আঁধারে_প্রণয়কাব্য #পর্ব____৬ #নিশাত_জাহান_নিশি

0
110

#আঁধারে_প্রণয়কাব্য
#পর্ব____৬
#নিশাত_জাহান_নিশি

“লুক হেয়ার। দেখুন আপনার এক্স বয়ফ্রেন্ডের বাড়ির দলিল এখন তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়ের হাতে!”

সূক্ষ্ম দৃষ্টি সানামের। কিয়ৎক্ষণ স্থির রইল সেই দৃষ্টি। এরশাদ শিকদার ও তার ছেলে নওশাদ দলিলটি পেয়ে যুদ্ধ জয়ের ন্যায় খুশিতে উৎফুল্ল। পৈশাচিক হাসি লেগে আছে তাদের ঠোঁটের কোণে। তা দেখে সানামের দৃষ্টি অধিক তৎপর হয়ে ওঠল। দলিলটিতে কি আছে তা দেখার জন্য। অতঃপর সানাম বুঝতে পারল অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যতীত এত দূর থেকে দলিলটি দেখা সম্ভব নয়। পরিশেষে সানাম ব্যর্থ হলো। ফায়েযের দিকে সন্দিহান দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। অবিশ্বাস্য গলায় শুধালো,

“আপনি কিভাবে শিওর হলেন যে ঐটা স্পর্শের বাড়ির দলিল? এখান থেকে তো দলিলের ‘দ’ ও দেখা যাচ্ছেনা। ফাইজলামি পাইছেন?”

ফায়েয হাসল। বিস্তর রহস্যময় হাসি হেসে বলল,

“জাস্ট ওয়েট এন্ড সি। চুপচাপ দাড়িয়ে দেখবেন আমি কি করি। পরিস্থিতি বুঝার ট্রাই করবেন। এন্ড ইয়াহ্ আপনাকে যা যা কোয়েশ্চন করা হবে তার রাইট আনসার দিবেন ওকে?”

সানাম কিছু বলার পূর্বেই ফায়েয টেনে নিয়ে সানামকে উকিলের ভরা রুমে দাড় করিয়ে দিলো! সানামকে আচমকা দেখে বাঘ দেখার ন্যায় আঁতকে ওঠলেন এরশাদ শিকদার এবং নওশাদ! ইতোমধ্যেই উকিল সাহেব তার চেয়ার থেকে ওঠে ফায়েয ও সানামকে শাসিয়ে বললেন,

“হোয়াট’স হ্যাপেন? আমার পারমিশন ছাড়া আপনারা আমার রুমে প্রবেশ করলেন কেন?”

ফায়েয মন্থর গতিতে উকিলকে শান্ত করে বলল,

“কুল মিস্টার ভন্ড উকিল, প্লিজ কুল! আমরা এখানে আপনার পর্দা ফাঁস করতে আসিনি! এসেছি কিছু ইনফেরশন আমার পাশে দাড়িয়ে থাকা টিউবলাইট মেয়েটিকে জানাতে!”

মুহূর্তেই উকিল ক্ষেপে গেলেন। চেয়ার ছেড়ে ওঠে তিনি উঁচু গলায় ফায়েযকে বললেন,

“কি বললি তুই? আমি ভন্ড উকিল? এতো বড়ো সাহস তোর? আমার কেবিনে এসে আমাকে ভন্ড বলছিস?”

“প্লিজ ডোন্ট সাউট মিস্টার ভন্ড উকিল। কেন নিজের পায়ে নিজে এভাবে কুঁড়াল মারছেন বলুন তো? আপনার জালিয়াতি আমার ফোনে রেকর্ড করা আছে! সামান্য কয়েকটা টাকার বিনিময়ে আপনি যেভাবে অন্যায়ভাবে একজনের দলিল অন্যজনের নামে হস্তান্তর করেন এসব তো আমার জানা।”

উকিল ভড়কে গেলেন! এরশাদ শিকদার ও নওশাদ তেতে ওঠল। এরশাদ শিকদার ফায়েযের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রশ্ন ছুড়লেন,

“এই ছেলে কে তুমি? আর সানাম-ই বা তোমার সাথে কি করছে?”

