#রাঙা_আলোর_সন্ধ্যা
#পার্ট_২০
জাওয়াদ জামী জামী
” ছোট মামী, বল কি বলবে? ঐদিকে সব ঠিকঠাক আছে তো? ” শাহেদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে কথা বলছে মল্লিকা মির্জার সাথে।
মল্লিকা মির্জা পুলকের সাথে কথা বলার পর ফোন দিয়েছেন শাহেদকে। পুলকের কথাবার্তা শুনে তার সন্দেহ হচ্ছিল। তিনি বুঝতে পারছেন তার ছেলে সকাল সাতটায় ঘুম থেকে উঠে বাজার করতে যাবেনা। তাই তিনি শাহেদকে ফোন দিয়ে সবটা বললেন।
” বাপ, তুমি তোমার ভাইকে সাথে নিয়ে সকালে বাজারে যাবে। সে ঘুম থেকে উঠতে না চাইলেও জোর করে তুলবে। মনে রেখ, ঐ বাড়িতে তোমাদের আর আমার বউমাদের যেন কোন অসম্মান না হয়। আশফির আম্মার ভাবভঙ্গি আমার ভালো লাগেনি। আমাদের গাফিলতির জন্য যেন আমার বউমা কষ্ট না পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখ। আমার ছেলেকে এসব কথা বললে ও আশফির আম্মাকে কথা শোনাবে, এজন্যই ওকে কিছু বলিনি। তুমি বুঝতে পেরেছ, আমি কি বলতে চাচ্ছি? ”
” তুমি চিন্তা করোনা, মামী। আমি সবটা সামলে নিব। আর ভাইও কিছু জানবেনা। ” শাহেদ ফোন কেটে দিয়ে ভেতরে আসল।
খাওয়াদাওয়া শেষ করতে করতে দশটার বেশি বেজে গেছে। রত্না পারভীন নিজে যত্ন করে সবাইকে খাওয়ালেন। তার হাতের রুই মাছ ভুনা, শিং মাছের ঝোল, পাবদামাছের দোপেঁয়াজা খেয়ে সবাই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলল। অবশ্য রত্না পারভীনের মন খুব একটা ভালো নেই। ছেলেমেয়েদের তিনি বেশি কিছু রান্না করে খাওয়াতে পারলেননা বলে।
” বুঝলি শাহেদ, শ্বশুর বাড়িতে জামাইদের এর কদর জানলে আগেই দু-চারটা বিয়ে করতাম। প্রতি সপ্তাহে সিরিয়াল অনুযায়ী শ্বশুর বাড়িতে যেতাম আর শ্বাশুড়ির হাতের মজার মজার খাবার খেতাম। ” সিগারেটে টান দিয়ে নাক-মুখ দিয়ে একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে বলল পুলক।
” আগে ভাবীকে সামলাও তারপর আরও তিনটা বিয়ের কথা চিন্তা কর। ভাবী তোমাকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাবে এটা নিশ্চিত থাক। আর ভাবীকে ধমক দেয়ার সাহস তোমার নেই, এটা আমি ভালো করেই জানি। ”
” চুপ কর ভাবীর চামচা। কোথায় ছোট ভাই হয়ে বড় ভাইয়ের সাথ দিবি, সেটা না করে ভাবীর সাফাই গাইছিস? তুই কি ভাই নাকি বিভীষণ? ”
” বিভীষণই ধরে নাও। ”
” তারমানে তুই বলতে চাইছিস আমি রাবণ? মাই গড! এই দুইদিনে তোর এত অধঃপতন হয়েছে যে আমার মত জনদরদী ভাইকে রাবণ বানিয়ে দিলি! তোর ভবিষ্যৎ অন্ধকার বুঝলি, শাহেদ? তিয়াসাও কিন্তু কম যায়না। আমার বউ বোকা, তোর বউ কিন্তু দারুণ বুদ্ধিমতী। ”
পুলকের কথা শুনে শাহেদ মলিন হাসল। ওর মনে যে কি চলছে, সেটা কেবল শাহেদই জানে।
” এসব কথা বাদ দাও, ভাই। শোন, মামী যেটা বলেছে সেটা মাথায় রেখ কিন্তু। মামী চাইছেননা আমাদের কোন ভুলে ভাবী কষ্ট পাক। এবং সেটা আমিও চাইছি। বাই দ্য ওয়ে, কিছু কি নোটিশ করেছ তুমি? ” খুব সাবধানে জিজ্ঞেস করল শাহেদ।
