#প্রেমসুধা
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ৩০
তৌসিফ আগামী কাল বউ নিয়ে আসবে হক বাড়ীতে। যেহেতু মুখে বলেছে সেহেতু কথার খেলাপ সে করবে না তা শিওর। বাজারে গিয়ে জামাই আদরের সবটুকু প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন দুই চাচা। চাচিরা ও হাতে হাতে পিঠা বানিয়ে রাখছে। জামাই প্রথম আসবে বলে কথা। শ্রেয়া মুখটা হাসি হাসি করে বসে আছে। চিতই গুড়ে ভেজানোর জন্য বানানো হচ্ছে যাতে আগামী কাল খাওয়া যায় সেই পিঠা খাওয়ার জন্য শ্রেয়া ততটা মুখিয়ে নেই। ওর ধ্যান চাচি শাশুড়ীর বানানো ঝাল চিতইতে। কাঁচা মরিচ আর ধনিয়া দিয়ে বানানো হচ্ছে যদিও মাত্র ই একটা ডিম চিতই খেলো না। গরম ধোঁয়া উড়ানো একটা চিতই পিহা এনে দিলো শ্রেয়ার সামনে। শ্রেয়া ফুঁ দিয়ে মুখে দিতে নিলেই কোথা থেকে হেমন্ত চলে এলো। ফুঁ দিতে দেখেই চাপা স্বরে বললো,
— শ্রেয়ু ফুঁ দিয়ে খেতে নিষেধ করেছিলাম।
— উফ ভুলে গিয়েছিলাম। সরি।
হেমন্ত পিঠা ছিড়ে ছিড়ে রাখলো যাতে তারাতাড়ি ঠান্ডা হয়। ইনি, মিনি দুটোই ঘুমে ঢুলুঢুলু অবস্থা। রাত জাগতে পারে না একটাও। রুমেই ছিলো। ওদের মা মাত্র ই দুটোকে বিছানায় শুয়িয়ে রেখে এলো কিন্তু হেমন্তের গলা পেয়েই এসেছে। জৈষ্ঠ্য আর চৈত্র ও এলো। ওদের খাওয়া দাওয়া চলছে এখানে। হেমন্ত জৈষ্ঠ্য’র দিকে তাকিয়ে বললো,
— দুটো কাল সকালে ফজরের পর ঘুমাস না। তোদের নিয়ে বাইরে যাব।
চৈত্র মুখের টুকু শেষ করে জিজ্ঞেস করে,
— কই যাব হেমু ভাই?
হেমন্ত উত্তর করার আগেই ইনি, মিনি হেমন্তের শরীরে বেয়ে উঠে কাঁধ জড়িয়ে ঝুলে পরলো। কান মুখ দিয়ে কুই কুই শুরু করেছে দুটো। তারা ও যাবে। বড় ভাইয়ের দুই গালে চপচপ শব্দ করে দুটো করে চার জোড়া চুমু ও বসালো। হেমন্ত আড়মোড়া ভেঙে শ্রেয়া’র কোলে মাথা দিয়ে টানটান হয়ে সোফায় শুয়ে পরলো। পা দুটো মেলে দিয়ে বললো,
— পায়ে ব্যথা বুঝলে শ্রেয়ু।
ঠিক সেকেন্ডের ব্যবধানে ব্যাঙের মতো দুটো লাফ দিলো ইনি, মিনি। দুটো দুই পায়ের কাছে বসে কোলের উপরে ভাইয়ের পা ভাগ করে নিলো। ছোট ছোট হাতে পায়ের আঙুল টেনে দিতে দিতে আধ ভাঙা গলায় বললো,
— হেমু বাই নিবা না?
–পায়ের পর আমার মাথা ব্যথা তারপর কাঁধ ব্যথা এরপর পিঠ ব্যথা…..
