প্রহর_শেষে_তুমি_আমার #পর্ব ১৯ ও ২০ #মেঘকন্যা

0
216

#প্রহর_শেষে_তুমি_আমার
#পর্ব ১৯ ও ২০
#মেঘকন্যা

-“আন্টি আপনি ঠিক আছেন?”

এক মধ্য বয়স্ক মহিলার দিকে তাকিয়ে বলে মিরা।তার সাথে সিমরান দাড়িয়ে আছে।দুজনের মুখেই চিন্তার ছাপ স্পষ্ট।সিমরান নিজের ব্যাগ থেকে এক বোতল পানি বের করে মিরার দিকে এগিয়ে দেয়।মিরা পানির বোতল থেকে কিছুটা পানি হাতে নিয়ে এই সেই মহিলার মাথায় দেয়।

মিরা গিয়েছিল সিমরানের বাসায়। সিমরানের মা অসুস্থ থাকায় মিরা দেখতে গিয়েছিল। সেখান থেকেই বাড়ির পথে রওনা দিয়েছে। সিমরান ও পড়াতে যাবে তাই দুজন এক সাথে বের হয়েছে।

বাড়ি থেকে একটু হেঁটে ফুচকা ওয়ালা মামা থেকে ফুচকা খেয়ে একটু সামনে হেঁটে যাচ্ছিল দুজনে।উদ্যেশ্য রিকশা নিবে।কিন্তু একটু সামনে এগিয়ে দেখতে পেলো এক মহিলা হঠাৎ রাস্তায় পড়ে গেলো।মিরা ও সিমরান কোনো কিছু না ভেবেই তার দিকে এগিয়ে গেলো। সেই মহিলার চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিলো।আসে পাশে আরও মানুষ ভিড় করেছে।মহিলা পিট পিট করে চোখ খুলে তাকালো।মিরা পানির বোতল থেকে পানি মহিলার মাথায় দিয়ে পানির বোতল মহিলার দিকে এগিয়ে দেয়।পানির বোতল এগিয়ে দিতেই মহিলা পানি পান করলো।

এর মাঝেই এক মধ্য বয়স্ক লোক দৌড়াতে দৌড়াতে এলো।হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,,

-“একি?কি হইসে বড় আপার?

মিরা চোখ তুল তাকালো।সেই লোককে বলল,,

-“আপনি তাকে চিনেন?”

-“হুম।আমি তো হেগো বাড়িতে গাড়ি চালায়। বড় আপা আমার লগে আইসিল।আমি ওই মরেই গাড়ি খাড়া কইরা আসিলাম।অনেক ক্ষণ দেখলাম কিন্তু বড় আপা আইলো না। তারে খুজতে বের হইছি।এখানে এতো ভিড় দেইখা একটু উঁকি দিলেই চোখে পড়ে বড় আপার এই অবস্থা।”

মিরা ও সিমরান দুজনেই ধরা ধরি করে সেই মহিলাকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিলো। গাড়িতে আধশোয়া অবস্থায় শুয়ে দিলো।ড্রাইভার বলল,,

-“আপনারা যদি একটু বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছায় দিতেন।পথে যদি প্রয়োজন হয়। বুঝেন ই তো মহিলা মানুষ!”

মিরা ও সিমরান বিপাকে পড়লো।কি করবে ভেবে পেলো না।মহিলা টা পুরো মিরার মায়ের বয়সী কিংবা তার থেকে কিছু টা বড় হবে। সিমরানের দিকে তাকালো মিরা।সিমরান কোনো প্রবলেম হবে কি না জিজ্ঞাস করলো।সেই সাথে সিমরান কোনো প্রবলেম হলে সে যেতে পারে তাও বলল মিরা।কিন্তু সিমরান যাবে না। একা কিভাবে মিরাকে রেখে যাবে?এভাবেই দিন কাল ভালো না। কেউ কে বিশ্বাস করা যায় না।

সিমরান ও মিরা দুজনই গাড়িতে বসলো।সিমরান সামনে ড্রাইভার সাথে বসলো।মিরা পিছে বসলো। কিছু সময় পর বাড়ি চলে এলো।মিরা ও সিমরান তাকে ধরে নিয়ে ভেতরে ঢুকালো। সদর দরজা খুলে দিলো হেলপিং হ্যান্ড।মহিলাকে সোফায় বসাতে না বসাতে কোথা থেকে যেনো ছুটে চলে এলো এক মেয়ে।মেয়েটার বয়স সতেরো বা আঠারো হবে।

