ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড #পর্ব_১৯ #সারিকা_হোসাইন

0
131

#ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড
#পর্ব_১৯
#সারিকা_হোসাইন

______
নিউইয়র্ক শহরের তাপমাত্রা কমতে কমতে মাইনাস টুয়েলভ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ এসে নেমেছে।সারাদিন ধরেই তীব্র শৈত প্রবাহ বিরাজমান ছিলো।সন্ধ্যার পর যেকোনো মুহূর্তে তুষার ঝড় উঠতে পারে যার জন্য সন্ধ্যার আগে থেকেই শহরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে মানুষজন কে নিজ নিজ আবাস স্থলে অবস্থান করতে জরুরি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।ইতোমধ্যে ধুম্র জালের মতো ঘন কুয়াশা চারপাশ বেষ্টন করে ফেলেছে গভীর ভাবে।সন্ধ্যা নামার আগেই শীতল নিউইয়র্ক শহর আবছা অন্ধকারে তলীয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।রাস্তার সোডিয়াম লাইটের কড়া হলুদ আলো পর্যন্ত সেই ধোয়া কাটিয়ে উঠতে পারছে না।চারপাশে কেমন যেনো একটা গা ছমছমে ভাব পরিলক্ষিত।

সময় যখন আটটা বেজে দশ মিনিট তখনই শো শো শব্দে ভারী বাতাস বইতে শুরু করলো।বরফ ঝড় থেকে নিজেদের বাঁচাতে প্রত্যেকেই কঠিন ভাবে নিজেদের ঘর বন্দি করে ফেলেছে।রাস্তার নেড়ি কুকুর ছাড়া আর কোনো পশু পাখি বা মানুষের কোনো শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না।অত্যাধিক শীতের প্রকোপে কুকুর গুলো করুন স্বরে চিৎকার করে চলেছে সারাক্ষন।পরিস্থিতি এমন রুপে এসে দাঁড়িয়েছে কেউ যদি সাহায্যের জন্য বাইরে চিৎকার চেঁচামেচি করে মরেও যায় তবুও সেটা কারো কর্ণকুহরে প্রবেশ পর্যন্ত করবে না।

প্রায় দুশো বছরের পরিত্যক্ত পুরনো একটি প্যালেসের বেজমেন্টে সামান্য আলো দেখা যাচ্ছে।যদিও রাত তেমন গভীর নয়।কিন্তু কুয়াশার গাঢ় চাদরে মনে হচ্ছে গভীর নিশুতি ভুতুড়ে রাত।
প্যালেসের বেজমেন্টের ছাদের একটা হুকের সাথে টানানো হয়েছে নাইলনের বিশালাকার দড়ি।সেই দড়ি দিয়ে দুই পায়ের টাখনু একসাথে করে কষে বেঁধে উপুড় করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কোনো এক যুবক কে।সামান্য আলোতে সেই যুবকের মুখায়ব দেখা যাচ্ছে না।যুবকটির সারা শরীর থেকে চুইয়ে চুইয়ে কপাল গড়িয়ে মেঝেতে ঝরে পড়ছে লাল রঙের উষ্ণ তরল।আর সেই তরল হিমায়িত মেঝেতে পড়ার সাথে সাথেই কঠিন বরফে রূপান্তরিত হচ্ছে।
হঠাৎই বাইরে শুরু হলো কঠিন তুষার ঝড়।পরিত্যক্ত প্যালেসের ভাঙা জানালা দিয়ে হুড়মুড় করে বরফের স্তুপ প্রবেশ করতে লাগলো সেই সাথে রক্ত হিম করা উত্তরীয় হাওয়া।শীতের নিষ্ঠুরতায় ঝুলিয়ে রাখা ব্যাক্তিটি কিঞ্চিৎ নড়েচড়ে উঠলো।তার বিবস্ত্র উলঙ্গ শরীরটি এই তাপমাত্রা সহ্য করতে ব্যার্থ হচ্ছে।মনে হচ্ছে বুকের খাঁচার ভেতর উষ্ণ হৃদযন্ত্রটাও বুঝি জমে যাবার উপক্রম।যুবককটি গলা ফাটিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে চাইলো।
“কিন্তু হায় দূর্ভাগ্য, চিৎকার করা তো দূর ঠোঁট পর্যন্ত নাড়ানোর সক্ষমতা তার নেই।শক্ত স্কচটেপ দিয়ে তার মুখ খানা আটকে দেয়া হয়েছে।প্রচন্ড ঠান্ডায় তার সারা শরীরের আঘাত প্রাপ্ত স্থান গুলো ব্যাথায় চিরবিড়িয়ে উঠলো।মনে হচ্ছে সেগুলো আরো ফেটে চৌচির হয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হবে।এবার লোকটির ছটফটানি বেড়ে গেলো দ্বিগুন।তার কাছে মনে হচ্ছে এই নরকীয় যন্ত্রণার চাইতে মৃত্যু বহু গুন ভালো।

