প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার #লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান) #পর্ব_২০ (দ্বিতীয় অংশ সত্য উম্মোচন)

0
83

#প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_২০ (দ্বিতীয় অংশ সত্য উম্মোচন)

“তোমার বাবা শোয়াইব মিলদাজ হলেও সে কথা মজলিশের সামনে বসা পঞ্চায়েত এর কেউ বিশ্বাস করেনি। কেননা সকলের চোখে আমি দোষী। রূপ কে প্রতিবার আমার দোকানে আসা যাওয়া করতে দেখায় তোমার মামা মোঃ আবু সিদ্দিক ভুল বুঝে যায়। রূপ কেঁদে কেটে সবাইকে বুঝাতে চাইলেও কেউ এক মেয়ের চিৎকারে মন দেয়নি। সেকালে এখনকার মত ন্যায়বিচার ছিল না। সবটা পঞ্চায়েতের হাতে থাকতো। তারা যোগ্য প্রমাণ দেখেই সোজা বিচার করে দিতো। সেদিন আমি আর রূপ পদ্মিতার ব্যাপারে কথা বলছিলাম। রূপ গর্ভবতী সেটা কেউ জানতো না। সে তার গর্ভত্ব লুকিয়ে রাখতো বড় বড় সাইজের মোটাসোটা গোলগাল কামিজ পরে। সবাই ভাবতো সে মোটা হয়ে গিয়েছে আসল ঘটনা আমি, রূপ আর পদ্মিতা জানতাম। সেদিন পাড়ের ধারে বসাটাই কাল হয়ে যায় আমাদের জন্য। রূপ বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর সময় হঠাৎ পেটে ব্যথা অনুভব করে। যার ফলে সে পড়ে যাচ্ছিল তখন আমি ধরে বসিয়ে দেয় মাটির উপর। রূপ আলতো হেসে বলে তার বাচ্চা একটু আধটু লাথ মারছে। ব্যাপারটা আমিও খুব উপভোগ করলাম। পদ্মিতার সাথে যখন আমার সংসার হবে সেও গর্ভবতী হওয়ার পর তাকেও ঠিক বাচ্চা এভাবে আঘাত করবে। সেই দৃশ্য কল্পনায় এঁকে ভুলবশত রূপের কথার দ্বারে আমিও ভুলে বলি, একটু ছুঁয়ে দেখি। রূপ বারণ করেনি বরং দেখতে উৎসাহিত করে। আমি যুবক মানুষ তবে মন মানসিকতা নিচু নয় তোমার বাবার মত। কাঁপা হাতে যেই একটু ছুঁতে গেলাম তখন চিৎকার করে আমায় ধরে মা*রতে লাগে রূপের ভাই মোঃ আবু সিদ্দিক। তার সাথে আমার কোনো পরিচয়তা ছিল না , না কোনো শত্রুতা ছিল। তাকে আমি খুব সম্মান করতাম কেননা গ্রামে জমিদারের ছেলে হিসেবে পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে তিনিও একজন। কথাবার্তায় খাতির থাকলে তিনি আমাদের সহযোগিতা করতেন। সেদিন তিনি সালিশ বসান বোনের সাথে হওয়া অন্যায়ের জন্য। আমি খুব করে বললাম এ কাজ শোয়াইব মিলদাজ এর তবে কেউ বিশ্বাস করে না। রূপও বলে তাকেও কেউ বিশ্বাস করেনি। ফলশ্রুতিতে আমি কঠিন গলায় বাচ্চা হওয়ার পর তার ডিএনএ টেস্ট করানোর অনুরোধ করি। যা মোটেও পছন্দ হয়নি রূপ আর তার ভাইয়ের। স্বাভাবিক রূপের পছন্দ নাই হতে পারে কারণ সে মা। কিন্তু তার ভাইয়ের অপছন্দ হলো কেনো বুঝেনি। আমার কথায় সকলে সাড়া দিলেও মোঃ আবু সিদ্দিক যোগ্য প্রমাণ রুপে নানান কালো সাদা ছবি বের করে দেখায়। যেখানে রূপকে আমার দোকানে আসা যাওয়া, রূপের হাতে খাবার খেতে, রূপকে ফুল দিতে, রূপের হাতে দামি জিনিস কিনে গিফট করে দিতে। সেগুলো দেখে সবটা আমার উপর পড়ে যায় দোষ। কেউ তখন শোয়াইব কে দোষী ভাবেনি। আমিই প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষভাবে দোষী হয়ে গেলাম। কিন্তু বলতে পারবে মামুনি আমার দোষ কোথায় ছিল?”

