ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড #পর্ব_২ #সারিকা_হোসাইন

0
203

#ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড
#পর্ব_২
#সারিকা_হোসাইন

******
কি ব্যাপার রাজ্য?

―”তোমাকে যেই নম্বর টা দিয়েছিলাম সেটার সম্পর্কে খুজ নিয়ে অফিসে ডাটা সাবমিট করোনি কেনো?”

সোয়াট টিম কমান্ডারের ভারিক্কি আওয়াজে থতমত খেলো রেহনুমা রাবাব রাজ্য।
নিজেকে স্বাভাবিক রেখে কম্পিউটার এ কিছু সার্চ করতে করতে অফিসারের উদ্দেশ্যে ভারী কন্ঠে বলে উঠলো―

“সারা রাত চেষ্টা করার পর ভোর রাত্রের দিকে আমি তার ফোন খোলা পেয়েছি স্যার।দুই দুই বার কল করেও কোন রেসপন্স পাওয়া যায়নি।
এদিকে আমার মোবাইলের ব্যাটারি ডেড হয়ে যাওয়ায় আপনাকেও কোনো ইনফরমেশন দিতে পারিনি।

“কিন্তু আমি অফিসে এসে ডেটা চেক করে দেখেছি আপনি যেই নম্বর আমাকে দিয়েছেন তাতে একটা ডিজিট ভুল ছিলো।
আমি সারা রাত রং নম্বরের পিছনে ঘুরেছি স্যার।

জুনিয়র অফিসারের মুখের এমন কড়া কন্ঠ ঠিক হজম হলো না কমান্ডার বেনজির আশফির।
নিজেকে বিজ্ঞ জাহির করতে নিজের ড্রয়ার থেকে ক্রিমিনাল লিস্ট বের করে নিজের সেন্ড করা নম্বর আর কাঙ্ক্ষিত ব্যাক্তির নম্বর কাটায় কাটায় মিলিয়ে নিলেন।
নিজের ভুল চোখে পড়তেই ক্রিমিনাল পেপার ড্রয়ারে পুড়ে গলা খাকরি দিয়ে বলে উঠলেন

“নম্বরে যে ডিজিট ভুল আছে এটা তোমার তখনই বলা উচিত ছিলো যখন তোমাকে নম্বর সেন্ড করেছি।

“ক্রিমিনাল লিস্ট না দেখে কিভাবে জানবো স্যার যে, নম্বর ভুল আছে?
অবাক হয়ে জানতে চাইলো রাজ্য।

মেয়েটির অত্যাধিক সাহস দেখে চোখ মুখ কুঁচকে গজ গজ করতে করতে কম্পিউটার এর সামনে বসে পড়লেন বেনজির আশফি।

‘”যেই কমান্ডার এর ভয়ে সোয়াট এর পুরো টিম মাথা ঝুকিয়ে থাকে সেখানে এই মেয়ে চোখে চোখ রেখে জবাব দিচ্ছে?”

“এই অফিসার কে একটা উচিত শিক্ষা দেবো আজকে”
মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন কমান্ডার বেনজির।

যেই ভাবনা সেই কাজ।
নিজের ঠাট বজায় রাখতে গড়গড় করে বলে উঠলেন

“আজকের দিনের মধ্যে এই ক্রিমিনাল এর সকল ইনফরমেশন তুমি একাই জোগাড় করবে।কারো হেল্প নিতে পারবে না।এমনকি তোমার সহকারী এনিরও না!

কমান্ডারের এমন কথায় রাজ্য যেনো আকাশ থেকে পড়লো।
মনে মনে ভাবতে লাগলো
“উনার সাথে কিসের শত্রুতা আমার?সারাক্ষন এভাবে পিছে লেগে থাকে!

“সুযোগ পেলে ঠিক একদিন ব্যাটা তোর ঘাড় মটকে দেবো দেখিস।

“কি হলো বসে বসে কি ভাবছো?

“এখনো যাচ্ছ না কেনো?”

