আমায়_রেখো_প্রিয়_শহরে #লেখনীতে_নূরজাহান_আক্তার_আলো #তৃতীয়_পর্ব

0
53

#আমায়_রেখো_প্রিয়_শহরে
#লেখনীতে_নূরজাহান_আক্তার_আলো
#তৃতীয়_পর্ব

কুহু বর্তমান অবস্থা বুঝে তার মাথা ঘুরছে। তার শান্তি শেষ।
এই লোক ভাইয়ার বন্ধু। কলেজে যা করবে ভাইয়ার কানে সুর সুর করে পৌঁছে যাবে৷ হয়তো ঘন্টায় ঘন্টায় তার নামে বিচার দিবে। বিচার? ওহ হ্যাঁ, ওই যে ভুল ঠিকানা দেখানোর বিচার। একথা শুনে ভাইয়া তাকে আছাড় না মারলেই হয়।
এমনিতেই তার ভাই খুব ভালো কিন্তু বেয়াদবি সহ্য করে না।
প্রিয় বন্ধু নাস্তাবুদ করার কথা শুনলে সে নিশ্চয়ই ধৈই ধৈই করে নাচতে না।

এদিকে এ বাসায় আলুথালু অবস্থায় কুহুকে দেখে রিদওয়ান
নিজেও অবাক হলো। তবে সেটা প্রকাশ করল না। এটা তার সবচেয়ে বড় গুন। মুখভঙ্গি দ্বারা তার মনের ভাবটা আন্দাজ করা মুশকিল। অত্যান্ত রেগে গেলেও তার বাহ্যিক রুপ শান্ত।
রিদওয়ান কফির মগে সিপ নিয়ে আড়চোখে একবার কুহুর দিকে তাকাল।কেবল ঘুম থেকে উঠেছে এই মেয়ে। অবেলায়
কেউ ঘুমায়? রাতে কি করে? কলেজ থেকে ফিরেই বোধহয় ঘুমিয়েছিল। মনপ্রাণ জুড়িয়ে ঘুমিয়ে চোখ মুখ আলু আলু করে তারপরে উঠেছে। এলোমেলো চুল, ফোলা চোখ, বোচা
লাল নাক, কুঁচকানো পরণের ড্রেস,পায়ে বাসায় পরা বিড়াল স্যান্ডেল। গোলাপি লেডিস গেঞ্জি, আকাশি রঙের লং স্কার্ট তার পরণে। ওড়না কোনোমতে জড়িয়ে রাখা। আর চোখে মুখে বিষ্ময়ভাব। তবুও তাকে ভীষণ আদুরে লাগছে। তাকে বোধহয় এখানে একদমই আশা করে নি। এজন্য এমন লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে। ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে,
বিরবির করে গালি টালিও দিচ্ছে বোধহয়। সে কুহুর থেকে
দৃষ্টি সরিয়ে রুপকের দিকে তাকাল। ছেলেটা আজীবন গাধা থেকে যাবে। ফোনে বলেছিল তার ছোটো বোন বাচ্চা একটা মেয়ে। এত দুষ্টু আর চঞ্চল। দুষ্টুমিতে বাসা মাথা করে রাখে।
তার কথা শুনে সে আসার সময় চকলেট, টেডি, আইসক্রিম
আর ফল মিষ্টি এনেছে। বাচ্চাদের তো চকলেট আইসক্রিম পছন্দ। আর তার জানামতে মেয়েরা টেডি খুব পছন্দ করে।
এজন্য আসার সময় এগুলো এনেছে। কে জানত রুপকের বাচ্চা বোনটা কলেজে পড়ে। ঘুরে ফিরে তারই ছাত্রী। ছাত্রী হচ্ছে দুষ্টুর শিরোমনি। এত বড় বাচ্চা জানলে এসব আনত না সে। এখন কি না কী ভেবে বসে কে জানে। সব এই রুপক গাধাটার দোষ। এত বড় মেয়ে সে বলে কি না বাচ্চা মেয়ে।
এটা যদি বাচ্চা হয় তাহলে বাচ্চা তাহলে কি? বোনকে মুখ
বেজার করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রুপক তাকে টেনে পাশে বসাল। রিদওয়ানের আনা গোলাপি টেডিটা কুহুর হাত হাতে তুলে দিতেই কুহুর ওষ্ঠে হাসি ফুটে উঠল। খুশিতে জ্বলজ্বল করে উঠল তার আদুরে মুখখানা। তার সমান টেডি! কি যে সুন্দর! সে মন খারাপের কথা ভুলে গেল। ভুল গেল সময় ক্ষনের কথা। তার খুব শখ ছিল এমন একটা টেডি কেনার। অনেকগুলো টেডি আছে দেখে আম্মু খ্যাচ খ্যাচ করে কিনে দেয় না। মন খারাপের মুহূর্তে অতি শখের জিনিস পেলে কে না খুশি হয়? কে হয় না হয় জানার প্রয়োজন নেই। তবে সে হয়। এখন যেমন ভীষণ খুশি সে। খুশির চোটে টেডি বুকের সঙ্গে জাপটে ধরে টেডির মুখে দু’তিন চুমু দিলো। তার কান্ড দেখে রুপক হো হো করে হাসছে। আর রিদওয়ান ভ্রুঁজোড়া কুঁচকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা পাগল নাকি? এমন করছে কেন? টেডি পেলে কেউ এত খুশি হয়? এত বড় মেয়ে অথচ হাবভাব বাচ্চাদের মতো। বাপ ভাইয়ের আদরে ন্যাকা ষষ্ঠী।
এদিকে গালভর্তি হেসে কুহু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টেডিটা দেখছে। তার থেকে বড় নাকি ছোটো মাপছে। খিলখিল করে হাসছে।
তার খুশিতে ড্রয়িংরুমে যেন আনন্দ ঝরে পড়ছে।

