গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি #পর্ব৩৪ #Raiha_Zubair_Ripti

0
117

#গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি
#পর্ব৩৪
#Raiha_Zubair_Ripti

সুদূর মসজিদ থেকে মাগরিবের আজান ভেসে আসছে। পাখিরা ডানা ঝাপটে নীড়ে ফিরছে। পৃথিবীর বুকে নেমে এসে আঁধার। কৃত্রিম আলো জ্বলে উঠেছে রাস্তায়। হোস্টেলের ঠিক বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে নীতি। দৃষ্টি তার সামনের দিকে কিছু ভাবনায় মশগুল। উপর তালার জানালা থেকে হাবিবা ডেকে চলছে একাধারে নীতি কে। নীতির সেদিকে হুঁশ নেই৷ অগ্যতা হাবিবা নিচে আসলো। নীতির কাঁধে হাত দিয়ে মৃদু ধাক্কা দিয়ে বলে উঠল-
-“ এই কখন থেকে ডাকছি তোকে। শুনছিস না কেনো?
মৃদু সেই ধাক্কায় চমকে লাফিয়ে উঠলো নীতি। দু হাত দিয়ে মুখ ঢেকে মৃদু চিৎকার করে বলল-
-“ হাবিবা আমার মুখ.. আমার মুখ জ্বলে যাচ্ছে। ওরা আমাকে শেষ করে ফেলছে।
হাবিবা নীতির কথার কোনো আগা মাথা খুঁজে পেলো না। এগিয়ে এসে মুখের সামনে থেকে হাত সরিয়ে বলল-
-“ কে শেষ করে ফেলছে তোকে? আর মুখ কেনো জ্বলছে তোর?
-“ এসিড এই দেখ এসিড… কথাটা বলে মুখ দেখিয়ে নিজের দিকে তাকালে আঁতকে উঠে। তড়িঘড়ি করে ফোনের ক্যামেরা অন করে মুখের সামনে ধরে দেখে সব ঠিকঠাক আছে। নীতি শরীরে চোখ বুলালো। নাহ্ সে তো ঠিক আছে৷ তাড়াতাড়ি করে পেছনে ফিরে তাকালো। সামনেই নীলয় এর এক চ্যালা দাঁড়িয়ে আছে। এই চ্যালা কে দেখেই নীতি ভয়ে এমন দুঃস্বপ্ন কল্পনা করে বসেছিল। আর এক মূহুর্ত ও দাঁড়ালো না। দৌড়ে রুমে চলে আসলো। ভয়ে তার বুক কাঁপছে। শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গেছে। কি ভয়ানক সেই দুঃস্বপ্ন। এক পা ও রাখবে না হোস্টেল এর বাহিরে নীতি। গুটিশুটি হয়ে বিছানার এক প্রান্তে বসলো। হাবিবা রুমে এসে নীতি কে ভয়ে চুপসে যেতে দেখে এগিয়ে আসলো। বাহিরে নীলয়ের চ্যালাকে দেখেই হাবিবা নীতি কে ডেকে উঠেছিল যেনো না যায়। আর যাই হোক এই ফেনী শহর কে দিয়ে বিশ্বাস থাকলেও নীলয় নামক পুরুষ কে নিয়ে নেই। নীতি কে এতো ডাকছিলো কিন্তু নীতি শুনছিলোই না। অগ্যতা নিচে গিয়েছিল নিয়ে আসতে। কিন্তু কি এমন হলো যে মেয়েটা এমন ভয়ে সিঁটিয়ে আছে।

