প্রেমসুধা #সাইয়্যারা_খান #পর্বঃ৭

0
192

#প্রেমসুধা
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ৭

হনহনিয়ে দ্রুততার সাথে কদম ফেলে তালুকদার ভিলাতে ঢুকলো তৌসিফ। গাড়ি থেকে নেমেই যতদ্রুত সম্ভব হাটা ধরলো ও। সিড়ি বেয়ে উঠতেই যেন ঘাম ছুটে গেলো। কলিং বেল বাজতেই একজন কাজের লোক দরজা খুলে দিলো। তৌসিফ ত্রস্ত পায়ে সোজা রুমে হাটা দিলো। পেছন থেকে কাজের লোকটা পানি দিবে কি না জিজ্ঞেস করলেও উত্তর এলো না৷ তৌসিফ সোজা রুমে ঢুকে দরজা লক করে সম্মুখে তাকালো। বড় বড় নিঃশ্বাস পরছে তখনও। বিছানায় উল্টো হয়ে শুয়ে আছে পৌষ। তৌসিফে’র চোখ ধাধালো৷ মেয়েটাকে ভিন্ন দেখাচ্ছে। হাত ঘড়িটা খুলে কাউচে ছুঁড়ে ফেললো তৌসিফ। টাইটা কোনমতে টেনে খুলে শার্টের বোতাম তিনটা খুলে বা হাতে এসিটা অন করলো। অতঃপর দাঁড়ালো পৌষ’র সামনাসামনি। এই মেয়ে আজ দুপুরে খায় নি। তৌসিফ যে ওকে কল দিয়ে বললো খেতে, মিনু’কে দিয়ে বললো যাতে পৌষ’কে বলে তৌসিফ ব্যাস্ত একটু খেয়ে নিতে কই এই মেয়েতো কথা শুনলো না। রাতে খাবে না, দিনে খাবে না এরপর ত্যাড়াব্যাকা হয়ে পরে থাকবে এসব চলবে না তৌসিফে’র কাছে। একদম তারকাটার মতো সোজা বানিয়ে রাখবে তৌসিফ। গম্ভীর কণ্ঠে ডাক পরলো,

— পৌষরাত?

পৌষ এক ডাকে উত্তর দেয়ার মেয়ে না অন্তত বিয়ের উনিশ ঘন্টায় তা তৌসিফ জেনে গিয়েছে। মেজাজ মুহুর্তে ই খিটমিট হয়ে গেলো যেন। নিজের বলিষ্ঠ হাতে পৌষ’র বাহু টেনে ধরে হঠাৎ সজোরে টান দিতেই শোয়া পৌষ দাঁড়িয়ে গেলো। মুহুর্তের মাঝে ঘটা ঘটনাটায় স্তব্ধ পৌষ। বুকটা অসম্ভব গতিতে ধুকপুক ধুকপুক করে যাচ্ছে। তৌসিফ পৌষ’র বাহু ধরে একদম নিজের কাছাকাছি নিয়ে এলো। ওর অর্ধ ভেজা ঘামাক্ত দেহটা লেগে আছে পৌষ’র সাথে। এতটা কাছাকাছি এই প্রথম কোন পুরুষের সাথে লেগে দাঁড়িয়ে আছে পৌষ। পুরুষনালী ঘামের গন্ধটা বাজে ঠেকলো নাকে। সরার জন্য মোচরাতে নিতে নিলেই তৌসিফ আরো চেপে ধরলো। পৌষ ক্রমে ক্রমে শক্তি হারাচ্ছে। এতটা কাছে তৌসিফ আসাতে যেন হুশ হারাবে মেয়েটা। তবুও নিজের তেজস্ক্রিয় রুপ বজায় রাখতে রাগী গলায় বললো,

— ছাড়ুন আমাকে। অসভ্য লোক। নোংরা পুরুষ। কেন ধরেছেন আমাকে? ছাড়ুন বলছি! আপনার নোংরা হাতে স্পর্শ করবেন না আমাকে৷

