আমায়_রেখো_প্রিয়_শহরে #লেখনীতে_নূরজাহান_আক্তার_আলো #চৌদ্দতম_পর্ব

0
50

#আমায়_রেখো_প্রিয়_শহরে
#লেখনীতে_নূরজাহান_আক্তার_আলো
#চৌদ্দতম_পর্ব

-‘ তাহলে সরল মনে একটা কথা বলি?’
-‘বলুন।’
-‘যুক্তি অনুযায়ী এ বাসাটা আপনার। বাসার রুমগুলো আপনার। রুমের জিনিসগুলোও আপনার। আমিও তো এখানে থাকছি তাহলে আমিটাও কি এখান থেকে ‘আপনার’?
-‘হুম।’
-‘হুম? সত্যি?’
রিদওয়ানের কথাটা আবারও আওড়ে কুহুর চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইল। কথার অর্থ বুঝে তাৎক্ষণিক জবাব দিলো,
-‘না, না, মোটেও না।’
কুহুর মুখ দেখে রিদওয়ান আর হাসি আঁটকাতে পারল না। হো হো হেসে উঠল। তাকে হাসতে দেখে কুহু লজ্জা পেয়ে দৌড়ে পালালো। ওর দৌড় দেখে রিদওয়ানের হাসির মাত্রা বাড়ল। হাসতে হাসতে সে সোফায় বসে পড়ল। মজা করে বলেছে যদিও। তবে কুহুটা এতটা লজ্জা পাবে ভাবে নি সে। মাঝে মাঝে এমন লজ্জায় ফেললে মন্দ হয় না। হাসতে হাসতেই সে কুহুকে ডাকল কুহু শুনল না বরং রুমে গিয়ে দরজা আঁটকে দিয়েছে।
আর তার হাসির শব্দ শুনে রুমে বসেই হাসলেন ইসমত আরা বেগমও। বয়স তো কম হলো না। অভিজ্ঞতাও। কারো চোখের ভাষা পড়তে ভুল হওয়ার কথা না। এই বয়স উনিও পার করে এসেছেন। উনার জীবনেও প্রথম অনুভূতি, প্রথম ভালোলাগা, ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা সবই অনুভব করেছেন। তাই উনার চোখ ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া রিদওয়ান উনার কাছে ধরা খেয়েছে সেখানে আর কি বা বলবেন তিনি।
এখন শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা। এসব ভেবে কাপড়গুলো গুছাতে মন দিলেন উনি।
ওদিকে কুহুকে যেতে রিদওয়ানও হাসতে হাসতে রুমে চলে গেল। রুমের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আশেপাশে দৃষ্টি বুলাল। থাকছে যেহেতু এই রুমে তাই নিজের রুমই ধরা যাক। হঠাৎ চোখ পড়ল বিছানার দিকে। কেউ শুয়েছে তার প্রমাণ চাদর একটু কুঁচকে আছে। বালিশের পাশে মেয়েদের চুলের একটা কাটা। রুমজুড়ে মিশ্র পারফিউমের সুগন্ধ। সবগুলো পারফিউম
একে একে চেক করেছে বুঝতে বাকি রইল না। ঘড়িও ঘেঁটে দেখেছে।
দুষ্টু বুদ্ধির অধিকারী কুহুর কাজকর্ম দেখে রিদওয়ানের ঠোঁটের কোণে অদ্ভুত এক হাসি ফুটল। সে কুঁচকানো বিছানার দিকে তাকিয়ে বিরবির করল, ‘এভাবে একটা নির্দোষ ছেলের ঘুম কেড়ে নেওয়া কি ঠিক হলো, মিস. কুহু!’
