মনশহরে_তোমার_নিমন্ত্রণ #৭ম_পর্ব

0
135

#মনশহরে_তোমার_নিমন্ত্রণ
#৭ম_পর্ব

ঐন্দ্রিলার রাগী মুখখানা দেখেই চোখ বুঝলো কিন্তু মুহূর্তবাদে গালে একজোড়া নরম ঠোঁটের উষ্ণ ছোয়া পেলো। সাথে সাথেই চোখ খুলে ঐন্দ্রিলার দিকে চাইলো অভ্র। ঐন্দ্রিলা মুখ বিকৃত করে থু থু করে বললো,
“ইয়াক, কতদিন গোসল করিস না তুই?”

অভ্র এখনো বিমূঢ় চেয়ে আছে। ঐন্দ্রি সত্যি তাকে চুমু খেলো? বিস্ফারিত হলো নয়ন। চট করেই ঐন্দ্রিলার কোল থেকে উঠে বসলো। ঐন্দ্রিলা নিরুদ্বেগ। বাহিরে বসা বিল্লাল এবং তরুন উঁকি দিয়ে ঘটনা দেখতেই লজ্জায় চোখ সরিয়ে নিলো। ঐন্দ্রিলা অভ্রের মারকাটারি ঝগড়া উপভোগ্য বটেই কিন্তু এমন কিছু হবে সেটা তো সিলেবাসের বহির্গত। হুট করেই গুগলি বলে আউট হলো যেন অভ্র। তরুন ফিসফিসিয়ে বলল,
“বিল্লাল ভাই, একটা সিগারেট খায়ে আসি। ভেতরের মামলা তো মনে হয় ভালোই”

বিল্লাল মাথা চুলকালো। আমতা আমতা করে বললো,
“আমিও যাব”

ওস্তাদের উপর প্রেমবর্ষণে সাগরেদরা পাহারা ছেড়ে পালালো। আকস্মিক চুমুর বিস্ময় এখনো কাটলো না অভ্রের৷ তার ভ্রু কুঞ্চিত হয়ে আছে। বোঝার চেষ্টায় আছে ঐন্দ্রিলার মতলব। ঐন্দ্রিলা ঠোঁট মুছছে। ভাবটা এমন যেনো অত নোংরা কোনো বস্তুতে তার ঠোঁটের ছোঁয়া লেগেছে। অভ্র তার দিকে তাকিয়ে হতবাক স্বরে বলল,
“এটা কি ছিলো?”
“তোর বিশ্রী নোংরা চুমু ফেরত দিলাম। চুমু চুমু শোধবোধ”

অকপটে ঐন্দ্রিলার উত্তরে অভ্র চোখ কপালে তুললো। ঐন্দ্রিলা চোখ হাসছে। সে দুষ্টু হাসির ঝলক নজরে পড়লো অভ্রর। কৌতুহল তাকে ঘিরে ধরেছে। ঐন্দ্রিলার দ্বারা এমন অদ্ভুত কাজ কল্পনাতীত। ঐন্দ্রিলা এবার চলে যাবার জন্য পা বাড়ালো। আবার থেমে গিয়ে অভ্রের চোখ চোখ রেখে বললো,
“অভিনয় আমিও করতে পারি। এতো কেবল শুরু, তোর জন্য অনেক সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে বাবু। জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ”

বলেই অভ্রের গালে হালকা চাপর দিলো। মিষ্টি হেসে বলল,
“সুস্থ হয়ে যা বাবু, কেমন? আসি”

বলেই প্রসন্ন চিত্তে বেরিয়ে গেলো। অভ্র থম মেরে বসে রইলো। তার মস্তিষ্ক কাজ করছে না। জ্বরের প্রভাব নাকি অতর্কিত রাগী বাঘিনীর কোমল অধর ছোঁয়া বোঝা দায়। তবে মারাত্মক খেলার প্রারম্ভ হয়েছে বুঝতে বাকি রইলো না অভ্রর।

