আশিয়ানা #পর্ব_২৭ #শারমিন_আক্তার_বর্ষা

0
55

#আশিয়ানা
#পর্ব_২৭
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
_____________
বুকের মধ্যখানে অদ্ভুত অনুভূতি হৃৎস্পন্দন তীব্র হচ্ছে, আচমকা বুক ধড়ফড় করছে। ত্বরিতগতিতে দুই সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠতে নিয়ে সিঁড়ির ভাজেই বসে পড়ল জুবিয়া। তারপর একহাতখানা মাথায় রাখে দ্বিতীয় হাতটি বুকের ওপর আলতোভাবে চেপে ধরে ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলতে লাগল। অনেকটা পথ দৌঁড়ে আসার জন্য হয়রান হয়ে গেছে। যেন নিঃশ্বাস গলা পর্যন্ত এসে আঁটকে গেছে। এই মূহুর্তে একটু পানি খুব দরকার। জুবিয়া হাঁসপাঁস করে উঠে দাঁড়াল। এরপর পিছনে ঘুরতেই দেখতে পেল রোদেলাকে। সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রোদেলা। তার চোখেমুখে লেপ্টে আছে উদ্বিগ্নতা। উপর থেকে সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামলো রোদেলা। জুবিয়া ঘেমেঘুমে একাকার হয়ে আছে। রোদেলা ওর ওড়না দিয়ে জুবিয়ার কপালদ্বয় মুছে দিতে লাগল।

‘ হাঁপাচ্ছিস কেন? ভয় পাইছিস?’

জুবিয়া ডানে-বামে মাথা নাড়ল।

‘ না।’

‘ এভাবে ঘামছিস কেন আর বাজারের ব্যাগ কোথায়?’

‘ ব্যাগ আসছে।’

‘ ব্যাগের কি পা আছে যে হেঁটে হেঁটে আসছে?’

জুবিয়া কিয়ৎক্ষণ নিরব ভূমিকা পালন করে। এরপর শুধাল,

‘ তুই কোথায় যাচ্ছিলি? এই সময় তো রুম থেকে বের হোস না।’

‘ উমাইয়ার তো মন খারাপ। সে রুমে নাই। ভাবলাম হয়তো ও ছাঁদে গেছে। তাই দেখতে যাচ্ছিলাম। তোর দিকে নজর পড়ল এখানে বসে কেমন অদ্ভুত কাণ্ড করছিলি।’ বলে থামল রোদেলা। এরপর চিন্তান্বিত কণ্ঠে শুধাল, ‘ জুবি রাস্তায় তোর সাথে কোনো অঘটন হয়েছিল?’

‘ অলমোস্ট।’

জুবিয়া হনহনিয়ে উপরে চলে গেল। রোদেলা ভ্রু কুঁচকে এখনো দাঁড়িয়ে আছে। সহসা মনে পরে উমাইয়ার কথা, ছাঁদে যাওয়ার জন্য পা বাড়াবে তখনই হঠাৎ এক আওয়াজ কানে এলো। আওয়াজটা অনুসরণ করে পিছন দিকে ঘুরে তাকাতে নজরে এলো তূর্ণকে। তূর্ণ সিঁড়ির সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। রোদেলার দিকে বাজারের ব্যাগটা এগিয়ে দিয়ে বলল,

‘ নির্জন পথ দিয়ে আসার সময় কয়েকটা বখাটে ছেলে জুবিয়ার ওপর আক্রমণ করে। জুবিয়ার কোনো ক্ষতি তারা করতে পারেনি৷ সম্ভব জুবিয়া অনেক ভয় পেয়েছে। সে ব্যাগটা আমার কাছে রেখে আগেই চলে আসছে।’

রোদেলার হাতে বাজারের ব্যাগটা গুঁজে দিয়ে তূর্ণ এগোল। তার হাতের আঙুলগুলো লাল হয়ে আছে। রোদেলা যথেষ্ট বুদ্ধিমতি তার বুঝতে অসুবিধে হলো না সেটা রক্ত। বখাটে ছেলেদের হাত থেকে জুবিয়াকে তূর্ণ বাঁচিয়েছে। এবং তাদের সঙ্গে তূর্ণর মারামারিও হয়ে গেছে।

রোদেলা আর ছাঁদে গেল না। সে রুমের দিকে চলে যায়। রাত আটটা বাজে। এখনো রান্না বাকি। বাজারগুলো ধুয়ে গুছিয়ে ফ্রিজে রাখল এরপর রান্নার কাজে লেগে যায়। জুবিয়া বেশ কিছুক্ষণ ধরে বাথরুমে ঢুকেছে। ঝুপঝুপ করে পানি পড়ার শব্দ আসছে। এত সময় লাগিয়ে সে গোসল করে না। আজ এত দেরি করছে কেন? রান্নার মাঝেই রোদেলা একবার গিয়ে তাকে ডেকে এলো। ভেজা চুল থেকে টপটপ করে পানি পরছে। রুমের মেঝে ভিজে যাচ্ছে।