তখন কুহুর মা ইসমত আরা বেগম ট্রে’ ভর্তি করে একগাদা নাস্তা নিয়ে হাজির হলেন। রিদওয়ান উঠে দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম দিলো। কুশল বিনিময় করল। ছেলেটার ভদ্রতাজ্ঞান দেখে খুব খুশি হলেন ইসমত আরা। সামনের সেন্টার টেবিল জুড়ে নাস্তা রাখতে রাখতে তাকে বসতে বলে নিজে বসলেন সিঙ্গেল সোফায়। একদম ঘরের ছেলের মতো রিদওয়ানকে তুমি করে কথা বললেন। রিদওয়ান কবে ফিরেছে, বাবা মা ফিরেছে কি না, এসে কোথায় থাকছে, কি খাচ্ছে, তার ছোট বোন কিসে পড়ে, এসব একে একে সবকিছু তিনি জিজ্ঞাসা করলেন। রিদওয়ানও বিনয়ীভাবে জবাব দিলো। এসে থেকে
খুব চাপে আছে সে। দেশে ফিরে সর্বপ্রথম তার ফোনটা চুরি হয়ে গেছে। ফলে কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না। এক ঘন্টার মধ্যেই ফোন কিনে কোনো মতে বাবা মাকে তার পৌঁছানোর কথা জানিয়েছিল। নয়তো উনারা টেনশন করতেন। দ্বিতীয়ত এখন সে ফাইভ স্টার হোটেলে থাকছে।
বাসা পেলেই উঠে যাবে। সে আবার একটু খুঁতখুঁতে টাইপের।
যেখানে সেখানে থাকতে পারে না, খেতে পারে না, তাই সময় নিয়েই ভালো বাসা দেখছে। আজও একটা দেখেছে পছন্দ হয় নি। পরিবেশ ভালো না। না বলে আসায় অনেকে জানে না তার দেশে ফেরার কথা। ফোন হারিয়ে সে কারো সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারে নি। তবে রুপকের এলাকার নামটা মনে রেখে খুঁজতে এসেছিল। অনেকদিন পর দেশে ফেরার কারনে গলি ভুলে গিয়েছিল। সব গলি একরকম লাগছিল।
নাম বললেও চিনতে পারছিল না। তখন একটা মেয়ে সেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছিল। কাঁধে ব্যাগ দেখে আর পোশাক দেখে ভদ্র সভ্য মনে হয়েছিল। এত খোঁজাখুঁজির পর নিজে বিরক্ত চেপে মেয়েটার থেকে ঠিকানা জানতে চেয়েছিল। সে দীর্ঘদিন বিদেশ থেকে ভুলে বসেছিল এখানে ইংলিশ বলাটা
অনেকে ভাব মনে করে। জ্ঞান গরিমার অহংকার ভাবে। এটা বিদেশে হয় না।বরং সেখানে কেউ কিছু জানতে চাইলে তারা সুন্দরভাবে পথ চিনিয়ে দেয়। নতুবা সরি জানিয়ে বলে চেনে না। অথচ বাংলাদেশীরা চিনেও ভুল ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়।
যেটা একপ্রকার বেয়াদবি। আর বেয়াদবি বাঙালিদের রন্ধে রন্ধে প্রবাহিত। তারপর আর কি ঘুরে ঘুরে ঠিকানা খুঁজে না পেয়ে হোটেলে ফিরে গিয়েছিল। দুদিন পরে রাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। রাকিবের অসুস্থতার কারণে তাকেই গেস টিচার হিসেবে কলেজে জয়েন্ট করতে হলো। রেগুলার ক্লাস করাচ্ছে। পূর্বের অভিজ্ঞতা না থাকলেও খারাপ লাগছে না। এরপর ফেসবুক লগইন করে অন্য বন্ধুদের থেকে নাম্বার কানেক্ট করে আজ রুপকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলস্বরুপ রুপকের জোরাজুরিতেই এখন এখানে। এসব কথা শুনে ইসমত আরা বেগম খুব কষ্ট পেলেন, রাগও হলো। উনি রুষ্ট কন্ঠে বললেন,

