উষ্ণ_প্রেমের_আলিঙ্গন #পর্ব২১ #আফিয়া_আফরোজ_আহি

0
139

#উষ্ণ_প্রেমের_আলিঙ্গন
#পর্ব২১
#আফিয়া_আফরোজ_আহি

পুরো বাড়ি জুড়ে কোলাহল। মানুষ গিজগিজ করছে। বাচ্চারা পুরো বাড়ি জুড়ে ছুটোছুটি করছে। আমাদের বাগান বড় হওয়ায় সেখানেই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। ভাইয়ারা সবাই বাগানে কাজে ব্যস্ত। একেক জন একেক দায়িত্বে আছে। আদ্র ভাই যেখানে খাবার রান্না হচ্ছে সেই দায়িত্বে আছে। ব্যালকনি থেকে তাকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। গাঁয়ের টিশার্ট ভিজে শরীরে সাথে মিশে রয়েছে। তবুও যেন তাকে সুন্দর লাগছে। এক ধ্যানে কতক্ষন যে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম সে খেয়াল নেই। হুস ফিরল রোশনির ডাকে।
“আপু তুমি এখনো রেডি হওনি? একটু পড়েই তো বরযাত্রী চলে আসবে”

রোশনির কথা শুনে তৈরি হতে গেলাম। ঈশিতা আপুর রুমে সবার ভীড় লেগেছে। আমি, ইভা, রোশনি আরো অনেকে মিলে সাজুগুজু করছি। একটু পর পর এক একজন এসে আপুকে দেখে যাচ্ছে। ঈশিতা আপুকে মেকআপ আর্টিস্ট সাজাচ্ছে। আপুর একটাই কথা তার বিয়েতে তার চেয়ে বেশি সুন্দর যেন কাউকে না লাগে। আমরা আমাদের মতো সাজগোজ করছি। এমন সময় নিচ থেকে শোনা গেল,
“বর এসেছে, বর এসেছে”

সাজগোজ বাদ দিয়ে সবাই ছুটছে সেদিকে। আমিও নিজেকে শেষে বারের মতো আয়নায় দেখে নিলাম। অতঃপর লেহেঙ্গা দুহাতে তুলে দৌড় লাগলাম। সিঁড়ি দিয়ে নেমে যেতে নিবো এমন সময় কেউ হাত টেনে ধরলো। ভারী লেহেঙ্গা আর নিজেকে একসাথে সামলাতে না পেরে সামনের মানুষটার বুকে আছড়ে পড়লাম। আদ্র ভাই আমায় ঠিকঠাক ভাবে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বললেন,
“নিজেকে সামলাতে পারে না, মেয়ে আসছে ভারী লেহেঙ্গা পড়তে”

তার কথা শুনে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। আমি কি সাধে এরকম ভারী লেহেঙ্গা পড়েছি নাকি সে কিনে দিয়েছে বলে পড়েছি। তার চেয়ে বড় কথা উনি আচমকা টান না দিলে এভাবে হুমড়ি খেয়ে পড়তাম না। কোমরে হাত গুঁজে বললাম,
“লেহেঙ্গা কি আমি কিনেছি? নাকি তুমি কিনে দিয়েছো?”

“আমি কিনে দিয়েছি? তাহলে ঠিক আছে। এখন বলে এতো হন্তদন্ত হয়ে কোথায় যাচ্ছিলি?”

“বর এসেছে তাই গেট ধরতে যাচ্ছিলাম”

“কোনো দরকার নেই”

“কেন?”

“সেখানে অনেক ছেলে থাকবে। ওখানে যেয়ে তোর কাজ নেই। তুই আমার সাথে চল। দেখে বলবি ডেকোরেশন কেমন হয়েছে?”

আদ্র ভাই আমার হাত ধরে তার সাথে নিয়ে যেতে লাগলেন। গেটে দুপক্ষের তুমুল ঝগড়া হচ্ছে। ইভারা যেই এমাউন্ট চেয়েছে ছেলে পক্ষ সেই এমাউন্ট দিবে না। এই নিয়ে দুই পক্ষ তর্কাতর্কি করছে। এক পর্যায়ে শিহাব ভাইয়ার এক ফ্রেন্ড বলল,
“আপনারা যেহুতু আমাদের ঢুকতেই দিবেন না। তাহলে আর কি করার, এই সবাই চলো আমরা চলে যাই”

সবাই তার সাথে সহমত পোষণ করলেন। কিন্তু শিহাব ভাইয়া তাকে টেনে কানে কানে বললেন,
“ভাই যা চাচ্ছে দিয়ে দে না। বউটা আমার সেই কখন থেকে আমার জন্য বসে আছে। তাকে দেখার জন্য তর সইছে না”

শিহাব ভাইয়ার ফ্রেন্ড তাকে বকা দিয়ে বলল,
“শা*লা বউ পা*গল”

আদ্র ভাই আমাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন। দেখানো শেষে জিজ্ঞেস করলো,
“সাজানো কেমন হয়েছে?”

