#মনশহরে_তোমার_নিমন্ত্রণ
#২৯তম_পর্ব
“আপনার পছন্দমত কেনো সাজবো?”
“কারণ আমি তোমাকে দেখতে আসবো”
নীলাদ্রির কথাটি শোনার পর পিউয়ের মাঝে খুব একটা ভাবান্তর হলো কি না বোঝা গেলো না। তার নির্লিপ্ত চাহনী আগের মতোই হইলো। নীলাদ্রি ভেবেছিলো এমন কিছু বললে হয়তো মেয়েটি লজ্জা পাবে। যদিও পিউ খুব একটা লজ্জাবতী লতা নয়। তবুও উপন্যাসের পাতা ঘাটলে অহরহ প্রমাণ পাওয়া যায় নারী এমন ধরণের বাক্যে লজ্জায় গলে যায়। তাদের চোখের পাতা তিরতির করে কাঁপে। কেউ স্তব্ধ চোখে অশ্রু ছেড়ে দেয়। অথবা ঠাটিয়ে থাপ্পড় মারে কারণ তার কথাটি পছন্দ হয় নি। পিউয়ের মাঝে তিনটি লক্ষণের একটিও লক্ষ করা গেলো না। ফলে এই প্রথম ভয় দেখা গেলো নীলাদ্রির অক্ষিকোটরে। পিউ স্বাভাবিক। খুব ঠান্ডা স্বরে শুধালো,
“আমি কি চিড়িয়াখানার জন্তু যে আপনি ঘটা করে দেখতে আসবেন?”
নীলাদ্রি কিছু সময় বেকুবের মতো চেয়ে রইলো। হতবাক স্বরে বললো,
“এ দেখা সে দেখা নয়”
পিউ এবার একটু এগিয়ে এলো। তাদের মধ্যকার দূরত্ব গুছিয়ে শুধালো,
“এ দেখা কোন দেখা নীলাদ্রি ভাই?”
“তুমি কি সত্যি এতোটা অবুঝ পিউ? নাকি ভান করছো?”
“হতে পারি দুটোই”
নীলাদ্রি শুকনো ঢোক গিললো। তার কপাল ঘেমে গেছে। বুক ধরফর করছে। লক্ষণ গুলো রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার। ঘাড় টনটন করে ব্যাথা করছে। নীলাদ্রির এমন অনুভূতি হয়েছে ইন্টার পরীক্ষার বায়োলজির দিন। হুট করেই মনে হচ্ছিলো সে কিছুই পারে না। প্রশ্নগুলো কাগজ থেকে উঠে নৃত্য করছে। এই প্রশ্ন পৃথিবীর প্রশ্ন নয়, মহাজাগতিক কিছু। এই অনুভূতিটা আবারও হচ্ছে। তবুও কাঁপা কন্ঠে বললো,
“আমায় বিয়ে করবে পিউ? আমি জানি… আমি জানি তোমার জন্য আমি একেবারে অযোগ্য মানুষ। আমার মতো পাগল ছাগলকে বিয়ে করা আর গাছের সাথে জীবন কাটানো একই। প্রেমিক, প্রণয়ন শব্দগুলো আমার জন্য বৃথা। তবুও আমি আমি তোমাকে চাই। আমার স্ত্রী রুপে, আমার বন্ধু রুপে, আমার জীবনসঙ্গীনি রুপে। তোমাকে নিয়ে ভাবলেই মনে হয়, আমি যেন এক অলীক জগতে হাঁটছি, যেখানে তোমার প্রতিটি কথা, প্রতিটি হাসি, প্রতিটি স্পর্শ আমাকে নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমার পৃথিবী তোমার চারপাশে আবর্তিত হয়, আর তুমি ছাড়া সেই পৃথিবী যেন নিঃসঙ্গ, বিবর্ণ। তোমার অনুপস্থিতিতে আমি যেন এক শূন্যতায় ভেসে থাকি, আর তোমার উপস্থিতি আমার সমস্ত অস্তিত্বকে পরিপূর্ণ করে দেয়। তুমি আমার ভেতরের প্রতিটি না বলা কথার উত্তর, প্রতিটি নির্জন মুহূর্তের সঙ্গী। আমি সইতে পারি না তোমার হাসিটুকু অন্যকারোর জন্য হোক। আমি তোমার প্রেমে পড়ি নি পিউ। আমি তোমাকে হয়তো পুজি”