কিছুক্ষণের মাঝে আরো বেশ কয়েক জন মানুষ একত্র হলো।সেই মহিলাকে বেড রুমে নেয়া হলো। এতো ক্ষণে ড্রাইভার সবাইকে সবটা বলেছে।সেই মেয়েটা মিরা দিকে এগিয়ে এসে বলল,,

-“আপনাদের কি বলে ধন্যবাদ দিবো আপু আমার জানা নেই। আমার মা প্রেসার এর রোগী। প্রেসার থেকেই হয়তো মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছে।”

মিরা বলল,,

-“সমস্যা নেই।উনার খেয়াল রেখো।আজ তাহলে আমরা যাই।”

তখনই সদর দরজা দিয়ে ঢুকলো এক যুবক।মিরা ও সিমরান অবাক হলো।সেই যুবক ও তাদের দেখে অবাক হলো।সিমরান ফিস ফিস করে বলল,,

-“এই বেয়াদব এখানে কি করছে?”

এর মাঝে সেই মেয়েটা ছেলেটার কাছে গিয়ে উৎকণ্ঠা নিয়ে বলল,,

-“আরহান ভাই তুমি কই ছিলে ? জানো আম্মুর কি হয়েছে?”

আরহান ব্রু কুচকে ফেললো।মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বলল,

-“আয়াত কি হয়েছে আম্মুর?”

সিমরান ও মিরা বুঝতে পারল মেয়েটির নাম আয়াত।আয়াত ভাই কে সব খুলে বলল। আরহান বড় বড় কদম ফেলে মায়ের রুমে চলে গেলো।
______

-“মায়া আপু কখন এসছো তুমি?আমাকে আগে কেনো বলো নি? তুমি একা এসেছো?ভাইয়া আসে নি?তুমি আগে বললে আজ আমি বাইরে যেতাম না।কেনো আমায় বলো নি?”

-“আরে আরে একটু শ্বাস নিয়ে নে। মাত্র বাসায় ফিরেছিস।”

মিরা মাত্র সদর দরজা খুলে বসার ঘরে প্রবেশ করলো। মায়া বসে আছে।বসে বসে কাঁচা আমার জুস খাচ্ছে। সায়মা বেগম পাশে বসে আছে।মিরা এগিয়ে মায়াকে জড়িয়ে ধরলো। ছোট থেকে মায়া মিরাকে একদম নিজের বোনের চোখে দেখে। বড় বোনের ভালোবাসা পেয়েছে মিরা মায়ার কাছে থেকে। মায়া বড় তারপর তাশফীক তারপর তারমিন। মায়া মিরার খালাতো বোন হলেও নিজের বোনের থেকে কম না।

মায়া মিরার বিয়েতে আসতে পারে নি কারণ তখন তার শাশুরি খুব বেশি অসুস্থ ছিল। মেডিকেলে ভর্তি ছিল।কিন্তু যখন মায়া জেনেছে যে মিরা ও তাশফীকের বিয়ে হয়েছে তখন তো মায়ার খুশির শেষ নেই।কিন্তু মায়া তখন ও আসতে পারে নি।ওই যে শাশুরি অসুস্থ ছিল।

মিরা আয়েশ করে সোফায় বসলো।সায়মা বেগম বলেন,,

-“কাঁচা আমের জুস খাবি? ফ্রিজ থেকে এনে দিবো?”

-“এটা কি আর জিজ্ঞাস করা লাগে?তুমি বসো আমি নিয়ে আসছি।”

মিরার হেলতে দুলতে এগিয়ে গেলো কিচেনের দিকে।মিরা ফ্রিজ থেকে আমার জুস বের করলো। সুন্দর মতো বসার ঘরে এসে গ্লাসে এক চুমুক দিয়ে বলল,,

-‘ভালোই হয়েছে তুমি এসেছো।অনেক মজা করবো আমরা।তোমাকে খুব বেশি মিস করেছি।”

-“হুম মজা তো করবোই কিন্তু আমি কালকেও চলে যাবো।”

-“কেনো।কয়েক টা দিন থেকে যেতে।”

-“তুই তো জানিস কতো কাজ বাসায়।আর আমি এসেছি একটা কাজে।”

-“কি কাজ?”

-“আমরা যে নতুন বাসায় উঠেছি না সেখানে আমার শশুর কিছু কাছের মানুষ নিয়ে ছোট করে একটা অনুষ্ঠান করবে।বলতে পারিস গেট টু গেদার।সেটার জন্য শাশুরি মা আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন তোদের দাওয়াত দিতে।যদি এই গেট টু গেদার আগেই করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তখন শাগুড়ি মা অসুস্থ ছিল তাই এখন করছেন।”

-“ওহ।”

-“হুম মু খারাপ করিস না।আজ রাত তো আমি আছি।আজ রাত সেই মজা হবে।”

মিরার মুখে হাসি ফুটে উঠলো। বলল,,
-“একদম।”
____________

-“মিরা তুমি ঘুমাবে না?”

