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লো। গভীর রাতে হঠাৎ রাফিনে ঘুম হালকা হয়ে আসলো, ঘুমের মধ্যে মনে হলো কারো গরম নিঃশ্বাস তার ঘাড়ে এসে লাগছে। চোখ খুলে দেখতে পেলো ঐশী তার বুকে মাথা রেখে শক্ত করে জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে। ঐশী এত কাছে আসার ফলে রাফিনের শরীরে অদ্ভুত কিছু অনুভূতি হচ্ছে। খুব গভীর ভাবে ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে, নিজের ইচ্ছে’টা দমিয়ে রাখলো। গভীর ভাবে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিলো তার মায়াবিনী’র কপালে। অতঃপর ঐশী’কে ছাড়িয়ে দিয়ে অন্য পাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করলো।
____________________
পরদিন সকালে ঐশী’র ঘুম ভাঙলো রাফিনের ডাকে। রাফিনের কন্ঠ কানে আসতেই, দরফরিয়ে উঠে বসে বাহিরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই, চোখ কপালে উঠে গেলো তার। অনেক বেলা হয়ে গিয়েছে, সকালের জন্য নাস্তা বানানো হয়নি এখনো। ফজরের নামাজ পড়ে একটু সুয়ে ছিলো, কখন যে ঘুমিয়ে পড়লো জানা নেই তার। ব্যস্ত হয়ে রান্না ঘরের দিকে যাচ্ছে। ঐশী’কে এমন তাড়াহুড়া করতে দেখে রাফিন এসে থামিয়ে গাল টেনে বললো,
“শুভ সকাল বউ!”
ঐশী ব্যস্ত হয়ে বললো,
“রাখুন আপনার সকাল, কতবেলা হয়ে গিয়েছে আপনি আমাকে আগে ডাকেননি কেনো? দেখি ছাড়ুন,ছাড়ুন।”
রাফিন এবার ঐশী’কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললো,
“ছাড়বো না। এতো ব্যস্ত হয়ে কই যাচ্ছো?”
“কই যাচ্ছি মানে। নাস্তা বানাতে হবে। এবার ছাড়ুন প্লিজ!”
রাফিন হেসে বললো,
“তোমাকে আমি নাস্তা বানানোর জন্য ডাকিনি বউ। আমি বানিয়ে’ছি, যাও ফ্রেশ হয়ে খেতে আসো।”
ঐশী মুখ গোমড়া করে বললো,
“আপনি বানিয়েছেন কেন? আমাকে ডাকলে’ই তো পারতেন। আমি একা উঠতে পারিনা, বাসায় বসে আম্মু না হয় আপু ডেকে দিতো। আর আমি নাস্তা বানাতে পারি। আপনি একা একা কত কাজ করবেন। এমনটা আর করবেন না খবরদার।”
“এসব কিছু না, আমার অভ্যাস আছে। তোমার ও অভ্যাস হয়ে যাবে একদিন। এতো প্যারা নিতে হবে না তোমার। যাও ফ্রেশ হয়ে এসো খাবে। আমার আজ বাহিরে বের হতে হবে।”
রান্না ঘরে এসে ঐশী’র চোখ দু’টো গোল গোল হয়ে গেলো। যেমনি অবাক হচ্ছে, আবার ভীষণ খুশী ও হয়েছে। রাফিন সকালের জন্য রুটি, ডিম মামলেট, আর আলু কুচি করেছে। আবার দুপুরের জন্য ভাত, তরকারি রান্না ও করেছে। ঐশী মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো, নিজে থেকে আগে উঠে সব করে রাখবে। বেচারা আর কত কষ্ট করবে, তার জন্য এমনিতেই কত চাপ সহ্য করছে।
“দুজন মিলে সকালের নাস্তা করে নিলো। রাফিন রুমে এসে রেডি হচ্ছে, তাকে কোচিং শুরু করতে হবে। গতকাল সব স্টুডেন্ট’দের জানিয়ে দিয়েছে আজ থেকে পড়ানো শুরু করবে। বাসা থেকে বের হবার সময় বারবার ঐশী’কে বিভিন্ন ভাবে সতর্ক করে দিয়েছে। বাহিরে যেন না বের হয়। কেউ আসলে দরজা খুলবে না। নতুন জায়গা নতুন পরিবেশে মানুষ গুলো ও অপরিচিত, কার মনের মধ্যে কী বলা যায় না। তাই আপাতত কারো সাথে মিশতে না করছে। কোনো সমস্যা হলে তাকে জানাতে বলছে।”
