#বেসামাল_প্রেম
#লেখা_জান্নাতুল_নাঈমা
#পর্ব_৬
এনগেজমেন্টের সাতদিন পর বিয়ের আয়োজন করা হলো। শেখ বাড়িতে বহু বছর পর আত্মীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশি সকলের উপস্থিতিতে চমকপ্রদ এক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরো বংশের একমাত্র মেয়ে সূচনা৷ ভীষণ আদরের। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে একমাসের জন্য দেশে এসেছেন রিদওয়ান শেখ। চাচাত ভাই রাদিফের পরিবার, ছোটো চাচা রিজওয়ানের পরিবার সকলেই উপস্থিত এই বিয়েতে। বিয়েটা সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হলো। বিদায়ের পূর্বে নব দম্পতি’কে মেয়ের বাড়ির সকল আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে পরিচয় করানো হচ্ছে।
এই ফাঁকে বান্ধবীদের নিয়ে বেয়াইদের সঙ্গে ছাদে গেল হৈমী। সকলে মিলে বেশকিছু ফটোশুট করল। সময়টা সন্ধ্যার আগমুহূর্ত। ভাই-ভাবি’কে রেখে ছাদে আসতে ইচ্ছে করছিল না হৈমীর৷ আসতে বাধ্য হলো রুদ্রর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিজোড়া দেখে। এই দৃষ্টিজোড়া আজ নতুন নয় পুরোনো। ঠিক যেদিন থেকে হৈমী তাকে ইগনোর করছে সেদিন থেকেই রুদ্রর এমন দৃষ্টির শিকার হচ্ছে। প্রথমে ভড়কে গেলেও পরে আড়ালে গিয়ে খুশিতে নাচানাচি করেছে। মুখ সে বন্ধ রাখতে পারেনি। কথা না বলে টিকতে পারেনি এক মিনিটও। তবে সে কথাগুলো বলেছে সাদমানের সঙ্গে, সোহান, রোশানের সঙ্গে। তিন কাজিনের সঙ্গে হৈমীর গদগদ ভাবটা যেন সহ্য হচ্ছিল না রুদ্রর। গা জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হচ্ছিল। টের পেয়ে ওদের সঙ্গে মেলামেশা বাড়িয়ে দিয়েছে হৈমী। ভাইয়ের উপদেশে সত্যি সত্যি সেদিনের পর থেকে রুদ্রর সঙ্গে কথাত দূরে থাক স্বেচ্ছায় সামনেও যায়নি। আশপাশে থাকলেও এড়িয়ে গেছে। কখনো সামনে পড়লে তাকে দেখিয়ে অন্যদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দিয়েছে।
রাদিফের ছোটো ভাই সাদমান, রিজওয়ানের দুই ছেলে সোহান এবং রোশানের সঙ্গে হৈমীর পরিচয় হয়েছে এনগেজমেন্টের দিনই। সাদমান সিনিয়র হলেও সোহান, রোশান হৈমীর জুনিয়র। এই জুনিয়র দুই বেয়াইয়ের সঙ্গে হৈমীর মাখামাখি বাড়াবাড়ি রকমের। সোহান পড়ে ক্লাস নাইনে, রোশান সিক্সে। এদের একজন’কে সোবেয়াই আরেকজন’কে রোবেয়াই সম্বোধন করে হৈমী। হৈমীর অহেতুক বকবক এরা দারুণ আগ্রহী হয়ে শোনে। যা দেখে এদের প্রতি হৈমীর টান একটু বেশিই। সাদমানের সঙ্গেও কম জমে ওঠেনি। ফটোশুটের মাঝে হঠাৎ সাদমানের ফোনে রুদ্রর কল এলো। সাদমান কথা শেষ করে রোশান’কে নিচে পাঠিয়ে দিলো। কিছুক্ষণ পর রোশান জুস খেতে খেতে ছাদে এলো। মাগরিবের আজান দিচ্ছে বলে হৈমী সকলকে বলল,
