#প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_০৯
“স্যাম(কায়েসাম)বাবা আর কতদিন তুই ঐ মেয়েটার জন্য অপেক্ষা করবি? তোকে তো ফিরেও দেখে না সে। তাহলে কিসের জন্য তার অপেক্ষায় আছিস বল তো বাবা আমাকে? মেয়েটাকে ছাড় তোর জন্য আমি বেস্ট গার্ল হাজির করে দেবো।”
কায়েসাম মায়ের কথায় নিরবে শেহরীনার ছবির দিকে তাকিয়ে রইল। তার সেই ছবির মাঝেও কোনোরূপ হাসি নেই। গম্ভীর রগচটা ভাব মেয়েটার রন্ধ্রে ভাস করছে যেনো। এই কাকে সে ভালোবেসে বসল? এতটা রগচটা ভাব তাও প্রেমময় সম্বন্ধে। কেনো! তার পারিবারিক সমস্যার অতলে সে কী দোষ করল? কায়েসাম এর মা রুফিয়া সাইমুম খুব নিরাশ বোধ করলেন ছেলের নিশ্চুপতায়। ছেলেকে আদুরে স্বরে স্যাম বলতে ভালোবাসেন তিনি। কায়েসাম সেই একই পলকে ছবির দিকে তাকিয়ে আছে। রুফিয়া সাইমুম নিরবে বেরিয়ে ছেলের বাবার কাছে গেলেন। কায়েসাম এর বাবা অর্থাৎ রুফিয়া সাইমুম এর স্বামী ইদরিব সাবেক কে চোখ বুঁজে শুয়ে থাকতে দেখে আমতা আমতা করে তিনি বলেন,
“বলছিলাম কী ইপশিতার পরিবারের সাথে কথা বলবে? কায়েসাম কে বলে কোনো লাভ হচ্ছে না। সে শুধু ঐ বেহুদা মেয়ের দিকে মগ্ন হয়ে পড়ে আছে। ছেলেটা আমার কতই সিধাসাধা ভালো ছিল। যখন থেকে ঐ শেহরীনা তোমাদের ভার্সিটির মধ্যে এসেছে তখন থেকেই ছেলেটা আমার উচ্ছন্নে গেল। মেয়েটাও কেমন বড়লোকের ছেলে প্রপোজ করেছে দেখেও প্রত্যাখ্যান করার সাহস কত বড় তার! যদি সে আমাদের ছেলেকে বুঝতো তাহলে আজ মেয়েটার কারণে কায়েসাম সুস্থ থাকতো। দিনকে দিন অসুস্থ মস্তিষ্কে পরিণত হচ্ছে আমার ছেলেটা। দেখো আমার আর দেখা যাচ্ছে না ছেলের ওমন অবস্থা। তুমি কালকেই ইপশিতার বাবার সাথে কথা বলে বিয়ে পাক্কা করে ফেলো। ছেলে কে বিয়ে পড়িয়ে দিলে শেহরীনা নামক ভুত তার মাথার থেকে এমনিতে নেমে যাবে।”
ইদরিব সাবেক চোখ খুলে নিজ স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে সম্মতি প্রদান করেন। কেননা তার চোখেও শেহরীনার ব্যাপারে ছেলের উতলানো দৃষ্টিকটু ঠেকছে। এমনটা চলতে থাকলে ভার্সিটির ট্রাস্টি হিসেবে তার সম্মান ডুবে যাবে। তখন সকল ছাত্র-ছাত্রীর মুখে একটা কথাই রটবে।
‘ইদরিব সাবেক যিনি সুনাম ভার্সিটির ট্রাস্টি তারই ছেলে প্রেমের ব্যর্থতায় পাগল হয়ে ঘুরছে।’
হেডলাইনের বিষয়টি তার মাথাচাড়া দিয়ে ভস্মীভূত করল। তিনি শীঘ্রই তার আর স্ত্রীর দেখা পাত্রীর বাবার সাথে আগামী দিন কথা বলে বিয়ে পাক্কা করে ফেলবেন। রুফিয়া সাইমুম ও মনে মনে ছেলের সুস্থ মস্তিষ্কের কথা ভেবে স্বস্তি পেলেন। একবার বিয়ে হলে পুরুষ মানুষ বউয়ের আঁচল খুঁজে বেড়ায়। মধু আহরণ সমাপ্ত হলেই সে তার আঁচলে পড়ে থাকে। ছেলেকে একবার বউয়ের সাথে গেড়ে বেঁধে ফেললে তার হাতে আর কোনো রাস্তা থাকবে না।