*****

বাসায় এসেই সাবান দিয়ে ঠোঁট ধুলো ঐন্দ্রিলা। ভালো করে ব্রাশ করলো। রাগান্বিত চোখে নিজেকে দেখলো আয়নায় প্রতিবিম্বে। অভ্রকে পরাজিত করতে অভ্রের পর্যায়ে নেমে গেছে সে। মুহূর্তের জন্য অভ্রের হতভম্ব, বিমূঢ় মুখখানা আনন্দদায়ক হলেও সেই আনন্দের রেশ দীর্ঘ হলো না। অভ্রের কুকীর্তিতে এই সামান্য শক কোনো শাস্তির পর্যায়েই পড়ে না। কিন্তু চুমু খাওয়ার ব্যাপারটা একটু অতিরিক্ত। সব হয়েছে পিউ চুন্নীটার জন্য। সেই তাকে এমন অদ্ভুত বুদ্ধি দিয়েছে। ফলে ক্ষেপা মেজাজে সাথে সাথেই ফোন করলো ঐন্দ্রিলা। ঐন্দ্রিলার ফোনে ঘুম ভাঙ্গলো। তন্দ্রাভাব এখনো কাটে নি। ঘুমঘুম কন্ঠে বললো,
“বল”

পিউ এর তন্দ্রালু কন্ঠ শুনতেই খ্যাক করে উঠলো ঐন্দ্রিলা,
“চুন্নী ঘুম থেকে উঠ। আমার জীবন ত্যানাত্যানা করে ঘুমাচ্ছিস তুই”

ঐন্দ্রিলার চাঁপা চিৎকারে আর গরম স্বরে ঘুম এক লাফে পালালো পিউ এর ঘুম। তড়াক করে উঠে বসলো সে। চোখ কচলাতে কচলাতে শুধালো,
“কি হইছে তোর? সকাল সকাল তোর ঘরে কেউ বো’ম মারছে?”
“না আমি মারছি। তোর বুদ্ধি মত”

ঐন্দ্রিলা একটু দম নিলো। খুলে বললো সবটা। পিউ দীর্ঘশ্বাস ফেলে হতাশ স্বরে বললো,
“আমি তোরে বলছিলাম অভ্র যেমনে তোরে জ্বালাবে তুই অভ্রকে জ্বালাবি। ওর চাল ওরেই উলটা দিবি, আমি ওরে চুমা খাইতে কই নি। এটা শাস্তি ছিলো? এমন শাস্তি সব লুইচ্চা ছেলেদের একমাত্র কাম্য”
“তো আমি কি করবো? তুই তো বলেছিস ওর কাজে ক্ষেপবি না। হাসি মুখে ওরে ফিরিয়ে দিবি ওর কাজ”
“খুব ভালা কাম করিছো তুমি। আরে আমি শুধু বলছি ওর জীবনে ভালোবাসার নামে আগুন জ্বালাতে, ভালোবাসতে বলি নি। আমার তো সন্দেহ তুই আবার ঝগড়া ঝগড়ায় পটে যাস নি তো?”

সাথে সাথেই ক্রোধান্বিত স্বরে ঐন্দ্রিলা বলে উঠলো,
“ঘুমাতে ঘুমাতে কি মাথা গিলে ফেলেছিস? আমি অভ্রকে ভালোবাসবো? মরে গেলেও না”
“মহা আনন্দের কথা, তোমাকে তো স্বর্ণপদক দেওয়া উচিত তাহলে চুমু খেলে কেনো? মানুষ কি ভাববে? প্রতিশোধে চুমু কে খায়?”
“থামবি তুই? এখন কি করব?”

