#রাঙা_আলোর_সন্ধ্যা
#পার্ট_৭
জাওয়াদ জামী জামী
প্রভঞ্জনের তান্ডবে ধরিত্রী লণ্ডভণ্ড হওয়ার পথে। দোকানে থাকা চার-পাঁচ জন বয়স্ক ব্যক্তি দোয়া-দরুদ পাঠ করছে। পাশেই একটা বড় গাছ ভেঙে পরেছে আরেকটা দোকানের ওপর। বাতাসের তোড়ে দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা দায় হয়ে পরেছে।
আশফি ভয়ে কাঁপছে। এই ঝড় কতক্ষণ চলবে সেই ধারনা ওর নেই। দোকানে অবস্থান নেয়া প্রায় দশ-বারোজন মানুষের মধ্যে ও একা একজন মেয়ে। এই সময় পুলক মির্জা পাশে না থাকলে কি হতো আল্লাহই জানেন। আশফি একনজর তাকায় পুলক মির্জার দিকে। ঝড়ো বাতাসে তার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। সে এক হাতে আশফির পিঠের পেছনে হাত দিয়ে জড়িয়ে রেখেছে। অপর হাতে এলোমেলো চুলগুলো বারবার ঠিক করছে। বাতাসের দাপটে সে তার চোখ ঠিকমতো খুলতে পারছেনা।
প্রায় একঘন্টা পর ঝড় থামলে শুরু হয় বৃষ্টি সেই সাথে বজ্রপাত। বজ্রপাতের শব্দে বারবার কেঁপে উঠছে আশফি। বিষয়টি পুলকের নজর এড়ায়না। সে এক ঝটকায় আশফিকে নিজের সাথে জড়িয়ে নেয়। দোকানের সবাই অবাক হয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে থাকলেও সেদিকে নজর দেয়ার সময় নেই পুলকের। সে ব্যস্ত তার রমনীকে সুরক্ষা দিতে।
পুলকের এমন কাণ্ডে আশফি প্রথমে চমকে উঠলেও, বজ্রপাতের কথা চিন্তা করে পুলকের বুকেই মুখ গুঁজে রইল।
” ম্যাম, বৃষ্টি নেই আর। ” পুলকের মৃদুস্বরে ডাক শুনে তার বুক থেকে মুখ তুলে তাকায় আশফি। কতক্ষণ লোকটার বুকে মুখ গুঁজে ছিল সেটা বলতেই পারবেনা ও। এতক্ষণে নিজের কাজের জন্য লজ্জা লাগছে আশফির।
” বাড়িতে যাব। রিক্সাওয়ালা মামা কই? ” আশফি এদিকওদিক তাকিয়ে রিক্সাওয়ালাকে খুঁজল।
” মামার রিক্সায় যেতে পারবেননা বোধহয়। তার রিক্সার ওপর গাছের ডাল ভেঙে পরেছে। আকাশে মেঘের উপস্থিতি দেখেই কলেজে আপনাকে বলেছিলাম, আমার সাথে যেতে। মেঘ এখনো কাটেনি। আবারও বৃষ্টি নামতে পারে। তাই বলছি, আমার সাথে চলুন। ”
আশফি আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখল সত্যিই মেঘ এখনো আছে। বৃষ্টি এখন নেই ঠিকই কিন্তু যেকোন মুহূর্তে আসতে পারে। কিন্তু ও পুলক মির্জার সাথে যেতে ভয় পাচ্ছে। গ্রামের লোকজন অপরিচিত কারও সাথে ওকে দেখলে বিষয়টা ভালোভাবে নিবেনা। আর যদি একবার বিষয়টা রিনা আক্তারের কানে যায়, তবে ওকে হেনস্তা হতে হবে। কি করবে বুঝতে পারছেনা মেয়েটা।
” আমি রিক্সাতেই যাব। আপনার সাথে গেলে গ্রামের লোকজন দেখে ফেলবে। ”