কথাটা শেহরীনার বুকে তীরের মত বিঁধে। রূপালি বেগম আঁচলে মুখ ঢেকে কাঁদছেন। তিনিও স্বামীর পাশে বসে অতীত হাঁতড়ে যাচ্ছেন। আজ প্রথম তারা অতীতকে সামনে এনে দোষী আর নিদোর্ষের খোঁজ চালাচ্ছেন। তবে এতে কী হবে? এত বছরের গড়া সংসার কী আদৌ ভাঙ্গা যাবে? শেহরীনা ঢোক গিলে ভাবনাটা গিলে নিলো। রূপালি বেগম মেয়ের দিকে তাকিয়ে কান্নামাখা কণ্ঠে আওড়ান।

“মামুনি তোমার কোনো দোষ না থাকলেও তোমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হতো শুধু তোমার বাবার জন্য। তাই তার নাম আজ পর্যন্ত এই ঘরের কোনো কোণেও নেওয়া হতো না। তোমার এই বাবার হার্টে ব্যথা করতো ঐ কুনাম শুনলে। তখন তিনি পাগল পাগল হয়ে আমার উপর মা*রধর করতেন। আজ সব সত্য তুমি জেনে যাবা তোমার যুবতী বয়স এখন। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মত বুদ্ধি তোমার আছে। দোষ আর নিদোর্ষ কে বেরুলেও বলা যায় সংসার এখন আমাদেরই। আমরা এ সংসার ছেড়ে কখনো প্রাক্তনের কাছে ফিরবো না। যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে তারা সব পারে।”

