প্রহর_শেষে_তুমি_আমার #পর্ব ১০ #মেঘকন্যা

0
60

#প্রহর_শেষে_তুমি_আমার
#পর্ব ১০
#মেঘকন্যা

মিরা রুমের কাছে পৌঁছে গেলো।এক্সাম শুরু হয়ে গিয়েছে। মামুন স্যার চলে এসেছে।এই স্যার এভাবেই স্ট্রিক্ট।তার মধ্যে আমার মিরা লেট।তিনি এক্সাম নিবেন আজ।না জানি আজ কতো কথা শুনতে হয় মিরার।।মিরা নিচু স্বরে বলল,,

-“মে আই কাম ইন স্যার ?”

-”টাইম দেখেছেন?”

-”সরি স্যার।”

-”লেট স্টুডেন্ট আমার একদম পছন্দ নয়।”

-”সরি স্যার। এমনটা হবে না আর।”

-“ভার্সিটি সুডেন্ট আপনারা।সময়ের প্রতি সচেতন হবেন। নেক্সট টাইম এমন হলে এক্সামই দিতে দেবো না। যান,,নিজের জায়গায় অবস্থান করুন।”

মিরা নিজের জায়গায় গিয়ে বসলো। সিমরান তার পাশেই বসেছে।মিরা লিখতে শুরু করলো। পাশ থেকে সিমরান ফিস ফিস করে বলল,,

-”এতো লেট হলো কেনো?”

-”সে লম্বা কাহিনী। একেতো রাস্তায় জ্যাম। তার উপর আবার ওই বেয়াদবের দল গুলো তো আছেই।”

-“তোর এই অবস্থা যেনো?”

-‘আগে এক্সাম দে তার পর সব বলছি।এখন কথা বললে আর এক্সাম দেয়া লাগবে না।”

-”আচ্ছা লিখে নে।পড়ে কথা হবে।”

দুজনই নিজেদের লিখা লিখতে করলো যদিও মিরার প্রিপারেশন ওতো একটা ভালো না।
পরীক্ষা শেষে টিচার একজনকে দায়িত্ব দিয়ে গেলো যেনো সবার খাতা এক সাথে স্যারের কেবিনে দেয়া হয়। মিরা ও সিমরান এক সাথে খাতা জমা দিল। ও তার এক্সাম মোটামুটি হয়েছে। সিমরানের এক্সাম ও ভালো হয়েছে।

পর পর ক্লাস করে এখন এক ঘণ্টার ব্রেক। মিরা ও সিমরান এক সাথে কমন রুমের দিকে এগিয়ে গেলো।কিছু সময় সেখানে গেলেও ভালো।সময় টা কেটে যাবে। মিরা আরহানদের কর্ম কাণ্ড সিমরানকে বলতে শুরু করলো। পথেই দেখা হলো আরহানের সাথে।মিরা চোখ মুখ কুচকে ফেললো।

-”কি অবস্হা মিস মিরা?”(আরহান)

-”সাইড দিন।আমাদের যেতে হবে।আমি চাচ্ছি না কোনো সিন ক্রেস্ট করতে।(মিরা)

-”আহা মিরা আপু দেখি রেগে যাচ্ছে।”(তন্ময়)

-”আহা অপু রেগে যাচ্ছেন কেনো? কুক কুল,শান্তি শান্তি।মাথা ঠাণ্ডা রাখেন।”(রিমা)

-”এই তোরা চুপ কর।তোদের ফালতু কথায় মিরা আপু ডিস্টার্ব হচ্ছে।”(সারিকা)

মিরা মুখে বিরক্তি ভাব ফুটে উঠলো। মিরা পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলেই আরহানের কণ্ঠে শুনতে পেলো,,

-”তোমার এই অ্যাটিটিউড ও আমায় দেয়া চ*র সব কিছুর জন্য দায়ী।বলতে পারি এখন যা যা হবে সব কিছু তোমার নিজের কর্মের ফল।”

