#বেসামাল_প্রেম
#লেখা_জান্নাতুল_নাঈমা
#পর্ব_৩১
ভার্সিটিতে যাওয়ার পথে রিকশা থেকে পড়ে গিয়েছিল সূচনা৷ শরীরের বিভিন্ন অংশে পেয়েছে অগণিত চোট! রাস্তার আশপাশের লোকজন রিকশাওয়ালাকে মারতে এসেছিল। কিন্তু সে কাতর স্বরে তাদের মারতে নিষেধ করেছে। কারণ ভুলটা তারই। ওড়না সামলে বসেনি সে। তাই এই দূর্ঘটনার সম্মুখীন হলো। এরপর শরীরে চোট নিয়েই ফিরে এসেছে শেখ বাড়িতে৷ মাহেরকে একটি ম্যাসেজ করে জানিয়েছে তার এক্সিডেন্টের কথা। খবর শুনে অর্ধেক ক্লাস রেখে অন্য লেকচারারকে অনুরোধ করে তার ক্লাসটা নেয়ার জন্য। লেকচারার অনুরোধ রাখলে মাহের দ্রুত চলে আসে শেখ বাড়িতে। দাদিন তাকে দেখে কেঁদে অস্থির। দাদিনের কান্নারচোটে তার ভিতরকার টেনশনের পরিমাণ মাত্রা ছাড়াল। কোনোরকমে শ্বাসরোধ করে বলল,
-” দাদিন আমি ওর কাছে যাই? ”
দাদিনের হুঁশ ফিরল। কোমর ব্যথা নিয়ে সে উপরে যেতে পারে না। তাই মাহেরকে তাড়া দিয়ে বলল,
-” যাও যাও তুমি এসেছ শুনলে খুশি হবে। আমি রাদিফলে কল করে জানাই আর বলে দেই রুদ্রকে জানাতে। তার সঙ্গে আমি আবার কথা বলি না। সে যা অন্যায় করেছে তার জন্য এখনো তাকে আমি ক্ষমা করিনি। ”
মাহের বিচলিত হয়ে তাকিয়ে আছে। তার চাহনি দেখে দাদিন ঈষৎ হেসে বলল,
-” তোমার বোনটার ওপর আমার কোনো রাগ নেই। দোষ করেছে আমার নাতি, তাই সব রাগ তার ওপরই। ”
ছোট্ট করে নিঃশ্বাস ছেড়ে স্মিত হাসল মাহের। ধীরপায়ে এগুলো সূচনার রুমের দিকে। সূচনা বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসে। মাহের মৃদু কাশির শব্দ করে রুমে প্রবেশ করে দরজা আঁটকে দিল। সূচনা কিছুটা চমকাল। কারণ সে আশা করেছিল মাহের বিকালে আসবে। এত দ্রুত এসেছে? নিশ্চয়ই ক্লাস বাদ দিয়ে চলে এসেছে? অন্তঃকোণে আসা প্রশ্ন মুখে উচ্চারণ করার পূর্বেই মাহেরের উষ্ণ হাতের স্পর্শ পেল তার কোমল গালে। শুনতে পেল বিচলিত কণ্ঠস্বর,
-” কীভাবে হলো এসব? কোথায় কোথায় ব্যথা পেয়েছেন? ”
প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষত হওয়া প্রতিটা স্থান সুক্ষ্ম নজরে দেখতে লাগল। কপাল, কনুই, পা দেখে জিজ্ঞেস করল ব্যথার ওষুধ খেয়েছে কিনা৷ কী মলম লাগিয়েছে? সূচনা সব উত্তর দিয়ে বলল,
-” আপনি ব্যস্ত হবেন না। আমি ঠিক আছি। ”
এ কথা শুনে রেগে গেল মাহের। তীব্র ক্রোধের সঙ্গে বলল,
-” আমি বলেছিলাম দিয়ে আসি, আপনি শুনলেন না। আমি থাকলে এটা কখনো হতো না! ”
এক ঢোক গিলল সূচনা। নরম সুরে বলল,
-” আপনার ক্লাসের সময় হয়ে এসেছিল মাহের। নয়তো আমি নিষেধ করতাম না। ”
-” হোক সময়, আপনি সব সময় বেশি জেদ করেন সূচনা। এটা ঠিক না, এই জেদটা কমান। ”
-” অযথা রাগ করছেন। এই দূর্ঘটনা আমার কপালে লিখা ছিল। ”
-” না ছিল না সব আপনার জেদের জন্য হয়েছে। ”
অসহায় চোখে তাকিয়ে, ব্যর্থ কণ্ঠে সূচনা জবাব দিল,
-” আচ্ছা ঠিক আছে, মানলাম এসব আমার জেদের কারণে হয়েছে। তাই সরি…”