“দুই ব্যাজ কোচিং করানো শেষ রাফিনের । সব মিলিয়ে আঠারো হাজার টাকা পায় মাস শেষে। একা থাকতে এ টাকা দিয়ে নিজে”র খরচ করে ও কিছু টাকা থেকে যেতো, যা একাউন্টে জমা হতো। আর সেখানে এখন বাসা ভাড়া’ই হচ্ছে ষোল হাজার টাকা। এই বাজারের জিনিস-পএের যে দাম, মধ্যবিওদের জন্য এ খরচ বহন করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তার উপরে নিজের পড়ার খরচ। কী ভাবে কী করবে, সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খাচ্ছে রাফিন। তবুও ভেঙে পড়লো না, আল্লাহর উপরে ভরসা রাখলো। যে ভাবেই হোক একটা চাকরি ভীষণ জরুরী তার। রাফিন এখানে সেখানে খুঁজে খুঁজে কয়েকটা জায়গায় চাকরি’র জন্য এপ্লাই করতে লাগলো।
” এদিকে ঐশী’র একা একা ভালো লাগছে না কিছু। এমন ফাঁকা একটা ফ্ল্যাটে দ’ম বন্ধ হয়ে আসছে তার। দুপুর একটা, এর মধ্যে রাফিন দু’বার কল দিয়ে খোঁজ নিলো ঐশী’র। ঐশী’র ভালো না লাগলেও তা প্রকাশ করলো না। নিজেকে যথা সম্ভব মানিয়ে নিতে চাইছে সে। গোসল করে নামাজ পড়ে সুয়ে সুয়ে ইউটিউবে বিভিন্ন রান্না’র রেসিপি দেখতে লাগলো ঐশী। এরি মধ্যে বাসার কলিং বেল ভেজে উঠলো,
“ঐশীর মলিন মুখ’খানায় সাথে সাথে হাসি ফুটলো। তার কাঙ্খিত পুরুষ’টি এসেছে। দ্রুত উঠে দরজা খুলে দিলো। রাফিন মুচকি হেসে ভিতরে ঢুলো, হাতে বাজারে ব্যাগ। ব্যাগ’টা ঐশী হাতে নিয়ে, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো রাফিনের মুখশ্রী’র পানে। এই শীতের দিনে ও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। ঐশী নিজের ওড়না দিয়ে কপালে থাকা ঘাম গুলো যত্ন করে মুছে দিয়ে বললো,
” আপনার ভীষণ কষ্ট হয় এতো কিছু সামলাতে তাইনা! আমার জন্য এতো চাপ নিতে হচ্ছে আপনার। এই যে শীতের মধ্যে ও ঘামছেন।”
রাফিন মুচকি হেসে মৃদুস্বরে বললো,
“তুমি যখন পাশে থাকো নিজেকে সব থেকে সুখী মনে হয়, যে কোনো পরিস্থিতি’তে। বেঁচে থাকার ইচ্ছে’টা ও বেড়ে যায় এ পৃথিবীতে। সেখানে এইটুকু সামান্য শারীরিক পরিশ্রম কিছু না। ট্রাস্ট মি! সকল ক্লান্তি দূর হবার একমাত্র মেডিসিন তুমি। দিন শেষে তোমার এই হাসি মুখটা আমার সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দেয়।”
“আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে নিন।আমি খাবার দিচ্ছি।”
রাফিন ঐশী’র কাঁদে হাত রেখে, ধরে বেড রুমে নিয়ে আসলো। তারপরে বললো,
“আমার পাশে বসো পাঁচ মিনিট। এত তাড়া কিসের তোমার। মন ভরে একটু দেখি তোমাকে বউ!”
“আমাকে আপনি নতুন দেখছেন বুঝি।”
ঐশীর দিকে দৃষ্টি স্হির রেখে ,রাফিন সোজা সাপটা জবাব দিলো,
“তুমি আমার কাছে নিত্য নতুন। তোমাকে দেখার তৃষ্ণা কখনো মিটবে না আমার মায়াবিনী।”
এবার বলো, সারাদিন মন খারাপ ছিলো তাই-না?”
ঐশী মুচকি হেসে বললো,
“তা ছিলো একটু,আপনাকে মিস করেছি ভীষণ। অপেক্ষা’য় ছিলাম সারাদিন কখন আসবেন।”
“কি করবো বলো? বাস্তবতা’র কাছে সব কিছু হার মেনে যায়। মন খারাপ করো না, মানিয়ে নিতে হবে সবকিছু। বলেই পকেট থেকে একটা ফুলের মালা ঐশী’র হাতে পেঁচিয়ে দিলো। আরো কয়েকটা চকলেট দিয়ে বললো,
“ভালোবাসি বউ!”