সকলের মুখে তখন চাপা হাসি।
বাকিটা বলার আগেই পিহা বলে উঠলো,
— পৌষ আপা থাকলেই বলতো হেমু ভাই আপনার গলায় ও ব্যথা আসুন টিপে দেই।
সকলেই হেসে উঠলো। শ্রেয়া একটু পিঠা হেমন্তের মুখে দিয়ে নিজেই চুলগুলো টেনে দিলো। হেমন্ত আদেশের ভঙ্গিতে বললো,
— পিহা সোনা, চা খাওয়াবি?
পিহা রান্না ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললো,
— মা’কে বলছি এখনই।
পিহা বলতেই জৈষ্ঠ্য পাশের সোফায় গা এলিয়ে দিলো। চৈত্র’র দিকে তাকিয়ে বললো,
— চালতা পারতে হবে। পৌষ আপাকে ভর্তা বানিয়ে খাওয়াবে।
— যদি না থাকে?
হেমন্ত ওদের উদ্দেশ্য করে বললো,
— তৌসিফ তালুকদার শা’লা তো জানে না সেধে কাকে বিয়ে করেছে। পৌষ নিজে তো থাকবে তৌসিফ’কে সহ নিয়ে থাকবে। আমার বোন বলে কথা।
কথা যে এটা একদম সত্যি তা সকলেই জানে। পৌষ’র স্বভাব সম্পর্কে কে না জানে?
_________________
পৌষ যাবে না বলে মনস্থির করেছে। তৌসিফ বারবার বলেছে আলমারিতে ব্যাগ রাখা। সেটাই যাতে পৌষ পরে কিন্তু পৌষ যাবে না। ভালো লাগে না বড়লোকদের মাঝে যেতে। একবার হেমন্তের সাথে গিয়েছিলো। কি এক কান্ড ঘটলো সেদিন। ঢের শিক্ষা হয়েছিলো পৌষ’র। এসব জায়গায় আর যাবে না।
তখন ওকে বাসায় নামিয়ে দিয়েই গাড়ি ঘুরিয়ে তৌসিফ কোথায় জানি গেলো। জিজ্ঞেস করলেও উত্তর করে নি ঠিকঠাক উল্টো থুতনিতে চুমু দিয়ে চলে গেলো। পৌষ একা একাই ফ্লাটে চলে এসেছে।
আপাতত গোসল করে সোফায় পা তুলে শুয়ে চিপস খাচ্ছে। কিছুতেই তৌসিফে’র সাথে যাবে না ও।
সোহা নিজের রুম থেকে এসেই বুয়ার সাথে কিছুক্ষণ খ্যাঁচ খ্যাঁচ করলো। সেসবে পাত্তা দিলো না পৌষ। মিনু একটু পর পরই উঁকি দিচ্ছে। তার নাটক দেখার সময় এটা কিন্তু পৌষ কার্টুন ছেড়ে রেখেছে। নাকের পাটা ফুলে উঠলো মিনু’র। পৌষ’র বরাবর বিপরীতে গিয়ে বসলো সোফায়। পৌষ তাতেও পাত্তা দেয় না। চোখ মুখ ডুবিয়ে অনায়াসে চিপস মুখে পুরছে। ছলছল চোখে তাকিয়ে রইলো মিনু। কি মনে করে উঠে গেলো। সোজা সোহা’র কাছে গেলো ও। শয়তানী হাসি দিলো পৌষ। এখন নিশ্চিত সোহা চোহা আসবে। হলোও তাই। সোহা এসেই কড়া গলায় বললো,
— রিমোট ছাড়ো।
চোখ উল্টে তাকালো পৌষ। না বুঝার ভঙ্গিতে বললো,
— কি?
— টিভির রিমোট ছাড়ো।
— কেন?
— মিনু দেখবে এখন?
— দেখুক।
সোহা বিরক্ত হয়ে বললো,
— এসব দেখে না ও।
— সেটা ওর চোখের ব্যাপার আমার না।
সোহা কটমট করে তাকালো। দাঁত চেপে বললো,
— ভদ্র মতো কথা শুনো….
