#দো_দিলে_জাহান
#পর্বঃ৯
#বর্ষা
২৯.
তোয়ার বিয়ে ফিক্সড।ওর পছন্দের পুরুষ কিনা আদৌ তা বোঝা যাচ্ছে না। মেহের বার কয়েক ওকে জিজ্ঞাসাও করেছে যে সত্যিই কি ও এই ছেলেকে পছন্দ করে নাকি জোরপূর্বক রাজি হয়েছে।তোয়া কোনো জবাব দেয়নি।এড়িয়ে গেছে বিষয়টা।জায়িন নিশ্চিন্তে ঘুরছিলো।বিয়ের বাড়ি বলে কথা।জায়িন জানে না কেন একসপ্তাহের মধ্যে বিয়ের ডেট ফিক্সড হলো!সে জানতেও চায় না।বিয়ে একদিন না একদিন তো হতেই হতো।একদিন আগে কি একদিন পরে এই যা।
-“জায়িন শোন”(তান্মি বেগম)
-“হুম বলো আম্মু”(জায়িন)
-“এইভাবে পুরো বাড়ি না ঘুরে বোনের কাছে যা।দেখ তো মেয়েটার মুখ এমন লটকে আছে কেন?ওর পছন্দের ছেলের সাথেই তো ওর বিয়ে দেওয়া হচ্ছে”(তান্মি বেগম)
-“আচ্ছা তুমি চিন্তা করো না।আমি দেখছি।”(জায়িন)
জায়িন তোয়ার ঘরের দিকে যেতে যেতে ভাবতে থাকে সত্যিই তো তোয়ার এতো মন ভার কেন!কোনো কারণবশত কি ও এই বিয়েটা করতে চাইছে না?আর করতে না চাওয়ারই বা মানে কি!মুহিব ভাই তো ওর পছন্দের পুরুষ।তার সাথেই তো ওর বিয়ে হচ্ছে।
তোয়ার ঘরে শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপছে মেহের।অনেক চেষ্টা করে যখন তোয়ার মুখ থেকে কিছু বের করতে পারেনি তখন বিরক্ত হয়ে ফোন চালানো শুরু করেছে।তবে মোবাইল চালানো তো দেখানো মাত্র।কি যেন ভাবছে সে!জায়িনের উপস্থিতিতে ওর ভাবনায় ব্যাঘাত ঘটে।
-“কিরে শয়তান মেয়েদের ঘরে যে নক করে আসতে হয় তুই জানিস না?”(মেহের)
-“হুম আমার বোনের ঘরে আসতেও আমার পার্মিশন লাগবো!তুই এখানে কি করস যা তোর ঘরে যা”(জায়িন)
-“বেয়াদব আমি তোর একমাসের বড় ভুলে যাইস না।বড় বোনের সাথে এ কেমন ব্যবহার তোর”(মেহের)
-“হ আপনি তো আমার বড় আপা লাগেন।তো আপা আপনার আমি কি সেবা করিতে পারি?”(জায়িন)
-“জায়িন ঝগড়া করিস না তোরা।ঝগড়া করলে বাইরে গিয়ে কর।আমার মাথা ব্যথা করতাছে”(তোয়া)
জায়িন-মেহের দু’জন দুজনার মুখের দিকে তাকায়। মেহের চোখ টিপ দেয়।জায়িন বিষয়টা বোঝে না।তবে মেহেরের কথা শুনে বুঝে যায় আসলে কিসের জন্য এই মেয়ে ওকে চোখ টিপ দিয়েছে।
-“জায়িন একটা জিনিস ভেবে দেখেছিস ঈদের আর আছে পাঁচদিন আর এর মাঝেই ওর বিয়ে।নিশ্চয় কাজ করার জন্য বুয়াকে টাকা দিতে পারবে না।তাই ঈদের পরদিন বিয়ে দিয়ে পারমানেন্ট বুয়া নিয়ে যাবে”(মেহের)
