রোদরঞ্জন #সূচনা_পর্ব #আসরিফা_মেহনাজ_চিত্রা

0
275

[পর্বের শেষে লেখা ওয়ার্নিংটুকু মাস্ট পড়বেন, আই রিপিট, মাস্ট পড়বেন। এটা না পড়ে গল্প শুরু করবেন না।]

‘ভালোবাসা কতটা কঠিন, জানো প্রিয়তমা? এরচেয়েও কঠিন তো সেই ভালোবাসাকে আগলে রাখা! দুহাতে, যত্ন সহকারে… এ যে যুদ্ধসম! আমার প্রাণেশ্বরী, আমার হৃদয় হরণ করা প্রিয়া; আমি জানি না কীভাবে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করতে হয়! আমি শুধু জানি তুমি আমার, তোমার শেষ ঠিকানা আমি। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এ পৃথিবীতে কারোই শক্তি নেই তোমার থেকে আমাকে আলাদা করার। যদি তুমি নিজ ইচ্ছায় আমার থেকে দূরে সরে যেতে চাও ভালোবাসা আমার… পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে, ছাই হবে এই ধরাধাম, তবুও তোমার হাত ছাড়ছি না আমি, বেঁধে রাখব শক্ত করে। যদি ভেবে থাকো মৃত্যু আমাদের আলাদা করবে.. সেই ভাবনাও মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো। আত্মা হয়ে তোমার পিছু নিবো।

ইতি
তোমার শেষ ঠিকানা, তোমার পাগলাটে প্রেমিক..’

ধূলোয় জমে থাকা ডায়েরির এই লেখাটুকু পড়ামাত্র লাজুক হাসির ছোঁয়া লাগলো ইনানের ঠোঁটে। ওড়নার আঁচল দিয়ে সযত্নে ধূলোমাখা ডায়েরিটা পরিষ্কার করল। লেখাটুকুতে ঠোঁট আলতোভাবে ছোঁয়ালো বহুবার। আবার পড়ল.. মৃদু হাসল। উষ্ণ হয়ে গেল তার কান। এ কেমন পাগল! তার প্রেমে এতটাই কেন মাতোয়ারা এই ছেলেটা? যাকে কিনা সে কখনোই অন্য দৃষ্টিতে দেখেনি, নিজের মনের কুঠুরীতে জায়গা দেয়নি, আজ তার কাছেই ছুটে যেতে হয়! কেন পৃথিবী? কেন তোমার এই নিয়মগুলো ধাঁধায় জড়ানো? কেন এত প্রহেলিকা?

সালটা ২০২২
——————

আজ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছে ইনান। সূর্যের নরম আলো জানালা ভেদ করে ইনানের স্নিগ্ধ মুখটায় ছড়িয়ে পড়ল। আড়মোড়া ভেঙে কয়েক মিনিট নিশ্চুপ বসে রইল সে। ব্রেইন কাজ করছে না আপাতত। এটা সবসময়ই হয় তার সাথে। ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ বসে থাকতে হয় ব্রেইনের ফাংশান ঠিকঠাক চালু হওয়ার জন্য। সে কে, কোথায় আছে, কেন আছে, এগুলা ভাবতেই তার মিনিট খানেক চলে যায়।

ভাবনা শেষ করেই পায়ে হ্যালো কিটির স্লিপার পরে দ্রুত ছুটল রান্নাঘরে। আজ একটা বিশেষ দিন। এ দিন কীভাবে ভুলতে পারে সে? কফি মেকারে বাবার জন্য ব্ল্যাক কফি তৈরি করে নেয়। দ্রুত ডিম ভেজে নিয়ে ব্রেডের সাথে প্লেটে সাজায়। সেগুলো ডাইনিং এ এনে আবার ফ্রিজ থেকে লেবু বের করে গরম পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে ছুটল নিচ তলার কোণার রুমটায়। দরজায় নক করার ঠিক আগেই ভেতর থেকে শব্দ আসে,

‘দরজা খোলা আছে আম্মু’

