গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি #পর্ব৩৭ #Raiha_Zubair_Ripti

0
61

#গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি
#পর্ব৩৭
#Raiha_Zubair_Ripti

-“ জ্বর টা কি কমেছে?
রোহান ঘুমিয়েছিল। নীতির ফোন কল পেয়ে ঘুম টা ভাঙলো। নীতির কথায় রোহান কপালে হাত রাখলো। হাল্কা গরম অনুভব করলো। তারপর বলল-
-“ আছে একটু একটু জ্বর।
-“ খেয়েছেন সকালে?
রোহান পাশে থাকা এলার্ম টার দিকে তাকালো। ৬ টা বেজে ২৫ মিনিট। এতো সকালে কে খায়?
-“ মাত্র ৬ টা ২৫ বাজে নীতি। এতো সকালে কি আমি কখনও খাবার খাই?
-“ আর পাঁচ টা দিনের মতো কি আজকের সকাল?
-“ কেনো আজ কি সূর্য পূর্ব দিকে না উঠে পশ্চিম দিকে উঠেছে নাকি?
-“ না তা উঠে নি। তবে আপনার তো শরীর টা ভালো না। এখনও নিশ্চয়ই শুয়ে আছেন?
-“ হু,,তোর ফোন টা না আসলে দশ টা অব্দি শুয়ে থাকতাম।
-“ উঠুন। খাবার টা একটু গরম করে খেয়ে নিন।
-“ আলসেমি লাগছে রে। এই খাবার গরম করতে হবে দেখে খেতেও ইচ্ছে করছে না।
-“ রান্না তো করতে হবে না। চুলায় না পারলেন। ওভেনে দিয়ে কোনো রকমে গরম করুন। ফ্রিজের খাবার গরম না করে খাওয়া উচিত না।
-“ তাহলে তুই এসে গরম করে দিয়ে যা।
-“ আমি যেতে পারলে গিয়ে গরম করে আপনাকে খাইয়ে আবার রান্নাও করে দিয়ে আসতাম। কিন্তু সম্ভব নয়।
-“ কেনো রে কোন মহাকাজে আছিস যে আসতে পারবি না?
-“ ভার্সিটি তে এডমিট হতে যাব।
-“ ওহ্ আচ্ছা। কখন যাবি?
-“ আট টা বাজলে।
-“ সাথে কে কে যাবে?
-“ আব্বু আর ভাইয়া।
-“ তোর বাপের কি আজ ভার্সিটির ক্লাস নেই?
-“ আছে.. মিস দিবে।
-“ তোর বাপের চাকরি টা খেয়ে নিতে হবে দেখছি।
নীতি ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো-
-“ কেনো?
-“ এই যে তোর বাপ ক্লাস বাদ দিবে তোর জন্য। কত স্টুডেন্ট এর পড়াশোনায় ক্ষতি হবে এই ক্লাস মিস হওয়ায় জানিস?
-“ আশ্চর্য অন্য টিচার নিবে আব্বুর বদলে।
-“ চুপ। তোর বাপ কে ক্লাস নিতে বল গিয়ে। আর নেহালের কি ক্লাস নেই?
-“ আরেহ্ তারা কি সাধে ক্লাস মিস দিবে নাকি। আমার জন্য ই তো দিবে। মাত্র ১ দিনই তো। তেমন আহামরি ক্ষতি কারোরই হবে না।
-“ লাভ ক্ষতি বুঝিস নাকি? যদি বুঝতি তাহলে একজনের যে এতে বিশাল ক্ষতি হচ্ছে সেটা বুঝতি।
নীতি এক গাল হাসলো। তবে শব্দ হলো না৷ পরক্ষণেই ভ্রু কুঁচকে বলল-
-“ কার বিশাল ক্ষতি হচ্ছে?
রোহান ঠোঁট কামড়ে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল-
-“ উমমম বুঝিস নি এখনও কার ক্ষতি হচ্ছে? আমি নিশ্চিত তুই এতক্ষণে বুঝে গেছিস।
-“ সত্যি বুঝি নি।
-“ দুঃখিত আমি তোর বাপের মতো টিচার নই। সেজন্য ভেঙে ভেঙে বুঝাতে পারবো না। ওতো ধৈর্য্য ও নেই আমার। শোন একটা কথা।
-“ হুমম বলুন শুনছি।
-“ দেখেশুনে যাবি। আর নীলয় কি এখনও তোকে বিরক্ত করে?
-“ নাম্বার চেঞ্জ করেছি তো। হয়তো এই নম্বরের হদিস এখনও পায় নি দেখে বিরক্ত করতে পারছে না।
-“ বিরক্ত করলে আমাকে জাস্ট জানাবি। নীলয়ের চৌদ্দ গুষ্টির বাত্তি নিভানোর ব্যবস্থা আমি করে আসবো।
-“ আচ্ছা আচ্ছা সে না হয় জানাবো। এখন খাবার টা গরম করে খেয়ে ঔষধ টা খেয়ে নিন তো দেখি।
– “ হুমম। রাখছি এখন।
-“ হুমম আল্লাহ হাফেজ।

