ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড #পর্ব_২০ #সারিকা_হোসাইন

0
125

#ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড
#পর্ব_২০
#সারিকা_হোসাইন

_______
পুরো নিউইয়র্ক শহর বরফের উঁচু উঁচু স্তূপে ভরে গিয়েছে।সজীব রঙিন শহর মুহূর্তের ব্যাবধানে থুরথুরে বুড়ির পাকা চুলের ন্যায় সাদায় রূপান্তরিত হয়েছে।গাছের ডালপালা পর্যন্ত বরফে ঢেকে একাকার।মানুষের ঘরের দরজা জানালা বরফের কঠিন আস্তরনে ঢাকা পড়েছে।সিটি করপোরেশন থেকে উদ্যোগ নিয়ে সকালের মধ্যেই সমস্ত বরফ কেটে কেটে পরিস্কার করা হবে পুরো শহর।তা না হলে কেউ নিজেদের বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না।আপাত দৃষ্টিতে কোনো পশুপাখি দৃষ্টি গত হচ্ছে না।কে জানে? হয়তো বা তাদেরও সলীল সমাধি হয়েছে এই তুষার স্তূপের নীচে।রাস্তার মাইলস্টোন গুলোর অস্তিত্ব পর্যন্ত বিলীন হয়েছে।দিক নির্ধারণ করাও যেনো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।দৃষ্টি যত দূর যাচ্ছে ততো দূর পর্যন্ত বরফে থই থই।

এমন বিদীর্ণ পরিস্থিতি তে উন্মাদের ন্যায় খালি পায়ে দৌড়ে চলেছে যুবরাজ।গায়ে নেই কোনো ভারী শীত বস্ত্র।কটন কাপড়ের কমলা রঙা কয়েদী পোশাক খানা এই হিম শীতল ঝড়ে শীত নিবারণে চরম ভাবে ব্যার্থ হচ্ছে।মাটিতে পা রাখতে গেলেই থরে থরে সাজানো বরফের স্তূপে হাটু পর্যন্ত ডেবে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে কোনো অশরীরী আত্মা পায়ে শিকল পরিয়ে পাতালে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে।ঘন্টা দুয়েক দৌড়ানোর পর অসাড় হয়ে বরফের স্তূপের উপর শুয়ে পড়লো যুবরাজ।

“কোথায় আছিস তুই রেহান?কোথায় খুঁজবো তোকে আমি?তুই কি বেঁচে আছিস?আমি কখনোই চাইবো না আমার জন্য তোর কোনো প্রকার ক্ষতি হোক।না হলে আমি কখনোই নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না।আমি সব সময় মনে প্রানে চাইবো সমস্ত দুনিয়া একদিকে যাক তবুও তুই ভালো থাক।তোর বোনের কান্না আমি সহ্য করতে পারবো না রে”

বরফের উপর টান টান হয়ে হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে একমনে নিজের জীবনের রথ বদলের ভাবনা ভেবে চলেছে যুবরাজ।যেদিকেই তাকাচ্ছে চারিধারে ধূ ধূ মরুভূমি বৈ আর কিছুই চোখে ধরা দিচ্চে না।
নিজের নির্মম ভাগ্যের উপর শ্লেষত্বক হাসলো যুবরাজ।

“কি থেকে কি হয়ে গেলি যুবরাজ?যেদিন তোর মা মরে গিয়েছে সেদিনই তোর জীবনের সকল সুখ শান্তি কেঁড়ে নিয়ে চলে গিয়েছে।তুই বরবাদ হয়ে গিয়েছিস।কিসের ডক্টর তুই?তুই তো একজন খুনি মেয়েটা বিশ্বাস করে তোকে দায়িত্ব দিলো আর তুই মেয়েটাকেই নিঃস্ব করে দিলি?ছিঃ”