“একদম জঘন্য। কে সাজিয়েছে বলো তো?”

আদ্র ভাইয়ের হাসি হাসি মুখটা মুহূর্তেই কালো মেঘে ছেয়ে গেল। করুণ ভাবে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“সত্যিই জঘন্য হয়েছে?”

আদ্র ভাইয়ের মুখের এক্সপ্রেশন দেখে হাসি পাচ্ছে। বেচারার করুণ অবস্থা। হাসি এটাকাতে না পেরে ফিক করে হেসে দিলাম।
“বোকা ছেলে সাজানোটা সুন্দর হয়েছে। আমি এমনি মজা করছিলাম”

“তবে রে”

আমাকে আর পায় কে। আদ্র ভাই আমার পিছু আসতে গিয়েও আটকে গেলেন। তাকে কে যেন ডাকছে। বিয়ে বাড়িতে ইভা, রোশনির সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। কিন্তু বিরক্তির বিষয় হচ্ছে সেই কখন থেকে একটা ছেলে আমাদের আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। ইচ্ছে করছে উস্টা দিয়ে দূরে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু সেটা করা যাবে না। কারণ ছেলেটা শিহাব ভাইয়ের কাজিন। কি আর করার মেজাজ খারাপ নিয়েই দাঁড়িয়ে আছি। একটু পর কোথা থেকে আদ্র ভাই এসে হাত ধরে বলল,
“আমার সাথে চল”

আদ্র ভাই আমাকে সেখান থেকে নিয়ে আসতে আসতে বিরবির করে বলল,
“পুরান পা*গলের ভাত নেই নতুন পা*গলের আমদানি”

উনি বিরবির করে বললেও কথাটা আমার কানে এলো। উনার কান্ড দেখে মিটিমিটি হাসছি। আমাকে ঈশিতা আপুর কাছে বসিয়ে দিয়ে বলল,
“এখানেই থাকবি। কোথাও যাবি না”

আমি মাথা নেড়ে সায় জানালাম। ঈশিতা আপু আর আমি গল্প করছি এমন সময় মেঝ আম্মুর আগমন ঘটলো। মেঝ আম্মুর চোখে পানি চিকচিক করছে। একমাত্র মেয়ের বিয়ের দিনে কষ্ট তো হবে। ঈশিতা আপু আমাদের পরিবারের বড় মেয়ে হওয়ার তাকে সবাই অনেক বেশিই ভালোবাসে। মেঝ আম্মু আর ঈশিতা আপু দুজন দুজনকে জড়িয়ে কান্না করছে। অজান্তে কখন আমার চোখও ভিজে গেল নিজেও জানি না। মেয়েদের জীবনটা এমন কেন? ভালোবাসার মানুষটার সাথে থাকার জন্য নিজের পরিবারকে ছেড়ে যেতে হয়। আচ্ছা আমার সাথে যখন আদ্র ভাইয়ের বিয়ে হবে তখন কি আমাকেও আমার পরিবার ছেড়ে যেতে হবে? এর মাঝেই ঈশিতা আপুকে নিচে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাক পড়লো। ইভা, রোশনি আপুর কাজিনরা মিলে ওকে নিয়ে গেল। আমি এখনো ভাবানায় বসে আছি। এমন সময় পাশ থেকে কারো ধাক্কায় ধ্যান ভাঙলো।
“কিরে ভাবনার রানী এখানে বসে কি ভাবছিস?”

আমার কি হলো জানি না ঘোরের মাঝে আদ্র ভাইকে জিজ্ঞেস করে বসলাম,
“আচ্ছা আদ্র ভাই আমাদের বিয়ের পর কি আমাকেও এভাব সবাইকে ছেড়ে যেতে হবে?”

“পাগলী মেয়ে আমাদের বাড়ি আর তোদের বাড়ি ১০-১৫ মিনিটের রাস্তা যখন ইচ্ছে হবে তখন চলে আসবি”

আদ্র ভাইয়ের কথা শুনে ঘোর কাটলো। কাকে কি বলে ফেলেছি এখন বুঝতে পারছি। ছি! কি লজ্জার বিষয়টা এখন আদ্র ভাইয়ের দিকে মুখ তুলে তাকাবো কিভাবে? লজ্জা লাগবে যে। আদ্র ভাই নিশ্চই ভাবছে আমি তাকে নিয়ে সারাক্ষন এসব আবোল তাবোল ভাবি। লজ্জায় মাথায় কাঁটা যাচ্ছে আমার। আদ্র ভাই আমার অবস্থা দেখে উচ্চস্বরে হেসে দিলো। নিজেকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করলাম।
“কি হয়েছে এমন হাসছো কেন?”