শিট! ইনান হতাশায় কপালে হাত দেয়। তার প্ল্যান আনসাক্সেসফুল হওয়ার মুখ ছোট করে রুমে ঢুকে। এই দিনটাতে সে কোনোদিন বাবার আগে উঠে বাবাকে সারপ্রাইজ করতে পারেনি। উল্টো তার বাবাই আগে উঠে তাকে চমকে দেয়। আজও হলো তাই। গত কয়েক বছরে ইনান চেষ্টা করেছে এই দিনটাতে সকালের ব্রেকফাস্ট তৈরি করে লেবুর শরবত হাতে বাবাকে ঘুম থেকে তোলা। কিন্তু প্রতিবারই দেখা যায় তার আগেই তার বাবা ঘুম থেকে উঠে রেডিটেডি হয়ে বসে আছে।

ইনান দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে। তার বাবা ইফাজ খান পুলিশের পোশাক পরে রেডি হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছিলেন। ইনানকে মুখ ছোট করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিনি চমৎকার হাসলেন।

‘আজকেও কি তুমি ফেল করলে মামনি?’

ইনান গোমড়া মুখে বলে, ‘মনে করিয়ে দিতে হবে না যে আমি ফেল। তুমি কীভাবে এত তাড়াতাড়ি উঠলে আজ? আমি তো এলার্ম সেট করেছি নয়টায়।’

ইফাজ মেয়ের কাছে এসে কপালে চুমু দিলেন। চুলে হাত বুলিয়ে শরবতের গ্লাস মেয়ের মুখে ধরলেন। ইনান পুরোটা খেয়ে ফেলল।

‘আমার মামনি কি জানে না যে এই দিনটায় তার বাবা খুব সতর্ক থাকে সকালে উঠার জন্য। ইটস আ চ্যালেঞ্জ ফর মি। আমাকে তো জিততেই হবে। আমার ছোট্ট বাচ্চাটার যে আজকে জন্মদিন। হ্যাপি বার্থডে প্রিন্সেস।’ আহ্লাদ করে বললেন তিনি।

রাগ গলে জল হয়ে গেল ইনানের। মুচকি হেসে বাবাকে জড়িয়ে ধরল।

‘কি চাই এবারের জন্মদিনে?’ ইফাজ মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন।

‘নতুন একটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে ভার্সিটির পাশে, আজ ওখানের সবগুলো খাবার টেস্ট করব।’

‘তুমি তো জানো আম্মু, খুব ইম্পর্টেন্ট একটা কেস চলছে, তুমি কি অন্য কিছু চাইতে পারবে?’

মুখ মলিন হয়ে গেল ইনানের, ‘আজকের দিনেও কেন তোমার ডিউটি করা লাগবে বাবা? আজকের জন্য ছুটি নেওনা প্লিজ! তোমার কাজ ঐ পাখির পালকের উপর চাপিয়ে দাও।’

‘কারো নামকে বিকৃত করতে নেই। এভাবে বলবে না মা।’

মাছি তাড়ানোর মতো হাত নাড়িয়ে ইনান বলল, ‘ঐ একই হলো, পালক আর পলক, আ’ কারের ডিফ্রেন্সই তো। ওনাকে বলো আজ তোমার কেস সামলে নিতে।’

ইফাজ হাতঘড়ি পরে মানিব্যাগ থেকে কার্ড বের করে ইনানের হাতে দিলেন।

‘বললে না কোন রেস্টুরেন্টে যাবে, ফ্রেন্ডদের সাথে যাও, সব খেয়ে আসো, যদি রেস্টুরেন্টের সব খাবার শেষ হয়ে যায় তবে আরেকটাতে যাবে, টাকার চিন্তা করতে হবে না, শুধু একটা কল দিবে আমাকে।’

ইনান হেসে ফেলল, ‘তুমি কি তোমার মেয়েকে খাদক ভাবো নাকি? আর আজকে কিন্তু রাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে হবে। বাড়িতে আলাদাভাবে সেলিব্রেশন হবে, কী কেক আনতে হবে সেটা যেন ভুল না হয়।’

‘সব ভুল হলেও কেক নিয়ে কোনো ভুল‌ হবে না। নিশ্চিন্তে থাকো। আর চেষ্টা করব তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফেরার।’

