#যাতনা_আমার
#সানজিদা_ইসলাম_সূচনা
#পর্ব: ১০
( কপি করা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ)
সব শুনে নিরুত্তর রইল ইনায়া। কিছু বলার মতো খুজে পেল না। নাভানের এমন হওয়ার জন্য কাউকে দোষ দেওয়া যায় না। সে নিজেই দায়ী। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে বিয়ের আগেই তারা সন্তানের বাবা মা হয়ে যায়। তারপর বিয়ে করে হাসবেন্ড ওয়াইফ তকমা লাগানোর জন্য। তাদের কাছে এটা নরমাল। বিয়ের আগেই একাধিক নারী পুরুষের সাথে তাদের মেলামেশা আজকাল ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। যা আজকাল বাংলাদেশেও এমনটা চলছে। নাভান নিজে পশ্চিমা সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে চলতে গিয়ে তাদের মতোই নিজেকে করে ফেলেছে। জন্ম এদেশে হলেও সে নিজেকে তৈরি করেছে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে। বাড়ির সবাই চুপ হয়ে আছে কারো মুখে কোনো রা নেই। সোহানা মির্জা খানিকটা নেতিয়ে গেছে। অতীত মনে করে ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। তিনি ক্লান্ত ভঙ্গিতে বলে ওঠে,
-” নিধির বয়স তখন দু বছর, যখন নাভান কানাডায় শিফট হয়। নাভান অনেকটা ক্ষোভে আমার সাথে তখন কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। বাবা মা কার এক্সিডেন্টে মারা যাওয়ার পর আমি তাকে বিডিতে ফিরতে বলি। কিন্তু নাভান আসে না। ততদিনে বুঝে গিয়েছিলাম আমি আমার ছেলেকে হাড়িয়ে ফেলেছি। সেখানে বাবার বিজনেস সামলায় সে। যা বাবা নাভানের নামে দিয়ে গেছিল। কানাডায় যাওয়ার দশ বছর পরে বাংলাদেশে আসে নাভান। এসে মাত্র সাত দিন পরেই চলে যায়। এর চার বছর পরে অদিতি আর নাভানের স্বভাবের বিষয় অবগতি হই। সেদিন নিজেকে অনেক অসহায় মনে হয়েছিল। নাভানকে দেশে আসতে বলি তখনি। কিন্তু নাভান আসে সাত বছর পরে। পাগল প্রায় আমি তখন আর একটা ভুল করি তোর সাথে নাভানের বিয়ে দিয়ে। ভেবেছিলাম নাভান তোর সাথে মানিয়ে নিবে। কিন্তু আমার প্রতি তার সেই ছোটবেলার ক্ষোভ হয়তো এখনো রয়েছে। তাই আমাকে শিক্ষা দিতেই তোকে ফেলে চলে গেছে।
কথাটা বলে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন সোহানা মির্জা। ইনায়া চুপচাপ দেখে যাচ্ছে তাকে। সোহানা দম নিয়ে আবার বলতে শুরু করেন।
-” কিন্তু আমি আর পাপের বোঝা বইবো না। নাভানের সাথে কথা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে নাভানকে দেশে আসতে বলেছি। সে আসতেই ডিভোর্সের ব্যবস্থা করবো। ততদিন আমার উপর ভরসা রাখ। তোর একটা ব্যবস্থা করে আমিও চলে যাব আমার জায়গায়। ”
সোহানার কথায় চকিতেই তার দিকে দৃষ্টিপাত করল সবাই। তার কথার মানে বুঝতে পারেনা কেউই। নাহিদ মির্জা গম্ভীর মুখে কঠিন দৃষ্টিতে সোহানার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
-” কি বলছো এইসব? কই যাবে তুমি? ”
