#আমায়_রেখো_প্রিয়_শহরে
#লেখনীতে_নূরজাহান_আক্তার_আলো
#পর্ব_পনেরো
-‘ ক্ষণিকের জন্য নয়। সারাজীবন যত্ন করার দায়িত্ব কেউ নিতে চাইলে নিতে পারে। বারণ করব না।’
কর্ণকুহুরে একথা পৌঁছানো মাত্রই কুহু থমকে দাঁড়িয়ে গেল। বিষ্ময় নিয়ে ঘুরে তাকাল চোখের উপর হাত ফেলে শুয়ে থাকা মানুষটির দিকে। সে
আরেকদফা হতবাক হলো যখন রিদওয়ান তার দিকে তাকিয়ে পুনরায়
বলল, ‘ ক্ষণিকের জন্য নয়! সারাজীবন! সারাজীবনের দায়িত্ব! অর্থাৎ জীবনসঙ্গী হওয়ার আহ্বান। এবার সুস্পষ্টভাবে আমার জবাব চাই।’
রিদওয়ানের স্পষ্টভাবে বলা কথার মানে বুঝতে সময় লাগল না কুহুর।
সে হতভম্ব। জ্বরে কি মাথা আউলে গেছে? নাকি মাথায় আঘাত পেয়ে দু’চারটা নাট বল্টু খুলে কোথাও পড়ে গেছে? সে রিদওয়ানের দিকে এক এগিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞাসা করল,
-‘আপনার বাবা মায়ের নাম মনে আছে? বলুন তো আপনার বাবার নাম কি?’
-‘গত পরশুদিনের স্কেলের বারিটার কথা মনে আছে তোমার? টেস্টটা আরেকবার মনে করিয়ে দেই?’
-‘না থাক।’
-‘উত্তর দাও।’
-‘কিসের উত্তর?’
-‘যে কথাটা বললাম সে কথার।’
-‘জ্বরের ঘোরে মানুষ ভুলভাল কত কি বকে। আপনিও বকছেন। সুস্থ হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আসছি। ‘
-‘ আমি দুইদিন সময় দিলাম। ভাবো! তবে উত্তরটা পজেটিভ হওয়া চাই।’
-‘ জবাব এখনই দিচ্ছি ‘না।’ আমি এসবের মধ্যে নেই।’
-‘ঠিক আছে। আমি পরশুদিন সন্ধ্যায় দেশ ছাড়ছি। দেশ ছাড়ার আগে তোমাকে জানানো উচিত মনে হয়েছিল তাই জানালাম। এবার যেতে পারো।’
-‘চলে যাবেন? কিন্তু কেন?’
-‘সারাজীবন পড়ে থাকার জন্য আসি নি নিশ্চয়ই!’
-‘কিন্তু..। ‘
-‘যাও। আমি ঘুমাব।’
-‘না, ঘুমাবেন না। আমি খাবার নিয়ে আসছি। খেয়ে, মেডিসিন নিয়ে, তারপর ঘুমাবেন।’
-‘বাইরের লোকদের বাড়াবাড়ি একদমই পছন্দ না আমার।’
-‘আমি বাইরের লোক?’
-‘আমার কেউ তো নও।’
-‘এভাবে কথা বলছেন কেন?’ আশ্চর্য তো!’
