#উষ্ণ_প্রেমের_আলিঙ্গন
#পর্ব২৬
#আফিয়া_আফরোজ_আহি
গোধূলি বিকেলে স্বল্প মেঘেদের আনাগোনা। হিমেল হাওয়া মুহূর্তেই এক রাশ ভালো লাগা ছুঁয়ে দেয় মনের কোণে। উষ্ণ আলিঙ্গনের আবেশে জড়িয়ে রয়েছি একে অপরের সাথে। চোখ বুঝে দুজন দুজনকে অনুভব করছি। এ যেন বহুদিনের জমিয়ে রাখা তৃষ্ণা। এভাবেই নিবিড় আলিঙ্গনে কতটা সময় চলে গেছে তার খেয়াল কারোই নেই। হটাৎ কেউ কেবিনের দরজার নক করতেই হুস এলো। আদ্র ভাইকে ছেড়ে দূরে সরে গেলাম। শুভ ভাই ভিতরে ঢুকলো। সোফায় গাঁ এলিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“এখন কেমন লাগছে আদ্র? ওষুধ ঠিক মতো খাচ্ছিস? বেটার ফিল হচ্ছে?”
আদ্র ভাই সম্মতি জানিয়ে বলল,
“আলহামদুলিল্লাহ আগের চেয়ে বেটার”
“বেটার তো হবেই। কেউ একজন নাওয়া খাওয়া ছেড়ে যে তোর সেবায় মগ্ন ছিলো। সুস্থ না হয়ে যাবি কোথায় বল? তুই সুস্থ না হলে যে তার সকল পরিশ্রম বৃথা যেত। তার জন্য হলেও তোকে সুস্থ হতে হতো”
“এটা ঠিক বলেছো। তার জন্যই তো আমায় এতো তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে হলো। নাহলে ভেবেছিলাম কয়েকদিন সবার সেবা যত্ন নিবো। তা আর হলো কই”
আদ্র ভাই আর শুভ ভাইয়ের কথা শুনে লজ্জা লাগছে। দুজন মিলে যে আমার লেগপুল করছে এটা তো বুঝতেই পারছি। এই আদ্র ভাই একটা যাচ্ছে তাই। সাথে যোগ দিয়েছে শুভ ভাই। মনে পড়ে গেল সেদিনের কথা। সেদিন যখন আদ্র ভাইয়ের হাত ধরে আহাজারি করছিলাম তখন পিছন থেকে হটাৎ কেউ কাঁধে হাত রাখলো। পিছনে তাকিয়ে দেখি শুভ ভাই। শুভ ভাইয়ের চোখে প্ৰশ্ন। অতঃপর শুভ ভাই জিজ্ঞেস করেই বসলো,
“ভালোবাসিস আদ্রকে?”
হটাৎ এভাবে শুভ ভাইকে দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কি বলবো বুঝতে পারছি না। তার প্রশ্নের উত্তরে কিছুক্ষন নিরুত্তর রইলাম। শুভ ভাই আবার জিজ্ঞেস করলো,
“কি হলো উত্তর দিচ্ছিস না কেন?”
মনের মাঝে দোটানায় ভুগছি। সত্যিই কি আমি আদ্র ভাইকে ভালোবাসি? নাকি বাসি না? শুভ ভাইয়ের সামনেই বা কিভাবে বলবো? কিছুক্ষণ সময় নিয়ে মনের মাঝের সকল দোটানা দূর করলাম। বুক ভরে শ্বাস নিয়ে সাহস জুগিয়ে বলেই দিলাম,
“হ্যাঁ! আমি ভালোবাসি আদ্র ভাইকে”
শুভ ভাই অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। হয়তো ভাবতে পারেনি আমার উত্তর ইতিবাচক হবে। নিজেকে স্বাভাবিক করে জিজ্ঞেস করলো,
“আদ্র জানে?”