সোহানা নাহিদ মির্জার দিকে তাকিয়ে অকপটে বলে উঠে,
-” আমি তো নাভানের মা হওয়ার জন্য এই বাড়িতে এসেছিলাম। সেটাই যেহেতু হতে পারিনি তাহলে, এই বাড়িতে থাকার কোনো মানে নেই। ”
আয়েশা মির্জা এবার চটে গেলেন। তিনি এবার মুখ তেজ এনে বললেন,
-” এতদিনে যেহেতু সব ঠিক হচ্ছে, তার মধ্যে তুমি আবার ঝামেলা করোনা সোহানা। নাভান কে কানাডায় পাঠানোর ব্যবস্থা তুমি করলেও তার বিগড়ে যাওয়াতে তোমার কোনো দায় ভার নেই। অত্যন্ত আমি সেটা মনে করিনা। আর নাহিদ তোমার সোহানাকে সেই কথাটা বলা উচিত হয়নি। ”
নাহিদ মির্জা এবার নিজেই নিজেকে তিরস্কার করলেন। কেনো সেদিন রাগের বসে এমন কথা বলে ফেললেন? যার চোটটা সোহানার মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। সোহানা নাভানের জন্য নিজের স্বপ্ন জীবন সবকিছুই পিছনে ফেলে দিয়েছিল। সেতো নাভানকে উচ্চ শিক্ষিত করতে চেয়েছিল। এই দিকে নিধি মায়ের কথা শুনে কাঁদতে শুরু করে। সে সোহানার দিকে এগিয়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে, তারপর করুন কন্ঠে বলে,
-” মা তুমি এমন কথা বলো না। তুমি চলে গেলে আমার কি হবে? আমি থাকতে পারবো না। ”
-” নিধি তুমি যদি তোমার বাবার সাথে থাকতে চাও, তাহলে আমি না করব না। তোমার ডিসিশন তুমি কি করতে চাও। ”
কথাটা বলে সোহানা ক্লান্ত ভঙ্গিতে হেটে নিজের ঘরে চলে গেলো। নাহিদ মির্জাও তার পিছু নেয়। একে একে যে যার রুমে চলো যায়। শুধু থেকে যায় নিধি আর ইশান। ইনায়াও নিজের ঘরে ফিরে আসে। তার বুকের ভিতর সুক্ষ্ম একটা যন্তনা শুরু হয়েছে। নাভান দেশে আসবে। তাকে তার জীবন থেকে বের করতে। অবশ্য এই সম্পর্কের কোনো মানে নেই। হিসেবে নাভান তার স্বামী কিন্তু সে তার কাছে বড্ড অচেনা। নাভানের কতো গুলো ছবি ব্যতিত আর কিছুই তার জানা নেই। নাভান আসলে তার সামনে যাবে কি করে সে? না সে নাভান কে ফেস করতে পারবে না। নাভান আসার আগেই বাড়ি ছাড়াতে হবে। ভাবছে ইনায়া। চটজলদি হোস্টেলে শিফট হতে হবে তাকে। মামার ওখানেও সে থাকবে না। কারণ ওখানে সন্ত্রাসের বসবাস। সেদিন ইনায়া মিনারা বেগমের সাথে কথায় কথায় জানতে পেরেছিল। বাগানের সন্ত্রাসীটা তার ছোট ছেলে। না আর জীবনেও ওই সন্ত্রাসীর সামনে পরবে না ইনায়া। কালকের মধ্যেই একটা ব্যবস্থা করবে সে।
নিধি এখনো বসে কাঁদছে। ইশান তার পাশে বসে শান্ত স্বরে বলে,
-” কাঁদিস না নিধি। তুই তো জানিসই বড়মার রাগ বেশি। দেখবি রাগ পড়ে গেলে সবসময়কার মতো ঠিক হয়ে যাবে। ”
-” এবারের ঘটনাটা একটু বেশীই জটিল। আমার মনে হয় না মা কারো কথা শুনবে। ”
-” নাভান ভাইয়ের কথা তো শুনবে? তুই একটা কাজ কর ভাইয়ের সাথে কথা বল। দেখবি বড়মার রাগ উড়ে যাবে। ”
ইশানের কথায় তার দিকে তাকায় নিধি। কান্নারত নিধির চোখ, মুখ, নাক লাল হয়ে আছে। ইশানের বড্ড মায়া হয় নিধির জন্য। হাত বাড়িয়ে তার চোখের পানি মুছে দেয় ইশান। তারপর আস্তে করে বলে,
