#যাতনা_আমার
#সানজিদা_ইসলাম_সূচনা
#পর্ব: ১৫
( কপি করা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ।)
পার্কের একটা বেঞ্চে বসে আছে ইশান। হাতে মোবাইল ফোন। বসে বসে গেমস খেলছে ইশান। আবার অপেক্ষা করছে একজনের জন্য। অফিস টাইমের আগেই এখানে এসেছে আজ। ফর্মাল পোশাকের বেশেই হাজির সে। ঘড়িতে সময় দেখে ইশান। কাঙ্ক্ষিত মানুষটির আসার অপেক্ষা যেন বাড়তে থাকে। হঠাৎ হাই হিলের আওয়াজে সামনে তাকায় ইশান। ঘাম যুক্ত মুখে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তিথি। ইশান কোনো রা করেনা সে চুপচাপ গেমস খেলতে থাকে। তিথি এবার পাশে বসে ইশানের বাহু জড়িয়ে ধরে। তারপর জিজ্ঞেস করে,
-” রাগ হয়েছে সাহেব? স্যরি! আসতে লেট হয়ে গেল। ”
-” আমার রাগ করে কি লাভ? কেউকি তার ধার ধারে?
ইশানের মুখ গোমড়া কথা শুনে তিথি তেতে বলে ওঠে,
-” আমি কি এখন চলে যাব? ”
ইশান ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে তিথির দিকে তাকায়। সম্পর্কের দুই বছরে এমনো কখনো হয়নি ইশান রেগে আছে আর তিথি রাগ ভাঙিয়েছে। তিথি একবার স্যরি বলেই বিষয় খালাস করে দেয়। এরপরও ইশান রেগে থাকলে উলটো তিথিই তাকে ঘাটের জল খাওয়ায়।
-” এতো লেট কেন তিথি? তুমি যানো আমি কতোক্ষণব্যাপী তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম? আর একটু পরেই অফিসের জন্য বেরোতে হবে। সাপ্তাহে দুইবার দেখা করো। তাতেও লেট কেনো? ”
ইশানের এতো প্রশ্নের জবাব তিথি দিতে পারেনা। মুখটা মলিন করে ইশানের দিকে তাকিয়ে থাকে। ইশানের এবার মায়া হয়। কন্ঠ নিচে নামিয়ে শান্ত স্বরে জিজ্ঞেস করে,
-” কি হয়েছে আমার চিতা বাঘিনীর? মন ভালো নেই? ”
তিথি ডানে বায়ে মাথা নাড়িয়ে সহমত প্রকাশ করে। ইশান কিছু বলবে তার আগেই তিথি গতকাল ইনায়ার সাথে যা কিছু করেছে সব ইশানের সাথে প্রকাশ করে। ইশান সবকিছু শুনে নিরুত্তর রইল। তিথির কাজটা আসলেই ঠিক হয়নি। তবুও সে ভিতরে ভিতরে অনুতপ্ত হওয়াতে ইশান খুশী হয়।
-” আমার কিছুই ভালো লাগছে না ইশান। খুব খারাপ করেছি আমি ইনায়ার সাথে। ”
-” কি নাম বললে? ”
অকপটে জানতে চাইল ইশান। তিথি ইনায়ার নামটা বলল। ইশানের মাথায় হাত। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলায় সে। সে অনেক আগেই তিথির মুখে শুনেছিল। জায়ান তাদের এক কাজিন কে তিথির সাথে রাখতে বলেছে। আবার ফাহাদ ও ইনায়া কে বলেছিল তার বোনের সাথে ইনায়া কে দেবে। এতোকিছু ইশান কেন খেয়াল করলো না। আবারও ইনায়ার জন্য মনটা খারাপ করে ইশানের। সে রাগান্বিত হয়ে তিথি কে জিজ্ঞেস করে,
-” তুমি যানো মেয়েটা কে? ”
‘ কে ‘ যানতে চায় তিথি। ইশান ঠোঁট নাড়িয়ে বলতে গেলেই তিথির ফোন বেজে উঠে। তিথি পার্স থেকে ফোন তুলে কানে দিতেই থমকে যায়। কাঁপা গলায় বলে,’ আমি আসছি। ‘ ফোনটা রেখে হন্তদন্ত হয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় তিথি।
-” কোনো সমস্যা? ”
-” ভাইয়া হসপিটালে। গুলি লেগেছে। এক্ষুনি যেতে হবে। ”
-” চলো আমি নিয়ে যাচ্ছি। ”
ইশান চটজলদি তিথিকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। যেতে যেতে তিথি কেদে ফেলে। ইশান নিরুত্তর চুপচাপ তা দেখে শুধু।
হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করা হয়েছে জায়ানকে। অনেকটা রক্তক্ষরণে শেষ মুহূর্তে জ্ঞান হারিয়েছিল তার। ফোন দেবার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তার দলের লোকগুলো এসে সেখানে উপস্থিত হয়েছিল। গাড়িতে জায়ানের পাশে বসে ইনায়া তখন ভাবছিল। কি বুঝে মানুষ রাজনীতি তে ঢুকে? শুধু একটা বুলেট তার পরেই জীবন শেষ। এই জন্যেই সে তার বাবাকে এইসব থেকে সরিয়ে এনেছিল। হাসপাতালের করিডোরে পায়চারি করছে ফাহাদ আর মিজানুল করিম। মিজানুল করিম ফাহাদ কে ইচ্ছে মতন ঝাড়ছে। মেয়র হয়ে যদি নিজের ভাইকে সে সেভে রাখতে না পারে, তাহলে জনগণের কি নিরাপত্তা দিবে ফাহাদ? অন্য সময় হলে বাবার সাথে ঝগড়া করতো ফাহাদ। কিন্তু আজ অনেকটা চুপসে রয়েছে। সেসময় নিধির সাথে ফাজলামো করে বাড়িতে না নিয়ে গেলে আজ এই পরিস্থিতি হতো না। মুহূর্তেই প্রেস মিডিয়ায় ভরে গেছে হাসপাতালে। অনেক মানুষের ভীড় জমেছে। ইনায়া অতিরিক্ত বিরক্ত হয় এইসবে। পাশেই মিনারা বেগম কাঁদছেন। নিজেকে এতো ভেঙে ফেলছেন না তিনি। খুব শক্ত হয়েই রয়েছেন। ইনায়া তাকে শান্তনা দেবার মতো কোনো কথা খুজে পায়না। কারণ রাজনৈতিক ফ্যামিলি থেকে বিলং করা মানুষ গুলোর কাছে এইসব দুধ ভাত। তারা নিজেকে সব সময় সামলাতে যানে। হঠাৎ নিধি তার হাত ধরে বস থেকে উঠিয়ে অন্য পাশে নিয়ে যায়। আচমকা ইনায়া ভয় পেলেও সামলে নেয়।
-” কই ছিলে নিধি? কতক্ষন খুজলাম তোমাকে? ”
-” আর বলোনা ভাবি। ওই বজ্জাত মেয়র আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে গেছিল। জায়ান ভাইয়ের খবর পেতে, আমাকে ফেলেই চলে এসেছে। এখন বলো, জীবনের প্রথম গোলাগুলির সম্মুখে পরলে,ফিলিংস কেমন? ”
বিরক্তিতে মুখ কুঁচকালো ইনায়া। এমন আতংকের সময় ফিলিংস আবার কেমন হবে? সে মুখ গোমড়া করে বলে,
-” আর কি? কুকুর বিড়ালেরও দাম আছে রাজনৈতিক মানুষ গুলোর থেকে। একটা ট্রিগার চাপ লাইফ শেষ। ভাবা যায় এইসব? ”
নিধি এবার আপাদমস্তক ইনায়াকে দেখে নেয়। সারা গায়ে রক্তে মাখামাখি। কালোজামা দেখে বুঝা মুশকিল।
-” ভাবি হলে চলো। কাপড় বদলাবে। ”
ইনায়া সামনে তাকায়। ডাক্তার ওটি থেকে বেড়িয়ে এসেছে। ফাহাদ কথা বলছে তার সাথে। ইনায়া নিধি সেদিকে যেতেই শুনতে পায় ডাক্তার বলছে। জায়ান এখন বিপদমুক্ত। কয়েকদিন সম্পূর্ণ বেড রেস্ট থাকতে হবে। ওটি থেকে বের করে জায়ান কে কেবিনে শিফট করানো হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান ফিরবে। একজন একজন করে দেখতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে ডাক্তার। মিজানুল করিম আর মিনারা বেগম গেলেন জায়ান কে দেখতে। ফাহাদ পিছনে ফিরে ইনায়াদের দিকে তাকায়।
-” স্যরি ইনায়া। তুমি ঠিক আছো তো? ”
-” আমি একদম ঠিক আছি ভাইয়া। আর স্যরি কেনো বলছেন? এতে আপনার কোনো দোষ নেই। আপনার ভাই যদি নেতাগিরী করে শত্রুে কামাই করে, আপনার তো দোষের কিছু নয়। ”
