#যাতনা_আমার
#সানজিদা_ইসলাম_সূচনা
#পর্ব: ৩
কানাডার রাজধানী অটোয়া। চার ঋতুর দেশ কানাডা। ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এই তিন মাস শীতকাল।এই তিন মাস হলো কানাডার শীতকাল। পুরো শীতকাল জুড়েই কানাডায় হয় প্রচুর তুষারপাত। এইসময় তাপমাত্রা থাকে খুবই কম। মাঝে মাঝে হয় তুষার ঝড়। এই সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকে। সময়টা এখন জানুয়ারির মাঝামাঝি দিক। কুচিকুচি তুষারে ভরে আছে পুরো অটোয়া শহর। রাতের দিকে প্রচুর তুষারপাত হয়েছে। এখন কিছুটা কমে এসেছে। সকাল হতেই ব্যস্ত জনমানুষ নিজেদের কর্মস্থলে যাবার জন্য।
ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চুল সেট করছে নাভান শাহরিয়ার। পড়নে ফর্মাল ড্রেস। আজকে তার ক্লায়েন্টের সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং আছে। পরনের কালো শার্টটা বুকে পিঠে লেপ্টে আছে। নয়টা মাস ধরে বাংলাদেশের সাথে তার কোনো যোগাযোগ নেই। মাঝেমাঝে তার মা’র কথা খুব মনে পরে। কিন্তু ফোন করতে সাহস পায় না। হঠাৎ ফোন বেজে উঠতে ধ্যান ভাঙে তার। ফোন হাতে তুলতেই অদিতির ২৪০ টা ফোন দেখতে পায় সে। মেয়েটা পাগল করে ফেলবে প্রায়। নাভান বিরক্তি নিয়ে সাইলেন্ট করে ফোন পকেটে ভরে। কালো কোর্টটা হাতে নিয়ে নিচে নেমে আসে। ব্রেকফাস্ট করে এখনি বেরিয়ে পরবে অফিসের উদ্দেশ্যে। খাবার সময় হঠাৎ করেই কলিং বেল বেজে উঠে। নাভান অবাক হয়। এখন কে আসতে পারে। দরজা খুলতেই দেখতে পায় অদিতি দাড়িয়ে আছে। পরনে তার সাদা লং কোর্ট। নাভানকে ঠেলে ভিতরে ঢুকে সে। নাভান দরজা লাগিয়ে দিয়ে আবার খেতে বসে পরে। অদিতি যেন তার সামনে অদৃশ্য। অদিতি কিছুক্ষণ বিষ্ময়কর দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে থাকে নাভানের দিকে।
-” আমাকে ইগনোর করছো কেনো নাভান?”
-” কখন?”
-” গত নয়টা মাস কি এটা বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়?”
নাভানের মুখে কোনো রা নেই সে চুপচাপ খেয়ে চলছে। অদিতি রাগে হতভম্ব হয়ে আছে। নাভান নয়টি মাস ধরেই তাকে বিভিন্ন ভাবে এড়িয়ে চলছে। সে নাভানের মতিগতি কিছুই বুঝতে পারছে না। এতো সহজে নাভান কে ছাড়বে না অদিতি। নাভান খাবার শেষ করে উঠে দাঁড়ায়। কালো কোর্টটা গায়ে জড়িয়ে গাড়ির চাবি হাতে সামনে এগিয়ে যায়। অদিতির রাগ এখন আকাশচুম্বী। সে পেছন থেকে নাভানের হাত টেনে ধরে।
-” এইসবের মানে কি নাভান? তুমি আমাকে এভাবে এড়িয়ে যেতে পারো না। ফোন দিলে ফোন তুলছো না তুমি।, ”
-” লিসেন অদিতি! অফিসে আমার ইমপোর্টেন্স মিটিং আছে। আমাকে এক্ষুনি যেতে হবে। হাতটা ছেড়ে দাড়াও। আর, তোমার ফোন খেয়াল করিনি আমি। ”
-” ডোন্ট মেইক এক্সকিউজ! এতোগুলা ফোন, মেসেজ কি করে তোমার অ’দেখায় থাকতে পারে। ”
নাভান এবার চুপ করে থাকে। অদিতির থেকে হাত ছাড়িয়ে বাইরে অগ্রসর হয়। অদিতি এবার আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। নাভানের সামনে দাঁড়িয়ে ওর কলার চেপে ধরে।
