রোদরঞ্জন #পর্ব_২৯ #আসরিফা_মেহনাজ_চিত্রা

0
149

#রোদরঞ্জন
#পর্ব_২৯
#আসরিফা_মেহনাজ_চিত্রা

[অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ। কার্টেসি সহ কোনো পেজেও কপি করা যাবে না।]
.
.

‘পলক! পলক, এই পলক!’

কারো ফিসফিসানির আওয়াজে পলকের জ্ঞান ফিরে। তার মাথা ভার। ঝাপসা চোখ আধো আলোতে মেলে তাকানোর চেষ্টা করতেই বন্ধ করে ফেলল প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হতেই। মাথার পেছনে শিরশির করছে ব্যথায়। আবারও শোনা যায় কারো উদ্বিগ্ন মিহি কণ্ঠের ফিসফানি,

‘এই পলক, উঠুন না। পলক!’

পলক ঘোলাটে চোখ মেলে। ঝাপসা চোখে দেখে তার ভালোবাসার মানুষটি তার খুব কাছে ঝুঁকে আছে। ইনান!‌ কথা বলার চেষ্টা করতেই গলায় কণ্ঠস্বর আটকিয়ে আসে।

‘ই..!

ইনান স্বস্তি পেল পলককে চোখ খুলতে দেখায়। সে দ্রুত পলকের হাত ধরে উঠে বসানোর চেষ্টা করে। ইনানের উপর ভর দিয়ে পলক উঠে ইনানের কাঁধের উপর ভির দেয়। আশপাশে নজর দেয়, একটা গোডাউন টাইপ জায়গায় তারা আছে। ইনানের দিকে তাকায় প্রশ্নবোধক চাহনিতে। দেখে ইনান কাঁদছে। চুলগুলো এলোমেলো হয়ে ঘামে লেপ্টে আছে কপালে। চোখমুখ শুকনো। অশ্রুর দাগ বসে গেছে গালে। কতক্ষণ ধরে কাঁদছে মেয়েটা?

‘পলক, আমাদের এখান থেকে পালাতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব।’ চারিদিক তাকাতে তাকাতে সাবধানের বাণীতে বলল ইনান।

পলক মুখ খুলল কিছু বলার জন্য, তার আগেই ইনান পলকের মুখ চেপে ধরে হাত দিয়ে। নিজের ঠোঁটে তর্জনী রেখে গলা খাদে নামিয়ে বলল,

‘জোরে কথা বলবেন না, উনি শুনে ফেলবে!’

‘তোমার স্বামী?’ ইনানের মতো করে বলল।

ইনান মাথা ঝাঁকায়, ‘উনি অনেক ভয়ানক।’

‘কোথায় সে?’

‘দোতলায়।’

পলক ইনানের কাঁধে হাত রেখে আরেক হাত পকেটে চালান করে। কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি না পেয়ে বলল,

‘আমার মোবাইল কোথায়?’

‘উনি রেখে দিয়েছেন।’ ইনান হেঁচকি তুলে বলল, ‘আমাদের হাতে সময় নেই। উনি যেকোনো সময় চলে আসবে। পালাতে হবে আমাদের পলক।’

এই ঘোর বিপদের মাঝেও পলকের ঠোঁটে হাসির ঝলক দেখা দেয়,

‘এই ফার্স্ট তুমি আমাকে আমার নাম ধরে ডেকেছ ইনান।’

ইনান বিরক্ত হয়, ‘এসব নাটকের সময় নেই। উঠুন আপনি।’

ইনান পলকের হাত ধরে উঠায়। পলক এক হাতে ইনানের কাঁধ ধরে নিজের ভারসাম্য রাখে। ইনান পলককে ধরে ধরে গোডাউনের বাইরে নিয়ে আসে।

‘কোথায় আছি আমরা?’

‘জায়গাটার নাম নেই। জঙ্গলের মাঝেই।’

‘তুমি এখানে থাকো।’

‘হু।’

পলক অবাক হয়। ইনানকে যতদূর চিনে সে খোলামেলা জায়গায় থাকতে পছন্দ করে বেশি। এই নির্জনে একলা পড়ে থাকাটা ওর পছন্দ না। ও থাকতে চায় শত মানুষের ভিড়ে।

‘কোনদিকে যাবো?’

‘রাস্তার দিকে যাওয়া সম্ভব না। উনি ধরে ফেলবে সহজে। জঙ্গলের দিকে যাওয়া যায়।’

‘জঙ্গল ধরে কোনো রাস্তা কি মেইনরোডে উঠেছে?’