অট্ট হেসে ফায়েয বলল,

“ওহ্ রিয়েলি? আমাকে এখনও চিনতে পারেননি আপনি?”

এরশাদ শিকদারের টনক নড়ল এবার। ফোনে তাকে হুমকি দেওয়া ছেলেটিই তো স্বয়ং তার সামনে দাঁড়িয়ে। শুকনো ঢোঁক গিললেন এরশাদ শিকদার। নওশাদের দিকে ভীতিকর দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। নওশাদ বুঝতে পারল তারা যে ভয়টা পাচ্ছিল সেই ভয়টাই সত্যি হয়েছে! সানাম তেড়ে এলো এরশাদ শিকদারের কাছে। হেঁচকা টানে এরশাদ শিকদারের হাত থেকে দলিলটি নিয়ে সানাম দলিলটিতে চোখ বুলিয়ে বলল,

“দেখি দলিলে কি লিখা আছে।”

নওশাদ তাড়াহুড়ো করে সানামের হাত থেকে কাগজটি ছিনিয়ে নেয়ার পূর্বেই ফায়েয সানামের হাত থেকে দলিলটি কেড়ে নিলো। ফিচেল হেসে সানামকে বলল,

“আমি বলছি দলিলটিতে কি লিখা আছে। দলিলটিতে লিখা আছে যে, স্পর্শের সকল স্থাবর, অস্থাবর, এমনকি তার বাড়ির সম্পত্তিটুকুও এরশাদ শিকদারের নামে হস্তান্তর করা হলো। মৃত্যুর আগে এটাই ছিল স্পর্শের শেষ ইচ্ছে!”

সানাম আঁতকে ওঠল। এরশাদ শিকদার ও নওশাদের দিকে বিস্ফোরিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,

“কিন্তু স্পর্শ তো সবসময় চেয়েছিল তার মৃত্যুর পর তার সমস্ত স্থাবর, অস্থাবর এতিমখানায় দান করে দেয়া হবে। চাচা? নওশাদ ভাই? আপনারা এসব জানার পরেও দলিলটা আপনাদের নামে করলেন কেন?”

এরশাদ শিকদার পর্দা ফাঁসের ভয়ে জর্জরিত থাকলেও শক্ত গলায় সানামকে বললেন,

“দেখো সানাম? স্পর্শের মৃত্যুর আগের দিনের ঘটনা তো তুমি পুরোপুরি জানোনা। মৃত্যুর আগের দিন রাতে স্পর্শ হঠাৎ আমার রুমে আসে এবং আমাকে বলে যে, তার সকল সহায় সম্পত্তি সে আমার নামে লিখে দিয়ে যেতে চায়। আওলাদ বলতে তো দু-কূলে কেবল আমরাই আছি। নিজের আওলাদ বেঁচে থাকতে সে কোনো এতিমখানায় সম্পত্তি লিখে দিয়ে যেতে চায়না। দলিলে তার স্বাক্ষরও আছে। বিশ্বাস না হলে দেখে নাও।”

ফায়েযের হাত থেকে দলিলটি নিয়ে সানাম সম্পূর্ণ দলিলটি পড়ল এবং দলিলে থাকা স্বাক্ষরটিও দেখল। হয়রান হয়ে গেল সানাম। অতঃপর দলিল থেকে চোখ ওঠিয়ে সে সন্দিহান গলায় এরশাদ শিকদারের দিকে প্রশ্ন ছুড়ল,

“কিন্তু চাচা আপনারা তো এসব বিষয়ে আমাকে কিছু জানাননি।”

এরশাদ শিকদার বিরক্তি ধরা গলায় বলে ওঠলেন,

“তোমাকে জানানোর কি আছে সানাম? তুমিতো আমাদের আওলাদ নও! স্পর্শের উডবি ওয়াইফ ছিলে তুমি ব্যস এতটুকুই তোমার পরিচয়! আমাদের কোনো বিষয়ে ইন্টারফেয়ার করার কোনো অধিকার নেই তোমার। এই বিষয়টা তুমি যত দ্রুত বুঝতে পারবে ততই তোমার জন্য মঙ্গল হবে।”