তারপর ফ্রেশ হয়ে সে একটু ঘুমাল৷ ঘুম থেকে উঠল মাগরিবের আজান শুনে। হাতমুখ ধুয়ে ড্রয়িংরুমে বসতেই ইসমত আরা চা নাস্তা দিয়ে গেল।
সে সেখানে না বসে রুপকের রুমে গেল। রুপক শুয়ে শুয়ে বাংলা নাটক দেখছে। তাকে দেখে গালভর্তি হেসে বলল,
-‘ভাই একটা গুড নিউজ আছে।’
-‘গুড নিউজ? বাহ্! বল শুনি।’
-‘সোনালী আকদ্ হয়ে গেছে। আগামী মাসে অনুষ্ঠান। ‘
-‘গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে হয়েছে তাই বয়ফ্রেন্ড এত খুশি হতে পারে তোকে না দেখলে জানতাম না।’
-‘প্যারা দেওয়া গার্লফ্রেন্ড ঘাড় থেকে নামলে সব বয়ফ্রেন্ডই মনে মনে খুশি হয় ব্রো। শুধু লোক লজ্জায় উপর উপর দেবদাস সাজে তাই আর কি। প্রেম তো করো না এসব বুঝবা না।’
একথা শুনে রিদওয়ান হাসল। রুপকের হাতে কাবাবের প্লেট আর চিনি ছাড়া চা ধরিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়াল। তাকে উঠতে দেখে রুপক কাবাবে কামড় বসিয়ে ভ্রুঁ কুঁচকে বলল,
-‘কই যাচ্ছিস? বস এখানে।’
-‘কুহুকে পড়াতে হবে। আর একটু পর রাকিব আর দোয়েল আসবে। ওদের সাথে আড্ডা দিস সময় কেটে যাবে।’
-‘ওহ আচ্ছা। যা।’
একথা বলে রিদওয়ান কুহুর রুমের দরজায় এসে দাঁড়াল। কুহু গুনগুন করে গান গাইছে, ‘মুখের কথা যদি মুখেই না বলতে পার। কেমন প্রেমিক তুমি কি করে বা প্রেম করো। ভালোবাসো যদি বলো না গো ভালোবাসি।’
কুহু চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে গুনগুন করছে। রিদওয়ান গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,
-‘আসতে পারি?’
রিদওয়ানের কন্ঠ শুনে কুহু তড়িঘড়ি করে ওড়না গায়ে জড়িয়ে নিলো।
তারপর বোকা বোকা হেসে আসতে বলল। হাতের চিরুণিটা রেখে চুলে হাত খোঁপা করতে করতে স্টাডি টেবিলে বসল। বই বের করল। তারপর কিছু একটা ভেবে বলল,
-‘ভাইয়া, একটা কথা বলি?’
-‘হুম।’
-‘পড়াশোনা যে আবিষ্কার করেছে সে কি বেঁচে আছে?’
-‘না। পড়াশোনা আবিষ্কার করার পরপরই সে মারা গেছে। কারণ সে বুঝে গেছে ছাত্র ছাত্রীরা তাকে বেশিদিন বাঁচতে দিবে না। আগামীকাল যে চ্যাপ্টার পড়িয়েছিলাম বের করো।’
-‘বের করে কি হবে? পড়া কমপ্লিট হয় নি।’
-‘কেন হয় নি?’
-‘এত পড়া দিলে কিভাবে হবে?’
