#আশিয়ানা
#পর্ব_৩৮
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
_____________
বৃহস্পতিবার হাঁটের দিন! সপ্তাহে এই দিনটায় বাজারে পা রাখা মুশকিল। কাঁচা মালের বিশাল জায়গা খালি করে গরু খাসির হাঁট বসে। গতরাতে সামান্য বৃষ্টি হয়েছিল। আজ সকাল থেকে আকাশটা মেঘলা। কখন আবার হুট করে বৃষ্টি নেমে আসবে৷ জানা নেই। রিকশার টুংটাং শব্দ ও বহু লোকের কণ্ঠের ধ্বনি মিলিত হয়ে প্রায় চেঁচামেঁচির মতন শোনাচ্ছে। ধীরে কথা বললেও মনে হচ্ছে একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া করছে। রোদেলা একপলকে চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখল, সড়কপথে বেশ কিছু রিকশা দাঁড়িয়ে আছে। রিকশাওয়ালা গলা তুলে পেসেঞ্জার ডাকছেন। অন্য দিকে বেশ কিছু সদাইখানা, সেখানে লোকজনের তেমন ভীড় নেই। এবং সাথে খাবারের হোটেল আছে। সকালের নাস্তা হিসেবে পরোটা, রুটি, ডালভাজি বেছে নিয়েছেন। রোদেলা রিকশা ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে বাজারের ভেতরে প্রবেশ করার পথ খুঁজতে লাগল।
‘ আপা একটু সইরা হাঁটেন গরু গুঁতা দিবো।’
পুরুষালি কণ্ঠ শুনে পিছনে তাকাল রোদেলা তার থেকে সামান্য দূরে দু’টো গরু খুঁটিতে বাঁধা। রোদেলা সাবধানতা অবলম্বন করে দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটা শুরু করল। সপ্তাহের এই দিনটায় কাঁচা-সবজি থেকে শুরু করে মাছ মাংস সব কিছুর দাম চড়া থাকে। বিক্রেতার হাবভাব হয়, যা দাম বলেছি সে দামে পুষলে নাও আর না পুষলে অন্য কোথাও যাও। আবার সে একই জিনিস রাত হলে তিনগুণ কম দামে বিক্রি করে। নিতে না চাইলে ইনিয়ে বিনিয়ে গল্প বলে হাতে থামিয়ে দেবে। রোদেলা ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলল। বাজার করতে ইচ্ছে করছে না। রোদেলা মাছ কিনতে গিয়েও ফিরে এলো। তারপর কিছুক্ষণ খুঁজে একটা বিকাশের দোকান বের করল। ঘুমের কারণে চোখে ঝাপসা দেখছে রোদেলা। মাথাটাও ঝিমঝিম করছে। গত পরশু গ্রাম থেকে মামি কল দিয়েছিল। খারাপ স্বপ্ন দেখার একদিন পরই একসঙ্গে দুটি খারাপ খবর শুনে মনটা বিষণ্নতায় আঁচড়ে পড়ল রোদেলার। মামার ধান রাখার গুদামঘরটায় আগুন লাগে। প্রায় ৮০% ধান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মামাতো ভাইটা বেশ অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য হাতে তেমন খরচাপাতি নেই। উমাইয়ার বিয়েতে উপহার দিয়ে জমানো টাকা ফুরিয়েছেন। মামির কান্না শুনে রোদেলা চুপচাপ বসে থাকে। রোদেলা সেদিন মামিকে আশ্বাস দিয়ে ছিল। এ-মাসে স্যালারি পেলে সবগুলো টাকা বাড়ি পাঠিয়ে দিবে। গতকাল রাতে ছিল ৯তারিখ। রাত ৯টা বাজে স্যালারি দেন এবং দশটায় ছুটি হয়। রাত অনেক হওয়ায় তখনই টাকা পাঠাতে পারেনি রোদেলা। এখন সকাল টাকা পাঠানোর সঠিক সময়। বাজার করতে এসে টাকাও পাঠিয়ে দিবে। এই চিন্তা। দু’জন লোকের পর রোদেলার সিরিয়াল আসলো। রোদেলা ওর এই মাসের সমস্ত টাকা তার মামার নাম্বারে পাঠিয়ে দিল। এই মাসটা চলতে তার কষ্ট হবে। হাতে একটা একশো টাকার নোট আছে। রোদেলা আর বাজার করল না। জুবিয়া কে কল দিয়ে বলল,
‘ কি করছিস?’