নীতি ফোন টা কেটে দিয়ে খাবার টেবিলে গিয়ে বাপ ভাইয়ে সাথে খাবার টা খেয়ে নেয়। তারপর আটটা বাজলে বেরিয়ে পড়ে ভাসিটির উদ্দেশ্যে।

রুয়াত সকাল সকাল ব্রেকফাস্ট বানিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গোসল টা সেরে নিতে। রান্না করার সময় আজ ঘামে পুরো কাহিল হয়ে গিয়েছে। গোসল না করলে টিকা বড় দায় হয়ে পড়বে। গোসল সেরে সুতি একটা কাপড় পড়ে মাথা মুছতে মুছতে ওয়াশরুম থেকে বের হয়। সর্বপ্রথম চোখ যায় বিছানায় শুয়ে থাকা ঘুমন্ত শাফায়াত এর উপর। দু হাত গালের নিচে দিয়ে গুটিশুটি হয়ে শুয়ে আছে। কি নিষ্পাপ বাচ্চাই না লাগছে দেখতে। রুয়াতের একান্তই ব্যক্তিগত এই পুরুষটি। যখনই রুয়াত ভাবে এ কথা তখনই ভালো লাগার এক শিহরণ বয়ে যায় সারা অঙ্গ জুড়ে। রুয়াত ভেজা কাপড় গুলো বেলকনিতে মেলে দিয়ে শাফায়াত এর কাছে আসে। ভেজা চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে রুয়াত এর। রুয়াত সেই ভেজা চুল শাফায়াত এর মুখের উপর ধরে। টপটপ করে পানি শাফায়াত এর মুখের উপর পড়তে লাগলো। শাফায়াত চোখ মুখ কুঁচকে ফেললো। ঘুমন্ত অবস্থায় থেকে একবার মুখের পানি মুছে ফেললো। রুয়াত মুখ চেপে হাসলো শাফায়াত এর কাণ্ডে। শাফায়াত ফের মুখ ভেজা অনুভব করতেই এবার চোখ মেলে তাকালো।