-‘তাহলে ওঠো। কান ধরে দাঁড়াও। ‘
-‘না। অন্য শাস্তি দিন।’
-‘কিছুক্ষণ আগে যে গানটা গুনগুন করে গাইছিলে সেটা একশবার চিৎকার করে গাও।’
একথা শুনে কুহুর মুখ চুপসানো বেলুনের মতো চুপসে গেল। মুখ গোঁজ করে বসে রইল। তাকে চুপ করে বসে থাকতে দেখে রিদওয়ান স্টিলের স্কেলটা হাতে নিতেই কুহু নিজের কাছে বই টেনে নিলো। বিরবির করে পড়তে লাগল। ছাড় পাবে না বুঝতে পেরে পড়াতে মন দিলো। তারপর রিদওয়ান তাকে অর্ধেক প্যারাগ্রাফ মুখস্থ করিয়ে তারপর ছাড়ল। পড়া হয় না, হবে না, তাই না? হচ্ছে কি না সেও দেখে ছাড়বে। এভাবে কুহুকে পড়াশোনায় আগ্রহী করবে সে। আর এটা যেন নিজের কাছে নিজের ওয়াদা। এরপর থেকে রিদওয়ানের সহনীয় মার আর অপমানের বিষাক্ত খোঁচায় কুহু প্রতিদিন তার ক্লাসে পড়া করে যেতে লাগল। বাসাতে একটু মনযোগী হতে দেখা গেল। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্কটাও শিথিল হতে শুরু করল।

আজ সোমবার। কুহু রোজকার মতো রেডি হয়ে নাস্তা সেরে কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছে। প্রতিদিন একবার হলেও রিদওয়ানের সঙ্গে তার দেখা হয়। নাস্তা করতে বসে চোখাচোখি হয়। আজকে বেরোনোর সময় রিদওয়ানের দেখা পায় নি। রিদওয়ানের রুমের দরজা বন্ধ ছিলো।
অথচ সকাল হলে রিদওয়ান তার রুমের দরজা হাট করে খোলা রাখে।
সুযোগ বুঝে সেও ভেতরে উঁকি মারে। দেখে সে কি করছে। কখনো দেখে রিদওয়ান বই পড়ছে। কখনো ঘুমাচ্ছে। কখনো বা দেখে ভ্রু কুঁচকে কিছু টাইপ করছে। একবার তো উঁকি মারতে গিয়ে ধরা খেয়েছিল। রুমে উঁকি মেরে পেছনে ঘুরে দেখে রিদওয়ান তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। সে আর কিছু বলে না শুধু মিষ্টি করে হেসে কোনোমতে পালিয়ে বেঁচেছে। এরপর থেকে সাবধানে উঁকি মারে। কেন উঁকি মারে জানে না। তবে মারে। তার ভালো লাগে।

কুহু কলেজে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিলো কিছুক্ষণ। তারপর ক্লাসে গিয়ে বসল। বেঞ্চে বসা নিয়ে মিশকা নামের একটা মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া বেঁধে গেল। মেয়েটা খুব বেয়াদব। ক্লাসে এসে এমন ভাব করে যেন তার বাপের কলেজ। সবাই তার চাকর। তার কথামতো চলতে হবে। এতদিন কিছু বলে নি কুহু তবে আজ রাগ কনট্রোল করতে পারল না। তাকে ল্যাং মেরে ফেলে দিতে চেয়েছিল মিশকা। সে না দেখে যাওয়ার সময় হোঁচট খাওয়া থেকে বেঁচে গেলে। তবে ঘুরে গিয়ে মিশকার পায়ে পাড়া দিতেও ভুলল না। মিশকা নিজের দোষ প্রকাশের ভয়ে তা সহ্য করে নিলো। আর কুহু রাগী চোখে নীরব হুমকি দিলো।

এরপর ক্লাসে রিদওয়ান স্যার আসার সময় হলে সবাই যে যার জায়গায় বসল। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো রিদওয়ানের পরিবর্তে মোশাররফ স্যার এলেন ক্লাস নিতে। এক স্যারের ক্লাস অন্য স্যার নিলে সেই ক্লাসটা প্রায়ই সময় গালগল্পে কেটে যায়। তাদেরও তাই হলো। তবে কুহুর মাথায় অন্য চিন্তা ঘুরপাক খেতে লাগল। এটা হওয়ার কথা না। তার জানামতে, রিদওয়ান কোথাও যায় নি তাহলে কলেজে আসল না কেন? আতিকুর রহমান স্যারকেও অফিস রুমে যেতে দেখেছে সে। তাহলে রিদওয়ান হুট করে ক্লাস মিস করল কেন? সে কি ঠিক আছে? এসব ভেবে সে এবার