হাবিবা পাশে বসলো। নীতির শরীর ঘেমে একাকার। হাবিবা মাথায় হাত রাখতেই নীতি জাপ্টে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলো। হাবিবা ভরকে গেলো। বলল-
-“ কি হয়েছো নীতু? কাঁদছিস কেনো ইয়ার? আমাকে বল। তা না হলে বুঝবো কি করে?
নীতি হেঁচকি তুলতে তুলতে সব খুলে বলল। হাবিবা অবাক হয়ে তাকালো। এক দণ্ডে কি থেকে কি ভেবে বসেছে এই মেয়ে! নীতির মাথায় হাত বুলিয়ে বলল-
-“ পাগল মেয়ে কি সব ভেবেছিস নিজেকে নিয়ে! এসব ভাবিস না। তোর তো ভার্সিটির সব কাজ কমপ্লিট। যাবার আগে এসব কেউ ভাবে? আর আমিও পাগলের মতো তোকে একা ছাড়তে নিয়েছিলাম শিট! চোখ মুখে পানির ছিটা দিয়ে আয়। আমি অন্য কিছু রান্না করে আনছি।
হাবিবা চলে গেলো। নীতির হাত পা শরীর এখনও কাঁপছে। পাশ থেকে ফোন টা নিয়ে নেহালের নম্বরে কল লাগালো। নেহাল রোহানের সাথে বসেই কথাবার্তা বলছিল। নীতির কল পেয়ে ফোনটা রিসিভ করলো।
-“ হ্যালো নীতি বল।
নীতি কাঁদো গলায় বলল-
-“ ভাই!
নেহাল বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। অস্থির কন্ঠে বলল-
-“ কি হয়েছে নীতি। বোন গলার স্বর এমন শোনাচ্ছে কেনো?
-“ ভাই আমি আর থাকবো না ফেনী। আমাকে কালই এসে নিয়ে যাও।
-“ আমি কাল সকালেই চলে আসবো বোন। আগে বল কি হয়েছে?
রোহান ভ্রু কুঁচকালো নেহালের অস্থিরতা দেখে। মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো কি বলছে শোনার জন্য।
-“ কিছু হয় নি ভাই। আমি থাকবো না এই ভয়ংকর শহরে। প্লিজ কাল এসে নিয়ে যাও। আমার ভয় করছে।
-“ নীলয় কিছু করেছে?
মুহূর্তে স্মৃতি তে ভেসে উঠলো সেই দৃশ্য। নীতি মুখ চেপে ধরলো। রোহান ফোন টা কেঁড়ে নিলো। গম্ভীর কন্ঠে বলল-
-“ কি হয়েছে নীতি? নীলয় কি করছে?
রোহানের কন্ঠ স্বর শুনে নীতির আরো কান্না পেলো৷ মুখে হাত রেখেই বলল-
-“ রোহান ভাইয়া আমাকে নিয়ে যান না। আমাকে প্লিজ নিয়ে যান।
-“ কি হয়েছে বলবি তো। নাকি এসে থাপড়াবো তোকে কোনটা?
-“ কিছু হয় নি। আমাকে কালই এসে নিয়ে যাবেন।

ফোন কে’টে দিলো নীতি। রোহান ফোনের স্কিনে তাকালো। নীতি ভয় পেয়েছে নিশ্চয়ই কোনো বিষয়ে। নেহালের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ নীতির রুমমেটের নম্বর আছে?
-“ হু।
-“ কল লাগা।
নেহাল কল লাগিয়ে রোহানের হাতে দিলো। ফোন রিসিভ হতেই রোহান বলল-
-“ নীতির রুমমেট তুমি?
হাবিবা ফোনের স্কিনে ভালো করে তাকালো। এটা তো নীতির ভাইয়ের নম্বর কিন্তু কণ্ঠস্বর এমন অচেনা কেনো?
-“ হ্যাঁ ভাইয়া।
-“ নীতির কি হয়েছে? ও এমন ভয় পেয়েছে কেনো?
-“ আপনি কে?
-“ আমি রোহান।
-“ ওহ্। আসলে নীতি ভয়ংকর স্বপ্ন দেখেছিল।
-“ কি স্বপ্ন?
হাবিবা ব্যাখা দিয়ে বলল সব টা। রোহানের হাত মুঠোবন্দি হয়ে আসলো। কপালের রাগ ফুলে উঠলো। ফোন টা ধপ করে কে’টে দিয়ে টেবিলের উপর থেকে গাড়ির চাবি টা নিয়ে বের হলো। নেহাল কিছু বলার সুযোগ পেলো না।

হাবিবা রান্না শেষ করে খাবার নিয়ে বসে আছে নীতির সামনে। নীতি খাবার খাচ্ছে না। ভয়ে এখনও শেষ হয়ে যাচ্ছে মেয়েটা। হাবিবা ভাতের লোকমা নীতির মুখের সামনে ধরে বলল-
-“ ওটা তোর শুধুমাত্র কল্পনা ছিলো নীতি। তেমন কিছুই হয় নি। খাবার টা খেয়ে নে ইয়ার।
নীতি হা করে। হাবিবা খাইয়ে দেয়। কিন্তু নীতি খাবার টা গিলতে পারে না। গিলতে কষ্ট হচ্ছে। বিঁধছে খাবার গুলো গলায়। নীতি পানি খেয়ে বলল আর খাবে না। জোর না করতে। হাবিবা আর জোর করলো না। নিজে খাবার খেয়ে বাতি নিভিয়ে শুয়ে পড়লো নীতির পাশে।

রাত এগারো টার দিকে নীতির ফোন বিকট আওয়াজে বেজে উঠে। নীতির সবেই চোখ টা বন্ধ হয়ে আসছিলো। ফোনের আওয়াজে ধড়ফড়িয়ে উঠলো। রোহানের নম্বর দেখে ভ্রু কুঁচকালো। কাঁপা কাঁপা হাতে ফোন টা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে রোহান বলে উঠল-
-“ ঝটপট ব্যাগ গুছিয়ে হোস্টেলের নিচে আয়। আমি দাঁড়িয়ে আছি।

