আশিয়ানা #পর্ব_২৬ #শারমিন_আক্তার_বর্ষা

0
213

#আশিয়ানা
#পর্ব_২৬
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
_____________
উমাইয়া কান্না করে ঘুমিয়ে যায়। গোসল করে ফ্রেশ হয়ে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে আসে রোদেলা। ফ্রিজে কোনো বাজার নেই। মাছ রয়েছে, কিন্তু প্রতিদিন মাছ খেতে ভালো লাগছে না। রোদেলা জুবিয়ার ঘরে এসে বলল, ‘ ফ্রিজে কিছু নেই। কি রান্না করব?’

জুবিয়া বলল,
‘ কিছুই নাই? মাছ আছে না ওটা ভুনা কর?’

‘ প্রতিদিন মাছ ভালো লাগে না। তুই বরং বাজারে যা। কিছু ভালো সবজি নিয়ে আয়।’

‘ পাঁচটা বাজে, এখন ভালো সবজি পাবো?’

জুবিয়া বাজার করে না আসা পর্যন্ত রোদেলা রান্না করবে না। মুখ ফুলিয়ে বসে রইল সে। অগত্যা জুবিয়া রেডি হয়ে বাড়ি থেকে বের হলো। বিকেল ৫:৪০ মিনিট। বাজারে আসার পরপর জুবিয়ার সঙ্গে ওর ভার্সিটির এক বন্ধুর দেখা হয়ে গেল। ছেলেটার নাম সম্রাট। সে এক প্রকার জোর করে জুবিয়া নিয়ে একটা রেস্ট্রন্টে বসে। জুবিয়া কিয়ৎ ক্ষণ বসে থেকে বিরক্ত হয়ে উঠে দাঁড়াল। তারপর রাগান্বিত কণ্ঠে বলল,

‘ আমার বাড়িতে বাজার নাই। রান্না বন্ধ হয়ে আছে। আমি এখন বাজার করে নিয়ে যাব। তারপর রান্না হবে। আমি এখন উঠছি। তোর সাথে ভার্সিটিতে কথা হবে।’

সম্রাট অবাক হয়ে শুধাল,

‘ আমি আসি তোর সাথে? বাজার করে দিবো।’

‘ আমার কাছে টাকা রয়েছে। তোর বাজার করে দিতে হবে কেন? বাড়ি যা।’

সম্রাট নিঃশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়াল। আজও সে জুবিয়া কে তার মনের কথা জানাতে ব্যর্থ হয়। উমাইয়ার মন ভালো নেই, জুবিয়া আজ একাই বাজারে আসছে। অল্প কিছু নিয়ে বাড়ি চলে যাবে। মাঝখানে সম্রাটের জন্য দেরি হয়ে গেল। সন্ধ্যে হয়ে আসছে৷ তাই আর মাছের বাজারে ঢুকলো না। কিছু কাঁচা সবজি-ফল এবং একটা মুরগী নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়। এখন প্রায় সন্ধ্যা সাতটা। চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেছে। রাস্তার দুইপাশের সারিতে ল্যাম্পপোস্ট রয়েছে বলেই জুবিয়া সাহসীকতার সঙ্গে নির্জন পথে হেঁটে যাচ্ছে। মৃদু হাওয়ায় শিরশিরে কেঁপে উঠল জুবিয়া। বাজারে যাওয়ার সময় বড়রোড দিয়ে গিয়েছিল। ফেরার সময় শর্টকাট করতে নিয়ে এই নির্জন পথ বেছে নিয়েছে সে। গাছের নিচতলায় ফুল পরে বিছিয়ে রয়েছে কৃষ্ণচূড়া। জুবিয়া কুটিল হাসল। তারপর কয়েক কদম পা এগিয়ে আসামাত্রই পথের কয়েকটা বখাটে ছেলেদের সামনে এসে পরে জুবিয়া। ছেলেদের মুখমণ্ডল দেখে কেমন খটকা লাগতে শুরু করে। ভদ্র ছেলে দেখে মনে হলো না। জুবিয়া মাথা নিচু করে চলে যেতে উদ্যত হলো। চার জন ছেলে একসাথে জুবিয়ার সামনে দাঁড়াল।

জুবিয়া উঁচু গলায় বলল,

‘ আমার পথ ছাড়ুন।’

প্রথমজন বলে,

‘ না ছাড়লে কি হবে সুন্দরী?’

জুবিয়া জড়ালো কণ্ঠে বলে,

‘ ভালো হবে না। বলে দিচ্ছি।’

চারজন একসঙ্গে অট্ট হাসিতে ফেটে পড়ল। জুবিয়ার হাত থেকে বাজারের ব্যাগটা দ্বিতীয়জন ছিনিয়ে নিল। তারপর সন্দেহী কণ্ঠে বলল,

‘ দেখি। ব্যাগে কি নিয়ে যাচ্ছিস?’