-“ঠিক বলেছিস।আমি তো ভেবেই দেখেনি বিষয়টা।তোয়া নামের কাজের বেটি খুঁজে পাওয়া কঠিন।ওর বিয়ের পর আমরা বলতে পারবো এই কাজের বেটি তোয়া এই দিকে আয় তো।হা হা হা”(জায়িন)
-“মুহিবরা মোটেও ওমন না।ওদের বাড়িতে কাজ করার জন্য অনেক মানুষ আছে। রান্নাবান্না ঘরের মানুষেরা করে শুধু।আর বাদ বাকি কাজ বুয়ারা করে দেয়”(তোয়া)
-“হুম জানি তো। আমাদের কথাই সত্য তাইতো তোর মুখ লটকে আছে। ইশ্ শশুরবাড়ি গিয়ে আমার বোন গরুর ভুরি পরিষ্কার করবে।কতো কিউটই না লাগবে”(মেহের)
-“আরে আমার তো ভয় লাগছে তাই মনমরা।আর তোরা কিসব কাজ নিয়ে পড়েছিস “(তোয়া)
জায়িন মেহের দু’জনেই বোঝে তোয়া ভয় পাচ্ছে।তবে কিসের ভয় সেটা জায়িন না বুঝলেও মেহের বুঝে যায়।এই বিয়েশাদী নিয়ে অনেকের অনেক স্বপ্ন থাকলেও কেউ কেউ আছে যারা এই বিয়ে ভয় পায়।মনে হয় আমি কি এই বিয়ের জন্য প্রস্তুত?আমি কি সংসার মন দিয়ে করতে পারবো?আমি কি আমার সব দায়িত্ব পালন করতে পারবো!এমন অসংখ্য ভয় অনেকের মনেই বিয়ের আগ দিয়ে জেঁকে বসে।এমন রোগকে গ্যামোফোবিয়া বলে।গ্রিক শব্দ গ্যামো অর্থ বিয়ে আর ফোবিয়া অর্থ ভয়।এই সম্বন্ধে একটা আর্টিকেল পড়েছিলো মেহের।তাই তার জ্ঞাত এই বিষয়টা।
-“তোয়া তুই তোর ভয়ের কথা মুহিব ভাইকে বলেছিস?”(মেহের)
-“বলেছি ও মনে করেছে আমি ফাজলামো করছি।আমি সত্যিই ওর সাথে থাকতে চাই।তবে আমার বড্ড ভয় করছে।আমি কি পারবো সব সামলাতে?”(তোয়া)
-“ঢং বন্ধ কর।কিসের ভয়!নাচবি,গাইবি বিয়ে করবি।বিন্দাস জামাই নিয়ে সংসার করবি।”(জায়িন)
-“জায়িন তুই যা তো।ও এমনিতেই ভীত। তুই বাইরে গিয়ে গ্যামোফোবিয়া নিয়ে রিসার্চ করে পরে আসবি।যা এখান থেকে”(মেহের)
একপ্রকার ধাক্কিয়ে রুম থেকে বের করে দিয়েছে জায়িনকে।বেচারা জায়িন এতো রিসার্চ করতে পারবে না।বিধায় নিচতলার পথে হাঁটতে থাকে।নিচতলায় গিয়ে টিভি দেখলেও শান্তি। ড্রয়িংরুমে বড়রা বসে কি নিয়ে আলোচনা করছে।দেখেও অদেখা করে টিভি জুরে বসে পড়ে ও।তান্মি বেগম চা দিতে ড্রয়িংরুমে এসেছিলেন।ছেলেকে নিচে দেখে রাগান্বিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করেন,
-“জায়িন তোকে না তোয়ার কাছে যেতে বলেছিলাম এখানে কি করছিস?”