নীতি হন্তদন্ত হয়ে বিছানা ছেড়ে বেলকনিতে আসলো। নিচে তাকাতেই দেখলো গাড়িতে হেলান দিয়ে রোহান দাঁড়িয়ে আছে।
-“ আ… আপনি এখানে কেনো এখন?
রোহানের সোজাসাপটা জবাব-
-“ তোকে নিতে এসেছি। তাড়াতাড়ি আয়।
রোহান ফোন কেটে দিলো। নীতি রুমে আসলো। হাবিবা কে ডেকে বলল সে চলে যাবে। হাবিবা উঠে নীতি কে হেল্প করলো গুছাতে। নীতি বোরকা টা পড়ে হাবিবা কে জড়িয়ে ধরে বলল-
-“ সাবধানে থাকিস৷ আসছি।
-“ পৌঁছে ফোন দিবি।
নীতি মাথা নাড়িয়ে বেরিয়ে আসলো রুম থেকে। হাবিবা বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়ালো। নীতি হোস্টেলের গেটের সামনে আসতেই রোহান কে দেখতে পায়৷ রোহান নীতির হাত থেকে ব্যাগ টা নিয়ে গাড়ির পেছনে রাখে। নীতি বেলকনির দিকে তাকাতেই হাবিবা হাত নাড়িয়ে বিদায় জানায়। নীতির চোখ ঝাপ্সা হয়ে আসে। আর দেখা হবে না হয়তো তাদের । আর আসাও হবে না ফেনী শহরের। নীতি গাড়িতে উঠে বসলো। রোহান ও উঠে বসলো গাড়িতে। গাড়ি স্টার্ট দিতেই নীতি জানালা দিয়ে মাথা বের করে শেষ বারের মতো হাবিবা কে দেখে নিলো। মনে মনে বলল-“ সাবধানে সুস্থ ভাবে থেকো হাবু।

গাড়ির সিটে মাথা এলিয়ে দেয় নীতি। বুকের ব্যথা টা বাড়ছে ক্রমশ। নীতি জোরে জোরে শ্বাস নিলো চোখ বন্ধ করে। রোহান আড়চোখে দেখে চলছে নীতি কে। নীতির মুখ ভয়ে শুকিয়ে একটুখানি হয়ে গেছে।
-“ খারাপ লাগছে অনেক?
নীতি চোখ মেলে তাকালো। ছোট্ট করে বলল-
-“ হু।
রোহান এক হাত বাড়িয়ে বলে-
-“ এখানে আয়। ভয় পাস না।
নীতি সিট বেল্ট খুলে এগিয়ে আসলো রোহানের কাছে। রোহান নীতি কে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলো। নীতি রোহানের শার্ট খামচে ধরে বুকে মাথা রাখলো। রোহানের সারা শরীরে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলো। কেমন একটা লাগলো। নীতির মুখের দিকে তাকাতেই দেখলো নীতি চোখ বন্ধ করে আছে। গরম নিঃশ্বাস রোহানের বুকে এসে পড়ছে। রোহান সারা রাস্তা এভাবেই গাড়ি চালিয়ে নিজের বাসায় এসে পৌঁছাল রাত একটার দিকে। নেহাল ছিলো রোহানের বাসাতেই। দরজা খুলে নীতি আর রোহান কে একত্রে দেখে অবাক হলো। ছেলেটা এতো রাতে তার বোন কে গিয়েছিল নিয়ে আসতে!

নীতি ঘুমে ঢুলছে। রোহান নেহাল কে বলল পাশের রুমে গিয়ে নীতি কে শুইয়ে দিতে। নেহাল বোন কে ধরে পাশের রুমে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিলো। রোহানের এখন নিজেকে হাল্কা লাগছে। কথাগুলো শোনার পরই মন কেমন অস্থির হয়ে গিয়েছিল। নীতি কে চোখের সামনে দেখার প্রয়াস জেগেছিল মনে। তাই তো চলে গেলো। নেহাল কথা বলতে আসলে রোহান বিছানায় শুয়ে বলে কাল সকালে কথা বলবে।