-” গাইস এবার আমাদের নিচে যেতে হবে। আর বেয়াইরা বাকি আড্ডা আমাদের বাসায় হবে। রাতে দারুণ কিছু অপেক্ষা করছে তোমাদের জন্য। ”
হৈমীর কথা শেষ হতেই প্রচণ্ড তাড়া নিয়ে রোশান বলল,
-” বেয়ান আপু বেয়ান আপু, নিচে যাওয়ার আগে আমি সবাই’কে ডান্স করে দেখাতে চাই। ”
হৈমীর বান্ধবী নয়ন হো হো করে হেসে ওঠল। বলল,
– “তাই নাকি? তো দেখান আপনার ডান্স বাচ্চা বেয়াই। ”
সকলে হৈ হৈ করে ওঠল৷ রোশানও হেলিয়ে দুলিয়ে ডান্স করতে শুরু করল। হৈমী ভিডিও করার জন্য উদ্যত হতেই হঠাৎ রোশান তার সামনে এসে কোমর দোলাতে লাগল। হাসতে হাসতে একেক জনের পেটে খিল ধরে যাচ্ছে। সকলের হাসির তালে রোশান লাফাতে শুরু করল। লাফাতে লাফাতে হাতে থাকা গ্লাসের সম্পূর্ণ জুস ঢেলে দিলো হৈমীর গায়ের ওপর। ফলশ্রুতিতে তার সাদা রঙের লেহেঙ্গা’টা ভিজে বিশ্রী দেখাল। আঁতকে ওঠে চিল্লিয়ে ওঠল হৈমী। আঁতকে ওঠল রোশান নিজেও। নাচ থামিয়ে মুখে হাত দিয়ে বলল,
-” ইস ড্রেস নষ্ট করে দিলাম তো! ”
নাক ফুলিয়ে রোশানের কান মলে দিলো হৈমী। গটগটিয়ে বলল,
-” ইচ্ছে করে করেছ তুমি। আমি সব বুঝতে পেরেছি। এসব কে শিখিয়েছে তোমায়? ঐ গুন্ডাটা নিশ্চয়ই? ”
সাদমান হাসতে হাসতে বলল,
– “যত দোষ এখন আমার ভাইয়ের। সে এসবের আগেও নেই পরেও নেই তবুও তাকে টানছো কেন হু? কাহিনি কী? ”
সোহান বলল,
– “রোশান ইচ্ছে করে করলেও মন্দ করেনি। বেয়ানের সঙ্গে একটুআধটু হয়েই থাকে। ”
বেয়াইদের কথা শুনে হৈমী সহ হৈমীর বান্ধবী’রা মিলে ঝগরা বাঁধিয়ে দিলো। নিচে যাওয়ার আগে নয়ন সাদমান’কে শাসিয়ে গেল,
– “এর প্রতিশোধ আমরা নিয়েই ছাড়ব হুহ। ”
নিচে যাওয়ার পর হৈমীর অবস্থা দেখে সাদমানের মা জেরিন তাকে সূচনার রুমে গিয়ে পোশাক পাল্টে নিতে বলল। নাক ফুলিয়ে হৈমী বলল,
– “আমিত আর কোনো ড্রোস আনিনি চাচি।”
– “সূচনার কাভার্ড থেকে একটা শাড়ি পড়ে নাও। ”
– “আমি শাড়ি পরতে পারি না৷ ”
– “আহারে মন খারাপ করছো কেন? তুমি যাও আমি কাউকে পাঠাচ্ছি। কাউকে না পেলে আমিই যাব। ”
হৈমী যখন সূচনার রুমে গেল। আড়াল থেকে রুদ্র বেরিয়ে এলো। রোশান তাকে চোখ টিপ দিতেই রুদ্র বাঁকা হেসে পা বাড়ালো সূচনার রুমের দিকে।
হৈমীর বান্ধবীদের অনেকেই বিয়ে বাড়ি থেকেই নিজেদের বাড়ি চলে গেল৷ থেকে গেল নয়নের সঙ্গে গুটিকয়েক বান্ধবী। জেরিন সূচনার এক বান্ধবী’কে বলল সূচনার ননদ’কে শাড়ি পরিয়ে দিতে। সে সূচনার রুমেই আছে। সূচনার বান্ধবী কথামতো সূচনার রুমের সামনে পর্যন্ত যেতেই হঠাৎ রুদ্র তার সামনে দাঁড়াল। হকচকিয়ে গিয়ে ঢোক গিলল সে। রুদ্র বাঁকা হেসে বলল,
