আঁধারে_প্রণয়কাব্য #পর্ব____১৬ #নিশাত_জাহান_নিশি

0
216

#আঁধারে_প্রণয়কাব্য
#পর্ব____১৬
#নিশাত_জাহান_নিশি

“কাল রাত থেকেই সানাম দরজা বন্ধ করে বসে আছে বাবা। কিছুতেই দরজাটা খুলছেনা!”

সময় ব্যায় করলনা ফায়েয। ছুটে গেল সানামের শোবার ঘরের দিকে। ছটফট করতে লাগল সে। উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে ফায়েয দরজায় কয়েকবার টোকা মেরে বলল,

“সানাম শুনছেন? দরজাটা খুলুন।”

পাশ থেকে আফিয়া শিকদার চিন্তিত ও কান্না ভারী গলায় বললেন,

“এভাবে তাকে ডেকে লাভ নেই বাবা। তুমি বরং দরজা ভাঙার ব্যাবস্থা করো। সাইফা ও তার বাবাও তো বাড়িতে নেই, যে কারো সাহায্য নিব।”

ফায়েয এবার ব্যাপারটিকে গুরুতর ভাবে নিলো। কোনো অঘটন না ঘটলে নিশ্চয়ই সানাম এত ডাকাডাকির পরেও দরজা বন্ধ করে বসে থাকতনা। মাজরা কি জানতে হবে তার। বাইরে থেকে কয়েকজন লোক এনে ফায়েয দরজা ভাঙার ব্যাবস্থা করল। অনেক খাটাখাটুনির পর অবশেষে দরজা ভেঙে তারা রুমে প্রবেশ করতে সক্ষম হলো। মুহূর্তেই দুজন হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে গেল! বিছানায় উল্টে পড়ে আছে সানাম। পাশেই স্লিপিং পিলের পাতা। সেখান থেকে কয়েকটি স্লিপিং পিল নেই। আফিয়া শিকদার চিৎকার করে ওঠে সানামের পাশে বসলেন। সানামকে সোজা করে তিনি জ্ঞানহীন সানামের গালে চাপড় মেরে বলল,

“এটা কি করলি তুই মা? ঘুমের ঔষধ কেন খেলি?”

ফায়েয বিপর্যস্ত, বিমর্ষ। কপাল ঘঁষে সে উদ্বিগ্ন গলায় বলল,

“আন্টি এখন এসব বলে টাইম ওয়েস্ট করার সময় নেই। তাকে ইমেডিয়েটলি হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে।”

সানামকে ধরাধরি করে ফায়েয গাড়িতে ওঠিয়ে নিলো। আফিয়া শিকদার সানামের মাথার ঠিক পাশেই বসলেন। কান্নারত অবস্থায় তিনি অবিরত সানামের মাথায় হাত বুলাতে লাগলেন। মনের দুঃখ থেকে তিনি আওড়াতে লাগলেন,

“এতো বছর পর মেয়েটাকে কাছে পেয়েও আমি তাকে দেখেশুনে রাখতে পারলাম না। ঘাঁ এখনও শুকালো না মেয়েটার। সেই তো আকাম ঘটিয়ে বসল। মায়ের মনে আর কত আঘাত দিবি তুই?”

ফায়েয ড্রাইভিং সিটে বসল। ঘর্মাক্ত, চিন্তিত ও ভীত মুখশ্রী নিয়ে সে পিছু ফিরে একবার জ্ঞানশূণ্য সানামের দিকে তাকালো। বিড়বিড় করে বলল,

“আমি কল তুলিনি বলেই কি আপনি এটা কাজটা করলেন সানাম? নাকি এর পেছনেও অন্য কোনো কারণ আছে? তবে যে কারণই থাকুক না কেন কাজটা আপনি মোটেও ঠিক করেননি।”

