মনশহরে_তোমার_নিমন্ত্রণ #৬ষ্ঠ_পর্ব

0
146

#মনশহরে_তোমার_নিমন্ত্রণ
#৬ষ্ঠ_পর্ব

সকাল সকাল হবু শ্বশুরবাড়ি উপস্থিত হলো ঐন্দ্রিলা। হাতে হটপট। অভ্রের জন্য বিশেষ নাস্তা বানিয়ে এনেছে সে। কিন্ত এসে জানতে পারলো অভ্র অসুস্থ। ভীম জ্বর, সেই সাথে পেট খারাপ। বাকুয়ী ভবনে এসেই এই মহাসংবাদ তার কানে এলো। সংবাদদাতা বাকুয়ী ভবনের পনেরো বছরের কাজের মহিলা ছবিরন। প্রকান্ড দরজার ওপারে ঐন্দ্রিলাকে দেখেই সে তার কানে তালা লাগানো স্বরে চিৎকার দিয়ে উঠলেন,
“আফাআআআআ, বউমা আইছে। কি মনের মিল, সোয়ামীরশ শলীল খারাপের কতা হুইন্যা আইয়া পড়ছো?”

ছবিরনের চিৎকার শুনেই কানন এলেন। ঐন্দ্রিলার আগমনে যেনো গদগদ হয়ে গেলেন। জড়িয়ে ধরলো প্রথমে, তারপর চুমুটুমু খেয়ে বললেন,
“ভালো করছো মা, তুমি আসছো”
“আসলে মা পাঠিয়েছে। ফিরনি বানিয়েছেন। সেটাই দিয়ে পাঠালেন। অভ্রের কি হয়েছে আন্টি?”

এর মধ্যেই ছবিরন বলে উঠলো,
“আন্টি কও ক্যা? আম্মাজান ক”
“আহ! ছবিরন। ওর কথা ছাড় ঐন্দ্রিলা। অভ্রটা খুব অসুস্থ। তোমাদের বাসা থেকে আসার পর থেকে কি জ্বর, সেই সাথে পেটে ব্যাথা। পেট খারাপ। ছেলে তো আমার উলটাপালটা জিনিস খাবার মানুষ নয়”
“নজর লাগছে আফা, আমি তো কইতেছি একটু ঝাড়ফুক করান। আমি শেওর, পরির নজর লাগছে। আমগোর গেরামের কাইল্ল্যা কামরুইল্লার এরাম অসুখ হইছিলো। পরে জানা গেছে মাইয়্যা জিনের খপ্পরে পড়ছিলো। ওরে আফা আফনে যদি জানতেন, পরপর চাইরবার বিয়া ভাইঙ্গা দিছে ঐ জিন। আমার মনে হয় অভ্র বাবারেও জিন ধরছে। বিয়া না সামনে! আর আমাদের পোলা কি হুন্দর!”
“ছবিরন, থামো তো”