“একটা কথা ভেবে হাসছি”

“কি?”

আদ্র ভাই কাছে এসে চোখে চোখ রেখে বলল,
“এইযে রৌদ্রময়ী পুরোপুরি আমার ভাবনায় ডুবে যাচ্ছে। তার ভাবনার শহরে আমার বিচরণ হতে শুরু করছে। তার সত্ত্বায় আমার অস্তিত্ব অনুভব করছি”

আদ্র ভাইয়ের কথায় মাথা নিচু করে নিলাম। দুজনের মাঝে নীরবতা। আদ্র ভাই কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। অতঃপর যেতে যেতে বললেন,
“এখন বিয়ে পড়ানো হবে। দেখলে তাড়াতাড়ি আয়”
——–

মাঝে কেটে গেছে কয়েকটা দিন। আপু আর শিহাব ভাই বিয়ের পর এসে দেখা করে গেছে। ইভান ভাই সেই যে এসেছে এর মাঝে আমার সাথে তার কোনো কথা হয়নি। কথা হয়নি বলতে আমিই তাকে এড়িয়ে গিয়েছি যথাসম্ভব। তিনি অনেক বার কথা বলতে চাইলেও আমি তাকে সেই সুযোগ দেই নি। বিকেলে পড়তে বসলে টেবিলে চিরকুট দেখে অবাক হয়েছিলাম। সেখানে লিখা ছিলো,
“আমি জানি আমি তোর কাছে অপরাধী। আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। আমায় কি একবার ক্ষমার চাওয়ার সুযোগ দেওয়ার যায়না রোদ। একটা বার ক্ষমা চাইতে দে তোর কাছে। যদি তোর ইচ্ছে হয়ে সন্ধ্যা বেলা ছাদে আসিস, অপেক্ষায় থাকবো তোর”

লিখাটা পড়ে বুঝতে দেরি হলো না মানুষটা কে। কিন্তু এখন আমার কি করা উচিত? তার সামনাসামনি যাওয়া। মানুষ ভুল করতেই পারে তাকে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ করে দিতে হয়। আর এখন এমনিও তার প্রতি আমার কোনো অনুভূতি নেই। তাই যাওয়াই যায়।

সন্ধ্যার সময় সূর্য অস্ত যাচ্ছে। চারদিক আঁধারে ছেয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে। ছাদে উঠতেই নজরে এলো ইভান ভাইকে। তিনি উল্টো দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি নিঃশব্দে তার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।
“এসেছিস? সময় হলো তাহলে। কেমন আছিস?”

“সময় তো সবার জন্য থাকে না। আলহামদুলিল্লাহ যথেষ্ট ভালো আছি”

“আমাকে তো জিজ্ঞাসা করলি না কেমন আছি”

“ভালো থাকার জন্যই তো আমার জীবনটা নষ্ট করেছেন”

“আমি ভালো নেই রোদ, একটুও ভালো নেই। তুই ঠিকই বলেছিলি যার জন্য এত কিছু করলাম সেই আমায় ছেড়ে গেছে। ভালোবাসেনি আমায়,আমি শান্তিতে নেই রোদ। তোর সাথে অন্যায় করে আমি সেই শাস্তি পাচ্ছি। প্লীজ আমাকে ক্ষমা করে দে। আমি ভালবাসায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম,উন্মাদ হয়ে তোকে যে শাস্তি দিয়েছি সেগুলো ভাবলে আমার বুকে ব্যাথা করে”

“আপনাকে অনেক আগেই ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু আপনার প্রতি ঘৃণা আর শাস্তি থেকে পাওয়া শিক্ষা কখনো ভুলবো না। জানেন ইভান ভাই আমরা মানুষ বড়ই স্বার্থপর নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করি আবার ছুড়ে ফেলে দেই। যে মানুষটাকে হাজারো কথা শুনিয়ে অপমান করছেন আজকে সেই মানুষটার কাছে এসে নিজেকে নত করছেন বিষয়টা হাস্যকর তাই না”

“ভুল বুঝতে পেরেছি একটাবার সুযোগ দে তোকে আগলে রাখার বিশ্বাস কর দ্বিতীয়বার আর চোখের জল ফেলতে দেবো না কথা দিচ্ছি”