কিছুটা শান্ত হলো মাহের। সূচনার চোখের দিকে তাকিয়ে দৃঢ় স্বরে বলল,
-” আর কোথাও লাগেনি তো? ”
ঢোক গিলল সূচনা, মাথা বাম দিক ডান দিক ঘুরাল। তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে মাহের তার হাতে অতি সন্তর্পণে একটি চুমু খেল। আদর পেয়ে তার মুখটা কাচুমাচু হয়ে গেল। মাহের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
-” মিথ্যা বলবেন না তো। আপনার মুখে মিথ্যা শুনতে বিশ্রী লাগে। ”
বলেই কপালের যেখানটায় ব্যথা পেয়েছে ওখানেও আদুরে চুমু দিল। সূচনা হকচকিয়ে বলল,
-” এই যা মলম লাগিয়েছিত! ঠোঁটে লেগেছে না? এটা দিয়ে মুছুন। ”
ওড়নার এক কোণা উঁচু করল সে। মাহের সেটা তার হাত থেকে ছাড়িয়ে দু’হাতে কাঁধ স্পর্শ করল। বলল,
-” আর কোথায় ব্যথা পেয়েছেন? ভয়ানক কোনো ব্যথা পাননি তো? প্লিজ লুকাবেন না, আমাকে খুলে বলুন লজ্জা পাবেন না। শরীরের আর কোথাও লাগেনি তো? বলুন, এক্ষুনি হসপিটাল নিয়ে যাব। ”
সূচনা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়ে বলল,
-” আহামরি ব্যথা পাইনি মাহের। তেমন হলে কি আমি বাড়ি আসতে পারতাম? ”
-” আচ্ছা তবুও আমি মনের স্বস্তির জন্য একবার চেক করতে চাই। অনুমতি না দিলে জোর করে করব। আপনি যা মানুষ কঠিন আঘাত পেলেও সেটাকে গোপন রেখে কষ্ট পাবেন। যন্ত্রণা ভোগ করবেন। আপনার কথা শুনে আমি রিস্ক নিতে চাই না। ”
সূচনা হতভম্ব হয়ে গেল। আকস্মিক মাহের তার ওড়না সরিয়ে বিছানায় রাখল। সুক্ষ্ম নজর বুলাল গলার দিকটায়। বিস্ময়াবহ হয়ে, লজ্জায় কুঁকড়ে গিয়ে সে বলল,
-” কী করছেন! আচ্ছা আমি বলছি, আমি বলছি। ”
আতঙ্কিত হয়ে ওড়না ওঠিয়ে গলায় জড়িয়ে নিল। এরপর মিনমিনে স্বরে বলল,
-” পেটের ডানপাশে একটু লেগেছে। ঠিক হয়েছে যাবে। ”
চোখদুটো ছোটো ছোটো করে কামিজের ফালিতে হাত রাখল মাহের। সূচনা তার হাতের ওপর হাত চেপে লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে বলল,
-” এমন করছেন কেন? ”
উত্তর দিল না মাহের। জেদ খাঁটিয়ে ফালি সরিয়ে দেখল উদরের ডান পাশে ক্রস করে সাদা ব্যন্ডেজ লাগানো। সবচেয়ে বেশি আঘাত এখানেই লেগেছে বোঝা যাচ্ছে। ব্যন্ডেজের ওপরেও রক্তের দাগ। যা দেখে মাহেরের মুখটা কালো হয়ে গেল। থমথমে স্বরে জিজ্ঞেস করল,
-” কীভাবে পড়েছেন? ওড়না সামলে বসেননি ? ”
অপরাধী স্বরে সূচনা বলল,
-” সব সময় বসি আজ ভুল হয়ে গেছে। ”
কাঁপা হাতে ব্যন্ডেজের ওপর স্পর্শ করল মাহের। সূচনা কিঞ্চিৎ শিউরে ওঠল। সাথে সাথে হাত সরিয়ে নিল সে। থমথমে মুখে বলল,
-” নিজের প্রতি কবে যত্নশীল হবেন বলুন তো? ”
মুখ ফিরিয়ে সে জবাব দিল,
-” যত্ন করার জন্য আপনি আছেন তো। ”