বলেই শিশ বাজাতে বাজাতে আরহান চলে গেলো তার পিছে পিছে সবাই চলে গেলো। মিরা হাফ ছেড়ে বাঁচলো।কবে যে এসব থেকে রেহাই পাবে তা যানা নেই।

মিরা ও সিমরান কমণ রুম থেকে লাইব্রেরী তে চলে এলো।লাইব্রেরীতে এসে বই নিয়ে এক পাশে চেয়ার টেনে দুজন এক সাথে বসলো।। মূলত সিমরান তাকে নিয়ে এসেছে টেনে হিঁচড়ে।কোন বই যেনো পড়বে সিমরান ।মেয়েটা একদম বই পড়ুয়া।। মিরা লক্ষ করলো বেশ কিছুক্ষন যাবৎ এক জোড়া কপোত কলতি বই পড়া বাদ দিয়ে ফুসুর ফুসুর করছে ও এদিকে সেদিক তাকাচ্ছে। মিরার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি জেঁকে বসলো।খাতার থেকে কাগজ ছিঁড়ে ছুঁড়ে মারলো কিন্তু সেই কাগজের টুকরো নিচে পড়ে গেলো। এবং স্যার এর নজরে ঠিক পড়ে গেলো। ধুর কপাল! স্যার তো নিজেও বই পড়ছিল কিন্তু যেই মিরা তাদের দিকে কাগজ ছুড়লো ঠিক তখন দেখে নিল। সিমরান বই এর ভেতর মুখ গুজেছে।মিরা স্যার এক দিকে এক পলক তাকিয়ে বই এর মধ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো। স্যার চেঁচিয়ে উঠে বলেন,,

-”বেয়াদব মেয়ে।এই মেয়ে বই পড়তে এসেছো নাকি পরিবেশ নষ্ট করতে?”

মিরার চোখ টল মল করলো।সকাল থেকেই একের পর এক বকা খেয়েই যাচ্ছে।মিরার কি দোষ? মিরা তো একটু মজা করতে চেয়েছিল।।মিরা নিচু স্বরে বলল,,

-”সরি স্যার। আই আম রিয়েলী সরি।”

স্যার চেঁচিয়ে বললেন,

-”গেট লস্ট।বই পড়তে তো আসে না।আসে পরিবেশ নষ্ট করতে।”,

মিরা ও সিমরান দুজনই ক্লাস রূমে চলে গেলো।কিছুক্ষন পরেই একটা মেয়ে এসে বলে গেলো,,, মিস মিরাকে অফিস রুমে ডাকা হয়েছে।”
মিরা একটু অবাক হয়।এই সময়ে তাকে অফিস রূমে ডাকা হয়েছে।কিন্তু তার জানা মতে সে তেমন কিছু করে নি।তখন লাইব্রেরিতে যা হয়েছে সে জন্য স্যারকে খুউব বেশি সরি বলেছ কিন্তু এখন কি হলো?

মিরা সিমরানের হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে অফিস রুমের সামনে এসে দাড়ালো।রূমে প্রবেশ করতে একটা ধাক্কা খেলো।তিন হাত দূরে সোফায় তাশফীক বসে আছে।মিরার মুখে ভয় ফুটে উঠে। ঢোক গিলে।সে তো তার জানা মতে এমন কোনো কাজ করে নি যার জন্য এমন ভাবে অফিসে ডেকে পাঠাতে হবে

মিরার দিকে এই পলক তাকিয়ে তাশফীক চোখ ঘুরিয়ে নিলো। তাশফীক ভাবতে পারছে না এমন ধরনের কাজ কিভাবে করলো মিরা।সে তো বাচ্চা নৌ।যথেষ্ট বড়।তবুও এমন স্টুপিড দের মতো কাজ।খুব রাগ লাগছে মিরার উপর।এই মেয়ের জন্য খুব বাজে সিচুয়াশন এ পরতে হয়েছে তাকে। আজ পর্যন্ত কেউ তাকে এভাবে ইনসাল্ট করে নি যতটা আজ হয়েছে মিরার জন্য।