নাছির উদ্দিন রূপালি বেগম কে থামিয়ে পুনরায় শেহরীনাকে বলে,

“পঞ্চায়েত এর সামনে আমার থেকে বাধ্য হয়ে রূপকে স্ত্রী রুপে গ্রহণ করতে হলো। সেদিন রূপকে আমি ঘৃণার অতলে রাখি। বাচ্চা হওয়ার আগ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সেবাযত্ন দেয়। বাচ্চা হওয়ার পরপর তার ডিএনএ টেস্ট করিয়ে সকলকে দেখায়। ততদিনে অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। সকলে অনুরোধ করে বিয়েটা, সংসারটা টিকিয়ে রাখতে। নাহলে রূপের জীবন শেষ হয়ে যাবে। কেউ তখন আমার হৃদয়ের ভেতরে গোমরে মরে যাওয়াটা লক্ষ্য করেনি। সবার নজর শেহরীনার উপর ছিল। কারণ ফুটফুটে কন্যা সন্তানের মুখ থেকে নূরনূর ছড়াচ্ছিল আশপাশ জুড়ে। সেখানে আমার হাহাকার চাপা পড়ে যায়। বাধ্যতা দূর করে তোমার লালনপালনের দায়িত্ব খুব সুন্দর ভাবে করতে থাকি। জানো এসবের মাঝে পদ্মিতার কোনো খোঁজ পায়নি। তবে হ্যাঁ এটা শুনে ছিলাম তোমার মামা মোঃ আবু সিদ্দিক এর সাথে পদ্মিতার বিয়ে হবে। শুনে প্রতিক্রিয়া করার মত মুখ ছিল না। পদ্মিতাও ভাবতো আমি রূপকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছি। তবে সত্য জানার পর তার আর খবর রাখিনি বলতে পারো একপ্রকারে। মোঃ আবু সিদ্দিক সেদিন বাড়িতে এসেছিল শুনে তোমার মায়ের উপর পুরোনো রাগ ঝরে পড়তে চেয়েছিল তবে আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে বাহিরে চলে যায়। একরাত পুরো নাসমার দাদীর কবরের সামনে শুয়ে কাটিয়ে দেয়। নাহলে আমার আঘাতে রূপ জর্জরিত হয়ে যেতো। আর জানো মামুনি তোমার বিয়ে আমি মোঃ আবু সিদ্দিক এর ছেলে সারোয়ার এর সাথে কেনো দিতে চাইছি না। কারণ তাকে দেখলে আমার তোমার মামার করা কর্ম মনে পড়ে যায়। তবে হ্যাঁ তখনো আমি জানতাম না যেদিন তোমাকে পাত্রী রুপে দেখতে এসেছিল সারোয়ার সেদিন ও তার পিতা কে জানতাম না। ঘরের মধ্যে এসেছে শুনেই জানলাম। ততদিন ঠিক ছিল পাত্র হিসেবে মানতে বাধ্য ছিলাম তবে সত্য পরিচয় জানার পর থেকে নাকচ করতে থাকি মনে মনে। কিন্তু তুমি আমার মেয়ে না হলেও মেয়ের থেকেও কম কিছু নয়। তোমার কাছে আমার ব্যবহার এখন তিক্ত লাগতে পারে তবে তোমাকে আমি পুরো আঠারোটা বছর খুব আদর যত্নে আগলে রেখেছি। সেটা হয়ত তুমি ভুলে যেতে পারো আমি নয়। আমি তো বাবা বাবার কাঁধের উপর কী পরিমাণ চাপ থাকে তা তোমরা কখনো বুঝবে না। কারণ এক বাবা কখনো বুঝতে দেয় না এসব।”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে নাছির উদ্দিন চোখের জল মুছে কাঁপা গলায় বলেন,
‘মামুনি এটা ভেবো না তুমি আর তোমার মাকে এখনো আমি ঘৃণা করি। না এটা আর হবে না। আমার মৃত্যুর দিনকালের সঙ্গি তোমার মা। তাকে প্রহার করলেও মলমও আমি দিতাম। এখন মামুনি তুমি চাইলে তোমার বাবার কাছে যেতে পারো। তোমার বাবা বর্তমানে খুলনা আছেন। আমি তোমাকে ওকিলাতি কেনো পড়াচ্ছি এবার বুঝছো? একদিন তুমিও ন্যায়বিচার করবে। কখনো অন্যায় কে ন্যায় আর ন্যায় কে অন্যায় বলে চালিয়ে দিও না। সেকালে এই দিকটা ব্যাপক প্রচালিত ছিল এখন তোমাদের হাতেই সব কিছু আছে। পারলে তোমার এই সৎ বাপকে ক্ষমা করে দিও পূর্বের কাজের জন্য।’

কথাটুকু বলে তিনি দম ফেলে সোজা বালিশের উপর মাথা ঠেকিয়ে শুয়ে পড়েন। স্তদ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে শেহরীনা। আসলে তার মুখের ভাষা ফুরিয়ে গেল। রূপালি বেগম স্বামীর কাঁধে সরিষার তেল মালিশ করতে লাগলেন। শেহরীনা আনমনা হয়ে উঠে নিজ রুমে চলে গেল। নাছির উদ্দিন নিভু চোখে মেয়ের যাওয়া দেখে আঁতকে উঠেন। রূপালি বেগম এর হাত ধরে বলেন,
‘এখনি মামুনির রুমে যাও। সে নাহয় ভুলে উল্টাপাল্টা কিছু করে ফেলবে।’
তিনি চেয়েও উঠতে পারবেন না বিধেয় রূপালি বেগম দৌড়ে গেলেন মেয়ের রুমে। দরজায় বারে বারে কড়াঘাত করতে থাকেন। শেহরীনা ক্রোধে তার বাবার ছবি জোড়া বের করে মাটিতে ফেলছে। বাবার পাওয়া স্মৃতি কুড়ে সে আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল সেই জঘন্য ব্যক্তিকে কেনো এতটা বছর আপন ভাবল সে? ছবিগুলো মাটিতে ফেলে সেখানে আগুন জ্বালিয়ে দিলো। রূপালি বেগম এর আর্তনাদ মূলক আওয়াজ শুনে শেহরীনা কান্না মিশ্রিত গলায় অনুরোধ করে।
‘মা আমায় আজ একটু একা ছাড়েন। আমি জীবনের হিসেব মেলাতে চাই প্লিজ মা প্লিজ!’
ফুটফুটে সেই নূরময় কন্যাটি তার পরিচয় পর্ব জেনে হৃদয়বিদারক কান্নায় নেতিয়ে পড়েছে। বাবার ছবির সামনে অসহায় ভাবে হাঁটু গেড়ে তাকিয়ে চোখের জল ফেলছে।