-‘যার থেকে সাহায্য চাইছিলে সে ভারি বেয়াদব মেয়ে তো। একটা ছেলে ঠিকানা জানতে চাইল আর সে ভুল ঠিকানা দেখিয়ে দিলো? এমন কেমন কথা? কে সে? চিনতে পারবে তাকে? আমাদের বাসার আশেপাশের কেউ? বাবা-মা এমন পাগল ছাগল মেয়েকে রাস্তায়ই ছেড়ে দেয় কোন বিবেকে?
যদি ফাজলামির ছলেও করে থাকে, কেন করবে? অচেনা, অজানা একটা ছেলের সঙ্গে ফাজলামিই বা কেন করবে?
শোনো বাবা, এরপর যেদিনই মেয়েটার সঙ্গে তোমার দেখা হবে। সেদিনই সেই মুহূর্তে মেয়েটার গালে একটা চটকানা দিয়ে আসবা। রাস্তায় কেউ কিছু বললেই তখনই আমাকে
কল করবে, আমি তাকে দেখে নিবো।’

ইসমত আরার কথা শুনে রিদওয়ান সুবোধ বালকের ন্যায় মাথা নাড়াল। কথাখানা তারও পছন্দ হয়েছে৷ দিনকে দিন দেশটা বেয়াদবে ভরে যাচ্ছে। এদের শায়েস্তা না করলে এরা সোজা হবে না। এদিকে কুহু টেডি জড়িয়ে ধরে তার মায়ের দিকে একবার তাকাচ্ছে তো একবার সামনে বসা মানুষটার দিকে তাকাচ্ছে। মাইনকার চিপা বোধহয় একেই বলে। তাকে কথা শোনানো হচ্ছে আর সে ভদ্র বালিকার মতো বসে বসে গিলছে। আর একটা মানুষ কতটা হাড়ে বজ্জাত হলে এহেন কাজ করতে পারে। সে সামনে বসে আছে অথচ তাকে বকা খাওয়াচ্ছে। আর তার মা আর ভাই না জেনেবুঝে তাতে সায় দিচ্ছে। হায়রে সোনা বাঁধানো কপাল। একটা ভুল নাহয় করে ফেলেছে তাই বলে বারংবার আলাদা আলাদা শাস্তি বরাদ্দ করতে হবে। ছোটো মানুষ ভেবে কি মাফ করে দেওয়া যায় না? রুপক সোফায় হেলান দিয়ে বসে কাবাব খেতে খেতে
ঘটনা শুনল। তারপর বলল,

