এক ম্লান রক্তসন্ধ্যার গান
লেখনীতে : নাফিসা তাবাসসুম খান
২.
বারো বছর। এক যুগ। এতগুলো বছরে দূর্জয় নামক মানুষটার বাহ্যিক গঠনে এসেছে অগাধ লক্ষ্যনীয় পরিবর্তন। কৈশোর দেহ বদলে সে রূপান্তর হয়েছে পরিপূর্ণ পুরুষে। তবে যে-ই একটা জিনিস বদলে নি তা হলো দূর্জয়ের মুখের গাম্ভীর্যতা।
সেই গম্ভীর চোখের পানে আর তাকিয়ে থাকার সাহস হয় না বাণীর। দৃষ্টি নত করে ফেলে সে। মনে মনে ভাবে দূর্জয় কি তাকে চিনে ফেললো? উঁহু। কোনো চান্স নেই। বাণীর মুখ ওড়না দিয়ে ঢাকা। তার বাহ্যিক গড়নেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। আর কেবলমাত্র চোখ দেখে চিনে ফেলার মতো কোনো গভীর সম্পর্ক তাদের মধ্যে কোনো কালেই ছিলো না। এই সাক্ষাৎ কেবল এক অনাকাঙ্ক্ষিত ইত্তেফাক ছাড়া আর কিছুই নয়।
মাথা নত রেখেই বাণী দূর্জয়কে পাশ কেটে চলে যেতে নেয়। তখনই পেছন হতে বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ ভেদ করে একটি শীতল কণ্ঠ এসে তার কানে প্রতিধ্বনিত হয়।
“ বাণী তালুকদার। “
বাণীর নগ্ন পা জোড়া থমকে যায়। দু চোখ বন্ধ করে বুক ফুলিয়ে গভীর নিঃশ্বাস নেয় সে। হাহ! বাণী তালুকদার? আসলেই কি সে বাণী তালুকদার? এটাই কি তার পরিচয়? নাহ। কখনোই না। বাণী পিছু ফিরে তাকায় না। মনে জমানো বিষাদ অনুভূতির বাক্স নিয়েই সে এন্টারেন্স গেট পেরিয়ে বেরিয়ে যেতে নিলেই সেই একই কণ্ঠ ফের বলে উঠে,
“ আমি জানি তুমি বাণী তালুকদার। আর আমি এটাও জানি তুমি আমাকে চিনতে ভুল করো নি। “
দমকা মাতাল হাওয়ার প্রকোপে নাকি দূর্জয়ের কণ্ঠস্বর শুনে বাণীর চিত্ত জুড়ে শিরশিরে অনুভূতি হলো তা অজানা। তার ঝিম ধরা মস্তিষ্ককে আরেকটু এলোমেলো করে দিতেই বোধহয় দূর্জয় এসে তার মুখোমুখি দাঁড়ালো। বাণী চোখ তুলে তাকায় না। দৃষ্টি আবদ্ধ রাখে নিজের পা জোড়ার দিকে।
দূর্জয় নিজের নির্লিপ্ত চোখ জোড়া মেলে অনিমেষ তাকিয়ে রয় বাণী নামক এই পরিপূর্ণ নারীর পানে। এতটা পরিবর্তন আদৌ সম্ভব? কালের পরিক্রমায় একটা মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আসতেই পারে। কিন্তু তাই বলে কি তার ভেতরকার সত্তাটাও বদলে যাওয়ার মতো পরিবর্তন কোনো স্বাভাবিক বিষয়? দূর্জয়ের মতে এ কোনো স্বাভাবিক বিষয় না। এই ভীত দৃষ্টি, আড়ষ্ট ভঙ্গিমার মালিকানা কভু বাণী হতে পারে না।
মনের ভাবনার ঝুলি চেপে গিয়ে দূর্জয় গলায় দাম্ভিকতা বজায় রেখে বলে,
“ আমার মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। আশা করছি তুমি সেগুলোর উত্তর দিতে কার্পণ্য করবে না। “
আত্মগরিমার দেয়াল ভেঙে দূর্জয়ের নিজ থেকে সেধে কথা বলা এবং আগ্রহ দেখে বাণী বিস্মিত। সেই বিস্ময় মনে লুকিয়ে রেখেই বাণী দৃষ্টি নত রেখে জবাব দেয়,
“ আমার কাছে আপনার কোনো প্রশ্নের উত্তর নেই। দয়া করে যেতে দিন। “
দয়া এবং বাণীকে একসাথে মিলাতে হিমশিম খাচ্ছে দূর্জয়। তবুও সে বলে উঠে,
“ আমি তোমাকে হসপিটালে নিয়ে এসেছি। আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তুমি যেতে পারো না। “
বাণীর হাসফাস লাগছে। তার দ্রুত অপেক্ষমাণ কারো কাছে পৌঁছাতে হবে। এদিকে দূর্জয় তাকে এভাবে জেরা করছে। বাণী তাড়া দেখিয়ে বলে,
