হলুদ_শহরের_প্রেম – [০৯] লাবিবা ওয়াহিদ

0
125

#হলুদ_শহরের_প্রেম – [০৯]
লাবিবা ওয়াহিদ

ইলেকশনের প্রায় ছয় মাস বাকি। এখন থেকেই মোটামুটি ব্যস্ততা জেঁকে ধরেছে সুপ্তকে। পার্টি অফিসসহ এখানে সেখানে ছোটাছুটির পাল্লায় পড়ে এখন আর শুয়ে বসে কাটানোর ফুরসত মেলে না। আগের মতো নিপুণের পিছুও নেওয়া হয় না তার। এসবের মাঝে ইদানীং সুপ্তের মা বিয়ের জন্য ঘ্যানঘ্যান শুরু করেছেন, তিনি কয়েকজন মেয়ে দেখেছেন সুপ্তের জন্য। সুপ্তকে এবার বিয়ে করতেই হবে এমন মনোভাব নিয়ে মাঠে নেমেছেন সুপ্তের মা। কিন্তু সুপ্ত বরাবরের মতোই নির্লিপ্ত। মাকে যেন গোণায় ধরছে না এই বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে। সাবরিনা যখন রাগ করে চেতে যান তখন সুপ্ত থমথমে গলায় শুধু বলে,
–“পাত্রী ঠিক করে রেখেছি আম্মা, ইলেকশনের ঝামেলা মিটে গেলেই বিয়ে করে ফেলব।”

সাবরিনা এ কথা শুনে মেয়ে দেখা বাদ দিয়েছেন, তবে সুপ্তের বিয়ের কথা বারবার বলা বন্ধ করেননি। জোবেদার ব্যবসায় লাল বাতি এখন। এত বড়ো ক্লায়েন্ট হাতছাড়া হয়ে গেলো তার। প্রায়ই তাকে ভার মুখে এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।

এইযে, সেদিনও। সুপ্ত বেশ রাত করে বাড়ি ফিরেছে। সুপ্তের বাবা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু সাবরিনা তখনো জেগে ছিলেন। সোফায় বসে ছেলেকে দেখেই মুখের শক্ত ভাব আরও জোড়ালো হয় তাঁর। সুপ্তকে থমথমে গলায় বললেন,
–“এত রাত করেই ফিরবে যখন, বিয়েটা করো না কেন? মা কতদিন তোমার জন্য জেগে থাকবে?”

সুপ্তর ক্লান্ত মুখে কোনো অভিব্যক্তি প্রকাশ পেলো না। ধপ করে সোফায় বসে টি-টেবিল থেকে পানিভর্তি কাচের জগ থেকে খালি গ্লাসে পানি ঢেলে নিলো। ঢকঢক করে সম্পূর্ণ পানি খেয়ে রয়েসয়ে জবাব দিলো,
–“বিয়ের আগ অবধি বাবাকে বলো আমার জন্য জেগে থাকতে। তোমাকে আর জাগতে হবে না।”

ছেলের ত্যাড়া জবাবে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন সাবরিনা। ফুঁসে উঠে বললেন,
–“ত্যাড়ামি করবে না। মেয়ে নাকি দেখে রেখেছ? কোন সোনায় সোহাগা মেয়ে যে এখন বিয়ে করতে পারবে না তোমায়? নাম-পরিচয় কিছুই তো দিচ্ছ না।”

সুপ্তের ডান ভ্রু এবার নেচে উঠে। পাঞ্জাবির গলার দিকে বোতাম দুটো খুলে কপালে দুই আঙুল বুলিয়ে বলল,
–“মেয়ের পরিচয় আমার নামে হবে। এর চেয়ে বেশি কোনো পরিচয় আমি পাত্রীর চাই না। এখন কিছু খেতে দিবে নাকি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ব?”

সাবরিনা কিছু বললেন না। নাকের ডগার সুড়সুড়ে রাগটা নিয়ে উঠে চলে গেলেন খাবার গরম করতে। সুপ্ত তখন মাথায় হাত দিয়ে বসে। বিয়ে বিয়ে করে সাবরিনা মাথা ধরিয়ে ফেলেছে একদম। সুপ্ত মিনমিন করে আওড়ালো,
–“এক লক্ষী-প্যাঁচা পাত্রী পাইছি, যে রেগুলার আমাকে রিজেক্ট করেই যাচ্ছে। বিয়ে কীভাবে করব আম্মা? এই কথা তো আর তোমাকে বলতে পারব না। মান-সম্মানেরও একটা ব্যাপার আছে আমার।”