নীলাদ্রির কন্ঠ কাঁপছে। তার চোখ ছলছল করছে। অন্যপ্রান্তের মানুষটি ঠোঁট কামড়ে ক্রুদ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে। ধরা স্বরে শুধু কোনমতে বললো,
“খেতে আসুন”
নীলাদ্রির শক্ত বাঁধন ততসময়ে ঢিলে হয়ে গিয়েছিলো। ফলে হাত ফসকে গেলো কোমল হাতখানি। পিউ একপ্রকার ছুটে পালালো। নীলাদ্রি তাকিয়ে রইলো সেই যাবার পথে। আলো আঁধারে ল্যাম্পপোস্টের নিচে মেয়েটিকে মনে হলো সে যেনো কোনো মহাকাব্যের শেষ পঙক্তি। চোর মহাশয় এতোসময়ে মুখ খুললো যেনো,
“ভাইজান, আপনের পছন্দ ভালা। তয় আপনে এক্কান বলদ। আমি জীবনে কাউরে এমনে বিয়ের প্রস্তাব দিতে দেহি নাই”
নীলাদ্রি হতাশ দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। এই প্রথম আফসোস হলো সে কেনো প্রেমিকপুরুষদের মতো নয়।
***
অভ্রের জানালাটা খোলা। হালকা বৃষ্টি মিশ্রিত ভেজা বাতাস প্রবেশ করছে খোলা জানালা দিয়ে। অভ্র দাঁড়িয়ে আছে সেখানে। তার জানালা দিয়ে ঐন্দ্রিলার আলোহীন ঘরটি ব্যাতীত শুধু আকাশ দেখা যায়। কৃষ্ণ আকাশ। চাঁদ নেই আজ। তাই আকাশটিকেও আজ বড্ড পানসে লাগছে। অভ্র ভসভস করে নিকোটিনের ধোঁয়া ছাড়ছে। সিগারেটের গন্ধ সহ্য হচ্ছে না ঐন্দ্রিলার। কিন্তু কিছু বলতে পারছে না। কারণ তাকে সেই আটকে রেখেছে। বারান্দার দরজাটা নিজেই বন্ধ করে রেখেছে। যদি আবার চোর আসে। চোরের আতঙ্কটা একটু বেশি জেকে বসেছে হৃদয়ে। অন্যদিকে সেই সুযোগটা নিয়ে অভ্র রুমের ভেতর স্মোকিং করছে। ভসভস করে সিগারেটটা শেষ করে না নিভিয়েই ফিল্টারটুকু ফেলে দিলো। ঐন্দ্রিলা সাথে সাথেই বললো,
“নিভাস নি তো, আগুন ধরে গেলে?”
“ড্রেনে পড়েছে। আগুন ধরবে না”
“তুই তো সবজান্তা শমশের!”
অভ্র পারফিউম দিয়ে সিগারেটের ঝাঝালো গন্ধকে অপসারণ করার চেষ্টা করলো। এর মাঝে কানন এলো খাবার নিয়ে। ট্রে রাখতে রাখতে হুকুমের স্বরে বললো,
“ঐন্দ্রিলাকে খাইয়ে দে”
“ওর হাতে কি ন্যাবা হয়েছে নাকি?”
” ঠাটিয়ে চড় লাগাবো। ওর হাত কেটে গেছে দেখিস নি? উপরে কি ভয় না পেয়েছে। আমার তাই আত্মা খাঁচা ছাড়া হয়ে গিয়েছিলো। চোরটা গবেট বলে ভয় পেয়ে গিয়েছিলো। যদি সত্যি সত্যি গলায় ছুরি বসিয়ে দিতো?”