খুনি কথাটা বারবার যুবরাজের কানের কাছে কর্কশ স্বরে বাজতে লাগলো।মনে হচ্ছে কোনো বেসুরে গলা ঢাকঢোল পিটিয়ে যুবরাজের কানের কাছে বিশ্রী শব্দে কথা খানা বলে চলেছে।মুহূর্তেই যুবরাজ উন্মাদের ন্যায় আচরণ করতে লাগলো।শীতল দুই হাত দিয়ে নিজের রক্ত জমে যাওয়া দুই কানে চেপে ধরে বরফে গড়াগড়ি করতে লাগলো।গলার সর্বোচ্চ তেজ ঢেলে হুংকার ছেড়ে গর্জন করতে লাগলো।

“আই সে স্টপ,আদার ওয়াইজ আই উইল কিল ইউ”

কে শুনে কার কথা?মস্তিষ্ক বার বার তিরস্কার করে হো হো শব্দ তুলে হাসতে হাসতে বলে উঠলো
“ইউ আর এ কিলার,ইউ আর এ কিলার ডক্টর ইউভরাজ”!

***********
রাত যখন প্রায় এগারোটার কাছাকাছি তখনই তুষার ঝড় থেমে গিয়েছে।এখন আর হিম শীতল ভারী বাতাস ও বইছে না।শুধু চারপাশে তুলোর মতো হালকা বরফ ঝরে পড়ছে।
নিজেদের বিশাল বড় এপার্টমেন্ট এর অন্ধকার বৃহৎ কক্ষে আরামদায়ক তুলতুলে বিছানায় বুকের উপর দুই হাত রেখে চিৎ হয়ে সটান শুয়ে আছে ম্যাগান।একদিকে নিজের বাবার আকস্মিক মৃত্যু অপরদিকে নিজের পছন্দের মানুষের কারাভোগ সব কিছুই যেনো চরম হতাশায় ডুবিয়ে দিয়েছে এই অষ্টাদশী কিশোরীকে।যুবরাজকে বাঁচানোর সকল চেষ্টা করেও সে ব্যার্থ হয়েছে।স্বজন হীন একাকী ম্যাগান আর কি ই বা করতে পারবে তার ভালো লাগার পুরুষের জন্য?

“কিভাবে আপনাকে আমি মুক্ত করবো ডক্টর?বাবাকে হারিয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছি আপনাকে হারালে একদম মরে যাবো আমি।”

হঠাৎই দুই চোখ উপচে জলের ফোয়ারা বেরিয়ে এলো কিশোরীর।বালিশে মুখ গুজে গুমরে উঠা কান্নাকে লুকানোর বৃথা চেষ্টা চালালো।কিছুক্ষণ ওভাবেই উপুড় হয়ে নিজের কান্নাকে গিলে খেয়ে ভারী কম্বল সরিয়ে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালো সে।সুইচ বোর্ড হাতড়ে পুরো কক্ষকে ফকফকে আলোকিত করলো।
ওয়াশরুম থেকে মুখে হালকা উষ্ণ পানির ঝাপটা দিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে এসে ধীরে সুস্থে পাতানো টুলটাতে বসলো।
একটা টিস্যু দিয়ে আলতো হাতে মুখ মুছে আয়নায় চোখ বুলালো।
এই কদিনেই চোখের নিচ জুড়ে কালি জমে গিয়েছে,চোখ দুটো গর্তে ঢুকে গিয়েছে।নির্ঘুম রাত কাটানোর কারনে মুখশ্রী জুড়ে মলিনতার আবির্ভাব ঘটেছে।

গভীর ভাবে আয়নায় নজর বুলাতে বুলাতে হঠাৎই ম্যাগান এর দৃষ্টি বিস্ফারিত হলো।আয়নায় অদ্ভুত রকমের দুটি চোখের প্রতিবিম্ব দেখে বসা থেকে চট করে উঠে দাঁড়ালো সে।এমন ক্রুর চাহনি ম্যাগান এর আগে কখনো দেখেনি।কি অদ্ভুত জঘন্য চাহনি!মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই সব কিছু গিলে খাচ্ছে।লকলকে লাল জিভটা দিয়ে সমানে নিজের ওষ্ঠদ্বয় লেহন করে চলেছে পিছনে থাকা ব্যাক্তি।

এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে ভয়ে কলিজা পর্যন্ত কেঁপে উঠলো তার।হিমশীতল বরফ ঝরা রাতেও তার চিবুক বেয়ে উষ্ণ ঘাম গড়িয়ে পড়তে লাগলো।কন্ঠ রোধ হয়ে গলার কাছে শক্ত হয়ে আটকে রইলো।পিছন ফিরে সেই মানুষটির চেহারা দেখার সাহস পর্যন্ত হলো না তার।
ম্যাগান জানে এই অন্ধকার ঘুটঘুটে ঝড়ো রাতে তার করুন আর্তনাদ কেউ শুনবে না।তবুও শেষ চেষ্টা সে করে দেখতে চায়।কিন্তু আজ যেনো সে বোবা হয়েই রইলো।চিৎকার তো দূর ফ্যাসফ্যাসে আওয়াজ পর্যন্ত বেরুলো না কন্ঠনালী দিয়ে।মনে হচ্ছে বাইরের প্রকৃতির মতো তারও সমস্ত কিছু জমে বরফে রূপান্তরিত হয়েছে।

লোকটি এক পা দু পা করে করে টাইলস মাড়িয়ে ঠকঠক শব্দ তুলে ম্যাগানের দিকে এগুতে লাগলো।কুৎসিত লোকটির ভারী ঘন ফসফসে নিঃশাস এই নিস্তব্ধ রাতে দেয়ালের প্রতিটি কোনায় কোনায় বাড়ি খেয়ে আন্দোলিত হচ্ছে।যা অসহায় রমণীর ভয় আরও দ্বিগুন বাড়িয়ে দিচ্ছে।।
কিংকর্তব্যবিমূঢ় বালিকা ড্রেসিং টেবিলের উপর দুই হাত রেখে ঠাঁয় শক্ত হয়ে ওভাবেই দাঁড়িয়ে রইলো।লোকটির গায়ের ওয়াইনের উটকো গন্ধ জানান দিচ্ছে সে তার খুব কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে।এবার সে একটু ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস করলো।
ড্রেসিং টেবিলের উপর থাকা প্রসাধনীর কাঁচের বোতল টি চট করে হাতে নিয়ে সামান্য সাহস সঞ্চয় করে কিঞ্চিৎ ঘাড় ঘুরিয়ে আগন্তুক এর দিকে নজর দিলো।
সাথে সাথেই নিজের হাতের বস্তুটি মেঝেতে পড়ে ঝনঝন শব্দে নিস্তব্ধ রাতের সকল স্তব্ধতা ভঙ্গ করলো।

“ডক্টর ফাইয়াজ!

মেয়েটিকে আর কোনো রূপ বাক্য বিনিময় করতে না দিয়ে নোঙরা দুই শক্ত হাতে জাপ্টে ধরতে নিলেই সরে দাঁড়াতে চায় ম্যাগান।সাথে সাথেই মেঝেতে পড়ে থাকা চূর্ণবিচূর্ণ হওয়া কাচ ম্যাগান এর পদ্মের ন্যায় কোমল পা দুটিকে নিষ্ঠুর ভাবে ছেদন করে।
ব্যাথায় মৃদু ককিয়ে উঠে মেঝেতে বসে পড়ে মেয়েটি।
মেয়েটির ভীতু কাতরতা মিশ্রিত চেহারা শেরহামের ব্যাকুলতা আরো হাজার গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

কন্ঠে খানিক মাধুর্য ঢেলে শেরহাম ম্যাগান এর উদ্দেশ্যে বলে উঠলো
“আমাকে আর অপেক্ষা করিয়ে রেখোনা সুইটহার্ট।তোমার তুলতুলে নরম শরীরের উষ্ণ তাপ আমার প্রচন্ড প্রয়োজন এই মুহূর্তে ম্যাগান গ্যাব্রিয়েলা।”

কথা খানা বলেই শেরহাম মাদকতা মিশ্রিত হিংস্র চাহনি নিক্ষেপ করলো ম্যাগান এর পানে।
শেরহামের এমন নোংরা প্রস্তাবে থরথর করে কেঁপে উঠলো ম্যাগান।ভেতর থেকে নাড়ি ভুঁড়ি উগলে বমি বেরিয়ে আসার উপক্রম হলো।লজ্জায় ঘৃণায় বড় বড় নেত্র যুগল থেকে অবিরত ধারায় নোনা জল গড়াতে লাগলো।

