যাতনা_আমার #সানজিদা_ইসলাম_সূচনা #পর্ব: ১

0
63

-ছেলের বউ চেয়েছিলে না মা?এই নাও বউ!জোর করে বিয়ে করিয়েছো,করেছি। তাই বলে যে এমন একটি মেয়েকে নিয়ে সংসার করবো, সেটা ভেবে৷ থাকলে তুমি ভুল মা।ওই মেয়ে আমার বেড পার্টনার হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না। আমি আজই কানাডায় ফিরে যাবো।”

সবে মাত্র বিয়ে করে বাড়িতে বউ তুলেছে নাভান শাহরিয়ার। তার এমন কথায় স্তম্ভিত হতভম্ব লিভিং রুমে দাঁড়ানো তার বাড়ির প্রতিটি সদস্য। সাথে তার সদ্য বিয়ে করা নতুন বউও, ঘোমটা দিয়ে এতক্ষণ স্বামীর জন্য অপেক্ষা করছিল সে। নিচের কথাটা সহজেই তার কানে এসে বারি খায়। দু’হাতে লেহেঙ্গা ধরে রুম থেকে বেড়িয়ে যায় সে। দু,তালার করিডোরে আসতে দেখতে পায় রগচটা তার সেই সুদর্শন স্বামীকে। অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়ে থাকে।এক বুক স্বপ্ন সব শেষ হয়ে যাবে? নাভানের এই কথার মানে ধরতে পারছে না কেউই। সে-তো মাত্র বিয়ে করলো, তাহলে কি মজা করছে নাভান? কিন্তু,নাভানের মত এমন গম্ভীর পুরুষ মজা করবে বলে মনে হচ্ছে না কারও। ভেতরে রাগ পুষে গম্ভীর মুখে ছেলের দিকে এগিয়ে যায় সোহানা মির্জা। কঠোর গলায় বলে ওঠে,

-” এসব কি বলছো তুমি নাভান? যাও, বাসর ঘরে
ইনায়া তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।”
-“বাসর? ছ্যাহ, তুমি ভাবলে কি করে আমি এখন
ওই রুমে যাব।

চোখ মুখ গম্ভীর করে মায়ের ডাকে কুটিল দৃষ্টিতে
তাকায় নাভান শাহরিয়ার। এক পলক সোহানা
মির্জার দিকে তাকিয়ে বিকট শব্দে গা দুলিয়ে হেসে উঠে সে। হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে পানি এসে যায়
তার। সহজাই তার মায়ের দিকে আঙুল তুলে মুখে
হুংকার দিয়ে বলে,

-” তুমি কি ভেবেছো সোহানা মির্জা? আমি তোমার হাতের পুতুল?নো?বিয়েটাত আমি করেছি তোমাদের শিক্ষা দিতে। চরম প্রতিশোধ নিতেই করেছি।
-” নাভানন কি বলছিস এইসব?

এতক্ষণ চুপ করে তাদের কাহিনি দেখছিল নাহিদ
মির্জা ও তার মা আয়েশা মির্জা আর নাভানের ছোট
বোন নিধি। তার পাশেই দাঁড়ানো নাভানের ছোট চাচা
আর তার বউ নিপা কারও মুখে কোনো রা নেই। নাভান যে এমন করবে আগে থেকেই নাহিদ মির্জার কিছুটা আন্দাজ হয়েছিল তার। কিন্ত স্ত্রীর জেদের কাছে
সবই তুচ্ছ যেনো উনার। নাভানের দিকে তাকিয়ে খেঁকিয়ে উঠলেন তিনি,

-” এটা কনো ছেলে খেলা নয় নাভান। এভাবে একটা
মেয়ের জীবন নষ্ট করতে পারো না তুমি। ইনায়ার মতো একটা এতিম মেয়ের জীবন তুমি নষ্ট করবে?

