গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি #পর্ব২৫ #Raiha_Zubair_Ripti

0
58

#গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি
#পর্ব২৫
#Raiha_Zubair_Ripti

বিকেলের দিকে ঢাকার দিকে রওনা দিলো শাফায়াত রা। সাদমান এর আনা একটা গাড়িতেই সকলে উঠে বসেছে। সামনের সিটে রুয়াত,শাফায়াত। আর পেছনের সিটে সাদমান, রজনী, সানজিদা, নাইমুর। রুয়াত সেই যে সকাল থেকে গম্ভীর হয়ে আছে তো আছেই। শাফায়াত কথা বলতে আসলে এমন ভাবে কথা বলছে মনে হচ্ছে রুয়াত শাফায়াত কে ঠিকমতো চিনে না। আসার পথেও জবা চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছিল শাফায়াত কে। রুয়াত পারছিলো না জবা কে তুলে আ,ছাড় দিতে। আশেপাশে লোকজন থাকায় শুধু দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে গেছে।

শাফায়াত গাড়ি চালানোর সময় বারবার আড়চোখে রুয়াত কে দেখছে। শাফায়াত বুঝতে পারছে না রুয়াতের এমন বিহেভিয়ার এর মানে। রেগে থাকার মতো কি সে কিছু করেছে? কই মনে তো পরছে না। আর যদি অজান্তে কিছু করেও থাকে তাহলে রেগে থাকার কি মানে? রাগ ঝাড়বার জন্য কথা তো বলবে! কিন্তু নাহ্ এই মেয়ে কে কিছু বলাও যাচ্ছে না। কিছু ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করলেই এমন ভাবে তাকাচ্ছে যেনো মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই শাফায়াত কে সে ভস্ম করে ফেলবে। শাফায়াত সারা রাস্তা চুপ করে রইলো। এখন আর কিছু বলবে না। বাসায় ফিরে জিজ্ঞেস করবে এই মেয়ের সমস্যা টা কি। তাই গাড়ি চালানো তে মনোযোগ দিলো।

রজনী জানালার দিকে মুখ করে তাকিয়ে আছে। সাদমান তাকাবে না ভেবেও বারবার মনের ভুল করে তাকাচ্ছে। যতবারই তাকাচ্ছে ততবারই তার সেই কথা টা স্মৃতিচারণ হচ্ছে। রজনী কাউকে ভালোবাসি বলছে কাউকে মিস করছে সে।

আচ্ছা রজনী কাকে বলেছে এটা? রজনী কে কি জিজ্ঞেস করবে সাদমান? নাহ্ বিষয় টা খারাপ দেখায়। সাদমান আঁড়চোখেই দেখতে লাগলো রজনী কে।

শাফায়াত নাইমুরের বাসার রোডের সামনে আসতেই নাইমুর নেমে যায়। সানজিদার দিকে তাকিয়ে ইশারায় বলে বসায় পৌঁছে কল দিতে। তারপর চলে যায়।

শাফায়াত আধঘন্টার মধ্যে নিজের বাসার সামনে চলে আসে। রজনী কেও নিয়ে আসে। রাত হয়ে যাওয়া আর রজনী কে দিয়ে আসে নি তার বাসায়। কাল দিয়ে আসবে।

রুয়াত গাড়ি থেকে নেমেই হনহন করে বাড়ির মধ্যে ঢুকে যায়। সাদমান নামে গাড়ি থেকে। সানজিদা রজনী কে নিয়ে চলে গেছে। শাফায়াত রুয়াতের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে গাড়ি থেকে ল্যাগেজ নামাতে নামাতে বলে-
-“ রুয়াতের কি হয়েছে সাদমান? ওর শরীর দিয়ে আগুনের এতো ফুলকি ঝড়ছে কেনো?
সাদমান নিজের ল্যাগেজ টা বের করতে করতে বলে-
-“ বউ কে গিয়ে জিজ্ঞেস করো আমাকে না করে।
সাদমান চলে গেলো। শাফায়াত বুঝলো না এর আবার কি হলো?
রুয়াত বাসার ভেতরে ঢুকে শারমিন বেগম এর সাথে দেখা করে নিজের রুমে এসে ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে ঢুকে। শাফায়াত রুমে বিছানায় বসতেই ওয়াশরুম থেকে পানি পরার শব্দ শুনে বুঝতে পারে রুয়াত ওয়াশরুমে।
অপেক্ষা করতে লাগলো রুয়াতের বের হবার। রুয়াত ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে শাফায়াত কে টোটালি ইগনোর করে বেলকনিতে চলে গেলো ভেজা জামাকাপড় মেলতে। শাফায়াত উঠে বেলকনিতে আসতেই রুয়াত পাশ কাটিয়ে চলে গেলো নিচে। শাফায়াত বেকুব হয়ে গেলো। এমন ইগনোর করার মানে কি?