” ওকে, আমি আপনাকে গ্রামের সীমানায় পৌঁছে দিয়েই চলে আসব। কেউ দেখবেনা। তবুও রিক্সায় যাওয়ার কথা ভাববেননা।পথিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে আবারও কি কোন দোকানে দাঁড়াবেন? তখন কিন্তু আপনাকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য আমি থাকবনা। ”
আশফি অনেকক্ষণ চুপচাপ থেকে মুখ খুলল,
” গ্রামের সীমানা থেকে আমাদের বাড়ি অনেককটা দূরে। হেঁটে যেতে কষ্ট হবে। ”
আশফির এমন কথায় কপাল চাপড়ায় পুলক।
” আপনার এই সমস্যার সমাধানও আমাকেই করতে হবে! তাহলে চলুন আপনাদের গ্রামের বাজার পর্যন্তই নিয়ে যাব। ”
” নাহ্, আমি আপনার সাথে বাজার পর্যন্ত যেতে পারবনা। লোকজন দেখলে খারাপ ভাববে। ”
” ওয়েট। আমি ব্যবস্থা করছি। ” পুলক মির্জা পকেট থেকে ফোন বের করে হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার দিকে যায়।
প্রায় বিশ মিনিট পর পুলক আশফির কাছে আসল। মেয়েটা এতক্ষণ বসে বসে বিরক্ত হচ্ছিল।
” সরি ম্যাম, দেরি হয়ে গেল। চলুন বেরিয়ে পরি। আমি আপনাকে গ্রামের সীমানায় পৌঁছে দেব। আপনি সেখান থেকে অটোরিকশায় করে বাড়িতে যাবেন। সেখানে আপনার জন্য একটা অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকবে। ”
পুলকের পিছুপিছু আশফি ওর বাইকের কাছে আসল।
পুরো রাস্তা জড়োসড়ো হয়ে বসে রইল আশফি। ওকে জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকতে দেখে পুলক বাইকের গতি বাড়ালোনা। গ্রামের সীমানায় আসতেই বাইক থামায় সে। আশফি বাইক থেকে নেমেই দেখল একটা অটোরিকশা দাঁড়িয়ে আছে। আশফি কিছু না বলে সরাসরি গিয়ে অটোরিকশায় উঠল।
” আপনার এত উপকার করলাম, একটা ধন্যবাদও দিলেননা, ম্যাম! আবার না বলেই চলেও যাচ্ছেন? আজকাল কারও উপকার করতে নেই দেখছি । অযথাই বাইকের জ্বালানি খরচ করলাম। ” পুলক আশফিকে অটোরিকশায় উঠতে দেখেই দৌড়ে ওর কাছ গিয়ে বলল।
পুলকের কথায় হতভম্ব আশফি একটু লজ্জাও পায়। ও অপ্রভিত হয় বলল,
” কত টাকার জ্বালানি লেগেছে বলুন, আমি টাকা দিয়ে দিচ্ছি। ”
আশফির কথা শুনে পুলকের চোখ বড় হয়ে গেছে। কেউ ওকে এমন কথা বলতে পারে, তা ওর কল্পনাতেই ছিলনা। শুকনো হেসে বলল,
” লাগবেনা আপনার টাকা। ঐ টাকা দিয়ে বরং আপনিই ফলমূল আর হরলিক্স কিনে খাবেন। তবুও যদি বুদ্ধিসুদ্ধি বাড়ে। পারলে আপনার বাবাকে বলবেন, আপনাকে যেন নিয়মিত দুধ-ডিম খাওয়ায়। আসছি। ”
পুলক এমন কথা কেন বলল সেটা ধরতে পারলনা আশফি। ও মনে মনে চিন্তা করছে, আমার কথায় ভুল কোথায়? সে আমাকে তার বাইকের জ্বালানি খরচ করে এতদূর নিয়ে এসেছে, তাই আমিও টাকা দিতে চেয়েছি। হ্যাঁ, তাকে ধন্যবাদ দেয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা দিতে আশফির ইচ্ছে না করলে, ওর দোষ কোথায়!