-“তাই?তাহলে আমার আর অদিতির জীবনটা কেনো নষ্ট করলে তোমরা? হোয়াই? অ্যানসার মি?।

-” বিকজ হি ইজ এ প্রস্টিটিউট। সে ইনায়ার নখেরও
যোগ্যতাও রাখে না।
– ” স্টপ মাাা”

সোহানা মির্জার কথার প্রেক্ষিতে ভয়ংকর ভাবে চিৎকার দিয়ে উঠে নাভান। চোখ দিয়ে তার আগুন
ঝরছে। যেনো সব কিছু তছনছ করে ফেলবে। টি-টেবিলটা লাথি মেরে উল্টে দেয় সে। মুহূর্তেই সেটা ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।

-” আর একবারও অদিতি কে নিয়ে বাজে কথা বললে আমি যে কি করবো, আই ডোন্ট নো মাইসেল্ফ।”
-” কি করবে তুমি?বলো? কি করবে? বিয়ের আগেই
যে মেয়ে পরপুরুষের সাথে বেড শেয়ার করে তাদের তো প্রস্টিটিউটই বলে তাই না?

রক্তচক্ষু নিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে নাভান। পেশিবহুল দেহটা ফুলে ফেপে ওঠে যেনো। মায়ের
জায়গায় অন্য কেউ থাকলে এতক্ষণে তার শেষ দেখে ছাড়তো নির্ঘাত। সোহানা মির্জা কুটিল হেসে
বলে উঠে,

-” তুমি ভাবলে কি করে নাভান? তোমার ওই দুই টাকার রক্ষিতা কে আমি মির্জা বাড়ির বউ করে আনবো। শুনে রাখো এই মেয়েকে শুধু তোমার বরাদ্দ রাখা হোটেল রুমের বেড পর্যন্তই শোভা পাবে, মির্জা বাড়ির বউ হিসেবে না। ”

সোহানা মির্জার কথায় বাড়ির সকল ভয়ে নাভানের দিকে তাকায়। নাভানকে এখন হিংস্র বাঘের ন্যায় লাগছে। দু’হাতে মাথায় নিজের চুল চেপে ধরে সে
কিছুতেই রাগ কমাতে পারছেনা সে। ইনায়া ব্যথিত নয়নে তাকিয়ে আছে।স্বামী নামক মানুষটার জীবনে
অন্য নারী?সে আর ভাবতে পারছে না। কবুলের
জোর এতটাই যে, তিনঘণ্টা আগেই সে না দেখা অচেনা মানুষটাকে তিন কবুল বলে আপন করে ফেলেছিল। আয়েশা মির্জা এবার দুতালার করিডরে
তাকায় ইনায়াকে দেখে নিধি কে বলে, তাকে ঘরে নিয়ে যেতে। নিধি উপরে উঠে আসে। ইনায়ার দিকে তাকিয়ে তার বড্ড মায়া হয়। এমন আসমানের হুর কে তার ভাই অবঙ্গা করছে। ইনায়াকে কি বলে শান্তনা দিবে তা সে জানে না। বিধ্যস্ত ইনায়ার দিকে তাকিয়ে মিহি কন্ঠে বলে,” চলো ভাবি ” ঠাই দাঁড়িয়ে
রইলো সে নড়লো না একটুও।

আয়েশা মির্জা এবার ছেলের বউয়ের কাছ উঠে আসে সে। মুখ টাকে বিকৃতি করে বলে উঠে,

-” যা নয় তা মুখে আসছে বড় বউমা? বলি এখানে যে স্বামী, দেবর, মেয়ে, শাশুড়ী আছে ভুলে গেছো? নতুন বউটা যদি এইসব শুনে, তার কি হইবো?আর দাদুভাই কি চাই তোর এখন? তুই যেটা বলবি সেটাই হবে।”

নাভান মায়ের দিকে তাকিয়ে কাঠকাঠ গলায় বলে,
-” তুমি আমার মা না হলে, তোমাকে এতক্ষণে দশহাত মাটির নিচে পুতে ফেলতাম। ”