রোদেলা গলা তুলে বলল,

‘ মেঝেটা ভেজাচ্ছিস কেন? চুলগুলো তোয়ালে বা গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে নিলেই পারিস। পরে তো তুই পরবি।’

বলতে বলতে জুবিয়ার আর্তনাদ ভেসে এলো। চিৎকার শুনে রান্নাঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে এলো রোদেলা। জুবিয়া এলোমেলো ভাবে মেঝের ওপর বসা, একহাত কোমরে গুঁজে হাহুতাশ করছে। রোদেলা কিঞ্চিৎ বিরক্তিকর কণ্ঠে বলল,

‘ তোকে নিয়ে হয়েছে আমার এক জ্বালা। দিনদিন বড় হচ্ছিস নাকি ছোটো? বলতে বলতে পরে কোমরে ব্যথা পেলি।’

‘ বকছিস কেন? তোল আমাকে।’ বলল জুবিয়া।

রোদেলা একহাত জুবিয়ার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,

‘ নে হাতটা ধরে উঠে আয়।’
.
.
উমাইয়া ছাঁদ থেকে নেমে এলো দশটা নাগাদ। হাতমুখ ধুয়ে তিনজন একসাথেই খেতে বসল। খাবার খেতে বসেও কোমরের ব্যথায় কুঁকড়ে যাচ্ছে জুবিয়া। উমাইয়া জিজ্ঞেস করে,

‘ কি হইছে তোর? খেতে বসে এমন মুচড়া মুচড়ি করছিস কেন?’

রোদেলা জবাব করল,

‘ গোসল করে ভেজা চুল খুলে রুমে হাঁটাহাঁটি করছিল। সে পানিতেই পিছলে পড়েছে।’

উমাইয়া রাগান্বিত গলায় বলল,

‘ ঘুমের ভেতর ওকে টাক্কু করে দিবো। না থাকবে চুল আর না পরবে জল।’

জুবিয়া তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল,

‘ ভুলেও আমার চুলে কেউ হাত দিবি না৷ আমার ভালোবাসার চুল।’

রোদেলা হুট করে বলে,

‘ বাজারের ব্যাগে একটা ব্রেসলেট পেয়েছি। ওটা কি তোর?’

প্রশ্নটা জুবিয়ার দিকে তাকিয়েই করেছে রোদেলা। জুবিয়া উত্তরে বলল,

‘ ব্রেসলেট? দেখি তো?’

উমাইয়া বলল,

‘ জুবি তো ব্রেসলেট পরে না।’

রোদেলা বলল,

‘ ফ্রিজের ওপরেই রাখছি। এক মিনিট বোস আমি নিয়ে আসছি।’

স্বর্ণের ব্রেসলেট এবং উপরে ডায়মন্ডের একটা পাথর বসানো। সাধারণ ব্রেসলেট ভেবে তেমন গুরুত্ব দেয়নি রোদেলা ফ্রিজেই ওপরেই রাখছিল। মূহুর্তেই ঘুরে এলো রোদেলা। উমাইয়া দূর থেকে দেখে বলল,

‘ কোথায় যেন দেখেছি এটা?’

জুবিয়া গোপনে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলল,

‘ এটা তূর্ণর ব্রেসলেট। হয়তো রাস্তার মধ্যে থেকে সবজি কুড়িয়ে ব্যাগে ভরার সময় হাত থেকে খুলে ব্যাগে ঢুকে গেছে।’

উমাইয়া এই বিষয়ে কিছুই জানে না। সে ভ্রু দ্বয় কুঁচকে জিজ্ঞেস করল, ‘ তূর্ণ কেন রাস্তা থেকে সবজি কুড়চ্ছিল?’

‘ পরে বলছি।’ বলল জুবিয়া। তারপর রোদেলার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ তূর্ণর কাছে ব্রেসলেটটা পৌঁছে দিয়ে আয়, না রোদু।’

রোদেলা শুঁকনো ঢোক গিললো। আজ বিকালে সেহরিশ এসেছে এখানে। সেহরিশ কে দেখলেই রোদেলার হৃৎস্পন্দন থেমে যায়। ভয়ে বুক ধুকপুক করা শুরু করে। মনে হয় এখুনি ও কোনো ভুল করবে আর সেহরিশ তাকে থানায় নিয়ে যাবে। জুবিয়া হাত বাড়িয়ে রোদেলার হাত ধরে একটু ধাক্কা দিল। এরপর জিজ্ঞেস করল,

‘ কিরে, কোন ভাবনায় হারিয়ে গেছিস?’