শেরহাম হাটু গেড়ে নীচে বসে ম্যাগান এর মুখের দিকে হাত বাড়ালো।

“ডোন্ট টাচ মি উইথ ইউর ডার্টি হ্যান্ড!
কথা খানা প্রচন্ড তেজের সহিত বলে শেরহামের হাত ঝাড়া দিয়ে সরিয়ে দিলো ম্যাগান।

এতো টুকুন একটা মেয়ের মুখে এমন ক্রোধ মিশ্রিত অপমান জনক কথায় শেরহামের রাগ তরতর করে বাড়তে লাগলো।নিজের জ্ঞান বোধ হারিয়ে কষিয়ে এক চড় বসিয়ে দিল ম্যাগান এর গালে।

“হাউ ডেয়ার ইউ ব্লাডি হুয়াট শেইমলেস বিস্ট?আ উইল ফা*ইউ”

শেরহামের চড়ের দাপট কুলাতে না পেরে ভাঙা কাঁচের উপরেই মুখ থুবড়ে পরে গেলো ম্যাগান।সাথে সাথে বিকট অসহনীয় চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী করে তুললো সে।

ছোট টুকরো টুকরো কাঁচ ভাঙা গুলো ম্যাগান এর চোখে মুখে ঢুকে একাকার অবস্থা।মেয়েটির শুভ্র দাগ হীন তুলতুলে মুখশ্রী মুহূর্তের ব্যাবধানে ভয়ানক রক্তাক্ত হয়ে উঠলো।

ব্যাথায় মেয়েটি ডুকরে কেঁদে উঠলো

“প্লিজ ডোন্ট টাচ মি,লেট মি লাইভ,আই লাভ ইউভরাজ,প্লিজ ডোন্ট টার্নিস(কলঙ্কিত) মি।”

মেয়েটির এমন রোদন আহাজারি শেরহামের মনে এক অদ্ভুত তৃপ্তি এনে দিলো।যুবরাজের নাম শোনা মাত্র মাথার ভেতর বাড়তে থাকা রাগ কিলবিল করে উঠলো।

ম্যাগান এর ঝলমলে বাদামি চুলের গোছা চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো
“আমি খাবার পর কিছু অবশিষ্ট থাকলে সেটা তোর প্রেমিক পুরুষ যুবরাজ খাবে”

কথাটা বলে আর এক সেকেন্ডও অপেক্ষা করলো না শেরহাম।টানতে টানতে ক্ষতবিক্ষত ম্যাগান কে বিছানায় ছুড়ে ফেললো।
মেয়েটি নিজেকে বাঁচানোর সর্বাত্বক চেষ্টা চালালো।
পাঁচ ফিট তিন ইঞ্চি শীর্ন দেহের বালিকা কি আর দানবীয় বডিবিল্ডার এর মত পোক্ত শরীরের শক্তির সাথে কুলিয়ে উঠতে পারে?
ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ম্যাগান।কিন্তু সেসবে শেরহামের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।শকুনের মতো মেয়েটিকে ভোগে সে ব্যাস্ত।
দীর্ঘদিনের ক্ষুধার্ত বাঘ যেমন শিকার দেখলে সব কিছু ভুলে গিয়ে আক্রমন করে ঠিক তেমনি শেরহাম ম্যাগান কে ভোগ দখলে ব্যাস্ত হলো।
মেয়েটির সারা শরীর হিংস্র কামড়ের দাগে রক্তাক্ত হলো।মেয়েটির নগ্ন শরীর অসংখ্য গভীর আচড়ের দাগে ক্ষতবিক্ষত হয়ে রইলো।
নিজের যন্ত্রনা মিটিয়ে তৃপ্তি সহকারে আয়েশী ভঙ্গিতে উঠে দাঁড়ালো শেরহাম।
নিজের কাপড় পরিধান করতে করতে অবচেতন ম্যাগান এর দিকে অবজ্ঞা জনক দৃষ্টি ফেলে তাচ্ছিল্য হাসলো সাথে একদলা থুথু ছিটালো।
“তোর জন্য কিছুই রাখতে পারলাম না রে যুবরাজ।তার আগেই শালী মরে গেলো”