অভ্র চুপ করে রইলো। কানন ঐন্দ্রিলাকে তিনবার আয়াতুল কুরসি পড়ে ফু দিলেন। ঐন্দ্রিলাকে সাহস দিয়ে বললেন,
“ভয় পাবে না কেমন। ভয় লাগলে ডেকো দরকার হলে আমি রাতে তোমার সাথে ঘুমাবো ঠিক আছে?”
ঐন্দ্রিলা মাথা নাড়ালো। অভ্র বিরক্তি টেনে বললো,
“কোনো দরকার নেই। ও এখন ভয় পাচ্ছে না। আর পেলে আমি দেখে নিব। তুমি নিজে যাও। আনন্দ কর”
কাননের ঠোঁট উলটে বললো,
“চোর বেয়াদবটার জন্য তোদের পিকনিকটা নষ্ট হয়ে গেলো। ইশ! কি যে খারাপ লাগছে”
“আপনি মন খারাপ করবেন না মামনি। অভ্র তো আছে এখানে। আপনি মজা করুন। আমার জন্য আপনাদের আনন্দ মাটি হলে আমি কষ্ট পাবো”
“শুনেছো তো এবার নিচে যাও মা”
একরকম জোর করেই অভ্র তাকে ঘর থেকে বের করে দিলো। দরজার ছিটকিনি আটকে বসলো ঐন্দ্রিলার পাশে। হাত পেছনে হেলান দিয়ে শুধালো,
“খাইয়ে দিতে হবে?”
“আমি কারোর দয়া চাই নি৷ এতো অসুবিধা হলে বাধ দে। আমি খেয়ে নিবো”
অভ্র সরু চোখে তাকালো। তারপর হাত ধুয়ে প্লেট হাতে নিলো। পোলাও এর সাথে মুরগীর লটপটি এবং ডিম নিলো। মুরগীর রোষ্টটা দেখতে মাত্রাতিরিক্ত লাল লাগছে। ঐন্দ্রিলা ঝাল খেতে পারে না বেশি তাই শুধু মাংসটুকু নিলো। সে ডিমের কুসুম পছন্দ করে। তাই তাই নিজের ডিমের কুসুমটুকুও প্লেটে নিলো। ব্যাপারটা লক্ষ করলো ঐন্দ্রিলা। প্রশ্ন করলো,
“তুই খাবি না?”
“জিম শুরু করবো ভেবেছি। তাই কুসুম খাওয়া ছেড়ে দিবো”
“জিম করা লাগবে কেনো? এমনেই তো বেলুনের মতো ফোলা হাত পা। গলায় পড়লে দম বের হবার যোগাড়”
“এটাকে ফিট হওয়া বলে, নাও হা কর”
বলেই লোকমা তুলে দিলো অভ্র। ঐন্দ্রিলার বা হাত কেটেছে। তাও সে ফিট বাবুর মতো বসে বসে অভ্রর হাতে খেতে লাগলো। কেনো যেনো মন্দ লাগছে না। বরং এক অবর্ণনীয় তৃপ্তি যেনো। ঐন্দ্রিলা পা গুটিয়ে অভ্রের দিকে ফিরে বসলো। গাল ভর্তি খাবার নিয়ে চাবাতে চাবাতে বললো,
“তো কাকে পটানোর জন্য এই জিম করা শুনি?”
“মাহাবুল হক কাউকে পটানোর জন্য রুপচর্চা করে না। প্রয়োজন ই নেই৷ ফুল সুন্দর হয় নিজের জন্য। ভ্রমরের কাজ তার সৌন্দর্য্যে বিমোহিত হওয়া। তবে যদি রানী মৌমাছির কথা হয় তবে কাহিনী আলাদা”
“এই রানী মৌমাছিটি কি তৃষা?”
