প্রহর_শেষে_তুমি_আমার #পর্ব ১৭ #মেঘকন্যা

0
157

#প্রহর_শেষে_তুমি_আমার
#পর্ব ১৭
#মেঘকন্যা

মধ্য রাত।হিম শীতল বাতাস। বাতাসে একটা মিষ্টি গন্ধ আছে।সে গন্ধ নাকে এসে লাগছে।মিরা ও তাশফীক পাশাপাশি হাঁটছে।বাতাসে মিরার চুল গুলো দুলছে।মিরার সেই দোল খাওয়া চুল ক্ষণে ক্ষণে তাশফীকের নাকে বারি খাচ্ছে। চুল থেকে এক মিষ্টি সুঘ্রাণ ভেসে আসছে।

রাতে খাবার শেষ করে কিছুক্ষণ রেস্ট করে নিলো দুজনে। নূপুর বেগম দুজনকে থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু তাশফীকের অফিসে কাজ আছে। তা ছাড়া থাকার কোনো প্রিপারেশন নিয়ে আসে নি দুজনে।তাই আর থাকা হলো না।তবে নূপুর বেগম বার বার বলেছেন সময় করে যেনো তার সাথে দু রাত থেকে যায় তারা।

গাড়ি চালিয়ে বাসার উদ্যেশ্যে যাচ্ছিল দুজনে। মাঝ পথে গাড়ির টায়ার পঞ্চার হয়।উফ কি একটা ঝামেলা!এমনই রাত তার উপর আবার এই জায়গা টা একটু নীরব থাকে। তাশফীক পড়লো বিশাল চিন্তায়।কি করবে সে? তাশফীক পকেট থেকে ফোন বের করলো।কিন্তু এতো রাতে ড্রাইভার কে বা কিভাবে কল দিবে?কিছু একটা ভেবে গড়িকে লক করে হাটা ধরলো দুজনে।এই জায়গা টা একটু নীরব বলে যান চলা চল ও নেই।তাই রিকশা ও পেলো না।

মিরা হাঁটছে ও মুচকি মুচকি হাসছে।তার ইচ্ছা ছিল তাশফীকের সাথে রাতে বেলা হাতে হাত রেখে হাটবে।কিছু মুহূর্ত উপভোগ করবে। কিছু স্মৃতি কুরিয়ে নিবে।যাক আজ মিরার সেই ইচ্ছা পূরণ হলো।তবে হাত তো আর ধরা হলো না।মিরার মন চাচ্ছে তাশফীকের হাত ধরতে।একদম শক্ত করে।তবে মিরার এই ইচ্ছা যেনো মুহূর্তেই পূরণ হয়ে গেলো।মিরা ও তাশফীক যখন পাশাপাশি হাঁটছে তখন বার বার দুজনের হাত বারি খাচ্ছে।মিরার কেমন এক অনুভূতি হলো।দমকা হাওয়া তাকে ছুঁয়ে গেলো।

মিরা তাশফীকের হাত ধরার চেষ্টা করলো।কিন্তু লজ্জা এসে হানা দিলো।আজ সকালে তো তাশফীক তার হাত ধরলো তবুও কেনো জানি নিজ থেকে মিরা তাশফীকের হাত ধরতে পারছে না।তবে তাশফীক তা ঠিক বুঝলো। তাশফীকের ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো।বউ তার কি চাচ্ছি তা বেশ ভালো করে বুঝতে পারলো। তাশফীক মিরার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিলো।তার নিজের ও কেমন এক অনুভূতি হলো।মিরার লজ্জা লাগলো।গাল দুটো টমেটোর মতো হলো। ক্ষণে ক্ষণে ঠোঁট গুলো নিজেদের তাঁলে এলিয়ে গেলো। তাশফীক তাকে লজ্জা দিতে বলল,,

-”কি হলো?লজ্জা পাচ্ছ বুঝি?”

মিরার এবার আরো লজ্জা লাগলো।কি বলবে ভেবে পেলো না। তাশফীক ঠোঁটে কামড়ে বলল,,

-”লজ্জাবতী।”

মিরা লজ্জা মাখা কন্ঠে বলল,,

-”তাশফীক ভাই!”

