প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার #লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান) #পর্ব_০৭

0
106

#প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_০৭

বিছানায় রূপালি বেগম নির্জীব হয়ে শুয়ে আছেন। সেই পূর্ব বিষাদময় রাত্রীর পুনরাবৃত্তি। তার পরণে একটা চাদর মোড়ানো। পাশেই নাছির উদ্দিন উদাম শরীরে বিছানায় হেলান দিয়ে সিগারেট ফুঁকছেন। একটা শেষ করেই দম নিলেন। শরীরটা ম্যাজ ম্যাজ করছে তার। গোসল না দিলে অপবিত্র শরীরে বাহিরে বের হলে বিপদ হতে পারে। তাই তিনি আলগোছে শরীর মোচড়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। রূপালি বেগমের শরীরে শক্তি নেই। সেই আবারো শারীরিক নির্যাতন। নিরব বাড়িতে স্বামীর প্রেমের আদরের আহ্বান যদি ভালোবাসাময় হয় তবে সেই সুখের কাছে ব্যথাও ছোট পড়ে যায়। কিন্তু সেই আহ্বান যদি ঘাতকময় হয় তবে তার ব্যথা চিরজীবন বুকে গেঁথে থাকে। নাছির উদ্দিন শরীর চ্যাংঙা করে মাথা মুছতে মুছতে ওয়াশরুম থেকে বের হলেন। বিছানায় বউকে সেভাবে পড়ে থাকতে দেখে মুখ বিকৃত করে বলেন,

“ঐ হা*রা*ম*জাদী কাম কাজ নাই? বাচ্চাদের আসবার সময় হয়ে যাচ্ছে না? খানা রাঁধব ক্যা হুম? তোমাকে ছাইড়া তো আর কাউরে এখানে দেখছি না।”

রূপালি বেগম নিরব কান্না টুকু নিরবে গিলে নিলেন। অসহায় চোখে নাছির উদ্দিন এর দিকে তাকান। তিনি দেখে তৎক্ষণাৎ চোখ ফিরিয়ে আমতা আমতা করে বলেন,

“এহন ওমন চোখ দিয়া তাকাইলে কিছু হইত না। ভুল করবার আগে একশবার ভাবা উচিৎ ছিল তোমার হুহ্।”

প্যান্ট শার্ট পরে আধুনিকতার ছাপ শরীরে জড়িয়ে মাথার চুলগুলো আঁচড়ে বাসার থেকে বেরিয়ে গেলেন তিনি। রূপালি বেগম চাদর আঁকড়ে আস্তেধীরে উঠে বসেন। পুরো শরীরটাই ব্যথায় ভরপুর। একটুখানি শক্তি সঞ্চয় করারও উপায় নেই তার। চাদর চেপে রেখে বিছানার পাশে অবহেলিত পড়ে থাকা শাড়িটি হাতে তুলে নিলেন। দেখতে পেলেন গত রাতে রাগের বশে তার ব্লাউজ আর পেটিকোট টেনে হেঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলেছেন মানুষটা। মানুষও নয় অমানুষিক লোক তিনি। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ছেঁড়া ব্লাউজ আর পেটিকোট পরে শাড়িটা শরীরে জড়িয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লেন। সংসারটা যেহেতু তার সেহেতু নির্যাতন হোক অথবা সুখের হোক সেই সংসারটা আমলে ধরে মাটি কামড়ে পড়ে থাকা ছাড়া তাহার অন্য কোনো দিশা নেই।
একঘণ্টা পর আয়নার সামনে বিধ্বস্ত মুখশ্রী নিয়ে ঘাতময় চিহ্নগুলো বড় হাতার ব্লাউজে লুকিয়ে শাড়ি পরে নিলেন। সময়ের সাথে তিনি মলিনতা লুকিয়ে সংসারের নিত্যদিনকার কাজে মনোনিবেশ করেন। শেহরীনা বাসায় না থাকায় তার রুমটা তিনি গুছিয়ে দেন। মেয়ে উকিলাতি নিয়ে পড়ছে এতে তার সর্ব ধ্যান পড়ায় থাকতে হবে। এমনটা কল্পনা করেই তিনি সবসময় নাসমার বাবার অজান্তে রুমটা গুছিয়ে রাখেন। তিনি শেহরীনার শুকনো ধুতো করে রাখা কাপড় চোপড় ভাঁজ করে আলমারির সামনে এসে তার দরজা খুলে দিলেন। কাপড় চোপড় চেপে তাক বরাবর রাখার সময় হঠাৎ তার পায়ের উপর একটা ছবি ছিটকে এসে পড়ল। তিনি ভ্রু কুঁচকে নিচে চোখ ফেলতেই ছবিটির ব্যক্তিকে দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে গেলেন। নিচু ঝুঁকে ছবিটি নিয়ে বিছানার উপর বসে গেলেন। ছবির মানুষটাকে তিনি প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। সেই ভালোবাসায় তো কোনো রূপ ত্রুটি ছিল না। তাহলে কেনোই বা তার সাথে নিয়তি এত বড় খেলা করল? সে তো মানুষটার অপেক্ষায় অপেক্ষিত প্রহর গুনছিল। আবেশের বশে আলতো ভাবে ওষ্ঠ ছুঁয়ে দিতে গেলেই নাসমার বাবার কণ্ঠ শুনতে পেলেন রূপালি বেগম। চমকে ছবিটা তৎক্ষণাৎ কাপড়ের ভাঁজে রেখে শেহরীনার রুম থেকে বেরিয়ে রান্নাঘরের ভেতর ঢুকে পড়লেন। চোখের জল মুছে অভিনয়ের ন্যায় পাতিলে পাঁচ কাপ চাল ঢেলে চুলোয় বসে চুলোয় জ্বালান। নাছির উদ্দিন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে রান্নাঘরের সামনে এসে নিজের স্ত্রীর দিকে তাকান। বাহির থেকে বার কয়েক ডাক দেওয়ায় রুপালির বেগমের কাছ কোনো রূপ সাড়া না পেয়ে রেগে গিয়ে ছিলেন। কিন্তু তাকে ঝিমুতে দেখে কথা বললেন না। চুপটি করে কিঞ্চিৎ মুহূর্ত তাকিয়ে থেকে গলা ঝেড়ে রূপালি বেগম কে উদ্দেশ্য করে বলেন,