ফায়েয উর্ধ্বগতিতে গাড়ি ছেড়ে দিলো। মিনিট পনেরোর মধ্যে তারা আশেপাশের একটি প্রাইভেট হসপিটালে পৌঁছে গেল। সানামকে ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করানো হলো। অতিরিক্ত স্লিপিং পিল সেবনের দরুন তার ভেতরে ইনফেকশন হয়ে হাল করুন হয়ে গেছে। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে তাকে ওয়াশ করে কেবিনে দেয়া হলো। আপাতত স্যালাইন লাগানো তার হাতে। জ্ঞান এখনও ফিরেনি তার। সানামের অবস্থার উন্নতি দেখে আফিয়া শিকদার কিছুটা স্বস্তি পেলেন।

খবরটি শুনে সিফরা ও তার বাবাও হসপিটালে ছুটে এলো। মাস্টার্সের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সিফরা তার বাবাকে নিয়ে গতকাল চট্টগ্রাম গিয়েছিল। আজ সকালেই তাদের ফেরার কথা ছিল। এরমধ্যেই এতকিছু ঘটে গেল।

সানামের এই জীবননাশী পদক্ষেপ নেয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছিলনা কেউ। কারণ, সে গতকাল খুশি খুশিই বাড়ি ফিরেছিল। তবে এরমধ্যে সিফরাকে বেশ বিচলিত দেখাচ্ছিল। গুমোট বেঁধে সে সবার থেকে দূরে দূরে থাকছিল! অপরাধ করার পর অপরাধীদের মধ্যে যেমন ধরা পড়ার ভয় কাজ করে তেমনি সিফরার মধ্যেও ঠিক সেই ভয়টাই কাজ করছিল! ফায়েয সেটা বেশ অনেকক্ষণ যাবত লক্ষ্য করে সিফরার মুখোমুখি দাড়ালো। সিফরার দিকে সন্দিহান দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। ভড়কে ওঠল সিফরা। শুকনো গলায় শুধাল,

“কিছু বলবেন ভাইয়া?”
“এক্সাম কেমন হলো?”
“এইতো মোটামুটি।”
“তোমার আপু তো এখন মোটামুটি সুস্থ। তবুও তোমার চোখে-মুখে এত ভয় কেন?”

তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ফায়েযের। থতমত খেয়ে সিফরা বলল,

“আপু পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া অবধি তো ভয় থাকবেই ভাইয়া। ইট’স নরমাল।”

“বাট তোমার চোখ অন্য কথা বলছে! বাই দ্য ওয়ে, ভয় পেওনা। তোমার আপু আজই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে। প্রে ফর হিম।”

সিফরার সামনে থেকে ফায়েয সরে দাড়ালো। সিফরা রুদ্ধশ্বাস ফেলল। চোখের কার্ণিশে জল ছুঁইছুঁই তার! বিরাট অনুশোচনা বোধ গ্রাস করতে লাগল তাকে। কি করে সে সানামের কাছে মুখ দেখাবে? সত্য যে আর চাপা নেই! কেউ না জানলেও অন্তত সিফরা তো জানে সানাম কেন হঠাৎয়ের মধ্যেই এই মরণনাশক সিদ্ধান্ত নিলো!

বিকেল অবধি সবাই অপেক্ষা করল। ফায়েযও সবার সাথে হসপিটালে রইল। অফিসের সমস্ত কাজ ফেলে রেখে সে সানামের পেছনে চুম্বকের ন্যায় চিপকে রইল। যেন দিন দুনিয়ার সবচেয়ে অবসর মানুষ সে। সানাম তাকে বেশ বড়ো সড়ো শোকই দিলো। ধাক্কা যেন সামলাতে পারছিলনা সে। ভীষণ ভাঙাচোরা অবস্থা তার।

