#প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_০৪
“বাবা শুন না তোর বোন সাজিয়ার দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে আরেকবার ভেবে দেখ। মাইমুনা মেয়েটা ওতোটা খারাপ না। হ্যাঁ বুঝতে পারছি যে বয়স কম। তবে বাবা মেয়েটার মধ্যে অত্যন্ত নম্র, শরমশীলতা আছে। ঐ পাত্রীর মধ্যে সেটাও নেই। সেদিনের বেয়াদবি এখনো তোর মায়ের চোখে ভাসে। ওমন পাত্রী এই বংশে আসলে এই বংশের নাম শুদ্ধ ডুবিয়ে ছাড়বে।”
সারোয়ার মায়ের কথায় কিচ্ছুটি মনে করল না। সে কথা শুনার মাঝে হাত ঘড়ি পড়ছে। তার সামনে ধোঁয়া উঠা গরম কালো কফির কাপ রাখা। তার পছন্দনীয় কফি যাকে অনেকে ব্ল্যাক কফি বলে। সে কালো কফি মায়ের বুঝের স্বার্থে বলে থাকে। তার আজ কোর্টের মধ্যে দলিল জমা দিতে হবে সেদিনকার তার পক্ষপাতিত এর নালিশের অভিযোগে। তবে সময় আছে তার হাতে বেশ। নিজের স্ত্রীকে ছেলের মাথায় উল্টোপাল্টা কথা বোঝানো দৃশ্যপট দেখে দীর্ঘ শ্বাস ফেলেন সারোয়ার এর বাবা মোঃ আবু সিদ্দিক। ধীমি পায়ে হেঁটে ছেলের রুমের দরজায় টোকা দিলেন। সারোয়ার স্বাভাবিক ভাবে দরজার দিকে তাকায়। জাহানারা পুষ্প নিজের স্বামীকে দেখে চুপসে গেলেন। মুখের ‘রা’ বন্ধ করে তিনি ‘আসছি’ বলে বেরিয়ে গেলেন। মোঃ আবু সিদ্দিক স্ত্রী কে কিছু বলেননি। তিনি নির্লিপ্ত হয়ে ছেলের কাছে গিয়ে বসলেন। ছেলেটা এখনো নাস্তা করেনি। গম্ভীর গলায় শুধু একবার বললেন।
“বাবা আগে নাস্তা সেরে নেহ্। কাজের কাজ ওমনি হয়ে যাবে একবার খাবার গরম থেকে ঠান্ডা হয়ে গেলে সুষ্ঠু স্বাদ হারিয়ে ফেলবি।”
বাবার কথা ফেলে দেওয়ার মত মানুষ সারোয়ার নয়। বিনয়ী হাসি দিয়ে বাবার সাথে বসে পড়ে সে। মোঃ আবু সিদ্দিকও এককালীন যৌবনে প্রচুর কালো কফি খেতে পছন্দ করতেন। বাড়ন্ত বয়সের সাথে সেই স্বাদ পাল্টে দুধ চায়ে পরিণত হলো। সেই কল্পনা করে হেসে বলেন,
“বাবা আমিও তোর সময় থাকতে প্রচুর কালো কফি খেতাম। এখন আর সেই কালো কফিতে স্বাদ নেই খুবই বিস্বাদ লাগে। খেতে নিলে জিহ্বা যেনো পুড়ে ছাই ছাই হয়ে গেল মত লাগে।”
সারোয়ার মুচকি হাসল। মোঃ আবু সিদ্দিক গলা ঝেড়ে ছেলের কাঁধে হাত বুলিয়ে বলেন,
“বাবা তুই সেদিন আমার কথার উত্তর দিলি না। আজ কী আমার কথার উত্তর পাবো?”