‘উঠেছে মেবি। খেয়াল নেই। কিন্তু আমাদের আগে এক জায়গায় লুকিয়ে থাকা দরকার। যাতে উনি খুঁজে না পায়।’

ইনান পলককে সাথে নিয়ে জঙ্গলের পথে হাঁটা ধরল। গোধূলি আলোকে ভরসা করে।

.

তখন জেহফিল ইনানকে আর পলককে টেনেহিঁচড়ে তার গাড়িতে উঠায়। ইনান সাহায্যের জন্য অনেকবার চিৎকার করলেও ফাঁকা রাস্তায় কারো টিকিটার দেখা পেল না। জেহফিলের হাত থেকে ছাড়া পাবার অনেক চেষ্টা করেছে ইনান। জেহফিল ইনানের গলা থেকে ওড়না নিয়ে ইনানের হাত পেছনে নিয়ে বেঁধে গাড়িতে ওঠায়। আর পলকের মাথার চুল খামচে ধরে টেনে গাড়ির ডিকিতে আছড়ে মারে। ইনান যাতে কথা না বলতে পারে তাই মুখে রুমাল গুঁজে দেয় জেহফিল।

তার মুখ অস্বাভাবিক রকমের শান্ত। এটা যে ঝড়ের পূর্বাভাস তা ভালোই বুঝতে পারছে ইনান। সে সয়ে নিতো এই ঝড়, কিন্তু পলক! সে দোষ না করেই যে শাস্তি পাবে! তাও ইনানের জন্য!

রাস্তায় কয়েকবার ইনান জেহফিলের সিটের পেছনে পা দিয়ে ধাক্কা দিয়েছে, যেভাবে পেরেছে সবভাবেই জেহফিলকে থামাতে চেয়েছে। বাধ্য হয়ে জেহফিল ইনানের পায়ের সাথে পা পেঁচিয়ে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিয়েছে। পা পেঁচানোর ফলে পায়ে ব্যথার কারণে আর কোনো কিছু করার সুযোগ পায়নি ইনান।

বাসায় এসে পলককে সবার আগে গোডাউনে ফেলে ইনানকে নিয়ে উপরে চলে আসে। ইনান কাঁদতে কাঁদতে জেহফিলের কাছে মিনতি করেছিল, জেহফিল শুনেনি। ইনানকে রুমে আটকে রেখে সে চলে যায় অন্য রুমে। ইনান দরজা ধরে অনেকক্ষণ বারি দেয়ার পর তার মাথায় আসে ডুপ্লিকেট চাবিটা আলমারিতে আছে। সেটা নিয়ে খুব সাবধানে দরজা খুলে। জেহফিলের আর্টরুম থেকে আওয়াজ আসায় সেখানে পা টিপে টিপে উঁকি মারে। দেখে জেহফিলের হাতে ফিতা জাতীয় কিছু, আর নিচে কয়েকটা লাঠি আর রড, তার চেহারা রক্তবর্ণ, কপালের রগ ফুলে আছে। ইনান বুঝে যায় জেহফিল যে পলককে শাস্তি দিতে চলেছে‌। জেহফিল যখন কাজে ব্যস্ত সেই সুযোগে ইনান রুমের দরজা আলতো করে আটকে দেয়। ঘরের তালা নিয়ে মেইন দরজাও আটকে চলে যায় গোডাউনে। পলককে নিয়ে পালানোর উদ্দেশ্যে। সে বাঁচুক নয় মরুক, পলককে বাঁচাতে হবে।

.

ইনান আর পলক জঙ্গলের সাইড ঘেঁষে হাঁটছে। যেখানে পাতা কম। যাতে আওয়াজ না হয়। আর যাতে গভীর জঙ্গলে হারানোর আগেই জঙ্গল থেকে বের হওয়া যায়।

প্রায় বিশ মিনিটের মতো হাঁটল তারা। ইনান এই জঙ্গল ধরে এসেছিল একবার। ফ্রেন্ডদের সাথে। তাই এই সন্ধ্যার লালচে আলোতে পথটা হালকা চিনতে পারছে। আবার চাঁদের আলোতেও পথ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

ইনানের মাথায় অন্য চিন্তা। জেহফিল নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছে তাদের পালানোর খবর! যে করেই হোক পলককে নিরাপদে কোথাও পৌঁছে দিতে হবে।‌ যাতে জেহফিলের হিংস্রতার শিকার না হতে হয় পলককে।

‘ইনান, আলো দেখা যাচ্ছে।’ হঠাৎ পলক বলে উঠল।

ইনান ভয় পেয়ে গেল। জেহফিল এসে গেছে কি? কিন্তু না, আলোটা দেখা যাচ্ছে কোনো রাস্তায় চলার গাড়ির। ইনানের মনে যেন প্রশান্তির শীতল বাতাস বয়ে গেল।

