প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার #লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান) #পর্ব_১৫

0
89

#প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_১৫

নাছির উদ্দিন এর হাতে শক্তপোক্ত গাছের ডাল দেখে ভয় পেলেন রূপালি বেগম। তিনি বুঝতে পারলেন না তার স্বামী হঠাৎ ডাল কেনো এনেছেন? ঢোক গিলে দরজার সামনে থেকে কোণা হেঁটে সরে দাঁড়ান। সোফায় বসে ছিল শেহরীনা। সৎ বাবাকে দেখে উঠে চলে গেল রুমের ভেতর। ভার্সিটির মধ্যে করা কাণ্ডের পর থেকে সে একপলক কেনো এক মুহুর্ত ও লোকটার চেহারা দেখতে আর্জি পোষণ করে না। নাছির উদ্দিন এর চেহারায় গভীরতা চেয়ে আছে। তিনি বাজার সদাই রূপালি বেগম এর হাতে ধরিয়ে বলেন,

“সব গুছিয়ে রুমে এসো।”

কলিজা মোচড়ে উঠল রূপালি বেগম এর। সংসার জীবনে ঘা/ত আঘা/তে জর্জরিত হয়ে জীব/ন্ত লা/শে পরিণত হয়েছে তার শরীরটা। আজ কী আবারো তার সেই দিনগুলোর ন্যায় সহ্য করতে হবে? মাথা নেড়ে দুশ্চিন্তা দূরীভূত করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন তিনি। নাছির উদ্দিন বিধ্বস্ত মনে রুমে গিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়েন। নাসমার ছোট মন বাবার হাতে ডাল দেখে সরাসরি মাকে প্রশ্ন করে উঠে।
‘মা ডাল দিয়ে বাবা কী করবে?’

মেয়ের কথায় রূপালি বেগম চোখের মধ্যে ভেসে আসতে চাওয়া জল আটকে বলেন,

“মা মা ঐ ডাল তিনি ডাল এনেছেন তোমাদের কে সাথে নিয়ে মাটিতে বসিয়ে গণনা শেখানোর জন্য।”

নাসমা উৎফুল্ল হয়ে বলে,’বাবা কী আজ আমাদের কে উঠানে বসিয়ে মাটি খেলা শেখাবেন? সত্যি মা শেখাবেন বাবা?’
মলিন মুখে মাথা নাড়লেন রূপালি বেগম। তিনি মেয়ের কথায় বলে তো দিলেন। তবে কথাটা আংশিক সত্য হবে তাও তিনি জানেন। কারণ কোনো বাবাই তার সন্তানের সামনে প্রহার দেখিয়ে তাদের বিগড়ে দেওয়ার মন মানসিকতা পোষণ করেন না। তপ্ত শ্বাস ফেলে তিনি বাজার সদাই দেখে একে একে ফ্রিজে গুছিয়ে রাখছেন। শেহরীনা বিছানায় শুয়ে পড়েছে। বালিশে মাথা ঠেকানো অবস্থায় তার ফোনে কল আসল। দিনকালের ফলে ইন্টারনেট সংযোগ খুব বাজে। কল পেয়ে সে দেখল সারোয়ার এর নামটা ভেসে আছে ফোনের স্ক্রিনে। ঠোঁট কামড়ে ফোনটা ধরল কানে।

“আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন?”

“ওয়ালাইকুমুস আসসালাম। ভালো আপনি? আর আপনারা বাড়ি পৌঁছেছেন?”

“হুম আলহামদুলিল্লাহ আমি রুমে বাবা তার রুমে।”

কথাটুকু শেষে নিরবতা চেয়ে গেল দু নরনারীর মাঝে। যবে থেকে বিয়ে পাক্কা বলেছেন মোঃ আবু সিদ্দিক। তখন থেকে শেহরীনার মনপ্রান্তে লজ্জা আর লজ্জা বিরাজ করছে। কয়েক দিন আগেও যে মেয়েটা অস্বীকৃতি দিয়ে ছিল আজ সেই বিয়ের কথা শুনে অমত পোষণ করেনি। সারোয়ার ম্লান হেসে বলে,

“আজ থেকে আপনার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে অভ্যাস করে নিতে হবে। কল পেয়ে যে নারী তার নিঃশ্বাস এর শব্দ দ্বারা কোনো পুরুষ কে আগা করতে পারে সেই নারী অমূল্য। বুঝে নিতে হবে তার মনজুড়ে কারো ভাবনা বিরাজ করছে। জানতে পারি কী সেই ‘কারো’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? বলতে পারেন আমাকে বন্ধু ভেবে।”