সোহানা মির্জা তাকিয়ে আছে তার ছেলের দিকে
এই এক অদিতির জন্য আজ তার মা’কেও সে এইসব কথা বলছে। নাহিদ মির্জা এবার অনেক রুষ্ট হয়ে যায়। কি করবেন তিনি? নাভানের চাচা নওয়াজ মির্জা এবার নিরবতা ভাঙে তড়িৎ গতিতে নাভানের সামনে এসে দাঁড়ায় সে। স্তম্ভিত হয়ে বলে,

-” তুমি বেশি হাইপার হয়ে যাচ্ছো না নাভান? মায়ের
সাথে এভাবে কথা বলছো তুমি? বিষয়টা শান্ত ভাবে
বসে ভাবো। তুমি যেটা চাইছো সেটা সম্ভব নয়। তিন কবুল বলে একটা মেয়েকে স্বীকার করেছ তুমি। ”

নাভান সোহানা মির্জার দিকে তাকিয়ে কম্পিত কণ্ঠে
বললো,
-” কানাডা থেকে ফরতেই মাতৃত্বের কসম দিয়ে তুমি যা করতে বলেছ আমি তাই করেছি। তুমি বলেছো অদিতি
কে বিয়ে না করে তোমার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে। আমি তাকে না দেখেই তেমার কথা মতো বিয়ে করেছি। কিন্তু সংসার করার প্রতিঙ্গা আমি করিনি। তাই আর কোনো কথা আমি তোমার রাখবো না। ”

চকিতে সোহানা সামনে তাকিয়ে কর্কশ গলায় বলে,

-” ইনায়ার বাবা মায়ের মৃত্যুর আগেই তাদের সাথে আমি তোমার আর ইনায়ার বিয়ে ঠিক করেছিলাম।
যেভাবেই হোক আমি সেটা রেখেছি। এখন থেকে সেই তোমার অর্ধাঙ্গিনী। তার সাথেই তোমার থাকতে
হবে।”

নাভান মুখে ‘চ’ শব্দ করে উঠলো যেনো। বাঁকা হেঁসে
পরিবারের প্রত্যেকটা লোকের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,

-” একটু পরেই আমার ফ্লাইট আমি কানাডায় ফিরে
যাচ্ছি।

সবাই যেনো একটু তটস্থ হলো ভয়ে। চলে যাবে মানে কি? আয়েশা মির্জা এবার কাতর কন্ঠ বলে ওঠে,

-” সাত বছর পরে দেশে আসলি আর সাতদিন না থাইকাই চলে যাবি? সব তোমার দোষ সোহানা, তোমার জন্যই এতো ঝামেলা। ”

-” তুমি চুপ করো আশু, আর মা তোমার ভালো ছেলে আমি তোমার কথাই রাখবো, করবোনা অদিতি কে বিয়ে। ”
-“তাহলে কানাডায় যাচ্ছো কেনো?
-” বিকজ, আমি আর অদিতি উইল লিভ টুগেদার।

কথাটা যেনো বিশাল বড়ো লিভিংরুমে বিস্ফোরণ ঘটালো। সবাই অবাক হয়ে দেখছে নাভান কে।ছেলে
বিদেশি কালচার সবই আয়ত্ত করে ফেলেছে। মা বিয়ে করতে দেয়নি বলে বিয়ে ছাড়াই থাকবে সে।
নাহিদ মির্জা এবার রাগান্বিত হয়ে বলে,
-” পাগল হয়েছ? ঘরে বউ রেখে বিদেশে মেয়ে নিয়ে পরে থাকবে? এতই যখন অদিতিকে ছাড়তে পারবে
না তাহলে, ইনায়া কে বিয়ে করতে মত দিলে কেনো?