‘চেষ্টা না, ফিরতেই হবে। কোনো অযুহাত চলবে না।’

‘আচ্ছা আম্মু।’

ঠিক তখনই কলিংবেল বেজে উঠল। এই সময় কেউ আসার কথা নয়। তবে জন্মদিন হিসেবে ইনানের ফ্রেন্ডরা সারপ্রাইজ দিতে পারে এই ভেবে দৌড়ে গেল ইনান। দরজা খুলতেই হাসিহাসি মুখটা চুপসে গেল ইনানের। দরজার বাহিরে এক লম্বা চওড়া সুদর্শন দাঁড়িয়ে। উজ্জ্বল বর্ণের লম্বাটে মুখটায় হাসির ফোয়ারা। চুলগুলো পরিপাটি করে সাজানো। ইনানের দিকে এক পলক তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিল সে।

‘এহেম এহেম।’ মুখের কাছে হাত নিয়ে ইচ্ছে করে কাশি দিলো লোকটি। ইনান এবার নিজের দিকে তাকালো। পরনে তার ওভারসাইজড টি-শার্ট আর থ্রি কোয়াটার। তার উজ্জ্বল পা বেরিয়ে আছে। সে দ্রুত বড় ফুলদানিটার আড়ালে দাঁড়ালো।

অন্যদিকে মুখ করে বলল, ‘ভেতরে আসুন।’

পলক মৃদু হেসে ভেতরে ঢুকল। ইনানদের বাড়িটা ডুপ্লেক্স। একদম পুরোনো আমলের বাড়িটা, কিন্তু ভেতরের আসবাবপত্র সব আধুনিক যুগের। পলক গিয়ে সোফায় বসল। ইনানের দিকে না তাকিয়েই বলল, ‘স্যারকে ডেকে দিবে প্লিজ।’

ইনান দৌড়ে গেল বাবার কাছে।

‘তোমার পাখির পালক আসছে। ডাকে তোমাকে।’

‘পলক? হঠাৎ কেন?’

‘আমি কি জানি? তোমার ডান হাত তো তিনি। তুমিই না জানবে তার সব খবর।’

‘যাও, ওর জন্যও খাবার রেডি করো।’

ইনান গিয়ে একটা স্কার্ট পরে ফেলল। রান্নাঘর থেকে ড্রয়িংরুমের মাঝে পাতলা একটা পর্দা দেওয়া। ইনান পলকের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,

‘আপনি কি ব্রেকফাস্ট করে এসেছেন? নাকি আমাদের সাথে খাবেন?’

ইফাজ তখন রুম থেকে বের হলেন। মেয়ের কথা শুনে ধমক দিতে গিয়েও থেমে গেলেন। আজ জন্মদিন বলে মেয়েকে বকাঝকা করলেন না। কিন্তু মেয়েটা এখনো শিখেনি কীভাবে নম্র ভদ্র হয়ে কথা বলতে হয়।

‘আমি খেয়েই এসেছি, আলাদা করে কিছু করো না।’

‘আমি এমনিতেও করতাম না, খালি ফর্মালিটির জন্য জিজ্ঞেস করেছি। হুহ!’

ইনান হাত দিয়ে চুল উড়িয়ে ডাইনিংয়ে চলে গেল। পলক কিছু মনে করল না, ইনানের এসব আচরণে সে অভ্যস্ত।

ইফাজ পলকের কাছে এসে বললেন, ‘কিছু মনে করো না বাবা ওর ব্যবহারে।’

‘না না‌ স্যার, মনে করার কি আছে? ইনান এখনো ছোট, এসব কিছু না।’

‘তা আজ এত সকালে কী মনে করে?’

‘ওই..ইয়ে..আসলে.. কেসটার ব্যাপারে কথা বলার জন্য আরকি!’ পলক ইতিউতি করে বলল।

‘আমি তো অফিসে যেতামই, তুমি আবার কষ্ট করে এলে কেন?’