জুবিয়া নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেও যেন পারল না। তার উগ্র মেজাজ মূহুর্তেই তার সঙ্গ ছেড়ে পালিয়ে গেল। জুবিয়া কোষে চড় মারল লোকটার গালে। যিনি ব্যাগটা ছিনিয়ে নিয়েছেন। সহসা ব্যাগটা লোকটার হাত থেকে মাটিতে পরে। ব্যাগের ভেতর যা ছিল সবগুলো মাটিতে গড়িয়ে গেল। তৃতীয় জন লোক এগিয়ে আসলো জুবিয়ার দিকে। জুবিয়া দ্রুত তাকেও আঘাত করে। লোকটা খানিক দূরে গিয়ে অকপটে আওয়াজ করতে লাগল। পরোক্ষণে তিনজন পুরুষ একসাথে এগিয়ে এলো। দুজন জুবিয়ার দু-হাত শক্ত করে দাঁড়িয়ে রয়। জুবিয়া নড়াচড়া করতে পারছে না। সে সময় প্রথমে চড় মারা লোকটা রাগে ফুঁস ফুঁস করে এসে সজোড়ে চড় বসালো জুবিয়ার গালে। ঠোঁট কেটে হালকা রক্ত গড়ালো। দুচোখে ঝাপসা দেখতে লাগল জুবিয়া। দ্বিতীয় চড় খাওয়া লোকটি তীক্ষ্ণ কণ্ঠে কয়েকটি গালাগালি দিয়ে বলল,

‘ জঙ্গলের ভেতর নিয়ে চল। আমাদের চড় মারার শাস্তি এখুনি বুঝিয়ে দিবো। অনেক তেজ শরীরে? এই তেজ দুমড়ে মুচড়ে শেষ করব।’

জুবিয়ার বুক কেঁপে উঠল। সে কি করবে বুঝতে পারছে না। হঠাৎই সে ‘বাঁচাও’ বলে চিৎকার দিয়ে উঠল। নির্জন এই পথে চারটি পুরুষ লোক একসাথে অট্টহাসিতে মেতে উঠল। তাদের এই হাসি জুবিয়ার মনে আরও ভয় ঢুকিয়ে দেয়। লোকগুলো তাকে টেনে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যেতে লাগল। সে সময় তার চিৎকার অনুসরণ করে এদিকটায় ছুটে আসলো তূর্ণ। রাস্তায় সবজি গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেখা সে দ্রুত আরেকটু এগিয়ে গেল। জুবিয়ার চিৎকার কানে আসামাত্র হিংস্র হয়ে উঠল তূর্ণ। হিংসর ন্যায় গর্জন করে উঠল। ওরা চারজন এবং তূর্ণ একা। দেখে তারা পূনরায় হাসল। ঠাট্টার এক পর্যায়ে বলল,

‘ ভালো চাইলে পালা এখান থেকে।’

তূর্ণ ঠাই দাঁড়িয়ে আছে। চারজন লোক জুবিয়া কে ছেড়ে লম্বা সারিতে দাঁড়াল। এসময় তূর্ণ কে দেখে জুবিয়া তার প্রাণ ফিরে পেল। লোকগুলোর পিছন থেকে বের হয়ে তূর্ণর দিকে ছুটে গেল। জুবিয়া এভাবে লোকটার দিকে দৌঁড়ে যেতে পারে যেন এটা তাদের মাথাতেই আসেনি। জুবিয়া ছুটে এলো। সহসা তূর্ণকে অবাক করে জুবিয়া তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে আরম্ভ করল। তূর্ণ একহাতে জুবিয়া কে জড়িয়ে ধরে।

গম্ভীর ও শক্ত গলায় বলল,

‘ ভয় নেই। আমি চলে আসছি।’

লোকটা বলল,

‘ মেয়েটাকে আমাদের হাতে তুলে দে।’

তূর্ণ অগ্নিহায়ন রূপে, ক্ষিপ্ত কণ্ঠে বলল,

যার চোখের দিকে আমি এখন পর্যন্ত সরাসরি তাকাতে পারি না। তোরা তার সাথে জঘন্যতম কাজ করার চিন্তা ভাবনা করেছিস। তার হাত স্পর্শ করেছিস। তোদের এত সাহস কে দিয়েছে?’ শেষের বাক্যটি তূর্ণ খানিক ধমকের কণ্ঠে বলল। জুবিয়া কেঁপে উঠল। তূর্ণর এমন রূপ সে কল্পনা ও করেনি। একজন শান্তশিষ্ট লোক যে এত ভয়াবহ ওর জানা ছিল না। তূর্ণ আগের চেয়ে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত স্বরে বলে উঠল,

‘ সাহস আছে? টাচ করার? টাচ করে দেখা?’