‘ মনে হলো তোর আসতে দেরি হবে। তাই ফ্রিজ খুলে মাংস ভিজিয়েছি।’
‘ আমি বাজার করতে পারিনি। সব টাকা গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন আমার হাতে শুধু একশো টাকা আছে। এটা দিয়ে বাজার হবে না। আর শোন আমি দুপুরে বাড়ি ফিরব না। কিছু ভালো লাগছে না। তুই সময়মতো খেয়ে নিস।’
রোদেলা কল কেটে দিল। ফুটপাত ধরে গন্তব্যহীন পথে সোজা হেঁটে যেতে লাগল। এই সময়েও লোকজনের তুমুল ভীড়। রোদেলার মনে হলো পথের কয়েকজন পুরুষ লোক ইচ্ছে করে এসে তার সাথে ধাক্কা খাচ্ছে। বিরক্তিতে কপোলদ্বয়ের চামড়া খানিক ভাজ ফেলল রোদেলা। হুট করে একটা বাস এসে সামনে থামল। দু’জন যাত্রী উঠল। রোদেলা কোনো বিবেচনা না করে গাড়িতে উঠে গেল। দৃঢ় চোখে পরোক্ষ করে নিল। তারপর জানালার পাশের সিটে বসে যায়। খালি বাস। লোকজন তেমন নেই। রোদেলা দেখল জানালাটা বন্ধ তড়িঘড়ি করে জানালা খুলে ফেলল। এক টুকরো সূর্যের কোমল স্নিগ্ধ আলো আছড়ে রোদেলার কোলে৷ ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিলেন। আর সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের তীব্রতার জন্য রোদেলার চুলগুলো এলোমেলো ভাবে উড়তে লাগল। রোদেলা চুলগুলো কাঁকড়া দিয়ে বেঁধে ফেলল। তারপর সিটের সঙ্গে হেলান দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে সব কিছু দেখতে লাগল। প্রায় অনেকক্ষণ ধরে বসে থাকার ফলে একটা সময় জানালার সঙ্গে মাথা হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে যায় রোদেলা। কপালের ছোট্ট চুলগুলো অগোছালো হয়ে মুখের ওপর এসে পড়ছে আবার বাতাসের সঙ্গে উড়তে শুরু করে। বাসের ঠিক পাশে একটা সাদা রঙের গাড়ি এসে সেইম গতিতে যেতে লাগল। গাড়ির ভেতর সেহরিশ বসা। হাতে সম্ভবত ফোন রয়েছে। ফেসবুক স্ক্রল কিংবা মেসেজে কারো সঙ্গে কথা বলছে। প্রকৃতির ঠাণ্ডা বাতাস উপভোগ করার জন্য জানালার গ্লাস নামিয়ে রেখেছিল সেহরিশ। রোদেলার দু’টো সিট পরেই বারো কিংবা তেরো বছরের এক মেয়ে জানালার পাশে বসে বাইরে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ সেহরিশকে দেখে তার নাম ধরে চেঁচিয়ে উঠল। বাসের ভেতর অনেক সিট থেকে উঠে এসে জানালায় উঁকি দিয়ে এক নজর দেখল সেহরিশকে। তাদের কণ্ঠ কানে আসার পর বাসের দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসল সেহরিশ। তারপর হুট করেই নজর পড়ল রোদেলার দিকে। রোদেলা বাসে ঘুমাচ্ছে দেখে ভ্রু জোড়া কুঁচকে গেল সেহরিশের।
সেহরিশ শক্ত গলায় বলল,
‘ তায়েফ গাড়ি একপাশে ব্রেক করুন।’
তায়েফ গাড়ি থামালো। তারপর গাড়ি থেকে নেমে গেল। সেহরিশের নামার জন্য দরজা খুলে সাইড হয়ে দাঁড়ায় তায়েফ। সেহরিশ গাড়ি থেকে নামলো, তারপর কয়েকটা হাজার টাকার নোট তায়েফের হাতে গুঁজে দিয়ে বলল,
‘ ড্রাইভ আমি করব। এদিকে একটু কাজ আছে। তুমি ক্যাববুক করে বাড়ি চলে যাও।’
‘ জি স্যার। কিন্তু স্যার আপনি এই পথ চিনবেন তো?’