তাশফীক হেসে উঠলো।মিরা বলল,,

-”রাত টা সুন্দর তাই না।”

-”হুম সময়টাও।”

-”উপভোগ করছেন?”

-”না করার কোনো কারণ”

-”নাহ।”

তাশফীক মিরার দিকে তাঁকিয়ে বলল,,
-”তুমি করছো না বুঝি?”

-”আপনি তো বললেন না করার কোনো কারণ নেই।”

-”বেশ।”

-”হুম।”

-”হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে?”

মিরা ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বলল,,
-”উহু। মোটেও না।আমি তো চাচ্ছি এই পথ যেনো শেষ না হয়।”

তাশফীক মিরার দিকে তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে বলল,,
-”তবে পথ তো শেষ হবেই।”

-”এই পথ না হয় শেষ হবে,,হাতে হাত রেখে জীবনের পথচলা তো সবে শুরু।তাই নয় কি?”

তাশফীক মিরার কথায় হেঁসে উঠে।তাশফীক হাঁটছে মিরার হাত ধরে।বার বার মিরার দিকে তাকাচ্ছে সে। ল্যাম্প পোস্টের লাইটে মিরার মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।মেয়েটাকে ভীষণ অন্যরকম লাগছে।নাকের নাকফুল টা জল জল করছে। নাকটা একটু বোচা তবে বোচা নাকের জন্য কিছুটা চাকমা দের মতো লাগছে। চিবুকটা একটু চোখা।গাল দুটো ফোলা ফোলা। ঠোঁটে লেগে আছে হালকা হালকা লিপস্টিক। । তাশফীকের চোখ ফিরাতে মন চাইছে না।চোখ যেনো আটকে গেছে মিরার মাঝে।

তাশফীক এক বিস্ময় কর কাজ করে বসলো।মিরা অবাক হলো তাশফীকের কাজে। তাশফীকের কি হলো কে জানে?সে মিরার হাতের উল্টো পিঠ নিজের ঠোটের সামনে নিয়ে পর পর দুবার চু”মু খেলো।মিরা অবাকের শেষ পর্যায়ে।কি হচ্ছে এগুলো আজ তার সাথে?

মিরার মনে হচ্ছে হাত অসার হচ্ছে যাচ্ছে।মিরার মনে খুশি ঢেউ খেলে গেলো। মিরার ঠোঁটে মুচকি হাসি ফুটে উঠলো। তাশফীক মিরার দিকে তাকিয়ে রইলো।মেয়েটার হাসি খুব বেশি সুন্দর। যা তাশফীকের চোখের দৃষ্টির কেড়ে নেয়।মিরার দিকে তাকিয়ে তাশফীক বির বির করে বলল,,

-”মারাত্মক হাসি।”

মিরার বুঝেও না বুঝার ভান করে বলল,,

-”বুঝি নি।কি বললেন?”

-”বলেছি,,,হাসি তার মারাত্বক সুন্দর।”

মিরা ভ্রু কুঁচকে বলল,,

-”কার হাসি?”

তাশফীক ঠোঁট কামড়ে বলল,,

-”মেয়ে তুমি বড্ডো চালক।”

-”বললেন না যে কার হাসি মারাত্বক?”

-”আমার লজ্জাবতী বউয়ের।”

মিরা হেসে উঠলো। তাশফীক বলল,,

-”শুনো।”

-”হুম শুনছি।বলুন।”

-“”””””””””””এক ছিল এক লজ্জাবতী কন্যা
সেই কন্যার ছিল নজর কাড়া হাসি,,
সেই হাসিতে আটকে গেলো এক যুবকের নয়ন !
সেই কন্যা কি জানে?
যুবকের মনে যে তৈরি হচ্ছে এক বিশেষ অনুভূতির
জাগরণ!!!!”””””””

চলবে????
( আসসালা মুআলাইকুম।বাসায় গেস্ট তাই বেশি করে লিখা হয় নি।এতটুকু লিখেছিলাম তাই পোস্ট করলাম।কে মাইন্ড করবেন না।আমি সরি 🥹🥹সবাই ভালোবাসা নিবেন ❤️❤️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here