মাথা নিচু করে উত্তর দিলাম,
“না”
এরপর কিছুক্ষণ দুজনের মাঝে র্নিরবতা বিরাজ করলো। দুজনেই নিশ্চুপ। শুভ ভাই বলল,
“একটা কথা বলি শোন, আদ্র তোকে অনেক ভালোবাসে। ওর কিশোর বয়সের ভালোবাসা তুই। যেই বয়সে ছেলেরা প্রতিদিন নতুন নতুন রমণীর প্রেমে পড়ে সেই বয়সের ছেলেটা তোর প্রেমে পড়েছে বারবার। তোর মনে ওর জন্য অনুভূতি নেই জেনেও ও তোকে পা*গলের মতো ভালোবেসে গেছে। প্রতিদানে কিছুই চায়নি। নিঃস্বার্থ ভালোবাসা যাকে বলে। সেই কিশোর বয়স থেকে ভালোবেসে গেছে, এখনো ভালোবাসে। আমি নিজে ওর চোখে তোর জন্য আকাশ সম ভালোবাসা দেখেছি। তোর জন্য ওর হাহাকার দেখেছি। তাই ভাই হিসেবে বলবো ওকে হারাতে দিস না। অবহেলা করিস না। ভালোবেসে আগলে রাখিস”
আমি মাথা নিচু করে মনোযোগ দিয়ে শুভ ভাইয়ের কথা শুনছি। নিজেকে বড্ড বোকা আর অভাগিনী মনে হচ্ছে। সবাই জানে তার ভালোবাসার কথা আর আমিই কিনা বুঝতে পারলাম না। কেন পারলাম না? শুরুতেই যদি তার ভালোবাসা বুঝতে পারতাম তাহলে জীবন অনেকটা সুন্দর হতো। খারাপ লাগছে আদ্র ভাইয়ের জন্য। মানুষটা কতোটাই না কষ্ট সহ্য করেছে। চোখের সামনে নিজের ভালোবাসার মানুষ কে অন্য কাউকে ভালোবাসতে দেখার অনুভূতি যে জঘন্য। নিজের ভালোবাসার মানুষেই চোখে অন্য কারো জন্য ভালোবাসা দেখা বড্ড কষ্টকর। আমি তো পারবো না সহ্য করতে। শেষ হয়ে যাবো তিলে তিলে। আদ্র ভাইয়ের কথা ভেবে মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল। শুভ ভাই আরো কিছু কথা বলে চলে গেল। আদ্র ভাইয়ের হাত নিজের হাতের মাঝে নিয়ে নিলাম। আমি প্রতিবার এই মানুষটার ভালোবাসার কথা শুনে মুগ্ধ হই। প্রেমে পড়ে যাই তার। মানুষ এভাবেও কাউকে ভালোবাসতে পারে?
——-
মাঝে কেটে গেছে আরো কয়েকটা দিন। আদ্র ভাই এখন প্রায় সুস্থ। গতকাল বিকেলে উনাকে বাসায় নিয়ে আশা হয়েছে। ফুপ্পি আদ্র ভাইকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলেও বড় আব্বু যেতে বারণ করেছে। ওই বাড়িতে দিনে ফুপ্পি আর আরু থাকে। ফুফা চলে যায় অফিসে। আরু চলে যায় কলেজে। পুরো বাড়ি সামলে আদ্র ভাইয়ের সেবা করতে গিয়ে ফুপ্পি হিমশিম খেয়ে যাবে। তাই ওদের আমাদের বাড়িতেই রাখা হয়েছে। আমার আর শুভ ভাইয়ের মাঝের রুমটা আদ্র ভাইকে দেওয়া হয়েছে। আদ্র ভাইয়ের দেখাশোনা ফুপ্পি আম্মু এদের চেয়ে আমিই বেশি করি। বাসায় থাকা কালীন পুরোটা সময় তার আশেপাশেই আমার কেটে যায়। উনাকে একা ছাড়তেও ভয় হয় যদি তার কিছ প্রয়োজন পরে। কেউ না কেউ সব সময় আদ্র ভাইয়ের কাছেই থাকে।
মেডিকেল থেকে ফিরে সিঁড়ি বেয়ে সোজা আদ্র ভাইয়ের রুমে ঢুকলাম। ফুপ্পি আদ্র ভাইয়ের পাশে বসে আছে। মা ছেলে মিলে গল্প করছে। আদ্র ভাইয়ের সাথে ফুপ্পি বন্ডিং টা খুবই ভালো। একদম বন্ধুর মতো।
“ফুপ্পি তোমার ছেলে কেমন আছে? সব ঠিকঠাক তো?”
“তুই নিজেরই দেখে নে”
আদ্র ভাই বলল,
“তোমরা আমাকে নিয়ে যা শুরু করেছো মনে হচ্ছে আমি মারাত্মক কোনো রোগে আক্রান্ত। আরে বাবা আমি এখন ঠিক আছি। অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছি”
আদ্র ভাইয়ের কথা শুনে ফুপ্পি চোখ রাঙিয়ে তাকালো। আদ্র ভাই চুপ হয়ে গেলেন। ফুপ্পি সামনে যে তার জারি জুড়ি চলবে না এটা উনি ভালো করেই জানেন।
“ফুপ্পি তোমার ছেলে দুপুরের খাবার খেয়েছে? ওষুধ দিয়েছো তাকে?”