খাবার টেবিলে বসে সবাই রাতের ডিনার করছে। টেবিলে শুধু মুখ টাকে গম্ভীর করে গপাগপ খাবার খাচ্ছে সাদমান আর রুয়াত। শাফায়াত রুয়াত আর সাদমান কে পর্যবেক্ষণ করে চলছে। এবার তার ভীষণ রাগ হলো। ইচ্ছে করলো দুটো কে সামনে দাঁড় করিয়ে ঠাস ঠাস কয়েক টা বসিয়ে দিতে। রুয়াতের পাশে রজনী বসায় রজনী বলে উঠল-
-“ রুয়াত কাল ডক্টর উমরের বাসায় যেতে হবে আমার।
রুয়াত খেতে খেতে বলে-
-“ কেনো কাল কি?
-“ কাল ২৬ তারিখ রুয়াত।
রুয়াত ঘাড় বেঁকিয়ে তাকালো। বিস্ময়ের সাথে বলল –
-“ কাল ২৬ তারিখ!
-“ হু।
-“ ওহ্ আচ্ছা। যাইয়ো ভালো লাগবে।
সাদমানের গলা দিয়ে আর খাবার ঢুকলো না। হাত ধুয়ে চলে গেলো। রুয়াত, রজনী, সানজিদার খাওয়া শেষ। সানজিদা রজনী কে নিজের রুমে নিয়ে গেলো। শারমিন বেগমের খাওয়া শেষ হতেই রুয়াত তাকে রুমে চলে যেতে বলে। সে এঁটো থালাবাসন ধুয়ে রাখবে। শারমিন বেগম চলে গেলেন। টেবিলে পড়ে রইলো শাফায়াত। যে কি না পিঁপড়ার মতো করে খাবার খাচ্ছে। রুয়াত এক এক করে থালাবাসন বেসিনে নিয়ে গেলো। শাফায়াত কে এখনও খাওয়া শেষ করতে না দেখে চেয়ার টান দিয়ে বসলো। শাফায়াত সে নিজের মতো একটু একটু করে খাচ্ছে আর ফোন স্ক্রোল করছে। দশ মিনিট হয়ে গেলো এভাবে। এখন খাবার টা শেষ করতে না দেখে রুয়াত এবার রেগে এক ঝটকায় ফোন টা কেঁড়ে নিলো।

শাফায়াত ভ্রু কুঁচকে বলল-
-“ আশ্চর্য ফোন নিলে কেনো?
-“ খাওয়ার সময় ফোন কি হ্যাঁ? আর এইটুকু খাবার খেতে এতো সময় লাগে?
-“ আমার ইচ্ছে।
-“ তাহলে খাওয়া শেষে ভদ্রলোকের মতো প্লেট খানা ধুয়ে রাখবেন।
-“ পারবো না।
-“ তাহলে চুপচাপ খাবার খেয়ে প্লেট দিন।
শাফায়াত খাবার সহকারে প্লেট টা এগিয়ে দিলো।
-“ খাবেন না?
শাফায়াত বেসিনে গিয়ে হাত ধুতে ধুতে বলে-
-“ না।
রুয়াত কথা না বাড়িয়ে থালাবাসন ধুতে লাগলো। শাফায়াত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলো। রুয়াত থালাবাসন গুলো ধুয়ে টেবিলে উপর করে রাখতেই আকস্মিক হাতে হেঁচকা টান লাগায় পড়ে যেতে নিলে শাফায়াত ধরে নেয়। রুয়াত রেগে বলে উঠে –
-“ এমন ভাবে টানেন কেনো। পড়ে গেলে তার দায় কে নিতো?
শাফায়াত রুয়াতের কোমড় চেপে ধরে বলে-
-“ আমিই নিতাম।
রুয়াত ছাড়া পাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করতে করতে বলে-
-“ ছাড়ুন।
শাফায়াত এর কাটকাট জবাব-
-“ না।
-“ না মানে কি? ছাড়ুন বলছি।
-“ না ছাড়বো না। আগে বলো রেগে আছো কেনো?
-“ কারন আছে সেজন্য।
-“ কারন টা বলো।
-“ খুঁজে নিন। এতো ঠেকা পড়ে নি বলে দেওয়ার।
-“ আমার তো জানামতে রেগে থাকার মতো কিছু করি নি।
-“ করেছেন অবশ্যই।
-“ বলো কি করেছি।
-“ আগে ছাড়েন। কেউ দেখে ফেলবে তো।
-“ কেউ দেখবে না। বলো।