পিউ কিছুক্ষণ থুতনিতে হাত দিয়ে বিজ্ঞ স্বরে বললো,
“অভ্রের মুখের অবস্থা কেমন ছিলো?”
“বিস্ময়, কৌতুহল”
“আচ্ছা, এই ভুল আর করা যাবে না। অভ্রকে বিরক্ত করতে হবে। তোর খাড়া নাকটা ঢুকিয়ে দিতে হবে ওর সব কাজে। ও যেমন বিনা লাইসেন্সে তোর সব কাজে বা হাত ঢুকায় ঠিক তেমন। বিয়ে হবে না তোর? বিয়ের সব কিছুর সিদ্ধান্ত তুই নিবি। অভ্রের জুতা থেকে শুরু করে সেরওয়ানি সব। এমন কি অভ্রের প্রাইভেট স্পেসেও ঢুকে পড়বি। কতক্ষণ ঢং করবে সে”
“কাজ দিবে? হারামীটা শুধু নিমনিম্মা হাসি দেয়”
“তুইও দিবি। ওর থেকে বেশি নিমনিম্মা হাসি দিবি। একবার আগুন ধরায়ে দিলেই দেখবি, বাপ বাপ করে সোজা হয়ে যাবে। আসলে কি বল তো অভ্র তোকে জ্বালায়ে পৈশাচিক আনন্দ পায়। সেডিস্ট একটা। কিন্তু ঐ ঐতিহাসিক ঝগড়ার পর তুই ভেটকে গেলি, ওকে অদেখা করতে লাগলি। পাঁচ বছর পর হুট করে তুই ওকে পাত্তা দিচ্ছিস বলে উঠেপরে লেগেছে। এজন্য সে এই বিয়ে নামক অস্ত্র ব্যবহার করছে। তুইও উলটা করবি। তুই চেতবি না। শান্তভাবে ওর কাউন্টার করবি। আর রাগটা একটু সামলা। এমন খ্যাচ খ্যাচ করলে আসলেই বিয়ে হবে নারে”

ঐন্দ্রিলা চুপ করে শুনলো। পিউ এর বুদ্ধিতে তার পূর্ণ ভরসা। তাই আজ থেকেই শুধু হবে মিশন অভ্রের জীবনে নাক গলানো।

*******

ঐন্দ্রিলার চুমুর ডোজে দ্বিতীয় দফা জ্বর আসলো অভ্রের। সেই জ্বর স্থায়ী করলো দুদিন। অসুস্থতার জন্য বিয়ের ডেট পিছানো হলো এক সপ্তাহ। বিয়ের তোড়জোড়ে কোন কমতি নেই। আউওয়াল সাহেবের বড় নাতীর বিয়েতে কোনো কমতি নেই। ওদিকে সাবেরা বেগমও ধুমধাম করে আয়োজনে ব্যস্ত। তবে নীলাদ্রি, ঐন্দ্রিলার বড় ভাই এখনো আসে নি। সালাম সাহেব গত কয়দিন তাকে ফোন করেছে, কিন্তু সে ফোন ধরে নি। বিয়েতে তার কোনো মত নেওয়া হয় নি বলে সে গোসা করেছে। মেহমানের মত ঠিক বিয়ের আগের দিন আসবে সে। ফলে সালাম সাহেব চিঠি লিখতে বসলেন,

“অপদার্থ পুত্র নীলাদ্রি,
তোমাকে চিঠি লেখার শখ কিংবা ইচ্ছে কিছুই ছিল না আমার। কিন্তু তোমার মাতার অশ্রু আমাকে প্রভাবিত করিলো। তাই তোমাকে চিঠি লিখিতে বসিলাম। অতি শীঘ্রই বান্দরবানের অনাবশ্যক বাজে কাজ বন্ধ করিয়া তোমাকে ভিটায় ফেরার আদেশ করিতেছি। নয়তো আমি জানিব আমার কোনো পুত্র অবশিষ্ট নেই। আমার উইলে তোমার নাম কাটিতে আমার এক মুহূর্ত সময় লাগিবে না। ইহাকে আমার ফাঁকা আওয়াজ ভাববার ভুল ধারণা করিও না। আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল।