-“তোয়ার কাছে মেহের আছে।ওই তো আমার রুম থেকে বের করে দিলো।কি গ্যামা নাকি গ্যায়া কি সব নিয়ে খোঁজাখুঁজি করতে বলেছে।আমি পারবো না বাবা। তাই টিভি দেখছি”(জায়িন)
-“ভাগ্যিস বাড়িতে আরো একটা মেয়ে ছিলো।নয়তো তোর মতো ফাজিল ভাই থাকলে তোয়া তো কারো সাথে কিছু শেয়ার করতেই পারতো না”(তান্মি বেগম)
-“হুম মেহেরের সাথে শেয়ার করে উল্টে ফেলে!”(জায়িন)
মুখ ভেংচি দিয়ে আবারো টিভি দেখায় মনোযোগ দেয় জায়িন।হাতের ট্রে দিয়ে আলতো আঘাত করেন তান্মি বেগম।জায়িন ব্যথা না পেয়েও বাচ্চাদের মতো ব্যথা পাওয়ার ঢং করতে থাকে।আর বলতে থাকে,
-“আমাকেও বিয়ে দিয়ে অন্যের বাড়ি পাঠিয়ে দেও।তোয়াকে পাঠিয়ে দিবা তাই যত্ন আত্মি করতাছে।আমাকে পাঠিয়ে দেও এতে আমিও একটু যত্ন আত্মি পাবো”
(বিঃদ্রঃ আমাদের এই সময়ে এমন অনেক যুবক-যুবতী/তরুণ-তরুণী আছে যারা পরিবারের মাঝে থাকলে আল্লাদীপনা করে।তবে বাইরের দুনিয়ায় কঠোর ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়।তাই এই নিয়ে অন্ততপক্ষে কেউ মন্তব্য করবেন না আশা করছি)
মেহের তোয়াকে আয়নার সামনে দাঁড়া করিয়েছে। কাঁধে ফেলে রাখা ওরনাটা ওর মাথায় দিয়ে বলে উঠেছে,
-“দেখ তোয়া বিয়ে একদিন না একদিন সবাই করে। তবে বিয়েতে মত থাকাটা জরুরি।এই ভয়ের পরেও তোর কি মত আছে?”
-“ভয় যদিও হচ্ছে তবে আমি তো এইদিনেরই অপেক্ষায় ছিলাম।মুহিব ভাইকে ভেতরে ভেতরে খুব করে যাইতাম। গত পরশু যখন উনি নিজ থেকে আসলেন তখন আমিও নিজের মনের ভাবনা তাকে জানিয়ে দিয়েছি।তাইতো এগোলো বিষয়টা “(তোয়া)
-“তোর ভয়টা অস্বাভাবিক কিছু না। তুই ভয় পাচ্ছিস দায়িত্ব পালনের কথা ভেবে। তুই ভয় পাচ্ছিস সংসার ধর্ম পালন করতে পারবি কিনা এই ভেবে! তুই মানিয়ে নেওয়ার ভয়ে ভীতস্থ।তাই না?”(মেহের)
-“হুম।”(তোয়া)
-“আমার আম্মু,তোর আম্মুকে দেখেছিস?তারা সবসময় সময় নির্ভয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে। তারা তো ভয় পাচ্ছে না।পারছে তো।দেখবি তুইও পারবি”(মেহের)
-“এটাই তো ভয়।আম্মু,চাচি কত সুন্দর দায়িত্ব পালন করছে।আমি রান্না জানলেও কি ওদের সাথে মানিয়ে চলতে পারব?সবাইকে কি গুছিয়ে রাখতে পারবো?”(তোয়া)
-“পাগল মেয়ে।তোর কেন গুছিয়ে রাখতে হবে সবাইকে? তুই রাঁধতে জানিস,ঘর এবং নিজেকে গোছাতে জানিস,যৌথ ফ্যামিলি থেকেছিস,সবার সাথে মানিয়ে নিতে পারিস।তাহলে ভয় কিসের? তুই পারবি”(মেহের)
-“যদি না পারি?আম্মুর তো কথা শুনতে হবে!যদি ওরা আম্মুকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কিছু বলে”(তোয়া)
-“মুহিব ভাইয়ের পরিবার কেমন তুই জানিস না? আমাদের প্রতিবেশি ওরা।সাদিয়া ভাবিকে দেখিসনি তুই?তাহলে কেন এতো চিন্তা! তুই পারবি। তুই নিজেকে বোঝাতে পারলেই তুই পারবি।বুঝেছিস?”(মেহের)