প্রায় সন্ধ্যার দিকে সানামের জ্ঞান ফিরল। তার রিলিজ সম্পর্কিত কথাবার্তা বলার জন্য তার মা এবং বাবা রিসিপশনে গেল। সিফরা বাইরে দাড়িয়ে ঠায়। সানামের মুখোমুখি হতে বিরাট সংকোচবোধ কাজ করছে তার! ফায়েয কেবিনে প্রবেশ করল। দু-চোখের কোণ বেয়ে সানামের জলের ধারা গড়িয়ে পড়তে লাগল। কেমন বিষন্ন, নির্জীব, নিষ্প্রাণ অবস্থা তার। ফায়েয বিমূঢ় ও অপলক দৃষ্টিতে সানামের দিকে তাকিয়ে রইল। প্রশ্ন ছুড়ল,

“খুব শান্তি পাচ্ছেন, না? চোখের কোণে এসব আনন্দ অশ্রু?”

সানাম চোখমুখ খিঁচে নিলো। পূর্বের তুলনায় জলের ধারা দ্বিগুন গড়াতে লাগল। ফায়েয উদ্বিগ্ন হলো। প্রশ্ন ছুড়ল,

“কি সমস্যা আপনার?”
“আমি বাঁচতে চাইনা!”
“কারণ?”
“কোনো কারণ নেই। আমি জাস্ট বাঁচতে চাইনা।”
“কারণ ছাড়া কেউ নিজের মৃত্যু কামনা করেনা। বলে ফেলুন কি কারণ?”
“আমি এতো বোকা কেন? কেন বার বার মানুষ চিনতে ভুল করি?”
“আমি আবার কি করলাম?”
“আপনি নন।”
“তবে কে?”
“আছে কেউ একজন! আমি সত্যিই বাঁচতে চাইনা।”
“এই সামান্য কারণে আপনি নিজের মৃত্যু কামনা করছেন? আমি আপনাকে খুবই সাহসী, বুদ্ধিমতী ও ধৈর্যশীল মেয়ে ভাবতাম। এখন দেখি আপনি তার উল্টোটা।”

চোখ খুলল সানাম। নিশ্চল দৃষ্টি তার। বলল,

“আমার জায়গায় আপনি থাকলেও এটাই করতেন। সহ্য করতে পারতেন না।”

“বলেই দেখুন না। সহ্য করতে পারি কিনা তা পরে দেখা যাবে।”

“আপন পর সবাই আমাকে ঠকালো!”

ফায়েযের দৃষ্টি তৎপর হলো। তড়িৎ বেগে বলল,

“কি হয়েছে খুলে বলুন?”

সানাম অঝরে কেঁদে দিলো। অভিমানী গলায় বলল,

“কাল রাতে যদি আপনি আমার কলটা তুলতেন তবে আমার একা লাগতনা। দুঃখটা আপনার কাছে শেয়ার করে হালকা হতাম। মরণের পথ বেছে নিতে হতোনা!”

অপরাধবোধ হলো ফায়েযের। বুকে ভারী পাথর পড়ল এমন মনে হলো। ফায়েযের অহেতুক রাগের কারণে সানাম তার বিরুদ্ধে অভিমান, অভিযোগ করার সুযোগ পেল। সানামকে এই মুহূর্তে শান্তনা দেয়ার জন্য ফায়েয মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে বলল,

“কাল অনেক ক্লান্ত ছিলাম। তাই কলটা তুলতে পারিনি। এখন বলুন না হয়েছেটা কি?”

সানাম এদিক ওদিক তাকিয়ে শুধাল,

“সিফরা কোথায়?”
“বাইরেই দাড়িয়ে।”
“তাহলে পরে বলব!”