“বাচ্চারা আইয়া পড়ছে। শেহরীনা ও আইয়া পড়তেছে। খানা টেবিলে লাগাইয়া দাও।”

রূপালি বেগম স্বামীর কণ্ঠ শুনে অভিনয় থামিয়ে জাগ্রত হওয়ার ভান ধরে ‘জ্বি জ্বি দিচ্ছি’ বলে রান্না করতে বসে গেলেন।

___
জাহানারা পুষ্প কে চুল আঁচড়ে গোলাপী শাড়ি পরে সাজগোজ করতে দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকান মোঃ আবু সিদ্দিক। তিনি হাতের নিউজপেপার রেখে বুকের উপর হাত রেখে স্ত্রীর উদ্দেশ্যে শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন।

“বাসায় এসে থেকে দেখছি সেজে রেডি হচ্ছো। তাও আবার এই বিকেল বেলায়। ব‌্যাপার কী কিছু বলবে? কোথাও যেতে হলে যে আগে স্বামীর কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে অনুমতি নিতে হয় সেটা কী জানো না?”

জাহানারা পুষ্প বিরক্ত মুখে স্বামীর দিকে তাকালেন। বয়স কম হয়নি ভদ্রলোকের। তবুও এমন গোয়েন্দা সদস্যের মত প্রশ্নের উত্তর খুঁজেন। যা একেবারে অপছন্দ তার। হাতের পার্সে দশ হাজারের মত টাকা ভরে মোঃ আবু সিদ্দিক এর সামনে গিয়ে মুখে একরাশ ভাব ফুটিয়ে বলেন,

“আমাকে তোমার মত গম্ভীর কেনো ভাবো আমি বুঝি না। ছেলেকে ও বানিয়েছো নিজের মত গম্ভীর জাত মানুষ। লাইফটাকে এঞ্জয় করতে হয় নাহলে সেই লাইফের মজাটাই বা কী?”

মোঃ আবু সিদ্দিক চট করে দাঁড়িয়ে গেলেন। জাহানারা পুষ্প এর বাহু শক্ত করে চেপে ধরেন। হকচকিত চোখে তাকান জাহানারা পুষ্প। নিজের বাহু সরানোর প্রচেষ্টায় মোচড়া মোচড়ি করতে লাগলেন। মোঃ আবু সিদ্দিক এর মেজাজ তুঙ্গে উঠলো। দাঁতে দাঁত জাহানারা পুষ্প এর মুখের উপর মৃদু ঝুঁকে হুমকি স্বরূপ শক্ত গলায় আদেশ করলেন।

“একপাও যদি ক্লাবে টাকা উড়িয়ে দেওয়ার জন্য গেছো। মনে রেখো ক্লাব থেকে ফিরলে এবার আমি কোনো মিথ্যে কথা বাচ্চাদের সামনে বলব না। সত্যিটা প্রকাশ্যে এনে দেবো। ভাবো তখন আমাদের ম্যাচিউর বাচ্চাদের মনে তাদের মা সম্পর্কে কেমন ধারণা তৈরি হবে?”