-“ আমি দেখে ফেলেছি ব্রো। রুমে গিয়ে রোমান্স করো।
রুয়াত চোখ বড় বড় করে তাকালো৷ ওরা কি রোমান্স করছে নাকি? শাফায়াত বিরক্ত নিয়েই বলল-
-“ আমার বাড়ি আমার বউ আমি যেখানে খুশি সেখানেই রোমান্স করবো তোর কি।
সাদমান পাশ কাটিয়ে বাহিরে যেতে যেতে বলল-
-“ আচ্ছা করো তাহলে রোমান্স বসার ঘরেই।
-“ তুই বাহিরে যাচ্ছিস কেনো?
-“ হাওয়া খেতে।
সাদমান চলে গেলো। রুয়াত জোর করেই নিজেকে এবার ছাড়িয়ে নিলো। তর্জনী উঁচু করে বলল-
-“ লজ্জা শরম কি পকেটে ঢুকায় রাখছেন? ছোট ভাইয়ের সামনে এসব কি বলছেন হ্যাঁ?
শাফায়াত ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল-
-“ লজ্জা শরম গত কালই ভেঙে গেছে। তাই আর অবশিষ্ট নেই।
রুয়াত চলে গেলো। শাফায়াত শিষ বাজাতে বাজাতে বউয়ের পেছন পেছন আসতে নিলে হুট করে ফোনে মেসেজ আসে। সাদমান পাঠিয়েছে। ওপেন করে দেখতেই দেখে তাতে লেখা আছে,,
-“ তোমার বউ জবার জন্য রেগে আছে। জবা তোমাকে গিলে গিলে খাচ্ছিলো দেখে। কারন জিজ্ঞেস না করে বউ কে সরি বলে মানাও৷ যদিও তোমার দোষ নেই। তবুও দোষী সাজো।

শাফায়াত সরু চোখে তাকিয়ে রইলো মেসেজের দিকে। বিয়ে করলে এই এক সমস্যা। দোষ না করেও দোষী সাজতে হয়।
রুয়াত রুমে এসে সোজা বিছানায় শুয়ে পড়ে। শাফায়াত লাইট টা বন্ধ করে বিছানায় এসে রুয়াত কে জড়িয়ে ধরে। রুয়াত সরিয়ে দেয় শাফায়াত কে। শাফায়াত টেনে কাছে নিয়ে আসে রুয়াত কে। তারপর আলতো করে গালে হাত রাখে। ঢঙ্গি বউ তার। নরম কন্ঠে বলল-
-“ রেগে থাকলে চলবে বলো? আমরা তো ঢাকায় চলেই আসছি। জবা কি আর আসতে পারবে আমাদের মাঝে? আমি তোমার আছি তোমারই তো থাকবো।
রুয়াত এখন একটু নরম হলো। বুকের শার্ট টা চেপে ধরে বলল-
-“ ও এতো বেহায়া কেনো? না করার পরও কেনো আপনার দিকে তাকায়? ওর লজ্জা নেই?
-“ ওর এসব একটু কমই। ওর কথা বাদ দাও। শুনো ও যা ইচ্ছে করুক। তুমি রাগবা না। ও তোমায় রাগানোর জন্য ই বেশি বেশি এসব করে।
-“ আর যাব না আমি আর ঐ বাড়ি জবা থাকাকালীন।
-“ আচ্ছা যেতে হবে না আর। এবার ঘুমাও। আর রেগে থাকবা না কেমন? কারন বলবে তৎক্ষনাৎ ই। মনে থাকবে?
-“ হু। সরি।