ফাহাদ ইনায়ার কথায় ম্লান হাসলো। জায়ান গড়ার কারিগর তো সে নিজেই। আজকে কেন যানি বাবার কথা ফাহাদের সঠিক মনে হচ্ছে। ফাহাদ ইনায়ার পেছনে দাঁড়ানো নিধি কে দেখে ভ্রু কুঁচকালো। এই মেয়ের খপ্পরে পরে আজকে তার এই দশা। ফাহাদ ইনায়ার দিকে ফের তাকিয়ে শান্ত স্বরে বলে,
-” চলো জায়ান কে দেখবে। তুমি না থাকলে আজ কি হতো ভাবতেই শরীর কাটা দিয়ে উঠছে। ”
ইনায়া মনে মনে হাসে। উলটো জায়ানই তো তাকে প্রটেক্ট করেছে। সন্ত্রাসীটার রাগ, সাহস, ধৈর্য সবই আছে। না হলে গুলি খেয়েও মানুষ এতো শক্ত কথা বলে? ভাবছে ইনায়া। ইনায়া ফাহাদের সাথে যাবে, তখনই তিথি সেখানে দৌড়ে আসে। আর পেছনে ইশান। ইনায়া আর নিধি ইশান আর তিথি কে একসাথে দেখে বেশ অবাক হয়। সবচেয়ে বেশি অবাক হয় নিধি। সে তীক্ষ্ণ চোখে ইশানের দিকে তাকিয়ে থাকে। তিথি হাঁপাতে হাঁপাতে বলে ওঠে,
-” ছোট ভাইয়া ঠিক আছে তো? ”
-” হুম, আপাতত আউট অভ ডেঞ্জার। কেবিনে শিফট করানো হয়েছে। ”
তিথি একটা সস্থির নিঃশ্বাস ফেলে। ফাহাদের পাশে ইনায়া আর নিধি কে দেখে অবাক হয়৷ নিধি কে সে চেনে। ইশানের ফোনে নিধির অসংখ্য ছবি আছে। নিধির সাথে ইনায়ার কি সম্পর্ক? ভাবছে তিথি। ইশান মুচকি হেসে ইনায়া সামনে দাঁড়ায়।
-” কেমন আছো তুমি? ”
-” ভালো ভাইয়া। বাড়ির সবাই কেমন আছে? ”
অকপটে জানতে চাইল ইনায়া। ইশান ম্লান হাসলো। তার বাড়িতে ঝামেলা লেগেই রয়েছে। ইনায়ার চলে আসাতে যেন সবাই টুটে গেছে।
-” সবাই ভাল আছে ইনায়া। কিন্তু তোমাকে মিস করছে খুব৷ ”
-” আমি দুএকদিন পরে নিধির সাথে যাব বাড়ির সবাই কে দেখতে। ”
হাসি মুখে বলে ইনায়া। তিথি প্রশ্নবিদ্ধ মুখে ইশানের দিকে তাকিয়ে আছে। ফাহাদ তাড়া দেয় জায়ান কে দেখতে যাবার জন্য। ইনায়া ফাহাদ কে অনুসরণ করে। তিথি কিছু বলবে তার আগেই ইশান মুখটাকে গম্ভীর করে তিথিকে জানায়,
-” ইনায়া নাভান ভাইয়ের বউ। ”
তিথির চোখ বড়সড় হয়ে যায়। নাভানের কাহিনি তো সে ইশানের কাছ থেকে পুরোটাই শুনেছে। তখন ইনায়ার জন্য প্রচুর মায়া লেগেছিল। ইশান কে বলেও ছিল যাতে ইনায়ার সাথে দেখা করায়। আর সে না যেনেই ইনায়ার সাথে খারাপ ব্যবহার করলো। ভেতরে প্রচুর গ্লিটি ফিল করে তিথি। এদিকে ক্ষ্যাপা বাঘিনীর ন্যায় নিধি ইশানের হাত বগলদাবা করে অন্যদিকে নিয়ে যেতে লাগলো। ইশান কিছুতেই হাত ছাড়াতে পারল না। তিথি কিছুক্ষন বিষ্ময়কর দৃষ্টি দিয়ে তাদের দেখে। হঠাৎ জায়ানের কথ মনে হতেই, পিছন ফিরে দৌড় লাগায়।
কেবিনে ঢুকতেই ইনায়া দেখে মিনারা বেগম মুকে শাড়ির আচল চেপে ধরে কেঁদে যাচ্ছেন। বেডে জায়ানকে উপুড় করে শুয়ে রাখা হয়েছে। কাঁধের দিকে গুলি লাগায় এই ব্যবস্থা। জায়ানের মুখটা মলিন হয়ে রয়েছে। এখনো জ্ঞান ফিরেনি। হাতে ক্যানোলা স্যালাইন চলছে তাতে। মুখে নাকে একটা সাদা চিকন নল ঢোকানো। শক্তপোক্ত ছেলের এই দশায় মিনারা বেগম আর মিজানুল করিমের অবস্থা খুবই করুন। ইনায়ার বড্ড মায়া হলো। ফাহাদের চোখে পানি চিকচিক করছে। জায়ান কে এইভাবে দেখে তার ভাল লাগছেনা। অতঃপর তিথিও ঢুকলো সেখানে। এতো ভিড় দেখে নার্স এসে সবাইকে বেরোতে বলে। একে একে সবাই বের হতে মিজানুল করিম ইনায়া কে তার কাছে ডাকেন। ইনায়া ধির পায়ে সেখানে যেতেই তিনি শান্ত স্বরে বলেন,