ফায়েযের সন্দেহই ঠিক হলো। সিফরার সাথেই সানামের কিছু একটা হয়েছে। বিষয়টিকে বাড়ালোনা ফায়েয। রয়ে সয়ে শুনতে চাইল। হসপিটালে অন্তত কোনো বাড়াবাড়ি না হোক।

সানামকে রিলিজ দেয়া হলো। রাতের দিকে তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরল সবাই। সিফরা তখনও দূরে দূরে রইল। ভেতরে ভেতরে পাহাড় চিবাতে লাগল! কেউ এখনও জানতে পারলনা সানাম কেন আত্নহননের পথ বেছে নিতে চেয়েছিল। আফিয়া শিকদার রান্না বান্নায় ব্যাস্ত হয়ে পড়লেন। কেননা, ফায়েয এখানে আছে। খালি রুম পেয়ে ফায়েয সানামের রুমে প্রবেশ করল। সানাম বিছানায় শুয়ে। ফায়েয গলা ঝাকালো। সানাম চোখ খুলল। চেয়ার টেনে ফায়েয সানামের পাশে বসল। ধীর কণ্ঠে শুধাল,

“এবার বলুন ঘটনা কি?”

লাগামহীন গলায় দ্বিধা সংকোচ ভুলে সানাম বলল,

“স্পর্শ সিফরাকে ভালোবাসত এমনকি সিফরাও!”

ফায়েয হয়রান হয়ে গেল। উত্তেজিত গলায় শুধাল,

“সিরিয়াসলি?”

ক্ষত গাঢ় হতে লাগল সানামের। অকাতরে চোখের জল ফেলে বলল,

“হ্যাঁ। আমার সাথে সম্পর্কে থাকা অবস্থায় স্পর্শ সিফরার সাথেও সম্পর্কে জড়িয়েছিল! যদিও সিফরাই স্পর্শকে তার প্রতি আকর্ষিত করেছিল!”

“ওয়েট ওয়েট। স্পর্শ যদি সিফরাকে ভালোই বাসত তাহলে আপনাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল কেন?”

ইতোমধ্যেই সিফরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গেল। কাঁদতে কাঁদতে সে ছুটে এসে সানামের পায়ে ধরে বসল! অপরাধী ও অসহায় গলায় বলল,

“এখানে স্পর্শ ভাইয়ার কোনো ভুল ছিলনা আপু! তুমি মরা মানুষটাকে নিয়ে ভুল ধারণা মনে পুষে রেখোনা।”

ফায়েয শক্ত গলায় সিফরাকে বলল,

“তাহলে সত্যিটা কি তুমিই বলো?”

সিফরা ডুকরে কাঁদল। আশঙ্কিত গলায় বলল,

“আপুর সাথে স্পর্শ ভাইয়াকে আমার এক পলক দেখেই ভালো লেগে গিয়েছিল। তখন আপুর সাথে স্পর্শ ভাইয়ার মাখামাখো সম্পর্ক ছিল। তবুও আমি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছিলাম ভাইয়াকে নিজের করতে। ভাইয়া প্রথম প্রথম আমাকে পাত্তা না দিলেও পরে আমার প্রতি সিরিয়াস হয়ে যায়! এভাবে কয়েকমাস চলতে থাকে। এর মাঝখানে আপু ও ভাইয়ার বিয়েও ঠিক হয়ে যায়। তখন থেকেই স্পর্শ ভাইয়া আমাকে অস্বীকার করতে শুরু করে। পরে ভাইয়া আমাকে বুঝায়, আমরা যা করছি ভুল করছি। এই সম্পর্ক থেকে আমাদের সরে যাওয়া উচিত!”

সানাম হেয়ো হাসল। বাকরুদ্ধকর গলায় বলল,

“এরপর তোরা দুজন আলাদা হয়ে যাস। কিন্তু স্পর্শের মনে তুই সবসময় ছিলিস!”

“হয়ত বা! কিন্তু আমাদের ভালোবাসায় পাপ ছিল বলেই হয়ত স্পর্শ ভাইয়াকে জীবন দিতে হয়েছিল! আমার পাপে স্পর্শ ভাইয়া ধ্বংস হয়েছে। তোমার কাছে আমার ক্ষমা চাওয়ার মুখ নেই আপু। তবুও ক্ষমা চাইছি। পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও!”