দুই হাত মেলে এবার একদম পৌষ’কে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরলো তৌসিফ। অতি সত্তর দুটি দেহ যেন একের ভাজে এক সজ্জিত হলো। লম্বা, চওড়া, বলিষ্ঠ দেহের মাঝে লুকিয়ে গেলো পৌষরাত। এই বার পৌষ নড়তে পারলো না৷ নড়ার সুযোগটুকু মিললো না৷ শুধু মুখে মৃদু গোঙ্গানি শুনা গেলো যা মিলিয়ে গেলো এই উষ্ণ আলিঙ্গনে।

মিনিট দুই যেতেই তৌসিফের বাঁধন ঢিল ছাড়লো। তবে পুরোপুরি ছাড়লো না সে। পৌষ’র কানের কাছে ঠোঁট নিয়ে ফিসফিস করে বললো,

— অসভ্য হই। নোংরা হই। তোমার ই পৌষরাত। মানিয়ে নাও নাহয় আমি নিজেকে তোমার অভ্যাসে পরিণত করে নিব। এক বিরল অভ্যাস।

— আপনি কোনদিন আমার অভ্যাস হবেন না। আপনি হবেন বদঅভ্যাস।

তৌসিফ মৃদু হাসলো। গা জ্বললো তাতে পৌষ’র। এবার একদম পৌষ’র কানে ঠোঁট ছুঁইছুঁই করে বললো,

— বদঅভ্যেস ত্যাগ করা যায় না পৌষরাত। আমি রাজি তোমার বদঅভ্যেস হতে।

কথাটা বলেই ওকে ছেড়ে দাঁড়ায় তৌসিফ। পৌষ প্রায় পরে যাওয়ার মতো বিছানায় বসে পরলো। তৌসিফ শার্ট পুরোটা খুলতে খুলতে বললো,

— জড়িয়ে ধরাতেই এই অবস্থা তোমার? সকালে যেই সাহস দেখালে আমি তো ভাবলাম রাতে দু’জন…

দরজায় নক পরতেই তৌসিফ গম্ভীর কণ্ঠে বললো,

— কি চাই?

— ভাইজান, বড় আপা ডেকেছিলো আপনাকে। বড় ভাইজানের বাসায় আছে এখন।

— শুনেছি।

কাজের লোকটা চলে যেতেই তৌসিফ এবার ফ্রেশ হতে চলে গেল। পৌষ বুকে হাত দিয়ে বসে রইলো।এতটুকু কাছে আসাই তো ওর সহ্য হচ্ছে না সেখানে কিভাবে থাকবে পৌষ তৌসিফের সাথে?

বিশ মিনিটের মাথায় তৌসিফ বেরিয়ে এলো। এবার ভদ্র মতো এক টিশার্ট পরে এসেছে। হাফ ছাড়লো পৌষ। তৌসিফ ভেজা চুল মুছতে মুছতে বললো,

— এত করে বলার পরও খাও নি কেন?

তৌসিফ দম ছাড়লো। অতঃপর পৌষ’র সামনে দাঁড়িয়ে এর থুতনিতে আঙুল ছুঁয়ে তা উঁচু করে বললো,

— এই তৌসিফ তালুকদার বারবার সুযোগ দিচ্ছে তোমাকে পৌষরাত। এক কথা একবার জিজ্ঞেস করতেই উত্তর দিবে। বারবার জিজ্ঞেস করতে হবে কেন? এরপর থেকে থেকে যেন মনে থাকে। আমাকে রাগীও না৷ আমি রাগ দেখাতে চাই না তোমাকে পৌষরাত। প্রচুর জঘন্য আমার রাগ। তুমি সহ্য করতে পারবে না। একদম ই না।

পৌষ’র মনে পরলো মিনু’র কথা। মাথাটা নামিয়ে বললো,

— ক্ষুধা লাগে নি।

— মিথ্যা বলে না পৌষরাত। চলো খাবে।

বলে পৌষ’র হাত ধরে উঠালো। টেবিলে নিজে চেয়ার টেনে বসিয়ে দিয়ে ভাতটা পর্যন্ত বেড়ে দিতে দিতে বললো,