মনে মনে অস্থির হয়ে উঠল। রুপককে কল করে জিজ্ঞাসা করবে কি না ভাবল। রুপক কি ভাববে সেটা ভেবে কল দিলো না। তবে ভেতর ভেতর অস্থিরতা রেখে ক্লাসগুলো করে বাসায় ফিরল। দরজা লক দেখে চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করল। কাঁধের ব্যাগটা সোফায় রেখে সরাসরি গেস্টরুমের দিকে তাকাল। রুমের দরজা আঁটকানো। দরজার নিচে থেকে আলো আসছে না। অর্থাৎ রুম অন্ধকার। সে আশেপাশের তাকিয়ে বাসার অন্য সদস্যেরও দেখা পেল না। ইসমত আরাও বাসায় নেই। অথচ উনার কোথাও যাওয়ার কথা ছিল না। গেলে তো আগে বলে যান। কই গতরাতে কিংবা সকালেও তো তাকে কিছু বলেন নি। সে তার
ফোন বের করে আম্মুকে কল করল জানল, উনি সকালে কুহুর মামার বাসায় এসেছে। হঠাৎ করে পড়ে গিয়ে কুহুর মেজো মামা বজরুল হকের ডান পাশটা অকেজো হয়ে গেছে। উনাকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তাররা বাহাত্তর ঘন্টার সময় দিয়েছে। মনে হচ্ছে না ফিরে আসবেন।
আর রুপক তার বাবার সঙ্গে অফিসের কাজে কুষ্টিয়া গেছে। ওখানকার স্টার্ফরা বেতন বাড়ানোর জন্য ঝামেলা শুরু করেছে। এই ঝামেলার মধ্যে রুপক ওর বাবাকে একা ছাড়ে নি। সেও বাবার সঙ্গে গেছে। এসব শুনে কান্নারত ইসমত আরাকে কোনো কথা বলতে পারল না সে। শুধু সাবধানে থাকতে বলে কল কাটল। তারপর রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো। দুপুরে রান্না করা হয় নি। কারো সকালের নাস্তা পড়ে আছে। সে আবার রিদওয়ানের দরজার কাছে এলো। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আবার ফিরে গেল। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে। কিন্তু টেনশনে খেতেও ইচ্ছে করছে না। সে রাইস কুকারে ভাত বসিয়ে ফ্রিজ থেকে ডিম বের করল। গরম ভাতের সঙ্গে ডিম ভাজা হলেই আর কিছু লাগে না তার। সে অস্থিরতা নিয়ে ডিম দুটো রেখে এক পা দু পা করে আবার গেস্টরুমের সামনে গেল। বন্ধ দরজায় নক করল। কারো সাড়াশব্দ না পেয়ে এবার জোরে জোরে ডাকল, ‘রিদ ভাইয়া! ভাইয়া! আপনি কি রুমে আছেন?’
পরপর কয়েকবার ডাকার পরও কোনো সাড়াশব্দ পেল না। ঘুরে চলে আসতে যাবে তখন রিদওয়ান লাইট জ্বালিয়ে দরজা খুলল। কুহু পেছন ফিরে তাকে দেখে আঁতকে উঠল জিজ্ঞাসা করল, ‘মাথার কি হয়েছে? ব্যান্ডেজ কেন?’
রিদওয়ান জবাব দিলো না। আবার গিয়ে শুয়ে পড়ল। হতভম্ব কুহু তার পেছনে পেছনে গিয়ে প্রশ্ন করতেই থাকাল। রিদওয়ান চোখজোড়া খুলে রাখতে পারছে না। কুহু রিদওয়ানের কপালে হাত দিয়ে দেখে জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। সে দ্রুত গিয়ে পানি এনে রুমাল ভিজিয়ে জলপট্টি দিতে গেলে রিদওয়ান বারণ করল। জলপট্টি দিতে গেলে কপালের ব্যান্ডেজ ভিজে যাবে। এদিকে জ্বর গা আগুন গরম হয়ে আছে। একটা মানুষ জ্বরে পড়ে আছে অথচ কাউকে বলেও নি। এত মুখচোরা হলে কিভাবে হবে? আর মাথায় আঘাত পেয়েছে কখন, কিভাবে? গতকাল পরিবারের সবার সঙ্গে খাবার খেলো তখন তো দিব্যি সুস্থ ছিলো। সে এবার জোর করে রিদওয়ানের গায়ের কাঁথা সরিয়ে দূরে ছুঁড়ে ফেলল। তারপর উঠে টাওয়াল ভিজিয়ে এনে বলল,
-‘টি শার্ট খুলুন। শরীর মুছে দিলে জ্বর নেমে যাবে।’
-‘লাগবে না। এমনিতেই কমে যাবে।’
-‘এত কথা বলতে ভালো লাগছে না আমার। যা বলছি করুন।’
-‘রুমে যাও। কিছু খেয়ে রেস্ট নাও।’
-‘কি খাবো? রান্নায় তো হয় নি। আপনি কলেজে যান নি কেন? এই অবস্থা কিভাবে হলো?’