-‘আমি এভাবেই কথা বলি। আর তুমি আমার রুমে এলে যেতে চাও না কেন? এতবার করে কেন বলা লাগে? দুটো দিন সময় দাও রুম ছেড়ে দেবো৷ তখন এখানেই থেকো।’
কুহু উত্তর দিলো না। কথার প্রেক্ষিতে কোনো কথা বলল না। নিঃশব্দে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। উপকার করলে অপকারীর উপকার স্বীকার করা ন্যায়বান লোকের কাজ। কিন্তু এই লোক তার মনের, সুখ, শান্তি আশা, ভরসা, বিশ্বাস, এমনকি ভালবাসাটুকু ডাকাতি করার পায়তারা করছে। ভাবা যায়! না বলাতে ক্ষণিকের মধ্যে রুপ বদলে ফেলল। যা ইচ্ছে করুক এভাবের ধাঁরে কাছেও নেই সে। ভাইকে সে ভীষণ ভালোবা সে। ভাইকে কষ্ট দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। রিদওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো মানে ভাইকে কষ্ট দেওয়া। যা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
কুহুকে নিঃশব্দে চলে যেতে দেখে রিদওয়ানের মনের জেদটা যেন আজ মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। জ্বর। মাথাব্যথা। এসব নিয়ে এমনিতে মেজাজে
চিড় ধরে আছে। সামান্য কথাও ভালো লাগছে না৷ তার উপরে এই মেয়ে অভদ্রের মতো কোনো জবাব না দিয়েই গেল। তবে কি অপমান করল? নাকি রিজেক্ট করল? এত বড় স্পৃহা! রাগ হচ্ছে ভীষণ রাগ হচ্ছে। মনে চাচ্ছে মেয়েটার গালে দু’থাপ্পড় বসিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করতে, ‘ এই মেয়ে এই, ভালোবাসবে কি না বলো! হয় বিয়ের আগে ভালোবাসবো নয়তো ভালোবেসে বিয়ে করো।’
এ দুটো অপশনের মধ্যে একটা চুজ করতে হবে। বাড়তি কোনো অপশন
দেওয়া যাবে না। রিদওয়ান উঠে বসল। বড্ড অশান্তি লাগছে। তখন তার ফোন বেজে উঠল। বালিশের পাশে থাকা ফোন হাতে নিয়ে দেখে রুপক কল করছে। তবে কি কুহু বলে দিলো? দিলে দিক। রুপক যদি কিছু বলে সেও সোজাসুজি ইউত্তর দেবে। গাঁইগুঁই করবে না। মেনিমুখী স্বভাব ছিল না তার। আজও নেই। এসব ভেবে কল রিসিভ করতেই রুপক ক্ষ্যাপাটে সুরে বলল,
-‘ওই শালা, আমার বোনকে কি বলেছিস তুই?’
-‘কি বলেছি?’
-‘খুন হতে না চাইলে নিজেকে শুধরে নে। নয়তো কপালে দুঃখ আছে।’
-‘খুন টা করবে কে?’
-‘আমি।’
-‘খুন করতে আসার সময় এক প্যাকেট সিগারেট আনিস। মাথা ধরেছে। দুটো টান দিলে ভালো লাগত।’
-‘এত বাড়াবাড়ি ভালো না রিদওয়ান। পৃথিবীতে লিমিট বলে একটা শব্দ আছে।’
-‘ জানি। জানি বলেই আমি লিমিট মেনে চলি। যদি লিমিট ক্রস হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাওয়ার রেশ।’
-‘জ্বর এসেছে বলিস নি কেন? মাথায় ব্যান্ডেজ কেন? কোথায় গিয়েছিলি তুই? কার সঙ্গে লাগালাগি করে এসেছিস?’
-‘আমি যার তার সঙ্গে লাগালাগি করি না তুই ভালো করেই জানিস। আর যার সঙ্গে লাগালাগি করি তাকে সুস্থ থাকা অবধি ছাড়ি না।’
-‘ঝেশে কাশ ভাই!’
-‘গতকাল ভোরে পাড়ার মোড়ের স্বপন হিরোকে আদর যত্ন করলাম। সে আমাকে মারতে লোক পাঠিয়েছিল। চিনি না, জানি না, এসেই কলার চেপে ধরে বলে আমি নাকি গাছের খাচ্ছি তলারও কুড়াচ্ছি। এটা মানবে না সে। তারপর তোর ভাষাতে একটু ‘লাগালাগি’ করলাম। ভালো লাগল।
অনেকদিন পর এজন্য ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করলাম।কিন্তু ছেলেটার এত বড় সর্বনাশ করতে চাই নি আমি। তাও হয়ে গেল। বললাম এত চাপ নিতে পারবি না, রয়ে সয়ে। সেও ছাড়ছে না আমিও থামতে পারছিলাম
তারপর এক্সিডেন্টটা হয়ে ই গেল।’
-‘এই ভাই আমি তো ‘লাগালাগি’ মানে মারামারির কথা বোঝাচ্ছি। তুই এ কোন লাগালাগির কথা বলছিস? কি করেছিস তুই? প্রেগনেন্ট কেস হয়ে যাবে না তো?’