আমার কথা শুনে ফুপ্পি মাথায় হাত দিলো। জিভ কেটে বলল,
“দেখলি আমি কি মন ভুলো? এসেছিলাম ওকে খাবার খাওয়াতে। এরপর মা ছেলে মিলে গল্প করা শুরু করলাম খাওয়ানের কথা বেমালুম ভুলে গেছি”
ফুপ্পি কথা গুলো বলে বিছানায় পাশে টেবিলে রাখা খাবার হাতে নিলো। এমন সময় নিচ থেকে আরুর ডাক। আরু ফুপ্পিকে অনবরত ডেকেই চলেছে।
“আম্মু তোমার মেয়ের আবার কি হলো? এভাবে ষাঁড়ের মতো চেঁচাচ্ছে কেন? তুমি যাও ওর কাছে”
“তোকে খাইয়ে দিয়ে যাচ্ছি”
“তুমি যাও আমি খেয়ে নিব”
“তুই খেতে পারবি না”
আমি ফট করে বলে উঠলাম,
“ফুপ্পি তুমি যাও। আমি খাইয়ে দিচ্ছি”
“তুই সবে মাত্র এলি, ফ্রেশও হোস নি”
“আরে সমস্যা নেই। তুমি যাও”
ফুপ্পি চলে গেল। হাত ধুয়ে এসে খাবারের প্লেট নিয়ে বসেছি। খাবার মাখিয়ে আদ্র ভাইয়ের মুখের সামনে ধরলাম। আদ্র ভাই আমার দিকে কেমন করে চেয়ে আছে।
“কি হলো ওভাবে তাকিয়ে আছো কেন? হা করো”
“দেখছি”
“কি?”
“নতুন রূপে নতুন রৌদ্রময়ীকে”
“মানে?”
“যেই মেয়ে অলসতায় খাইয়ে না দিলে খায় না। ঠিক মতো নিজের যত্ন নেয় না। তার যত্ন নেওয়ার জন্য কাউকে না কাউকে লাগে। সে কি সুন্দর করে আমার খেয়াল রাখছে। আমার সেবা করছে। যত্ন করে খাইয়ে দিচ্ছে। এ যেন তার নতুন রূপ আমার কাছে”
“কথা না বাড়িয়ে হা করো তো”
আদ্র ভাই হা করতেই মুখে খাবার পুরে দিলাম। আমি উনাকে খাইয়ে দিচ্ছি আর উনি আমার দিকে তাকিয়ে খাচ্ছেন। বিষয়টা কেমন লজ্জার লাগছে এভাবে তাকিয়ে থাকলে খাওয়ানো যায়? আদ্র ভাইয়ের মুখে খাবার দিতে গেলে ওনার ঠোঁটের সাথে হাতের স্পর্শ লাগলো। মুহূর্তেই শিউরে উঠলাম। শিরদাড়া বেয়ে শীতলতা ছেয়ে গেল।মনের মাঝে অদ্ভুত এক অনুভূতি। আদ্র ভাই খাওয়ার মাঝে আঙুলের ডগায় কামড় বসেচ্ছেন। উনি যে ইচ্ছে করে এমনটা করছেন বুঝতে পারছি। চোখ রাঙিয়ে আদ্র ভাইয়ের দিকে তাকালাম। ওনার কোনো হেলদোল নেই। উনি ওনার ভাবে আছে। উনাকে দেখে মনে হচ্ছে নিষ্পাপ শিশু। কিছুই বোঝে না। খাওয়ানো শেষ করে উঠে যাবো এমন সময় আদ্র ভাই ওড়নার কোণ টেনে ধরলেন। পিছু ফিরে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলাম,
“কি?”