-” মনে থাকবে তো? ”
নিধি মাথা নাড়ায়। তার মনে থাকবে ইশানের কথা। সে ইশানের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দেয়। তারপর হাত দিয়ে চোখ মুছে, হাত দিয়ে সর্দি ফেলতেই আঁতকে উঠল নিধি। করণ ইতিমধ্যেই ইশানের শার্টে সর্দিটা লেগেছে। ইশান হতভম্ব হয়ে তার দিকে তাকায়। নিধি ঠোঁট উলটে দেয় ভয়ে। সে কি করবে? সামান্য কাঁদলেই তার সর্দি বেড়ে যায়। ইশান অত্যন্ত গম্ভীর কন্ঠে তাকে বলে,
-” তুই গাধি সারাজীবন গাধিই থেকে যাবি। এভাবে কেউ সর্দি মুছে? ”
ইশান চোখমুখ কুচকে রেখেছে আচমকা নিধি হেসে উঠে ইশানের মুখ দেখে। ইশান নিধির দিকে তাকিয়ে
হাসতে থাকে। মেয়েটাযে নরমাল হয়েছে সেটাই বেশ।
নির্জন পহরি রাতের মধ্য ভাগ চলছে। আকাশে মিটিমিটি তারা গুলো হাসছে। হাইওয়ে রোড সাইড শুনশান রাস্তা। পাশেই গহীন বালুচর সাথে ঝোপঝাড়। তার মধ্যে জোনাকি পোকা আলো বিচরণ করছে। তার সামনে দার করানো সাদা একটা গাড়ি। গাড়ির হেড লাইটটা খানিকক্ষণ নিভে ফের জলতে শুরু করেছে। গাড়ির উপর শুয়ে সিগারেটের ধোঁয়া আকাশের দিকে উড়িয়ে দিচ্ছে জায়ান। সাদা কালো ট্রি শার্ট আর টাউজার পরিহিত জায়ান কে রাত জাগা নিশাচর পাখির মতো মনে হচ্ছে। নির্ঘুম চোখ দুটো রক্ত জবার মতন লাল হয়ে আছে। পাশেই এক পা ঝুলিয়ে বসে বসে কাঁদছে ফাহাদ। শার্টের হাত দিয়ে একটু পরে পরে চোখ মুছছে সে। মাঝে মধ্যে বিরবির করে কি যেন বলছে।
-” আর কতো ফেচফেচ করে মেয়েদের মতো কাঁদবি ভাই? তোকে দেখে কোনোক্রমে মনে হচ্ছে না তুই একজন সম্মানিত মেয়র। কোনো ভাবে যদি তোর কান্নার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। পার্টির লোক আর জনগনকে মুখ দেখাবি কি করে? ভাবতে পারিস? সবাই বলবে মেয়র ফাহাদ করিম একটা গাধা। সে একটা মেয়ের ছেঁকা খেয়ে বাঁকা হয়ে গেছে। ”
জায়ানের কথায় তার দিকে চোখ তুলে ফাহাদ। কিছুটা চটে গেল সে। মেয়র হয়েছে, তো কি হয়েছে। তাই বলে কি তার ইমোশন কাজ করবে না। কান্নারত মুখটা মূহুর্তেই গম্ভীর করে বলে,
-” তোর কি আমার জন্য একটুও কষ্ট হচ্ছে না জায়ান? এতো বড় ঘটনা ঘটলো আমার সাথে। ব্রেকআপ হয়েছে আমার। তমা আমার সাথে চিট করেছে। তিন বছরের সম্পর্ক সে ভুলে গেছে। আমি তো একটু ইমোশনাল হবোই। কারন? এটা আমার ফার্স্ট লাভ ছিল। আর তুই আমাকে জনগণের ভয় দেখাচ্ছিস? আমার কোনো পারসোনাল লাইফ নাই? আমি এখন মেয়র নই। আমি হলাম একজন ব্যর্থ আশিক।”
জায়ান এবার উঠে বসল। ফাহাদের মলিন মুখটা দেখে তার মায়া তো হলোই না। উল্টো বড় বড় করে হাসতে শুরু করলো। এই নিস্তব্ধতার মাঝে জায়ানের হাসির শব্দটা বড়ই ভয়ানক লাগছে ফাহাদের কাছে। জায়ান এবার হাসি থামিয়ে কর্কশ কন্ঠে বলে,
-” যে নিজের ইচ্ছায় যেচে বাঁশ খেতে যায়, তার জন্য আবার কিসের মায়া? তমা কেমন তা আমি জেনেই তোকে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তুই কি বললি? এই জেনারেশনে মেয়েরা দু’চার টা প্রেম করেই। সেটা ব্যাপার না। ”