_______
রাত কতো হয়েছে যুবরাজের জানা নেই।বহু চেষ্টার পর রেহানের ফ্ল্যাটে আসতে সক্ষম হয়েছে যুবরাজ।বরফ ঠেলে সরিয়ে কোনো মতে রেহানের কক্ষে প্রবেশ করলো যুবরাজ।শীতের প্রকোপে তার ধবধবে ফর্সা শরীর নীলাভ বর্ণ ধারণ করেছে।সেসবে মোটেও পাত্তা দিচ্ছে না সে।হন্যে হয়ে রেহানের খুজ চালাতে লাগলো যুবরাজ।চতুর যুবরাজ জানে রেহান এখানে নেই।তবুও মনের উদ্বেগ বলে একটা কথা আছে।

সারা ফ্ল্যাট খুঁজেও রেহানের অস্তিত্ব পাওয়া গেলো না কোথাও।
রেহানের কক্ষের ফায়ার প্লেসে আগুন জ্বালিয়ে ঘর কিছুটা উষ্ণ করার চেষ্টা চালালো যুবরাজ।এরপর রেহানের গোপন লকার এর চাবি খুঁজতে লাগলো ঘরময়।আধ ঘন্টা তল্লাশি চালিয়েও যখন কোনো চাবি পেলো না তখন সেটার তালা ভাঙলো যুবরাজ।
লকারের এক কোনে কিছু কাগজপত্র, একটা মেয়ের ছবি,মেয়েটি যুবরাজের অন্তরের খুব কাছে বসবাস করে।কিছু সিরিঞ্জ,কাঁচের শিশি আর একটা চিঠি সমেত জিপিএস ট্র্যাকার।

“আমি জানিনা আদৌ তোর মুক্তি মিলবে কি না,তবুও তোর জন্য আমার লাস্ট বার্তা।আমি শেরহামের সকল গোপনীয়তা জেনে ফেলেছি।তোকে বরবাদ করতে ও যা খুশি তাই করতে পারে।শেরহাম স্কিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত।ও সবসময় আলাদা একটা জগতে থাকতে ভালোবাসে।যত ধরনের হিংস্র সহিংসতা রয়েছে সব তার পছন্দ।তোর সাথে ওর ব্যাক্তি গত কোনো শত্রুতা নেই।ওর মনের ভ্রমে সে তোর পিছে লেগে আছে।এবং তোর মৃত্যু দিয়ে ওর এই নোংরা খেলা শেষ হবে।যতক্ষন না তোর মৃত্যু হবে ততক্ষণ শেরহাম তোর আশেপাশের মানুষের ক্ষতি করবে এমনকি তাদের খুন করতেও সে দুবার ভাববে না।
আর একটা কথা আমার বোনকে দেখে রাখিস।বাবা মা কে আমার মৃত্যুর খবর পাঠিয়ে দিস,।কারন আমি জানি শেরহাম আমাকে মেরে ফেলবে।ডাস্টবিনে ইচ্ছে করেই প্রমান গুলো শেরহাম রেখেছিলো।তুই আমি দুজনেই ওর ট্র্যাপে কঠিন ভাবে পা দিয়ে ফেলেছি।
আর হ্যা একটা জিপিএস ট্র্যাকার রেখে গেলাম।এটার ডিভাইস আমার কাছে আছে।রেড বাটন টিপলেই আমার লোকেশন তুই পেয়ে যাবি।কেনো জানি মনে হচ্ছে তুই জেল থেকে পালাবি।তাই আগেই সব ব্যাবস্থা করে গেলাম।যদি আমার বিকৃত লাশ টি খুঁজে পাস প্লিজ ঘৃণা করিস না।
ইতি তোর বোকা বন্ধু
“রেহান ”

[আপনাদের বিনোদন দেবার জন্য গল্প লিখি কারন আমার মানুষ কে আনন্দ দিতে ভালো লাগে।তাই সবাইকে অনুরোধ করবো আমাকে একটা ফলো দিয়ে আর গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদান করবেন।যাতে আপনাদের উৎফুল্ল চিত্তে বিনোদিত করতে পারি।ধন্যবাদ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here