___
আকাশ কাঁপিয়ে বৃষ্টি নেমেছে ধরণীর বুকে। ঘন কালো অন্ধকার আকাশের সাথে যুদ্ধ করে একেক বিজলী চমকে উঠছে। শেহরীনার খিদেই পেট ছু ছু করছে। ভার্সিটি গিয়ে তড়িঘড়ি কিছু না খেলে সে মুহূর্তেই অজ্ঞান হয়ে পড়বে। খুব কষ্টে নিজেকে সামলে খিদের যন্ত্রণা সাময়িক সময়ের জন্য নেভাতে ব্যাগ হাতড়ে খালি বোতল বের করল। রিকশায় বসারত অবস্থায় বাহিরে অর্ধ হাত বের করে এক বোতল বৃষ্টির পানি ভরে নিল। বোতলের ঢাকনা দিল। ভার্সিটির প্রাঙ্গণে এসে ভাড়া মিটিয়ে তৎক্ষণাৎ পানি পান করতে লাগল। পানি পানের কারণে তার খিদের যন্ত্রণা কিছুটা মিটলেও পেট ভারী না হওয়ায় সে তৎক্ষণাৎ ক্যান্টিনে চলে গেল। কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয়। ক্যান্টিন দুঘণ্টা পর চালু হবে বলে নোটিশ আকারে বড় বড় কাগজের মধ্যে লিখে ক্যান্টিনের দরজায় লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শেহরীনা হতাশার শ্বাস ফেলে ক্ষুধার্ত পেট নিয়ে ক্লাস করতে ভেতরে চলে গেল। ক্লাসের ভেতর ঢুকতেই তার সাথে ধাক্কা লাগল এক পুরুষেলী দেহের সঙ্গে। ব্যক্তিটি ভেবেছিল শেহরীনা পড়ে যাবে তাই সে তার হাত এগিয়ে রেখেছিল একটুখানি স্পর্শ পাবে সেই আশায়। তবে তার আশায় জল ঢেলে শেহরীনা নিজেই নিজের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারল। পুরো ক্লাসের ছেলেমেয়ে-রা তাকাল। তাদের আশ্চর্য লাগল এত হ্যান্ডসাম ছেলের বুকে সবাই আঁচড়ে পড়তে চাই সেখানে শেহরীনা মেয়েটা নিজেই নিজেকে রক্ষা করল। ব্যাপারটা মেয়েদের কাছে হাস্যকর লাগল। তাদের দৃষ্টি অবাক কর। শেহরীনা খিদের জ্বালায় অস্থির। চোখ মুখ তুলে সামনে তাকাতেই তার অসীম বিরক্ত লাগল। কায়েসাম ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে। শেষমেশ এই ব্যক্তির সাথেই তার টক্কর খেতে হলো! নিজের ভাগ্যের উপর ভীষণ বিরক্ত সে। মাথা এপাশ ওপাশ নেড়ে শরীরকে স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলল শেহরীনা। মুখ ফুটে কায়েসাম এর উদ্দেশ্যে বলে,
“দেখেন সরি আমার খেয়াল ছিল না সামনে আপনি ছিলেন। খেয়াল করলে কখনো পড়তাম না। আইম এক্সট্রিমলি সরি।”
কায়েসাম হতাশায় নিমজ্জিত। তার মন বিতৃষ্ণায় ছটফটে উঠছে। তার মনে একটাই কথা ভাসছে।
‘ইশ কেনো তুমি আমার বুকে পড়লে না কুমারিনী। আমার কুমারিনীর একটুখানি ছোঁয়া পেতে কতটা আগ্রহী আমি সেটা কী তুমি বুঝতে পারো না শেহরীনা?’