-“মিরা রুমে এসো।”

-“মিরা এক্ষুনি রুমে এসো।”

পর পর তিনবার বাইব্রেট করে ম্যাসেজ এলো মিরার ফোন।মিরা তখন মুভি দেখতে ব্যস্ত। বড় টিভিতে আশিকি ছবি চলছে।মিরা, তারমিন, মায়া এক সাথে বসে টিভি দেখছে।সায়মা বেগম ও তানজিম শেখ ঘুমিয়ে পড়েছেন। তাশফীক ও নিজের রুমে।এরা তিন জন বসে আরামে মুভি দেখছে।

রাতের খাবার শেষ করেই মুভি দেখতে বসেছে তারা।মিরা পপকর্ন খাচ্ছে আর টিভির দিকি তাকিয়ে আছে। তারমিন হাতে জুস নিয়ে বসেছে। মায়া বসেছে চিপসের প্যাকেট নিয়ে।তিন জন এক দম টিভির ভেতর ঢুকে পড়েছে। তিন জনের ফোন সাইলেন্ট করে নিয়েছে।যেনো ছবি দেখার মাঝে কোনো বেঘাত না ঘটে।

রাত তখন দুইটা বেজে ত্রিশ মিনিট। ছবি শেষ হলো।টিভি অফ করে বসার ঘরের লাইট অন করলো মিরা।মিরা তাদের খাবারের প্লেট গুলো কিচেনে রেখে দিলো। তারমিন মিরার সাথে গ্লাস গুলো কিচেনে রেখে এলো। মিরা এগিয়ে এসে মায়া কে জড়িয়ে ধরে বলল,,

পর্ব ১৯

-“অনেক ভালো লেগেছে।অনেক ইনজয় করলাম।”

-“হুম আপু।কিন্তু এখন আমার প্রচুর ঘুম আসছে।”

মিরার সাথে তারমিন বলে উঠলো। মায়া নিজের ফোন হাতে নিয়ে দেখলো তার হাসব্যান্ড তুষারের কল। মায়া জিব কাটলো।না জানি এখন কল করলে কত গুলা কথা শুনতে হয়। মায়া ভাবলো কল করবে কি না।কিন্তু মুহূর্তেই ফোন ভাইব্রেট করলো। তুষার কল দিয়েছে। মিরা ও তারমিন দুজনেই মিটি মিটি হাসি দিলো।মিরা মায়ার ফোন হাতে নিয়ে রিসিভ করে বলল,,

-“কি খবর দুলাভাই,,বউ কে ছাড়া এক দিন থাকতে পারছেন না?এই রাতের বেলায় ফোন দিচ্ছেলেন?”

-“বউ ছাড়া এখন চলে না।ক্ষণে ক্ষণে বউ এর কথা মনে পড়ে।”

-“একটু সালিদের কথা ও মনে করলেও তো পারেন।”

-“আরে সালি সাহেহেবা,,আপনাকে মনে করার জন্য তো আপনার বর আছে তাই না?তো বলুন কি করছিলেন আপনারা?”

-“মুভি দেখছিলাম দুলাভাই।”

-“আমিও এটাই ভেবেছিলাম।রাত হয়েছে এখন অনেক। ঘুমিয়ে যাও তোমরা।আর হুম আমার বউ কে একটু দেখে শুনে রেখো।”

বলেই কল কেটে দিলো তুষার। মিরা ও তারমিন তুষারের কথা শুনে হেসে উঠলো।মিরা নিজের রুমে হাটা ধরলো।তারমিন ও মায়া তারমিনের রুমে গেলো।

মিরা রুমে পা রাখলো। পুরা অন্ধকার হয়ে আছে রুম জুড়ে।কোনো কিছু বুঝা যাচ্ছে না।মিরা নিজের ফোনের লাইট অন করলো। রুমের লাইট অন করলো।তাশফীক ঘুমিয়ে গেছে।মিরা ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে। চুল চিরুনি করলো। লাইট অফ করে বেডের দিকে পা বাড়ালো।বেডে পুরোপুরি গা এলিয়ে দিলো।

মিরা গা এলিয়ে দিতেই হাতে টান অনুভব করলো।মিরার পিঠ গিয়ে ঠেকলো তাশফীকের বড় চাওরা বুকে। তাশফীকের হাত স্পর্শ করলো মিরার পেট।মিরার শরীর ঝাকুনি দিলো। তাশফীকের হাতের স্পর্শ দৌড়াতে লাগলো।একবার এদিক তো একবার সেদিক।