ঐন্দ্রিলার কঠিন প্রশ্নে থেমে গেলো অভ্রের হাত। ঠোঁটের কোনায় ফিঁচেল হাসি। ঐন্দ্রিলার ঠোঁটের কোন বা হাত দিয়ে মুছে দিতে দিতে মৃদু হেসে বললো,
“আমাকে নিয়ে বড্ড বেশি কৌতুহলী হয়ে যাচ্ছিস দেখছি! তোর জেরা শুনে একটা বউ বউ ফিলিংস হচ্ছে। সাবধান ঐন্দ্রিলা, আমি কিন্তু আমার টেনে ধরে তোকে আমার পুতুলের সংসারের খেলায় মত্ত হব”
ঐন্দ্রিলার অক্ষিকোটর বড় হল। অভ্রের হাসির মাত্রা বাড়লো। এরপর নীরবতা বিস্তৃত হলো ঘরে। অভ্র ঐন্দ্রিলাকে খাইয়ে দিলো। পুরোটা সময় কোনো কথা বললো না ঐন্দ্রিলা। তাকে খাইয়ে অভ্র খেয়ে নিলো।
খাওয়া দাওয়ার পাঠ চুকিয়ে হাত মুখ ধুয়ে কাপড় বদলে খাটের এক পাশে হেলান দয়ে শুয়ে পড়লো সে। বিল্লাল ফোন করছে। অভ্র ফোন ধরে গম্ভীর স্বরে বললো,
“তৃষাকে বাসায় পৌছে দিয়ে আয়”
“আমি কেন? আপদ তো তুই এনেছিস”
“এখন কয়টা বাজে দেখেছিস?”
বিল্লাল আর উত্তর দিলো না। ফোন খট করে কেটে দিলো। ছেলেটা মোটেই পছন্দ করে না তৃষাকে। কেনো করে না সেটাও প্রকাশ করে না। ব্যাপারটায় বিনোদন পায় অভ্র। এজন্য আরোও তৃষার দিকে বিল্লালকে ধাক্কা দিয়ে ইচ্ছে হয়। কথাটা ভাবতেই অভ্র হাসলো। ঐন্দ্রিলা হাত মুখ ধুয়ে বিছানায় এসে বসলো। পানির কনা লেপ্টে আছে তার কোমল মুখে। অভ্র তাকিয়ে রইলো তার দিকে। এই কোমল মুখশ্রীতে লুকিয়ে আছে এক অদ্ভুত গভীরতা, যেন সেখানে মিশে আছে সমুদ্রের অতলান্ত রহস্য আর আকাশের অবিনশ্বর স্বপ্ন। যার দিকে তাকিয়ে হৃদয় ভরে যায় প্রশান্তির মৃদু বাতাসে। মেয়েটি কি এটা জানে! ঐন্দ্রিলা তখনো অন্যমনস্ক। তার নুয়ে থাকা নেত্রপল্লবে লেপ্টে আছে অগণিত গল্পসমারহ। মেয়েটিকে নিয়ে লিখতে বসলে অভ্রের পাতার সংকট হবে। এমন অমার্জিত কাজ অভ্র করে না। সৌন্দর্য তো হবেই। নারী মানেই সুন্দর। পৃথিবীর সব সৌন্দর্য্য সৃষ্টিকর্তা তাদের জন্য বরাদ্দ করেছেন। আর রুক্ষতা দিয়েছেন পুরুষকে। এটাই তো প্রকৃতির নিয়ম। অভ্র তো প্রকৃতির বহির্ভূত নয়। তাই এই সৌন্দর্যের মাঝে সে আকর্ষিত হয় না। আকর্ষিত হয় সেই নোনাজলের। বসন্তের বর্ষণের মত ঐন্দ্রিলার অশ্রু তাকে মুগ্ধ করে। সেই অশ্রু এক চিরন্তন স্রোতের মতো, যা বয়ে নিয়ে চলে এক অমোঘ যাত্রা। ঐন্দ্রিলা লক্ষ করলো অভ্র তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে কিছু বললো না। শুধু ধীর স্বরে বললো,
“তৃষাকে কে বাসায় দিয়ে আসবে?”
“বিল্লাল পৌছে দিবে”
“তুই যাচ্ছিস না?”