মনের কথা মনেই রয়ে গেল তার। মুখ ফুটে উপযুক্ত সময় ব্যতীত সে কথাগুলো তাকে বলতে পারবে না। এক বিরক্ত ভরা মনে শ্বাস ফেলে বলে,
“ইটস ওকে। মাই ফল্ট আমি তোমাকে খেয়াল করিনী। খেয়াল করলে সেখানেই দাঁড়িয়ে যেতাম। যতক্ষণ না তুমি আমার বুকে পড়তে ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতাম।”
কায়েসাম এর কথায় ক্লাসের ছেলেরা শিষ বাজিয়ে উঠল। মেয়েরা তো রীতিমত আগুন চোখে তাকিয়ে আছে শেহরীনার দিকে। এতে হিংস্র বাঘিনীর ন্যায় শেহরীনা কায়েসাম কে বলে,
“দেখেন আপনি সিনিয়র দেখেই আমি সম্মান করি। এমন কোনো কাজ করবেন না যেই কারণে আমার হাত আপনার ঐ গালে পড়ুক। সিনিয়র সিনিয়রদের মত সম্মান নিয়ে থাকুন। আমাকে আমার অবস্থায় ছেড়ে দিলে খুশি হবো।”
কায়েসাম প্রতি জবাবে কিছু বলবে তার পূর্বেই শেহরীনার ক্লাসের স্যার এগিয়ে এলেন। ভদ্রলোক কে দেখে সবার গুঞ্জন থেমে যায়। যে যার সিটে গিয়ে বসে পড়ে। শেহরীনা পুরো ক্লাসে চোখ বুলিয়ে নেয়। তার বন্ধুমহল নেই দেখে তার হতাশা দ্বিগুণ বেড়ে গেল। চোখমুখে জলের ঝাপটা না দিলেই নয়!
স্যার হোয়াইট বোর্ডে আইন বিষয়ক বিদ্যা নিয়ে পড়াচ্ছেন। সেই দিকে কোনো ভাবে মনটা বসাতে পারছে না শেহরীনা। কেননা তার খিদে বেড়ে সীমাহীন হয়ে পড়েছে। ব্যাগ হাতড়ে বোতল বের করে বৃষ্টির পানি গিলল। কিন্তু তাতে কী খিদে মিটে আদৌ?
স্যারের ক্লাসের শেষ মুহূর্তে হতদন্ত হয়ে প্রবেশ করল সারোয়ার। অবাক চিত্তে তার দিকে তাকায় শেহরীনা। সারোয়ার স্যারের হাত ধরে ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে বাহিরে গেল। স্যার আর সারোয়ার এর মাঝে কি কথা হচ্ছে কে জানে? মিনিট খানেক পরেই স্যার চলে এলেন। তিনি এসে বই বন্ধ করে সবার উদ্দেশ্যে বলেন,
“আজ তোমাদের জন্য একটা গুড নিউজ আছে। আমাদের ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান এই মুহূর্তে জানিয়েছেন যারা আজ ভার্সিটিতে উপস্থিত আছেন। তাদের নিয়ে একটা আলোচনা সভা হবে। সেই আলোচনায় ভবিষ্যৎ আইনজীবী সমিতির ব্যাপারে জানানো হবে। তবে হ্যাঁ তার আগে সবার খুশির জন্য খাওয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা স্বয়ং চেয়ারম্যান স্যার করেছেন। খাওয়ার পরপর আলোচনায় সবাইকে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হলো। বাধ্যতামূলক হিসেবে কালো কোর্ট পড়ে আলোচনায় বসবে ওকে স্টুডেন্টস?”