-‘মন কে ফ্রেশ কর। নেগেটিভ ভাবা বন্ধ কর। আমি মারামারির কথায় বলছি।
একথা বলে রুপককে বিশ্রী একটা গালি দিলো। গালি শুনে রুপক রাগ করা তো দূর হো হো করে হেসে উঠল। হাসতে হাসতে বসে পড়েছে সে।
রিদওয়ান যে কী চিজ ভাই রে ভাই যে ওকে চেনে সে খুব ভালো জানে, ভদ্রবেশী রিদওয়ান কতটা ডেঞ্জারাস। আর সেটা কথায় এবং কাজে।
তখন রিদওয়ান হেয়াল করল দরজার পর্দা একটু একটু নড়ছে। অর্থাৎ কেউ সেখানে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে। তাদের কথা শুনছে। বিড়াল স্বভাবের মানুষ এবাসায় একপিচই আছে। তখন রুপক বলল,
-‘বুঝেছি কাহিনি। ওদের কথায় কান দিস না। বখাটে পোলাপান সব।
আমি ফিরে এর একটা ব্যবস্থা করব। মেডিসিন নে। আর শুন কুহুকে রাগাস না নয়তো কখন তোর মাথা ফাটিয়ে দেয়। একা আছিস সাবধানে থাকিস।’
-‘কুহু কিছু বলেছে তোকে?’
-‘হ্যাঁ! বেশ কিছুক্ষণ আগে অনেকগুলো কল দিয়েছিল। আমায় কলে না পেয়ে মেসেজ করেছে,, ‘ভাইয়া তোমার বন্ধু সকাল থেকে রুমের দরজা খুলে নি। ফোন করে দেখো তো মরে টরে গেছে নাকি? ডাকলেও শুনছে না। আমি বাসায় একা আছি কি করব বুঝছি না। ‘ কেবল তার মেসেজ আর কল দেখে কল ব্যাক করে শুনলাম তোর জ্বর এসেছে জানাস নি। মেডিসিনও নাকি খাস নি। খেতে বলায় ধমক দিয়েছিন।’
-‘বেশ করেছি।’
-‘এজন্যই বললাম আমার হাতে খুন হবি বেয়াদব।’
-‘ তোর বোন যেন আর আমার রুমে না আসে। বকবক করে মাথার ব্যথা বাড়িয়ে দিয়েছে। ধমক খেয়ে এখন রুমের দরজা আঁটকে বসে আছে।’
-‘হা, হা, বেশ করেছে। আচ্ছা শুন আমার রুমের ড্রয়ারে মেডিসিন বক্স আছে। খেয়ে নে। ওর কথায় কান দিস না। ছোটো মানুষ। ওর মন ফ্রেশ ভেবে বুঝে কথা বলে না।’
-‘ফিরব কখন?’