শাফায়াত আলতো করে কপালে চুমে খেয়ে জড়িয়ে ঘুম দিলো।

রজনী দাঁড়িয়ে আছে বেলকনিতে। একটু ভ্যাঁপসা গরম লাগায় বেলকনিতে এসেছে শরীর ঠান্ডা করার জন্য। অথচ তার চোখ জোড়া আটকে আছে বাগনের বেঞ্চে বসে থাকা সাদমান এর দিকে। এতো রাতে একা বাগানে বসে কেনো? মন খারাপ ওর? নাকি গরম লাগছে কোনটা?

রজনী ডেকে উঠলো সাদমান কে।
-“ সাদমান।

সাদমান ডাক টা শুনে চোখ বন্ধ করে ফেললো। ডাকটা এতো সুন্দর লাগছে কেনো? সাদমান পেছন ফিরলো। বলল-
-“ হু বলুন।
-“ এতো রাতে বাগানে কেনো আপনি?
-“ গরম লাগছিলো সেজন্য। আপনি কেনো বেলকনি তে?
-“ আমার ও গরম লাগছিলো।
-“ ওহ্ আচ্ছা ঘুমিয়ে পড়ুন।

সাদমান চলে গেলো। রজনীর কাছে কেমন যেনো লাগলো সাদমান কে। কেমন ইগনোর ইগনোর করছে।

—————-

নতুন আরেক সকালের আগমন। সূর্যের দাবদাহে পুড়ছে নগরবাসী। কোথাও শীতল বাতাসের ছিটেফোঁটা ও নেই। শাফায়াত রুয়াত ব্রেকফাস্ট করেই বের হয়েছে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে। এক সাথে ভেতরে ঢুকতেই সর্বপ্রথম রুয়াতের চোখ আঁটকে যায় দূরে বসে থাকা রোহানের দিকে। কেমন হাসিতে চোখ মুখ জ্বলে উঠছে। উঠেছিলো বসা থেকে। হয়তো এগিয়ে আসতে চাইছিলো কিন্তু পারে নি শাফায়াত কে দেখে। বসে পড়ে বেঞ্চে। নেহাল কাঁধে হাত রাখে। এই কয়দিন রুয়াত কে একটু দেখার জন্য ভার্সিটি তে ছুটে আসতো। আজ দেখতে পেলো। চোখ জোড়া জুড়িয়ে আসলো তার।

রুয়াত দৃষ্টি সরিয়ে চলে গেলো ক্লাসে। নেহাল রোহানের দেবদাস মার্কা চেহারা দেখে বলে উঠল-
-“ তোর এই দেবদাস মার্কা চেহারা কবে পাল্টাবে বলতে পারবি? তাহলে সেদিন রোজা রেখে একটা ইফতার পার্টির আয়োজন করতাম। কাইন্ডলি জানিয়ে দিস সেই দিন টা?
রোহান আজ আর চেতলো না। সব সময় কি আর চেতা যায়? যার মনে বয়ে ঝড় সে বুঝে তার বেগ কতটা মারাত্মক। নেহাল তো আর হারায় নি। সে তো পেয়ে যাবার পথে সুইটি কে। সে কি করে বুঝবে না পাওয়ার ব্যথা।

রোহান বসা থেকে উঠে চলে যেতে নিলে নেহাল হাত টা ধরে ফেলে। টেনে ধরে বসিয়ে বলে-
-“ তোর এমন নিস্তব্ধতা ভালো লাগছে না রোহিঙ্গা। তুই থাকবি ছন্নছাড়া রাজনীতি করে বেড়ানো বাউন্ডুলে টাইপের। তা না ছ্যাকা খোর দের মতো এমন আচারণ করছিস যেনো মনে হচ্ছে তোর কপালে আর কোনো মেয়ে জুটবে না। তুই রুয়াতের থেকেও বেস্ট কাউকে পাবি দেখে নিস।