অফিস হেড,কিছু টিচার, ও এসিস্ট্যান্ট টিচার, ভার্সিটির ভাইস চেয়ারম্যান বসে আছে । মিরা তাদের সালাম করলো।

-”তুমি আজ যা কাজ করেছো তা মোটেও বিশ্বাস যোগ্য নয়।তবে তুমি যা করেছ একদম বাজে কাজ করেছ।”

মিরা নিশি মেডামের কথা শুনে চোখ তুলে তাকালো
সে কি করেছে?তাকে কেনো এভাবে কথা শুনানো হচ্ছে।নিজেকে সংযত রেখে বলল,,

-“সরি মেম আমি বুঝতে পারলাম না।”

-“তুমি বুঝেও না বুঝার ভান করে যাচ্ছ।( নিশি)

-“আমি সত্যি কিছু করি নি।আমার বিশ্বাস করুন।আমার অপরাধ টা কি বলুন।”

মামুন সার একটা পেপার এগিয়ে দেয়।পেপারে লেখা দেখে অবাক হয় মিরা।কিন্তু সে তো এগুলো লিখে নি।সে এমন নিচু কাজ করার কথা ভাবতেও পারে না।

পেপার হলো এই সকালের টেস্ট এর। টেস্ট পেপারের সাথে একটা ছোট কাগজ পিন করা
।।কিন্তু টেস্ট পেপারে তো একদম সুন্দর করে সব কিছু লিখেছিলো। হুম সব প্রশ্নের উওর দেয় নি।।কিন্তু এগুলো কি? মিরার মাথা ভন ভন করছে।সে কিভাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে?যেখান লিখা স্পষ্ট তার হাতের লিখার সাথে মিল।

-“মিরার হাত থেকে পেপার নিয়ে নিশি মিস পড়তে শুরু করে,

-প্রথমেই আমার সালাম নিবেন।। আশা করছি বেশ ভালো আছেন।তবে এখন টাকা পেয়ে আরো ভালো হয়ে যাবেন। যাই হোক,,আসল কথায় আসি।আমি জানি যে আপনি খুব স্ট্রিক্ট।তবে আমি জানি টাকার কাছে সব তুচ্ছ।সবাই টাকার লোভী।আর টাকা দিয়ে সব কেনা যায়।তাই আপনার কাছে একটা রিকোয়েস্ট,,আমি জানি ফোর্থ ইয়ারে মার্কেটিং এক্সামের খাতা আপনেই দেখবেন।তাই আপনাকেই বলছি যে,, ফোর্থ ইয়ারে আরহান চৌধুরীর টেষ্ট এক্সাম্মের খাতায় একদম ফেইল দিবেন।কি জন্য দিবেন,তার সাথে আমার কি শত্রুতা, সে আপনার জানতে হবে না।আপনি শুধু তাকে ফেইল দিবেন।।আমি যেমন আপনার পকেট গরম করছি আপনিও আরহান চৌধুরীর পেপার ঠান্ডা করে দিন।আর একটা কথা এটা কিন্তু একটা চুক্তি।তাই এটা শুধু আমাদের মধ্যেই থাকবে। কেউ কে বলার প্রয়োজন নেই।ভালো থাকবেন।”( পুরোই কাল্পনিক ব্যাপার শুধু গল্পের জন্য লিখা)

সম্পূর্ণ কথা পড়ে থামলেন নিশি মিস। মিরা চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল।অসহায় ভাবে তাশফীকের দিকে তাকালো। মিরা ভাবলো হয়তো তাশফীক তাকে বিশ্বাস করবে।কিন্তু না তাশফীক কিছু বলল না।

মিরার যেনো চোখের জল বাধ মানছে না।হুম মিরা একটু দুষ্ট প্রকৃতির,,একটু চঞ্চল কিন্তু মিরা মোটেও এমন নয়।মিরা তো তার খাতা একদম ফ্রেশ দিয়েছিল কিন্তু এমন কিভাবে হলো।কে মিরার কথা বিশ্বাস করবে?