-‘আগামীকাল সকালে।’
-‘সাবধানে আসিস। রাখছি।’
-‘হুম।’
এই কথোপকথন শেষ করে তারা কল কাটল। আসলে রুপকের কথায় তাল মিলিয়ে রিদওয়ান বোঝার চেষ্টা করছিল রুপকের মেজাজ। এবং
বর্তমান পরিস্থিতি। রুপকের রাগান্বিত স্বর শুনলে বুঝত কুহু পুরো কথা বলে দিয়েছে। রুপক ফান করছে এর মানে কুহু এখনো কিছু বলে নি। শুধু তার নামে অভিযোগ জানিয়েছে। মেডিসিন না খাওয়ার অভিযোগ।
রিদওয়ান ফোন হাতে নিয়ে বসে আছে। ভাবছে। তখন দরজা ঠেলে কুহু প্রবেশ করল। হাতে পাস্তার প্লেট। প্লেটটা নামিয়ে রেখে অন্য হাতের মুঠো থেকে দু’টো মেডিসিন রাখল প্লেটের সামনে। তারপর বলল,
-‘খেয়ে নিন। আম্মুর ফিরতে দেরি হবে। আপাতত এটাই খান।’
রিদওয়ান কথা বলল না। নড়ল না। সরল না। নিজে খেলো না। খেতেও বলল না। সেভাবেই বসে রইল কুহু। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে এবার রেগে গজগজ করে বলল,
-‘কথা কানে যাচ্ছে না? বাসায় আমরা একা। আপনার জ্বরটা আরো বেড়ে গেলে একা আমি কি করব চিন্তা করুন একবার। মেডিসিন নিন।
অসময়ে জেদ করবেন না।’
রিদওয়ান তাও নিশ্চুপ। কুহুর আর সহ্য হলো না সে সেখান থেকে চলে এলো। রান্নাঘরে গেল। নিজের জন্য পাস্তা নিয়ে রুমে এলো। রাগে দুঃখে গজগজ করতে করতে খোলো। পানি খোলো। তারপর শুয়ে পড়ল। এত তেলাতে পারবে না কাউকে। খেলে খাক। না খেলে না খাক।ভদ্রতা থেকে
যতটুকু করার দরকার করেছে। আর পারবে না৷ যথেষ্ট হয়েছে। তার জ্বর বাড়ুক। ব্যথা বাড়ুক। যা ইচ্ছে করুক। এসব বলে গজগজ করতে করতে সে ঘুমিয়ে গেল। ঘন্টা খানিক ঘুমিয়ে আচমকা ধড়ফড় করে উঠে দেখে একপ্রকার দৌড়ে বের হলো। গেস্ট রুমে গেল। খাবার সেভাবেই রয়েছে।
মেডিসিনও তাই। রিদওয়ান রুমে নেই। সে খুঁজতে খুঁঁজতে এবার কাউচ পেরিয়ে রান্নাঘরে এলো। রিদওয়ান রান্না করছে। রান্নাঘরে এসে দাঁড়াতে তার খেয়াল হয় রাইস কুকারে ভাত বসেছিল। তরকারি নেই, তাই পাস্তা বানিয়ে রিদওয়ানকে দিয়েছে যাতে সেটুকু খেয়ে মেডিসিন টা খায়। এই বান্দা তো কিছুই খায় নি। রাগ দেখাচ্ছে, রাগ। সে রান্নাঘরে এসে রাইস কুকারের ঢাকনা তুলে ভাত দেখে খুশি হলো। ভাতটা অনন্ত সে রেঁধেছে। মেয়ে হয়ে রান্না করতে পারে না এমন খোঁটা দিতে পারবে না রিদওয়ান। কিন্তু সে হয়তো জানে না চাল ধুয়ে ঠিকঠাক পানি দিয়ে রাইস কুকারে ভাত বসিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সে সুইচটাই চাপে নি। রিদওয়ান এনে সুইচ দেওয়ার পর ভাত হয়েছে। কুহু রিদওয়ান পাশে দাঁড়িয়ে দেখল কি রান্না হচ্ছে। তারপর বলল,
-‘জ্বর কমেছে?’
