আঁধারে_প্রণয়কাব্য #পর্ব____৫ #নিশাত_জাহান_নিশি

0
113

#আঁধারে_প্রণয়কাব্য
#পর্ব____৫
#নিশাত_জাহান_নিশি

“তার মানে সেদিন ফায়েয ফারনাজ চৌধুরীই আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন প্রতিশোধ নেয়ার জন্য! তিনি আমার অতীত জেনেই স্পর্শকে সহ্য করতে পারছিলেন না? তাই স্পর্শের ছবিটা তিনি এভাবে ভেঙে দিয়েছেন‌! এসব কি হচ্ছে আমার সাথে।”

সানামের মধ্যে প্রবল অস্থিরতা কাজ করতে লাগল। তীব্র দুঃশ্চিন্তায় তার সমস্ত শরীর ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে গেল। সারা ঘরময় সে পায়চারি করে অবশেষে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হলো। কপাল ঘঁষে বিড়বিড় করে বলল,

“এই বিষয়ে ফায়েয ফারনাজ চৌধুরীর সাথে আমার সরাসরি কথা বলতে হবে। তাকে বুঝাতে হবে আমার পিছু ছাড়তে। অযথা একজন নগণ্য মানুষের পেছনে ঘুরে সময় নষ্ট না করে সব নতুন করে শুরু করতে।”

যে ভাবা সেই কাজ। সাইফার কাছ থেকে সানাম বেশ কৌশলে ফায়েযের ফোন নাম্বার নিলো। অনামিকাকে এর মধ্যে জড়ালো না। কেননা অনামিকা এতে সানামকে অহেতুক সন্দেহ করতে পারে কিংবা ফায়েয যে সানামকে অতীতে ভালোবাসত তা জানতে পারলে অনামিকা ভীষণ কষ্ট পাবে, কি বা তার মন নষ্ট হয়ে যাবে। বেশ ভেবেচিন্তে সানাম ডায়াল করল ফায়েযের নাম্বারে। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এসে গাড়ি থামালো ফায়েয। ইতোমধ্যেই ফায়েযের নাম্বারে কল এলো। প্রথম কলটি বেজে যাওয়ার পর ফায়েয ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ব্যগ্র হাসল। নাম্বারটি তার চেনা। খুব চেনা। চোখ থেকে চশমা খুলে ফায়েয বিড়বিড় করে বলল,

“ইশশ পাখিটা অস্থির হয়ে গেছে আমাকে ট্রেক করার জন্য। আমার হিংস্রতায় সে এতটা কাবু হয়ে গেছে না জানি আমার ভালোবাসা দেখলে তার কি হবে! বাঁচিয়ে রাখা যাবে তো তাকে?”

দ্বিতীয় কলটি তুলল ফায়েয। বেশ আয়েশ করে মসৃণ স্বরে বলল,

“হ্যালো।”
“হ্যালো। আমি সানাম বলছি।”
“উমমমম, কোন সানাম?”
“ড্রামা বন্ধ করুন। আপনি এখন কোথায় আছেন বলুন?”
“আমিতো স্বর্গে আছি! আর আপনি?”
“উফফ এক্সাক্ট বলুন কোথায় আছেন?”
“আমিতো আপনাকে রাতের বেলায় কন্ট্রাক্ট করতে বলেছিলাম! দিনের বেলায় কেন? সরি টু সে এখন আমার মুড নেই। কল রাখুন!”

চাঁপা হাসিতে ভেতরটা ফেঁটে যাচ্ছিল ফায়েযের। তবুও কণ্ঠস্বর শক্ত রাখল। সানাম কিরকির করছিল! দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

“সত্যি বলছি আপনার মত অসভ্য লোক আমি পৃথিবীতে দুটো দেখিনি। কিছু ইম্পর্টেন্ট কথা বলার জন্যই আপনার সাথে দেখা করতে চাচ্ছিলাম। আদারওয়াইজ আপনাকে এই সময় ফোন করে বিরক্ত করার আমার কোনো প্রয়োজনই ছিলনা।”

“ওহ্ কাজের ব্যাপার? ওকে ফাইন, বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সে চলে আসুন।”

“ওখানেই কেন? কাছে কোথাও দেখা করি?”