ফাহাদ এবার মেকি হাঁসে।
-” কি বলবো বল? ওই মেয়ে আমাকে? মানে বর্তমান মেয়র কে চিট করবে তা আমার জানা ছিল না। আর আমারই জন্য শত মেয়ে পাগল। এই দুঃখে আমার চোখ দিয়ে পানি পরছে। ”
জায়ান ও ফাহাদের কষ্টটা বুঝল। তাই আর কিছু বলল না। তমার প্রতি ফাহাদ খুব সিরিয়াস ছিল। কিন্তু ওই মেয়ে ফাহাদের সাথে চিট করে আরো বড় নেতা ধরে আজ বিয়ে করে নিয়েছে গোপনে। ফাহাদ জানতেই তার দল নিয়ে সেখানে গিয়ে একদফা মারামারি করে সে। খবর পেতেই জায়ান গিয়ে ফাহাদ কে নিয়ে আসে। ইতিমধ্যেই মিজানুল করিম সবটা শুনে বোম হয়ে আছেন। তার ভাষ্য মতে এই রাজনীতি করে, ছেলে তার জীবন রাজনৈতিক শো বানিয়ে ফেলেছেন। জায়ান মাঝরাতে বাবার সাথে ভাইয়ের কোনো বিবাদ চায়না বলে এতো রাতে ফাহাদ কে নিয়ে এখানে বসে আছে। হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপে কল আসায় ফোনে লক্ষ্য করল ফাহাদ। বাবার ফোন দেখে রিসিভ করেনা সে। জায়ান এবার শয়তানি হাসি দিয়ে ফোন রিসিভ করে ফাহাদের কানে ধরে। অনেকক্ষণ কথা বলার পর ফোন রাখে ফাহাদ। জায়ান অকপটে জানতে চায়,
-” কিরে মেয়র সাহেব! কেমন ডোজ দিল বাবা? ”
-” ডোজ দেয়নি রে, বিশাল বড় দায়িত্ব দিয়েছে। ”
ফাহাদ মুচকি হেসে বলে উঠে। জায়ান একটু আফসোস করে জানতে চাইলো,
-” কিসের দায়িত্ব? ”
-” তোকে তো কালকে ইনায়ার কথা বলেছিলাম। বাবা বলেছে কালকের মধ্যেই ওকে হোস্টেলে ভালো একটা রুমের ব্যবস্থা করে দিতে। ”
-” পড়ে কোথায়? ”
-” তিথির ভার্সিটিতেই। শুনেছি নাভান আসবে। তাই ইনায়া আর ওখানে থাকতে চাইছে না। যেখানে, তার হাসব্যান্ড তার মুখ না দেখেই চলে গেছিল। সেখানে কি করে তার স্বামী কে মুখ দেখাবে সে? ”
জায়ান কালকে তার ফুপাতো বোনের কথা শুনেছে। শুনে প্রচুর আফসোস হয়েছিল মেয়েটার জন্য। নাভান কে হাতের কাছে পেলে উচিত শিক্ষা দিতো সে। বিয়ে করে বউ ফেলে পালিয়ে যাওয়া? কিন্তু? আরও একটা বিষয় সে বোঝার চেষ্টা করে। এই যুগে সবারই নিজেদের পছন্দ মতই লাইফ পার্টনার চায়। তাই তাকে সে একা দোষ দিতে পারে না। নাভানের বাবা-মা ও দায়ী।
-” নাভান আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। ও ছোটবেলায় কানাডা থেকে ফিরে এসে আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। তখন থেকেই আমরা ক্লাস মেট থেকে বেস্ট ফ্রেন্ড। বছর তিনেক পরেই নাভানকে আবার তার খালামনি, মানে তার বর্তমান মা জোর করেই বিদেশে পাঠায়। অনেকটা ক্ষোভেই ছে দেশ ছেড়ে ছিল। এরপর থেকে নাভানের সাথে আমার ফোনে যোগাযোগ ছিল। প্রায় সতেরো বছরে নাভান দুইবার দেশে এসেছিল। নাভান সব আমাকে বলেছে। মায়ের প্রতি জেদ ধরে সে বিয়ে করে কানাডায় চলে যাবে সেটাও। সেদিন ইনায়ার কথা শুনে অবাক হয়েছিলাম খুব। নাভানের বউ কিনা আমারই বোন?