– “মিম, তোমার নাম তাই না? ”
কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে মিম বলল,
– “জি ভাইয়া। ”
– “গুড, এখানে ঠিক এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবে। যতক্ষণ না আমি বের হবো ঠিক ততক্ষণ কেমন? ”
কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে শুরু করেছে মিমের৷ দম আটকে সে মাথা নাড়ালে রুদ্র বলল,
– “কেউ এলে বলবে ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। ”
ভেতরে গিয়ে দরজা আঁটকে দিলো রুদ্র। ভয়ে থরথর করে হাত, পা কাঁপতে শুরু করল মিমের। তার মনে কী চলছে বোঝা গেল না৷ শুধু মনের আতঙ্কিত ভাব চোখমুখে স্পষ্ট হয়ে ওঠল। বিরবির করে বলল,
– নারী বিদ্বেষী রুদ্র ভাই আমার সঙ্গে কথা বলল! হায় আল্লাহ রুদ্র ভাই আমার সঙ্গে কথা বলেছে!
ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মেদহীন পেটটা পিটপিট করে দেখছে হৈমী। মেরুন রঙের ব্লাউজ, পেটিকোট পরার ফলে তার শুভ্র দেহখানির উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। নিজেকে আপাদমস্তক কিছুক্ষণ দেখে নিয়ে ভাবল, বিছানায় রাখা শাড়ির ভাঁজ’টা খোলা যাক। সে পর্যন্ত কেউ নিশ্চয়ই আসবে। ভেবে নিয়ে যখন বিছানার দিকে ঝুঁকল তখন সুইচ টেপার শব্দ শুনল সঙ্গে সঙ্গে পুরো রুম অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে গেল! সে ভয় পেয়ে চিৎকার দিলো,
– “কে কে? ”
মুহুর্তেই বলিষ্ঠ একটি হাত তার মুখ চেপে ধরল। আতঙ্কিত হয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করল হৈমী। মুখে চেপে রাখা হাতটি অল্প আলগা হতেই সজোরে কামড় দিলো। সঙ্গে সঙ্গে হাতটা মুখ থেকে সরে গেল। রাশভারী এক কণ্ঠস্বর শুনতেই সর্বাঙ্গে শিউরে ওঠল হৈমীর।
– “মিস. হৈমী আপনার গুন্ডা ক্রাশ গুন্ডামি করতে হাজির। ”
এটুকু বলেই পেছন থেকে একহাত দিয়ে পুনরায় শক্ত হাতে হৈমীর মুখ চেপে ধরল। আরেকহাতে হৈমীর পেট পেঁচিয়ে ধরে উত্তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে হৈমীর কোমল স্কন্ধে কামড় বসালো। শরীর শিউরে ওঠে হৃৎস্পন্দন প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। মুখ দিয়ে বের হলো অস্পষ্ট আওয়াজ। সে আওয়াজ শুনে রুদ্র মুখ তুলে ওর কানের কাছে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল,
– “এভাবে কামড়াতে হয়। যা হৃদয় কাঁপিয়ে তুলে। ”