রোদেলা কি বলবে? কথা সাজাতে লেগে পড়ল।

‘ জোজোকে খাবার দিতে হবে। উমাইয়া ব্রেসলেটটা নিয়ে যা।’

উমাইয়া ফিঁচেল স্বরে বলল,

‘ ওখানে গেলেই সাদাফের মুখোমুখি হতে হবে। যখন বিয়ে ঠিকই হয়ে গেছে। সেখানে শুধু শুধু মায়া বাড়িয়ে কি লাভ? আমি জোজোকে খাবার দিচ্ছি। তুই যা।’

রোদেলা এবার জুবিয়ার মুখপানে তাকিয়ে।

‘ তোর জন্য ব্রেসলেট আসছে। এখন তুই দিয়ে আসবি।’

জুবিয়া বনিতা কণ্ঠে বলল,

‘ দেখছিস তো আমার কোমরটা ভেঙে গেছে। আমি উঠে দাঁড়াতে পারছি না। কিভাবে যাই? তুই যা না, প্লিজ।’

অজ্ঞতা খাবার শেষ করে উমাইয়া এ্যাঁটো থালাবাসন ধুতে লাগল। জুবিয়া কোমরে অসম্ভব ব্যথার ভান করে রুমে চলে গেল। রোদেলা ব্রেসলেট নিয়ে সাদাফের ফ্ল্যাটের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কলিংবেল বাজাবে নাকি ফিরে যাবে? দ্বিধাবোধ করতে লাগল। জড়তা কাটিয়ে বেল চাপলো সে। দুই মিনিট অন্তরে দরজা খুললো সেহরিশ।
সেহরিশ কে দেখামাত্র রোদেলার গলা শুকিয়ে এলো। বাংলায় একটা প্রবাদ রয়েছে সেটাই মনে পড়ল তার, ‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়।’

সেহরিশ স্পষ্ট ভাষায় জিজ্ঞেস করল,

‘ কি চাই?’

রোদেলার ভাবনার তাঁর এখানে ছিঁড়ল। আঁতকে উঠল সে এরপর ভেতর ভেতর নিজেকে সামলেও নিল। থমথমে গলায় প্রশ্ন করল,

‘ তূর্ণ ভাইয়া আছেন?’

সেহরিশ দরজার সামনে থেকে সরে দাঁড়াল। রোদেলাকে ভেতরে আসতে বলে বলল,

‘ ভেতরে আসুন।’

রোদেলাকে দেখতে অস্বাভাবিক ঠেকছে সেহরিশের কাছে। সে বার কয়েক তাকিয়ে দৃষ্টি সংযত করে ফেলল। রোদেলা ড্রয়িংরুমের সোফার পাশে এসে দাঁড়াল।

সেহরিশ বলল,

‘ আপনি বসুন। আমি তূর্ণ কে পাঠাচ্ছি।’

সাদাফ নেই। সে কিছু কাজে বিকেলে বাইরে গেছে। এখনো ফিরেনি। তূর্ণ বাথরুমে গোসল নিচ্ছে। সেহরিশ রুমে এসে তূর্ণর উদ্দেশ্য বলল,

‘ আমি বাথরুমে।’

সেহরিশ একটু থেমে বলল,

‘ তোর সাথে দেখা করার জন্য কেউ আসছে।’

তূর্ণ গলা তুলে জিজ্ঞেস করল,

‘ কে?’

‘ নাম জানি না। উমাইয়ার বন্ধু সম্ভব।’

তূর্ণর মনে সর্বপ্রথম জুবিয়ার কথা এলো। সে আপ্লূত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল,

‘ জুবিয়া?’

‘ না। তৃতীয়জন।’

তূর্ণ এবার ভাবতে লাগল। তারপর ভাবান্তর ভঙ্গিতে বলল,
‘ রোদেলা।’

সেহরিশ খানিক রেগে বলল,

‘ বললাম তো নাম জানি না।’

‘ বসতে বল। আমি আসছি। দশ মিনিট।’

সেহরিশ এলো একটু পরেই। রোদেলার ঠিক সামনে সোফায় বসে বলল,

‘ সাওয়ার নিচ্ছে। একটু বসুব চলে আসবে।’

রোদেলা মুখে কিছু বলল না। তবে শুধু মাথা নাড়াল। সেহরিশ চোখ ছোটো-ছোটো করে রোদেলাকে দেখল। এরপর নরম ও গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করল,

‘ আমাকে কী আপনি ভয় পাচ্ছেন?’

এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে ভেবেই এখানে আসতে চায়নি সে। হঠাৎ করে এই প্রশ্ন করেছে সেহরিশ। রোদেলা উত্তর কী দিবে? রোদেলা মিইয়ে যাওয়া কণ্ঠে বলল,

‘ না না, ভয় পাব কেন?’

সেহরিশ মেরুদণ্ড টানটান করে সোজা হয়ে বসল। নির্বিকার চূড়ান্তে সেহরিশ শুধাল,

‘ চা খাবেন না-কি কফি?’

রোদেলার হাতে তূর্ণর ব্রেসলেট। রোদেলা আচমকা উঠে দাঁড়াল। এরপর হাতের ব্রেসলেটটা টেবিলের ওপরে রেখে তারাহুরো করে বলল,

‘ এটা তূর্ণ ভাইয়ার। আমাদের ব্যাগে চলে গিয়েছিল। ওনাকে দিয়ে দিবেন। আমি আসি।’

রোদেলা চটজলদি ড্রয়িংরুম ত্যাগ করে প্রস্থান করে। সেহরিশ তাকিয়ে রইল তূর্ণর ব্রেসলেটের দিকে। ভাবতে লাগল তূর্ণর ব্রেসলেট ওদের ব্যাগে গেল কিভাবে? এরইমধ্যে এসে হাজির হলো তূর্ণ। তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুলগুলো মুছে নিতে নিতে জিজ্ঞেস করল,

‘ কোথায় রোদেলা? চলে গেছে?’

সেহরিশ গম্ভীর কণ্ঠে বলল,

‘ হু।’

‘ কেন এসেছিল?’

‘ তোর ব্রেসলেট দেওয়ার জন্য।’

তূর্ণ যেন আকাশ থেকে পড়ল। টানা এক ঘন্টা রুমের ভেতর তন্নতন্ন করে ব্রেসলেট সে খুঁজেছে। কিন্তু পায়নি। না পেয়ে ভেবেই নেয়, সেটা হারিয়ে গেছে। এই ব্রেসলেট সেহরিশ তাকে উপহার দিয়ে ছিল। এজন্য এটা বেশি স্পেশাল। হারিয়ে গেছে ভেবে অনেক বেশিই আপসেট হয়ে পরে। হারানো জিনিস পেয়ে খুশিতে গদগদ হয়ে ব্রেসলেটটা তুলে হাতে পরে নিল তূর্ণ।

সেহরিশ শান্ত কণ্ঠে বলল,

‘ ব্রেসলেট ওদের ব্যাগে কি করছিস?’

তূর্ণ ভয় পেল। আমতাআমতা করে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলল। সেহরিশ সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ায়। তূর্ণর কাঁধে হাত রেখে বলল,

‘ একজন মেয়ের ইজ্জত বাঁচিয়েছ। এজন্য তুমিও বেঁচে গেলে। এরপর থেকে এমন ঘটনা যেন দ্বিতীয় বার না হয়।’
.
.
কালো পোশাক পরিধান করা দু’জন ব্যাক্তির হাত ভর্তি খাবারের প্যাকেট। সুঘ্রাণ আসছে সেগুলো থেকে। সাদাফ তাদের উদ্দেশ্য বলল, ‘ তিনটা আমাদের জন্য রাখবে বাকিগুলো তোমরা নিয়ে যেও।’

দুজন মুখে কিছু না বললেও গাল ভরে হাসল। ফ্ল্যাটের সামনে আসামাত্র রোদেলার সাথে দেখা হয়ে গেল সাদাফের। রোদেলা তাকে দেখে খানিক ইতস্তত বোধ করে। সাদাফ মলিন হেসে বলল,

‘ রোদেলা আপনি আমার বাসায় কোনো দরকারে এসেছেন?’

রোদেলা বলল,

‘ হ্যাঁ ভাইয়া। তূর্ণ ভাইয়ার সাথে দরকার ছিল।’

সাদাফ মৃদু হাসল। এরপর বিরিয়ানি ও পিৎজার দুটো প্যাকেট রোদেলার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,

‘ এগুলো নিয়ে যান। আপনারা কিন্তু খাবেন। কেমন?’

রোদেলা বলল,

‘ এসবের দরকার নেই ভাইয়া। আমি নিতে পারব না।’

সাদাফ বলল,

‘ আমরা তো প্রতিবেশী। তাছাড়া মানুষ ভালোবেসে খাবার দিলে তাকে না করতে নেই।’

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here