চোখ তুলে এক পলক তাকাল মাহের। সূচনার লাজুক মুখটা দেখে পুনরায় দৃষ্টি ফিরিয়ে নিল উদরে। সন্তর্পণে মুখ এগিয়ে একগুচ্ছ উষ্ণ নিশ্বাস ছেড়ে ক্ষত স্থানে চুমু দিল। টের পেয়ে চোখ বুজে ফেলল সূচনা। মাথা তুলে আরো একবার তার আবদ্ধ দৃষ্টির লালচে মুখটা দেখে নিল সে। এরপর আকস্মিক কীভাবে অসুস্থ বউয়ের ধবধবে ফর্সা, আকর্ষণীয় উদরের কেন্দ্রস্থলে চোখ চলে গেল, আর দায় হয়ে পড়ল নিজেকে আঁটকে রাখা! হয়ে পড়ল মাত্রাতিরিক্ত অসংযত। আচম্বিতে এক উষ্ণত্ব, গাঢ় চুম্বনও এঁটে দিল সংবেদনশীল স্থানটায়। অনুভূতিপ্রবণ সে স্থানে অসংলগ্ন স্পর্শ পেয়ে হৃৎপিণ্ড ধড়াস করে ওঠল সূচনার। কী হচ্ছে বুঝতে পেরে এক হাতে বিছানার চাদর খামচে ধরল। অপর হাতে মাহেরের চুল। সহসা মাহের সরে গেল, চট করে ওঠেও পড়ল বিছানা থেকে। সূচনার কম্পমান দেহটাকে দেখে লজ্জা সেও পেল। মাথা চুলকে, ঠোঁট কামড়ে হেসে বলল,
-” আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। ”
মাহের সরে যেতেই সূচনা দুহাতে মুখমণ্ডল ঢেকে ফেলল। শ্বাস নিল ঘনঘন। ক্রমশ তার অন্তঃকোণে ছটফটানি বাড়লেও, অনুভূতিরা বেসামাল হয়ে পড়লেও মস্তিষ্ক হলো পুরোপুরি অচল!
_______
আবির আর আদ্রিতা আজ চলে যাবে। তাই গোছগাছ শুরু করল। তাদের গোছগাছ দেখে হৈমীর মনটা খুবই বিষণ্ন হয়ে ওঠল। আদ্রিতার সঙ্গে কয়েকটি দিন বেশ ভালোই কাটিয়েছে সে। কত কিছু শিখেছে, কত কী বুঝেছে। আবার কবে দেখা হবে আদ্রিতা আপুর সঙ্গে? আজ তারা চলে যাবে তারপর থেকে গুমরা মুখো স্বামীটার সঙ্গে একাই কাটাতে হবে তাকে। সেদিন রাতে কেমন করে আদর করল, তারপর সে কীভাবে ঘুমিয়ে গেছে টেরও পায়নি। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই রুদ্র তাকে নানাভাবে টর্চার করছে। শুরুটা করেছে সকাল সকাল হাতে বই খাতা তুলে দিয়ে। প্রথমে ছিল বেয়াইমশায়, তারপর হলো জামাইমশায় এখন আবার হয়েছে মাস্টারমশায়! সহ্য হয় এত যন্ত্রণা? ঠিক মতো না পড়লে, পড়া মুখস্থ করে তার কাছে প্রমাণ না দিতে পারলে কাঁচা কঞ্চির বাড়িও দেয়। আজ সকালের দেওয়া বাড়ির চিহ্ন এখনো হাতে আছে। ঝিনুককে দিয়ে তিনটা কাঁচা কঞ্চি আনিয়েছে। সেই টাঙ্গাইল থেকে। তিনটাই নাকি তাকে সোজা করার জন্য। অথচ সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দিব্যি নিজেকে সোজা দেখে। বাঁকা আর কোথায় সে? ঠিকমতো পড়াশোনা, খাওয়াদাওয়া না করলে ঐ কঞ্চির আঘাত সহ্য করতে হবে। সকাল, দুপুর, বিকাল তিনবার বেতের বাড়ি! ভাবতেই তো মাথা ঘোরায়। এই বাড়ির ভয়েই গত দু’দিন যাবৎ পড়াশোনা করছে, ঠিকঠাক খাওয়া-দাওয়া করারও চেষ্টা করছে।
আদ্রিতা আর আবির চলে যাওয়ার পর হৈমী খুব কান্না করল। রুদ্র তাকে সামলাতে গিয়ে নাজেহাল। এদিকে একজন বিশ্বস্ত কাজের মেয়ে খুঁজে পেয়েছে। সেও এসেছে কিছুক্ষণ পূর্বে। তার সামনেই হৈমী কাঁদছে রুদ্র বেশ অস্বস্তি বোধ করছিল। এমন সময় কল এলো রাদিফের। সে জানালো, সূচনার এক্সিডেন্টের কথা। এ খবর শুনে রুদ্রের বুকের ভিতর অস্বাভাবিক একটি চাপ পড়ল। বোনটার খোঁজ ক’দিন নেয়া হয়নি। এরই মধ্যে এত বড়ো দুঃসংবাদ! নিজের মধ্যে ভীষণ অপরাধবোধ সৃষ্টি হলো তার। সেই অপরাধবোধ থেকেই হৈমীকে কাজের মেয়ের সঙ্গে আজকের দিনটা থাকতে বলে সে চলে গেল টাঙ্গাইল। অবশ্য হৈমীর সম্পূর্ণ সেফটি দিয়েই সে গেল। পাশের ফ্ল্যাটের ইয়াসমিন আন্টিকেও রাতে হৈমীর কাছে গিয়ে থাকতে বলল। সে আন্টিও খুশিমনে রাজি হলো।