লোকটির নড়াচড়া দেখে চেয়ারে বসা অপেক্ষমান ব্যাক্তি মুখ টিপে হু হু করে সামান্য হাসলো।ফায়ার প্লেসে বেশি করে পাইন গাছের কাঠ ঠেলে দিয়ে নিজের গলার উলের মাফলার খানা ভালো মতো মুখে পেঁচিয়ে গলা খাকরি দিলো।

“জ্ঞান ফিরলো তবে তোর ডক্টর রেহান চৌধুরী?তোর জ্ঞান ফেরাতে বেশ খুশি হয়েছি আমি।এভাবে নিশ্চুপ ডেড ফিসের মতো তোকে দেখতে মোটেও ভালো ঠেকছিলো না আমার।যাই হোক কাজের কথায় আসি।তোর সাথে সময় কাটাতে মোটেও ভালো লাগছে না আমার।

চেয়ারে বসে থাকা ব্যাক্তির কন্ঠ শুনেই ঠাহর করে ফেললো রেহান মানুষটি কে হতে পারে?
উপুড় করে ঝুলিয়ে রাখার কারনে শেরহামের মুখায়ব দেখতে তার বেশ বেগ পেতে হলো।তবুও রেহান এই ঘৃণিত নোংরা মস্তিষ্কের অধিকারী ব্যাক্তিকে মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে একবার হলেও দেখে তবেই মরতে চায়।রেহান হাত নাড়িয়ে মাথা নাড়িয়ে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করলো।
শেরহাম রেহানের উদ্বিগ্ন অবস্থা দেখে বিগলিত হাসলো।

“উপস সরি ডক্টর রেহান তোর মুখে টেপ মেরে দিয়েছি।কিন্তু সেটা খুলতে বেমালুম ভুলে গিয়েছি।মুখ বন্ধ থাকলে মনের আকুতি প্রকাশ করবি কি দিয়ে??

কথা খান বলে হো হো শব্দে হাসতে হাসতে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে রেহানের সামনে এসে দাঁড়ালো।এরপর সহসাই রেহানের ঝলমলে সুন্দর রক্তাক্ত চুলের ভাঁজে নিজের হাতের ভয়ানক থাবা বসিয়ে শক্ত করে টেনে ধরলো।

অসহনীয় ব্যাথায় রেহান উম উম শব্দ করতে লাগলো।
শেরহাম রেহানের দূর্দশা গ্রস্থ অবস্থা দেখে হেসে কুটি কুটি হলো।এরপর সজোড়ে এক টানে রেহানের মুখের টেপ খুলে ফেললো।শেরহামের অনমনীয় আচরণে রেহানের তুলতুলে নরম শুষ্ক লাল ঠোঁট খানা কেটে রক্তাক্ত হলো।
ব্যাথায় রেহান গগন বিদারী চিৎকার দিয়ে শক্ত হয়ে রইলো।
রেহানের যন্ত্রনা কাতর মুখশ্রী দেখে শেরহাম নিজের মাফলার খুলতে খুলতে বললো

“খুব শান্তি পাচ্ছি রে রেহান।তোর মৃত্যু যন্ত্রনা আমাকে স্বর্গীয় সুখ উপভোগ করার শান্তি দিচ্ছে।আমি তোকে এখন জাহান্নামের যন্ত্রনা দেবো।তুই যত চিৎকার করবি আমি ততো আনন্দ উপভোগ করবো।

কথা টা বলেই অদূরেই পড়ে থাকা ভাঙা একটা টেবিলের উপর থেকে একটা ট্রান্সপারেন্ট কাঁচের বোতল তুলে নিলো।সেটার দিকে তাকিয়ে অল্প মেপে হাসলো শেরহাম।এরপর শীষ বাজাতে বাজাতে রেহানের সামনে এসে দাড়ালো।

“এটা কি এনেছি তোর জন্য জানিস?
কথাটি বলে রেহানের চোখের সামনে শিশি খানা তুলে ধরলো।

শেরহামের হাতের শিশির দিকে রেহান সামান্য দৃষ্টি দিলো।দৃষ্টি দেবার সাথে সাথেই তার অক্ষিদ্বয় কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসার উপক্রম।শেরহামের হাতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বোতল।
রেহান যেনো এবার বেঁচে থাকার সব আশা ছেড়ে দিলো।কিন্তু কোনো ভীরু কাপুরুষের মতো সে মরবে না।মরলে বীরের মতো মরবে।কিছুতেই এই নরকের কিটের সামনে মাথা নোয়াবে না সে ।