মিরা বহুবার নিজেকে এক্সপ্লেইন করার ট্রায় করলো।কিন্তু কেউ তাকে একটা শব্দ পর্যন্তও বলতে দিল না।কেউ তার একটা কথা শুনলো না।মিরা বহুবার চেষ্টা করেও নিজের পক্ষ নিয়ে একটা কথাও বলতে পারলো না।কারণ এই সব কিছু যে হুবহু মিরার হাতের লিখার সাথে ম্যাচ করছে।তাই তো সবাই সহজে ভেবেই নিয়েছে যে মিরা এই কাজ করেছে।

মামুন স্যারের কাছে মিরা মাফ চাইলো।সে কি করবে কিছু বুঝে উঠতে পারল না। মিরাকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হলো।এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে কারণ তাশফীক অথরিটির কাছে খুব বেশি রিকোয়েস্ট করেছে,, এবং তার কথায় সবাই রাজি হয়েছে কারণ এই ভার্সিটি থেকে স্কলারশিপ নিয়ে অনার্স কমপ্লিট করেছে সে।এবং সবার সাথে তাশফীকের খুব ভালো পরিচয় তাই তার রিকোয়েস্ট এ মিরাকে একটু ছাড় দেয়া হয়েছ।।সাথে ওয়ারর্নিং দেয়া হলো যে,নেক্সট টাইম এমন কিছু হলে তাকে একেবারের জন্য সাসপেন্ড করা হবে।
____________

মিরার হাত ধরে টেনে ভার্সিটি থেকে নিয়ে যাচ্ছে তাশফীক।পুরো ভার্সিটি তে তার সাসপেন্ড এর কথা ছড়িয়ে গিয়েছে।সবাই তারদিকে কেমন নজরে যেনো তাকাচ্ছে।মিরার ভীষণ কান্না পাচ্ছে।মিরা বার বার তাশফীককে কিছু বলতে চাইছে কিন্তু পারছে না।

তাশফীকের চোখ দিয়ে যেনো আগুন ঝরছে। মিরাকে গাড়িতে বসিয়ে দিল তাশফীক।মিরা কান্না রত কণ্ঠে বলল,,

-“শুনুন,,,আমি কিছু,,”,,

-“জাস্ট শাট আপ মিরা। ডোন্ট মেক এ ওয়ার্ড।জাস্ট কিপ কোয়াইট।”

-“”একবার আমার,,,,,

-“শুনতে পাও নি আমি কি বলেছি?”
তাশফীকের ঝাড়ি শুনে মিরা চুপসে গেল। কেঁপে উঠলো পুরো রাস্তা কেঁদে পার করলো। তাশফীক হাই স্পিড এ গাড়ি চালাচ্ছে। চোয়াল শক্ত করে আছে।মিরা নাক টানছে ও তাশফীকের দিকে বার বার তাকাচ্ছে।

বাড়ির সামনে গাড়ি ব্রেক করলো তাশফীক।মিরার হাত ধীরে টানতে টানতে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলো।বসার ঘরে সায়মা বেগম, ও তারমিন বসে ছিল তাদের উপেক্ষা করে রুমে ভেতর বেডের উপর মিরাকে ছুঁড়ে ফেললো।রুমের দরজা ঠাস করে বন্ধ করে মিরাকে বেডের সাথে চেপে ধরলো
হাতের আঙ্গুলের ভাঁজে আঙ্গুলে গুজে দিল। তাশফীক এতোটাই জোড়ে আঙ্গুল গুলো চেপে ধরেছে যেনো মনে হচ্ছে আঙ্গুল গুলো ভেঙে যাবে।

তাশফীক এক দৃষ্টিতে মিরার দিকে তাকিয়ে আছে।।মনে হচ্ছে মিরাকে কাঁচা গিলে খাবে।পুরো মুখ লাল হয়ে গিয়েছে। তাশফীকের এমন রূপ দেখে মিরা আবারও কেঁদে গেলো।দু চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে

-“নেকা কান্না বন্ধ করো।। তোমার জন্য……শুধু তোমার জন্য আজ এমন অপমান সহ্য করতে হলো।আমার জীবনে এতোটা অপমানিত আর কখনো হতে হয় নি আমার।”

-“দেখুন……..