-” ওহ বাবা, ম্যারেজ ইজ নট দেট ইমপোর্টেন্স ।অনলি ইফ উই বোথ এগ্রি। আর রইলো ওই মেয়েটাকে বিয়ে করার কথা! ওটা মা আর ওই মেয়েটার জন্য সারপ্রাইজ ছিল। সে ব্রাহ্মণ হয়ে চাদে হাত দিতে চেয়ছিল। আর মা সে মেয়েটাকে বউ হিসেবে চেয়েছে সেটাও দিলাম, শোধবোধ!তুমি থাকো তোমার মির্জা বাড়ির ছেলের যোগ্য বউ নিয়ে সেটাই তো চেয়েছ?

সোহানা মির্জা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো নাভানের
দিকে। বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নীতে গিয়ে তার ছেলে নিজের কালচার টা কেও বদলে ফেলেছে। তিনি নিজেকে যেনো এই মুহূর্তে অনেক অসহায় মনে করছে। ধপ করে সোফায় বসে পড়েন তিনি। নিজ হাতে একটা বাচ্চা মেয়ের জীবন টা তিনি নষ্ট করে ফেলেছে। কি করবেন তিনি এখন? নিপা একগ্লাস পানি এনে সোহাকে দেয়, আর মিনমিন কন্ঠে বলে উঠে,
-” ভাবি আপনি নিজেকে এখন ঠান্ডা রাখুন। ধৈর্য- হারা হবেন না। ইনায়া কে সামলাবে কে? এতু টুকু
মেয়ে এতোবড় ধাক্কাটাকে সামলাতে পারবেনা।

সোহানা এক পলক তাকয় নাভান এর দিকে। নাহিদ মির্জা কঠোর গলায় জিজ্ঞেস করে,

-“এটাই তোমার শেষ কথা নাভান?”
– হুম বাবা,আমি আসছি আমার ফ্লাইটের সময় হয়ে আসছে।

সবাই যেমন পাথ বনে রয়। এমন খুশির মাঝে এটা যেনো কাম্য নয়। গটগট পায়ে বেড়িয়ে যায় নাভান শাহরিয়ার। আঁধারের আলো গভীর হলেও চারপাশে
বাড়ির লাইটিং এর আলো কাঁচা ফুলে সজ্জিত মির্জা বাড়ির প্রতিটি কোনায়, তখনই নুপুরের ঝংকার আওয়াজ আর এক বুকফাটা কিশোরীর করুন আর্তনাথ সব মিলিয়ে কেঁপে ওঠে যেনো মির্জা ভিলা। নিশুতি রাতে গগনবিহারী এই করুন পাখির আর্তনাদ কি শুনতে পেয়েছিল পুরুষ টা? নাকি শুনলেও হৃদয় কাঁপাতে পারেনি সেই কান্না।

কোনোরকম দৌড়ে সেই রুমে প্রবেশ করলো ইনায়া।
তার বুক টা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে যেনো। নিজেকে কোনো রকমেরই মানাতে পারছে না সে। ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে সে। কত স্বপ্ন নিয়েই তো শশুর বাড়ি এসেছিল সে কিন্তু? স্বপ্ন শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে এলো। মা বাবা তাকে কেনো নিয়ে গেলনা তাদের সাথে। চোখ ঘুরিয়ে রুমটাতে চোখ বুলায় ইনায়া। সারা রুমে রজনীগন্ধা, গোলাপের মৌ মৌ গন্ধ ভাসছে। মিডল বেডটাকে সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। বেডের দুই সাইডে বড় পাত্রের মাঝে পানিতে গোলাপ ছিটিয়ে ছোট ইলেকট্রনিক লাইট জালানো। সবকিছু দেখে ম্লান হাসলো ইনায়া
কিসের জন্য এইসব আজকে। তারমত এমন লাঞ্চিত কোনো বউ বিয়ের দিন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। তার স্বামী অন্য পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট, কথা মনে আসতেই মাথাটা ধরে এলো তার। মুহূর্তেই
পুরো ঘরে ধংসকার্য চালালো সে। কেউ আসলো না থামাতে। তাতে যদি অষ্টাদশি কন্যার মন শান্ত হয় একটু।