____
সারোয়ার এর কোর্টের সালিশে কোনো মনোযোগ দিতে পারছে না। কোর্টে এসে অনেকক্ষন নিজের সালিশ জমানোর প্রতিক্রিয়া আপনমনে ব্যক্ত করছিল। তবে সে কোনো ভাবেও সেই কাজে মগ্ন হতে পারেনি। কোনো না‌ কোনো একভাবে ব্যর্থ হচ্ছেই। প্রচণ্ড বিরক্তির চটে টেবিলে থাবা মেরে বসে পড়ল। সিলিং ফ্যানের শব্দে মাথায় হাত চেপে সারোয়ার চিন্তিত হয়ে আছে। তার মন প্রাণ ছটফট করছে অজানা কারণে। এমনটা হওয়ার কারণ কী সে জানে না! আনমনা হয়ে বসা হতে দাঁড়িয়ে জানালা অব্দি এগোয়। জানালার বাহির থেকে নানান লোককে দেখছে। অনেকের গাঁয়ে আইনজীবী ইউনিফর্ম। সেও পরিহিত তবে তার সঙ্গে কেউ নেই। মানুষ বলে বন্ধু বান্ধব থাকা নাকি সুভাগ্যময়। তাহলে তার কেনো কোনো বন্ধু হলো না সেই ভার্সিটির গণ্ডি হতে? তপ্ত শ্বাস ফেলে ফোন হাতে ফারদিন কে কল দিলো। সে চোরেচুপে ফারদিনের কাছ থেকেই শেহরীনার ব্যাপারে কথা বার্তা শুনে। ফারদিন তর্কে হাঁপিয়ে উঠেছে। তার বাবা মা প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে ছেলের দিকে তাকিয়ে আছেন। তার বাবা ফজলে হক বলেন,

“ওমন লো ক্লাস মেয়েকে তোর কেমনে পছন্দ হলো-রে বাপ? তোর মাকে দেখেছিস? সে সময়ে জমিদারের মেয়ে হওয়া করতো সে। আর কোথায় বস্তিতে থাকার মত মেয়েকে তোর মনে ধরল হুম? এমন মেয়ে কী এ আলিশান বাড়ির বউমা হওয়ার যোগ্যতা রাখে হ্যাঁ? আমি কত আশা নিয়ে ছিলাম তোর বিয়ে আমার বিজনেস পার্টনার শিল্পিত খান এর মেয়ের সাথে করবো। আর তুই এসে এক মেয়ে কে নিয়ে বাবা মার সাথে তর্ক করছিস।”

ফারদিন রেগে গেল। সেই কখন থেকে বাবা-মায়ের মুখ থেকে ইপশিতার ব্যাপারে উল্টাপাল্টা শুনছে। এবার যেনো অন্যায় হচ্ছে। দাঁতে দাঁত চেপে বলে,

“বাবা ভুলে যেও না দেশটা স্বাধীন আমরা করেছি। আর তুমি কার মেয়ের কথা বলছো? যে পা চাটা সঙ্গী ছিল? তাকে আমি হাতের কাছে পেলে পিছে ফেলব বলে জানিয়ে দিয়েন।”

ফজলে হক এর মুখখানা পানসে হয়ে যায়। ছেলে যে এত বড় কথা বলে ফেলবে বুঝতে পারেননি। তার স্ত্রী ও কিছুটা চুপসে গেছেন। তার দাদাও একজন পা চাটা সঙ্গী ছিলেন। এ কথা একটু আধটু হলেও ফারদিনের জানা। বিধেয় ঢোক গিলে নিজের সম্মান আর ছেলের প্রতি স্নেহ মনে রেখেই স্বামীকে বলেন,