মিরা ঘন ঘন শ্বাস নিলো।কি আছে এই লোকের ছোঁয়ায় কি জানে?মিরার শরীর জুড়ে শিহরণ হলো।

তাশফীক মিরার উপর নিজের ভড় ছেড়ে দিলো।মিরার গলায় মুখ ডুবালো।মিরা ঢোক গিললো। তাশফীক মিরার গলায় মুখগুজে চু”মু খেতে শুরু করলো।

মিরার গলায় জোড়ে কামড় দিলো তাশফীক। মিরা ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলো। তাশফীক সেই কামড় দেয়া জায়গায় ঠোঁট দিয়ে স্পর্শ করলো।মিরা আবার কেঁপে উঠলো।মিরা তাশফীক কে ঠেলতে ঠেলতে বলল,,

-“দূরে জান।ছাড়ুন!”

-“উহু। ম্যাসাজ এর রিপ্লাই দেও নাই কেন?”

-“এমনি।দেখি নি ম্যাসাজ।”

-“তুমি জানো আমি ঘুমাতে পারি নি।”

মিরা মিন মিন করে বলল
-“কেনো কি হয়েছে?”

-“সব তোমার জন্য হয়েছে।”

-“আমি কি করলাম?”

তাশফীক মিরার গলায় নাক ঘষতে ঘষতে বলল,,

-“তুমি বুঝি জানো না?”

-“কি সব বলছেন আপনি?”

-“আমি ঘুমাবো।”

-“তো ঘুমান।আমি কি বারণ করেছি?”

তাশফীক ফিস ফিস করে বলল,
-“নীড এ কিস।”

মিরা ভ্যাবাচেকা খেয়ে বলল,,
-“হ্যাঁ।”

-“হুম।কিস চাই আমার।”

-“রাত বিরাত ভীমরতি ধরলো নাকি?”

-“নাহ ভীমরতি ধরে নি। চু”মু খেতে মন চাইছে।”

-“ছাড়ুন।নিজেই ঘুমান আমাকেও ঘুমোতে দিন।”

-“কিস চাই আমার।তুমি দিবে না তাই তো?
ওকে ফাইন আমার জিনিস আমি নিজে আদায় করে নিতে পারি।”

বলেই মিরার ঠোট দুটো নিজের দখলে নিয়ে নিলো তাশফীক।মিরা আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো। তাশফীকের ঠোঁটের ছোঁয়া আরো তীব্র হলো।মিরা তাশফীকের চুলের পেছন দিকটা খামচে ধরলো। তালে তাল মিলিয়ে নেচে উঠলো দুজনে।বেশ কিছুক্ষণ পর তাশফীক মিরাকে ছেড়ে দিলো। তাশফীক শুয়ে পড়লো।মিরা লজ্জায় তাশফীকের বুকে মাথা লুকালো। তাশফীক ঠোঁট কামড়ে হাসলো।
____________

সকাল সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে গেলো মিরা।বসার ঘরে তারমিন ও মায়া বসে আছে। ডাইনিং টেবিলে তানজিম শেখ ও সায়মা বেগম বসে কোনো বিষয়ে কথা বলছেন।মিরা ছোট ছোট কদম ফেলে মায়ার দিকে এগিয়ে যায়। মায়ার গো ঘেঁষে বসে বলে,,

-“গুড মর্নিং।”

-“গুড মর্নিং।ঘুম কেমন হলো?”
মায়া বলল।

-“ওতো একটা ভালো হয় নি।”( মিরা)

-“কেনো কেনো?ভাই বুঝি তোকে ঘুমোতে দেয় নি?”
পাশ থেকে তারমিন বলল।

মিরা হতবম্ব হলো।কি বলবে বুঝে উঠতে পারলো না। মায়া মিটি মিটি হেসে বলল,,

-“মিরা তুই কি লজ্জা পাচ্ছিস?লজ্জা পাওয়ার মতো কিছু হয়েছে?”

