#প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_১৪
“আপা আপনার বাড়িতে আইছি আপনার মাইয়াটারে দেখার জন্য। আপনার বড় ঐ কালা মাইয়াটারে আমার ছোট ভাইয়ের পছন্দ হইছে। সে বিয়ে গড়লে তারেই গড়বে বলতেছে। তাই আমি আইছি আপনার মাইয়াটারে দেখতে। হুনছি মাইয়াটার বাপ নাকি সৎ বাপ কথা কী সত্যনি?”
রূপালি বেগম চমকিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার সামনে বসে থাকা মহিলার দিকে। তার সাহস কত বেশি হলে এক মায়ের সামনে তার মেয়েকে তার বর্ণ নিয়ে মশকরা করতে পারেন। তিনি একপলক বড় মেয়ের রুমের দিকে তাকালেন। এখন সময় দুটা চলছে। এ সময়ে মেয়েটা নির্বিঘ্নে ঘুমোবে তিনি জানেন। ফলে হাত কচলে শাড়ির আঁচল মাথা টেনে নিয়ে মহিলাটির হাত ধরে সাদরে ঘরের চৌকাঠে নিয়ে গেলেন। মহিলাটি প্রথমে লোভের দায়ে ভেবে ছিল তাকে কোনো কিছু উপহার দেবে। তবে তার সেই আশায় গুঁড়েবালি। রূপালি বেগম সাদরে মহিলাটিকে ছুঁড়ে ধিরস্থির ভাবে ঘরের চৌকাঠের বাহিরে রেখে নিজে ভেতরে আসলেন। মহিলাটি ব্যাপার খানা বুঝলেন না। প্রশ্নাতীত নজরে রূপালি বেগম এর দিকে তাকান। তিনি নিম্ন দৃষ্টিতে চেয়ে শান্ত গলায় জবাব দিলেন।
“সে আমার তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা সন্তান নয়। মেয়ে আমার। নাড়িছেঁড়া ধন সে। তার বর্ণ নিয়ে কারো সাহস নেই তিরস্কার করার। নাহলে এই আমার ভয়ংকর রাগ দেখবে। আপনার ভাইয়ের বোধ হয় পতিতার ঘ্রাণের আভাস পেয়েছে। দয়া করে তাকে সেখানে লেলিয়ে দেন। আমার মেয়ের চারপাশেও যেনো নজরে না আসে।”
মহিলাটি মুখ বাঁকিয়ে সেখান থেকে তার পাড়ায় চলে গেলেন। অন্যথায় রূপালি বেগম চিন্তিত হয়ে পড়লেন। মহিলার কোন না কোন ভাইয়ের নজর পড়েছে তার মেয়ের উপর। ঢোক গিললেন দিন দুনিয়ার খবর আজকাল বেখবরের মত। তার মেয়ের সাথে যদি উঁচুনিচু কিছু হয়ে যায়। তবে তিনি মায়ের দায়িত্ব নেভানোয় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে পড়বেন। মেয়ের সম্মান রক্ষার্থে দরকার পড়লে তিনি নিজেই মেয়ের সাথে চলাফেরা করবেন। মোটেও মেয়েকে আজ থেকে একলা ছাড়বেন না । অবিবাহিত কুমারী মেয়ের উপর নজর পড়া মানেই অশুভ সংকেত বলে মনে করেন তিনি। কেনো না তিনিও সেই সময় পার করে এসেছেন! মেয়ের সাথেও সেই সময়ের পুনরাবৃত্তি হোক তা মোটেও চান না তিনি। তৎক্ষণাৎ ঘরে ফিরে এলেন। দেখতে পেলেন শেহরীনা জাগ্রত। তাকে দেখে তিনি ঘাবড়ে গেলেন কোনো ভাবে সে জানতে পারল না তো ব্যাপারটা? শেহরীনা মাকে দেখে খোশমনে মাকে জড়িয়ে ধরল। এই প্রথম রূপালি বেগম আদর মনে তার স্নেহের হাত মেয়ের পিঠে রেখেছেন। শেহরীনা চোখ বুজে আনন্দের সহিতে জড়িয়ে ধরেছিল। পরক্ষণে তার মায়ের সাথে তার সম্পর্কে চলমান দৃশ্যপট তার চোখে ভাসমান হতেই সে ছেড়ে দিতে চাইল। কিন্তু মায়ের স্নেহের স্পর্শ পেয়ে মেয়েটা থমকে গেল। চমকিত, পুলকিত হলো তার হৃদয়ের আবেগখানা। বুক কাঁপছে তার। মা কী তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেবে? এ বাক্যখানা তার মনের ভেতর প্রশ্ন সহযোগে ভাসল। রূপালি বেগম গম্ভীর কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন।
“আর কতক্ষণ জড়িয়ে রাখবে? নাজমুর কে কী পাওয়া গিয়েছে?”