“দেখা করতে হলে আমার দেয়া এড্রেসেই আপনার দেখা করতে হবে। কজ আমি আমার ইম্পর্টেন্ট কাজ ফেলে রেখে আপনার সাথে এই সিচুয়েশনে অন্য কোথাও গিয়ে দেখা করতে পারবনা।”

কলটি কেটে দিলো ফায়েয। গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাড়ালো। আশেপাশে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো। চোখে চশমাটা লাগিয়ে হেয়ালী স্বরে বলল,

“পাখি নিজে থেকেই খাঁচায় বন্দি হতে চাইলে আমি কেন খাঁচা খুলে রাখব? মায়ায় পড়ে গেলে যেখানে বণ্য পাখিরাও পোষ মেনে যায় সেখানে আপনি তো সামান্য মানুষ সারাহ্ সানাম।”

সানাম পরনের জামাটা পাল্টে নিলো। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে হলুদ রঙের কুর্তীটিকে উল্টো করে পড়ে ফেলল! সেদিকে মনোযোগ নেই তার। ঠোঁটে এবড়ো থেবড়ো করে হালকা লিপস্টিক পড়ে সে কুর্তীর ওপর সাদা ওড়না জড়িয়ে তার সাইড ব্যাগ নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল। রুমে তালা ঝুলিয়ে পাশের রুমে থাকা তার কলিগ শ্রেতার রুমের দরজায় অনেকবার ধাক্কা দিলো। মৃদু চিৎকার করে বলল,

“শ্রেতা আছো? দরজাটা খোলো।”

রুমের ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ এলোনা। সানাম বিরক্ত হয়ে বলল,

“ইশশ মেয়েটা এতো ঘুমুতে পারে। অফিসের টাইম তো হয়েই যাচ্ছে। অফিসে যাবেনা সে?”

ব্যর্থ হয়ে শ্রেতার রুমের সামনে দিয়ে সানাম হল থেকে বের হতে হতে অধৈর্য গলায় বলল,

“ধ্যাত, ভেবেছিলাম শ্রেতাকে দিয়ে আজ ম্যানেজারের কাছ থেকে ছুটি নিব একদিনের। কিন্তু তা আর সম্ভব হলো কই।মনে হচ্ছে আমাকেই ঐ জাদরেল ম্যানেজারের কাছ থেকে ছুটি নিতে হবে।”

সানাম সি.এন.জিতে ওঠে গেল। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের দিকে রওনা হয়ে গেল। তার বাড়ি থেকে কমপ্লেক্স প্রায় আধঘণ্টার রাস্তা। এতেই তার বিরক্তবোধ হচ্ছিল। অবশেষে সানাম তার গন্তব্যে এসে পৌঁছালো। ফায়েযকে খুঁজতে লাগল। কিন্তু এরমধ্যেই ঘটে গেল এক বিব্রতকর ঘটনা। আশেপাশের মানুষজন সানামের দিকে তাকিয়ে মুখ টিপে হাসতে লাগল। সানাম অগ্রাহ্য করল লোকজনের টিপ্পনী। তবুও মনোযোগের সাথে নিজের দিকে একবারও ফিরে তাকালো না সে! কতটা অপরিপাটি হয়ে এসেছে সে ঐদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই তার।

আশেপাশে কোথাও সানাম ফায়েযকে দেখতে না পেয়ে ব্যাগ থেকে ফোন বের করে ফায়েযের নাম্বারে ডায়াল করবে ইতেমধ্যেই তার চোখ গেল তার থেকে প্রায় কয়েক ফুট দূরে একটি নামীদামী গাড়ি থেকে বের হওয়া তার অতি পরিচিত মুখ নওশাদের দিকে! সানাম দাঁত কেলিয়ে হেসে নওশাদকে ডাকতে গেলেই কোথা থেকে যেন ফায়ায ছুটে এসে সানামকে টেনে এনে দুজনই দেয়ালের আড়ালে লুকিয়ে গেল। চোখের পলকেই কি সব ঘটে গেল সানামের সাথে। হতবাক হয়ে সানাম ক্ষিপ্ত ফায়েযের দিকে তাকিয়ে বলল,