রাতের নিকষ কালো অন্ধকারের বুক চিড়ে মসজিদে ইমামের কন্ঠে আজানের ধ্বনিতে চারপাশটা আলোকিত হতে শুরু করলো। পাখি ডাকছে জানালা দিয়ে। গা হাল্কা করা মৃদু বাতাস বইছে। সারা রাত সাদমান এর ঘুম হয় নি। সকালের অপেক্ষায় ছিলো। আজ যে রজনী দের বাসায় যাবে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। সাদমানের সেটা নিয়ে তড় সইছে না। ঘুম থেকে উঠেই বাবা মায়ের রুমের সামনে গিয়েছে। দরজায় কড়া নেড়ে ঘুম থেকে তাদের জাগালো। আর তাড়াতাড়ি রেডি হতে বলল। সাইদুল ইসলাম ভীষণ বিরক্ত ছেলের উপর। এতো সকালে কেউ ডাকে? আর এমন বিয়ে পাগল কেউ হয়! একটা মাত্র ছেলে। না মেনেও স্বস্তি নেই। অগ্যতা তারা স্বামী স্ত্রী ফ্রেশ হলেন। এদিকে সাদমান ফ্রেশ হয়ে গোসল করে পরিপাটি হয়ে রেডি হয়েছে। খাবার টেবিলে খাবার খেতে আসলে সবাই হা হয়ে তাকায়। পাঞ্জাবি পড়ে একদম নতুন জামাই জামাই ভাব। রুয়াত তো বলেই ফেলল-
-“ কোথাও যাবেন নাকি ভাইয়া?
সাদমান হাত ধুতেধুতে বলে-
-“ হ্যাঁ তোমাদের বাসায়ই তো যাবো।
রুয়াত শাফায়াত এর দিকে তাকালো। শাফায়াত একমনে খাবার খাচ্ছে।
-“ সেটা তো ভাইয়া দুপুরে। আপনি এখনই যাবেন!
সাদমান সহসা তাকালো রুয়াতের পানে।
-“ দুপুরে কেনো? সকালে গেলে কি হবে? শুভ কাজে কেউ দেরি করে?
-“ আয়োজনের ও তো একটা ব্যপার স্যপার আছে ভাইয়া।
-“ কোনো আয়োজন করতে হবে না। আমরা যাব কথা বলে বিয়ের ডেট ফিক্সড করবো। আর সেই উপলক্ষে আমি রেস্টুরেন্ট থেকে সবার খাবার অর্ডার দিব।
শাফায়াত খাওয়া শেষে হাত ধুয়ে উঠে যেতে যেতে বলে-
-“ তুই পাগল দেখে আমরা পাগল হই নি। দুপুরে যাবার কথা হয়েছে তারমানে আমরা দুপুরেই যাব। এতোক্ষণ ধৈর্য ধরে বসে থাক।

সাদমান শাফায়াত এর দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ আমি কি তোমার বিয়েতে এমন বাগড়া দিয়েছিলাম? উল্টো হেল্প করেছিলাম। মনে নেই? তুমি হেল্প না করে আমার শুভ কাজ এভাবে পিছিয়ে দিচ্ছ কেনো?
-“ আহ সাদমান হচ্ছে কি। আমরা উনাদের বলেছি দুপুরের কথা। সেখানে সকাল সকাল গেলে বিষয় টা কেমন দেখায় একটু ভাব।
-“ বলেছো কেনো দুপুরের কথা? বলতে পারলা না সকালের কথা?
সাইদুল ইসলাম তপ্ত শ্বাস ফেললো। বলল-
-“ আমার ভুল হয়ে গেছে বাপ। আমাক মাফ করে দাও।

রুয়াত পারছে না তো পেট ফাটিয়ে হাসতে। অনেক কষ্টে হাসি আটকিয়ে তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে উপরে চলে আসলো৷ রুমে এসে পেট ফাটিয়ে হাসা শুরু করলো। শাফায়াত আড়চোখে তাকিয়ে বলল-
-“ হাসছো কেনো?
-“ সাদমান ভাইয়ার অবস্থা দেখে। কেমন বিয়ে পাগল হয়ে গেছে! ইশ আপনিও যদি আমাকে বিয়ে করার আগে এমন বিয়ে পাগল হতেন৷
-“ তাহলে কি হত?
-“ সবাই বুঝতো শাফায়াত ইমতিয়াজ নোয়াস বউ পাগল।
-“ লোকজন দের বুঝিয়ে আমার কি লাভ? আমার বউ একান্তই বুঝলে এনাফ। আর কারো বুঝার দরকার নেই।
-“ সবাই জানে আপনি আনরোমান্টিক পার্সোন।
শাফায়াত এগিয়ে এসে রুয়াতের কোমড় চেপে ধরে বলল-
-“ সত্যি আমি আনরোমান্টিক?
-“ মোটেও না। আমার থেকেও বেশি রোমান্টিক আপনি৷ কাছে আসলেই তো বোঝা যায়।
চোখ টিপ দিয়ে বলল রুয়াত। শাফায়াত মুচকি হেঁসে রুয়াতের নাকের ডগায় চুমু খেলো। ফিসফিস করে বলল-
-“ তুমি এতো হট যে তোমার সংস্পর্শে আসলে আমিও হট হয়ে যাই।

( নেক্সট পর্ব কবে আসবে জানি না। দোয়া করবেন কাল থেকে এক্সাম। আল্লাহ হাফেজ)

#চলবে?

গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here