“ দেখুন আমার তাড়া আছে। আমাকে হসপিটাল নিয়ে আসার জন্য আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু এখন আমার যেতে হবে। “
দূর্জয় তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে,
“ কোথায় যেতে হবে বলো। আমি পৌঁছে দিচ্ছি। আমার প্রশ্নের উত্তর তুমি গন্তব্যপথে দিতে পারবে। “
বাণী একপলক চোখ তুলে তাকিয়ে ফের দৃষ্টি নামিয়ে নেয়। মনের ভেতর কাজ করছে সংশয়। দূর্জয়ের প্রস্তাব একেবারে ফেরানোর মতো নয়। বাণীর সাথে কোনো ক্যাশ নেই। এই মধ্যরাতে অন্যকারো থেকে হেল্প নেওয়াও কতটা সেফ তারও নিশ্চয়তা নেই। এরকম পরিস্থিতিতে দূর্জয়ের সাহায্য গ্রহণ করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা দেখছে না সে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই সে বলে উঠে,
“ পাহাড়তলী পৌঁছাতে হবে আমার। “
__________
জঙ্গলের মধ্য দিয়ে টর্চ লাইট এবং রিভলবার হাতে নিয়ে দৌড়াচ্ছে রেইনকোট পরিহিত একদল পুরুষ। হন্য হয়ে খুঁজে চলেছে কাউকে। সেই দলের লিডার হিরণ হিংস্র স্বরে ডেকে চলেছে কেবল একটি নাম। তার হিংস্র স্বরের সাথে তাল মিলিয়ে ঘেউ ঘেউ করে ডাকছে গলায় শিকল পড়া দুটো কালো পোষা কুকুর।
পুরো জঙ্গল খুঁজেও যখন কাঙ্ক্ষিত মানুষকে পাওয়া গেলো না তখন হিরণ পা জোড়া থামিয়ে বড় বড় নিঃশ্বাস ফেলতে থাকে। প্রতিটা নিঃশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসছে তার তীব্র মাত্রার ক্ষোভ। দলের বাকি সকলে এই দৃশ্য দেখে তখন ভয়ে কপোকাত। সকলের মনেই উঁকি দিচ্ছে প্রাণ সংকট ভীতি।
নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক করে নিয়ে বেশ ঠান্ডা গলায় হিরণ দুটি ছেলের নাম উচ্চারণ করে। মুহুর্তেই ছেলে দুটো এক বুক ভয় নিয়ে হিরণের সামনে এসে দাঁড়ায়। মাথা নত রেখে তাদের একজন বলে উঠে,
“ সরি স্যার। চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে যে পালিয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না। “
হিরণ শব্দ করে হেসে উঠে। কোনো সাধারণ হাসি না। গা কাপানো পৈশাচিক হাসি। সেই অশরীরী হাসির শব্দ এবং মেঘে মেঘে স্ফুলিঙ্গের গর্জনের শব্দের মিলনে কুকুর দুটোও ভয়ে শান্ত হয়ে যায়। যেন এই হাসির মানে তারা জানে। হুট করেই হাসির শব্দ থেমে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই সেই ছেলে দুটোর দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রিভলবারে সেট করা সাইলেন্সারের কারণে কোনো কাক পক্ষীও শুনতে পেলো না বুলেট ছোড়ার তীক্ষ্ণ শব্দ।
হাতের রিভলবারটা নামিয়ে হিরণ হিংস্র দৃষ্টি মেলে বাকিদের দিকে তাকায়। অত:পর বেশ ভয়ংকর স্বরে বলে উঠে,
“ আকাশ পাতাল এক করে খোঁজ সবাই। অক্ষুণ্ণ অবস্থায় ওদের ফিরিয়ে আনতে না পারলে লাশের বন্যা বইবে। কাউকে জীবিত ছাড়বো না আমি। “
__________
গাড়ির খোলা জানালা দিয়ে বয়ে আসা শীতল বাতাসটা কেমন যেনো ভিজে ভিজে। শরীরে লাগতেই পোশম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি থেমেছে কিছুক্ষণ হলো। তবে আবহাওয়ার অবস্থা এখনও করুণ। রাস্তার দু ধারের গাছের সারি পেরিয়ে গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে সুনসান রাস্তা ধরে।