“কি হলো ব্যাপারটা?”
“কেন? আবার রিপিট করব?”
“এভাবে টেনে আনলেন কেন?”
“আপনি কি আমার কাজ পন্ড করার জন্য এখানে এসেছেন?”
“আজব। আমি আবার কি করলাম?”
“চুপচাপ এখানে দাড়িয়ে থাকুন। মুখ থেকে কোনো ওয়ার্ড যেন বের না হয়। একটা সিঙেল ওয়ার্ডও নয়।”

দেয়ালের আড়াল থেকে বের হলো ফায়েয। হাত ধরাধরি করে শাড়ির শো-রুমে ঢুকে গেল ফায়েযের বড়ো বোন রাই ও নওশাদ! সেখান থেকে নওশাদ রাইকে অনেক শপিং করে দিলো। যদিও এসবের পেমেন্ট রাই-ই করেছে! ফায়েয ভাবশূণ্য ভঙিতে পিলারের সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে এসব অন্যায় কাজ দেখছিল। পাশেই দাড়ানো সানামের চক্ষু ছানাবড়া। অনামিকার বড়ো ভাই নওশাদ কিনা ফায়েযের বড়ো বোনের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে! বিশ্বাসই হচ্ছেনা তার। সানাম শুকনো ঢোঁক গিলল। ধীর গলায় ফায়েযকে বলল,

“এটাই আপনার জরুরি কাজ ছিল?”
“বলেছিলাম না চুপ থাকতে?”

ফায়েযের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছেনা। রাগে টগবগে অবস্থা তার৷ হিংস্র বাঘের ন্যায় থাবা বসাতে প্রস্তুত সে। শুধু সুযোগের অপেক্ষা। সানাম তবুও নিজের ইখতিয়ারের বাইরে গিয়ে বলল,

“দেখুন? নওশাদ ভাই ইজ অ্যা ভেরি গুড পার্সন। আমি পার্সোনালী উনাকে বেশ ভালোভাবেই চিনি। তাছাড়া আজকালকার যুগের মেয়েরা একটু আধটু প্রেম করেই এটা নিয়ে এত ক্ষেপে যাওয়ার কি আছে?”

ততক্ষণে নওশাদ ও রাই শপিংমলের ভেতরেই একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসল। সানামের কথায় মনোযোগ দেয়ার সময় নেই ফায়েযের। দিক বিদিক ভুলে সে ছুটল রাই ও নওশাদের পেছনে। সানামও উপায়ন্তর খুঁজে না পেয়ে ফায়েযের পেছনে ছুটল। রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকেই ফায়েয রাইয়ের সামনে নওশাদের শার্টের কলার চেপে ধরল। নওশাদ ভড়কে ওঠতেই ফায়েয আক্রোশ ও ক্ষোভ মিশ্রিত গলায় বলে ওঠল,

“তোকে আমি একবার ওয়ার্ণ করেছিলাম না আমার আপুর পেছনে না ঘুরতে? কু’কুরের লেজ সোজা হবেনা তোর?”

নওশাদের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ। হটকারীতা কাটিয়ে সে হিংস্র রূপ ধরল। আঁতকে ওঠে রাই ফায়েযকে থামানোর চেষ্টা করে বলল,

“কি করছিস ভাই? ওকে ছাড়।”

“তোর বোনকে আগে সামলা। এরপর না হয় আমাকে সামলাবি। আকাশে থুঃ থুঃ ছিটালে কিন্তু নিজের গাঁয়েই পড়বে। মাইন্ড ইট।”

মুহূর্তেই নওশাদ ধাক্কা মেরে ফায়েযকে সরিয়ে দিলো। রাই এর দিকে একবার রোদ্রাক্ষী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে নওশাদ রেস্টুরেন্ট থেকে প্রস্থান নিলো। ফায়েয নিশ্চুপ। বোনের কারণে তার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। নওশাদ চলে যেতেই রাই ডুকরে কেঁদে ওঠল। ফায়েযের শার্টের কলার চেপে ধরে বলল,

“এটা তুই কি করলি ভাই? কেন নওশাদকে এভাবে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিলি? আমি তোর কি ক্ষতি করেছিলাম বল?”