শেহরীনার হুঁশ এলো। সে ততক্ষণে মায়ের আঁচল ছেড়ে সরে এসেছে। বরঞ্চ তার ছাড়ার ইচ্ছে মোটেও ছিল না। কতবছর পর মায়ের স্পর্শ শুঁকেছে মেয়েটা। চোখের জল আটকে মাথা নেড়ে সম্মতি বোঝায়। রূপালি বেগম দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করলেন। শেহরীনা আর দুদণ্ড মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে রইল না। ‘আমি আসছি’ বলে তার রুমে ফিরে গেল মেয়েটা। রূপালি বেগম এক চিলতে হাসলেন। কতবছর পর আবেগের সাথে মেয়েটাকে আগলে ধরলেন গণনা করে দেখলে সীমান্ত খুঁজে পাবেন না। হয়ত মেয়েটা নিজেকে সামলাতে না পেরেই কান্না নিবারণ করতে তার রুমে চলে গেল। ভাবল তার মা তার চোখের জল দেখে তিরস্কার করবে। বোকা মেয়ে একটা যে মা তাকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন সেই মা কেমনে মেয়ের অনুভূতি সম্পর্কে অবগত হবেন না?
হঠাৎ ঘরের দরজায় বেল বাজার শব্দে তিনি এগিয়ে গেলেন। দরজা খুলতেই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির সাক্ষাৎ পেয়ে হিতাহিত অবাক হয়ে যান তিনি। সারোয়ার ও দ্বিতীয়বার দেখা পাওয়ার সুযোগ পেয়েছে তার হবু শ্বাশুড়ির সঙ্গে। সালাম বিনিময় করায় রূপালি বেগম বুঝলেন তিনি কোনো স্বপ্ন দেখছেন না। বিধেয় তিনি হবু পাত্রকে ভেতরে আসার জন্য অনুরোধ করতেই থমকানো দৃষ্টিতে সারোয়ার এর পেছনে বহু বছরের পরিচিত ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন। ‘আম্মু’ ডাক শুনে তার ধ্যান ভাঙ্গল। ছেলেকে আহত দশায় দেখে বিচলিত হয়ে পড়লেন। তাকে ধরে কোনোমতে সোফায় বসিয়ে দুজন অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদ্বয়ের কাছে শোকরিয়া আদায় করলেন। ছেলেকে সুস্থ শরীরে জীবিত পেয়ে তিনি স্বস্তি অনুভব করছেন।
“আন্টি কিছু মনে না করলে আমরা আজ আসি।”
শেহরীনা চমকে গেল। তার কান্না মুহূর্তে থেমে যায় পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনে। তৎক্ষণাৎ চোখমুখ মুছে রুম এর দরজা খুলল। সারোয়ার দরজা খোলার শব্দে বাঁ পাশে তাকাল। তার সঙ্গে অন্যদের দৃষ্টিজোড়া ও সেদিক পড়ে। শেহরীনা উত্তেজিত হয়ে বেরিয়ে এসে অস্বস্তিতে পড়ে গেল। সকলের দৃষ্টি আকর্ষণে সে একজন। ব্যাপারটা অদ্ভুত দেখায়! সারোয়ার একপলক তাকিয়ে দৃষ্টি সরিয়ে ফেলল। রূপালি বেগম আড় চোখে বারংবার সারোয়ার এর সঙ্গে আগত লোকটার দিকে তাকাচ্ছে। লোকটা নিশ্চুপ। সারোয়ার তার বাবাকে নিরব দেখে সে নিজেই রূপালি বেগম এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে উদ্যত হয়।
“আন্টি ইনি হলেন আমার বাবা মোঃ আবু সিদ্দিক। আর বাবা উনি হলেন সেই পাত্রী তথা শেহরীনার মা রূপালি বেগম।”
মোঃ আবু সিদ্দিক ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে রূপালি বেগম এর দিকে। এই দৃষ্টিকোণ কী প্রকাশ করছে? অনুভূতি, অনুবেদনা , ক্ষুণ্ন হওয়ার স্নেহ নাকি এককালীন আকাঙ্ক্ষা? রূপালি বেগম কঠোর হলেন হৃদয়জুড়ে। মেহমান সমীতে তারা এসেছে। ফলে তিনিও আপয়্যনে ত্রুটি রাখতে চান না। সারোয়ার এর এক হাত ধরে বলেন,