-“চুপ একদম চুপ। একটা শব্দ উচ্চারণ করবে তো তোমার খবর আছে। ভার্সিটি তে পড়তে যাও নাকি এসব বাজে কাজ করতে?তোমার কি এমন কাজ করতে একটুও বিবেকে বাধে নি?কিভাবে এমন নিচু কাজ করলে?।বেহায়া নির্লজ্জ!”

তাশফীক মিরা কে ছেড়ে দিলো।উঠে বসে বা হাতের আঙ্গুল দিয়ে কপালে স্লাইড করলো।মিরা বলল,,

-“আপনি একবার আমার কথা শুনুন।আমি সত্যিই এমন কিছু করি নি।”

তাশফীক মিরার কথা শুনে ফুসে উঠলো।এক ঝটকায় বেড থেকে উঠে টেবিলে পা দিয়ে লাথি মেরে বলল,,

-“তুমি না করলে কে করেছে?আমি?হাতের লিখা কার?এখন বলো হাতের লিখাও তোমার না?”

-“আমি জানি না আমার হাতের লিখার সাথে কিভাবে ম্যাচ করছে কিন্তু একবার আমার কথায় বিশ্বাস করুন আমি এর আগে পিছে কোথাও নেই।আমি একদম নির্দোষ।”

তাশফীক ধুপ ধাপ করে পা ফেলে মিরার কাছে এসে মিরার বহু শক্ত করে চেপে ধরে,মিরা ব্যথায় কুঁকড়ে উঠে।
তাশফীক চেচিয়ে বলে,,

-“মিরা তুমি আজ লিমিট ক্রস করেছি।তুমি নিজের সাথে আমার সম্মান ও ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছো।আমি আজীবন ভাবতাম তুমি চঞ্চল, দুষ্টু কিন্তু তুমি এমন তা আমার ভাবনার বাইরে ছিল।আমি খুব বেশি হতাশ তোমার এই কাজে।”

-“আমি কি করে আপনাকে বুঝাবো বলুন?আমি কিছু করি নি। আমি এমন কাজ করার কথা কল্পনা তেও
ভাবতে পারি না।আমি সত্যি জানি না কিভাবে এমন টা হলো।আমি এটাও জানি না কি করলে আপনি আমায় বিশ্বাস করবেন।”

-“মিরা তুমি ভেবে দেখো তো আজ আমার জায়গায় খালামণি থাকলে কেমন হতো?তুমি তার কথা ভেবে হলেও তো এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে।আচ্ছা বলো তো মিরা,,খালামণি তো তোমায় এসব শিক্ষা দেয় নি।তবে কেনো এমন নিচু কাজ করলে?একবার ভেবে দেখেছো খালামণি কেমন ফিল করতো তোমার এই কাজে?”

বলেই তাশফীক চলে গেলো।মিরা বেডে বসে পড়ল।কি হচ্ছে তার সাথে এসব?সে কিভাবে নিজেকে প্রমাণ করবে? কেউ কি তাকে বিশ্বাস করবে না? মিরা মাথা ভন ভন করছে।কিভাবে কি করবে সে? তাশফীককে কিভাবে এক্সপ্লেইন করবে?

চলবে????

(আসসালামুআলাইকুম।কেমন আছেন সবাই? ধন্যবাদ সবাইকে এতো সাপোর্ট করার জন্য।সবাই নিজেদের মন্তব্য প্রকাশ করবেন।ভালোবাসা নিবেন ❤️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here