চারজন লোক একে অন্যের মুখ দেখাদেখি করল। তারপর একজন তূর্ণর বুক থেকে জুবিয়াকে নিয়ে আসার জন্য তূর্ণর দিকে এগিয়ে যায়। তূর্ণ একহাতে জুবিয়ার হাত ধরে জুবিয়া কে তার পিছনে দাঁড় করিয়ে দিল। এরপর লোকটা মারতে মারতে র’ক্তা’ক্ত করে মাটিতে ফেলল। এটা দেখে তিনজন চমকে উঠে। এরপর তিনজন একসাথে তূর্ণর দিকে এগিয়ে আসে। তূর্ণ অনবরত লোকগুলো কে মারতে লাগল। চারজন পুরুষ লোক, একজন পুরুষের সঙ্গে পেরে উঠছে না। ইতোমধ্যে তূর্ণ হিংস্র হয়ে উঠেছে। তার এই সস্তা টাকেই মূলত ভয় করে সেহরিশ। রাগান্বিত তূর্ণ কে শান্ত করার ক্ষমতা তাদের কারো নেই। তূর্ণর আঙুলে ডায়মন্ডের বড় এক ডায়মন্ডের রিং আছে। রিংটার জন্য প্রতিটা ঘুষিতে লোকগুলোর শরীরের অংশ কেটে যাচ্ছে। তূর্ণর হাতখানা রক্তে রঞ্জিত হয়ে উঠে। জুবিয়া তাত্ক্ষণিক তূর্ণর দিকে এগিয়ে আসে। তূর্ণর হাতখানা ধরে টানতে লাগল সে।

‘ ছাড়ুন। চলে আসুন প্লিজ। এভাবে মারলে ওরা মা-রা যাবে।’

‘ মরুক। আমি মেরেই ফেলব।’

কালো রঙের বিশাল এক গাড়ি এসে থামল। গাড়ির ভেতর থেকে দশজন লোক হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে আসলো। তূর্ণকে টেনে তুললো তারা। তূর্ণ ভারী নিঃশ্বাস ফেলে তাদের উদ্দেশ্য ফিসফিসে আওয়াজে বলল,

‘ জ্যন্ত সমাহিত কর।’

‘ ওকে, বস।’ বলে মাথা নাড়াল। এরপর কালো স্যুট পরা লোকগুলো চারজনকে গাড়িতে তুললো। অন্ধকারে মিলিয়ে গেল গাড়িখানা।

তূর্ণ এগোল। জুবিয়া জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জুবিয়া পলকহীন দৃষ্টিতে এতক্ষণ তূর্ণ কে দেখছিল। তূর্ণ হেঁটে এসে তার সামনে দাঁড়ানোয় এবার এক পলক, দু’পলক পড়লো। তূর্ণর চোখে চোখ পড়তেই দৃষ্টি ফিরিয়ে নিল জুবিয়া। তূর্ণ একহাত জুবিয়ার মাথায় রাখল। এরপর নম্র কন্ঠে বলল,

‘ আমি বেঁচে থাকতে তোমাকে কোনো বিপদ স্পর্শ করতে পারবে না। পৃথিবী থেকে উপড়ে ফেলব সে সব লোকের অস্বস্তি যারা তোমাকে নিয়ে বাজে চিন্তা ভাবনা করবে। আমি থাকতে কেউ তোমার কিচ্ছু করতে পারবে না।’

বাজারের এক রেস্ট্রন্টের সামনে তূর্ণর গাড়িটা পার্ক করা আছে। তূর্ণ কল করে ড্রাইভার কে গাড়ি নিয়ে এইদিকে আসার জন্য বলে। জুবিয়া তূর্ণর পাশাপাশি হাঁটছে। এবং একটু পর পর অবাক চোখে দেখছে তাকে। তূর্ণ তা বুঝতে পারল। তূর্ণ হালকা হেসে বলল,

‘ কি দেখছ?’

‘ আপনাকে।’

‘ আমাকে দেখার কি আছে?’

‘ নতুন নতুন লাগছে।’

‘ সোজা পথ রেখে এই বাঁকা এবং নির্জন পথ অবলম্বন করতে কে বলেছে তোমাকে?’