-“হুম”(তোয়া)
-“কি বুঝলি?”(মেহের)
-“আমি পারবো।আমার বিশ্বাস আমাকে সাহায্য করবে।ভালোবেসেছি যখন তখন ভয় পাবো কেন!”(তোয়া)
-“গুড।এখন আমার মাথা টিপে দে।তোকে বোঝাতে বোঝাতে মাথা ব্যথা করছে”(মেহের)
মেহের-তোয়া দু’জনেই হেসে দেয়।তোয়া বোনের মাথা আলতো ভাবে টিপে দেয়। খুনসুটিতে ঘেরা এই সম্পর্কটা কখনো বোঝাতে,কখনো সাহায্য করতে,কখনো বা একে অপরের সিক্রেট গোপনে পাশে থাকে।এই সম্পর্কের মিষ্টতা ভালোবাসতে শেখায়।তবে কিছু কিছু তিক্ত সম্পর্ক ভাই-বোনের ভালোবাসায় দাগ লাগায়।
৩০.
বাবা সাফিন রেদওয়ানের সাথে কথোপকথন শেষে ফোন রেখেছে মাত্র তীব্র।বাইরে ঝুম বৃষ্টি। বারান্দা দিয়ে বৃষ্টির পানি ঝাপটা দিয়ে ঘরে আসছে। বৃষ্টিতে ভেজার ইচ্ছে থাকলেও সেই ইচ্ছেটা দমন করে সে।প্রতিটা বৃষ্টির ফোঁটা তার হৃদয়ে বারংবার প্রিয় মানুষটা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে।এই বৃষ্টিরা যেন তাকে বলছে,
“তীব্র ওকে নিয়ে আয়।কেন এই দূরত্ব?কবে আসবে সে তোর সাথে আমাদের স্পর্শে”
তীব্রের কাছে জবাব নেই।সে দিতে পারবে না।সে পারবে না তার প্রিয়তমাকে তার সাথে জুড়তে।সে যেই কাজের সাথে যুক্ত এই কাজে যে বড্ড বিপদ।কখন কিভাবে যে কি হয়ে যাবে সে নিজেও তো জানে না তা!তাছাড়া এখন তো পুলিশেরাও লেগেছে টাইকুন সাম্রাজ্যের খোঁজে। ধ্বংস হওয়া মুহূর্তের কথা,তবে গড়ে তোলা বিশাল সময়ের গাঁথা!
ফোনের কর্কষ শব্দে নিজের ভাবনা ত্যাগ করতে বাধ্য হয় সে।ফোনে জলজল করছে “তিতুমীর” নামটা।হয়তো ওরই কোনো গুপ্তচর। গুরুত্বপূর্ণ খবর জানাতেই এই অসময়ে ফোন দেওয়া।ফোন রিসিভের ইচ্ছে না থাকলেও সংবাদ জানতে কল রিসিভ করে সে।
-“স্যার একটা মেয়ে আপনার খোঁজ করছে!আপনার নাম ভাঙিয়ে খবর বের করার চেষ্টাও করেছে গুটি কয়েক জায়গায়।তবে আপনার খবর বাইরে ছড়াতে আমি নিষেধ করেছি।”(তিতুমীর)
-“গুড,তবে ওই মেয়ের অল ডিটেলস আমার চাই।”(তীব্র)
-“স্যার আমরা কন্ঠস্বর শুনে বুঝতে পেরেছি ওইটা মেয়ে।তবে ওই মেয়ের একাংশও আমরা দেখতে পারেনি।পুরো কালো পোশাকে আবৃত ছিলো সে”(তিতুমীর)
-“খোঁজ লাগাও।কিছু না কিছু তো বের হবেই “(তীব্র)
-“জি স্যার “(তিতুমীর)
কল কেটে তীব্র ভাবতে থাকে কে হতে পারে সেই মেয়ে/নারী বা যাই বলা হোক না কেন!কি দরকার তার তীব্রের!আর কিভাবেই বা সেই নারী জানলো ও এখানে আছে!এতো এতো কেন তবে উত্তর সংখ্যা শূন্য।যাইহোক এখন অন্য নারী নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে কি লাভ!এই মেয়ের তো সামনে আসতেই হবে।আর তা খুব শীঘ্রই।তাই এখন একে নিয়ে না ভেবে তীব্র ভাববে তার প্রিয়তমাকে নিয়ে।কল্পনায় আঁকা সুন্দর সংসারটায় আরো কিছু জুড়ে দেবে।
৩১.
গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানো রিনির দিনকাল আজ কেমন জানি ফ্যাকাসে কাটছে।আজ পরীক্ষা শেষ হলো। কোচিং,প্রাইভেট সব কিছু আজ বন্ধও দিয়ে দিবে হয়তো!এই বন্ধে সে কি করবে ভেবে পায়না।বন্ধ শব্দটা চাইলেও এর সাথে ওর খুব বেশি একটা সখ্যতা নেই।যদিও বা তিন বান্ধবীর কাছাকাছি থাকা।তবে বাকি দু’জন যাবে গ্রামের বাড়ি।বেচারি দাদা-দাদি না থাকায় সে মুখী হতে পারবে না।আর নানা-নানি তারা থেকেও তো নেই।মায়ের এডোপ্টেড বাবা-মা তারাই থাকে ছেলের বাড়ি।সেখানে কি আর বোঝা হইতে মন চায়!
-“রিনি আম্মু যা তো নিচ থেকে চিনি নিয়ে আয়।আমের আচার বানাচ্ছি। তবে চিনি কম পড়বে মনে হচ্ছে।”(রায়সা আরা)
-“যাচ্ছি আম্মু”(রিনি)
রায়সা আরা অবাক হোন।তার অকর্মার ঢেঁকি মেয়েটা এতো সহজে রাজি হয়ে গেলো!সন্দেহ ডানা বাঁধলো তার মনে।তবে কিছুই বললো না।মেয়ের হাতে টাকা গুঁজে বেড়িয়ে গেলো।রিনি বিষয়টা বুঝতে পেরে বিশ্বাস এক শ্বাস নিলো।মনে মনে বলে উঠলো,
-“কিছুতে রাজি হওয়াও বড্ড ঝামেলার।কেউ বিশ্বাসই করতে চায়না।সন্দেহ করে।”
নিচতলায় নামতে পাশের দোকানে সে দেখতে পায় জায়িনকে।এই ছেলেকে দেখলেই ওর কেমন জানি ঝগড়া ঝগড়া ফিল আসে।মন চায় চুটিয়ে ঝগড়া করতে।তবে মা যদি জানে যে তার মেয়ে বাইরে ঝগড়া করছে তাও আবার তালুকদার বাড়ির ছেলের সাথে তাহলে নুলা বানাতে সময় নেবে না।
-“মামা এক কেজি চিনি দেন তো”
রিনির কন্ঠস্বর শুনে চা খাওয়ার ফাঁকেই জায়িন একবার দেখে নেয় তাকে।মেয়েটা দুই ঝুঁটি করেছে। একদম বাচ্চা বাচ্চা লাগছে। অবশ্য ষোলো বছরের কিশোরীকে তো বাচ্চাই বলা যায়।তবে বাচ্চা হলেও এই নারী বেশ বুদ্ধিমতী আছে।কত ঝামেলার নেতৃত্ব দিয়ে নিজেকে নির্দোষ সাজিয়ে বিন্দাস ঘুরে ফিরেছে।
চলবে কি?
বিঃদ্রঃ আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া-আপুরা। ভুল-ত্রুটিগুলো মার্জনার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। আপনাদের গঠনমূলক মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।হ্যাপি রিডিং