— সবটুকু শেষ করবে।

পৌষ’র প্লেট পুরোটা সাজিয়ে দিয়ে তৌসিফ নিজের খাবার নিলো। খেতে খেতে ফোনে কারো সাথে কথা বলছে। পৌষ আর মাথা তুলে নি। লোকটা খেতে বসে কথা বলছে। এক হাতে এখনও ভাত মাখা। না খেতে পারছে না উঠতে। কোনমতে শুধু মুরগী দিয়ে খেয়েই উঠে গেলো পৌষ। তৌসিফ যে চোখ ঘুরালো ওকে তা দেখেও না দেখার মতো করে সেখান থেকে কেটে পড়েছে ও। ফোনে কথা বলার দরুন পৌষ’কে কিছু বলার সুযোগটুকু ও পেলো না। এই মেয়ে যে সুযোগের সৎ ব্যবহার করবে তা তৌসিফ পূর্বে বুঝে নি৷ কথা শেষ করে নিজেও খেয়ে উঠে পরলো।
সামনের দিকে পা বাড়াবে এমন সময় হঠাৎ প্লেট গোছাতে গোছাতে কাজের লোকটা বলে উঠলো,

— ভাইজান, মিনু দরজা আটকে বসে আছে।

— কেন?

— ছোট ভাবীর রুমে গিয়েছিলো এরপর কি হলো জানি না৷

চেহারার আতঙ্ক নিয়ে কথাটা বললো মহিলা। তৌসিফ কপাল কুঁচকালো। জিজ্ঞেস করলো,

— ডাকো নি?

— ডেকেছিলাম। দরজা খোলে না।

— দুপুরে খায় নি?

— জ্বি না।

তৌসিফ মিনু’র দরজায় টোকা দিয়ে ডাকলো,

— মিনু দরজা খুলো।

তৌসিফের এই আদেশ অমান্য করার সাহস মিনু’র নেই। দরজা মুহুর্তে খুলে গেলো। শ্যামলা মুখটা কেঁদে কেঁদে নীল হয়ে গিয়েছে যেন। তৌসিফ’কে দেখা মাত্র লাই বেড়ে গেলো ওর কয়েক গুণ। নাকের পানি, চোখের পানি এক করে ফুঁপাতে লাগলো। তৌসিফ দরজাটা অল্প ভিরিয়ে দিয়ে বললো,

— কি হয়েছে? কেন কাঁদছো?

— আমাকে অপমান করেছে। খারাপ ব্যবহার করছে। কাটখোট্টা কথা শুনিয়েছে। আমি এখানে থাকব না। আপা’কে বলুন আমাকে নিয়ে যেতে।

বলেই আবারও অঝোর ধারায় কাঁদতে লাগলো মিনু৷ তৌসিফ ফোঁস করে দম ছেড়ে বললো,

— কেঁদো না মিনু। তোমার আপা চলে আসবে শিঘ্রই। আর পৌষরাত ভালো মেয়ে। তোমাকে আদর করবে। হয়তো এখন কিছুটা ডিসটার্ব তাই রেগে কথা বলেছে।

— আমাকে আপনার রুম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।

— আচ্ছা। দুপুরে খাও নি তাই না? যাও খেয়ে নাও। ঠিক হয়ে যাবে সব।

আর কথা বাড়ালো না তৌসিফ। যেই না রুম থেকে ভেরানো দরজা খুলে বের হবে ওমনিই দেখলো পৌষ ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মুহুর্তে কিঞ্চিত ভরকালো তৌসিফ। পৌষ কখন থেকে এখানে দাঁড়ানো বুঝলো না তবে এটা ঠিকই বুঝলো মিনু’র রুম থেকে ওর বের হওয়া মোটেও সহজ বা সাধারণ চোখে পৌষ দেখেনি। তৌসিফ কিছু বলার চেষ্টা করবে তার আগেই গটগট পায়ে রুমে চললো পৌষ। তৌসিফ ও রুমে ঢুকলো। পৌষ’র পিছনে গিয়ে দাঁড়ানো মাত্র ই ঝাঁঝালো গলায় পৌষ বলে উঠলো,

— দূর থেকে কথা বলুন।

তৌসিফ চোখ বুজে শ্বাস নিলো। অতি থমথমে গলায় বললো,

— দেখো পৌষরাত, আগে যা করেছো ভুলে যাও। অনেক কিছু বলেছো আমি বারবার বলছি আমাকে রাগী ও না৷

— থাকব না এখানে আমি।

— গলা নামিয়ে কথা বলো পৌষরাত।

— কেন গলা নামিয়ে কথা বলব? আপনি জেনে শুনে কেন আমাকে বিয়ে করলেন? একজনকে ভালোবাসি জেনেও কেন আমাকে বিয়ে করলেন? কাজের মেয়ের ঘরে দরজা গিয়ে ফিসফিসানি করবেন আবার রুমে ঢুকে আমাকে বলবেন গলা উঁচু করে কথা না বলতে? জঘন্য পুরুষ!