‘আসলে কেসটা অনেক জটিল লেগেছে আমার কাছে, হাতে সময়ও কম, তাই সময় নষ্ট করতে চাইনি।’

‘তোমার মতো কাজের প্রতি ডেডিকেটেড অফিসার খুব কমই দেখেছি। তুমি অনেক দূর যাবে।’

পলক মাথা চুলকে মৃদু হাসল। রান্নাঘর থেকে ইনান ভেংচি কাটলো। ঢং! নাটক! সে তো ঠিকই জানে পলকের এখানে আসার কারণ।

ইনান ইফাজ সাহেবকে এগিয়ে দিতে গেল। তারা চলে যেতেই দরজা আটকাতে নিলো সে। সেইসময় পলক হাত দিয়ে দরজাটা ধরে উঁকি দিয়ে চাইলো ইনানের দিকে।

‘কী চাই?’ নাকের পাটা ফুলিয়ে বলল ইনান।

‘যা চাই তা তো দিবে না, আপাতত এটা রাখো।’

বলে পলক একটা প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিলো ইনানের। তারপর ধীরস্বরে বলল, ‘হ্যাপি বার্থডে রাগিনী…’

পলকের কথা শেষ না করেই ইনান মুখের উপর দরজা আটকে দিলো। সে ঠিকই জানত, আজ তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে পলক এখানে এসেছে। এমনিতে তো প্রায়ই এখানে আসার ছুতো খুঁজে। ইনান জানে না ভেবেছে? সে সবই জানে। পলক যে ইনানকে পছন্দ করে তা তো সে প্রথম দিনেই বুঝে গেছে। কিন্তু ইনান পাত্তা দেবে না একদমই। কেন দিবে? যার প্রতি ফিলিংস নেই তাকে পাত্তা দেওয়ার মানে আছে নাকি?

ইনান আজ সুন্দর করে সাজল। পার্পেল কালারের টপ আর সাদা জিন্সের উপরে লং কটি পরে নিলো। চুল পনিটেল করে ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিয়ে বের হলো। ফোনে তার টুংটাং করে মেসেজ আসছেই আসছে। একের পর এক বার্থডে মেসেজ। ইনান আজ সকলকে ট্রিট দিবে।

নিজের সাইকেল নিয়ে সে বেরিয়ে পড়ল ভার্সিটির উদ্দেশ্যে। তার বাবা অবশ্য বলেছে তাকে গাড়ি নিয়ে বের হতে, কিন্তু ইনানের খোলা হাওয়া খেতে খেতে যাওয়াটা বেশি ভাল্লাগে। তাই বড়লোকের মেয়ে হয়েও যেখানে সেখানেই সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে।

ইনান এবার অনার্স ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রী‌। ক্লাসে ঢুকতেই তার হাত ভরে উঠল গিফ্টে। চঞ্চল হওয়ায় তার ফ্রেন্ডের অভাব নেই। কয়েকদিনেই প্রায় সব ক্লাসমেটের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে দুইজন ছেলে আর দুইজন মেয়ের সাথে গভীর ভাব। মূলত ওদের আগে থেকেই চিনত ইনান। ছোটবেলায় এক স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ায়, আর একই সেন্টারে কোচিং করায় ওদের সাথে ভাবটা যেন আরো বেশি। একটা গ্যাং বলা যায় তাদের। ইনান সবার জন্যই জারকেক এনেছে। যে-ই তাকে উইশ করছে তাকেই সে কেক দিচ্ছে।

ইনান খেয়াল করল, চেনা অচেনা সবাই তাকে উইশ করলেও ক্লাসের শেষ বেঞ্চের জানালার ধারে একটা ছেলে বসে আছে, মাথা নিচু করে খাতায় কি যেন আঁকছে। ক্লাসে যে এত হৈ চৈ হচ্ছে সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই নেই। এমনকি কেন হচ্ছে সেই বিষয়েও কোনো কৌতুহল দেখালো না ছেলেটি। এই ছেলেটিকে সে এই প্রথম দেখল। এর আগে কখনো দেখেছে বলে মনে হয়নি। ইনান একটা জারকেক নিয়ে ছেলেটির কাছে গেল। সবাইকে কেক দেওয়া হয়েছে শুধু একে দেয়নি ব্যাপারটা কেমন না?