“বাবা আমার ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিয়েছো তার জন্য আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব।”
“আরে আন্টি কী বলছেন? এই কৃতজ্ঞতা আমাকে নয় বরং বাবাকে দিন। তার কারণেই নাজমুর সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেয়েছে।”
রূপালি বেগম নির্জীব ভঙ্গিতে মোঃ আবু সিদ্দিক এর দিকে তাকিয়ে বলেন,
“আপনাকে অনেক শোকরিয়া ভাইজান। আপনার কারণে আমার সন্তানকে আমি ফিরে পেয়েছি। নাহলে এক ভালোবাসা হারানোর চেয়েও বেশি যন্ত্রণাদায়ক হতো সন্তানের লাশ দেখা।”
“দেখুন এভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লজ্জিত করবেন না। আমি যা করেছি বোন ভেবেই করেছি।”
মোঃ আবু সিদ্দিক এর চোখজোড়া ‘বোন’ শব্দটা বলতেই কেঁপে উঠেছে। তিনি অনুভূতি লুকিয়ে ফেললেন। তিনি তো ভেবেই অবাক হচ্ছেন ছেলের বিয়ে কার সাথে হওয়ার কথা ছিল সেই পাত্রীকে দেখে। শেহরীনার নিকট এগিয়ে গেলেন তিনি। রূপালি বেগম দেখে ঠোঁট কামড়ে নাজমুর পাশে বসে ক্ষিপ্ত মনের ঝাঁঝ লুকিয়ে শান্ত গলায় বলেন,
“সে আমার প্রথম মেয়ে শেহরীনা। ভালোবাসার পর প্রথম সন্তান সেই। তারপর নাজমুর আর নাসমা। তাকেও দেখে দোয়া দেবেন ভাইজান।”
মোঃ আবু সিদ্দিক তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলেন,’জ্বী অবশ্যই বোন। তারা আমার নিজের সন্তানের মতই। তাদের জন্য এটুকু করতেই পারি। আশা করি আপনিও আপনার সংসারে সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন।’
কথাটায় রূপালি বেগম এর আহত মনে ঘি ঢালার মতো হলো। তিনি অনুভূতি লুকাতে শাড়ির আঁচল চেপে ধরলেন শক্ত করে। সারোয়ার একপলকে দুজনকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তার মনে শত প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এমুহুর্তে সে বয়ান করে আহত ছোট হবু শালককে কষ্ট দিতে চাইছে না। ফলে সে গলা খাঁকারি করে বলে,
“আন্টি আমরা আসি। নাজমুর অসুস্থ। তার ওষুধপত্র গুলো এই যে টেবিলে রেখেছি। শেহরীনাকে বলে দিচ্ছি কখন কোন সময় খাওয়াতে হবে। আমাদের খিদেও পেয়েছে আজ দৌড়ঝাঁপের কারণে পেটে দুদণ্ড খাওয়া যায়নি।”
রূপালি বেগম অস্বস্তি অনুভব করলেন। তিনি তাদের খাওয়ার দেওয়ার কথাই ভুলে গেলেন আপনমনে নিজেকে ‘ছিঃ’ বলেন। পরক্ষণে তিনি অসহায় কণ্ঠে বলেন,
“বাবা এভাবে নারাজ হয়ে যাও না। একটু সময় দাও। আমার এখানে রান্না করা আছে। তোমরা খেয়ে গেলে আমি তৃপ্তি পাবো। হতে পারে আমরা গরীব তবুও আমাদের খাওয়ানোর সামর্থ্য একটু হলেও আছে।”
“আন্টি প্লিজ! এভাবে বলে আমায় ছোট করবেন না। আপনারা যেমন সামান্য খেয়ে বাঁচেন আমরাও কোথাও না কোথাও সামান্য খেয়ে বেঁচে থাকতে শিখেছি। আপনি যাই দেবেন আমরা খেতে পারব।”