” হুম। আমরা এখানে এসেছি অনেক আগেই। কিন্তু আমার শ্বাশুড়িমা একবারও আমাদের সাথে হেসে কথা বলেনি। আমার শ্বশুর মশাই তার স্ত্রীকে ভিষণই ভয় পান। তিনি চিন্তায় আছেন স্ত্রীকে মানিয়ে কিভাবে আমাদের আপ্যায়ন করবেন। আমার শালা বাবু, শালিকা কেউই এসে আমাদের সাথে কথা বলেনি। এমনকি নাস্তা এবং ডিনার তোর শ্বশুর বাড়িতে করেছি। আমার বোকা বউটার মুখে ভয়ের ছায়া দেখেছি। এমনকি ও রাতে ঠিকমত খায়ওনি। আরও কিছু শুনবি? ” পুলকের কথা শুনে শাহেদের মাথায় হাত। একটুকু সময়ের মধ্যে এতকিছু লক্ষ্য করেছে সে! অথচ সারাটা সময় সে ফোন নিয়েই ব্যস্ত ছিল।
” তুমি এত কিছু লক্ষ্য করেছ! ভাই, তোমাকে লাল সালাম। এবার সকালে গিয়ে বাজার করে আনলেই ঝামেলা মিটবে। এতে আমাদেরও সম্মান রক্ষা হবে আর ভাবীও হাঁফ ছাড়বে। ”
” আমি সাকিবকে বলে দিয়েছি। সকাল হতেই ওরা সবকিছু নিয়ে হাজির হয়ে যাবে। কাল সকালে বাজার দেখে আমার শ্বাশুড়ির যদি স্ট্রোক না হয়েছে তবে আমার নাম বদলে রাখিস। ”
” কি নাম রাখব, ভাই? তোমার একটা মাস্ত নাম ঠিক করতে বলি ভাবীকে? ”
” তুই কি থামবি নাকি ঠ্যাং ভেঙে হাতে ধরিয়ে দেব? ভাগ এখান থেকে। আমাকে আয়েস করে স্মোক করতে দে। ”
পুলকের ধমকে শাহেদ বাড়ির ভেতর চলে আসল। বাড়িতে এসেই সে আশফিকে বলে দিল, ওদের বাগানে বসে পুলক স্মোক করছে। শাহেদের কথা শুনে আশফি এক পা দু পা করে বাগানে যায়।
পুলক একটা সিগারেট শেষ করে সবেমাত্র আরেকটা ঠোঁটে নিয়েছে।
” চোরের মত এখানে বসে আছেন কেন? ”
পেছন থেকে আশফির আওয়াজ পেয়ে চমকে উঠল পুলক। সিগারেট লুকানোর বৃথা চেষ্টা করল। বুঝতে পারল শাহেদ আশফিকে বলে দিয়েছে।
” তু..তুমি এখানে কি করছ? ”
” আপনি সিগারেট খান! আর কি কি বদ অভ্যাস আছে আপনার, বদ লোক? ”
” অনেক বদ অভ্যাসই আছে। তুমি কোনটা কোনটা শুনতে চাও বল? ”
” আমি কোনটাই শুনতে চাইছিনা। শুধু আপনাকে শোনাতে চাই, মা’কে ফোন দিয়ে আমি জানিয়ে দেব আপনি সিগারেট খান। আর সেই সাথে আরও অনেক বদ অভ্যাস আপনার আছে। ” আশফি মনে সাহস এনে বলল।
” কে বলেছে আমার আরও বদ অভ্যাস আছে! তুমি আম্মুকে কিছুই বলবেনা। আম্মু এসব জানলে তোমার খবর আছে। ” পুলক আশফিকে ধমক দেয়ার চেষ্টা করল কিন্তু পারলনা।
” আপনিই তো একটু আগে আমাকে বলতে চাইলেন আপনার কি কি বদ অভ্যাস আছে। আমি মা’কে আজকেই বলব। ”
পুলক আশফির দিকে এগিয়ে এসে আচমকাই ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ওর ঠোঁটে ঠোঁট রাখল। আশফি নিজেকে ছাড়তে চেষ্টা করেও পারলনা। ততক্ষণে পুলকের মুখে থাকা সিগারেটের ধোঁয়া ওর মুখের ভেতর চলে গেছে। যেটা পুলক ইচ্ছে করেই করেছে। অনেকক্ষণ পর আশফিকে ছেড়ে দিয়ে ওর কপালে কপাল ঠেকায়।
এদিকে আশফির দম বন্ধ হয়ে আসছে সিগারেটের গন্ধে। ও খুকখুক করে কাশছে আর জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে। পুলক ওকে তখনও শক্ত করে ধরে রেখেছে।