***
” আশফি, তুই এতক্ষণ কোথায় ছিলি? তোকে কতবার ফোন দিয়েছি জানিস? তুই একবারও রিসিভ করিসনি। ঝড়বৃষ্টির মধ্যে কোথায় ছিলি? ” আশফি বাড়িতে ঢুকতেই ছুটে আসল তিয়াসা।
” একটা দোকানে ছিলাম। ফোন ব্যাগে ছিল। ” আশফি আর কিছু বললনা।
” যা ফ্রেশ হয়ে নে। আম্মু তোকে আজ আমাদের সাথে খেতে বলেছে। তোর আসতে দেরি হচ্ছে দেখে আমিও খাইনি। ” তিয়াসা আশফির দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারল, ওর কিছু একটা হয়েছে। বিষয়টা সে পরে আশফিকে জিজ্ঞেস করার সিদ্ধান্ত নেয়।
***
দশদিন পর রিফাত গ্রামে এসে জানায় একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ওর চাকরি হয়েছে। ওর পোস্টিং হয়েছে চিটাগং। আগামী মাসেই ওকে জয়েন করতে হবে। হাতে আর সাতদিন সময় আছে।
” আশফি, আমার কথা মন দিয়ে শোন। আমি চিটাগং গিয়ে চাকরিতে জয়েন করি, এরপর একটা বাসা নিব। সব ঠিকঠাক করে তোকে আমার কাছে নিয়ে যাব। তুই শুধু এখানে এসে পরীক্ষা দিবি। বুঝেছিস? ”
” আব্বাকে রেখে যেতে হবে, ভাইয়া? আব্বা অসুস্থ। যখনতখন শরীর খারাপ হয়ে যায়। আম্মা সবটা একা সামলাতে পারবে? ”
” তাদের চিন্তা তাদেরকেই করতে দে। আব্বা অসুস্থ জন্য কি তোকে আমি ছোটমার কাছে ফেলে রেখে যাব? আব্বার আগেও চিকিৎসা হত, এখনও হবে। আমি প্রতিমাসে আব্বার চিকিৎসার জন্য টাকা পাঠাব। বাকিটা ছোটমা বুঝে নিবে। আমি তোকে এখানে আর রাখবনা। ”
” তুমি যাওয়ার আগে আব্বাকে একবার ডক্টরের কাছে নিয়ে যেও। আজকাল আব্বা ভালোমত খেতেও পারেনা। ”
” কালকেই নিয়ে যাব। ” তিয়াসাকে আসতে দেখে রিফাত কথা বন্ধ করে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকল।
” দুই ভাইবোন মিলে কি শলাপরামর্শ করছিলে? ”
” জানিস তিয়ু, ভাইয়া আমাকে চিটাগং নিয়ে যাবে। বড় চাচিকে বলে প্রথমবার তোকেও আমাদের সাথে নিয়ে যাব। ”
” বাব্বাহ্, ভাইবোন মিলে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিস দেখছি। তা তোর দামড়া ভাইয়ের বিয়ে দিবিনা? বিয়ের অভাবে তোর ভাইয়ের চুলে পাক ধরতে দেরি নেই। ” তিয়াসা রিফাতকে খোঁচাতে চাইছে।
” আমার বিয়ে নিয়ে তোর ভাবতে হবেনা। শুনলাম তোর নাকি বিয়ের কথা চলছে? ছেলে নাকি পাশের গ্রামের? ”
রিফাতের কথা শুনে তিয়াসার মুখ কালো হয়ে যায়। ওর চোখে ছলছল করছে পানি।
” বিয়ের কথা হলেই কি বিয়ে হয়ে যায়! তুমি কোথায় থেকে শুনলে এসব? ”