সারোয়ার থেমে নেয়। সে নির্জীব নাস্তা করছে। তবুও মুখ ফুটে শুধু বলল।
“জানি না বাবা সে সময়ের প্রথম প্রেমের আভাস পেয়ে ছিলাম। আর সেদিনই প্রেমের মৃত্যুও ঘটল। তাই নতুন করে সেই আভাস এখন অব্দি পায়নি। আদৌ পাবো কিনা সন্দেহ। বলতে পারো সেই অনুভূতি সহজে ধরা দিচ্ছে না। নিয়তির উপর ছেড়ে দিলাম। বাকিটা উপরওয়ালা ভালো জানেন।”
ছেলের কথায় স্পষ্ট মনক্ষুণ্ণ প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি নিজেও সে সময় ছেলের বাসর রাতে ছেলের চেহারার দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারেননি। কী এক নির্মম দৃশ্য! বাসর রাত নামক মধুময় স্মৃতির রাতে নিজ স্ত্রীকে হারিয়ে ছেলেটার মধ্যকার অনুভূতি তিনি উপলব্ধি করে ছিলেন। চেয়েছিলেন স্বাভাবিক করতে তবে তার ছেলেই সিদ্ধান্তহীন তাদের একা ফেলে বিদেশ চলে যায়। সেই দুঃখ ভারাক্রান্ত দৃশ্যের সাথে আজ পুনরায় ছেলের মুখের সাদৃশ্য পেয়েছেন। তিনি সারোয়ার এর মাথায় হাত বুলিয়ে তার কাঁধ জড়িয়ে বলেন,
“বাবা থাকতে তোর কীসের পেরেশানি? আমি তোর জন্য হীরে খুঁজে আনব। এবার আর তোর মায়ের গলদ কাজ সম্পূর্ণ হতে দেবো না।”
মায়ের কথা শুনে সারোয়ার মুখটা এটুকুন করে বাবার দিকে তাকায়। মোঃ আবু সিদ্দিক মুখ বাঁকিয়ে বলেন,
“হয়ছে আর ওমনি পেঁচার মত মুখ করিস না। দেখতে তখন বান্দর মনে হয় তোকে।”
সারোয়ার বাবার রসিকতায় ছেলে-বাবা দুজনে হেসে উঠল।
___
সকালে মায়ের হাতে বড়সরো আঘাতের চিহ্ন দেখে সাময়িক সময়ের জন্য থমকে যায় শেহরীনা। তৎক্ষণাৎ মায়ের হাত ধরে ঘোর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। রূপালি বেগম হকচকিয়ে গেলেন। মেয়েকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে তিনি চট করে হাতকে শাড়ির আঁচলে লুকিয়ে ফেললেন। শেহরীনার মাথায় ধপ করে আগুন ধরে গেল। সে তার মায়ের দুকাঁধ জড়িয়ে ধরে জোর গলায় জিজ্ঞেস করে।
“মা বাবা কী তোমার উপরে হাত তুলেছেন? মা প্লিজ চুপ করে থেকো না বল না বাবা কী তোমার উপর হাত তুলেছেন?”
রূপালি বেগম অভ্যন্তরীণ মন থেকে মেয়ের প্রশ্নে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ছেন। বারংবার মেয়ের হাত সরিয়ে টেবিলে নাস্তা সাজাতে মশগুল হতে চাইছেন। তবুও শেহরীনা নাছোড়বান্দা সেও তার মায়ের পিছু পিছু গিয়ে একই কথা জিজ্ঞেস করছে। এতে বিরক্ত হয়ে রূপালি বেগম মুখ ফসকে সত্য বলতে নিলে চোখের সামনে স্বামীকে নজরে পড়ল। লোকটা লুঙ্গির গিট্টু মেরে রুম থেকে বের হচ্ছেন। তার বিচলিত দৃষ্টিজোড়া তাদের উপরে। রূপালি বেগম ঢোক গিলে সত্য কথাটা গিলে মিথ্যে কথাই বলে ফেললেন।
“স্বামী-স্ত্রীর মোহাব্বত এর কথা কী এখন তোকে বলে বেড়াতে হবে? এসব দাগ মোহাব্বত এর সময় দীর্ঘায়িত হয় বুঝছিস এবার? নাকি আরো নির্লজ্জ এর মত কথা শুনতে চাস?”