তৌসিফ বরাবরই নিজেকে ঠান্ডা রাখতে জানে। সে জানে তার রাগ কতটা জঘন্য। পৌষ’র বাহু চেপে ধরে ওকে একদম নিজের কাছে টেনে নিলো। একহাতে ঘাড়টা আলতো চেপে ধরে বললো,

— ঐ ছেলেকে ভুলে যাও।

— লজ্জা লাগে না এটা বলতে?

— লজ্জা তোমার হওয়া উচিত। নিজের স্বামীর সামনে দাঁড়িয়ে প্রেমিকের কথা বলছো।

— কি চান আপনি?

— তোমাকে।

পৌষ তৌসিফের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো। গায়ে থাকা ওরনাটা টেনে সরিয়ে দিয়ে বললো,

— নিন।

তৌসিফ বুঝলো পৌষ কথার ডাবল মিনিং বের করেছে। কিছু বলার আগেই পৌষ বললো,

— যেখানে নিজের পরিবার ই আমার মতামতের অপেক্ষা করলো না সেখানে আপনার মতো পুরুষের থেকে আমার কোন এক্সপেকটেশান নেই। যা খুশি করুন৷

— এনিথিং?

— করার মতো আছেই এটা। আর তো কিছু নেই। এটার জন্য ই তো বিয়ে করেছেন।

— কাছাকাছি আসা ছাড়া বিয়ের আর কোন কারণ হয় না?

— আপনার জন্য অন্তত না।

— তুমি নিজেই একদিন ধরা দিবে পৌষরাত।

— আপনার স্বপ্নে নোংরা লোক।

তৌসিফ ধীর পায়ে এগিয়ে এলো। হাত পা খিঁচে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো পৌষ। দুই দাঁতের পাটি একটার সাথে আরেকটা পিষে ধরেছে ও। তৌসিফ এবার একদম কাছে দাঁড়ালো৷ হাত রাখলো পৌষ’র দুই গালে৷ অতি দক্ষ ভঙ্গিতে সে হাত বুলালো পৌষ’র সারা মুখময়। চোখ থেকে নিয়ে থুতনি পর্যন্ত বিস্তর হাতের ছোঁয়া দিলো। পুরুষের খসখসে হাতের এহেন রুপ স্পর্শ যে হয় তা জানা ছিলো না পৌষ’র। তৌসিফের এই দক্ষ হাতের আদুরে স্পর্শ গুলো ক্রমে ক্রমে গ্রাস করে যাচ্ছে পৌষ’কে। অথচ পৌষ’কে সে কাতর স্পর্শ দেয় নি। শুধু মাত্র মুখময় হাতের স্পর্শ তাতেই মেয়েটা নেতিয়ে যাচ্ছে। পৌষ’র দাঁতের পাটি দুটো আলগা হয়ে গেলো। শক্ত করে দাঁড়িয়ে থাকা শরীরটা মুহূর্তে নেতিয়ে এলো৷ মুঠ করা হাতটা ছুটে গেলো। তৌসিফ সর্বশেষ শুধু পৌষ’র দিকে মুখটা এগিয়ে নিয়ে আসছে। বদ্ধ চোখদ্বয় সবেই খুলছিলো পৌষ, তার দেহ টলছে। তখনই দেখা মিললো তৌসিফ এগিয়ে আসছে। পৌষ খিঁচে চোখ বুজে নিলো। উষ্ণ আর্দ্র ওষ্ঠাধরের এক ছোট স্পর্শ পেলো থুতনিতে। ক্ষুদ্র থেকে ও ক্ষুদ্র ছিলো এই স্পর্শ তবে পা*গল হয়ে গেল পৌষ। সে পা*গল হলো নাকি তাকে বানানো হলো? তৌসিফের মতো পুরুষ জানে কিভাবে নারী’কে ঘায়েল করা যায়। ওষ্ঠ চুম্বনের থেকেও অতি আবেশপূর্ণ ছিলো এই থুতনি চুম্বন। তৌসিফ সরে যেতে নিলেই অনুভূতির জোয়ারে ভাসা পৌষ তার মাথার পিছনের চুল আঁকড়ে ধরলো। উচ্চতায় ছোট হওয়ার দরুন ঝুঁকে গেলো তৌসিফ। দিকবিদিকশুন্য প্রায় পৌষ আচমকাই তৌসিফের ওষ্ঠে নিজের ঢাল, তরোয়াল ছাড়া আক্রমণ চালিয়ে দিলো। হৃষ্টপুষ্ট এক যৌবনপোড়া পুরুষের জন্য এটাই যথেষ্ট ছিলো। তবুও সে সময় দিলো পৌষ’কে। পৌষ পারলো না কিছুই। তৌসিফ পাক্কা আঙুলে কড় গুণে এক মিনিট সময় দিলো। এই পৌষরাত পারছে না। তাই সে নিজেই পৌষ’র কোমড় জড়িয়ে ধরে উঁচু করে নিজ বরাবর করে নিলো অতঃপর শেখালো পৌষ’কে চুম্বন করার পদ্ধতি। দমবন্ধকর অবস্থায় বেকায়দায় পরলো পৌষ। চাপ দাঁড়ি যুক্ত তৌসিফের গালে হাত রেখে সরাতে চাইলো নিজের কাছ থেকে। সক্ষম সে হলো না৷ হওয়ার কথা ও তো না। পাক্কা দুই মিনিট তৌসিফ যখন ছাড়লো তার বুকেই হেলে পরলো পৌষ। তৌসিফ ফিসফিস করে বললো,