“রৌদ্রময়ীর এতো সেবা যত্ন পাবো জানলে আমি সেই কবেই অসুস্থ হয়ে বসে থাকতাম। তার আমার প্রতি আকুলতা, যত্ন, টেনশন দেখার জন্য হলেও এই এক্সিডেন্ট টা হওয়ার দরকার ছিলো”
আমি চোখ রাঙিয়ে উনার দিকে তাকালাম। মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। তার এই অবস্থায় আমি দিশেহারা আর উনি কিনা নিজে নিজে অসুস্থ হতে চাচ্ছে। ইচ্ছে করছে উনার মাথা ফাটিয়ে ফেলতে। খেয়াল হলো ওনার তো আগে থেকেই মাথায় ব্যান্ডেজ লাগানো। থাক আপাদত এই চিন্তা বাদ। আদ্র ভাইকে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে নিজের রুমে এলাম।
——
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। একটু একটু করে চারপাশ থেকে আলো বিলীন হয়ে ছেয়ে যাচ্ছে অন্ধকার আঁধারে। এই আলো ছায়ার খেলা দেখতেও নিদারুন সুন্দর। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আশপাশ দেখছি। কিছুই ভালো লাগছে না। ইচ্ছে করছে আড্ডা দিতে। যেই ভবা সেই কাজ। রুম থেকে বেরিয়ে ইভার রুমের দিকে হাঁটা দিলাম। মাঝে উঁকি দিলাম আদ্র ভাইয়ের রুমে। আদ্র ভাই ঘুমাচ্ছেন। ঢুকে পড়লাম তার রুমে। একটা মানুষ ঘুমালেও তাকে কেন এতটা সুন্দর লাগতে হবে? আদ্র ভাইয়ের চোখের পাপড়ি গুলো বড্ড সুন্দর। ঘন বড় বড় পাপড়ি। কালো মিচমিচে ভ্রু জোড়া। দেখে মনে হয় ভ্রু প্লাগ করা। একটা ছেলের ভ্রু কেন এতো সুন্দর হবে ভাই? আমরা মেয়েরা ভ্রু প্লাগ করেও ভ্রু ঠিক করতে পারি না আর ওনার ভ্রু এমনিই এতটা সুন্দর। আদ্র ভাইয়ের মুখের ওপর এক গোছা চুল এলোমেলো হয়ে আছে। হটাৎ ইচ্ছে হলো আদ্র ভাইয়ের চুলগুলো ছুঁয়ে দিতে। উনার পাশে বসে আলতো হাতে ছুঁয়ে দিলাম তার সিল্কি সিল্কি চুল গুলো। কিছুক্ষণ আদ্র ভাইয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে উঠে এলাম। ইভার রুমে আসতেই দেখতে পেলাম ইভা রানী কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছে। কাছে যেয়ে বোঝার চেষ্টা করছি কার সাথে ও এভাবে হেসে হেসে কথা বলছে। ওর মুখ থেকে হাসি যেন সরছেই না । মনে সন্দেহ জাগলো। ইভা ইদানিং আমায় পাত্তাই দিচ্ছে না। ক্লাসে সারাদিন পাশের বেঞ্চে বসা তিয়াসের সাথে সারাদিন কি যেন গুজুর গুজুর করতেই থাকে। কান বাড়িয়ে শুনার চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না।
“কিরে বনু কার সাথে কথা বলছিস?”
আমার শব্দ পেয়ে ইভা যেন চমকে গেল। তড়িৎ গতিতে পিছু ফিরলো। কান থেকে ফোন নামিয়ে আমতা আমতা করছে।
“কি হলো বল কার সাথে কথা বলছিলি?”
“ফ্রেন্ড”
“ফ্রেন্ড? নাম বল”
“তুই চিনবি না”
“তোর এমন কোন ফ্রেন্ড আছে যার নাম আমি জানি না”
ইভা কিছু না বলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। উঁকি মেরে দেখে নিলাম নাম্বার টা। আমার ধারণাই ঠিক হলো। ইভা পিয়াসের সাথে কথা বলছিলো। আমায় না জানিয়েছি প্রেম করা হচ্ছে? দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা। ইভা মিনিমিন করে জিজ্ঞেস করলো,
“কিছ বলবি?”
“হ্যাঁ। আসলে বড় আম্মু আমাকে পাঠিয়েছিলো তোকে ডাকার জন্য। রিহান ভাই নাকি তোকে কল দিচ্ছে তুই রাগ করে তার কল রিসিভ করছিস না। বেচারা তার হবু বউয়ের টেনশনে শেষ হয়ে যাচ্ছে”
“রিহান, হবু বউ এগুলো কি বলছিস?”
“ছি! ছি! রাগ করেছিস ভালো কথা তাই বলে হবু জামাইকেই অস্বীকার করবি? এটা কোনো কথা বল। বেচারা রিহান ভাই। আমার তার জন্য আফসোস হচ্ছে”
ইভা অবাক চানিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বেচারি নিশ্চই কিছু বুঝতে পারছে না। ততক্ষনে ফোন কেটে গেছে। আমি ইভাকে জিজ্ঞেস করলাম,
“কি বনু কিছু বুঝতে পারছিস না?”
ইভা মাথা নেড়ে ‘না’ বোঝালো। আমি ওকে চোখ টিপ দিয়ে বললাম,
“আমায় না জানিয়ে প্রেম করবি ভেবেছিস? সেটা কোনো দিনও হবে না। তাই প্রেম হওয়ার আগেই ব্রেকাপ করিয়ে দিলাম”
ইভা একটু সময় নিয়ে বুঝতেই চেঁচিয়ে বলে উঠলো,
“রোদের বাচ্চা”
#চলবে?
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। পর্বটা কেমন হয়েছে জানাবেন। ধন্যবাদ)