“দেখেন ছেলের বয়স হয়েছে তার ঠিক-বেঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অধিকার তার নিজের আছে। আমার মনে হয় একবার দেখে আসা উচিৎ মেয়েকে।”

ফজলে হক এক নিমিত্তে রাজি হয়ে যান। আপাতত ছেলের মুখ থেকে কঠোর বাণী হতে বাঁচার দায়ে তিনি সুযোগ পথ আমলে নিলেন। ফারদিন বাবা-মায়ের আকস্মিক বদলে মিটমিটে হাসল। মনে মনে সে ভেবেই রেখেছিল তারা যদি একটা বলে দমানোর চেষ্টা করে। তাহলে সে তিনটা বলে একেবারে ভাগটুকু খেয়ে দেবে। হলোই তাই।লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)তার ধ্যানের মাঝে ফোনটা তীব্র আকারে শব্দ করে বেজে উঠে। বাবা-মায়ের কাছে থেকে বিদায় নিয়ে সে ফোন কানে ধরে ‘হ্যালো ব্রো কেমন আছিস?’ বলে উঠে।
সারোয়ার মনমরা হয়ে জবাব দেয়। এতে ফারদিন সন্দেহ নিয়ে জিজ্ঞেস করে।
‘কী হয়েছে তোকে উদাসীন কেনো লাগছে?’
‘শেহরীনা কোথায় আজ প্রায় এক সপ্তাহ দুদিন কেটে গেল মেয়েটা আমার সাথে কোনো বার্তায় জড়াচ্ছে না। ব্যাপার কী একটু বলতে পারবি? কিছু জানিস তার ব্যাপারে।’

ফারদিন‌ ঠোঁট কামড়ে ভাবে হয়ত মেয়েটা সারোয়ারকে চিন্তায় ফেলতে চাইনি তাই বলেনি। তবে একটু হলেও জানাতো ছেলেটা তো তার আশায় বসে আছে।
‘হ্যালো ফারদিন শুনতে পারছিস?’
সারোয়ার এর কণ্ঠস্বর শুনে ফারদিন আমতার কণ্ঠে বলে,

“ভাই আমার মনে হয় শেহরীনা তোকে চিন্তিত করতে চাইনি। আসলে তার সৎ বাবা অসুস্থ খুব। সে জন্য কয়েকদিন ধরে ‌তার মন ভালো নেই। তুই চিন্তা করিস না আমরা দেখে নেবো।”

“কী বললি তুই? শেহরীনা মেয়েটাও কত মন্দ কাজ করেছে সে একটু জানালো না অব্দি। থ্যাংকিউ ফারদিন জানানোর জন্য।‌ আমি এখন কোর্টে। কাজ শেষ করে তার বাড়িতে যাবো।”

ফারদিন ‘আরে’ দিয়ে তার মনের বার্তা প্রকাশ করার আগমুহূর্তেই সারোয়ার কল কেটে দেয়।‌ ফলস্বরূপ ফারদিনও তার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

চলবে……
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই অনেক অনুরোধ করছিল তাই অতীতটা দেখিয়ে দিলাম। অতীতের আরো কিছু দিক বাকি। এখনো নাছির উদ্দিন এর থেকে অর্ধেক অতীত জেনেছেন। বাকি অর্ধেক জানা যাবে মোঃ আবু সিদ্দিক অর্থাৎ সারোয়ার এর বাবার কাছ থেকে। এবার সবাই বলুন তো দেখি এখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কে দোষী? 🙊 রেসপন্স করেন নাহলে গল্প দেবো না😔।
আমার গ্রুপ লিঙ্ক
https://facebook.com/groups/469093775938467/
পেজ লিঙ্ক
https://www.facebook.com/tasmihaalraiyan
আমার প্রথম গল্প #হৃদয়ের_সঙ্গমে_অভিমান (রিজওয়ান আর অরনিয়ার জুটি) পড়তে সবাই বইটই এপ্যাসে নজর রাখুন। বইটই এপ্যাসে প্রকাশিত হবে ১৬ই আগস্ট ইন শা আল্লাহ। সবাই পাশে থাকবেন আমার।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here