“মানুষ অজান্তে যেটা করে সেটা ভুল আর আপনি তো সবটা জেনে বুঝে করেছেন এটাকে ভুল বলে না অন্যায় বলে। সুযোগ আপনি একবার পেয়েছিলেন ধরে রাখতে পারেন নি। ভালো আমি অন্য কাউকে বাসি। ভালো কাউকে খুঁজে নিন ভালো থাকবেন। এবার তো বুঝেছেন কাছের মানুষ আঘাত করলে কেমন লাগে, বলেছিলাম না আল্লাহ ছাড় দেয় তবে ছেড়ে দেয় না”

“একবার খারাপ হয়েছি ভুল মানুষকে ভালোবেসে। আবারো খারাপ হব কিন্তু সঠিক মানুষকে জীবনে ফিরে পেতে। তুই যতই চেষ্টা কর আমার তো তোকেই লাগবে আর তুই তো আমারই হবি, দেখতে থাক কি হয়’

“স্বপ্ন দেখা ভালো তবে দুঃস্বপ্ন নয়। আগে দূর্বল ছিলাম। ফ্যামিলিকে ভালবাসতাম যেটার মধ্যে আপনিও ছিলেন। কিন্তু যখন জীবনটা নরক করে দিয়েছন তখন দ্বিতীয়বার ফিরে আসলে আর সহ্য করবো না। আমি আগের রোদ নেই,পাল্টা আঘাত পাবেন। তাই পারলে চলে যান কখনো আমার সামনে আসবেন না আশা করি”

“তুই যাকেই ভালোবাস তোকে আমার হতেই হবে।সেটা তোকে সোজা ভাবে রাজি করাতে হলে করবো নয়তো উল্টা রাস্তা ধরবো। আমি দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছি। এতদিন আসিনি তোকে সময় দিয়েছি নয়তো তোর ওপর নজর আগে থেকেই আছে”

“বললাম তো আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি, নিঃশ্বাস থাকতে আপনার মতো অমানুষ কে আমি কখনও মেনে নিবো না। নিঃশ্বাস থাকতে আমি আপনার হবো না। কখনো না ,মনে রাখবেন”

“কিন্তু আমার তোকেই লাগবে”

“যেখানে আমার প্রতিটা নিঃশ্বাসে অন্য কারো বসবাস সেইখানে আপনাকে কি করে দেবো ঠাঁই দিবো ইভান ভাই? এটা নিছক স্বপ্ন আপনার”

“তোর এক তরফা ভালোবাসার যন্ত্রণার সাথে আমারও পরিচয় হয়ে গেলো রোদপাখি”

“তাহলে বইতে দিন সেই কষ্টের স্রোত। এটা আপনার প্রাপ্য”

“কিন্তু তোর মত সহ্য ক্ষমতা আমার নেই রোদ পাখি। আমি শেষ হয়ে যাবো তোকে ছাড়া। সেটা বুঝে গেছি এই ৪ বছরে”

“আমি অনেক আগেই মারা গিয়েছি ভেতর থেকে তবে কেউ একজন যত্ন করে বাঁচতে শিখিয়েছে। আপনিও নতুন করে বাঁচতে শিখুন ইভান ভাই।আপনার দ্বারা সম্ভব হবে না এক তরফা ভালোবাসার কষ্ট সহ্য করার”

“তোকে লাগবে আমার রোদ পাখি”

“আপনার মুখে এটা মানায় না ইভান ভাই।সব স্বপ্ন পূরণ হয়না । আর যার কাছ থেকে আপনি আমায় কেড়ে নিতে চাইছেন সে আমি ছাড়া নিঃস্ব । আমিও তাকে ছাড়া নিঃস্ব। আসি, নিজের খেয়াল রাখবেন”

আমি চলে আসতে নিলে ইভান ভাই বহু ধরে আমায় আটকে দিলেন।
“আমি অপেক্ষা করব। আমি চেষ্টা করবো সব দিক থেকে, তোকে আমার হতেই হবে। তুই শুধু আমার হবি, অন্য কারো না”

ইভান ভাই আমার খুবই কাছে। ছাদের দরজার সামনে কিছুর শব্দ পেলাম। চোখ ঘুরিয়ে সেদিকে তাকাতেই বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। আদ্র ভাই দাঁড়িয়ে আছে সেখানে।

#চলবে?

(আজকের পর্ব বড় করে দিয়েছি। আশা করি আপনাদের আর কোনো অভিযোগ থাকবে না। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। পর্বটা কোমন হয়েছে জানবেন। ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here