কয়েকজন ছাড়া বাকি সবাই উল্লাস প্রকাশ করে। শেহরীনা ভীষণ খুশি হলো। সে তাদের সঙ্গে হেঁটে খাওয়ার হলে গেল। সেখানে গিয়ে তার চোখ ছানাবড়া। হরেক রকমের খাওয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড় বড় পাতিল রাখা আছে। পাতিলের পাশেই একেক স্টার্ফ। সারোয়ার কে এসবের তদারকি করতে দেখে বিস্মিত হলো। সে সোজাসুজি সারোয়ার কে জিজ্ঞেস করার সাহস পাচ্ছে না। কেমন এক জড়তা অনুভব করছে। বিধেয় সে স্টার্ফকে জিজ্ঞেস করে।
“আচ্ছা উনি না ব্যারিস্টার। উনি এখানে খাওয়ারের ব্যবস্থায় তদারকি কেনো করছেন?”
“জানি না ম্যাম এসব আয়োজন তো ভোর বেলা থেকে উনিই করিয়েছেন।”
শেহরীনা একপলক দেখল। পরক্ষণে খিদের চটে মনের কথা বাদ দিল। ঢোক গিলে কান্না নিয়ন্ত্রণ করে বাটি হাতে নিয়ে একেক পাতিল থেকে রান্না করা মুরগির পিচ, খাসির মাংস, সবজি, এক পিচ কোড়াল মাছ নিয়ে বাটির একপাশে দুটো লাড্ডু নিয়ে বাটি ভর্তি করে খেতে বসল। দূর থেকে একজোড়া চোখের মালিক তৃপ্তি নিয়ে দেখতে লাগল শেহরীনার খাওয়া। ঠোঁটের কোণায় চমৎকার হাসি ঝুলে আছে তার।
শেহরীনা খাওয়ার মাঝেই তার মায়ের কথা স্মরণে এলো। চোখ থেকে আপনাআপনি পানি গড়িয়ে পড়ে। সে সকলের অগোচরে তা মুছে নেয়। পুরো এক রাত তার খিদের যন্ত্রণায় ছটফট করতে হলো। তার আপন মাও সৎ বাবার বিপক্ষে যেতে পারেননি। ইশ মায়েদের দ্বিতীয় সংসার হলে বুঝি প্রথম সংসারের মায়া ফুরিয়ে যায়। মায়া ফুরিয়ে গেলে সেই প্রথম সন্তানের কী দোষ থাকে? তার হাজার প্রশ্নের কোনো উত্তর তার কাছে নেই। তপ্ত শ্বাস ফেলে পকেট পুরে খেয়ে নেয়। হঠাৎ কারো কাশির শব্দ শুনে চোখ তুলে তাকায়। সারোয়ার কে সামনে দেখে মুখে লেগে থাকা ঝুলে মাখা ঠোঁট মুছে নেয়। ছিঃ কী বিশ্রী ভাবে খাচ্ছিল সে! নিজেই লজ্জিত বোধ করল। সারোয়ার মনে মনে হাসল। তবে উপর থেকে গম্ভীরতা ধরে রেখে বলে,
“খাবার কেমন লেগেছে মিস?”