রিদওয়ান নিশ্চুপ! দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল কুহু। এই লোক মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে৷ তখন রান্নাঘরের জানালা দিয়ে হুরহুর করে বাতাস ঢুকল। ধূলো উড়ছে। ঝড় উঠেছে। আকাশ কালো মেঘ ঢাকা। বৃষ্টিও নামবে বোধহয়। কুহু তাড়াতাড়ি রান্নাঘরের জানালা আঁটকে দৌড়ে গেল রুমের জানালা আঁটকাতে। দৌড়ে দৌড়ে সব রুমের জানালা আঁটকে ধপ করে সোফায় এসে বসল। তখন তার মনে হলো ছাদে কাপড় আছে। সকালের ভেজা কাপড় তার মা ছাদে দিয়ে এসেছে। এবার সে যেতে যেতে চেঁচিয়ে বলল,
-‘রিদ ভাইয়া আমি ছাদে গেলাম। শুকনো কাপড়গুলো আনতে।’
তারপর ধপধপ শব্দ তুলে কুহু চলে গেল। রিদওয়ানও শুনল। তারপর সে চুলা অফ করে রান্নাঘরে পরিষ্কার করে রুমে গেল। মাথার ব্যান্ডেজ খুলে গোসল দিলো। জ্বর গায়ে ঠান্ডা পানি শরীরে লাগতেই শরীর কেঁপে উঠল। তবুও ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইল। এরপর গা মাথা মুছে রুমের এসে আগে দরজা আঁটকাল। নয়তো দেখা যাবে প্যান্ট পরার আগেই একজন রিদ ভাইয়া! এই রিদ ভাইয়া! করতে করতে নক না করে রুমে ঢুকে পড়বে।
এই মেয়ের আশা ভরসা নেই৷ রিদওয়ান প্যান্ট পরে আগে গায়ে টি শার্ট জড়ালো। তারপর কপালে ব্যান্ডেজ লাগাল। চুলগুলো ধীরে ধীরে মুছল। ভীষণ শরীর খারাপ করছে। মাথার মধ্যে চক্কর দিচ্ছে। দুপুরে মেডিসিন নেওয়ার পর জ্বর ছেড়েছিল দেখে রান্নার কাজ করতে পেরেছে৷ নয়তো
সম্ভব হতো না। রান্না না করলে আরেকজনকে আবার না খেয়ে থাকতে হলো। সে আবার ক্ষুধা সহ্য করতে পারে না। তার জন্যই রান্না করল সে।
হঠাৎ তার খেয়াল হলো কুহু ছাদে গেছে অনেকক্ষণ হলো এখনো আসে নি। মাগরিবের আজান দিয়েছে যখন গোসলে ঢুকেছিল। তারও আগে ছাদে গেছে কুহু। বাইরে এখন তুমুল বৃষ্টি। এই মেয়ে এমন ঝড় তুফানের মধ্যে কোথায় গেল? নাকি ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছে কোথাও? সে আর না ভেবে শোয়া থেকে উঠে দ্রুত ছাদের দিকে গেল। সিঁড়ি বেয়ে
উঠার সময় দু’ দুবার রেলিং ধরে পড়া থেকে বাঁচল। মাথা চক্কর দিচ্ছে। তারপর সিঁড়ি বেয়ে উঠে দরজার কাছে গিয়ে দেখে কুহু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিজছে। রিদওয়ান দাঁড়িয়ে গেল। হালকা গোলাপি ড্রেস পরিহিত কুহু আকাশে পানে মুখ করে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। রিদওয়ান নড়ল না। ভেজা গায়ের কুহুকে মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকল। সে কোথাও শুনেছিল বৃষ্টি উপভোগ করা যাযরদুইভাবে, এক, বৃষ্টিতে ভিজে আর দুই, কাউকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখে। আর সে যদি হয় একান্ত ব্যক্তিগত মানুষ তাহলে তো কথায় নেই। রিদওয়ান হঠাৎ তার বুকে হাত দিলো। হার্ট দ্রুত চলছে।
নিঃশ্বাসের গতি বাড়ছে। সে দ্রুত চলতে থাকা হার্টের উপর হাত রেখে বিরবির করে বলল,
-‘মন কেড়ে, মায়ায় জড়িয়ে, আমার আমিকে এভাবে না কেড়ে নিলেও পারতে। কেড়েই যখন নিলে এখন আমার না হওয়ার এত বাহানা কেন? কেনই বা এত কপটতা, পালিয়ে যাওয়ার ছলচাতুরতা।’
To be continue…………!!
গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/