-” তোর জন্য ছেলেটা আমার জীবন পেল। নাহলে আজ ছেলেহারা হতে হতো। ”
-” ইনায়া জায়ানের সাথে ছিল? ”
অবাক স্বরে জিজ্ঞেস করে মিনারা বেগম। ফাহাদ তাকে সবটাই বলে। মিনারার অভিব্যক্তি কি তা ঠাওর করতে পারেনি ইনায়া। তিনি ঠান্ডা চোখে ইনায়ার দিকে তাকিয়ে থাকেন। এদিকে তিথি তার মনে অনুশোচনায় ভুগছে। ইনায়া কাছে তাকে মাফ চাইতে হবে। মিজানুল করিম ইনায়া কে আবার বললেন,
-” তোকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেছিলাম জায়ান কে। সেই দায়িত্ব নিয়ে সবটা৷ আমাকে করে দিয়েছিল। জায়ান বলল তোর নাভানের সাথে যত তাড়াতাড়ি ডিভোর্স হবে ততই ভাল। আজ গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল একটা। নাহিদ মির্জার সাথে বসে আমি ডিভোর্সের সব কিছু ঠিকঠাক করে নিয়েছি। দু একদিন বাদে কাগজ এসে যাবে। তুই সাইন করে তোর দিকটা ঠিক করে নিস। বাদবাকি নাভান এলেই হয়ে যাবে। ”
সব শুনে ইনায়ার ভিতর থেকে দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে। জীবনের শেষ পরিস্থিতি কি হবে? কে জানে? তিথির ইনায়ার সুন্দর মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে বড্ড মায়া হয়। ফাহাদেরও তাই। ইনায়া মিজানুল করিমকে সায় জানিয়ে উল্টো ঘুরে হাটা শুরু করে। কেউ তাকে আটকায় না আর। মিনারা বেগম আবার অন্য কিছু ভাবতে থাকে। জায়ান কেন ইনায়ার ডিভোর্সের জন্য উতলা হয়ে উঠেছে?
এদিকে নিধি প্রচন্ড রাগ নিয়ে ইশানের দিকে তাকিয়ে আছে। পারলে সে মারতে পর্যন্ত পারতো। তখন ইশানকে ধরে সে বাগানের এদিকে নিয়ে আসে। ইশান আজ নিধির কান্ডে অবাক আর বিরক্ত দুটোই হয়েছে। নিধি কখনো তার সাথে এমন করেনি। ইশান বিরক্ত স্বরে বলে,
-” কিরে এখানে আনলি কেন? ”
-” কথা শুনে তো বুঝলাম, সে ফাহাদ ভাইয়ের বোন।”
‘ তো ‘ ভ্রু কুঁচকে তাকায় নিধির নিকট ইশান। নিধি শান্ত চোখে তাকায় ইশানর পানে। মায়াবি মুখখানা কিছুটা মূর্ছা গেছে। পাতলা ঠোঁট গুলো নাড়িয়ে সহসা জিজ্ঞেস করে,
-” তুমি ওর সাথে কি করছিলে? এক সাথেই তো দুজনে হাসপাতালে ঢুকলে। ব্যাপার কি? তুমি কি করে জানলে জায়ান ভাইয়ের খবর? ”
নিধির এতোগুলা প্রশ্নের চিপায় পরে ইশান। নিধি সন্দেহর দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ইশান এবার খেঁকিয়ে উঠল,
-” কানের নিচে মারব একটা। তুই আমাকে এইসব কেন জিজ্ঞেস করছিস? তুই কি আমার বস? সর এখান থেকে। ”
-” বলো বলছি। না হলে খারাপ হয়ে যাবে। ”
আরও জোরে খেঁকিয়ে উঠে নিধি। ইশানের চোখ গুলো আরও বড় হয়।
-” তুই আমার সাথে এই ভাবে গলা উঁচিয়ে কথা বলছিস গাধি? ”
-” বলছি, দরকার পরলে আরও জোরে বলব। এখন বলো তুমি এখানের খোজ কি করে পেলে? ”
-” এফবি তে দেখেছি নিউজ। ”
গোমড়া মুখে বলে ইশান। নিধি এবার উত্তর শোনা মাত্রই ঘুরে হাসপাতালের ভিতরে চলে যায়। ইশান বোকার মতো নিধির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়।
চলবে……..
( ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। যারা আমার নিয়মিত পাঠক তাদের আমার ছোট্ট পেজে ফলো, করার অনুরোধ করা হলো। লাইক করে পাশে থাকবেন সবাই। )