হৈমী একা থাকতে চায়নি। সে অনেক আকুতি করেছে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু রুদ্র নেয়নি। যদি আবার না আসতে চায়? এরচেয়ে সে গিয়ে বোনকে দেখে কয়েকঘন্টা সময় কাটিয়ে এসে পড়বে। পরপর দু’বার জার্নি সে সহ্য করতে পারলেও হৈমী পারবে না। সব কিছু ভেবেই রুদ্র তাকে রেখে গেল।
ইয়াসমিন আন্টি মানুষটা দারুণ। হৈমীর খুব পছন্দ হয়েছে তাকে৷ এই খুব পছন্দ হওয়ার আসল কারণ হচ্ছে ইয়াসমিন আন্টি তাকে গোধূলিলগ্নে ছাদে নিয়ে এসেছেন৷ দিন আর রাত্রির এই সন্ধিক্ষণ হৈমীর খুবই প্রিয়। এ সময়টা যদি হয় খোলা আকাশের নিচে অমায়িক সুন্দর ছাদে তাহলে তো কথাই নেই। এতদিন গুমট পরিবেশে থেকে তিক্ত হয়ে ওঠেছিল সে। এবার যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। হৃদয় হয়ে ওঠেছে চঞ্চল। কাজের মেয়ে রিতু বয়স ঊনিশ, বিশ হবে, ইয়াসমিন আন্টির ছোটো মেয়ে মিরা ওর বয়স আট। আর সে একপাশে দাঁড়িয়ে গল্প করছিল। এমন সময় একজন শ্যামলাটে বর্ণের যুবকের আগমন ঘটল। যুবকটির হাত ধরে চার, পাঁচ বছরের একটি ছোট্ট মেয়ে দাঁড়িয়ে। সে যুবকটিকে উদ্দেশ্য করে বলল,
-” মামা গোলাপ, মামা গোলাপ। ”
যুবকটি মৃদু হেসে মেয়েটিকে নিয়ে ছাদের অপরপ্রান্তে চলে গেল। ইয়াসমিন আন্টি সেদিকে তাকিয়ে হৈমীকে বলল,
-” তৃতীয়তলায় থাকে ওর নাম জোভান। খুব ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র। পুরো ছাদে যে ফুলগাছ গুলো দেখছ সব ঐ লাগিয়েছে। ছেলেটার নেশা দুটো এক পড়াশোনা, দুই এই ফুলগাছগুলো। যত্নও এই দুটির প্রতি। ”
হৈমী চোখ পিটপিট করে তাকাল ইয়াসমিন আন্টির দিকে। দারুণ উৎসাহিত হয়ে বলল,
-” সব উনার লাগানো! এত এত ফুল, ফুলগাছ সব উনার? ছেলে হয়েও এমনভাবে ফুল ভালোবাসেন উনি? ইস কী সুন্দর! ভাবছি আমাদের বেলকনির জন্য কয়েকটা ফুলগাছ কিনব। খুব সুন্দর লাগবে।
উনার সঙ্গে এ ব্যাপারে ধারণা নেয়া যেতে পারে তাই না? যেহেতু উনি এসবে দক্ষ। ”
ইয়াসমিন আন্টি বলল,
-” মালিক তোমরা চাইলে পুরো ছাদটাই দখল করতে পারবে। ”
-” না না পুরো ছাদ লাগবে না। শুধু বেলকনিতেই রাখব। ”
-” তবে চলো ওপাশে যাই পরিচয় করিয়ে দিই তোমার সঙ্গে ওর। তারপর তুমি যা জানা দরকার জেনে নিও। ”
-” আচ্ছা চলুন উনার সঙ্গে ভাব করে যদি এখানে থাকা গাছ থেকেই দু’একটা নিতে পারি জোশ হবে। ”
চলবে….
খাপছাড়া হলে দুঃখীত। ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তী পর্ব শুক্রবার দেয়ার চেষ্টা করব।
গল্প সংক্রান্ত সকল আপডেট পাবেন এখানে- নাঈমার পাঠকমহল-Naiyma’s Readership