মিরা তারমিনের পিঠে ধুম করে কিল বসিয়ে বলল-
-“ফালতু কথা বলবে না মায়া আপু। আর এই তারমিন সব সময় বেশি বলে।”

-“আমি। করলাম তুই তো বলল যে ঘুম ওতো একটা ভালো হয় নি।”

তারমিনের কথা শুনে মিরা মুখ ভেংচি দিয়ে বলল,,
-“বলেছি যে রাতে মুভি দেখে ঘুমোতে দেরি হয়েছে তাই। অশ্লীল,, বেয়াদব।”

-“মুখ সামলে ভাবি।ভাইয়ের কাছে বিচার দিয়ে আপনার সংসারে আগুন লাগিয়ে দিবো।”(তারমিন )

-“আর আমি তোকে বিয়ে দিয়ে বিদায় করে আমার সংসার বাঁচাবো।”
পেছন থেকে সায়মা বেগম বলেন। মায়া,মিরা, এক সাথে হেসে উঠলো।
মায়া তারমিন এর উদ্যেশ্য করে বলল,,

-“তোর এক্সাম না আজকে?কখন যাবি?”

-“বারোটায় এক্সাম।একটু পর বের হবো।”

মায়া এবার মারার দিকে তাকিয়ে বলল,,
-“তোর ভার্সিটি নেই মিরা? ছুটি নাকি আজ?”

মায়ার প্রশ্নে মিরা থমকাল মুখ মুহূর্তেই চুপসে গেলো।মিরা চুপ হয়ে গেলো। মায়া মায়ের দিকে তাকালো। তারমিন সায়মা বেগমের দিকে তাঁকিয়ে রইলো।সবাই কে এমন চুপ থাকতে দেখে মায়া বলল,,

-“কি হয়েছে মিরা?তুই চুপ হয়ে গেলি কেনো?মা তুমিও কিছু বলছ না?”

মিরা শ্বাস নেয়।সব কিছু খুলে বলে।
________

কলেজ থেকে বাসায় ফিরবে তারমিন।আজকে এক্সাম ছিল।এক্সাম দিয়ে মাত্র বের হয়েছে।ফোন তখন টুং করে একটা ম্যাসেজ আসে।স্পষ্ট দেখতে পায়,,

-“আপনার থেকে কি একটু সময় পাওয়া যাবে?”

নাম্বার চিনতে অসুবিধা হয় না তারমিনের।এটা তো সেই আগন্তুক ব্যক্তি যে রাতে কল দিয়েছিল।অবশ্য প্রায় রাতে সেই ব্যক্তির সাথে কথা হয় এখন তারমিনের।কেনো সে কথা বলে তা সে নিজেই জানে না।কিন্তু যখন কথা বলে তখন কিছু একটা অনুভব হয়।তারমিন কি তার সাথে দেখা করতে যাবে কি যাবে না ভেবে পেলো না।আবার ম্যাসেজ এলো,,

-“যদি আপনি দেখা করতে চান তবে পাশেই লাভ ক্যাফে তে আমি ওয়েট করছি আপনি চলে আসুন।”

তারমিন কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।তারমিন ড্রাইভার কে কি বলবে ।ড্রাইভার তো তার জন্য অপেক্ষা করছে।তার মিন ড্রাইভার কে কাল দিয়ে বলল সে তার ফ্রেন্ড এর বাসায় যাবে।সে একাই বাসায় চলে যেতে পারবে।ড্রাইভার চলে গেলো।তারমিন একটা রিশকা নিয়ে উঠে পড়লো।

বেশ কিছুক্ষণ সময় পর তারমিন চলে এলো। তারমিনের ভয় কাজ করলো।কাফের ভিতর চোখ বুলালো।এখন পড়লো আরেক বিপদ। সে তো মানুষ টাকে চিনে না।দেখা করবে কিভাবে?তারমিনের ভাবনার মাঝেই ম্যাসাজ এলো,,

-“আপনার থেকে দশ কদম দিয়ে হাতের ডান পাশের ফার্স্ট টেবিলে আমি ওয়েট করছি।”

তারমিন সেদিক তাকালো।লোকটার পেছন দেখা যাচ্ছে। কফী কালারের শার্ট পরা।তারমিন এগিয়ে গেলো সে দিক।তারমিন যখন টেবিলের সামনে গেলো তখন শুনতে পেলো,,

-“থ্যাংকস ফর কামিং প্রিটি লেডি।”

চলবে??????

(আসসালা মুআলাইকুম।আসলে দুই দিন ঘুরো ঘুরি করেছি বলে গল্প দিতে পারি নি।তাই সরি।আর অনেকেই হয়তো গল্প পরে বোর ফিল করছেন তাই তাদের কেও সরি যে আমি হয়তো আপনাদের মনের মতো করে গল্প লিখতে পারছি না।যাই হোক গল্পের আর বেশি পর্ব বাকি নেই।তাই এতোদিন যারা আমার সাথে ছিলেন আশা রাখছি তারা শেষ পর্যন্ত থাকবেন। বানান ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।ভালোবাসা নিবেন সবাই ❤️❤️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here