সানাম আঘাত পেল৷ কথার আঘাতে তার ভেতরটা ঘাঁ হয়ে গেল। তীব্র অপমানিত বোধ করল। চোখে জল নিয়ে সানাম দলিলটি এরশাদ শিকদারের হাতে তুলে দিলো। বাকরুদ্ধ সে। এক ছুটে উকিলের রুম থেকে বের হয়ে গেল। নওশাদ রেগে মেগে ফায়েযের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালো। চোয়াল উঁচিয়ে শুধালো,

“তুই আবার এখানে এসেও হাজির? সানামের সাথে তোর কিসের সম্পর্ক?”

এরশাদ শিকদার অট্ট হেসে বললেন,

“সানামের নতুন টোপ মনে হয়! আশিক বানিয়েছে নতুন করে। মুখে মুখেই শুধু স্পর্শ স্পর্শ। কাজের বেলায় নতুন নাগর!”

ফায়েয শান্ত রইল। ক্ষিপ্রতা ভুলে আলতো হেসে চুল ঠিক করল। তবে এত স্বাভাবিক ভাব তার গাঁয়ে সইলনা। কিছু মানুষ আছে যারা হাজার চেষ্টা করেও তাদের স্বভাব পাল্টাতে পারেনা। ফায়েয নিয়ন্ত্রাধীন হয়ে ওঠল। অতঃপর বেশ কঠিন গলায় এরশাদ শিকদারকে বলতে বাধ্য হলো,

“দিন গুনতে থাক তুই। তোর বা’স্টার্ড ছেলে ও তোকে যদি আমি উলঙ্গ করে উল্টো লটকিয়ে না মারতে পারি তবে আমার নামও ফায়েয ফারনাজ চৌধুরী নয়!”

ফায়েয ফারনাজ চৌধুরী নামটি শুনে উকিল সাহেব শুকনো ঢোঁক গিললেন। এ তো তাদের এরিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী ও উপর মহলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বিখ্যাত ব্যাবসায়বিদ আকরাম ফারনাজ চৌধুরীর ছেলে! ফায়েযকে ক্ষেপানো যাবেনা উকিল বুঝতে পেরে গেলেন। তাই তিনি মগার মতো নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।

নওশাদের দিকে শেষবারের মতো ফায়েয রুদ্রাক্ষ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে উকিলের রুম থেকে প্রস্থান নিতেই এরশাদ শিকদার কড়া গলায় পেছন থেকে ফায়েযকে ডেকে বললেন,

“তোকে আমি দেখে নিব।”

“নো প্রবলেম। তুই বললে আমি তোকে উলুঙ্গ হয়েও সব দেখিয়ে দিব! তবে দেখাদেখির পর আর বাঁচাবাঁচি নেই! চামড়াসহ ছিঁলে ফেলব! যেন কাকপক্ষীটিও তোদের লাশ চিনতে না পারে।”

আর থামলনা ফায়েয। উকিল সাহেব রাগে ফোঁস করে এসে এরশাদ শিকদারকে বললেন,

“আপনি আর মানুষ পাননি? ফায়েযের মতো জ্বলন্ত এটম বোমের পেছনেই লাগতে হলো?”

এরশাদ শিকদার রেগে ওঠে বললেন,

“আমরা তার পেছনে লাগতে যাইনি। সে-ই আগ বাড়িয়ে এসে আমাদের পেছনে লেগেছে। সানাম তাকে লাগিয়েছে। ঐ সানামকে তো আমি।”

এত পেরেশানির মধ্যে থেকেও নওশাদ ব্যগ্র হাসল। তার বাবাকে শান্তনা দিয়ে বলল,

“প্লিজ কুল ডাউন বাবা। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে জানো তো? “যত গর্জে তত বর্ষে না।” ফায়েযের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হবে! ফায়েযকে কিভাবে জব্দ করতে হয় তা আমার বেশ ভালোভাবেই জানা আছে! তার আদরের বড়ো বোনের প্রাণ ভোমরা যে এখন আমার হাতে! বোনদের প্রতি ভাইদের নাকি আলাদা রকম টান থাকে? সেই টানকে কাজে লাগিয়েই আমি ফায়েযকে আমাদের পায়ের নিচে টেনে আনব!”