-“ আমি তো বেস্ট কাউকে চাই নি জীবনে।
-“ তুই চাস নি তো কি হয়েছে। পৃথিবী নিজ থেকে দিবে সেই বেস্ট টা তোকে। তাই ভক্কর চক্কর বাদ দিয়ে নিজের ফর্মে ফির। ছাত্র লীগের নেতা এমন নেতিয়ে থাকলে দল তো এমনিতেই হাল্কা বাতাসে এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়বে।
রোহান উঠে দাঁড়ালো।
-“ চল ক্লাবে যাব।
-“ কেনো? ওসব গিলতে?
-“ হু। গেলে আয় না গেলে থাক। আমি চললাম।

নেহাল রোহানের পেছন পেছন হাঁটা ধরলো।

দুপুর হতেই রজনী রেডি হয়ে নেয়। রুয়াত বেগুনি রঙের শাড়ি বের করে দিয়ে গিয়েছিল। রজনী সেটাই পড়ে নেয়। চুল গুলো হাত খোপা করে কানের পাশে গোলাপ ফুল লাগায়। আয়নায় একবার নিজেকে দেখে তারপর রুম থেকে বের হয়ে বসার রুমে আসলো। সোফায় বসে ছিলো সাদমান আর শারমিন বেগম। রজনী শারমিন বেগমের থেকে বিদায় নেয়। সাদমান একবার তাকিয়েই দ্বিতীয় বার আর তাকানোর সাহস পায় নি। শারমিন বেগম সাদমানের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ সাদমান ওরে একটু পৌঁছে দিয়ে আয়।
সাদমান ভেবেছিলাম না করবে। কিন্তু কেনো যেনো না বলার জন্য মুখ খুলতেই আচ্ছা বলে ফেললো। নিজের কাণ্ডে নিজেকেই শ’খানেক বকাবকি দিলো। তারপর বসা থেকে উঠে রুম থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে বলল-
-“ চলুন।
রজনী সাদমান এর পেছন পেছন এসে গাড়িতে উঠে বসলো।
সাদমান গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে বলল-
-“ ডক্টর উমর এর বাসায় যাবেন?
-“ হ্যাঁ। আগে একটু মার্কেটের সামনে থামিয়েন তো গাড়ি।
-“ কেনো?
-“ কিছু কিনবো।

সাদমান গাড়িটা মার্কেটের সামনে এনে থামালো। রজনী মার্কেটে গিয়ে মিনিট দশেক পর আসলো কিছু প্যাকেট নিয়ে। সাদমান আড়চোখে দেখলো। তারপর স্টার্ট দিলো৷ রজনী লোকেশন টা বলে বলে দিলো।
দু তালা ডুপ্লেক্স এর সামনে এসে থামলো। রজনী গাড়ি থেকে নেমে সাদমান এর দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ আপনিও আসুন না সাথে। ওর ভালো লাগবে।

সাদমানের রাগ হলো এই কথাটা শুনে। ওর ভালো লাগবে মানে কি? উমর এর ভালো লাগবে সেজন্য তাকে নিয়ে যাবে! কাটকাট গলায় বলল-
-“ যাব না। আপনি যান। আমি কি চলে যাব গাড়ি নিয়ে নাকি চলে আসবেন?
-“ আধঘন্টা অপেক্ষা করতে পারবেন?
-“ হু।
-“ তাহলে অপেক্ষা করুন আমি দেখা করেই চলে আসবো।

রজনী চলে গেলো। সাদমান গাড়ির ভেতরই বসে সাপের মতো ফুঁসতে লাগলো।

( সিজোফ্রেনিয়া রোগ টা নিয়ে আমি গুগল ঘাটাঘাটির পরই লিখেছি। কিন্তু এক আপু বললো তথ্য গুলো নাকি কিছুটা ভুল। গুগল ও যে ভুল বলে আমার জানা ছিলো না। তাই আমি তে আর প্লট বদলাতে পারবো না। যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে দয়া করে বাস্তবের সাথে মিলাবেন না। আমি এটাকে আমার নিজের মতো সাজিয়ে নিব।)

#চলবে?

গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here