‘ আমার হাতে ফোন রয়েছে তায়েফ।’
সেহরিশ ইন্ট্রোভার্ট একজন মানুষ। নিজের চিন্তা-ভাবনা ও অনুভূতি বিচরণ করে নিজের ভেতর রাখতেই ভালোবাসে। মানুষের সাথে কম মিশে এবং কথা কম বলে। এক কথা দু’বার বলা পছন্দ নয়। সেহরিশের সঙ্গে কথা বলার সময় তার দিকেই লক্ষ্য রাখতে হয়। প্রথম বার না শুনলে দ্বিতীয় বার একই কথা পুনরাবৃত্তি সে করে না। এক কথা দু’বার বলা যেন ভীষণ ভাবে অপছন্দ। সেহরিশের কথার উপর কথা বলার সাহস পেল না তায়েফ। সে প্যান্টের পকেট থেকে ফোন বের করে ক্যাব বুক করতে উদ্যত হলো।
সুনসান পথ। বড় গাড়ির তেমন চলাচল নেই। এইটুকু সময়ে বাস অনেকটা পথ এগিয়ে গেলেও সেহরিশ দ্রুত ড্রাইভ করে এগিয়ে এলো। পাশাপাশি চলতে লাগল। রাতে ঘুমায়নি রোদেলা। হঠাৎ চোখ লেগে যাওয়ায় সে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল। পাশে এত চেঁচামেচি হলো কিছুই সে শুনলো না। কয়েক ঘন্টা সে ঘুমিয়ে উঠল। হেল্পার ছেলেটা ভাড়ার জন্য ডেকে তুলেছে। রোদেলা চোখ খুলে এদিকওদিক দেখল, হঠাৎ ঘুম ভাঙায় বুঝতে সময় লাগল, সে বাসে উঠেছিল। কিন্তু বাসটা এখন কোথায় আছে?
পঞ্চাশ টাকা ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে বাস থেকে নামলো রোদেলা। ঘড়িতে সময় তিনটি ছুঁইছুঁই। ক্ষুধার তাড়নায় পেট জ্বালা করছে। রোদেলা একটু হাঁটার পর দেখল একটা টংয়ের দোকান। দোকানটা বন্ধ তবে দোকানের সামনে একটা বেঞ্চ আছে। খালি বেঞ্চে এসে বসল রোদেলা। তারপর বুঝতে চেষ্টা করল এই জায়গাটা কোথায়? চারিদিকে শুধু গাড়ি। দু’জন মানুষ কে পেয়ে তাদের জিজ্ঞেস করল,
‘ আসসালামু আলাইকুম চাচা। আমাকে একটু এই জায়গার নাম বলতে পারবেন?’
দু’জনের মধ্য হতে একজন বললেন,
‘ টঙ্গী।’
রোদেলা বিস্মিত গলায় উচ্চারণ করল,
‘ টঙ্গী?’
‘ হ্যাঁ। তুমি কোই যাবা?’
‘ শফিপুর।’
দ্বিতীয়জন তার তর্জনী আঙুল বরাবর সোজা শফিপুর যাওয়ার পথের স্থির করে বললেন,
‘ ওই রাস্তা দিয়ে বাস শফিপুর যায়।’
রোদেলা খুব সাবধানে সড়ক পাড় করল। এরপর দেখে দেখে একটা বাসের সামনে এসে দাঁড়াল। রোদেলা ভাড়া জিজ্ঞেস করল,
‘ শফিপুর যাব। ভাড়া কত?’
মধ্য বয়স্ক লোক বললেন,
‘ ১২০ টাকা।’
রোদেলা অবাক কণ্ঠে বলল,
‘ ১২০ টাকা কেন? আমি এইমাত্র আসলাম। আমার থেকে ৫০ টাকা রাখছে।’
লোকটা সশব্দে হেসে উঠলেন। এরপর বললেন,
‘ কে নিয়া আইছে আপনারে? হেই গাড়ি দিয়া যান। এই অল্প টাকায় আপনারে কেউ কোনাবাড়ি ও নিয়া যাইব না। ভাড়া সবখানে ১২০টাকা।’
রোদেলার বিচলিত স্বরে বলল,
‘ আমার কাছে শুধু পঞ্চাশ টাকা আছে।’
‘ এই টাকা লইয়া শফিপুর যাইতে পারবেন না।’
রোদেলা চোখ-মুখ কালো করে ফেলল। বুকের ভেতর ধুকপুক করা শুরু করেছে। অজানা এক ভয় ঝাপ্টে ধরল। সহসা চোখ বেয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। এই সময় সাহায্যের জন্য জুবিয়াকে কল করবে ভেবে কাঁধ ব্যাগটার ভেতরে হাত রাখল রোদেলা। বাটন ফোনের সঙ্গে এক হাজারের একটা নোট হাতে চলে এলো। রোদেলা বিষ্ময়কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।
লোকটা হুট করে বললেন,
‘ এক হাজার টাকা ব্যাগে রাইখা কন টাকা নাই।’
রোদেলা চমকায়িত কণ্ঠে বলল,
‘ আমি বুঝতে পারছি না। আমার ব্যাগে টাকা কিভাবে আসলো? তাহলে কী মামাকে একহাজার কম পাঠিয়েছি?’