[বিঃদ্রঃ তোমার মত মহা ছাগল পুত্র থাকার থেকে না থাকাই শ্রেয়। তোমার মুখের উপর গাধা বলার শান্তি থেকে বহু বছর বঞ্চিত থাকায় চিঠিতেই লিখিতেছি,
শালা ছাগলের বাচ্চা, গাধা কোথাকার]

পরম শ্রদ্ধেয়
তোমার পিতা”

সালাম সাহেব কলম নামালেন। মিলের ছেলে বাদশাহকে বললেন,
“গাধাটাকে এখনই এক্সপ্রেস মেইল করো”
“স্যার এক্সপ্রেসে মেলা টাকা”
“টাকা তো আর তুমি দিবা না”
“তাতে কি আপনার তো খরচ হবে”
“হইলে হবে। মরে যেয়ে এই গাধার জন্য টাকা রেখে যাওয়ার থেকে উড়িয়ে যাওয়া শ্রেয়। ছাগলের বাচ্চা বান্দরবানে বান্দরের সাথে নাচানাচি করছে। গাধা কোথাকার।”

বাদশাহ মাথা কাত করে হ্যা বলল। অবশেষে এক্সপ্রেস মেইল গেলো নীলাদ্রির উদ্দেশ্যে বান্দরবানে।

*******

ঠিক দুপুরে হাজির ঐন্দ্রিলা। তাও অভ্রের দোকানে বিনা নোটিশে। অভ্র তখন চেয়ারে গা এলিয়ে চোখ বুজে ছিলো। ঐন্দ্রিলাকে দেখেই ভ্রু কুচকে গেলো। ঐন্দ্রিলা টিফিন ক্যারিয়ার রাখলো ঠিক অভ্রের সামনে। অভ্রের নিজের জন্য বিরিয়ানি আনতে বলেছে বিল্লালকে। সে আনতে গিয়েছে। ফলে ঐন্দ্রিলার হাতে বিশাল টিফিন ক্যারিয়ার দেখে অবাক হলো সে। অবাক স্বরে শুধালো,
“এগুলো কি?”
“হবু শ্বাশুড়ি পাঠিয়েছে।“

ঐন্দ্রিলার নির্লিপ্ত উত্তরে অভ্রের সন্দেহ বাড়লো। কড়া স্বরে বলল,
“আমি বিল্লালকে বিরিয়ানি আনতে বলেছি। এইগুলো নিয়ে বাড়ি যা”

ঐন্দ্রিলা তার কথার ধার ধারলো না। একে একে সব বক্স খুললো। থানকুনি পাতা ভর্তা, ছোট মলা মাছ, করলা ভাজি, মাছকলাই ডাল, কালোজিরা ভর্তা, বেগুন দিয়ে পাবদা। মোটামুটি সকল খাবার যা অভ্র খায় না। অভ্রের মুখ ছোট হলে গেলো খাবার দেখে। ঐন্দ্রিলা নিজের ফোনটা বের করলো। ভিডিও কল করলো আউওয়াল সাহেবকে। তিনি ফোন ধরতেই কাদো কাদো স্বরে বললো,
“দাদাজান আসসালামু আলাইকুম”
“ওয়ালাইকুমুস সালাম নাতবউ, কি হয়েছে?”
“আমি বিচার দিতে ফোন করেছি। আপনার নাতীর বিচার। দেখুন না দাদাজান, এই না দুদিন হলো জ্বর সারলো আপনার নাতী এখন বাহিরের ঘি মশলার বিরিয়ানি খাবে। আমি এতো পুষ্টিকর খাবার এনেছি ও মুখ বাকাচ্ছে। আমার কত কষ্ট হয়েছে সেটা তো আপনি দেখেছেন”

নাতবউ এমন আহ্লাদী বিচার শুনেই আউওয়াল সাহেব ক্ষেপে গেলেন। সাথে সাথেই রামধমক খেলো অভ্র। দাদাকে অত্যধিক শ্রদ্ধা করায় সে দাঁতে দাঁত চেপে শুনলো। দাদাজানের ফোন কেটেই ঐন্দ্রিলা বলল,
“বাবু খাবার বেড়ে দেই?”