কাননের বারণের পরও ছবিরন থামলো না। তার বেশি কথা বলার বাতিক আছে। এদিকে ঐন্দ্রিলার মন বসে গেলো। অমানুষের মত মরিচের চা খেয়েছে শরীর তো খারাপ করবেই। একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গেলো কি? কানন ঐন্দ্রিলাকে অভ্রের ঘরের কাছে নিয়ে গেলো। গতকাল রাত থেকে প্রচুর পেটে ব্যাথা, ব্যাথায় চিৎকার অবধি করেছে নাকি। সেই সাথে পেট খারাপ, বমি, ডাইরিয়া। দশটার দিকে জ্বর। তাপমাত্রা পারদস্কেলের ১০৩ এর দাগ পার করে ফেলছিলো। পরে রাত এগারোটায় কোথা থেকে একটি ডাক্তারকে উঠিয়ে এনেছে বিল্লাল এবং তরুন। তরুন আরেকটা অভ্রের মিনি সাগরেদ। বয়সে ছোট বলে তাকে বিল্লালের এসিসট্যান্ট বলা যায়। অভ্রের সাথে এই দুটো ছায়ার মত থাকে। ঐন্দ্রিলার ভাষ্যমতে অভ্র হলো এদের পীর আর এই দুটো মুরিদ। এখনো অভ্রের রুমের সামনে চেয়ার দিয়ে বসে আছে। এতোবার বাথরুম টু রুম করেছে অভ্র যে শরীরে এক বিন্দু শক্তি অবশেষ নেই। অভ্রের পাশে একটি ঘন্টা রাখা। বাথরুম আসলেই সে ঘন্টা বাজাচ্ছে আর সাগরেদ যুগল তাকে ধরে বাথরুমে নিয়ে বসিয়ে দিয়ে আসছে। যদিও পেট একটু ধরেছে। তবে জ্বর থেকে থেকেই আসছে। দূর্বল শরীরটা নিস্তেজ হইয়ে পড়ে আছে বিছানায়। এর মাঝেই এক গম্ভীর স্বর কানে এলো ঐন্দ্রিলার। পেছনে ফিরতেই দেখলো সাদা পরিচিত একজন প্রবীন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। কানন তাড়াতাড়ি মাথায় কাপড় দিলো। সেই সাথে ঐন্দ্রিলার ওড়নাটাও মাথায় দিয়ে দিলো। মানুষটিকে চিনতে দেরি হলো না ঐন্দ্রিলার। ইনি অভ্রের দাদা।

সৈয়দ কাজী আউওয়াল ইবনে বাকুয়ী, বয়সের সিড়ি আশিতে ঠেকেছে। মুখে প্রবীনতার সাথে ঠিকড়ে পড়ছে আভিজাত্য, গাম্ভীর্য্য। জমিদারের রক্ত শিরায় ছুটছে সেই প্রমাণ তার তীক্ষ্ণ, শানিত, শান্ত আখি। এই বাড়ির সকলের মাঝে একটা জমিদার জমিদার ভাব আছে। শুধু অভ্র ব্যতিক্রম। ওকে দেখলে মনে হয় ওর পূর্বপুরুষ জমিদার নয়, চোর ছিলো। তাও সিঁধেল চোর। কে বলবে সেই চকচকে পরিষ্কার সাদা পাঞ্জাবী পড়া মানুষ তার দাদা!

আউওয়াল সাহেব খুব স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ঐন্দ্রিলার দিকে। এর পূর্বে ঠিক কত বছর পূর্বে এই মানুষটির সাথে ঐন্দ্রিলার দেখা হয়েছে মনে নেই। তার এই বাকুয়ী ভবনে খুব একটা আসা যাওয়া নেই। তবে ছোটবেলায় মায়ের সাথে আসতো খেলতে। খেলাধুলো কিছুই হতো না, বরং অভ্রের সাথে মা’রা’মা’রিই হত খালি। হবে না কেনো অভ্র বরাবরই বদ ছেলে। নিজের খেলনা উঠিয়ে রেখে ঐন্দ্রিলার খেলনা দিয়ে খেলতো। শুধু খেলতো তা নয় রীতিমতো নিজ দায়িত্বে ভাঙ্গতো। এটা নিয়ে রীতিমত মারপিট করতো তারা। এখনো ঐন্দ্রিলার মনে আছে ছেলেবেলায় বাবা খুব সুন্দর একটা পুতুল কিনে দিয়েছিলেন। সেই পুতুলের চুল ছিলো তার থেকে দ্বিগুন। ঐন্দ্রিলার পছন্দের পুতুল ছিলো সেটা। যত্নের সাথে তার চুল বাঁধতো সে, জামা বদলাতো। অভ্রকে দেখাতে একবার নিয়ে এসেছিলো। বদ ছেলেটি পুতুলটা শুধু ভাঙ্গে নি, একটা একটা করে চুল ছিড়ে ফেলেছিলো। ঐন্দ্রিলার এতো রাগ হয়েছিলো যে সেও তার বদলা পরক্ষণেই নিলো। কামড়ে অভ্রের হাত থেকে রক্ত বের করে দিলো। সেদিন অভ্রকে ডাক্তারখানায় নিয়ে যাওয়া হলো। ইঞ্জেকশন দেওয়া হলো। সাবেরা খুব বকেছিলো ঐন্দ্রিলাকে। কিন্তু ঐন্দ্রিলা নির্লিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো। কারণ তার পছন্দের পুতুল ভাঙ্গার এতোটুকু তো শাস্তি দেওয়াই যায়। এরপর থেকে ঐন্দ্রিলার এই বাড়িতে খেলতে আসায় ১৪৪ ধারার জারি হলো। ঐন্দ্রিলাও মাথা ঘামালো না। কারণ তার শখের খেলনাগুলো আর নষ্ট হচ্ছিলো না। যেকারণে আউওয়াল সাহেবের সাথে তার পরিচিতি খুব স্বল্প।