“প্রয়োজন নেই”
কথাটায় একটু হলেও যেনো স্বস্তি পেলো ঐন্দ্রিলা। মস্তিষ্ক জুড়ে এক অদ্ভুত চিন্তা বাসা বেঁধেছে। কিন্তু চিন্তাগুলো বিক্ষিপ্ত যেনো। এই বিক্ষিপ্ত চিন্তাগুলো তাকে শান্তি দিচ্ছে না। আত্মসম্মানের দেওয়াল ভেঙ্গে বলতে ইচ্ছে করছে,
“তোর সাথে তৃষার কি সম্পর্ক”
কিন্তু প্রশ্নটা করাই হচ্ছে না। তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললো ঐন্দ্রিলা। হঠাৎ উষ্ণ হাতের স্পর্শ লাগলো হাতে। পাশে ফিরতেই দেখলো অভ্র তার হাত ধরে আছে। ধীর স্বরে বললো,
“ভয় লাগলে আমার হাত ধরে থাক। ভয় লাগবে না। একবার ঘুম চলে এলে দেখবি সব ওকে”
কথাটায় কিছু একটা ছিলো। বিশ্বাস, ভরসা? জানা নেই। তবে ভয় লাগছে না ঐন্দ্রিলার। চোখ বুজতেই ঘুম নেমে এলো চোখের পাতায়। যেনো কত বছরের ক্লান্তি।
****
“আমি তোর থেকে মুক্তি চাই ঐন্দ্রিলা”
বলেই একটা কাগজ এগিয়ে দিলো অভ্র। ঐন্দ্রিলা খাদি কাগজটির দিকে তাকিয়ে আছে। অবাক স্বরে বললো,
“কিন্তু বিয়েটা তোর জেদে হয়েছে”
“আমি ভেবেছিলাম, তোর সাথে এডজাস্ট করে নিবো। কিন্তু মিথ্যে সম্পর্ক টানা যায় না”
“আমি তোর ঘরের পারফেক্ট বউ হবার জন্য দিন রাত এক করে দিচ্ছি আর তুই এমন কথা বলার সাহস কোথা থেকে পাস?”
“কিন্তু আমার বউ তো হতে পারছিস না। আমার দমবন্ধ লাগছে”
অভ্রের কন্ঠ অনড়। কোনো ভাবান্তর নেই। কঠিন মুখখানায় কোনো অভিব্যাক্তি নেই। ঐন্দ্রিলার মনে হলো শিরদাঁড়া বেয়ে কোনো ব্যাথার স্রোত বয়ে গেলো। হৃদয়ের অভ্যন্তরে বেদনার জলোচ্ছ্বাস ক্রমে তীব্র হয়, আর অভ্যন্তরীণ স্তব্ধতা নিঃশব্দে গোপন কষ্টের কথা বলছে যেন। সব কিছু ঝাপসা লাগছে। সব কিছু লেপ্টে আছে পানসে আভায়, যেনো কোনো নীরব প্রার্থনা মূর্তি। সাথে সাথেই ধরফরিয়ে উঠলো ঐন্দ্রিলা। সারা দেহে ঘাম দিয়েছে। সে এতটা সময় স্বপ্ন দেখেছে। বিশ্রী স্বপ্ন। ঠিক তখনই চোখের সামনে ভেসে উঠলো অভ্রের প্রতিবিম্ব,
“কি হয়েছে? বাজে স্বপ্ন দেখেছিস?”
ঐন্দ্রিলা কোনো কথা বললো না। হাতজোড়া এগিয়ে দিয়ে তড়িৎ গতিতে জড়িয়ে ধরলো সে অভ্রকে……
চলবে
(বইটই তে চলছে ই-বুক মেলা। EBOOKMELA প্রমোকোড ব্যাবহারে আমার সব বই এ পেয়ে যাবেন ২৫% ছাড়। ই-বুক মেলার প্রকাশিত পরানে লাগিলো নেশা মাত্র ৪২ টাকায়, মাত্র ৪৫ টাকায় চাঁদ বলে হাতটি ধরো, ৩৮ টাকায় বাদলা দিনের প্রথম বসন্ত, ৩০ টাকায় অনুরক্ত ক্যানভাস আর আমার প্রথম বই তন্দ্রাবিলাসী মাত্র ৬৪ টাকায়। দেরি না করে এখনই পড়ে নিন সব বই। মিস করলেই মিস। আর মাত্র চারদিন রয়েছে)
মুশফিকা রহমান মৈথি