সে পলককে ধরে রাস্তায় উঠল। কিন্তু রাস্তায় উঠতেই চমকে গেল। এই রাস্তাটা জেহফিলের বাসার সামনের রাস্তা ধরেই এসেছিল। তার মানে তারা শুধু শুধু জঙ্গলের পথ ধরে হেঁটেছে! রাস্তা দিয়ে আসলে আরো আগেই বহুদূর যেতে পারত! ইনান নিজের বোকামির জন্য মনে মনে নিজেকেই গালি দিলো।

এগিয়ে আসছে একটা বাইক। ইনান হাত নাড়িয়ে বাইকটা থামায়। এখন আর সন্ধ্যার লালচে আলো নেই। এখন রাতের শুরু।

বাইক থেকে দুজন নেমে আসে। তাদের মাথায় হেলমেট। ইনান আকুল গলায় বলল,

‘দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন, আমরা অনেক বড় বিপদে পড়েছি।’

বাইকের একজন হঠাৎ দৌড়ে আসলো পলকের কাছে। অস্থির হয়ে পলকের গাল ধরে বলল,

‘কী হয়েছে তোমার পলক? রক্ত কেন গলায়?’

ইনান আর পলক দুজনেই চমকে গেল মেয়েলি কণ্ঠ শুনে। চিনে ফেলল এটা যে রুহি। রুহি মাথার হেলমেট খুলল। শরৎও এগিয়ে আসলো। কৌতুহলী হয়ে বলল,

‘এই অবস্থা কেন আপনাদের? ইনান, কী হয়েছে?’

‘এত কিছু বলার সময় নেই এখন। তুই প্লিজ পলকে নিয়ে এখান থেকে চলে যা। উনি আহত।’

পলক ততক্ষণে ইনানের হাত চেপে ধরেছে,

‘তোমাকে একা ছাড়ছি না ইনান। জেনেবুঝে তোমাকে সিংহের গর্তে ঠেলে দিতে পারি না।’

ইনান পলককে ঠেলতে লাগল রুহিদের সাথে যাওয়ার জন্য।

রুহি আর শরৎ অবাক হয়েই চেয়েছিল। রুহির মনে তখন হিংসার আগুন জ্বলে উঠছে। পলক যেভাবে ইনানকে চেপে ধরেছে যেন বহুদিন পল ফিরে পাওয়া স্ত্রীকে ধরেছে। রুহির বুকে সাড়াশির মতো কিছু একটা বিঁধল যেন। চোখে জমল জল। পলককে সে অন্য মেয়ের সাথে দেখতে পারে না। ইনানের উপর জমে থাকা ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। শরৎএর হাত ধরে ফিসফিস করে বলল,

‘এদের মধ্যে কী হয়েছে জানার দরকার নেই। আমি পলককে নিয়ে চলে যাচ্ছি, তুই ইনানকে সামলা।’

বোনের কথার আড়ালে থাকা কূটনৈতিক ইঙ্গিত ধরে ফেলল শরৎ। লোভাতুর হয়ে উঠল চোখ দুটো। চাঁদের আলোতে ঝিকমিক করা ইনানের ফ্যাকাশে মুখ, আর কাপড়ের অবিচ্ছিন্ন অবস্থা দেখে জিভে জল চলে এলো তার। এরকম সুযোগ কয়জনে হাতছাড়া করে?

রুহি মুখে করুণার ভাব ফুটিয়ে পলকের কাছে এসে বলল,

‘আই থিংক তোমার হেল্প দরকার বেশি। ইউ আর ইনজুরড। শরৎ বরং ইনানকে নিয়ে আসুক। আমি তোমাকে নিয়ে হসপিটালে যাই।’

এই বলে পলককে টেনে আনতে লাগল। কিন্তু পলক যেন পণ করেছে যাবেই না ইনানকে ছাড়া। ইনানের মনে ভয় হতে লাগল কখন না জানি জেহফিল চলে আসে। সে পলককে ঠেলে বাইকে উঠায়।

‘আমিও আসছি শরৎএর সাথে। আপনার সত্যিই চিকিৎসার দরকার আগে।’

জোরাজুরির পর পলক রাজি হয় যেতে। তবে আগে রুহিকে বলল ফোনটা দিতে, সে তার ফোর্সদের কল করবে। কিন্তু রুহি মিথ্যে বলল যে তারা কেউই ফোন নিয়ে বের হয়নি।

পলক বাইকে উঠে রুহির পেছনে বসে। তাদের বাইক ছাড়ার পর পরই শরৎ ইনানকে চেপে ধরে নিজের সঙ্গে।

ইনান হতচকিত হয়ে বলে, ‘কী করছিস, হাত ছাড়।’