জাস্ট এই এতটুকুতেই একটা মেয়ে ভীষণ খুশী। একটা মেয়ে কে খুশী করতে অনেক টাকার প্রয়োজন পরে না, দামী, দামী উপহারের ও প্রয়োজন হয় না। তার জন্য মনে করে দিনশেষে বাসায় ফেরার সময়, একটা ফুল, কয়েকটি চকলেট, এক মুঠো চুরি, আনলে’ই সারাদিনের সমস্ত মন খারাপ, ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তেমনি ঐশী’র মুখশ্রী জুড়ে খুশী’তে জ্বলজ্বল করছে। এই মানুষটাকে যত দেখছে তত অবাক হচ্ছে ঐশী। একটা মানুষ এতটাও ভালোবাসতে পারে কাউকে, রাফিন কে না দেখলে হয়তো অজানা’ই থাকতো। কিয়াৎক্ষণ চুপ থেকে অধর কোণে মিষ্টি হাসি টেনে ঐশী বললো,
“এবার দেখা হয়েছে তো।ফ্রেশ হয়ে আসুন তাড়াতাড়ি, আমি খাবার দিচ্ছি।”
রাফিন উঠে ওয়াশরুমে গেলো। ঐশী ফ্লোরে মাদুর বিছিয়ে খাবার সাজালো। কিছু সময়ের মধ্যে রাফিন আসলো। দুটো প্লেটে খাবার দেখে রাফিন গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
“তিনটা বাজে তুমি এখনো খাবার খাওনি কেনো?”
“আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। একা একা ভালো লাগছিলো না।”
তার জন্য অধির আগ্রহ নিয়ে কেউ একজন অপেক্ষা করে, শুনে ভীষণ ভালো লাগছে। তবুও আগের ন্যায় গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
“এমন’টা আর করো না। খাবারের অনিয়ম করলে শরীর খারাপ হয়ে যাবে তোমার। আমি কখন বাসায় আসি নিদিষ্ট কোনো টাইম দিতে পারবো না। এতো সময় না খেয়ে থাকবে না, মনে থাকবে।”
“আচ্ছা মনে থাকবে। এবার খেতে বসুন।”
“আমার জন্য যেহেতু অপেক্ষা করেছো তাহলে দুটো প্লেট কেনো হু? আসো আমি খায়িয়ে দেই তোমাকে। বলেই ভাত মেখে মুখের সামনে ধরলো রাফিন। ঐশী মুচকি হেসে খেয়ে নিলো।”
এভাবে কেটে গেলো তাদের কয়েকটা দিন। রাফিনের এখানো কোনো চাকরি হলো না। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছে। আরো কয়েক’টা টিউশনি জোগাড় করেছে। তাদের সন্ধ্যা থেকে রাত আট’টা অবধি পড়ায়।
“আজ সকাল সকাল মলি কলেজে এসেছে। কতটা দিন ধরে রাফিনের কোনো খোঁজ পাচ্ছে না সে। কলেজে ও আসছে না, আর না করছে ক্লাস। আবার হল থেকে ও নাকি চলে গিয়েছে, শুনতে পেলো মলি। তবে শিওর হলো রাফিন ঢাকাতেই আছে। মলি বেশ চিন্তিতো হয়ে মাঠের উপরে বসে আছে। পরিচিত কয়েকজন কে জিজ্ঞেস করলো, কেউ কোনো খোঁজ দিতে পারলো না রাফিনের। কিছু সময় বসে উঠে দাঁড়ালো। বসে থাকলে চলবে না, যে ভাবেই হোক রাফিনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে তাকে। তার আগে রাফিন কে খুঁজে বের করতেই হবে।”
রাত প্রায় নয়টা রাফিন লেপটপে অনলাইনে পার্টটাইম কাজ করছে। ঐশী তার পাশে সুয়ে সুয়ে ফোনে গেমস খেলছে। হঠাৎ করে রাফিনের মুঠো ফোন’টা বেজে উঠলো,,,,,,,,,
চলবে………..
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ! ]
গল্প কত পর্বের মধ্যে রাখবো আপনাদের মতামত কী জানাবেন। রাফিন ঐশী’র বাচ্চা কা’চ্চা দেখতে চাও তো তোমরা?