আউওয়াল সাহেব এখানে থাকেন না। তিনি থাকেন গ্রামে। শহরের বাড়িটা যদিও তার নিজের হাতে বানানো। কিন্তু তার এই বাড়ি ভালো লাগে না। ইট পাথরের এই যান্ত্রিক জীবন নিতান্তই অসহনীয়। তাই তিনি বছরের নয়মাস গ্রামে থাকেন। নাতীর অসুস্থতার খবর শুনেই ছুটে আসা। উপরন্তু তার বড় নাতীর বিয়ে। নাতবউ তার জমিদার পরিবারের যোগ্য কি না সেটাও পরখ করে নিতে চান সেই ফাঁকে। আউওয়াল সাহেব রাশভারী স্বরে শুধালেন,
“তুমি তো সোহরাবের নাতনী তাই না?”
“জি”
“তা কি করা হয়?”
“পড়াশোনা করছি। বর্তমানে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করছি”
“মেয়েমানুষ অর্থনীতি পড়ে কি করবে? তারা তো অর্থনীতিবিদ হবে না। আমার মতে মেয়েদের পড়া উচিত বাংলা বা ইংরেজী। গণিতও অনেক কঠিন হয়ে যায়।”

আউওয়াল সাহেবের কথায় ভ্রু কুঞ্চিত হলো। লোকটির চিন্তাধারা এখনো উনিশত আঠারোতেই আটকে আছে। ঐন্দ্রিলা নমনীয় স্বরে বললো,
“আমার তো মনে হয় মেয়েদের রান্নাবান্নাও করা উচিত নয়। এই বিষয়টাও অত্যধিক কঠিন। হলুদের বদলে মরিচ পড়ে গেলেই বিপদ। আবার অসাবধানতায় ঘরও পুড়ে যেতে পারে। অথচ প্রতিটা ঘরের মায়েরা কত কষ্ট করে রান্না করেন। মেয়েদের বাচ্চার জন্ম দেওয়াও উচিত নয়। এই বিষয়টায় তো জীবনের ঝুকি রয়েছে। মেয়েদের বাচ্চা মানুষ করাও উচিত নয়। সে বিষয়টা কত পরিশ্রমের। আমার মনে হয় মেয়েদের কিছুই করা উচিত নয়। পায়ের উপর পা তুলে খাওয়া উচিত। কিন্তু সেটা তো আবার পুরুষদের পছন্দ হবে না। তাই এখন বাধ্য হয়েই মেয়েরা সব বিষয়ে নিজেদের দক্ষ করছে”