— শুনব না৷ যান ফুটুন এখান থেকে।
— শেষ বার বলছি।
পৌষ ক্ষেপে গেলো। ওর গলাটা যেন কচু খাওয়ার পর যেমন চুলকায় ঠিক তেমন চুলকে উঠলো। ফুঁসে উঠে বললো,
— টিভি আমার জামাই কিনেছে। বাসা আমার জামাই করেছে। রিমোট ও আমার জামাই এর। সোফা ও আমার জামাই এর। আর ঐ জামাই হলো আমার। এরমানে বুঝেন? এরমানে এসব আমার। দিব না।
সোহা টিটকারি করে বললো,
— এসব দেখেই গলায় ঝুলেছো মেয়ে। নাহয় এতসব জেনেও কে বিয়ে করে এমন পুরুষ’কে। যার চরিত্র…..
আচমকা সোহা’র কপালে গিয়ে রিমোট লাগলো। পৌষ ছুঁড়ে মে’রেছে। ততটা লাগে নি অবশ্য। তৌসিফ’কে নিয়ে ওভাবে বলাতেই ওর রাগ উঠে গিয়েছে। রিমোট ছুঁড়ে ফেলেই গটগট পায়ে চলে গেলো ওখান থেকে। সোহা তখনও চোয়াল ফাঁক করে তাকিয়ে আছে। এই মেয়ের সাহস কত? সোহা’কে রিমোট ছুঁড়ে মা’রে?
.
তিনটা ছেলে হাতের ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলো। মুখ বাঁধা থাকায় শুধু গোঙানির ন্যায় শব্দ হলো। হঠাৎ গাড়ির ভেতর থেকে আদেশ এলো মুখ খুলে দেয়ার। ভেতরের মানুষ টা তাদের আর্তনাদ শুনতে চায়। তিনজনের হাত পুণরায় মুচড়ে ধরতেই তারা ব্যথাকাতুর শব্দ তুললো। গাড়ির কাঁচটা উঠে গেলো আলগোছে। অন্ধকারে সহসা মিলিয়ে গেলো তা বাতাসের বিপরীতে শাঁ শাঁ শব্দ করে।
বাড়ীতে ঢুকবে এমন সময় আদিত্য’কে দেখলো তৌসিফ। ওর সাথে দেখা হচ্ছে না আজ অনেকদিন। আদিত্য’কে দেখেই ডাকলো ও গাড়ি থেকে নেমে,
— আদি?
আদিত্য’র পা থেমে গেলো। চাচ্চু’কে দেখেই এগিয়ে এলো ও। তৌসিফ সটান হয়ে দাঁড়িয়ে ওর কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলো,
— কবে যাচ্ছিস?
— এই তো চাচ্চু কিছুদিন আর।
— হুম। তো অবস্থা কি?
আদিত্য অল্প চোখ তুলে তাকালো। অতঃপর ধীরে বলতে চাইলো,
— চাচ্চু তুমি পুষি’কে…..
গগন কাঁপিয়ে ধমক দিলো তৌসিফ,
— এই পুষি কি? পুষি কি? বল! তোর মুখ থেকে পুষি, পৌষ, পৌষরাত কোনটাই জানি না শুনি আদি। চাচি ডাকবি তুই। জিহবা কেটে নিব আমি। এই চাচি না চাচিম্মু ডাকবি। বল মনে থাকবে?
দারোয়ান সহ দুই একজন কাজের মানুষ তাকালো ওদের দিকে। আদিত্য হাত মুঠো করে রাখলো। তৌসিফ ওর নড়চড় না দেখে ধমকালো,
— কথা বল!
আদিত্য মাথা নাড়লো। তাতে পোষালো না তৌসিফে’র। কড়া গলায় বললো,
— মুখে বল।
— ডাকব না।
— কি ডাকবি?