কমান্ডারের উঁচু ধমকে নড়েচড়ে উঠলো রাজ্য।
মুখে স্মিত হাসি ঝুলিয়ে বোকার মতো হে হে করে হেসে বলে উঠলো

“যাচ্ছি স্যার যাচ্ছি।
বলতে বলতে নিজের কম্পিউটার অফ করে প্রয়োজনীয় ওয়েপন নিয়ে অফিসের বাইরে বেরিয়ে এলো রাজ্য।

পার্কিং লটে এসে বাইক স্টার্ট দেবার আগেই পেছন থেকে ডেকে উঠলো এনি।রাজ্যের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসু হয়ে জানতে চাইলো

“এই অসময়ে সিভিল ড্রেসে কোথায় যাচ্ছিস তুই?

মাথার হেলমেট পড়তে পড়তে এনির দিকে অসহায় চোখে তাকিয়ে রাজ্য বলে উঠলো
“হাইড এন্ড সিক খেলতে যাচ্ছি।

“আমিও যাবো তোর সাথে দাঁড়া ”
বলেই এনি বাইকে উঠার জন্য উদ্দত হলো

“যেতে পারবি না।খারুস কমান্ডার আমার সাথে তোকে এলাউ করবে না।
বলেই বাইক স্টার্ট দিয়ে ভো ভো করে এনির দৃষ্টির সীমানা থেকে ধুলো উড়িয়ে চলে গেলো রাজ্য।
রাজ্যের যাবার পানে তাকিয়ে ফুঁস করে শ্বাস ছেড়ে অফিসে ঢুকে পড়লো এনি।

________
“জানতে পেরেছিস সেদিন রাতে কে হামলা করেছিলো আমার উপর ?”
প্রশ্নটি করে রায়াফের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো যুবরাজ।

নিজের হাতের ট্যাব ঘেঁটে একটা ছবি সহ কিছু ইনফরমেশন বের করে যুবরাজের দিকে ট্যাবটা এগিয়ে দিয়ে রায়াফ বলে উঠলো

“এই ব্যাক্তি তোকে গুলি করে মারতে চেয়েছিলো সেদিন।সে একজন পেইড কিলার।শুধু তাই নয় শহরের যতো ধরনের খুন আর গুম আছে তার অর্ধেক এই ব্যাক্তিই করে থাকে।

‘মোহাম্মদপুর থানাতেই তার নামে ছিঁচল্লিশ টি গুম আর খুনের কেইস রয়েছে ।
এখন পর্যন্ত পুলিশ তাকে ধরতেই পারেনি।

“কেনো ধরতে পারেনি?
“এটা কি পুলিশের ব্যার্থতা নাকি কোনো ভীতি থেকে তাকে ধরছে না?

যুবরাজ রায়াফের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে নিজের গায়ের শার্টের হাতা ফোল্ড করার দিকে মনোযোগ দিলো।

রায়াফ কিছুক্ষন মৌন থেকে বলে উঠলো
“উনার পিছনে বড় বড় মানুষের হাত আছে।সবাই তাকে শেল্টার দিয়ে পুষে রেখেছে।এজন্য পুলিশ কোনো ভাবেই তার নাগাল পাচ্ছে না।

হাতের ঘড়ি পড়তে পড়তে যুবরাজ বলে উঠলো
“চল আমার সাথে।

রায়াফ ট্যাব ব্যাগে পুরতে পুরতে বলে উঠলো
“কোথায়?”

“বড় বড় হাত কাটতে”

কথাটি বলেই মুখে কাঠিন্য ভাব এনে পিছনের দিকে না তাকিয়ে লম্বা লম্বা পা ফেলে গটগট করে হাঁটা দিলো যুবরাজ।

**********
শহরের নামকরা একটি বিশাল শপিংমল এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে রাজ্য। বৃহতাকার এই আট তলা বিশিষ্ট শপিংমলটি উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পরখ করে ফুঁস করে শ্বাস ছেড়ে মাথার হেলমেট খুলে বাইকে রেখে ভেতরে ঢুকার জন্য পা বাড়ালো সে।

চেকিং পয়েন্টে সিকিউরিটি গার্ড তার কাঁধের ব্যাগ চেক করতে চাইলে প্যান্টের ব্যাক পকেট থেকে নিজের আইডি কার্ড বের করে সামনে মেলে ধরতেই সিকিউরিটি ভীত কন্ঠে বলে উঠলো
“সরি ম্যাম”

চোখে কালো রোদ চশমা লাগিয়ে অনুসন্ধিৎসু হয়ে এদিক সেদিক তাকাতে তাকাতে স্কেলটরে উঠে দাঁড়ালো রাজ্য।
হাত ঘড়িতে সময় দেখে চ” জাতীয় শব্দ উচ্চারণ করে নিজের প্লান সাজাতে মাথা নিচু করে ভাবতে লাগলো।
চলন্ত সিঁড়ি ধরে পুরাতন মোবাইল যেখানে বেচাকেনা হয় সেখানে ছুটে চললো রাজ্য।

একটি দোকানে গিয়ে হাতে থাকা ছবি দেখিয়ে বলে উঠলো
“এই ফোনটি এখানকার কোন দোকান থেকে নেয়া হয়েছে?