মাসখানেক নিপুণ বেশ সহজ-সুলভ সময় কাটাচ্ছে। নিশাতের এখন এসএসসি পরীক্ষা চলছে। দুটো পরিক্ষা শেষ। এখন আবার গ্যাপ দিয়ে চারদিন পর পরবর্তী পরীক্ষা। নিত্যদিনের মতো সন্ধ্যায় নিপুণ বাড়ি ফিরতেই দেখলো বাড়ির ম্যানেজার কেচি গেটের সামনে পায়চারি করছে। বাড়ির মালিক পরিবারসহ দেশের বাইরে আছেন বহু বছর। এজন্যই হয়তো এই পুরাতন বাড়িটার কখনো মেরামতের সুযোগ হয়নি মালিকের। এই বাড়ি সহ এলাকার আরও দুটো বাড়ির সমস্ত দায়িত্ব এই ম্যানেজারের উপর। সেই ম্যানেজার গম্ভীর মুখে এসে দাঁড়ায় নিপুণের সামনে। মধ্যবয়সী লোকটিকে দেখে নিপুণ প্রথমে সালাম দেয়। লোকটি কোনোরকমে সালামের উত্তর দিয়ে বলল,
–“পাঁচ দিন সময় দিচ্ছি, যত তাড়াতাড়ি পারো বাড়িটা ছেড়ে দেও।”

এমন এক কথা শুনে নিপুণের পায়ের নিচ থেকে সমস্ত মাটি সরে গেল। অজানা আতঙ্ক তার বুকে চেপে বসলো। কিছু একটা আঁচ করে নিপুণ বলল,
–“কেন আঙ্কেল? বাড়ি কেন ছাড়ব?”

–“তুমি যে এমন মেয়ে মানুষ সেটা তো আগে বুঝি নাই। তাই বোঝার পর আর দেরী করব না। পাঁচদিনে জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে যাও।”

–“আজব কথাবার্তা তো। আমি কী করেছি? ভাড়া তো চাওয়ার আগেই দিয়ে দেই। তবে এখন কেন এইরকম কথা বলছেন? উত্তর দেন আগে আমাকে।”

লোকটির মুখ শক্ত হয়ে যায়। থমথমে সুরে বলল,
–“তুমার বাপ এসে বলে গেছে তুমি মেয়ে সুবিধার নও। তাই আমাকে জিজ্ঞেস না করে তোমার বাপকে গিয়ে জিজ্ঞেস করো। আবারও বলছি, পাঁচদিন সময়।”

লোকটি আর দাঁড়াল না। চলে গেল নিপুণের পাশ কেটে। নিপুণ তখনো শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো আগের স্থানে। পা দুটো টলছে না, নিপুণও যেন কোথাও একটা হারিয়ে গেছে। কোনো রকমে পা চালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। বাসায় নিশাত ছিল না। হয়তো কোথাও গিয়েছে। এক্সট্রা চাবি দিয়ে তালা খুলে কোনোরকমে নিপুণ ভেতরে প্রবেশ করলো। বৈঠকঘরের মাঝামাঝিতে ধপ করে বসে পড়ল সে। প্রাণহীন, অচল তার অভিব্যক্তি। অধর জোড়া মৃদু কাঁপছে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই চোখের কোণ গলিয়ে চিকন অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগল চোখ জোড়া তার অসম্ভব লাল হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে এসে নিজেকে অসম্ভব একা, দুনিয়াকে তুচ্ছ লাগছে তার। জীবনটা যে তার কোন পর্যায়ের জাহান্নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা নিপুণ মুখের ভাষায় কাউকে কখনো বোঝাতে পারবে না।

সময় অনেকক্ষণ পেরোতেই নিপুণ পাগলের মতো ব্যাগ হাতালো। ব্যাগ হাতিয়ে সবচেয়ে ঘৃণ্যতম মানুষটার নাম্বার ডায়াল করল। দ্রুত নাম্বার ডায়াল করতে গিয়ে বারংবার নাম্বার ভুল করছিল সে। নিপুণ ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলছে তখন, ক্লান্তিভরা মুখে উষ্কখুষ্ক ভাব।

অত্যন্ত ক্রোধের সাথে ফোনটা কানে ধরলো নিপুণ। কয়েক বার রিং হতেই অপরপ্রান্তের মানুষটা কল রিসিভ করলো। শোনা গেল তার হাস্যোজ্জ্বল গলা। যা নিপুণের ক্রোধে ঘি ঢালার মতোই হলো। নিপুণ এবার নিজের সমস্ত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চেঁচিয়ে উঠলো,
–“আপনি আমার বাপ হয়ে আর কত আমাকে জাহান্নামে ঠেলবেন? আর কত আমাকে জ্বালাবেন? আমি আপনার কী ক্ষতি করেছি? আমাকে কী একটু শান্তিতে বাঁচতে দিবেন না?”