” আম্মু যদি এসব কিছু জানে, তবে দিনে দিনবার চুমু থেরাপি দেব তোমাকে। আর সেটা সিগারেটের ধোঁয়া সহ। অবশ্য এটাকে চুমু থেরাপি না বলে ধোঁয়া থেরাপিও বলতে পার। তুমি আম্মুকে এসব কথা বললে, আমি ধরে নিব চুমু পাবার লোভেই বলেছ। ”
পুলকের হাত থেকে ছাড়া পেয়েই আশফি বাড়ির দিকে দৌড় দিল। এমন কিছু ঘটে যাবে ও ভাবতেই পারেনি।
***
” ভাইয়া, আজকে আমরা সারারাত সবাই মিলে আড্ডা দেব। কেউ ঘুমাবেনা বলে দিলাম। ” নিলাশা পুলকের কাছে বায়না ধরল।
” তোর জাগার ইচ্ছে থাকলে জাগতে পারিস। আমার ঘুম ধরেছে। আমি এখন ঘুমাতে যাব। ও বউ, আজকে কি তোমার রুমে ঘুমাব আমরা? ” পুলক নিলাশার বায়না গায়ে মাখালোনা। উল্টো আশফিকে কোথায় শোবে সেটা জিজ্ঞেস করল।
” এটা ঠিক নয়, ভাইয়া। ছোট বোনেরা একটা আবদার করেছে আর সেটা তুমি রাখবেনা? প্লিজ ভাইয়া, তোমরা গিয়ে ঘুমাও। আমরা ভাবীদের সাথে আড্ডা দেই। ” নিলাশা জোড়াজুড়ি করেই চলেছে।
” সরি বইনা, আমি বউকে ছাড়া ঘুমাতে পারিনা। তাই যে কোন পরিস্থিতিতেই বউকে আমার পাশে লাগবেই লাগবে। ” পুলকও নাছোড়বান্দার মতো কথা বলছে।
পুলকের এহেন কথা শুনে আশফি লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখল।
” তুমি এমন ভাব করছ যেন দশ বছর আগে বিয়ে করেছ। মোটেই দুই রাত আগে থেকে ভাবীর সাথে এক রুমে থাকছ, আর তাতেই বউ ছাড়া ঘুমাতে পারোনা! এত ঢং কোথায় থেকে শিখেছ? ”
” চুপ কর, ফাজিল মেয়ে। বড় ভাইয়ের পার্সোনাল ব্যাপারে নাক গোলাচ্ছিস কেন? লাজ-লজ্জা কি সব হাটে রেখে এসেছিস? লাজলজ্জা একটু সাথে করে নিয়ে ঘুরলে কি হয়? সবাই যা রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পর। আর এক মিনিটও যদি এখানে থাকিস, তবে তোদের কান ছিঁড়ে মালা বানিয়ে ছাগলের গলায় পরিয়ে দেব। তিয়াসা, তুমি ওদের রুম দেখিয়ে দাও। আর শোন, এই দুই বাঁদরকে আমার রুমের কাছাকাছি শোয়ার ব্যবস্থা করো। নয়তো এরা রাতে বাহিরে ঘুরতে যাবে। ” পুলক নিলাশা আর পুষ্পিতাকে দেখিয়ে বলল। রত্না পারভীন এসে পড়ায় পুলক আর কিছু বললনা। কিন্তু ওর বলা শেষের কথাগুলো রত্না পারভীন শুনতে পেয়েছেন।
” আশফি, তুই জামাইকে নিয়ে তোর রুমে যা। আর তোর পাশের রুম তো রিফাতের, সেখানে তোমরা ঘুমাতে পারবে, মা? রুমটা যে কোন ছেলের সেটা কিন্তু বোঝার উপায় নেই। রিফাত যাবার পর আমিই সব সময় রুমটা পরিষ্কার রাখি। ছেলেটা অপরিচ্ছন্ন কাপড়, রুম দেখতেই পারতনা। ”
আম্মুর মুখে রিফাতের নাম শুনে তিয়াসার বুকের ভেতর তোলপাড় হতে থাকে। হঠাৎই ওর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। গোপন ব্যথা প্রকাশ করতে না পেরে ছটফট করতে থাকে মেয়েটা। চাইলেও এখন রুম থেকে বেরিয়ে যেতে পারছেনা।
” কোন অসুবিধা নেই বড়মা, ওরা ঐ রুমেই ঘুমাতে পারবে। আপনি পাঁচজনকে ঐ রুমে শোয়ার ব্যবস্থা করুন। বাকি কয়েকজন অন্য রুমে একসাথে ঘুমাক। তবে দেখবেন ওরাও যেন বের হওয়ার সুযোগ না পায়। এরা একেকটা বিরাট ফাজিল। ”
পুলকের মুখে ‘বড়মা’ ডাক শুনে রত্না পারভীন হাসলেন। ছেলেটা যে আন্তরিক এটা তিনি বুঝতে পারছেন।