— হাও ওয়াজ দ্যা কিস হানি?

হাঁপিয়ে উঠা পৌষ চাইলো হাপুশ নয়নে। তার শ্বাস প্রশ্বাস গতি পায় নি এখনও। কোনমতে সরে এলো তৌসিফের বুক থেকে। হাঁপাতে হাঁপাতেই বললো,

— জঘন্য।

— সিরিয়াসলি?

— সিগারেটের গন্ধ আপনার মুখে। জঘন্য, নোংরা লোক। সামনে আসবেন না আমার।

বলেই এক দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলো পৌষ। এটা কি হলো? কেন হলো? কে করলো? পৌষ! হায় কপাল! এই সোনামুখো মুখটা তামা তামা কে করলো? এই তৌসিফ তালুকদার? না না তৌসিফ করে নি। পৌষ নিজে করেছে। এই মুখ কোথায় লুকাবে পৌষ? কাকে দেখাবে?
এই পর্যন্ত তিনবার ব্রাশ করে ও কুল হলো না ওর৷ ভুলতে পারলো না ফেলে আসা মাত্র সেই তিন মিনিট সময়। তৌসিফের সেই ছোঁয়াতে কি যে হলো ওর সব ভুলে গিয়ে কি থেকে কি করে ফেললো পৌষ? দুই হাতে মুখ চেপে ডুকরে উঠলো মেয়েটা। বারবার বলতে লাগলো,

— তোমার পুষি খারাপ। সে অনেক খারাপ। তুমি তাকে ভুলে যাও। কোনদিন আমার সামনে এসো না। তোমার পুষি এই মুখ কোনদিন দেখাতে পারবে না তোমাকে। কোনদিন ও না৷ ফিরে এসো না। এই মুখো হয়ো না কোনদিন। তোমার পুষি আজ স্বেচ্ছায় নরকবাসও করে ফেলেছে। তার প্রেমের সুধা পান করেছে তৌসিফ তালুকদার। আমাকে কোনদিন ও মাফ করো না তুমি। কোনদিন ও না৷

#চলবে…..

আপনাদের প্রিয় জুটি “রোদ আদ্রিয়ান” নিয়ে লিখা ই-বুক “চিনি” পড়েছেন তো??
লিংক কমেন্টে দেয়া আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here