“আভ না আসলে আমি ভাবছিলাম আপনারা আমাদের আপ্যয়নে নিশ্চিন্ত অসন্তুষ্ট। বেশি কোনো আয়োজন করতে পারিনী।”

“ছিঃ এসব কী বলছেন আপনি শেহরীনা? আপনি আমাদের এতটা নিচু ভাবেন যে, আপনারা যা খাওয়ালেন তাতে আমাদের তৃপ্তি মিলেনি। তাহলে আমি বলছি আমার জীবনটা খুব স্ট্রাগলের মধ্যে কেটেছে। এই যে ব্যারিস্টার পদবী। সহজে পায়নি আমি। ছোট থেকে পরিশ্রমী হওয়ায় পড়াশোনার দায়ে মেসে থাকতে হয়েছে প্রায় পাঁচ বছর। মায়ের কাছে থাকতে ইচ্ছে হলেও সেই ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিতে পারিনী। বাবা কতবার চাইতেন আমায় মেস থেকে ছাড়িয়ে নিতে। তবে আমার সুষ্ঠু মানসিকতা আমায় বাঁধা দিতো। সেই বাঁধার জোড়ে বাবাও হার মানতেন। মেসে থেকে দিনাপাতি করে টাকা জমিয়ে ডাল ভাত খেয়েও দিন কাটিয়েছে। কখনো কখনো টাকা না থাকলে এক প্যাকেট বিস্কুট খেয়ে রাত কাটিয়ে দিতাম। টিউশনি করানোর সময় একটু আধটু মজার খাবার কপালে জুটতো। তারপর? তারপর তো যা পেতাম খেতাম। অবশ্য আপনি বলতে পারেন আমি তো উঁচু বিত্ত মানুষ তাহলে আরাম আয়েশে কেনো কাটায়নি। আপনার এই প্রশ্নের একটা জবাব আছে আমার কাছে। সেটা হলো আমি নিজ পরিচয়ে বাঁচতে চাইতাম। মাকে দেখেছি ছোট থেকে আমায় আর সাজিয়াকে উপর থেকে আদর স্নেহ দেখালেও অভ্যন্তরীণ তিনি অবহেলা করতে চাইতেন। সংসারে দেখতাম মায়ের হেঁয়ালি পনা। বাবা মায়ের দোষ চুপালেও আমরা অবুঝ ছিলাম না। বাবার ও কাজ ছিল তখন। মায়ের হেঁয়ালির কারণে সাজিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ত। তখন বাবার সময় হতো না আমার পেছনে সময় ব্যয় করার। আমি রাহ্ দেখতাম কবে বাবা মা দুজনেই দুজনকে বুঝেশুঝে আমায় সময় দেবেন। কিন্তু সেই রাহ্ আদৌও রাহ্ থেকে গেল। ব্যারিস্টার সারোয়ার আজ আমার কাছে কোনো কিছুর কমতি নেই , কমতি আছে শুধু মায়ের পরশের। যার আশায় আমি অপেক্ষিত। আশা করি আমার কথা আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি ভুলভাল বকে থাকি তাহলে আইম সরি।”

কথার ছলে কবে শেহরীনার চোখে জল চলে এলো। বুঝতেই পারল না সে। আজ পর্যন্ত ভাবত সেই একমাত্র অভাগী। যে কিনা মাকে পেয়েও অবহেলিত হয়ে এসেছে। তার চেয়েও বড় অভাগা তো ঐ ব্যক্তি যে মায়ের আঁচল পেয়েও সুপ্ত স্নেহের পরশখানা পায়নি। ঢোক গিলে কান্নাটুকু গিলে শেহরীনা অনুতপ্ত কণ্ঠে ক্ষমা চাইল তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে। যদিও সে কথাটুকু বলেছিল আক্ষেপের কারণে‌। আকস্মিক মেহমান বেশে র*ক্তমাখা জামায় ঘরের ভেতর আসা ব্যক্তিদ্বয় কে সে আর তার মা তাদের সাধ্যের ভেতর আপয়্যন করেছিল। তবে এখন সেই আক্ষেপ আর নেই শেহরীনার ভেতরে। মুচকি হেসে বলে,

“ভবিষ্যতের কথা জানি না। তবে মনে হচ্ছে আপনার সঙ্গে থাকলে আমার আক্ষেপ করা আর হবে না।”

কথাটুকু বলেই ফোন কেটে দিল সে। সারোয়ার স্তদ্ধ হয়ে শুনল। প্রথমে আশংকা হচ্ছিল মেয়েটা অনাকাঙ্ক্ষিত বাক্য শুনাবে অবশেষে তার অতৃপ্ত কান সেই বাক্য শুনে ঠোঁট কামড়ে হাসল। ফোন রেখে দিয়েছে বুঝতে পেরে সারোয়ার ফোনটা বুকের মাঝে চেপে ধরে ধপ করে শুয়ে পড়ল।
তৃপ্তি অতৃপ্তির মাঝে তবে কী প্রণয়বার্তা আরম্ভ হতে চলেছে?