-” আমাকে এতো হালকা ভাবে নিওনা নাভান। আমি তোমার সেই অবলা বউয়ের মতো না। আমার সাথে চিট করলে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমি বাধ্য হবো। ”
অদিতির কথায় মজা পেলো যেন নাভান। ঠোঁট প্রসারিত করে হাসল,
-” কি ব্যবস্থা নিবে তুমি? আমাকে ধর্ষণ করেছে, চিটিং করেছে ব্লা ব্লা, আরও কিছু? শোনো, তোমার মতো রোড সাইড প্রস্টিটিউটের মুখে এসব কথা শুনলে, লোক উলটো তোমার বদনাম করে দিবে। ”
বলেই অদিতির হাত একপ্রকার ছুড়ে ফেলে নাভান। অদিতি এবার প্রচুর রাগে পাগল প্রায়।
” ব্লাডি বিচ! তোকে আমি জেলের ভাত খাওয়াবো।”
কথাটা বলতেই অদিতির মুখ সজোরে থাপ্পড় মারে নাভান। তাৎক্ষণিক অদিতির গলা টিপে ধরে সে। অদিতির দমবন্ধ হয়ে আসছে যেনো। নাভান দাঁতে দাঁত পিষে বলে ওঠে,
-” তোর মতো এমন রোড সাইড প্রস্টিটিউট হাত তুড়ি দিলেই, নাভান শাহরিয়ার মির্জার সামনে হাজার টা চলে আসবে। তোর কোনো যোগ্যতাই নেই আমার সামনে দাঁড়ানোর। আর এই সস্তা মার্কা থ্রেট তোর সো কল্ড বয়ফ্রেন্ডদের কে দিবি। আমাকে না।”
বলেই অদিতিকে ছেড়ে গটগট পায়ে বাইরে এসে দাঁড়ায় নাভান। রাগে ভেতরটা ফুঁসছে তার। অদিতি কি ভেবেছে? সে তার জন্য পাগল? উঁহু এমন হাজারটা অদিতিকে ছাড়তে পারবে সে। অদিতি ছিল শুধু তার একাকিত্ব কাটানোর বস্তু। আজ পর্যন্ত কোনো মেয়ে তার মনে ঢুকতে পেরেছে কিনা সন্দেহ।
রাগে অপমানে চোখ দিয়ে পানি পরছে অদিতির। বহু পুরুষাক্ত নারী অদিতি। শেষে নাভানের সাথে সম্পর্কে জড়ায় সে। এতো সহজে নাভান কে হাত ছাড়া করবে না অদিতি। কিছুতেই না।
সময় তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলছে। এরসাথে কেটে গেছে ইনায়ার জীবনের নয় টি মাস। ভার্সিটি প্রাঙ্গণে সান বাঁধানো পুকুরপাড়ে পারে বসে আছে সে। অপেক্ষা করছে নিধির জন্য। চোখ তার পুকুর- পাড়ের শ্যাওলা যুক্ত পানিতে। সোহানা মির্জা তাকে নিধির কলেজে এডমিশন করিয়েছন। ইনায়া আর নিধি পলিটিকাল সায়েন্সের প্রথম বর্ষের স্টুডেন্ট। একসাথেই ভার্সিটিতে আসাযাওয়া তাদের।
ইনায়া নাভানের কষ্টে সবকিছু ছেড়ে দিয়েছিল প্রায়।
সোহানা মির্জা তাকে জোর করেই পড়াশোনায় ফিরিয়ে এনেছে। তারপরও ইনায়া অতিষ্ঠ এই সবে।
বুকের মধ্যে অসহ্য যন্ত্রণায় কেটে যাচ্ছে তার দিনগুলো। মাঝে মাঝে তার নিজের কাছেই নিজেকে পাগল মনে হয়। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে আসে প্রায়।
আশেপাশে তাকিয়ে থাকে নিধির খুঁজে। মেয়েটা তাকে এখানে বসিয়ে রেখে কই উধাও হয়ে গেলো।
বসা থেকে উঠে মাথায় কাপড় টানে। পরনে তার আকাশি কালারের চুড়িদার। সিঁড়িবেয়ে উপরে আসে ইনায়া। তখনই দৌড়ে এসে ইনায়াকে জড়িয়ে ধরে নিধি। তারপর মুখে ভাবভঙ্গি বদলে পাপ্পি ফেস করে বলে ওঠে,
-” স্যরি ভাবি! ওয়াশরুমে যা ভিড়, তাই দেড়ি হয়ে গেলো। মনে হয়ে মেয়েগুলো সকালেবেলা তাদের বাড়ির ওয়াশরুম ব্যবহার করনি। বুঝলে? ”