রুয়াত কে এক হাতে ভেজা চুল ধরে থাকতে দেখে আর আরেক হাতে মুখ চেপে হাসতে দেখে বুঝতে আর বাকি রইলো না এটা রুয়াতের কাণ্ড। শাফায়াত কে চোখ মেলে তাকাতে দেখে রুয়াত উঠে আসতে চাইলে শাফায়াত হাত টেনে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। রুয়াত ভরকে যায়। উঠে আসতে চাইলে শাফায়াত আরো চেপে ধরে। রুয়াত মাথা উঁচু করে শাফায়াত এর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ আহ্ ছাড়ুন তো.. সাত সকাল বেলা কি শুরু করলেন।
শাফায়াত এক আঙুল দিয়ে রুয়াতের গালে স্লাইড করতে করতে বলে-
-“ সেম কুয়েশ্চন আমার শোনা। সাত সকাল বেলা কি শুরু করলে? আমাকে জ্বালাচ্ছ কেনো?
রুয়াত অবাক হবার ভান করে বলল-
-“ কিহ্! আমি আপনাকে জ্বালাচ্ছি?
-“ তা নয় তো কে?
-“ ভুল। আমি মোটেও আপনাকে জ্বালাই নি। এবার ছাড়ুন তো দেখি। এতো বেলা অব্দি কেউ ঘুমায়? আমি যে একা একা সকালে এতো খেটেখুটে রান্না করলাম। আপনার কি উচিত ছিলো না আমাকে সাহায্য করা?
-“ হ্যাঁ তা বটে উচিত ছিলোই। কিন্তু তুমি আমাকে ডাকলে না কেনো?
-“ এতো ঢাকা লাগবে কেনো? আপনার কি মাথায় ঘিলু নেই নাকি? জানেন না আপনার বউ সকালে উঠে রান্না করে? ফজরের নামাজ পড়ার পর কিসের ঘুম আপনার হুম?
-“ দুঃখিত বউ আর এমন ভুল হবে না। এবার মতো ক্ষমা করে দাও আমায়।
-“ সে না হয় দিলাম। এবার উঠুন। ফ্রেশ হয়ে নিচে আসুন। আমি চললাম। ভার্সিটি যেতে হবে তো নাকি?
-“ হুমম। যাও খাবার বাড়ো আমি আসছি।

রুয়াত নিচে চলে আসলো। খাবার টেবিল সাজাতে গিয়ে দেখে সাদমান এখনও সোফায় আধশোয়া হয়ে শুয়ে ফোনে কথা বলছে। রান্না করতে আসার পরই রুয়াত দেখেছে সাদমান ফোনে কথা বলছে। এখন বাজে পনে নয় টা। দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা ধরে কথা বলছে এই ছেলে ভাবা যায়! রুয়াত প্লেটে রুটি বাড়তে বাড়তে সাদমান এর উদ্দেশ্যে বলে উঠে –
-“ ভাইয়া আজ কি ব্রেকফাস্ট করার ইচ্ছে আছে কি নেই বলুন তো?
সাদমান রুয়াতের দিকে মাথা ঘুরিয়ে তাকিয়ে বলল-
-“ এই তো রুয়াত আর পাঁচটা মিনিট।
-“ সেই কখন থেকেই তো শুনছি আর পাঁচ টা মিনিট। পাঁচ টা মিনি বলতে বলতে তো আড়াই টা ঘন্টা কাটিয়ে দিলেন। বলছি কি ফোনে আর কত ব্যালেন্স আছে? না মানে সব টাকা শেষ হলেই কি ফোন টা কাটবেন?
সাদমান শোয়া থেকে উঠে বসে ফোন টা রুয়াতের দিকে তাক করে বলল-
-“ আমি তো মেসেঞ্জারে কথা বলছি রুয়াত। আমার টাকা কাটছে না।