অভ্র চোখ ছোট ছোট করে দেখছে ঐন্দ্রিলাকে। দাদার ভয়ে নিজের অপছন্দের খাবার খেতে হলো তাকে। খাওয়া শেষে ঐন্দ্রিলা বললো,
“আজকে শপিং এ যাব বাবু, তুই কিন্তু সময় ভুলিস না”

অভ্রের বুঝতে বাকি রইলো না ঐন্দ্রিলা একেবারে আদাজল খেয়েই খেলায় নেমেছে। অভ্র হিনহিনে স্বরে বললো,
“নতুন নতুন খেলতে নেমেছিস, এই সামান্য জিতে এতো খুশি হইস না”
“কেনো বাবু? ভয় পেলি নাকি”
“সাবধান ঐন্দ্রিলা, আমি যখন আষ্টেপৃষ্টে ধরব পালাতে পারবি না”
“দেখা যাবে”

অভ্রের আগাম চালটা পড়তে খুব দেরি হলো না। ঐন্দ্রিলার খুশিতে ভাটা পড়লো যখন নিজের বিয়ের শাড়িটা দেখলো। টকটকে কমলা রঙের রঙচটা শাড়ি। ঐন্দ্রিলার সব থেকে অপছন্দের রঙ এই কমলা। তাও একেবারে দূর থেকে এই কমলা নজরে আসছে। ঐন্দ্রিলা শাড়ি থেকেই ক্ষেপে গেলো। কিন্তু যেহেতু বিয়ের শাড়ি শ্বশুর বাড়ি দিবে তাই কথা বলার কোনো জায়গা থাকলো না। সাবেরা শাড়ি দেখে বলল,
“শাড়িটা একটু ক্যাটক্যাটে না?”

কানন জোর করে হেসে বললো,
“আসলে এটা অভ্রের পছন্দ। ও নাকি ওর বউকে সবসময় কমলা শাড়িতেই কল্পনা করেছে”

ঐন্দ্রিলা মনে মনে বললো,
“বউ না কার্টুনকে কল্পনা করেছে। হারামী আমাকেও কার্টুন বাড়ানোর ধান্দায় আছে”

ফলে বাধ্য হয়ে এই কমলা বেনারসিই পড়ে ট্রায়াল দিলো। আয়নায় নিজেকে দেখল ঐন্দ্রিলা। রঙটা এতোটাই টকটকে যে এক কিলো দূর থেকেও তাকে দেখা যাচ্ছে। অভ্র কোনায় দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসছে। ঐন্দ্রিলার কড়া নজরও তাকে দমালো না। বরং ভ্রু নাঁচিয়ে বললো,
“কি বাবু? পছন্দ হয়েছে?”

ঐন্দ্রিলাও জোর করে হেসে বলল,
“হ্যা, বাবু খুব সুন্দর। এবার তোমার শেরওয়ানির পালা”

শেরওয়ানি দেখতেই অভ্রের হাসি উড়ে গেলো। কারণ অভ্রের শেরওয়ানি আরোও একধাপ উপরে। কানন অবাক স্বরে বললো,
“এটা অভ্র পড়বে?”
“হ্যা, আন্টি। আমার ছোটবেলা থেকে শখ ছিলো। আমার বিয়েতে আমার বর এমন শেরওয়ানি পড়বে”

দোকানের সবার চোখ অভ্রের দিকে। কারণ এই প্রথম মনে হয় কোনো বর উজ্জ্বল ম্যাজেন্টা রঙ্গের শেরওয়ানি পড়বে………………

চলবে

[আমার ই-বুক “চাঁদ বলে হাতটি ধরো” পড়ুন বইটই থেকে মাত্র ৬০টাকায়]

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here