-‘মাম্মা তুমি দিনকে দিন যেই হ্যান্ডসাম হইছো। পুরাই হট।
মেয়েটা এক পলকেই তোমাকে বোধহয় পছন্দ করে নিজের বাসার ঠিকানা দিয়েছিল। তুমি ইঙ্গিত বুঝতে পারো নাই, হা হা হা।’

-‘চুপ করো ভাইয়া। তোমার বন্ধু এতটাও সুন্দর না যে যেই দেখবে সেই পাগল হয়ে যাবে। সামান্য একটা ঘটনা। অথচ এত রসিয়ে রসিয়ে আলোচনার কি আছে, হ্যাঁ?’

-‘কি আশ্চর্য বনু, তুই রেগে যাচ্ছিস কেন? রিল্যাক্স। নে পানি খা।’

-‘খাব না পানি, সরাও! রিল্যাক্স থাকতে দিলে তো রিল্যাক্স থাকব। কিন্তু দিচ্ছাে কই? আর আমি রেগে যাচ্ছি না, আমি নিজে একটা মেয়ে হয়ে অন্য মেয়ের নামের বদনাম শুনতে পারছি না। এমনও হতে পারে যেই ঠিকানায় তোমার বন্ধুকে পাঠানো হয়েছিল সেই বাসার ছেলের নামও রুপক। বলো হতে পারে না? এমন করার পেছনেও একটা কারণ আছে হয়তো।

এতক্ষণ রিদওয়ান চুপ করে সবার কথা শুনছিল। এবার সে হাতে থাকা কফির মগটা সেন্টার টেবিলের উপর রেখে মুখ খুলল,

-‘কারণ হচ্ছে মেয়েটা ইংলিশ পারে না। বোঝেও না। কেউ তার সঙ্গে ইংলিশে কথা বললে রেগে যায়। আর রাগ থেকে কাজটা করেছিল। আমি হানড্রেট পার্সেন্ট সিওর।’