“দেখেন আপনি কিন্তু আমার স্বাধীনচেতায় ব্যাঘাত দিচ্ছেন। আপনি ভালো করেই জানেন আমি বাধ্য হয়ে এই সংসার করছি।”

মোঃ আবু সিদ্দিক হাতটা ছেড়ে দিলেন। মুখে একরাশ হতাশার ছাপ ফুটিয়ে তার নিজের রকিং চেয়ারে শরীর এলিয়ে দিলেন। স্ত্রীর দিকে একপলক তাকিয়ে বলেন,

“হয়ত জীবনের ভুলই ছিল সেই বিয়ের দিন।”

জাহানারা পুষ্প কথা না বাড়িয়ে নিজের বেশভূষা পুনরায় পরখ করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। যাওয়ার পূর্বে নিজের স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলেন,

“খাবার রান্না করা আর গরম আছে। খেতে মন চাইলে মেইডকে বলিয়েন। সে সব পরিবেশন করে দেবে। তাকে সব শিখিয়ে দিয়েছি। আর আপনার গাড়ি ব্যবহার করেই যাচ্ছি।”

স্বামীর পক্ষ থেকে প্রতিত্তর শোনার জন্য অপেক্ষা করলেন না জাহানারা পুষ্প। স্বাচ্ছন্দ্য মনে চলে গেলেন। মোঃ আবু সিদ্দিক তপ্ত শ্বাস ফেলে চেয়ারে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বুজে নিলেন। বন্ধ চোখের কোণা দিয়ে দুফুটো অশ্রু আপনাআপনি গড়িয়ে পড়ে গেল। সারোয়ার ফুরফুরে মেজাজে ড্রিঙ্কস করছে। তার মাঝে ফারদিনের বন্ধুমহল খুব সহজ সরল ব্যক্তিগণ।লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)সহজে মিশে গেল তার সাথে। তাদের অপরুপ ব্যবহারে মুগ্ধ সে। সবচয়ে বেশি রসিকতা করছে ইপশিতা। সে হা করে বারবার সারোয়ার এর দিকে তাকিয়ে এটা ওটা নিয়ে মজা করছে। জাফরান ও টুকটাক কথা বলছে তবে শেহরীনা একনাগাড়ে ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে। সে তাকিয়ে রইলেও সারোয়ার এর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সাক্ষী মেয়েটা মোটেও ফোনের ধ্যানে মগ্ন নয়। বরং তার সাথে ইপশিতার অহেতুক কথাবার্তার মাঝে ধ্যানমগ্ন। গলা ঝেড়ে সে ইপশিতাকে বলে,

“আচ্ছা তোমরা সবাই এত মিশুক তাহলে তোমাদের এই বান্ধবী আলাদা কেনো?”

“ভাইয়া কাকে কী বলছেন? মেয়েটার চেয়ে চরম মজাদার আর কেউ নেই। মাঝেমধ্যে তাকে ভাইরাস এ ধরে। ভাইরাস টার নাম হলো মুড সুইং ভাইরাস। এইতে একবার আক্রান্ত হলে বেচারীর দিন দুনিয়া আর ভালো লাগে না।”

“ইশ্ আপনার বান্ধবীর শরীরে তাহলে রাসেল ভাইপারের বিষ ভরে দিতে হবে। দেখবে ফোণা তোলার মত নেচে উঠবে।”

“স্টপ ব্যস অনেক হয়েছে আপনার ফালতু কথা সেই তখন থেকে শুনে যাচ্ছি। এই আপনি আমাকে পেয়েছেন কী হুম? কী সব সাপের ফোণা টোনা তোলার কথা বলছেন হুম? ঐসব সাপকে আমি ভয় পায় না। আর তোরা আমার বন্ধু নাকি এই ব্যারিস্টার এর বন্ধু?”

সারোয়ার দুষ্টু মুখ করে তাকিয়ে আছে। কেননা মেয়েটা নিজের কথায় নিজেই ফেঁসে গেল। ফারদিন ভ্রু বাঁকিয়ে প্রশ্ন করে উঠল।

“তুই কেমনে জানিস ভাইয়া একজন ব্যারিস্টার। আমি তো মুখ থেকে ব্যারিস্টার শব্দটা বের করিনি।”

শেহরীনার মুখ আপনাআপনি বন্ধ হয়ে গেল। চোখ বড় বড় করে সারোয়ার এর দিকে তাকায়। লোকটার মুখে শয়তানি হাসির আভাস দেখেই দাঁতে দাঁত চাপল সে। রাগ নিয়ন্ত্রণ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে আমতা আমতা করে বলে উঠে।

“কেমনে আর? উনি উনার ওয়ালেট এ আইডি কার্ড রেখেছি দেখলাম। তখনি নামের সাথে ব্যারিস্টার শব্দটা দেখেই মুখ ফসকে ব্যারিস্টার বলে দিলাম। সরি ডোন্ট মাইন্ড স্যার।”