ওপাশ থেকে হাসির ঝংকার শোনালো। যেন নিপুণের এই আর্তনাদ ভরা কথাগুলো তার কাছে নিরর্থক লাগলো, হাসির শোনালো। কুৎসিত লোক কুৎসিত হেসে বলল,
–“তোমাকে তো বলেছিলাম আমার কাছে ফিরে আসতে, আমার ছেলেকে নিয়ে। আমার কথা কেন শোনো না? বললাম তো এবার ভালো জায়গায় বিয়ে দিব। পাত্র আছে হাতে। চলে আসো, নয়তো আমি থামব না। যেখানেই ঘর বাঁধো না কেন আমি সবসময় তোমার পিছে পিছে যাব।”

অত্যন্ত ঘৃণায় নিপুণের চোখ-মুখ কুচকে আসার উপক্রম। নিপুণ আবারও একই সুরে চেঁচিয়ে বলল,
–“আপনার মতো কলঙ্ক আল্লাহ কারো জীবনে না দিক। আমার মায়ের জীবন শেষ করে আপনি আসছেন আমার জীবন আরও শেষ করতে? আমাকে জীবন্ত লাশ করে আপনার শান্তি হয় নাই? তিন হাত মাটির নিচে গেলে আপনি শান্তি পাবেন?”

ওপাশ থেকে এবার হাসি কিছুটা দমে এলো। গলা থমথমে করে নিপুণের বাবা বললেন,
“মুখ সামলে কথা বল!”

–“কেন? এখন কেন মুখ সামলাব? আপনি কী ভেবেছেন আমি জানি না আমার মাকে কে মে-*রেছে? আমি নিজের চোখে দেখেছি আপনি কীভাবে আমার মাকে বালিশ চেপে..”

নিপুণ আবারও হুঁ হুঁ করে কেঁদে দিলো। সে কী নির্দয় দৃশ্য! নিপুণের বুক ফেটে যায় সেই দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠলে। ওপাশ থেকে আবারও ধমকালো নিপুণের বাবা। নিপুণ নিজেকে বহু কষ্টে সামলে বলল,
–“আমাকে মুখ খোলাতে বাধ্য করবেন না। আপনাকে আমি শেষবারের মতো সুযোগ দিলাম। আবার যদি আপনি আমার আর নিশাতের মাঝে আসার চেষ্টা করেন, আপনাকে ধ্বংস করতে আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাব। আপনার মতো নিষ্ঠুর হতে না পারি, তবে মনে রাখবেন আপনার রক্ত আমার শরীরেও বইছে।”

নিপুণ এটুকু বলেই কল কেটে দিলো। সঙ্গে সঙ্গে ব্লকও করে দিলো বাবাকে। সেই অবস্থায় বসে নিপুণ খুব কাঁদলো, খুব। গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে কাঁদলো, “মা গো, ও মা” বলে। বহুদিন পর মায়ের সাথে কাটানো মধুর স্মৃতিগুলোর থেকে শুরু করে সেই নৃশংস রাত অবধি সব মনে পড়ছে তার। আর নিজের বিভীষিকাময় জীবনের কথা আর নতুন করে কী ভাববে সে।

প্রেমের বিয়ে ছিল নিপুণের বাবা-মায়ের। নিপুণের বাবা শুরু থেকেই অসৎ প্রকৃতির লোক ছিলেন। যা মা জানতে পেরেছিলেন নিপুণের জন্মের পর। অর্থাৎ নিপুণের যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন। নিশাত তখন মায়ের পেটে। বাজে নেশা, জুয়া খেলার পাশাপাশি সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ পরকিয়াতেও লিপ্ত ছিল। প্রেমের বিয়ে ছিল বিধায় নিপুণের মাও কিছু বলতে পারতেন না নিজের পরিবারে। এজন্য মুখ বুজে পড়েছিলেন সংসারে। সাহস করে কোনো ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে নিপুণের বাবার হাতে বেধড়ক মার খেতে হতো তাকে, যা বিয়ের আগে কখনো কল্পনা অবধি করেননি। নিশাত জন্মালো। অল্প অল্প করে এই গুমোট সংসারে সেও বেড়ে উঠতে লাগল। এমনই এক দিন হঠাৎ করে নিপুণের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘরে বউ তুললেন। সেদিন আর নিপুণের মা চুপ করে থাকতে পারেননি। জীবনে প্রথমবার স্বামীর গায়ে হাত তুলেন তিনি। যার ফলস্বরূপ নিপুণের বাবা তার হাত মচকে দেন। নিপুণের সৎ মা তখন নীরবে দাঁড়িয়ে নাটক দেখছিলেন যেন। অন্যের সংসার ভাঙার অনুশোচনা মহিলার মধ্যে সেদিন বিন্দুমাত্র দেখা যায়নি। তিনি যেন আরও পৈশাচিক শান্তি পাচ্ছিলেন।