কানন শ্বশুরের দিকে ভীত চোখে তাকিয়ে আছে। লোকটির রাগ সম্পর্কে তার যথেষ্ট ধারণা আছে। আউওয়াল সাহেব রেগে গেলে বাড়ি পর্যন্ত আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন। শাশুড়ি মার থেকে তার রাগের অনেক কেৎসা শুনেছে সে। শাশুড়ি মারা যাবার পর বৃদ্ধ আরোও খিটখিটে হয়ে গেছে। সবাইকে আঙ্গুলের উপর নাচায় খালি। ইদ্রিস সাহেব এই বয়সেও বাবার কাছে নাস্তানাবুদ। কানন তো তৈরি ছিলো শ্বশুরের ধমকের জন্য। কিন্তু তাকে অবাক করে স্থুলকায় আশি বছরের বৃদ্ধ হেসে উঠলো। প্রসন্ন স্বরে বললো,
“আমার নাতীর পছন্দ আছে বৌ মা”

ঐন্দ্রিলাকে কড়কড়া দুটো একহাজার টাকার নোট ধরিয়ে বললো,
“আমি আংটি নিয়ে আসি নি। অভ্র যখন বললো সে তোমাকে বিয়ে করবে আমি ভরসা করতে পারছিলাম না। যে সে মেয়ে আমার বংশের নাতবউ হতে পারে না। তাই খালি হাতে এসেছি। তবে আগে যদি জানতাম আমার গাধার ছেলে এমন রত্ন বেছেছে আমি এই ভুল করতাম না। বউ মা তোমার গাধা স্বামীকে বলে দেও আসার সময় যেনো একটি ভালো আংটি কিনে আনে”
“আব্বা, আংটি পড়ানো শেষ। আংটি লাগবে না। আপনি বরং অন্যকিছু দেন”

ঐন্দ্রিলা এখনো টাকা হাতে বসে আছে। এই পরিবারের কেউ স্বাভাবিক নয়। যেকাজে মেজাজ খারাপ করা উচিত তারা সেই কাজে আংটি বিলি করে। ভেবেছিলো দাদাকে চেতিয়ে বিয়ে ভন্ডুল করবে, কিন্তু তাও হলো না। এখন পিউ এর মাটি থেকে তোলা বুদ্ধি ই কাজে দিবে।

*****

অভ্র জেগে জেগে ঘুমাচ্ছে, একটু আগেও জাগা ছিলো। কিন্তু আবার ঘুমিয়ে গেছে। এই হাড়সেদ্ধ গরমের অসময়ের জ্বর ভুগাচ্ছে তাকে। তীব্র মাথাব্যাথা চিন্তার মাঝে ফেলেছে বা হাত। দোকানে যাওয়া হয় নি। বিল্লাল আর তরুণ ও যায় নি। তারা চেয়ার নিয়ে বসে আছে দরজার বাহিরে। এর মাঝেই ঝাপসা চোখে নজরে পড়লো একটি কোমল আবছা মুখ। মুখখানা জুড়ে চিন্তা। চোখে অপরাধ। স্বপ্ন দেখছে কি? হতে পারে। জ্বরের ঘোরে পৃথিবীটাও একটা স্বপ্ন মনে হয়। বাস্তব হয়ে যায় অবাস্তব। অবাস্তব মানবী তার দিকে ঝুকে আছে। শীতল হাত তার তপ্ত কপালে রেখেছে। আরাম লাগছে। মানবী হাত সরিয়ে নিতে চাইলেই অভ্র হাতটা খপ করে ধরলো। টেনে নগ্ন বুকে ঠেকিয়ে বললো,
“থাক না একটু”
“জ্বর বাধলো কি করে?”

মানবীর কন্ঠের সাথে ঐন্দ্রিলার কন্ঠ মিলে যাচ্ছে। এই আবাস্তব মানবী কি ঐন্দ্রিলা?
“সবসময় নিজেকে হিরো প্রমাণ করতে চাস। হয়েছে শিক্ষা?”