……………
— কথা বল আদি। আমার ধৈর্য’র পরিক্ষা নিস না৷
আদিত্য’র হাতের রগগুলো ফুলে উঠলো। শিরা উপশিরা দেখা যাচ্ছে যেন। রাগে, অপমানে ওর মাথা নিচু করেই বললো,
— চা…চাচি।
— চাচি না চাচিম্মু ডাকবি। মনে যাতে থাকে। তোর চাচার বউ সে। তাকে নিয়ে একটা অক্ষর ও যদি এদিক ওদিক করিস আমি তৌসিফ তুই কে ভুলে যাব। কাঁধে করে যদি ঘুরাতে পারি তাহলে ছুঁড়ে ফেলতেও পারি।
তৌসিফ পা বাড়ালো সিড়ি দিয়ে। পেছনে না ঘুরেই বললো,
— তোর কোন বন্ধু যাতে পৌষরাতের আশেপাশে না থাকে। এরপর জানে মে’রে দিব।
আদিত্য চমকে তাকালো। অবাক হয়ে প্রশ্ন করে,
— আমার বন্ধু?
তৌসিফ কথা বললো না। পিছন ফিরে আদিত্য’র কাঁধ চাপড়ে বুকের বা পাশে হাত রেখে নরম স্বরে বললো,
— তুমি আমার ছেলের মতো আদি। তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি তা তো জানো। জানো না?
আদিত্য মাথা নাড়তেই তৌসিফ অল্প হেসে বললো,
— বাসায় যা।
আদিত্য চলে যেতেই তৌসিফ ও হাটা দিলো। বউ তার নিশ্চিত রেডি হয়ে বসে আছে।
রুমে ঢুকার আগেই ওকে আটকালো সোহা। কপালে সাদা ব্যান্ডেজ করা। আদৌ কতটুকু কি হয়েছে কে জানে। সে মাথা পেঁচিয়েছে সাদা ব্যান্ডেজ দিয়ে। তৌসিফ একপলক তাকিয়ে ই প্রশ্ন করলো,
— মাথায় কি হয়েছে?
সোহা নাক টেনে বললো,
— পৌষ করেছে এটা।
তৌসিফ অবাক হলো। আশ্চর্য হওয়া কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
— মানে? ও কেন করবে? নিশ্চিত এমন কিছু ই করেছো তুমি সোহা?
সোহা অবাক হলেও আমলে নিলো না। আক্রোশ মিশ্রিত গলায় বললো,
— আমার মাথায় রিমোট আছাড় মে’রেছে ও। এখনও এর বিচার পাব না? বেয়াদব মেয়ে সে একটা। বড় ছোট মানে না।
তৌসিফ মাথা ঠান্ডা করলো। তার কাছে সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। সোহা’কে জানালো,
— আমি কথা বলছি ওর সাথে।
— কথা বলছি? কি বলার আছে? এই যে আমার মাথা। এরপর কি বলার আছে?
তৌসিফ কথা বাড়ালো না। রুমে চলে এলো। মুড নষ্ট করার ইচ্ছে আপাতত নেই।
ঘুটঘুটে অন্ধকার রুম দেখেই ভ্রুঁ কুঁচকায় তৌসিফ। পৌষ কোথায়? ওকে তো রেডি হয়ে থাকতে বলেছিলো। লাইট অন করতে করতে ডাকলো,
— হানি? আর ইউ দেয়ার?
লাইন অন হতেই বিছানায় দেখা গেলো ওকে। কাঁথা দিয়ে মাথা সহ ঢেকে রেখেছে সে। তৌসিফ ফোঁস করে শ্বাস ফেললো। কাঁথা সরাতে নিলেই পৌষ শক্ত হয়ে রইলো। তৌসিফে’র মাথায় রাগ উঠে গেলো। এই মেয়ে কেন জ্বালাচ্ছে ওকে?
তৌসিফ এক টানে কাঁথা টেনে সরালো। পৌষ তবুও ঠ্যাটার মতো পরে রইতেই তৌসিফ এক টানে ওকে ধরে তুললো। পৌষ চোখ খুললো না। তৌসিফ এবার দিলো এক ধমক,
— কি সমস্যা? কি হয়েছে? সোহা’কে কেন মে’রেছো? কেন জ্বালাচ্ছো আমায় তুমি? রেডি হও নি কেন?