ফায়েযকে উপেক্ষা করে রাই নওশাদের পিছু নিলো। সানাম দূর থেকে দাড়িয়ে হা করে সব দেখছিল। এক পা দু’পা করে সানাম নিথর হয়ে দাড়িয়ে থাকা ফায়েযের পাশে দাড়ালো। শুকনো গলায় বলল,

“দুজন দুজনকে যেহেতু এতই ভালোবাসা কেন অযথা আপনি তাদের সম্পর্কটা ভাঙার চেষ্টা করছেন? ছেড়ে দিন না তাদের।”

ফায়েয রক্তচক্ষু নিয়ে সানামের দিকে তাকাতেই ফায়েযের কল বেজে ওঠল। স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ফায়েয অধৈর্য হয়ে ওঠল। অতঃপর কপাল ঘঁষে মাথার চুলগুলো টেনে সে কলটি তুলে জোরপূর্বক হেসে বলল,

“হ্যালো জিজু?”
“হ্যাঁ ফায়েয কোথায় তুই? তোর আপুই বা কোথায়? কল তুলছেনা কেন রাই? ঠিক আছিস তো তোরা?”
“এভরিথিংক ইজ ফাইন জিজু। ডোন্ট ওরি। একচুয়েলি আপু আমার সাথে একটু শপিংয়ে এসেছে তাই ব্যাস্ততার কারণে কলটা তুলতে পারছেনা।”

মিথ্যা বলতে যদিও রুচিতে বাঁধছিল ফায়েযের। তবুও সে মিথ্যার আশ্রয় নিতে বাধ্য হলো। ফায়েযের জিজু সাদিদ আশ্বস্ত হলো। আলতো হেসে বলল,

“ওহ্ আচ্ছা এই ব্যাপার? আমি ভাবছিলাম কি না কি। আচ্ছা তোরা শপিং কর। টাকা লাগলে বলিস আমি পাঠিয়ে দিব। তাছাড়া কাল তো আমি আসছিই দেশে। অনেক মজা হবে।”

ফায়েয ভারাক্রান্ত গলায় বলল,

“হ্যা জিজু অনেক মজা হবে।”
“ওকে রাখছি তবে। প্যাকিং বাকি এখনও। ভালো থাকিস। সাবধানে ড্রাইভ করিস। আর হ্যাঁ আমার রাই এর দিকে খেয়াল রাখিস বাই।”

কল কেটে ফায়েয নিঃস্ব ভঙিতে চেয়ার টেনে বসে পরল। মাথায় হাত তার। তার ওপর কি পরিমাণ মানসিক টেনশন যাচ্ছে কেবল সে-ই বুঝতে পারছে। এসবে সানাম বিরক্ত হলো। বিড়বিড় করে বলল,

“ধ্যাত। নিজের দরকারে এসে অযথা তাদের ফ্যামিলি প্রবলেমে ফেঁসে গেলাম।”

ইতোমধ্যেই ফায়েয নিচের দিকে তাকিয়ে সানামকে লক্ষ্য করে নিস্তেজ গলায় বলল,

“প্লিজ সিট।”

সানাম সামনের চেয়ারটি টেনে বসল। ফায়েয চোখ তুলে সানামের দিকে তাকালো। সানাম অবাক হলো। ফায়েযের চোখে শুধু ক্ষোভ নয় বরং চোখের কার্ণিশ জুড়ে টলটলে জলের ছড়াছড়ি! সানাম উদ্বিগ্ন স্বরে শুধালো,

“আপনি কাঁদছেন?”
“জিজু কল করেছিলেন। কাইন্ডলি আমাকে একটা ওয়ে বলবেন কিভাবে পরকীয়া করা বোনের দোষ ঢাকা যায়?”