রোদেলার কথার কিছুই লোকটা বুঝতে পারছেন না। একটু পর বিগলিত হাসি হেসে বাসে উঠে গেল রোদেলা। জানালার পাশের সিটটায় বসে প্রাণখুলে হাসল। বিড়বিড় করে বলল,
‘ সত্যি কি এক হাজার টাকা কম পাঠিয়েছি? না, না যাওয়ার পথে একবার বিকাশের দোকানটায় যেতে হবে।’
সেহরিশ দূর থেকে রোদেলার হাসি দেখল সহসা তার ওষ্ঠকোণে মৃদু হাসি ফুটে উঠল। আচমকা তা মিলিয়ে গেল অগাধ স্বরে বলে উঠল ,
‘ এসব ইস্টুপিট কাজগুলো আমি কেন করছি?’
চারিদিকের লাইটিংয়ের জন্য সন্ধ্যা হলেও অন্ধকার তেমন বোঝা যাচ্ছে না। গাড়ি থেকে নেমে গেল রোদেলা। তারপর সে বিকাশের দোকানে গেল। মাত্রই মসজিদে মাগরিব এর আজান পড়ল হুজুর লোকটা সম্ভবত নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গেছেন। রোদেলা আর এখানে দাঁড়াল না। সে কিছু চকোলেট ও বিস্কুট কেনার জন্য বাজারের দিকে এগিয়ে গেল। সেহরিশ রাস্তার কিনারা দিয়ে স্লো ড্রাইভ করছে। রোদেলা কি করছে? সে দূর থেকে লক্ষ্য করতে লাগল। এরমধ্যে একবারও রোদেলার চোখে পড়েনি সেহরিশ।
একটা ফুলের দোকানের সামনে এসে দাঁড়াল রোদেলা। ফুল ভীষণ প্রিয়। এজন্য ফুলগুলো কে ছুঁয়ে দেখতে ছুটে গেল। প্রায় সবগুলো ফুল হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখল ও তাদের ঘ্রাণ নিল। টকটকে লাল রঙের একটা গোলাপ হাতে তুলে নিল রোদেলা। এরপর সে ফুলটা একবার কানে গুঁজল এবং তারপর সেটাকে চুলের খোঁপায় গুঁজে ফেলল। সেহরিশের ডান হাতখানা স্টিয়ারিংটা ধরে আছে ও বাঁ হাতখানা ঠোঁটে আলতোভাবে রাখা। রোদেলা কে এরূপ আচরণ করতে দেখে কুটিল হাসল সেহরিশ।
রোদেলা জিজ্ঞেস করল,
‘ এই গোলাপ টার দাম কত?’
বিশ বা একুশ বছরের ছেলে জবাব দিল,
‘ ৬০টাকা।’
রোদেলার ঠোঁট থেকে হাসি উধাও হয়ে গেল। ফুলটা আবারও তার জায়গায় রেখে দিল রোদেলা। তারপর ছোট্ট করে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে যেতে লাগল। সেহরিশ অধর মিইয়ে হাসল। তারপর গাড়ি থেকে নেমে ফুলের দোকানে হেঁটে এলো। রোদেলার রাখা ফুলটা হাতে তুলে নিল,
‘ প্রাইস?’
ছেলেটা সেহরিশের দিকে তাকাল না। ফোন টিপতে টিপতে জবাব দিল,
‘ একদাম ৫০ টাকা।’
সেহরিশ আকর্ণ হাসল। এক হাজার টাকার নোট বের করে ছেলেটার সামনে দিয়ে বলল,
‘ নাও।’
ছেলেটা একটু বিরক্ত হলো। পঞ্চাশ টাকার জন্য হাজার টাকার নোট কে দেয়? এখন এত টাকা খুচরো কোথায় পাবে সে? বিরক্ত হয়ে বলল,
‘ ভাঙতি নাই।’
সেহরিশ বলল,
‘ রেখে দাও।’
বিস্ময়াভিভূত চমকে উঠল সে। এক হাজার টাকা রেখে দিতে বলছে। পাগল নাকি? কানে হয়তো ভুল শুনেছে ভাবলো ছেলেটা। এরপর চোখ তুলে সেহরিশের অভিমুখে তাকাল। কিংকর্তব্যবিমূঢ় তাকিয়ে বিড়বিড় করে উচ্চারণ করল,
‘ সেহরিশ ফাতিন চৌধুরী।’
চলবে….