দ্বিতীয় বিয়ের কথা বাতাসের মতো করে ছড়িয়ে গেল সব গঞ্জে। নিপুণের নানু বাড়ি অবধি সেই খবর পৌঁছাতে সময় নিলো না। নিপুণের বাবা অনুপস্থিত থাকাকালীন একদিন নিপুণের মামা আসেন বোনের সাথে দেখা করতে। ভাইকে সেদিন বাধ্য হয়ে সবটা খুলে বলেন নিপুণের মা। সব শুনে নিপুণের মামা সিদ্ধান্ত নেন এই নরক থেকে শীঘ্রই বোনকে নিয়ে আসবেন, নিপুণদের সাথে করে।

সেদিন হয়তো কোনো ভাবে তালাকের বিষয়ে কথা হয়েছিল নিপুণের বাবার সাথে নিপুণের মামার। তাই তো সেদিন রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরলেন, মায়ের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাতাল নিপুণের বাবা নিজের স্ত্রীকে বালিশের সাহায্যে শ্বাসরোধ করে মে*রে ফেললেন। যা নিজ চোখে দেখেছে দশ বছর বয়সী ছোট্ট নিপুণ। তখন নিশাতের বয়স মাত্র চার বছর বয়সী ছিল।

নিশাত নিপুণকে ধাক্কা দিতেই নিপুণ বাস্তবে ফিরে আসলো। ঘাড় বাঁকিয়ে চাইতেই দেখতে পেল ভাইয়ের উদ্বীগ্ন মুখ। নিশাত ঘনঘন প্রশ্ন করছে নিপুণকে। বড্ড ভয় পেয়ে আছে ভাইটা। নিপুণ নিজেকে কোনো ভাবে সামলে বলল,
–“আগামীকাল বাসা দেখতে বের হবো নিশাত। এখানে আর থাকা হবে না।”

নিশাত এবার চুপসে গেলো। যা বোঝার সে বুঝে নিয়েছে। আগেও একবার তাদের বাবা এরকম করে ঘর ছাড়া করেছিল তাদের। নিশাতের তা ভাবতেই অত্যন্ত রাগ হলো। নির্ঘাত সে তাদের বাপ, নয়তো নিশাত যে তাকে কী করত!

পরেরদিন শুরু হলো বাসা খোঁজা। নিপুণ অফিস থেকে দুদিনের ছুটি নিয়ে নেয় বাসা খোঁজার জন্য। নিশাত যেহেতু এলাকা জুড়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায় তাই নিপুণ তাকে জিজ্ঞেস করতে ভুলল না, কোথায় কোথায় ভাড়ার কথা বলা আছে সেই বিষয়ে। নিশাত যেখানে যেখানে টু-লেট প্লেট দেখেছিল সেসব গলিতে নিপুণকে নিয়ে ঘুরে আসে। কিন্তু আফসোস, সেরকম কিছুই পাওয়া গেলো না। পুরো একটা দিন তীব্র হতাশা নিয়ে বাসা খুঁজলো নিপুণ। পরেরদিন নিশাতকে বাসায় রেখে সে একাই খুঁজতে বের হলো। এবার সে গেলো অন্য এলাকায়। সেখানেও পেলো না। এভাবে ক্লান্ত হয়ে দ্বিতীয় দিন বাড়ি ফিরলে নিশাত হঠাৎ করে এসে বেশ উত্তেজিত গলায় বলে,
–“আমার এক বন্ধু জানালো সেক্টর এগারোর দিকে বাসা আছে। দেখতে যাবে কাল?”

নিপুণের ভ্রু কুচকে যায়। বলল,
–“তুই নিশ্চিত?”

নিশাত অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী গলায় বলল,
–“হ্যাঁ, আপা। কালকে আমিও তোমার সঙ্গে যাব। এখন চলো খাই, খুদা পেয়েছে।”

চলবে—

বিঃদ্রঃ আসসালামু আলাইকুম পাঠকমহল, কেমন আছেন আপনারা? আপনাদের জন্য গল্প নিয়ে হাজির হলাম। আমার পরীক্ষা আলহামদুলিল্লাহ শেষ। কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। আর হ্যাঁ, ভুলত্রুটি ক্ষমাসুলভ নজরে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here