রুয়াত তপ্ত শ্বাস ফেললো৷ মেসেঞ্জারেও যে কথা বলা যায় টাকা ছাড়া তা তো ভুলেই গিয়েছিল রুয়াত। খাবার বেড়ে বসে রইলো এক ভাইয়ের আসার আর আরেক ভাইয়ের ফোন কল শেষ হবার। শাফায়াত ফ্রেশ হয়ে আসলো। রুয়াতের পাশের চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলল-
-“ ঝটপট খাবার দাও বেরোবো।
রুয়াত খাবারের প্লেট টা এগিয়ে দিতে দিতে বলল-
-“ কোথায় যাবেন?
শাফায়াত খাবার মুখে নিতে নিতে বলল-
-“ ভার্সিটি তে।
-“ কিন্তু আজ তো আপনার অফ ছিলো?
-“ হ্যাঁ। তবে সামনে ভার্সিটি তে অনুষ্ঠান আছে তো তার প্ল্যান করতে হবে সেজন্য সাইফুল স্যার যেতে বলল।
-“ ওহ্ ফিরবেন কখন?
-“ বিকেল হতে পারে। আর তুমি বসে আছ কেনো? খাওয়া শুরু করো।
রুয়াত সাদমান এর দিকে তাকালো। বলল-
-“ ভাইয়া হলো? আর কতক্ষণ?
সাদমান এবার ফোন টা কেটে পকেটে ভরে মাথার চুল গুলো পেছন ঠেলে দিতে দিতে এক গাল হেসে এগিয়ে আসলো। চেয়ার টেনে বসতেই রুয়াত খাবারের প্লেট এগিয়ে দিলো। সাদমান খাওয়া শুরু করলো। শাফায়াত খাবার শেষে এঁটো হাত ধুতেধুতে বলল-
-“ রুয়াত তোমার কি একটা গান মনে আছে?
রুয়াত খেতে খেতে বলল-
-“ কোন গান?
-“ আরে ঐ যে গান টা.. প্রেম যে কাঁঠালের আঠা লাগলে পরে আর ছাড়ে না। গান টা বেশ স্যুট করছে সাদমান এর উপরে।
সাদমান আড়চোখে তাকালো। পানির গ্লাস টা নিয়ে পানি খেয়ে বলল-
-“ তুমি ও করো প্রেম ব্রো। না তো নেই। আমার প্রেম নিয়ে কথা বলবে না। আমি প্রেম করি নি। আমি বুক ফুলিয়ে বিয়ের প্রপোজাল নিয়ে গিয়েছি।
শাফায়াত ট্যিসু দিয়ে হাত মুছতে মুছতে বলল-
-“ আর আমি বুঝি প্রেম করে তারপর বিয়ে করেছি?
-“ না তেমন না বিষয় টা। তুমি তো রাজিই ছিলে না। আমি আর খালামুনিই তো তোমাকে ধরে বেঁধে নিয়ে গেলাম। ভুলে গেলে?
রুয়াত প্লেটে হাত ধুয়ে শাফায়াত কে শুনিয়ে সাদমান কে বলল-
-“ সত্যি ধরে বেঁধে নিয়ে গিয়েছিলেন ভাইয়া?
-“ সে আর বলতে নাকি।
-“ বাজে কথা বলবি না সাদু। মোটেও এটা সত্যি না। আমি যেতে না চাইলে পারতি আমাকে বিয়ে অব্দি নিয়ে যেতে?
-“ ওমা পারতো না বুঝি তারা?
-“ অবশ্যই পারতো না।
-“ ওকে এখন যে ভার্সিটি যাচ্ছেন বাসায় আর ফিরবেন না।
-“ কেনো?
-“ কেনো বুঝেন না? আপনি তো আমাকে বিয়ে করতে চান নি। তো আর বাসায় এসে কি করবেন?
-“ আরেক টা বিয়ে করবো তাহলে?
রুয়াত অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে তাকালো। শাফায়াত বাঁকা হেসে ফের বলল-
-“ তুমি অনুমতি দিলে ট্রাস্ট মি দ্বিতীয় বউ আনতে আমার অসুবিধা নেই। তুমি তাড়িয়ে দিলে তার কাছে যাব। আর সে তাড়িয়ে দিলে তোমার কাছে আসবো। একদিন তোমার সাথে তো আরেক দিন….
-“ জাস্ট শাট-আপ।
রুয়াত দাঁতে দাঁত চেপে বলল কথাটা। সাদমান সে নিজের মতো করে খাবার খাচ্ছে ঝটপট। কারন খাবার টা শেষ হলেই সে আবার কথা বলতে পারবে রজনীর সাথে।

শাফায়াত বসা থেকে উঠে রুয়াতের কাঁধে হাত রেখে এক গাল হেসে বলল-
-“ আসছি। ওর কথায় কান দিও না। মেন্টালি সিক ও এখন। প্রেম প্রেম ভাব তো।
-“ আমরাও চাইলে পারতাম এভাবে রিলেশন করে তারপর বিয়ে করতে।
-“ তার থেকে এটা বেটার না? বিয়ের পর চেনা ও জানা একে ওপর কে?
-“ হু। জলদি ফিরবেন অপেক্ষায় থাকবো।
শাফায়াত চলে গেলো। সাদমান ও খাবার টা খেয়ে নিজের রুমে চলে গেল। রুয়াত এঁটো থালাবাসন ধুয়ে শ্বাশুড়ি কে কল দিলো।