সিফরা কাঁদতে কাঁদতে রুমে থেকে বের হয়ে গেল। সানাম নির্বিকার। মানবমূর্তিতে পরিণত হলো। একটা দু’নম্বর ছেলের জন্য সে কিনা তার জীবনের পাঁচ পাঁচটা বছর নষ্ট করল? কত কষ্ট পেল, লাঞ্চনা ভোগ করল, কত ত্যাগ স্বীকার, কত লড়াই না করল। স্পর্শ না হয় বাইরের কেউ কিন্তু সিফরা তো তার আপন মায়ের পেটের বোন। সিফরা কিভাবে তার সাথে বেইমানি করতে পারল?

ফায়েযও নিশ্চুপ। সানামের দুঃখ সে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উপলব্ধি করতে পারছিল। মৌনতা ভেঙে ফায়েয বলল,

“আপনি ঠিক আছেন তো?”
“বিন্দাস আছি। একদম ঠিকঠাক।”
“বাহ্ খুব শক্ত কথা বলতে শিখে গেছেন তো।”
“আরও শক্ত হতে হবে আমাকে।”
“কতটা শক্ত? আমার মন ভেঙেচূড়ে চুরমার করে দেয়ার মত শক্ত?”
“উঁহু। নিজেকে গড়ে তোলার মত শক্ত! আপনি তো আগেরই ভাঙাচোরা! আপনাকে আর কি ভাঙব?”

ফায়েয আলতো হাসল! মনের অজান্তেই সানামের নাক টেনে দিলো! বলল,

“বুদ্ধি খুলেছে তবে। আহাম্মক থেকে ইনটেলিজেন্ট!”

সানাম নাক ফুলালো। অভিমান ঝরা গলায় বলল,

“আমার নাক টানার শাস্তি কিন্তু ভয়ঙ্কর হবে!”

ফায়েয অধর বাঁকিয়ে হাসল। রসিয়ে বলল,

“শাস্তি কোনো ব্যাপার নয়। আমি আপনার ভয়ঙ্কর ভালোবাসা হতে চাই! এরজন্য আমাকে যুগ যুগ অপেক্ষা করতে হলেও আমি করব। এই জাহানে আমার চেয়ে ভালো আপনাকে কেউ বাসতে পারবেনা।”

_________________________

“তোর কাছে ভালো কোনো ছেলে টেলে হবে?”

মনের আয়েশে সিগারেটে টান দিয়ে ফায়েয প্রত্যয়ের দিকে প্রশ্ন ছুড়ল। প্রত্যয় কপাল কুঁচকালো। সিগারেটে শেষ টান দিয়ে বেশ অস্বাভাবিক গলায় শুধাল,

“কেন? মেয়ের কি অভাব পড়েছে দেশে? গে দের মতো কথা বলিসনা!”

প্রত্যয়ের পাছায় লাথি মেরে ফায়েয বলল,

“শ্লা। বিয়ে করার জন্য নয়। বিয়ে করানোর জন্য।”

লাথি খেয়ে প্রত্যয়ের হুশ এলো। মুহূর্তেই ভাবভঙ্গি পাল্টে সে ঠোঁটের আলিজে মিচকে হাসি ফুটিয়ে তুলল। শার্টের কলার টেনে চুলটুল ঠিক করে বেশ পরিপাটি হলো। মেয়েদের মতো ইনিয়ে বিনিয়ে বলল,

“চোখের মাথা খেয়েছিস? আমাকে চোখে লাগেনা?”

#চলবে____?

[আসসালামু আলাইকুম। গল্পটা কি ভালো লাগছেনা পাঠকদের? গঠনমূলক মন্তব্য একদম নেই বললেই চলে! ভাবছি যতো দ্রুত সম্ভব গল্পটা শেষ করে দিব।🙃]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here