নাছির উদ্দিন শুনে তৃপ্ত হেসে নিজ স্ত্রীর কথায় মনে মনে ‘শাবাশী’ দিলেন। তিনি গলা ঝেড়ে কফ এনে শেহরীনার পাশে গিয়ে নালার দিকে কফ থুথু ফেললেন। শেহরীনা তার সৎ বাবা দেখে অন্যপাশে সরে দাঁড়ায়। নাছির উদ্দিন গাঁয়ে গেঞ্জি পরে মৃদু গলায় স্ত্রী কে জিজ্ঞেস করলেন।
“কী মা-মেয়ে আবার কী নষ্ট করার চিন্তাভাবনা করছিস? দেখ তোদের নষ্ট করার চিন্তাভাবনা থাকলে বাড়ির বাহিরে গিয়ে যা নষ্ট করার করিস। কিন্তু আমার জিনিসে হাত বাড়িয়ে মা-মেয়ে নষ্ট করার কথা ভাবলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবো।”
শেহরীনার একই তীক্ষ্ণ কথা আর সহ্য হলো না। মায়ের কথায় তার বিশ্বাস হয়নি। সে দাগটা দেখে এটুকু বুঝেছে এই দাগ কোনো স্বাভাবিক দাগ নয় এই দাগ কোনো শক্তপোক্ত জিনিসের দাগ। সে এই ব্যাপারের খোলাসা করে ছাড়বে তাও খুব কৌশলে। নিজের ভাবনায় অটল থেকে সে রাগান্বিত দৃষ্টিতে সৎ বাবার দিকে তাকিয়ে কাঠ কাঠ গলায় জবাব দিলো।
“শুধু যে আপনার জিনিস তা নয় জিনিসটায় আমার মায়ের ও হক আছে। মায়ের বদৌলতে নষ্ট হলেও আমার সামর্থ্য আছে সেই নষ্ট জিনিসের পরিবর্তে নতুন জিনিস নিয়ে এনে হাজির করার।”
নাছির উদ্দিন বুকের উপরে হাত গুঁজে বলেন,
“ওহ তাই? তো কত টাকা কামিয়ে ফেলেছিস হুম? ভার্সিটিতে আদৌ পড়তে যাস কী? না মানে তোর হাতে সামর্থ্য এলো কেমনে? তুই না জব করিস, না টিউশনি পড়াস। হাতে টাকা আসে কোথার থেকে হুম? নাকি তুইও তোর মায়ের অবিকল….।”
“দেখেন শেহরীনা বাচ্চা মেয়ে ভুলে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছে এজন্য তার হয়ে আমি ক্ষমা চাইছি।”
শেহরীনা তার সৎ বাবার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তিনি পরবর্তীতে তার মায়ের নামে কী বলতে চাইছিলেন? তা শুনার তীব্র আগ্রহ জেগে বসল তার মনে। ফলে সে মায়ের কথা উপেক্ষা করে জোর গলায় তার সৎ বাবাকে জিজ্ঞেস করে।
“কী কী করেছে আমরা মায়ে হুম? এভাবে আমার মাকে অপমান করছেন কেনো? যা বলার সোজা কথায় বলুন। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলার দরকার কী?”
নাছির উদ্দিন মৃদু হেসে ‘তো’ বলতে গিয়েও থেমে যান। কেননা তার ছেলে-মেয়ে দুটো নাস্তা খেতে টেবিলে চলে এসেছে। নাসমা সবসময় তার বাবার কাছে বসে। আজ তার কেনো যেনো তার বড় বোনের কাছে বসার ইচ্ছে জেগেছে। সে বাবার কোল থেকে উঠে ছুটে গিয়ে তার বড় বোন শেহরীনার কাছে বসল। শেহরীনা তার চেয়ে ছোট বয়সী মেয়ে নাসমাকে ঘৃণা অথবা সৎ বোনের নজরে দেখেনি। নাছির উদ্দিন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। এখন যদি তার সন্তানের সাথে সৎ মেয়েটা কোনো বেয়াদবি করেছে। তবে আজ তিনি থেমে থাকবেন না। মনে মনে এই কল্পনা করে স্বয়ং নিজ স্ত্রীর দিকে তাকালেন তিনি। রূপালি বেগম ঢোক গিলে শেহরীনার দিকে তাকান। তিনি আতংকিত মনে দোয়া পড়ছেন যেনো শেহরীনা ছোট মেয়েটির সাথে কোনো বেয়াদবি অথবা খারাপ মনোভাব পোষণ না করে। হাত কচলে নাসমাকে আদুরীয় গলায় ডেকে উঠেন তিনি। নাসমা গোলগাল চেহারা করে মায়ের দিকে তাকাল। রূপালি বেগম আদুরীয় গলায় আবদার করলেন।
“মা আমার কাছে এসে বসো। আমি খাইয়ে দেয়।”
“নাহ্ তোমরা সবসময় খাইয়ে দাও। আমি কখনো বড় বোনের হাতে খাইনি। যতবার খেতে চেয়েছি তুমি নাহয় বাবা খেতে দাওনি। উল্টো বলেছো আপুর হাত খুব নোংরা। তার হাতে খেলে আমি অসুস্থ হয়ে যাবো। আমি আজ সত্যিকারের অর্থে আপুর হাতে খেয়ে দেখব। যদি অসুস্থ না হয় পরের বার থেকে আপুর হাতেই খাবো। আজ জানো মা ইসলাম শিক্ষা বইয়ে ভাই-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ছোট ভাইবোনদের প্রতি স্নেহ এর গুরুত্ব , তাৎপর্য পড়েছি। ক্লাসের ম্যাম আমাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস ও করেছে আমার বড় কোনো ভাইবোন আছে কীনা! আমিও জবাব দিছি হ্যাঁ আছে। তখন ম্যাম বলছে আমাকে আমার বড় বোন বা ভাই স্নেহ করে কীনা? এখন তোমরা কখনো আপুর কাছেও আমাকে ঘেঁষতে দাওনি। ম্যামের কথায় আমি মাথা নিচু করে ফেলছিলাম। ম্যাম ভাবছে আপু হয়ত বকে আমাকে। তাই শান্ত মনে আদর করলেন। কিন্তু আমি কোন মুখে বলতাম আমার আপুর স্নেহ মমতা কেমন তা বোঝার সাধ্য কখনো হয়নি শুধু তোমাদের কারণে। আজ আমি আপুর হাতেই খাবো মানে খাবো।”
নাছির উদ্দিন মনে মনে খুব অসহ্য বোধ করলেন। স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বলেন,
“মুখ কী দেখছো? খাবার বেড়ে দিতে কী নিমন্ত্রণ জানাতে হবে তোমাকে?”