-” হুম, হয়তো তোমার মতনই তারা। ঘুম থকে উঠে মুখও ধুতে পারে না।”
কথাটা বলে আপাদমস্তক নিধিকে দেখেনিলো ইনায়া। পরনে কালো জিন্স আর নীল কুর্তি, মাথার চুলগুলো আউলো হয়ে পড়ে আছে।দু’ কাধে ঝুলানো মিকিমাউস ব্যাগ। আসার সময় চুলগুলোও বাধার সময় পায়না নিধি। ঘুম থেকে উঠতে উঠতে ভার্সিটির সময় পার হয়ে যায় তার। মাঝেমধ্যে ইনায়া আশ্চর্য হয় খুব। নিধির মতো এমন অলস মানুষ দেখেছে বলে মনে হয়না ইনায়ার।
-” আবার আমায় কথা শুনাচ্ছ? থাক চলো, ফুচকা খেয়ে দুজনেই বাড়ি চলে যাই।”
নিধির কথায় বাঁধ সাধে ইনায়া। মাথা নাড়িয়ে বলে,
-” এক্ষুনি তোমার ভাই আসবে নিধি। আমাদের না দেখতে পেলে বকা দিবে।
-” ভাইয়া আসতে আসতে চলে আসবো আমরা, চলতো ভাবি। ”
ইনায়ার হাত ধরে প্রায় টেনেহিঁচড়ে এগিয়ে যায় নিধি। ইনায়া ও তার সাথে তাল মিলায়।
ভার্সিটির বাইরের একটা ফুচকার দোকানে দাঁড়িয়ে আছে তারা। নিধি প্রায় চার প্লেট ফুচকা খেয়ে নিয়েছে। আর মাঝে মধ্যে বলেছে,
-” এটাই শেষ ভাবি আর খাবো না। ”
ইনায়া শেষমেশ বিরক্ত হয়ে নিধির হাতের প্লেট রেখে দেয়। নিধি ঠোট উলটে ফুচকার বিল দিয়ে, ইনায়ার হাত ধরে হাটতে থাকে। হটাৎ করে ব্যাগে চোখ যেতেই চিৎকার দেয় নিধি। আচমকা নিধির চিৎকারে হকচকিয়ে গেলো ইনায়া। নিধি ব্যাগ হাতে
বিলাপ করছে। আশেপাশের সবাই অদ্ভুত ভাবে তাকায় নিধির দিকে। সবার মূল কেন্দ্রবিন্দু সে। ইনায়া ঝটপট জিজ্ঞেস করে,
-” কাঁদছ কেনো নিধি? কি হয়েছে? ”
-” ভাবি আমার তুলতুলা। ”
ব্যাগের দিকে ইশারা করে বলে নিধি। ইনায়া দেখে নিধির ব্যাগের সাইডে ঝুলানো ছোট ছাইরঙা মাউস টেডি রিং টা নাই। যেটা সে অনেক পছন্দ করে অনলাইন অর্ডার দিয়েছিল। নাম দিয়েছে তুলতুলা। ইনায়া বিরক্ত স্বরে বলে,
-” এইটার জন্য মাঝ রাস্তায় কাঁদছ তুমি? বোকা মেয়ে বাসায় চল। নতুন একটা কিনে নিও। ”
-” নাাা, আমার তুলতুলাই চাই। ”
বলেই সে উল্টো দিকে দৌড়ে গেলো। ইনায়া আশেপাশে তাকিয়ে তাঁর পিছু নিল। নিধির ধারায় এসব করা সম্ভব। অনেক কষ্টে নিধির নাগাল পায় ইনায়া।
-” এটা এখন খুঁজলেই পাবে তুমি? রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিশ্রী কান্ড করো না চলো।
ইনায়া রুষ্ট হয়ে বললো প্রায়। নিধি আর ইনায়া প্রচুর হাঁপাচ্ছে। নিধি কান্নারত অবস্থায় সামনে তাকিয়ে বলে ওঠে,
-” ওই দেখো পেয়েছি। ”
ইনায়া নিধির দৃষ্টি অনুসরণ করতেই দেখতে পায়। তাদের থেকে কিছুটা দূরে ছাই রঙের কিছু একটা পরে আছে। নিধি আর ইনায়া সেদিকে যায়। নিধি অনেকটা উচ্ছ্বসিত হয়ে সেটা হাতে তুলে নেয়।
চকিতেই তাদের দুজনের চোখ বড় হয়ে যায়। ইনায়া ওড়না দিয়ে ইতিমধ্যে নাক-মুখ চেপে ধরে। বমি ঠেলে আসছে তার। কারণ নিধির হাতে ছাই রঙের