থরথর করে কাঁপতে থাকা হৈমীকে নিজের দিকে ঘোরালো। রুদ্রর একঝাঁক উত্তপ্ত নিঃশ্বাস আছড়ে পড়ল হৈমীর মুখশ্রীতে। চোখজোড়া শক্ত করে বুজে প্রাণপনে ছোটার চেষ্টা করল হৈমী৷ কিন্তু পারলো না। রুদ্র তাকে শূন্যে তুলে সুইচবোর্ডের কাছে গিয়ে সুইচ অন করল। চোখ খুলে ভয়ার্ত চোখে রুদ্রর দুর্বোধ্য চেহারাটা দেখে নিলো হৈমী। বাঁকা হেসে হৈমীর ঠোঁটজোড়া থেকে হাত সরালো রুদ্র। বড়ো বড়ো করে শ্বাস নিয়ে চেঁচামেচি শুরু করল হৈমী। রুদ্রর মাথায় বুকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি দিতে লাগল। রুদ্র মাথা নিচু করে একহাতে কৌশলে মোবাইল ফোন বের করে ক্যামেরায় গিয়ে ভিডিও অন করে ফোনটা এমন জায়গায় রাখল যেখান থেকে তাদের স্পষ্ট দেখা যাবে। চোখ বন্ধ করে চিৎকার চেঁচামেচি, হাত পা ছোড়াছুড়ি করতে করতে ভয়ানক এই কাণ্ডটা দেখতেই পেলো না হৈমী। হঠাৎ করেই তাকে বিছানায় ছুড়ে ফেলা হলো। লজ্জায় ভয়ে কুঁকড়ে গেলেও চিৎকার থামালো না। রুদ্র চোখ রাঙিয়ে তার দিকে এগুতে এগুতে বলল,
– ” স্বেচ্ছায় আমার ভিতর উদ্দাম সৃষ্টি করে আমাকেই ইগনোর? ”
বলতে বলতেই হৈমীর খুব কাছে চলে গেল সে। হৈমী পিছিয়ে যেতে উদ্যত হতেই ওর পিঠ আঁকড়ে ধরে কাছে টেনে আনল। চিৎকার, চেচামেচি থামাতে আচমকাই ওর ঠোঁটজোড়া নিজ ঠোঁট দ্বারা আবদ্ধ করে নিলো। দু’চোখে অশ্রু ছেড়ে হৈমী যখন নড়চড় থামিয়ে দিলো তখন রুদ্র নিজেও থেমে গেল। ইতিমধ্যেই ঠিক কোন মাত্রায় অসংলগ্নতা করেছে সে হারে হারে টেরও পেলো। তবুও বিন্দু আফসোস রাখল না মনে। নিশ্চল হৈমী’কে বুকের মধ্যেখানে অতি সন্তর্পণে চেপে নিয়ে কর্কশ কণ্ঠে বলল,
– ” হয় মরেছো নয় মেরেছো এবার শুধু ভুগবে। ”
আকস্মাৎ রুদ্রর গলা টিপে ধরল হৈমী। ক্রোধে কাঁপতে কাঁপতে চিৎকার করে বলল,
– ” এটা কী করলেন আপনি! আপনাকে আমি পুলিশে দেবো আপনি খুব জঘন্য একটা মানুষ। ”
চোয়াল শক্ত করে হৈমীর দু-হাত চেপে ধরল রুদ্র। মস্তিষ্ক বলল, আরো কিছু হওয়া উচিৎ নয়তো প্ল্যান সাকসেসফুল হবে না! মস্তিষ্কে কথাগুলো চলতেই ঝড়ের গতিতে হৈমীকে বিছানায় ফেলে নিজের অর্ধেক শরীরটা ওর ওপর ছেড়ে দিলো। দানবের মতো শরীরটা নিজের ক্ষুদ্র শরীরে ঝাঁপিয়ে পড়তেই দম বন্ধ হয়ে এলো। চোখ বড়ো বড়ো করে কেঁদে ওঠল হৈমী৷ বলল,
-” ওমাগো! মরে গেলাম। ”
রুদ্র বাঁকা হাসলো। হৈমীর ছটফটে হাতদুটো নিজের শক্তহাত দ্বারা বেঁধে নিয়ে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে কোমল গ্রীবাদেশে ঠোঁটের বিচরণ চালালো। পরাস্ত হৈমী ছটফট করতে করতে চাপা কান্নায় ভেঙে পড়ল। কী হচ্ছে এসব তার সাথে কে বাঁচাবে তাকে? বার বার আল্লাহ’কে স্বরণ করতে লাগল। মনে পড়ল সমাজে ধর্ষিত হওয়া নারীদের শেষ পরিণতি। তার জন্যও কি এমন কিছু অপেক্ষা করছে!