স্বামীর উল্টো আচরণে রূপালি বেগম অবাক। তবে মনে মনে কিছুটা হলেও তৃপ্তি পেলেন। ছোট মেয়ের এ কথায় তিনি নিজেও মনে শান্তি অনুভব করছেন। শেহরীনার চোখ জ্বলছে। ছোট মেয়েটাকে গতকাল রাতেও সৎ বোন ভেবে ঘৃণা করছিল সে। কিন্তু দিনের প্রহরে তার মুখ থেকে মিষ্টিময় কণ্ঠে আবদার আর বাণী শুনে সে আবেগ আপ্লুত হয়ে গেল। তার হাত কাঁপছে। সে বড় বোন হ্যাঁ সে আসলেই বড় তাদের। আদুরীয় কাঁপা হাতে শুকনো তেল ছাড়া পরোটার এক টুকরো অংশ ছিঁড়ে ঢেঁড়স ভাজির সাথে মেখে নাসমার মুখের দিকে এগিয়ে দিল। নাসমা উৎফুল্ল হয়ে ‘আম’ শব্দ করে বোনের হাত থেকে পরোটাটুকু খেয়ে নেয়। নাছির উদ্দিন বিরক্ত নজরে তাকিয়ে খেতে লাগল। তার কাছে এ দৃশ্য ন্যাকা বৈকি আর কিছু নয়।
রূপালি বেগমের কাছে এ দৃশ্য শ্রেষ্ঠ অমায়িক লাগছে। কেউ দেখে কী আদৌ বলতে পারবে তারা সৎ বোন। বিপরীতমুখী কথাটাই সবার মুখ থেকে বের হবে। তারা আপন বোন। নাসমার খাওয়া শেষ হলে নাছির উদ্দিন জোর তাড়া দিয়ে ছোট মেয়ে আর বড় ছেলেকে জলদি বাহিরে আসার জন্য তাগিদ দিতে লাগলেন। রূপালি বেগম আনমনে হাসলেন। আজ প্রথমবার তিনি নিজের স্বামীকে নিজের ছোট মেয়ের কাছে জব্দ হতে দেখলেন। শেহরীনার দৃষ্টিকোণ বাহিরের উঠানের দিকে। এক বাবা তার দুই সন্তানকে আগলে সিএনজিতে বসে গেল। বাবার দায়িত্ব পালনে তৎপর তিনি। সেই দৃশ্যে কবে শেহরীনার চোখের পানি পুনরায় তাজা হয়ে গেল টের অব্দি পেল না সে। হকচকিয়ে চটজলদি সে তার মায়ের আড়ালে চোখের জল লুকিয়ে ফেলল। রূপালি বেগম নাস্তার বাটি গুছিয়ে রান্নাঘরে গেলেন। মাকে স্বাভাবিক দেখে শেহরীনা বুঝল তার মা কিছুটি দেখেনি। বিধেয় সেও দুঃখ ভরা মনকে মনের মাঝেই দাফন করে শক্ত মনোবল নিয়ে নাস্তা শেষ করে বেরিয়ে গেল। তার জন্য তো অপেক্ষা করার মত আপন কেউই। ‘একলা হস্তেই বাঁচতে হবে তোমায় হে নারী’ কেউ একজন গানের তালে বলে ছিল কথাটা যা শেহরীনার মস্তিষ্কে সবসময় সঞ্চিত থাকে।
চলবে……
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার গতকালকে জার্নি হয়েছিল তাই শরীর ক্লান্ত থাকায় গল্প লিখে রেখেও পোস্ট করতে পারিনি। এখন রিচেক করে পোস্ট করলাম। সবাই গল্প পড়তে আমার পেইজে লাইক এন্ড ফলো করে রাখুন।
পেইজ লিঙ্ক
https://www.facebook.com/tasmihaalraiyan)