-‘চলো আমি কিছু বানিয়ে দিচ্ছি।’
একথা বলে রিদওয়ান উঠতে গেলে কুহু তাকে থামিয়ে দিলো। তারপর
জানাল সে ভাত বসিয়েছে। ভাত হয়ে গেলে ডিম ভেজে খেয়ে নিতে পারবে। একথা শুনে রিদওয়ান আবার মুয়ে পড়ল। ব্যথায় মাথা টনটন করছে। বুকেও খুব ব্যথা পেয়েছে। কিন্তু একথা বলা যাবে না এই আধা পাগলিকে। তাকে নিশ্চুপ দেখে কুহু এবার রিদওয়ানের টি- শার্ট ধরে টানতে লাগল। রিদওয়ান বিরক্ত হয়ে তার হাত সরিয়ে বলল,
-‘কুহু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে এবার। বাসায় কেউ নেই। তুমি রুমে যাও। আমি ঠিক আছি। ‘
-‘ঠিক থাকলে এতক্ষণ নেন নি কেন? নিজের প্রতি এত অবহেলা কেন শুনি?’
-‘যত্ন নেওয়া মানুষ নেই তাই অবহেলা করি। এবার যাও।’
-‘যাও, যাও, করছেন কেন? আমি আপনার রুমে থাকতে আসি নি। যা করতে চাচ্ছি করতে দেন, করে চলে যাচ্ছি।’
-‘না।’
-‘কেন লজ্জা লাগে? রুপক ভাইয়াও বাসায় খালি গায়ে ঘুরে। আর আমি আপনাকে খালি গায়ে দেখলে হা করে তাকিয়ে থাকব তা নয়। এতটাও শেইমলেস না আমি।’
-‘আপনি গুড গার্ল আমি জানি। যান গিয়ে খেয়ে নিন।’
-‘আচ্ছা আমি ভাত নিয়ে আসছি। খেয়ে অন্তত মেডিসিন নিন।’
-‘না।’
-‘শুধু জেদ করছেন কেন?’
রিদওয়ান জবাব দিলো না। চোখের উপর হাত রেখে অনড় হয়ে শুয়ে থাকল। কুহু শক্তি খাঁটিয়ে কোনোভাবেই কিছু করতে পারল না দেখে উঠে দাঁড়াল। এমন অভদ্র লোক জীবনে দুটো দেখে নি সে। ছেলে হয়ে লজ্জায় মারা যাচ্ছে। এটা কোনো কথা? যেখানে মেয়ে হয়ে সে নিজেই অসুস্থ মানুষের সেবা করতে চাচ্ছে। কুহু আর কথা বাড়াল না। হাতের ভেজা টাওয়াল রিদওয়ানের পেটের উপর ছুঁড়ে মেরে রুম থেকে বের হতে যাবে তখন রিদওয়ান বলল,
-‘ ক্ষণিকের জন্য নয়। সারাজীবন যত্ন করার দায়িত্ব কেউ নিতে চাইলে নিতে পারে। বারণ করব না।’

To be continue………..!!
(আমার ফোনটা হাত থেকে পড়ে ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে গেছে। ফোনটা ঠিক
করতে তিনদিন লাগবে ঠিক করতে। ছোটো ভাইয়ের ফোন নিয়ে এইটুকু পর্ব লিখলাম। লেখার বিশেষ কারণ আমার গল্প দিতে হওয়ার কারণটা জানাতে।)

গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here