____
শেহরীনা অলস সময় পার করছিল। মাগরিব নামাজ শেষ করে সে টেবিলের সামনে চেয়ার টেনে বসল। টেবিলের ডেস্ক খুলে সুঁ*ই আর সুতো বের তার একটা পুরনো কামিজ হাতে নিলো। বড় কাঁ*চি নিয়ে কামিজের হাতা কেটে নিল। সেই কামিজের চার দিক কেটে হিজাব বানানোর উদ্যোগ নিল। তখনি তার ভাই নাজমুর চিল্লিয়ে উঠে। নাজমুর চিৎকার শুনে হতদন্ত হয়ে কাজ ফেলে সোজা তার রুমে দৌড় দিল শেহরীনা। ভাইয়ের রুমে এসে দেখল সে বাংলাদেশের পতাকা জড়িয়ে স্বাধীন স্বাধীন শব্দ আধুবুলিতে ঘুমের ঘোরে বলছে। শেহরীনা তার পাশে গিয়ে বসল। ইতিমধ্যে দরজার ধারে রূপালি বেগম আর নাছির উদ্দিন ও চলে এসেছেন। ছেলের অবস্থা সম্পর্কে অবগত নাছির উদ্দিন। তিনি ছেলের বিছানার বিপরীত পাশে গিয়ে দাঁড়ান। শেহরীনা চলে যেতে নিলে নাজমুর তার হাত চেপে ধরে। ঘুমে থেকেও ছেলেটা তার আহাট বুঝেছে ভাবা যায় বোনের প্রতি ভাইয়ের পরশ কতটা অমূলক। শেহরীনা পুনরায় বসে পড়ে। নাছির উদ্দিন ছেলের চুলে হাত বুলিয়ে তার মুখের কাছে ঝুঁকলেন। চোখ বুঁজে নিরবে ঠোঁট নাড়লেন। শেহরীনা বুঝল তিনি ছেলেকে দোয়া পড়ে দিচ্ছেন। সন্তানের উপর বাবার সন্তুষ্টতা প্রদান করছেন তিনি। নাছির উদ্দিন চোখজোড়া খুলে কপালের ব্যান্ডেজ মোড়ানো স্থানে দীর্ঘ চুম্বন দিয়ে পুরো মুখশ্রী জুড়ে ফুঁ দিলেন। তপ্ত শ্বাস ফেলে ছেলেকে কয়েকক্ষণ চেয়ে বেরিয়ে যেতে নিলে দরজার ধারে রূপালি বেগম কে দেখে কিছুটি বললেন না। শেহরীনার উদ্দেশ্যে শুধু আওড়ালেন।

“রাতের খাবারটা তুই টেবিলে লাগাইস। তোর মায়ের সাথে আমার কথা আছে।”

সৎ বাবার কথায় শেহরীনা নির্লিপ্ত হয়ে মায়ের দিকে সন্দেহভাজন দৃষ্টি দেয়। রূপালি বেগম মেয়ের দৃষ্টিজোড়া পরখ করে ঘাবড়ে গেলেন। ইতিমধ্যে নাছির উদ্দিন স্থান ত্যাগ করেছেন। স্বামীর কথার বিপরীতে মেয়েকে বুঝ দিতে বললেন।

“আসলে আমার পেটে ব্যথা করছে। হঠাৎ ব্যথা করায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারব না মনে হচ্ছে। সেটাই উনি দেখছেন এজন্য….।”