ভোরে ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে ইনায়ার। শোয়া থেকে উঠে মাথা চেপে ধরে সে, অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে যেনো। ভালো করে চোখ মেলে পুরো ঘরে চোখ বুলায় ইনায়া। ফুল বই নানা ধরনের জিনিসপত্র মেঝেতে পরে রয়েছে। নিজের দিকে তাকিয়েই দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কালকের লেহেঙ্গা এখনো গায়ে জরানো। জীবন ক্ষনে ক্ষনে রুপ বদলাচ্ছে তার। এই ছোট জিবনে অনেক কিছু উপলব্ধি করেছে ইয়ানা।হাঠাৎ করে ফোনটা আবার বেজে উঠে। ইনায়া ফোনটা মেঝে থেকে উঠায়। রিসিভ করে কানে ধরতেই অপর পাশ থেকে কেউ বলে উঠে,

-” ফুলসজ্জা কেমন গেলো মিস ইনায়া? ওহ্, সো সরি মিসেস ইনায়া।”
-” কে আপনি?
-” আপনার সতিন মিসেস ইনায়া। ”

ভ্রুকুটি কুনঞ্চিত করে ইনায়া মেয়েটা কে হতে পারে?
কন্ঠটা চেনা চেনে লাগছে তার। কিছুক্ষণ চুপ করে অপকটে জিজ্ঞেস করে ওঠে,
-” অদিতি আপু তুমি?”
-” যাক বাবা তাহলে, চিনতে পরেছিস তুই?”
-” কিসের জন্য ফোন দিয়েছে তুমি? ”

মুখটা গম্ভীর করে ইনায়া। অপরপাশে অদিতি একটু হেসে গম্ভীর স্বরে বলে,

-” বিয়ে করেছিস শুনলাম। কিন্তু কি করলি? এখন বুঝতে পারবি সব। আমার বয়ফ্রেন্ড কে বিয়ে করা? লিসেন আমার আর নাভানের সম্পর্ক অনেক গভীর! কতটা গভীর নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছিস।”

-” তুমি আমাকে আগে কেনো বলোনি। ”

কান্নারত গলায় বলে উঠে ইনায়া।

-” আসল কথা কি জানিস? আমার তোকে খুব কাঁদাতে ইচ্ছে হয়েছে তাই বলেনি। বুঝলি বাবু? ”

-” কেনো করছো এইসব বলো?”
-” আজকে আর কথা বলার মুড নেই ইনু। তর বরটা কে রিসিভ করতে এয়ারপোর্টে পৌঁছতে হবে আমায়।
তার আগে একটু স্কিন লিপস কেয়ারও করি একটু। কারণ, নাভান এসেই আমার ওষ্ঠদ্বয়ে হামলা দিবে এন্ড হার লিপস আর ভেরি সুইট টু মি! বাইই।”

কাঁদতে থাকে ইনায়া। অদিতি তার ফুপাতো বোন।
তারা কানাডার সিটিজেন। অনেক ছোটবেলায় তাদের সাথে দেখা হয়েছিল ইনায়ার। মাঝে মধ্যে ফোনে কথা হতো সবার সাথে। তাদের এক্সিডেন্ট ও মা বাবার মুমূর্ষু অবস্থায়ও তার ফুপি ভাই দেখতে আসেনি। এমনকি মৃত্যুর দিনও না। মা বাবা হারিয়ে ইনায়া যখন পাগল প্রায়। তখন তার পাশে দাঁড়ায় সোহানা মির্জা। সে তার মায়ের বেস্টফ্রেন্ড ছিল।

#যাতনা_আমার
#সানজিদা_ইসলাম_সূচনা
#পর্ব: ১

চলবে………

(ভুলত্রুটি মার্জনিয়,রেসপন্স পেলে গল্পটি কন্টিনিউ করবো)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here