রূপালি বেগম হাত কচলে মেয়ের দিকে তাকান। শেহরীনাও মায়ের চোখের দৃষ্টি বুঝল। সে আশ্বাস দিল সেও মায়ের সঙ্গ দেবে। সে রান্নাঘরে গেল। রূপালি বেগম এক বাহানায় তাদের কে নাজমুর এর কাছে রেখে মেয়ের কাছে গেলেন। শেহরীনা কে চুলোয় ডিম বাজতে দেখে তিনি বুঝলেন পাতিলে তরকারি নেই। তিনি নিজেও জানতেন স্বামীর কাছে বাজার এর লিস্ট দেওয়া এখন অব্দি স্বামী সহ বাজার আসেনি ঘরে। তাই খানা পানি এর মধ্যে টান পড়বে। শেহরীনা ডিম হতে দিয়ে আরেক চুলোয় ভাত বসালো। রূপালি বেগম পুরনো পাতিল হাতড়ে সেখান থেকে জোগাড় করা বালাওচাও এর বোয়াম বের করলেন। বোয়াম পাশে রেখে বড় বোল ধুয়ে পানি ভরে তাতে তিনটি পেঁয়াজ আর হলুদ পাতা ধুয়ে কাটতে বসে গেলেন। শেহরীনা মায়ের কাজ দেখে মুচকি হাসল। সে জানে তার মা মৌসুমী উপায়ে খাবার দেবেন। যা খেলে পেট ভরপুর হবে। ডিম হয়ে আসলে সে তৎক্ষণাৎ মিনি ফ্রিজ খুলে দেখল পলিথিন মোড়ানো ঢেঁড়স রাখা। তা হাতে নিয়ে চুলোর নিচে রাখা আলু পেল। ঢেঁড়স আর আলু দিয়ে ভাজি করার দারুণ বুদ্ধি পেল খাবারে স্বাদ পাবার মত। ভাজি করতে উদ্যত হলো সে। অন্যত্রে রূপালি বেগম বালাচাও দিয়ে পেঁয়াজ কুচি আর হলুদ পাতা মিশিয়ে দারুণ সুস্বাদু শুঁটকির ভর্তা বানিয়ে নিলো। তরকারির পরিবর্তে খাবার থালায় এটুকু সাজিয়ে তারা পরিবেশন করল। সারোয়ার আর তার বাবা মৃদু হেসে হাত ধুয়ে খেতে বসে গেলেন। শেহরীনা চোরা চোখে সারোয়ার কে পরখ করছে। লোকটার শার্ট ঘামের কারণে ভেজে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে কুচকুচে হয়ে গেছে। দেখে খুব মায়া লাগছে তার। মোঃ আবু সিদ্দিক বিষয়টা খেয়াল করে মুচকি হাসলেন। তিনি গলার স্বর আদুরীয় করে সারোয়ার কে বলেন,
“চিন্তে করছি তোর জন্য দেখা পাত্রী মন্দ নয়। পাত্রী মা অর্থাৎ শেহরীনা মা চাইলে কথা আগানো যাবে সামনের মাসে।”
লজ্জা পেল শেহরীনা। সে হাত কচলে মুখ লুকাল মায়ের পেছন গিয়ে। সারোয়ার একপলক মুগ্ধ চোখে তাকায়। রূপালি বেগম মেয়ের খুশিতেই খুশি। নাসমা ও খুব মিশে গিয়েছে সারোয়ার এর বাবার সঙ্গে। লোকটার হাতে ভাত খাচ্ছে আরামে। সারোয়ার দৃশ্যখানা দেখে হঠাৎ বলে উঠল।
“বাবা তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে নিজ মেয়ের মত আপন কাউকে খাইয়ে দিচ্ছো।”
“হুম তাই নয়তো কী ভাগ্নি কার দেখতে হবে না?”
‘ভাগ্নি’ শব্দটা অদ্ভুত শুনাল শেহরীনা,সারোয়ার আর নাজমুর কাছে। তারা অদ্ভুত নজরে তাকিয়ে আছে। রূপালি বেগম স্থির থাকতে পারলেন না। অস্থির গলায় প্রশ্ন করে বসেন।
“ভাগ্নি বলতে কী বুঝিয়েছেন আপনি ভাইজান?”
‘ভাইজান’ শব্দ শুনে মোঃ আবু সিদ্দিক কথা পাল্টে হেসে বলেন,
‘আরে আপা যেখানে ভাই সাহেব , ভাইজান ডাকছেন সেটা ধরলে তো আমার ভাগ্নিই হবে শেহরীনা আর নাসমা। নাজমুর তো ভাগ্না হয়ে যাবে তাই না?’
এবার যেনো বুঝল তারা। তারা মোঃ আবু সিদ্দিক এর যুক্তিকে প্রাধান্য দিলেও সারোয়ার এর ব্যারিস্টারি মন সেই যুক্তিকে প্রাধান্য দিতে পারল না।
চলবে…..
(এতটা খারাপ পরিস্থিতির মাঝে গল্প লিখায় মন বসে না। তার উপর গল্পের মধ্যে রিয়েক্ট কমেন্ট নেই। সব মিলিয়ে মন খুব খারাপ লেখার মত না পাচ্ছি আগ্রহ, না পাচ্ছি উৎসাহ। আজ কী লিখেছি কে জানে। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লাহ হাফেজ।)
গল্প পড়তে আমার পেজে লাইক এন্ড ফলো করে পাশে থাকুন সবাই।
লিঙ্ক https://www.facebook.com/tasmihaalraiyan