সে মুখে হাত নিয়ে কাশি দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করল। কিন্তু ছেলেটি চোখ তুলেও তাকাল না। নিজের মতো করে কিছু একটা আঁকছে খাতায়। ইনান মাথা উঁচু করে দেখল ওয়ান পিস অ্যানিমের একটা সিন আঁকছে। কলম দিয়েও কী সুন্দর আর্ট! ইনানের মুখ দিয়ে না চাইতেও বেরিয়ে এলো, ‘ওয়াও! কী সুন্দর!’

ছেলেটির হাত থেমে গেল। কিন্তু তাকালো না ইনানের দিকে। ইনান ছেলেটির কাছে এগিয়ে বলল, ‘হেই, নিউ স্টুডেন্ট নাকি? আগে কখনো দেখিনি তো!’

জবাব এলো না অপরপক্ষ থেকে‌। ইনানের ইগোতে লাগল ব্যাপারটা। এভাবে যে কেউ তাকে ইগনোর করবে ভাবতে পারেনি। ইনানের ফ্রেন্ড মুগ্ধ খেয়াল করল তাদের। কাছে এসে ছেলেটির কাঁধে হাত রেখে বলল, ‘হ্যালো মামা। তুমি কি ওয়ান পিসের ফ্যান নাকি? ড্রয়িংটাতো সেই হয়েছে!’

ছেলেটি হালকা মাথা ঝাঁকায়। মানে হ্যাঁ। ইনান বিড়বিড় করে বলল, ‘ কী আজব! বোবা নাকি! কথা কয় না ক্যান?’

‘ওকে বাই দ্য ওয়ে। আজ আমার জন্মদিন। সেই উপলক্ষে সবাইকে ট্রিট দিচ্ছি। দিস ইজ ফর ইউ। টেক ইট।’

একটা জারকেক বের করে ছেলেটির সামনে রাখল ইনান। ছেলেটি প্রায় ত্রিশ সেকেন্ড সময় নিল বলতে, ‘ধন্যবাদ।’ তাও এত আস্তে বলল যে পাশে থাকা মুগ্ধও শুনতে পায়নি। তারা খালি দেখেছে ছেলেটি মুখ নাড়িয়েছে, কিন্তু কি বলেছে কেউই ধরতে পারেনি।

‘যাইহোক’ ইনান বলল, হাসিমুখে, ‘আমি ইনান, ও আমার ফ্রেন্ড মুগ্ধ। আপনার নামটা জানতে পারি?’

ছেলেটি এবার চোখ মেলল ইনানের পানে..ধীরে..। নজর মিলিত হতেই ইনান চমকে উঠল কিছুটা, জানে না কেন! শ্যামবরণ মুখের ছেলেটির মসৃণ চুল কপালে উড়ছে, কোমল অথচ কী ব্যাকুল চেহারা! চোখের ধূসর মণিজোড়া ইনানের কালো মণির দিকে তাক করে গভীর স্বরে বলল,

‘এহসান…জেহফিল এহসান‌।’

.
.
.
চলবে….

#রোদরঞ্জন
#সূচনা_পর্ব
#আসরিফা_মেহনাজ_চিত্রা

[ওয়ার্নিং: যারা সাইকো লাভ, ওভার পজেসিভ, টক্সিক, [নায়িকাকে বন্দী করে রাখা টাইপ] গল্প পছন্দ করেন আমার মতো শুধু তারাই পড়বেন, যাদের এসব ভালো লাগে না তারা এড়িয়ে যাবেন। এবং প্লিজ, দয়া করে, দয়া করে বাস্তবতা খুঁজবেন না, আই রিপিট বাস্তবতা খুঁজবেন না।‌ এটা ফিকশনাল, কল্পনাতেই সুন্দর এমন গল্প। বাস্তবতার সাথে মিলাবেন না।

সাহিত্যের ‘স’ও পাবেন না এইখানে। আর গল্পে এডাল্ট কথা বার্তা থাকবে।

যাদের রুচির সাথে মিলবে না তারা যদি ওয়ার্নিং দেয়া সত্ত্বেও গল্পটি পড়েন, তাহলে নিজ দায়িত্বে পড়বেন। মনমতো না হলে শুধু শুধু আমাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। বলেই তো দিলাম। আর কত!]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here