‘ তারাতাড়ি বাড়ি যাওয়ার জন্য এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম। এইদিকে এমন ঘটনা আগে হয়েছে বলে শুনিনি।’

তূর্ণ কিঞ্চিৎ রাগান্বিত হয়ে বলল,

‘ তোমরা জানো কী? তোমরা কি আদৌও পৃথিবীতে বাস করছ? তোমাদের মনে হয়? তোমরা তিন বন্ধু নিজেদের বানানো এক পৃথিবীতে আছো। আর চারিদিকে কি হয়ে যাচ্ছে সেদিকে তোমাদের কোনো আইডিয়া নাই। বিশ্ববিখ্যাত সিঙ্গার তোমাদের সামনে, তোমরা চিনো না। সেটা না হয় বাদ দিলাম। পৃথিবীর সবার চেনার কথাও নয়। কিন্তু নিজ শহরের পথঘাট সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। দুইমাসে এই পথে দুটো খু-ন হয়েছে। সন্ধ্যার পর ছিনতাই লেগেই থাকে। এপথে লোকজন চলাচল করতে ভয় পায়। আর তুমি বলছো এমন কোনো ঘটনা আগে শুনোনি। মেয়ে মানুষ হয়েছ, নিজেদের সুরক্ষার জন্য সামান্যতম জ্ঞান রাখা উচিত।’

জুবিয়া নিশ্চুপ। তূর্ণ ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলে নিজেকে শান্ত করল। এরপর এক হাঁটু ভাজ রাস্তায় ঝুঁকে বসল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সবজিগুলো তুলে নিয়ে ব্যাগে রাখল। কোনো প্রকার শাঁক নেই তাই বালু ভরলে সমস্যা নাই। অন্য সবজিগুলো পানিতে ধুলেই ধুলোবালু চলে যাবে। তূর্ণ ব্যাগ হাতে নিয়ে জুবিয়ার পাশাপাশি হাঁটতে লাগল।

জুবিয়া আঁড়চোখে তূর্ণকে একবার দেখল। আজ প্রথম তূর্ণকে দেখে তার লজ্জা লাগছে। লজ্জায় বারংবার ওড়নায় মুখ লুকোতে ইচ্ছে করছে।

জুবিয়া জিজ্ঞেস করল,

‘ এক মিনিট। আমি এখান দিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। আপনি কিভাবে জানেন?’

তূর্ণ হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ল। তারপর পুরো শরীরে ঘুরে দাঁড়াল। জুবিয়ার মুখোমুখি এসে থামল সে। জুবিয়ার মুখপানে নিবিড়ভাবে তাকিয়ে মৃদুস্বরে বলল,

‘ প্রিয় মানুষের খোঁজ খবর রাখতে হয়। তোমার পিছনে একজন পুরুষ লোক সব সময় রয়েছে। তুমি কখন কোথায় যাচ্ছ, কি করছ সব কিছু সে আমাকে খবর দেয়। বিকেলে হঠাৎ সে কল করে জানালো, তুমি এক ছেলের সঙ্গে রেস্ট্রন্টে বসে আছো। তখনি প্রেক্টিস মাঝপথে রেখে হল থেকে চলে আসি। আমি এখানে পৌঁছানোর পর সে বলে তুমি বাজারে ঢুকেছে। তো গাড়ি রেখে বাজারে ঢুকলাম। সেখানে মানুষ আমায় চিনে ফেলে। সেখান থেকে বের হতে প্রায় যুদ্ধ করতে হয়েছে। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তোমাকে বাজারে পাইনি। আর সোজা পথ দিয়ে তোমাকে যেতে সে দেখেনি। তখন বুকের ভেতর কেমন করে উঠল। মনে হলো তুমি এদিক দিয়ে যাও নি তো? ছুটে আসার সময় আমার ম্যানেজার কে মেসেজ করে ছিলাম।’

বিস্ময়াভিভূত চমকে উঠে জুবিয়া। অবাক হয়ে দেখতে লাগল সে তূর্ণকে। একজন মানুষ তার পিছনে এতকিছু করে রাখছে। সে একটুও টের পায়নি। জুবিয়া হা করে তাকিয়ে আছে দেখে তূর্ণ হঠাৎ চুটকি বাজালো। চোখজোড়া ঈষৎ রক্তিম হয়ে উঠল, তীর্যক চোখজোড়া ছোটো-ছোটো করে জুবিয়া দ্রুত পায়ে হাঁটতে লাগল। তূর্ণ হকচকিয়ে গেল। সে ভাবলো জুবিয়া তাকে কিছু কড়া কথা শোনাবে। কিন্তু হল উল্টো, জুবিয়া তার থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। তূর্ণ সরু পায়ে ছুটে যেতে লাগল জুবিয়ার পিছু পিছু। তারপর কিঞ্চিৎ উঁচু গলায় বলল,

‘ আরে তোমার বস্তা তো নিয়ে যাও।’

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here