শরৎ ছাড়ল না। ইনানের জামায় হাত দিয়ে কুৎসিত হেসে বলল,

‘নাউ আই ক্যান টেক মাই রিভেঞ্জ।’

শরৎএর উদ্দেশ্য বুঝতেই আতঙ্কে নীল হয়ে যায় ইনান। ফ্রেন্ডের থেকে এই ধরনের আশা করেনি সে। ভয় পেয়ে চিৎকার দেয় সে। শরৎ ইনানকে রাস্তার পাশেই জোর করে ধরে জঙ্গলে নিয়ে যেতে চায়। ইনান আর ওর মাঝে একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সেই সময় ইনান খেয়াল করে রাস্তার মাঝে দুর্বল পায়ে দৌঁড়ে আসছে পলক। তার পেছন পেছন ছুটে আসছে রুহি।

পলক এসেই শরৎএর উপর হামলে পড়ে। শরৎকে মাটিতে ফেলে হাত দিয়ে মুষ্টাঘাত করতে করতে বলে,

‘শু’য়োরের বাচ্চা, তোর হাতে আমি ইনানকে ভরসা করে ছেড়ে দিয়েছি ওর সম্ভ্রম লুট করার জন্য?’

একের পর এক আঘাত করতে থাকে শরৎকে। রুহি এসে পলককে সরায়। শরৎও উঠে পলকের সাথে মা’রামারি শুরু করে দেয়।

পলক দুর্বল থাকায় শরৎ সহজেই তাকে পরাস্ত করে। ইনানও রুহির সাথে পেরে উঠে না। রুহি ইনানের হাত মট করে ধরেছে যে ইনান এদিক ওদিক নড়তে পারছে না চোখের পানি ফেলা ছাড়া।

পলক শরৎএর মেইন পয়েন্টে আঘাত করলে শরৎ লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। সেই সুযোগে পলক রুহিকে ধাক্কা মেরে ইনানকে নিয়ে দৌঁড়ে পালায় জঙ্গলের মাঝে। শরৎ আর রুহিও তাদের পিছু ছুটে আসে।

জঙ্গলের মাঝে বেশিদূর এগোতে পারে না তারা। পলক তাই ইনানকে নিয়ে একটা বড় গাছের নিচে গর্তে লুকিয়ে পড়ে। ইনানকে নিজের বুকে শক্ত করে ধরে রাখে।

রুহি আর শরৎ এদিকটায় হাঁপিয়ে এগিয়ে আসে।

‘এদিকেই আছে কোথাও লুকিয়ে।’ রুহি শুধায়।

‘শালাকে আজ ছাড়ছি না, আমার মুখ থেকে খাবার কেড়ে নেয়া?’ শরৎ রাগত গলায় বলল।

রুহি হঠাৎ শরৎএর শার্ট ধরল। তীক্ষ্ণ চোখে চারিদিকে নজর বুলিয়ে ফিসফিস করে বলল,

‘উই শ্যুড গো।’

‘কেন?’

‘কেউ আসছে মনে হচ্ছে।’

শরৎও কান পেতে দূর থেকে আসা পাতার কড়মড়ে আওয়াজ শুনল, ‘কে আসবে এই জঙ্গলে?’

‘কোনো পশু হতে পারে? যেই আসুক আমাদের পালানো উচিৎ।’

রুহি এবার শরৎএর হাত ধরে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসলো‌। আগে নিজেদের প্রাণ বাঁচানো জরুরী। তারা নিজেদের বাইকে করে উঠে পালাল।

এদিকে ইনানকে জড়িয়ে ধরে আছে পলক। ইনানের বুকের ধুকপুকানি পলক স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে। সে ইনানের দিকে তাকায়। চাঁদের আলোয় ইনানের ভয়ার্ত চোখ আর কম্পিত ঠোঁট দেখা যাচ্ছে। ইনান একটু পর পর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিচ্ছে যেটা পলককে বারবার আকর্ষিত করছে। ইনানের শরীরের ঘ্রাণে তার মাতাল হওয়ার জোগাড়। এই প্রথম ইনানের এত কাছে আসা, জড়িয়ে ধরা! ইনানের মোহিত করা ঠোঁট আর ঘ্রাণে পলক ভুলে গেল তারা যে বিপদে আছে, ভুলে গেল তার প্রেয়সী যে বিবাহিত। মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিলো। মনের ভেতর কেমন নেশালো এক অনুভূতি তাকে ঝাপটে ধরে আছে।

ইনান যখন কারো আওয়াজ না পেয়ে পলকের উপর থেকে উঠতে যাবে সেই সময় পলক অচিন্তনীয় একটা কাজ করে ফেলল। ইনানের কোমর চেপে তার ঠোঁটে চুমু দিলো সে।

.
.
চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here