সানাম ভড়কালো। প্রশ্ন ছুড়ল,

“পরকীয়া মানে? আপনার বোন ম্যারিড?”
“জিজু ফ্রান্সে থাকেন। কালই দেশে ফিরছেন।”
“আপুকে দেখে তো মনেই হয়না আপু ম্যারিড। কি করবেন এখন? বিষয়টা তো খুব জটিল মনে হচ্ছে।”
“আপনিই বলুন না কি করব? আপনার তো এসব টিপস ভালোই জানা আছে!”

সানাম বুঝল ফায়েয তাকে পিঞ্চ করছে! সানাম ও রেগেমেগে ক্ষিপ্র গলায় বলল,

“দেখুন আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন। আসলে আমি সেদিন আপনাকে ঠকাতে চাইনি তাই…

“আমি আপনার থেকে কোনো এক্সপ্লেনেশান শুনতে চাইছিনা সানাম। প্লিজ ওয়ে বলুন। জাস্ট ওয়ান ওয়ে। কিভাবে আমি আপুকে বুঝাব আপু যা করছে ভুল করছে।”

সানাম তবুও ঘাড়ত্যাড়ামো করে বলল,

“আপনার শুনতে হবে। আমি যা বলতে চাই আপনাকে শুনতে হবে। সব শুনতে হবে। আমি ইচ্ছে করে আপনাকে ঠকাইনি। যাকে আমি কখনও ভালোবাসতে পারব না কেন মিছেমিছি তার সাথে একটা সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে তার জীবনটা নষ্ট করে দিব বলুন?”

“তার মানে আপনি বলতে চাইছেন ডিভোর্স? আপু জিজুকে ডিভোর্স দিতে?”

“আমি সেটা বলতে চাইনি। আমি জাস্ট আমার বিষয়টা আপনাকে বললাম।”

“বাট বিলিভ মি। জিজু আমার মত খারাপ নয়! আপনি আমাকে ভালো না-ই বাসতে পারেন বাট জিজু আপুকে প্রচন্ড রকম ভালোবাসে তবুও আপু কেন এমন করছে? আমি না হয় খারাপ তাই পূর্বে আমার সাথে এমন হয়েছে। বাট আমার জিজু তো ভালো তার সাথে কেন এমন হচ্ছে? হোয়াই?”

“আপনি খারাপ এটা আমি আপনাকে বলতে চাইনি। আপনি খামোখা কথা প্যাঁচাচ্ছেন!”

“আচ্ছা ঐ সময় আপনি যেন কি বলছিলেন? নওশাদ ইজ অ্যা গুড পার্সন? আপনার পুরাতন প্রেমিকের চাচাতো ভাই বলে সে খু্ব ভালো মানুষ হয়ে গেল?”

দম ফেলে ফায়েয শক্ত গলায় বলল,

“পৃথিবী আপনার এখনও চেনা হয়নি সারাহ্ সানাম! তার এক ঝলক আজ আমি আপনাকে দেখাব।”

সানামের হাত টেনে ধরে ফায়েয শপিং কমপ্লেক্স থেকে বের হয়ে গেল। সানামকে তার গাড়ি ওঠিয়ে দিলো। মুহূর্তের মধ্যে গাড়ি উর্ধ্বগতিতে ছেড়েও দিলো। সানাম চুপ থাকল। দেখতে চাইল ফায়েয কি করছে। খানিক ক্ষণ বাদে কোটের সামনে এসে গাড়ি থামালো ফায়েয। কোটের ভেতরে সে সানামকে নিয়ে প্রবেশ করল। উকিলের রুমের জানালা দিয়ে ফায়েয উঁকি মারল। সানামকেও তাকাতে বলল। সানাম উকিলের রুমের দিকে তাকাতেই ফায়েয বলল,

“লুক হেয়ার। দেখুন আপনার এক্স বয়ফ্রেন্ডের বাড়ির দলিল এখন তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়ের হাতে!”

#চলবে____?

[আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। টানা তিনদিন আমার পরীক্ষা থাকায় গল্প লিখার সময় হয়ে ওঠেনি। রি-চেইক করা হয়নি। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here