শীতের প্রভাবে রেহানের সারা শরীর জমে শক্ত হয়ে যাচ্ছে।হাত পা গুলো এমন ভাবে বেদনায় নীল হয়েছে যেনো বিষাক্ত কোনো সাপ শরীরের সমস্ত বিষ ঢেলে ছোবল কেটেছে।মুখের লালা পর্যন্ত শুকিয়ে আসছে তার।ঠোঁট দুটো চটচট করে ফেটে সমানে রক্ত ঝরে আবার জমে যাচ্চে।মাথার চুল থেকে শুরু করে চোখের পাপড়ি পর্যন্ত ইতোমধ্যেই বরফে আচ্ছাদিত হয়েছে।
নিজের মৃত্যুকে চোখের সামনে দেখে কিঞ্চিৎ তাচ্ছিল্য কর হাসি হাসলো রেহান।নিজের জড়িয়ে যাওয়া জিভ কে বহু কষ্টে আয়ত্তে এনে গলার রোধ হয়ে যাওয়া কণ্ঠকে ঠেলে বাইরে নিয়ে এসে ফ্যাসফ্যাসে কন্ঠে বললো

“তোর মতো শয়তানের হাতে কিছুতেই আমার মৃত্যু হতে পারে না।তোর বিনাশ দেখে তবেই আমি মরবো।সেদিন তুই বাঁচার আকুতি করবি কিন্তু আমি হাসবো।”

কথা টা শেষ করার সাথে সাথেই শেরহাম নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে রেহানের মুখে এক ঘুষি বসিয়ে দিলো।ঘুষির আঘাতে রেহানের ঠোঁট আর নাক ফেটে গলগল করে রক্ত বেরুতে লাগলো।তবুও রেহান সামান্য উহ আওয়াজ টুকু করলো না।
এটা দেখে যেনো শেরহামের ক্রোধ হাজার গুণ বেড়ে গেলো।
ক্রোধে নিজের জ্ঞান খুইয়ে হাতে থাকা ছোট কাঁচের শিশিটির ছিপি দ্রুত হাতে খুলতে লাগলো শেরহাম।

“তোর চেহারা টা আমার মোটেও পছন্দ হচ্ছে না রে ডক্টর।তাই আমি ঠিক করেছি তোর এই বেখাপ্পা চেহারা আমি পুড়িয়ে দেবো।

কথাটা বলেই শিশির এসিড গুলো ছুড়ে মারলো রেহানের মুখে।

এবার যেনো সকল ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলো রেহানের।তার সারা মুখমন্ডল জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে।চিনচিনে অসহনীয় ব্যাথায় সারা শরীর অবশ করে ফেলছে।পিছ মোড়া করে বাধা হাত দুটো ছাড়ানোর জন্য বেশ ছটফট করছে।কিন্তু নিরুপায় রেহান কোনো ভাবেই নিজেকে ছাড়াতে পারছে না।

রেহানের ভয়ংকর চিৎকারে মাটিতে বসে ঝাঁপিয়ে ঝাঁপিয়ে মাটি চাপড়ে হেসে চলেছে শেরহাম।

“আহ কি আনন্দ হচ্ছে রে রেহান খুব আনন্দ।এতো আনন্দ যুবরাজকে দেখেও পাইনি।যেই আনন্দ যুবরাজকে দিয়ে পেতে চেয়েছিলাম সেটা তোকে দেখে পেতে হচ্ছে।কেনো অযথা মরতে এলি আমার কাছে বলতো?আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করা কি এতোই সোজা?

কথা গুলো বলে রেহানের ফোন হাতে নিয়ে একে একে সকল এভিডেন্স ডিলিট করতে লাগলো শেরহাম।গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎই একটা ছবিতে গিয়ে দৃষ্টি স্থির হয়ে শেরহামের।একুয়া ব্লু রঙের ডেনিমের শার্ট পরিহিত আঠারো কি উনিশ বছর বয়সের এক মেয়ে আহ্লাদী ঢংয়ে ছবিটি তুলেছে।মেয়েটির বড় বড় পাপড়ি যুক্ত দু চোখে বড্ড নেশা হলো শেরহামের।মোলায়েম গোলাপি ঠোঁট দুটোর দিকে তাকিয়ে মনে নিষিদ্ধ বাসনার জন্ম দিলো।মুহূর্তেই মেয়েটির নগ্ন শরীরের কথা কল্পনা করে অস্থির হয়ে উঠলো শেরহাম ।সেই অস্থিরতায় রেহানের কথা দিব্যি ভুলে গেলো।
নিজের উত্তেজনা আয়ত্তে আনতে রেহান কে ওই ভাবে ফেলেই দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে গেলো সে।উদ্দেশ্য একটাই নারী সঙ্গী চাই।