” তিয়ু, তুই একটু বস, আমি এখনই আসছি। ” তিয়াসাক কথা বলতে না দিয়েই আশফি বেরিয়ে যায় ঘর থেকে।
” কাঁদছিস নাকি? ” মিটিমিটি হাসছে রিফাত
” চুপ কর, বদ লোক। আমার কষ্ট দেখে তোমার হাসি পাচ্ছে? ”
” উঁহু, শুধু হাসি নয় মজাও পাচ্ছি। দাওয়াত দিবিনা তোর বিয়েতে? ”
” রিফাতের বাচ্চা, তোমাকে আমি খু’ন করে ফেলব। আমি শুধু তোমার বউ হতে চাই ” তিয়াসা রিফাতের চুলগুলো দুহাতের মুঠোয় নিয়ে আচ্ছামত ঝাঁকিয়ে দিল।
” আমার চুলগুলো ছিঁড়ে ফেলবি নাকি? টাকলা ছেলেকে কোন মেয়ে জামাই হিসেবে পছন্দ করেনা, এটা তোর জানা নেই? ”
” আমি পছন্দ করলেই হবে। আমি ছাড়া কোন মেয়ে তোমার দিকে তাকালে, তার চোখ আমি অন্ধ করে দিব। ” আশফির পায়ের আওয়াজ পেতেই তিয়াসা রিফাতের চুল ছেড়ে দিয়ে চেয়ারে গিয়ে বসল।
” ভাইয়া, তিয়াসা, দেখ কি বানিয়েছি। ” আশফি লুচি আর আলুর দম নিয়ে এসেছে।
” আরিব্বাস! কখন করেছিস এসব? এসব কি শুধ তোর ভাইয়ের জন্য? নাকি আমার জন্যও আছে? ” তিয়াসা একটা লুচি নিয়ে খানিকটা মুখেও দিয়েছে।
” আমার ভাইয়া কি এতগুলো খেতে পারবে? তুই খা। ”
” তুই লুচি করেছিস, ছোটমা কিছু বলেনি! ” রিফাত জিজ্ঞেস করল।
” কি বলবে! তুমিইতো তেল, ময়দা, আলু সব কিনে দিয়েছিলে। ”
” পৃথা, পিয়াসকে দিয়েছিস? আব্বা খেয়েছে? ” আবারও জিজ্ঞেস করল রিফাত।
” সবাই খেয়েছে। এবার তুমি আর তিয়াসা খাও। ”
***
” পুলক, তোমার বড় চাচ্চু কাল দেশে ফিরছে। তুমি কি তাকে রিসিভ করতে যাবে? ” নিজের অফিসে বসে আছেন আতিক মির্জা। পুলক একটা কাজে এসেছিল বাবার কাছে। তখনই তিনি ছেলেকে তার বড় ভাইয়ের আগমনের খবর দিলেন।
” প্লেন কখন ল্যান্ড করবে? ” ফোন টিপতে টিপতে জবাব দেয় পুলক।
” আগামীকাল সন্ধ্যা ছয়টায়। ”
” ওকে আমি কাল বিকেলে রওনা দেব। ”
” বিকেলে রওনা দিলে ঢাকায় পৌঁছাতে তোমার রাত দশটার বেশি বেজে যাবে। ততক্ষণ কি বড় ভাই তোমার জন্য এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করবে! ” বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন আতিক মির্জা
” আমিও প্লেনেই যাব। চাচ্চুর প্লেন ল্যান্ড করার আগেই আমি এয়ারপোর্টে পৌঁছে যাব। ”
” তোমার আজকে ঢাকা গেলে ক্ষতি কি? এমনতো নয় যে সেখানে তোমার থাকার জায়গা নেই। আমাদের ফ্ল্যাট আছে ঢাকা। তুমি আজকে যাও। কালকে সারাদিন রেষ্ট নাও। ”
” আমি কালকে বিকেলেই যাব। কেন বুঝতে চাওনা, এখানে আমার একটা পিছুটান আছে? যাকে একদিন না দেখলেই আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। ”