দূর্জয়ের দুই হাত গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে নিবদ্ধ। পাশের সিটে বসে থাকা বাণীকে আড়চোখে একবার পরখ করে ফের দৃষ্টি ফেরায় রাস্তার দিকে। বাণী এখনো মুখের ওড়নার বাধন খুলে নি। ভীত দৃষ্টি ভুলেও তুলছে না সে। যেন ধরা পড়ে যাওয়ার কোনো ভয় মনে কাজ করছে তার। বাণীর বাম হাতের অনামিকা আঙুলের হীরের আংটি টাও দূর্জয়ের দৃষ্টিগোচর হয় নি। তার মানে বাণী এখন বিবাহিতা। অবশ্য এটা হওয়াই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ২৬ বছর বয়সের একজন নারীর কুমারী থাকাটা খুব কমই চোখে পড়ে। তার উপর বাণীর পরিবার বেশ সম্ভ্রান্ত ছিলো। আনিসুজ্জামান তালুকদার নিশ্চয়ই নিজের মেয়ের জন্য কোনো সু পাত্র খুঁজতে কার্পণ্য করে নি।
মনের ভাবনা ঝেড়ে ফেলে দূর্জয় পরিষ্কার গলায় প্রশ্ন করে,
“ তুমি এই অবস্থায় হাইওয়ের মাঝখানে কি করছিলে? “
বাণী এরকম প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত ছিলো। তাই দৃষ্টি নত রেখেই সে নরম গলায় উত্তর দেয়,
“ পরিবারের সাথে ঘুরতে এসেছি চট্টগ্রামে। সন্ধ্যার পর একা সি বিচে ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম। তখন ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ি। ওরা আমার পার্স নিয়ে যায়। কোনো মতে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে হাইওয়েতে পৌঁছাই। “
দূর্জয় শান্ত মনে শুনলো বাণীর বলা মিথ্যে উত্তরটা। পাল্টা প্রশ্ন করলো না আসল সত্যটা কি? কাঠকাঠ গলায় সর্বদা সত্য বলে বেড়ানো মেয়েটা হাসফাস করতে করতে যেহেতু মিথ্যেটা বলেছে তার মানে সে দূর্জয়ের সাথে নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপারে কোনো কথা বলতে ইচ্ছুক নয়। দূর্জয়ও তাই আর এই ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় না। ইতিমধ্যে সে যথেষ্ট যেচে কথা বলে ফেলেছে নিজের আত্মগরিমা ভেঙে। এর থেকে বেশি সীমা লঙ্ঘন তার দ্বারা সম্ভব নয়।
গাড়ির ভেতরটা আলোকিত করে রাখা মৃদু আলোটা বাণীর কাছে বেশ অসহ্যকর ঠেকে। মনে হচ্ছে এই বুঝি এই আলোর সাহায্যে দূর্জয় তার লুকোনো কোনো কথা জেনে যাবে। মনের অসহ্যকর অনুভূতিটা মুখ ফুটে আর বলে না বাণী। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই দূর্জয় নিজেই সেই আলো নিভিয়ে দিয়ে শান্ত স্বরে বলে,
“ আলোটা আমার চোখে লাগছে তাই নিভিয়ে দিলাম। আপত্তি থাকলে বলো। “
বাণী কোনো টু শব্দ করে না। সে কিছুটা হাফ ছেড়ে বাঁচে। ভীত চোখ জোড়া তুলে সে পাশের ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা পুরুষকে এক পলক দেখেই দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়। গভীর চোখ জোড়া স্থির করলো জানালার বাহিরে। ডুব দিলো অতীতে। সময়টা যখন ১৪১৯ বঙ্গাব্দের মাঘ মাস। ইংরেজিতে সুস্পষ্ট ভাবে বললে সময়টা ২০১২ সালের জানুয়ারি মাস। হাড় কাঁপানো শীতের কুয়াশায় সম্পূর্ণ সিলেট যখন ঢাকা পড়ে আছে তখনকার কোনো এক সকালের চিত্র।
শোরগোলে পরিপূর্ণ ক্লাসের লাস্ট টেবিলে মাথা এলিয়ে চোখ বুজে রেখেছে এক কিশোরী। ইংরেজি মিডিয়ামে পড়ার দরুন তার গায়ে রয়েছে একটা সাদা শার্ট এবং কালো প্যান্ট। শীত হতে রক্ষা পেতে সাদা শার্টের উপর পড়েছে একটা কালো কোট। নিম্ন তাপমাত্রার ফলে তার সুডৌল নাকের আগাটা টকটকে লাল হয়ে আছে। ব্যাংস হেয়ারকাট দেওয়া চুলগুলো উঁচু করে পোনিটেল করা।