*********
জেলের ভেতর বসে বসে নানান ভয়ঙ্কর ভাবনা ভেবে চলেছে যুবরাজ।বোকা রেহানটার জন্য তার মন বার বার খচখচ করে উঠছে শুধু।যুবরাজ শতভাগ নিশ্চিত রেহান শেরহামের খপ্পরে পড়েছে।কিন্তু যুবরাজ বেঁচে থাকতে কোনো ভাবেই রেহানের ক্ষতি হতে দেবে না।রেহানকে বাঁচাতে মনে মনে এক দুধর্ষ ভাবনা ভেবে ফেললো যুবরাজ।

“যে করেই হোক আমাকে পালাতে হবে এখান থেকে।

যেই ভাবনা সেই কাজ। নিজেকে কারামুক্ত করার জন্য পাশেই ঘুমিয়ে থাকা কয়েদিকে সজোড়ে এক লাথি বসিয়ে দিলো যুবরাজ।
বহু কষ্টে কেবলই ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছে শ্বেতাঙ্গ খুনি আসামি টি।
চোখ মেলে তাকিয়ে মুখে ক্রোর হাসি নিয়ে যুবরাজের দিকে তেড়ে এলো।অবস্থা স্বপক্ষে বুঝতে পারলো চৌকস যুবরাজ।নিজের অমীমাংসিত ঘোর লাগানো হিপ্নোটিক চাহনি তার দিকে নিক্ষেপ করলো
“লেটস এস্ক্যাপ ফ্রম জেল”

বাধ্য দাসের ন্যায় যুবরাজের আজ্ঞা পালনে ব্যাস্ত হলো শ্বেতাঙ্গ।

********
বাইরে বিশাল তালা ঝুলিয়ে সকল পুলিশ জেল থেকে নিজেদের বাড়ি চলে গিয়েছে বহু আগেই।আজকের মতো এমন ভয়ঙ্কর বৈরী আবহাওয়া নিউইয়র্ক এ প্রথম।হিমাঙ্কের নীচে এমন তাপমাত্রা আর তুষার ঝড় পূর্বে কখনো দেখা যায়নি।এমন হিংস্র আবহাওয়া তে কেউ নিজের কক্ষ থেকে বের হবে না বা জেল থেকে আসামি পালাবে না এই ব্যাপারে পুলিশ সদস্য গ্যারান্টি সহকারে নিশ্চিত।কারন বাইরে বের হলেই নির্ঘাত মৃত্যু।সেই নিশ্চয়তা তে তারা যার যার পরিবারের সাথে সময় কাটাতে ব্যাস্ত।
এই বৈরী ভয়ংকর আবহাওয়াই যেনো যুবরাজের মুক্তির পথ সুগম করলো।

শ্বেতাঙ্গ আসামির সহায়তায় দুজনে মিলে সতর্কতার সহিত জেলের তালা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে এলো।প্রতিটা কর্নারে কর্নারে সিসি ক্যামেরা ঘুরছে।খুব বুদ্ধিদীপ্ত তার সহিত ক্যামেরা ফাঁকি দিয়ে জেল ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এলো দুজনে।এবার বিশাল উঁচু ওয়াল টপকানোর পালা।পুরোটা দেয়াল চকচকে স্মুদ।কোনো ভাবেই সেটা টপকানোর অবস্থা নেই।চারপাশে পাগলের মতো খুঁজতে খুঁজতে স্টিলের লম্বা একটা পাইপ পেয়ে দুজনের মুখেই হাসি ফুটে উঠলো।সেই পাইপ দেয়ালে ঠেস দিয়ে বেয়ে বেয়ে উঠার চেষ্টা করলো।
বাহিরে অলরেডি সাদা বরফের স্তূপে ভরে গিয়েছে।এই অল্প সময়ে দুই তিন হাত পর্যন্ত উঁচু হয়ে বরফ জমে গিয়েছে।কারো গায়েই ভারী শীত বস্ত্র নেই।ঠক ঠক করে কাঁপতে কাঁপতে নিজেদের চেষ্টা চালাতে লাগলো দুজনে।ঘন্টা খানেক কঠিন চেষ্টার ফলে দুজনেই সেই দেয়াল টপকে নিচে নেমে এলো।এবার নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছনোর পালা।

যাবার আগে সেই শ্বেতাঙ্গ যুবরাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কঠিন হাগ করে বলে উঠলো

“ইউ উইল হ্যাভ মি ফর এনি নিড,অল অফ নিউ ইয়র্ক নোস হু আই এম”

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here