আতিক মির্জা বুঝতে পারলেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন বাসায় গিয়ে তার ছেলের বিয়ের ব্যাপারে স্ত্রী’র সাথে কথা বলবেন।
***
আশফি আর তিয়াসা বাড়ি থেকে বেরিয়েই রাস্তায় রিক্সা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। এটা বেশ কিছুদিন যাবৎ হয়ে আসছে। অথচ আগে ওরা বাজার পর্যন্ত হাঁটার পরই রিক্সার দেখা পেত। কিন্তু এখন ওদের কষ্ট করে বাজার পর্যন্ত হেঁটে যেতে হয়না।
” মামা, যাবেন? ” তিয়াসা জিজ্ঞেস করল।
” হুম যামু। আপ্নেরা এন জি কলেজে যাইবেন তো? চলেন। পঞ্চাশ টেকাই ভাড়া দিয়েন। ” রিক্সাওয়ালা হড়বড় করে বলল।
রিক্সাওয়ার কথা শুনে ওরা দুজন একে-অপরের দিকে তাকায়। বুঝতে পারছেনা কি হচ্ছে।
” যাইবেননা, মা? এখনই না গেলে আপনাগো দেরি হইব। ” ওদের চুপচাপ থাকতে দেখে রিক্সাওয়ালা আবারও কথা বলল।
এবার তিয়াসা কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছে।
” আমার মনে হচ্ছে কেউ পাঠিয়েছে আপনাকে আপনার রিক্সায় আমরা যাবোনা। আপনি যান। ”
” মাগো, আমার রুজিরোজগার এই রিক্সা দিয়াই। আপ্নেরা না গেলে আমি আর রিক্সা চালাইতে পারমুনা। রিক্সা চালাইয়া মাইয়াডারে পড়াশোনা করাই। আমি রুজিরোজগার বন্ধ কইরেননা, মা। ” রিক্সাওয়ালার করুন স্বরে ওরা আর না করতে পারলনা। উঠে বসল রিক্সায়।
” মামা, এবার বলুন কে আপনাকে আমাদের নিতে পাঠিয়েছে? কি বলেছে সে আপনাকে? ” তিয়াসা তীক্ষ্ণ গলায় জিজ্ঞেস করল।
” পুলক মির্জা কাইলকা আমারে আপ্নেগোর ঠিকানা দিয়া সকাল সকাল আইতে কইছিল। কইছিল, আপ্নেরা যাতে বাড়ি থাইকা বাইর হইয়াই আমার রিক্সায় উঠেন। হেয় ভাড়াও আমারে দিয়া দিছে। কিন্তু আপ্নেগোর কাছ থাইকা ভাড়া না নিলে সন্দেহ করবেন, তাই কইছে আপ্নের থাইকা যাতে ভাড়া নিয়া নিই। ”
তিয়াসা আশফি দুজনেই বুঝতে পারল গত কয়েকদিন যাবৎ বাড়ির সামনে রিক্সা, অটোরিকশা থাকার রহস্য।
বিঃদ্রঃ শরীর, মন কোনটাই ভালো নেই। মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। ব্লকে পড়ে গেছি। একটা বাক্য লিখতে অনেক সময় ব্যায় হচ্ছে। বারবার লিখছি আর কাটছি। দুইদিনে অনেকবার কাটাকাটির পর এতটুকু লিখতে পেরেছি। সেকারনেই অগোছালো হয়েছে লিখা। এই ব্লক কবে কাটবে জানিনা। হয়তো নিয়মিত লিখতেও পারবনা। কষ্ট করে এই অগোছালো লিখাই পড়ে নিয়েন।
চলবে…