পৌষ মাথা তুলে তাকালো। রাগী সুরে বললো,
— ঐ সোহা…..
— কি? বলো?
— বলতে দিন। মুখের কথা টেনে নিয়ে বলেন ‘বলো’?
এত কেন জ্বলছে ঐ সোহা’র জন্য। মনে হচ্ছে পাতলা ডালে বাগার দিলো কেউ। আপনাকে চরিত্রহীন বলেছিলো। টিভির রিমোটের জন্য বলেছে। মানলাম আমি তর্ক করেছি তাই বলে এমন কথা বলবে? শুধু বলেছিলাম টিভি, রিমোট আর বাসা আমার জামাই এর মানে আমারই।
তৌসিফ নরম হলো। ওকে কাছে টানতেই চিরবির করে উঠলো পৌষ। তৌসিফ তাকে শান্ত করতে জানে। ওর হাত ধরে নিতে নিতে বললো,
— রেডি হও নি কেন হানি?
— যাব না তো।
— যেতেই হবে তোতাপাখি।
— আআআ যাব না৷
তৌসিফ চোখ গরম দেখাতেই চুপসে গেলো ও। আলমারি খুলে ব্যাগ নিয়ে কাপড় বের করেই চমকালো। এটা কোন কাপড় না। এটা তো নাইট ড্রেস!
পৌষ দাঁত চেপে বলে উঠলো,
— এটা পরে যাব?
তৌসিফ স্বাভাবিক ভাবেই ওটা সরালো। জানালো,
— আরে শাড়ি আনলাম তো হানি। ওটা পরবে। এটা ফিরে এসে পরবে।
— এটা কিছুতেই পরব না আমি।
— এখন না তো হানি৷ এটা ফিরে এসে পরবে। শুধু আমার সামনে।
দাঁত চেপে ধরে পৌষ দ্বিতীয় ব্যাগটা হাতে নিলো। কালো রঙের একটা শাড়ি। অসম্ভব সুন্দর বটে। পৌষ’র মনটা ঝলমলিয়ে উঠলো সহসা। মুখে হাসি ফুটে উঠলো কিন্তু তা বেশিক্ষণ টিকলো না। ব্যাগে পুণরায় হাত ঢুকাতেই ব্লাউজ সহ অন্য কিছু বেরিয়ে এলো। চোখ বড় বড় করে তাকালো পৌষ। রাগে ছুঁড়ে মা’রলো তা যা গিয়ে পরলো তৌসিফে’র মুখে। পৌষ হিসহিসিয়ে বললো,
— আপনাকে বলেছি এসব আনতে.?
তৌসিফ মাথা থেকে তা হাতে নিয়ে বললো,
— আমি না আনলে কে আনবে.?
— চেয়েছি আমি?
— লাগে তো।
— আপানাকে বুঝতে বলেছি? অসভ্য লোক। এসব কেন ধরেন আপনি? সাইজ কে বলেছে আপনাকে?
— বউ আমার। সঠিক বেঠিক সব সাইজ আমার জানা আছে।
পৌষ তৌসিফে’র হাত থেকে টেনে নিলো ওটা। দৌড়ে গিয়ে ঢুকলো ওয়াশরুমে। ভেতরে গিয়ে গা’লি ও দিলো দুটো যা ছিলো অতি সস্তা। এই মেয়ে’র মুখের বুলি হয়েছে এই দুটো কথা। তৌসিফ নিজের সুট বুট বের করলো। তারা ওখানে স্পেশাল গেস্ট। বউয়ের সাথে বলতে গেলে এই প্রথম বন্ধুদের সাথে দেখা। একটু হাব ভাব ঠিক রাখতেই হয়।
#চলবে……
[ নতুন মলাট বই “নৈঃশব্দ্যে তার আগমন” এটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন। অতি শিঘ্রই উত্তর দিব ইনশা আল্লাহ]