“আলহামদুলিল্লাহ ভালো।”
দুই শব্দের জবাবে খুশি হলো সারোয়ার। সেও শেহরীনার থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে বসল। এই দেখে সে বলে,
“আরে এত দূরে বসতে হবে না। কাছে বসলেই পারেন।”
“কাছে আমি আমার আপন স্ত্রীর কাছেই বসব। আপনি আমার স্ত্রী না হওয়া অব্দি দূরত্বটাই মূল হয়ে থাকুক।”
শেহরীনা ‘ওও’ শব্দ করে পুনরায় খাওয়ায় মন দেয়। সারোয়ার তার খাওয়ার মাঝে ফিসফিসিয়ে বলে,
“যদি পারো জলদি সুযোগটা করে দিও। স্ত্রী হলে তোমার হাত দিয়ে আর কষ্ট করে খেতে হবে না। আমার শক্তপোক্ত গরম হাতই তোমার জন্য যথেষ্ট।”
শেহরীনার গলায় কাশি ছিটকে এলো। সারোয়ার মিটমিটে হেসে মিনারেল ওয়াটারের বোতলের ঢাকনা খুলে শেহরীনাকে পান করিয়ে দিতে লাগল। তার চোখজোড়া বড় হয়ে গেল। সারোয়ার পানি খাইয়ে দিয়ে আফসোসের স্বরে বলে,
“ওপস মিস্টেকলি তোমাকে খাইয়ে দিলাম। সমস্যা নেই হবু স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতির জন্য হয়ত আল্লাহ ইশারা করলেন। একটু একটু দুই গালের মাঝে নিজের হাতের মুঠোয় ভরা ভাত খাইয়ে দেওয়ার মোক্ষম সুযোগ দানের জন্য তিনি আমায় এখানে পাঠিয়েছেন। কী বলো তো তোমার ঐ শুষ্ক ত্বক আমার ভীষণ অপ্রিয়।”
“পাভার্ট বয় শাট আপ।”
“পাভার্ট ও বলছো শার্ট ও আপ করতে বলছো ভেরি নটি গার্ল ইউ আর শেহরীনা।”
সারোয়ার তৎক্ষণাৎ শেহরীনার কানের কাছে তার ঠোঁট এলিয়ে কেউ দেখার পূর্বেই মোহাবিষ্ট গলায় বলে,
“ডোন্ট ওয়ারি আইম অল ইউর্স ভেরি সুন।”
শেহরীনার ঢোক গিলতে সমস্যা হচ্ছে। খুত খুত করে তার গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে। সারোয়ার এক অস্বাভাবিক কর্ম করে শেহরীনার খুত শব্দ হওয়া সে মুহূর্তেই বন্ধ করে দিল। নিজের কাজে সমাপ্তি টেনে সারোয়ার শেহরীনাকে চোখ টিপ মেরে খাওয়ার হলরুম থেকে প্রস্থান করে। শেহরীনার হৃদপিণ্ড ধুকপুক করছে ক্রমাগত। তার বাঁ পাশের গাল ভিজে আছে। উষ্প্র ঠান্ডা ভিজে অংশ তার গালে পড়েছে। বিস্ময়ে হতবাক সে। অন্যথায়, কায়েসাম এর হাত কাঁপছে। সেই সাথে তার হাতে থাকা বাটিটা কাঁপছে। দুচোখে সে যা দেখেছে তা কি আদৌ সত্য! তার একটাই প্রার্থনা দৃশ্যটা যেনো মিথ্যে হোক। কাঁপা গলায় সে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার প্রিয় বান্ধবী তনুদি কে জিজ্ঞেস করল।
“দোস্ত ততুই কী দেখেছিস ঐ খানে যা হলো?”
তনুদির খারাপ লাগছে কায়েসাম এর আচরণ দেখে। তার চেহারার দিকে তাকানো যাচ্ছে না। কতই না করুন চাহনী তাতে। তনুদি মাথা নিচু করে ‘হুম’ শব্দ করল। কায়েসাম তৎক্ষণাৎ বাটিটা তনুদির হাতে ধরিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তনুদি যেতে নিয়েও থেমে যায়। সেও চাই তার বন্ধু বেরিয়ে আসুক এক অপ্রাপ্তিময় প্রেমের মোহ থেকে। কেননা যেই ব্যক্তি পূর্বেই তার জন্য অপ্রিয় সেই অপ্রিয় ব্যক্তির স্বপ্ন বাসনায় রেখে বাঁচা বড্ড কষ্টকর।
চলবে…….
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার রেসপন্স এত কমে গেল। আমি খুব আপসেট আপনাদের উপর। গল্প ভালো না লাগলে সরাসরি বলবেন। দেবো না শেষ করে দেবো তখন গল্পটা। এত কষ্ট করে ভার্সিটির ক্লাস শেষ করে এসেই এক-দু ঘণ্টা ধরে গল্পটা লিখি রাখি। তারপর পোস্ট করি। আপনাদের রেসপন্স কম দেখে দিনে দিনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। যথাসম্ভব আগ্রহ দিন আমিও নতুন নতুন গল্প দেবো আপনাদের জন্য ইন শা আল্লাহ।)