একথা শুনে কুহু আর কথা বাড়াল না।বিরক্ত চোখে তাকিয়ে গটগট করে হেঁটে উঠে গেল। ওর ব্যবহারে রুপক আর তার মা অবাক হলো। মেয়েটা রেগে গেল কেন? কি এমন রাগের কথা বলছিল তারা? মেয়ের এমন ব্যবহারে কিছু মনে করতে বারণ করলেন ইসমত আরা বেগম। তারপর নিজেরাই গল্পে মজে গেলেন। কুহু আর রুম থেকেই বের হলো না। রাগের তার শরীর কিড়মিড় করছে। তার মন চাচ্ছে ভদ্রবেশি এই
লোকটার শার্টের ভেতরে লাল পিঁপড়া ছেড়ে দিতে। নতুবা মৌমাছির চাকে ঢিল ছুঁড়ে তাকে সেখানেই বসিয়ে রাখতে। তাহলে ব্যাটা মজা বুঝত। আন্দাজ করতো কেউ ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। আর এত সেজে গুজে এসেছে কেন? বন্ধুর বাসায় এত সেজেগুজে আসতে হয়? কালো শার্টের সঙ্গে কালো জিন্স পরে হিরো সেজেছে।
হি….রো! কেন রে হিরো সাজতে হবে কেন? কই সে বান্ধবীর বাসায় গেলে তো সাজে না। কোনোমতে চুল আঁচড়ে বেরিয়ে পড়ে। আর ছেলে হয়ে এত কিসের সাজগোছ? সাজগোজ শুধু মেয়েদের জন্য। আর সে খেয়াল করেছে তার থেকেও রিদওয়ানের ফেস চকচক করে। হাত পায়ের নখও বোধহয় নেইল কাটার দিয়ে যত্ন সহকারে কাটে। ছেলে হয়ে তার হাত পায়ের নখ এত সুন্দর হবে কেন? কেন হবে? বোঝা? ব্যাডা খারুস হাসতে জানে না। আবার বলে কি না সে নাকি ইংলিশ পারে না। পারে না, পারে না, সবাইকে ইংলিশ পারতে হবে এর কোনো মানে আছে? ইংলিশ! ওহ হো তার প্যারাগ্রাফের কথা তো মনেই নেই। এক কাজ করলে কেমন হয়? স্যারের পড়া স্যারের মাধ্যামে সেরে নিলে কেমন হয়, হুম হুম? বাহ্, এতক্ষণে তার মাথায় জুতসই একটা বুদ্ধি উদয় হলো। সে খাতা কলম নিয়ে গেল ড্রয়িংরুমে। কিন্তু রিদওয়ান নেই। সে দশ মিনিট আগেই চলে গেছে। ছেলেটাকে এত করে রাতের
খাবার খেয়ে যেতো বলল তাও খেলো না। এত লাজুক হলে চলে? হোটেলে কি খায় না খাই তার ঠিক নেই। ইসমত আরা বেগম এসব বলে দুঃখ করলেন। তারপর মন বেজার করে রান্নাঘরে চলে গেলেন। রান্নাঘরে গিয়ে খাবার বেড়ে টেবিল সাজিয়ে সবাইকে খেতে ডাকলেন। ডাক শুনে কুহু, রুপক আর তাদের বাবা এসে যে যার চেয়ার টেনে বসল। স্বামীর পাশের চেয়ারে বসলেন ইসমত আরা বেগমও। তিনি ছেলে মেয়ের প্লেটে খাবার বেড়ে স্বামীর উদ্দেশ্যে বললেন,

-‘রুপকের বন্ধু রিদওয়ানকে চেনো তাই না? ছেলেটা ভীষণ ভালো। কথাবার্তা অমায়িক। বিনয়ী। লাজুক। ট্যালেন্টটেড
বটে। জানো ছেলেটা এতদিন পর দেশে ফিরে রাগের বশে কোনো রিলেটিভদের বাসায় ওঠে নি। একা একা হোটেলে থাকছে। আমার না খুব খারাপ লাগছে। যতই হোক আমি তো মা। মায়েরা জানি ছেলে মেয়ে বাইরে থাকলে মায়ের মন কতটা উতলা থাকে। আমাদের গেস্ট রুম টা তো ফাঁকা পড়ে থাকে। ভাবছি ছেলেটাকে বলল এখানে এসে থাকতে। আর কুহুর কলেজে নাকি চিটার পদে জয়েন্ট করেছে। সে যদি আমাদের বাসায় থাকে কুহুর পড়াতে পারবে।’

পছন্দের চিংড়ির মালাইকারী দিয়ে তৃপ্ত সহকারে ভাত মুখে দিয়েছে কুহু। ব্যস, তার গলা দিয়ে আর খাবার নামল না। সে করুণ দৃষ্টিতে তাকাল বাবা মায়ের দিকে তারপর বলল,

-‘গেস্ট রুমে রেখে গেস্ট বানানোর কি দরকার? একেবারে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে ঘরজামাই করে ফেলো আম্মু। দয়ার শরীর তোমার। এতে সে বাসা পাবে তোমার মনও শান্ত হবে। হিরোমার্কা খারুস চেহারার লোকটা পাত্র হিসেবেও মন্দ হবে না। তাকে ডাকো। এখনই ডাকো, বিয়ের কাজটা চটজলদি
সেরে ফেলি।’

To be continue………!!

গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here