মরা চ্যাপ্টা ইঁদুর। ভেতরে পোকা কিলবিল করছে। নিশ্চই গাড়ির নিচে পরে এটা ভর্তা হয়ে রয়েছে। নিধি খুশির চোটে না বুঝে এটাই ধরেছে। নিধির বিষয়টা মস্তিষ্কে আসতেই সেটা ছুড়ে মারে। তৎক্ষনাৎ সেটা গিয়ে পরে এক সাদা গাড়ির কাচে। আচমকা গাড়ির ব্রেক কষলো একজন। গাড়ি সামনের কাচে কিছু একটা পরেছে। গাড়ি টা বন্ধ করে বেরিয়ে আসে এক যুবক। গন্তব্য তার নিধি আর ইনায়ার দিকে।
নিধি চোখ মুখ কুঁচকে চিৎকার দিয়ে হাত ঝাড়তে শুরু করে। ইনায়া আর সহ্য করতে পাচ্ছেনা। ভেতরটা তার উলটিয়ে আসছে প্রায়।
-” কি হচ্ছে এখানে? বাঁদরের মতো লাফাচ্ছিস কেনো নিধি। তোদের না ভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছিলাম। ”
হাঠাৎ এক ভরাট কর্কশ কন্ঠ কানে আসতেই চোখ তুলে তাকায় ইনায়া। সামনে দাঁড়ানো সুঠামদেহী এক পুরুষ। কুটকুটে কালো চোখের মনি জোড়ায় রাগের আভাস। গম্ভীর মুখ জোড়া যেন তপ্ত আগুন। বিরক্ত সহিত তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
-” আসলে ইশান ভাইয়া ওই ইঁদুরটা ভুলে…
নিধির কন্ঠ রুখে যায় ইশানের দিকে তাকিয়ে। সে তৎক্ষনাৎ তার লাফানি বন্ধ করেছিল ইশানের উপস্থিতি বুঝতে পেরে। ইশান ভ্রু কুঁচকে একবার নিধির হাতের দিকে তাকিয়ে তার গাড়ির দিকে তাকায়। মরা ইঁদুরটা এখন গাড়ির কাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। মুহূর্তেই রাগটা বিশাল আকার ধারন করে ইশানের। দাঁতে দাঁত পিষে বলে ওঠে,
-” ইডিয়ট একটা! কি হাল করেছিস গাড়ির? তোর মতো এমন নোংরা অসাস্থকর মানুষ আমি দেখিনি।”
ইশানের ধমক খেয়ে নিধির ঠোঁট জোড়া উলটে এলো প্রায়। ইনায়া গাড়ির দিকে নজর দিতেই এবার আর শেষ রক্ষা হলো না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে মুখ ভরে বমি করে দিল সে। নিধি গিয়ে ইনায়ার পিঠে হাত বুলাতে শুরু করে। ইনায়া নেতিয়ে গেছে অনেকটা। ইশান গিয়ে গাড়ির ভেতর থেকে পানির বোতল এনে ইনায়ার দিকে ধরে ,
-” চোখে মুখে পানি দিয়ে, কুলি করে নাও ভাবি। ”
ইনায়া একবার ইশানের দিকে তাকায়। কালো চোখ জোড়া শান্ত ভাবে নির্লিপ্ত। শরীরে লেপ্টে আছে সাদা রঙের শার্ট। ঘামে জবজবে অবস্থা তার। শ্যামরঙা মুখটায় অস্থির একটা ছায়া। ” নাও ”
ইনায়া হাত বাড়িয়ে ধরে বোতলটা। সে এখন অস্থিরতা অনুভব করছে। এই ভামে বমি করে দেওয়ায় লজ্জাও লাগছে বেশ। চোখে মুখে পানি দিয়ে উঠে দাঁড়ালো ইনায়া।
-“দেখলিতো? প্রথম আমার গাড়িটা আর এখন আবার ভাবিকে। দু’জনকেই অসুস্থ বানিয়ে ছেড়েছিস তুই।”
ইশানের কথায় চোরা চোখে তাকায় নিধি। সে ইশানের রাগ সম্পর্কে বেশ জানে। কতো কথা যে বলবে ইশান তার কোনো হদিস নেই।
-” তোর শাস্তি হলো, আমার গাড়ি পুরোটা তুই পরিষ্কার করবি। ”
-” বাদ দিন ভাইয়া। আমার খারাপ লাগছে বাড়ি চুলুন। ”
ইনায়ার কথায় তার দিকে তাকালো ইশান মুখটা শুকিয়ে এইটুকু হয়ে আছে প্রায়। অস্থির হয়ে ড্রাইভার কে কল করলো অন্য একটা গাড়ি নিয়ে আসার জন্য।
চলবে……………………
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)