আচমকা সম্পূর্ণ ক্লাস নীরব বনে যায়। কিছু সময় গড়াতেই একটা বিকট শব্দে কিশোরীর তন্দ্রা ছুটে যায়। সে ধরফরিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলে,
“ ইয়েস ম্যাম। “
মোটা ফ্রেমের চশমা পরিহিত শিক্ষিকা বেশ রূঢ় স্বরে প্রশ্ন করে,
“ হোয়াই আর ইউ স্লিপিং ইন দ্যা ক্লাসরুম বাণী? “
বাণীর মনযোগ ততক্ষণে মিসকে অতিক্রম করে সুদূরে বোর্ডের সামনে ব্যাগ কাধে দাঁড়িয়ে থাকা নতুন ছাত্রের দিকে নিবদ্ধ হয়। ভাব ভঙ্গিহীন সেই কিশোরের কোটের উপর বুকের দিকটায় আটকে থাকা নেমপ্লেট হতে জেনে নেয় তার নাম। শাহরিয়ার দূর্জয়। বহুক্ষণ যাবৎ সেই নিখুঁত মুখটা এক ধ্যানে দেখে বাণী। তার ধ্যান ভাঙে মিসের বিরক্তি মিশ্রিত ডাক শুনে।
“ হোয়্যার ইজ ইউর মাইন্ড বাণী? “
মিসের থেকে সামান্য ধমক শুনে আপন চেয়ারে বসতেই বাণী লক্ষ্য করে তার পাশের চেয়ারে বসা আরমিনও হা হয়ে সেই নতুন ছাত্রের দিকে তাকিয়ে আছে। বাণী নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে আরমিনকে সতর্ক করে বলে উঠে,
“ ব্রাদার ইন লো কে খারাপ নজরে দেখতে হয় না আরমিন বেবি। “
আরমিন সরু চোখে বাণীর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে,
“ হু ইজ মাই ব্রাদার ইন লো? “
“ দ্যাট বয় দূর্জয়। ভবিষ্যতে গিয়ে এই ছেলেটা তোর বেস্ট ফ্রেন্ডের হাজবেন্ড হবে। আ’ম মেনিফেস্টিং এ ফিউচার উইথ হিম। “
অতীতের স্মৃতিচারণ হতে বেরিয়ে আসে বাণী। তার দু চোখ ভরা ছলছলে অশ্রুর দল। সামান্য প্রশ্রয় পেলেই যেন তারা চোখের কঠোর ঠেলে বেরিয়ে আসবে। কিশোরী বাণী কি জানতো তার ছোট খাটো সেই তথাকথিত ক্রাশ এট ফার্স্ট সাইট নামক অনুভূতিটা কি এক তীব্র মহামারীতে রূপ নিবে? কিশোরী বাণী কি কভু জানতো তার ভবিষ্যতে কি অপেক্ষা করছে? উঁহু। জানতো না। জানলে সে পালিয়ে যেতো বহু পূর্বে। সব ছেড়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যেতো। মুছে দিতো নিজের অস্তিত্ব।
দূর্জয়ের শান্ত স্বরে বানীর সম্বিত ফিরে।
“ পৌঁছে গিয়েছি। “
বাণী একপলক দূর্জয়কে দেখে ব্যস্ত হাতে নিজের সিট বেল্ট খুলে গাড়ি থেকে নেমে আসে। দ্রুত পায়ে এগিয়ে যায় রাস্তার পাশে ইটের তৈরী একতলা বাড়িটার সামনে। কলিংবেল বাজিয়ে অপেক্ষা করে দরজা খোলার। পুরোটা সময় এক মুহুর্তের জন্যও সে পিছনে ফিরে তাকায় না।
দূর হতে অস্থির ভঙ্গিতে দ্বার প্রান্তে অপেক্ষারত বাণীকে দেখতে থাকে দূর্জয়। ঠিক সেই মুহুর্তে তার ফোনটা শব্দ তুলে বেজে উঠে। ফোনটা রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে গম্ভীর স্বরে আসে কঠোর অর্ডার। অর্ডার মানতে বাধ্য দূর্জয় গম্ভীর স্বরে উত্তর দেয়,
“ এখুনি আসছি। “
ব্যস। ফোনটা রেখে শেষ বারের মতো বাণীকে দেখে নিয়েই দূর্জয় গাড়ি স্টার্ট দেয়। শা শা শব্দ তুলে প্রস্থান করে সেখান থেকে। হয়তো আর এক মুহুর্ত অপেক্ষা করলেই সে দেখতে পেতো দরজা খুলে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা ছোট্ট এক মানবীকে। যাকে দু’হাতে বুকে জড়িয়ে নিয়েছে বাণী।
চলবে…
[ কপি করা কঠিনভাবে নিষিদ্ধ ]