_______________________

অফিসে তিনঘণ্টা দেরি করে এলো সানাম! দুপুর তিনটের জায়গায় ছয়টায় এসে অফিসে ঢুকল সে! ম্যানেজার রাগী দৃষ্টিতে সানামের দিকে তাকিয়ে। কাজ থামিয়ে ডেস্ক থেকে ডেকে নেওয়া হয়েছে তাকে। মাথা নুইয়ে সানাম অপরাধীদের ন্যায় দাড়িয়ে। উগ্র মেজাজ নিয়ে ম্যানেজার সানামের দিকে জোরে একটি কলম ছুঁড়ে মারলেন! কলমটি এসে সানামের ঠিক কপাল বরাবর পরল! থতমত খেয়ে ওঠল সানাম। ম্যানেজার উঁচু গলায় বললেন,

“কাল থেকে তোমার অফিসে আসার দরকার নেই! এই মাসের মধ্যে একটা দিনও তুমি রাইট টাইমে অফিসে আসতে পারোনি। আর আজ তো সব লিমিটই ক্রস করে ফেলছ। কাল থেকে তোমার মুখটাও আমি এই অফিসে দেখতে চাইনা।”

সানাম ভীত ও অসহায় দৃষ্টিতে ম্যানেজারের দিকে তাকালো। কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,

“সরি স্যার। আর একটা চান্স দিন প্লিজ। সত্যি বলছি আমি এরপর থেকে আর….

আর কিছু বলার সুযোগ দেয়া হয়নি সানামকে। ম্যানেজার আঙুল দ্বারা ইশারা করে সানামকে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বললেন। চলতি মাসের বেতন পরিশোধ করে সানামকে চাকুরীচ্যুত করা হলো। সানাম হতাশ হয়ে সোজা অফিস থেকে বের হয়ে গেল। অবশেষে চাকরীটাও গেল তার। এবার কোথায় থাকবে সে, কি খাবে, কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করবে সেসব ভাবতে ভাবতে সে রোড সাইডে এসে দাড়াতেই ফায়েয গাড়ি থেকে নেমে এলো! সানামের মুখোমুখি দাড়িয়ে গলা ঝেরে বলল,

“আর ইউ ফাইন?”

সানাম অবাক হয়ে সামনে চোখ তুলে তাকালো। চোখের জল গড়িয়ে পড়া অবস্থায় সানাম হতভম্ব গলায় ফায়েযকে বলল,

“আপনি? আমাকে ফলো করছিলেন?”
“ফলো কি আজ থেকে করছি? বিগত দুই বছর ধরেই করছি!”
“অতীতের কথা ছাড়ুন। এখন কি কারণে ফলো করছিলেন বলুন?”
“ঐ সময় না বলে চলে এলেন কেন?”
“আপনার থেকে বলে কয়ে আসতে হবে কেন?”
“কজ আমি আপনার হেল্প করতে চাই!”
“কি হেল্প?”
“চলুন আশেপাশের কোনো রেস্টুরেন্টে বসি।”
“রেস্টুরেন্টেই কেন? এখানে বলুন?”
“দরকারটা কিন্তু আপনার। আমার নয়।”
“মন মেজাজ ভালো নেই আমার। কিছু বলার থাকলে এখানেই বলুন।”
“রোড সাইডে দাড়িয়ে ইম্পর্টেন্ট ম্যাটার নিয়ে ডিসকাস করব? এত আহাম্মক কেন আপনি?”