***
” পুষ্পিতা, রুমটা কিন্তু মন্দ নয়। রাত জেগে এখানেই আমরা পাঁচজন আড্ডা দেব বুঝলি? ” নিলাশা রুমের বাহিরের দিকের জানালা খুলে দিয়ে বলল।
” এটা কার ছবি রে, পুষ্পিতা? ছেলেটা কি হ্যান্ডসাম দেখেছিস? ” পুষ্পিতার আরেক কাজিন অনু দেয়ালে ঝুলানো ছবি দেখে জিজ্ঞেস করল।
” এটাই রিফাত, ভাবীর বড় ভাইয়া। ” উত্তর দিল পুষ্পিতা।
” তাকে তো দেখছিনা? কোথায় সে? ” অনু আবারও জিজ্ঞেস করল।
” রিফাত ভাইয়া জব করছে। চিটাগং আছে এখন। ভাইয়ার বিয়ের দিনও এখানে ছিলনা। কিছুদিন পর আসবে। ”
” বেয়াই গ্রামে আমাকে খবর দিস। একটু লাইন মারব। ভিষণই হ্যান্ডু পোলা। পটানোর চেষ্টা করব একে। ” অনু রিফাতের ছবির দিকে তাকিয়ে আছে।
নিলাশাসহ বাকি কাজিনরা অনুর অবস্থা দেখে হেসে উঠল।
***
” বউ, তোমার রুমটা কিন্তু খুব সুন্দর। মন চাচ্ছে শ্বশুর বাড়িতে চিরদিনের জন্য থেকে যাই। ”
আশফি পুলকের কথার উত্তর দিলনা। চুপচাপ বিছানায় উঠে বসল।
আশফি বিছানায় বসার সাথে সাথেই পুলক ওকে জাপ্টে ধরে শুয়ে পরল। আশফি চাইলেও বাঁধা দিতে পারলনা।
ঠিক দশ মিনিট পর পুলকের ফোন বেজে উঠল। ফোন হাতে নিয়েই পুলক বাহিরে চলে যায়।
কয়েক মিনিট পরই আবার যখন ভেতরে আসল, তখন ওর হাতে একটা প্যাকেট দেখল আশফি।
” বউ, জলদি উঠে এস। বিরিয়ানি এখনও গরম আছে। ”
” আপনি এত রাতে বিরিয়ানি কোথায় পেলেন! এখন বিরিয়ানি দিয়ে কি হবে? ”
” রাতে পেট পুরে খেয়েছিলে? কথা না বলে উঠে এসে খেয়ে নাও। ”
পুলকের কথা শুনে আশফি স্তব্ধ হয়ে গেছে। ও আধাপেট খেয়েছে সেটাও সে লক্ষ্য করেছে! আশফি কথা না বাড়িয়ে বিছানা থেকে নামল। সত্যিই ওর ক্ষুধা পেয়েছে।
***
” আপনি আপনার রুমেই ঘুমান। আমি বাহিরে যাচ্ছি। সকালের আগেই আবার ফিরে আসব। ” তিয়াসার রুমে এসে বলল শাহেদ।
” আমাকে আপনি বলে ডাকবেননা। আর এত রাতে কোথায় যাবেন? এখানেই ঘুমান কষ্ট করে। আপনি বাহিরে গেছেন এটা যদি বাড়ির কেউ জানে, তবে বিষয়টা অন্যরকম হয়ে যাবে। ” তিয়াসা মৃদু গলায় বলল।
” যেখানে সম্পর্কটাই নাজুক সেখানে আপনি কিংবা তুমি ডাকে কোন ফারাক নেই। সম্পর্কটা দীর্ঘস্থায়ী হলে ‘ তুমি ‘ ডাক মধুর লাগত। ” শাহেদ মলিন হেসে বলল।
” দীর্ঘস্থায়ী হলে মানে? এ কথা বলছেন কেন? ” তিয়াসা শাহেদের কথা শুনে সত্যিই ভয় পাচ্ছে।
” সেটা সময় হলেই বুঝবেন। এক কাজ করুন, মেঝেতে কিছু একটা বিছিয়ে দিন, আমি নিচেই শোব। ” শাহেদ কোনমতেই তিয়াসার সাথে এক বিছানায় শুতে চাইছেনা।
” নাহ্ আপনি বিছানায় আসুন। আমি বরং নিচে শুচ্ছি। ”
” আমাকে জোর করবেননা। যেটা বলছি সেটা করুন। ” শাহেদ একটু কড়া গলায় বলল।
শাহেদের গলা শুনে তিয়াসা চমকে উঠল। ও কিছু না বলে মেঝেতে একটা মাদুর বিছিয়ে তার ওপর দুইটা কাঁথা আর একটা কম্বল বিছিয়ে দিল।
শাহেদ জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে আছে। তিয়াসা ঠোঁট কামড়ে ছেলেটাকে দেখছে। মানুষটার কথা, কাজকর্ম ওর বোধগম্য হচ্ছেনা। কি করতে চাইছে সে?
চলবে…