না আবাস্তব নয়। এটা বাস্তব। অভ্র এবার চোখ মেলে তাকায়। খুব ভালো করে তাকাতেই দেখলো ঐন্দ্রিলা তার মাথার কাছে বসে আছে। তার হাত অভ্রের বুকের কাছে। সাথেসাথেই লাফিয়ে উঠলো সে। ঘুম কেটে গেলো। ক্লান্ত, ধীর স্বরে শুধালো,
“তুই এখানে?”
“ম’রে গেছিস কি না দেখতে এসেছি। ম’রিস নি। শুনেছি সকাল থেকে ঔষধ খাস নি। উঠ ফিরনি এনেছি, খেয়ে ঔষধ খা”

বলেই ফিরনির বাটি এগিয়ে দিলো। অভ্রের মাথা কাজ করছে না। জ্বরের ঘোরে কি স্বপ্ন দেখছে। ঐন্দ্রিলা তার জন্য ফিরনি নিয়ে এসেছে? এতো কোমল করে কথা বলছে? মাথা ব্যাথা করছে। ঐন্দ্রিলা এর মধ্যে একটা টিশার্ট ছুড়ে মেরে বললো,
“নেংটো হয়ে থাকতে ভালো লাগে? জামা পর। হাতির মতো শরীর দেখার ইচ্ছে নেই আমার”

না এটা ঐন্দ্রিলা। সেই একমাত্র অসুস্থ অভ্রের সাথে এমন ব্যাবহার করতে পারে। অভ্র টিশার্ট গলালো শরীরে। ফিরনিটা শুকলো। ঐন্দ্রিলা বিদ্রুপের টানে বললো,
“কিছু নেই ওতে, ওটা মা পাঠিয়েছে”
“তোর কি ভরসা? আমাকে খুন করার জন্য ওত পেতে আছিস”
“ঠিক ধরেছিস। বিয়েটা হোক, তোর জীবনে আমি বিনা মেঘে বজ্রপাত করবো।“

অভ্র হাসল। মুখটা একেবারে শুকিয়ে গেছে। অভ্র ফিরনি খেলো, ঔষধ খেলো। এরপর নির্লজ্জের মতো ঐন্দ্রিলার কোলে মাথা দিলো। পাতলা কোমরটা অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে ধরলো। অভ্রের এমন কাজে ঐন্দ্রিলা হতভম্ব হলো। অপ্রস্তুত স্বরে বলল,
“কি করছিস, দরজা খোলা অভ্র। কি করছিস?”
“হুশ! মাথা ব্যাথা করছে। টিপে দে”
“অভ্র, উঠ”

কিন্তু নাছোরবান্দা ছেলেটা শুনলো না। অন্যসময় ঐন্দ্রিলা তার কান ধরে তুলতো, চুল চিড়ে ফেলতো, খামচে রক্ত বের করে দিত। কিন্তু সে অসুস্থ। তাও তার জন্য। তাই কিছু বলতে পারলো না। বাধ্যহয়ে মাথা টিপে দিতে লাগলো। অভ্রের মুখে শয়তানি হাসি। এখন অনেক আরাম লাগছে। পরক্ষণেই বললো,
“একটা চুমু খাবি?”
“জুতো খাবি”
“ইশ, কি আনরোমান্টিক”

ঐন্দ্রিলার রাগী মুখখানা দেখেই চোখ বুঝলো কিন্তু মুহূর্তবাদে গালে একজোড়া নরম ঠোঁটের উষ্ণ ছোয়া পেলো। সাথে সাথেই চোখ খুলে ঐন্দ্রিলার দিকে চাইলো অভ্র। ঐন্দ্রিলা মুখ বিকৃত করে থু থু করে বললো,
“ইয়াক, কতদিন গোসল করিস না তুই?”

অভ্র এখনো বিমূঢ় চেয়ে আছে। ঐন্দ্রি সত্যি তাকে চুমু খেলো?……………

চলবে

[ছয়দিনের রেকর্ড কমপ্লিট। বাইদ্যা ওয়ে শান্তিকানন এবং সুখনীড়ের প্রেমের উপাখ্যান “চাঁদ বলে হাতটি ধরো” পড়েছেন? মাত্র ৬০ টাকায় পেয়ে যাবেন বইটই এপে]

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here