নীতির সাথে নেহাল আর তার বাবা এসেছে। ভর্তির সব কাজ কর্ম কমপ্লিট করিয়ে নেহাল ভার্সিটিতে আসলো। নীতি কেও এনেছে সাথে সাইফুল ইসলাম। হল রুমে অপেক্ষায় ছিলো শাফায়াত সহ রোহান ও অনেক টিচার রা। সাইফুল ইসলাম আসতেই তিনি শাফায়াত কে সব বুঝিয়ে দিলো। আর বলল ছেলেপুলেদের কাজ গুলো ভাগ করে দিতে। শাফায়াত সবাই কে যার যার কাজ ভাগ করে দিলো। রোহান কে প্যান্ডেলের দায়িত্ব দিলো। আর নেহাল কে খাবারের। নীতি চুপচাপ বসেছিল। রোহান নীতি কে দেখামাত্রই এগিয়ে আসলো। বলল-
-“ কিরে কাজ শেষ?
নীতি রোহানের দিকে তাকালো। মুখে এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে বলল-
-“ জ্বর কি এখনও আছে?
-“ না নেই। বল কাজ কি শেষ?
-“ হুমম।
-“ বাসায় না গিয়ে এখানে কেনো?
-“ আব্বু নিয়ে আসলো। আর শুনলাম আপনিও আছেন। সেজন্য আপনাকে দেখার লোভ সামলাতে না পেরে চলে আসলাম।
-“ লোভী মেয়ে।
-“ উমমম হ্যাঁ তা বলতে পারেন। একদিন এই লোভের সব সীমা অতিক্রম করে আপনাকে নিয়ে হারিয়ে যাব।
-“ তাই বুঝি?
-“ হুমম তাই।
-“ কিছু খাবি?
-“ অসুস্থ আপনি নাকি আমি? কথাটা জিজ্ঞেস করার কথা কার, আমার না আপনার?
-“ কি করবো বল। তুই তো জিজ্ঞেস করতেছিস না।
-“ আচ্ছা বলুন কি খাবেন?
-“ উমম কষা মাংস… সাদা ভাত..ডাল,ভর্তা.. চিংড়ি ভুনা।
-“ এখন! আমি পাবো কোথায়? অর্ডার দিব?
-“ উঁহু। তোর হাতের খাব। বাসায় যাবি এখন। গিয়ে রান্না করবি। আমি সন্ধ্যার দিকে এসে খাব।
-“ আচ্ছা আমি তাহলে বাসায় যাচ্ছি এখন।
-“ হুমম নোমান দিয়ে আসবে যা।

নীতি চলে গেলো। শাফায়াত এসেছিল এদিক টায়। রোহান আর নীতি কে দেখে চলে যেতে নিয়েছিল। রোহান ডেকে উঠলো বলল-
-“ কিছু বলবেন স্যার?
শাফায়াত পিছু ফিরে বলল-
-“ হুমম।
-“ কি বলবেন?
-“ ইনভাইট করার ছিলো তোমাদের।
রোহান ভ্রু কুঁচকে বলল-
-“ কিসের? বাবা হতে যাচ্ছেন নাকি? কংগ্রেস স্যার…
শাফায়াত মুখে বিরক্তিকর ভাব ফুটিয়ে বলল-
-“ শাট-আপ। বাবা হতে গেলে তোমাদের ইনভাইট করবো কেনো?
-“ তাহলে কিসের ইনভাইট? মাথা চুলকে ভাবুক হয়ে বলল রোহান।
শাফায়াত সামনে ফিরে যেতে যেতে বলল-
-“ কাজের ইনভাইট করতে এসেছিলাম। কাজ গুলো চটজলদি করো। হাতে সময় কম।

রোহান ঠাই দাঁড়িয়ে থেকে শাফায়াত এর যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো। কাজের জন্য এতো ঘটা করে বলতে হয়!

#চলবে?

গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here