মায়ের কথায় শেহরীনা তার ভাইয়ের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিরস কণ্ঠে আওড়ায়।
‘তোমাদের ব্যাপার স্যাপার তোমরাই জানো বুঝো।’
মাকে পাল্টা জবাব দেওয়ায় শেহরীনার আন্তরিক ভাবে মন্দ লাগছে। তবে সেও বা কী করবে! রূপালি বেগম মেয়ের কাছ থেকে তাচ্ছিল্যতা পেয়ে নিরীহ চোখে কিছুক্ষণ চেয়ে নিজ দম্পতি রুমে ফিরে গেলেন। রান্না তার শেষ হয়ে গিয়ে ছিল রুমে যাওয়ার মুহূর্তেই ছেলের চিৎকার শুনে ভয়ে চলে এসেছিলেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক বিধেয় তিনি রুমে ফিরে দরজা আটকে দিলেন। নাছির উদ্দিন কপালে হাত ঠেকিয়ে চোখ বুঁজে বিছানায় শুয়ে আছেন। রূপালি বেগম ধিমি পায়ে বিছানার কাছে গিয়ে স্বামীর থেকে দূরত্ব বজায় রেখে বসলেন। নাছির উদ্দিন পায়ের আহাট পেয়ে বুঝে ছিলেন। তবে তিনি সাড়া দেননি। রূপালি বেগম ভাবলেন তার স্বামী বোধহয় বুঝতে পারেননি যে, তিনি রুমে এসেছেন। ফলে গলার স্বর নিম্ন করে ‘হুম এসেছি’। নাছির উদ্দিন যেমন ভাবে শুয়ে ছিলেন তেমনি আছেন। রূপালি বেগম পুনরায় ধ্যান আর্কষণ করার চেষ্টা করলেন।
‘আজ কী তবে দেখা করেই ফেলেছো নিজের ভাইয়ের সঙ্গে?’
আকস্মিক স্বামীর কথায় থমকে চমকে তাকান রূপালি বেগম। তার হাত পা কাঁপতে লাগল আনমনেই। স্বামীর প্রশ্নে কী জবাব দিবেন বুঝছেন না। নাছির উদ্দিন পুনরায় প্রশ্নটি করে। এবার সে সম্পূর্ণ পাশ ফিরে নিজ স্ত্রীর দিকে তাকান। রূপালি বেগম এতক্ষণ যাবত বন্ধ চোখা স্বামীর দিকে তাকিয়ে থাকলেও তার ফেরে তাকানোয় নিজের দৃষ্টি লুকিয়ে নেন তিনি। গম্ভীর মুখশ্রী নিয়ে স্ত্রীর ভয়ার্ত চেহারা অবলোকন করছেন তিনি। অতৃপ্ত মনে হৃদয়ের মধ্যকার আবেগ লুকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
‘সাথে কে কে ছিল?’
রূপালি বেগম আশ্চর্য হলেন স্বামীর প্রশ্নে। চোখ পিটপিটিয়ে তার দিকে তাকান। নাছির উদ্দিন সেই অতৃপ্ত চোখে তাকিয়ে আছেন। স্ত্রীর চোখে ভয়ার্ত দৃষ্টিকোণ সরে গিয়ে আশ্চর্যময়ী প্রকাশ পাচ্ছে।
‘হুম বলো কে কে আসছিল?’
রূপালি বেগম আমতা আমতা করে বলেন,

“আসলে সিদ্দিক ভাইয়ের ছেলেই আমাদের মেয়ের জন্য দেখা সেই পাত্রের বাবা। পাত্রকে তো চেনেনই ব্যারিস্টার সারোয়ার সিদ্দিক।”

থমকে গেলেন নাছির উদ্দিন। ধপ করে উঠে বসলেন। কোনো কথা না বলেই পরণের জামা পাল্টে শার্ট প্যান্ট পরে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। ব্যাপারটা আকস্মিক হওয়ায় রূপালি বেগম প্রতিক্রিয়া করার সুযোগ পাননি। তিনিও ছুটে ঘরের দরজার দিকে চলে এলেন। স্বামীর চিহ্ন শুদ্ধ দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়ে টেবিলের কাছে বসলেন। শেহরীনা সবেই রুম থেকে বেরিয়ে ছিল। সৎ বাবাকে হতদন্ত হয়ে বেরিয়ে যেতে দেখে কিছুটা আশ্চর্য হয়েছে বটে। তবে মাকে চিন্তিত দেখে তার আশ্চর্যতা সন্দেহে রুপ নিলো।

চলবে……

(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। রাত ১০টায় #এক_উম্মাদনায়_প্রেম গল্পটা দেবো বোনাস পর্ব নেক্সট পর্ব বিকালে পেয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ। #তুমিময়_বধুকন্যা গল্পটাও বিকালে একসাথে পোস্ট করব। গল্প পড়তে আমার পেজ লিঙ্ক এ এসে ফলো আর লাইক করে নিন
লিঙ্ক https://www.facebook.com/tasmihaalraiyan

আমার প্রথম বইটই এপ্যাসে গল্প আসবে ১৬ই আগস্ট ইন শা আল্লাহ। দাম মাত্র ৪০ টাকা এর বেশি হবে না। আপনারা সাথে থাকবেন আর পড়ে রিভিউ দিবেন আমার গল্পে।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here