যাইহোক, এবার একটা বিহিত হলেই ভালো হবে।
-” সে যাই বল ভাইয়া। মায়ের প্রতি রাগ ধরে তার নিজের বউকে কষ্ট দেওয়া। তাকে আমি সুপুরুষ হিসেবে মানিনা। ”
জায়ানের কথায় চুপ থাকে ফাহাদ। নাভানকে সে ভাল করে চেনে। সুন্দর অজস্র মায়া ভরা মুখটা দেখলে যে কেউই এই ছেলের প্রেমে পরবে। এমনিতে ব্যবহারের দিকে নাভান খুব ভালো ছেলে। কিন্তু তার পরিস্থিতি এখন অন্য রকম মোড় নিয়েছে। ফাহাদ খানিকটা ভেবে বলে ওঠে,
-” এখন ইনায়ার বিষয় টা কি করবি? আমি তো বাবা দুই তিনদিন কাউকে মুখ দেখাবো না। ঘর থেকে বের হলে আমার নিজের বাপই বলবে,ওই দেখো ছেঁকা খাওয়া মেয়র। ”
জায়ান এবার মাটিতে নেমে দাঁড়ায়। তারপর আড়মোড়া ভেঙে বলে ওঠে,
-” তিথির রুমমেট বানিয়ে দেই ওকে? দুজন একসাথে থাকবে। ”
জায়ানের কথায় ফাহাদ একটু ভেবে বলে,
-” সবার আগে হোস্টেলে সিট আছে কি-না সেটা যানতে হবে। আর তিথির রুম ফিলাপ। সেখানে কি করে ইনায়াকে ঢুকাবি? ”
জায়ান বাঁকা হেসে গাড়ির ভেতরে বসতে বসতে বলে ওঠে,
-” এত সাধারন মানুষের মতো কথা কেন বলছিস বাপ? তোর আর আমার এতো ক্ষমতা দিয়ে কি হবে যদি হোস্টেলে একটা সিট খালি না করতে পারি?”
ফাহাদ বুঝতে পারে সামনে কি হতে চলছে। তাই আর মাথা না ঘামিয়ে গাড়িতে উঠে বসে সে। জায়ান স্টিয়ারিং ঘোরাতে ঘোরাতে মৃদু হেঁসে ওঠে,
-” জানিস ভাই তোকে দেখে আমার কি গান মনে হচ্ছে? ”
ফাহাদ গুমরো মুখে বলে ওঠে,
-” কিসের মতো?”
-” ওইযে, আমারে ধরাই দিলা আইক্কা ওয়ালা বাঁশ। ”
ফাহাদ রেগে জোরে বলে ওঠে,
-” খুবই জঘন্য তোর গানের গলা, ছিইহহ। ”
চলবে.…………
( গল্প দেওয়ার মতো মনমানসিকতা ছিল না।লেখা ছিল তাই দিয়ে দিলাম। ফেসবুকে ঢুকলেই বুকের মধ্যে হাহাকার করে। আল্লাহ আপনি সকল ভাই বোনদের বাঁচান। আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। )