দরজায় ঠকঠক শব্দ হতেই রুদ্র থেমে গেল। দরজার বাইরে থেকে নয়ন বলল,
-” হৈমী মিম আপু তোকে শাড়ি পরাবে বলে দাঁড়িয়ে আছে৷ তুই দরজা খুলছিস না কেন?
হৈমী লাফ দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে যেই চিৎকার দেবে অমনি রুদ্র তার মুখ চেপে ধরল। শাসিয়ে বলল,
– ” শব্দ করবে না একদম চুপ। ”
ডুকরে ওঠল হৈমী। রুদ্র দৃঢ় চোখে চেয়ে শান্ত গলায় বলল,
-” আজকের পর সাদমানের সঙ্গে কথা বলবে না। সোহান, রোশানের সঙ্গেও কম কথা বলবে। ভেবো না এখান থেকে মুক্তি পেলেই তুমি মুক্ত। আমি বড্ড অসংযত, বড্ড বেশি বেসামাল আমি। আমাকে নিয়ন্ত্রণ করার সাধ্য তোমার নেই। কারোরি নেই। মরেছো নিজের দোষে মাথায় রেখো। ”
রুদ্র ওঠে দাঁড়াল। হৈমীর জড়োসড়ো হয়ে বসে রইল কিছুক্ষণ৷ তার চোখ বেয়ে অশ্রু ঝড়ছে, শরীর কাঁপছে মৃদু মৃদু৷ বড়ো বড়ো করে শ্বাস নিলো রুদ্র। ধীরপায়ে হেঁটে গিয়ে মোবাইল নিয়ে এতক্ষণের হওয়া ভিডিওটা সেভ করল। এরপর আবার চলে এলো হৈমীর কাছে। তার পাশে বসে হাত বাড়িয়ে কাছে টেনে নিলো। রাশভারী স্বরে বলল,
-” আমি মানুষ’টা ভীষণ ঔদ্ধত্য। কিন্তু কিছু করার নেই। আমাকে উপেক্ষা করা একদম উচিৎ হয়নি৷ এরচেয়েও বেশি উচিৎ হয়নি আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ওদের সঙ্গে মেলামেশা। এসব আমি একদম পছন্দ করি না। আর হ্যাঁ এরপর যত মেলামেশা আমার সঙ্গে করবে। একমাস সময় দিলাম নিজেকে প্রস্তুত রেখো। ”
অন্তর্মুখী চরিত্রের রুদ্র নিজের অনুভূতিগুলোকে বুঝতে না পেরে উল্টাপাল্টা আচরণ দেখিয়ে হৈমীর মনে তাকে নিয়ে খুবই বীভৎস এক ধারণার জন্ম দিলো। অবুঝ হৈমী অন্তর্মুখী রুদ্রর মন’কে বুঝতে পারলো না৷ বোঝার কথাও নয়। যেখানে একরোখা, জেদি, তেজি রুদ্র নিজেই নিজের অনুভূতি বুঝতে না পেরে এক নারীর প্রতি জন্মানো প্রথম এবং গভীর অনুভূতির অসৎ আচরণ করল সেখানে অন্য একটি মানুষ হৈমী কি করে বুঝবে?
চলবে..
( অনুমতি ছাড়া কপি নিষেধ)
[ ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পড়াশোনা + পান্ডুলিপি লিখতে ভীষণ ব্যস্ত। আজকে গল্প দেওয়ার কথা থাকলেও একবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দেবো না৷ আবার ভাবলাম আমার প্রিয় পাঠক’রা অপেক্ষায় আছে। আজ না দিলে তাদের মন খারাপ হবে। তাই কষ্ট হলেও চাপ নিয়ে যা পারি লিখেছি। পর্বটা খাপছাড়াও হয়েছে হয়তো। যাইহোক আগস্টের দশ তারিখ থেকে #বেসামাল_প্রেম নিয়মিত পাবেন ইনশাআল্লাহ। একসঙ্গে সব কিছু আসলে সামলাতে পারছি না৷ হিমশিম খাচ্ছি। আশা করি পাঠক’রা বুঝবেন ]