সানাম এদিক ওদিক তাকালো। তার অফিসের পাশেই দু’তলায় একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। ফায়েযের সাথে কোনো কথায় না জড়িয়ে সানাম মনমরা হয়ে সেই রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করল। ফায়েযও সানামের পিছু হাঁটা ধরল। চুলগুলো এলোমেলো করে ফায়েয প্যান্টের পকেটে হাত গুজল। আলতো হেসে বলল,

“এই দিনটারই তো অপেক্ষায় ছিলাম আমি সানাম। কবে দেওয়ানা হয়ে আমি আপনার পিছু পিছু ছুটব। আপনাকে আমি কতটা চাই তা প্রতিটা মুহূর্তে প্রতিটা সেকেন্ডে আপনাকে বুঝাব। আপনি চাইলেই সব সুন্দর হতো সানাম। এতদিনে আমাদের সুখের একটা সংসারও হয়ে যেত।”

রেস্টুরেন্টে বসল ফায়েয ও সানাম। খাবার অর্ডার করতে ব্যাস্ত হয়ে পরল ফায়েয। সানাম বিরক্তবোধ করল। ওয়েটার প্রস্থান নিতেই সানাম ক্ষিপ্ত গলায় ফায়েযকে বলল,

“খাওয়াদাওয়া করাটাই কি আপনার ইম্পর্টেন্ট কাজ ছিল?”

দিন দুনিয়া ভুলে ফায়েয মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় সানামের চোখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,

“এভাবে রেগে গেলে আপনাকে প্রচন্ড রকম বিশ্রী দেখায়। প্লিজ এটা করবেন না। আশেপাশের লোকজন আপনাকে দেখলে ভয় পাবে!”

“দেখুন আপনার সাথে আমি কোনো তর্কে জড়াতে চাইনা। কাজের কথা বলুন?”

“আপনারে ভালোবাইসা আমি দিন দুনিয়া সব ভুললাম। কিন্তু আপনারে ভুলতে পারলাম না। আমারে এত প্রকার দহন দিলেন, দুনিয়ার সুখ থাইকা বিচ্ছিন্ন করলেন, নেশাখোর আর আমার মধ্যে কোনো পার্থক্যই রাখলেন না, কোমলমতী মানুষ থাইকা বাঘের মতো হিংস্রতা শিখাইলেন এতকিছু করার পরেও আমি আপনার পিছনে দৌঁড়াই, প্রতিশোধের বদলে ভালোবাসা দেখাই, আমি নিজেই পথভ্রষ্ট হইয়া আপনারে সঠিক পথ দেখাই। কি অদ্ভুত না?”

সানাম মাথা নুইয়ে নিলো। অকাতরে চোখের জল ফেলতে লাগল। স্পর্শকে ছাড়া সে অন্য কাউকে ভাবতে পারছেনা। স্পর্শের মৃত্যু তার হৃদয় কাঁপিয়ে দিয়েছে। চাইলেও সানাম সেই দিনটি ভুলতে পারছেনা। তাই ফায়েযের অসীম ভালোবাসাও তার কাছে তুচ্ছ মনে হচ্ছে। সানামের মৌণতা ফায়েযকে মুহূর্তেই কঠিন করে তুলল। আবেগ ভুলে ফায়েয কড়া গলায় বলল,

“আমাকে ভালোবাসতে হবেনা আপনার। এটলিস্ট আপনার থেকে ভালোবাসা চাইনা আমার! জোর করে ভালোবাসা পাওয়ার চেয়ে সারাজীবন নিঃসঙ্গ কাটানো ভালো। সেই মনের জোর আছে আমার। বাই দ্য ওয়ে, এবার কাজের কথা বলি।”

দুঃখ নিবারণ করে ফায়েয গলা ঝেরে বলল,

“আই থিংক সেদিন স্পর্শের অ্যাক্সিডেন্টটা কাকতালীয়ভাবে হয়নি অ্যাক্সিডেন্টটা করানো হয়েছিল! আর স্পর্শের বাড়ির দলিলে তাকে জোর করে সাইন করানো হয়েছিল!”

#চলবে____?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here