সারোয়ার মাথা নেড়ে মৃদু গলায় বলে,’ইটস ওকে ডেয়ার।’
‘ডেয়ার মাই ফুট’ শেহরীনা মুখ ফিরিয়ে বিড়বিড় করে বলে।
তাদের মাঝে সারোয়ারের ফোনে একটা কল আসে। সে কিছুটা বিরতি নিয়ে তাদের পাশ কাটিয়ে করিডোরে গিয়ে দাঁড়ায়। ফোন ধরতেই সে যা শুনতে পেল। এতে তার হুঁশ উড়ে গেল। তৎক্ষণাৎ কারো সাথে বিদায় সমেত দেখা না করেই দৌড়ে ভার্সিটির বাহিরে চলে যায়। শেহরীনা বিষয়টা খেয়াল করেছে বিধেয় একটু আধটু চিন্তার ধারায় সেও ভার্সিটি প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে পিছু নেয় সারোয়ারের।

চলবে…….

“আম্মী আজ আমি আপনার কাছে ঘুমালে বকা দিবেন?”

কথাটা বলে মাথানিচু করে নিল অরনিয়া। এ তার ডোজ ছিল শ্বাশুড়ি কে তার নিজের পক্ষে করার। মিসেস কেয়া মাহবুব বউমার আবদারে গলে পানি হয়ে গেলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ মেয়ের চিবুক ধরে মুখ বরাবর তুলে বলেন,

“ইশ এভাবে আবদার করলে তো যে কেউ গলে যাবে।”

রিজওয়ান হা করে তাকিয়ে আছে। বউ তার, রুম তার সেখানে তার মা আর তার বউই নিজেদের মাঝে বোঝাপড়া করে একসাথে থাকার পরিকল্পনা করে নিয়েছে। না এটা তো রিজওয়ান কখনো সম্ভব হতে দেবে না। গলায় কাঠিন্যতা ভাব এনে বলে,

“তোমাদের মাইন্ড মেবি ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। এটা দম্পতির রুম। মম তোমার এখন ঘুমাতে হবে। আসো তোমাকে রুমে দিয়ে আসি।”

“আয় খোকা তোকে আমার রুমে সাদরে ঘুম পাড়িয়ে তোর রুমে থাকতে আসতেছি আমি।”

রিজওয়ান তার কথার বিপরীত সুর শুনে বোকার মত নিজের মায়ের মুখের দিকে তাকায়। মিসেস কেয়া মাহবুব তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেন,

“আমার বউমাকে কাঁদিয়ে ছিলি না। সেই শাস্তি স্বরুপ আগামী পাঁচ দিন বউমার ধারে কাছেও ঘেঁষবি না তুই। বজ্জাত ছেলে জম্ম দিয়েছি একটা। কোথায় বউকে আদরে আদরে ভরিয়ে রাখবে তা না। প্রহার চালানো শিখেছে যেনো জনাবে। কোথাকার মহারাজা তুই হ্যা? এখনো নাক টিপলে দুধ বের হবে। আসছে বউয়ের উপর হাত তুলতে।”

অরনিয়া তার শ্বাশুড়ির পক্ষ পেয়ে স্বামীকে হেনস্থা হতে দেখে হেসে কুটিকুটি অবস্থা তার। শ্বাশুড়ির গলা জড়িয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে চোখ মারে রিজওয়ান কে। সে বউয়ের ছলচাতুরি বুঝতে পেরে দুঃখ ভরা গলায় গান গেয়ে উঠে।

“গল্পগুলো সব মিথ্যে ছিল
বুঝতে পারিনী আমি
মিথ্যে স্বপন দেখিয়ে কোথায়
হারালে ওরে ছলনাময়ী।”

“ও হ্যালো রুম থেকে পা আরো দুটা পিছিয়ে নেন। তারপর রুমের বাহির থেকে যেখানে হারানোর হারান। শুধু বাড়ির ভেতর হারালে হবে। আমি ঠিক আপনাকে খুঁজে বের করব। এখন যান তো ঘুমের সময় নষ্ট করে দিচ্ছেন আপনি আমাদের। কষ্ট দিয়ে আসছে ভালোবাসা দেখাতে। লাগবে না আপনার দুপয়সার ভালোবাসা।”

(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার লেখা প্রথম গল্প বইটই এপ্যাসে প্রকাশ পাবে ২৬ তারিখ ইন শা আল্লাহ। সবাই কে আমন্ত্রণ করা হলো বইটই এপ্যাসে বইটি পড়ার। দাম মাত্র ৪০ টাকা।
আমার ই-বুক লিঙ্ক
https://link.boitoi.com.bd/vgNA
আমার পেজ লিঙ্ক
https://www.facebook.com/tasmihaalraiyan

সবাই লাইক এন্ড ফলো দিয়ে পাশে থাকুন 🥰)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here