ফোনটি দেখেই দোকানের কর্মচারী ছেলে দুটো একজন আরেকজনের মুখের দিকে তাকিয়ে ফাঁকা ঢোক গিললো।
তাদের মুখের হঠাৎ পরিবর্তন দেখেই রাজ্য বলে উঠলো

“কোন দোকানের ফোন এটা?

ভীত ছেলে দুটো আঙুলের ইশারায় পাশের দোকান নির্দেশ করতেই
রাজ্য আর বাক্য খরচ না করে সেই দোকানটিতে গিয়ে বলে উঠলো
“কে কিনেছে এই ফোন টি?

দোকানে মাঝ বয়সী পাঞ্জাবি টুপি পরিহিত এক লোক রাজ্যের হাতের ছবি দিকে তাকিয়ে কঠিন বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলো

“এই ফোন আমার দোকানের না।আর বেশি ক্যাচাল না কইরা ভালোয় ভালোয় কাইটা পড়েন।

লোকটির কথা শুনে রাজ্য ফিচেল হেসে বলে উঠলো
“কেটে পড়ার হিসেব পরে আগে বলুন কে কিনেছে এই ফোন?

লোকটি চোখ মুখ কুঁচকে বিরক্তি ভাব দেখিয়ে বলে উঠলো
“অখন নামাজের টাইম।আপ্নে সরেন এইখান থেইকা।

রাজ্য বুঝে গেলো সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না এখানে।
দ্রুত ব্যাগ থেকে হেকলার ভিপি9 পিস্তল বের করে লোকটির কপাল বরাবর তাক করে তেজী কন্ঠে বলে উঠলো―

“হু বট দিস মোবাইল ফোন?

এবার লোকটির মাঝে কিছুটা আতংক পরিলক্ষিত হলো।
দুই হাত উপরে তুলে ধীর কন্ঠে বলে উঠলো

“ম্যাডাম আমরা শুধু পুরান মোবাইল কেনা বেচা করি।দোকানে এই মোবাইলডা সবচেয়ে পুরান মডেলের ফোন আছিলো।
শুধু তাই না সাথে একটা সিম ও আছিলো।
কিছুদিন আগে কিছু ছেলেপেলে আইসা জোরপূর্বক এই ফোনডা নিয়া গেছে।
আমরা তাদের নাম জিজ্ঞাস করলে তারা বলছিলো
“আমরা কালা মানিকের লোক।এই ফোন কালা মানিকের কাজের জন্য আমরা নিচ্ছি।

আপ্নে তো জানেন ওই লোক কতো ভয়ংকর!

লোকটির কপাল থেকে পিস্তল সরিয়ে রাজ্য বলে উঠলো

“আপনি কখনো স্বচক্ষে কালা মানিক কে দেখেছেন?

লোকটি রাজ্যের প্রশ্নের জবাবে ভীতিমিশ্রিত কন্ঠে উত্তর দিলো
“ওই কালা মানিক জারে খুন করে সে ছাড়া আর কেউ কোনো দিন তারে নিজ চক্ষে দেখে নাই ম্যাডাম।

লোকটির কথায় রাজ্যের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লো।

“ফোনটিতে যেই সিম ছিলো সেই সিমের মালিক বছর দুই আগেই গত হয়েছেন পুলিশের এনকাউন্টারে।কারন লোকটি ছিলেন একজন দাগী আসামি।প্রশাসনের উপর মহল থেকে অর্ডার ছিলো তাকে দেখা মাত্র সরাসরি ক্রসফায়ার করার।লোকটির ব্যাবহৃত ফোন আর সিম দুটোই পুলিশ তন্ন তন্ন করে খুঁজেছে বিভিন্ন ইনফরমেশন এর তাগিদে।
সব কিছু পাওয়া গেলেও সেই সময় লোকটির ব্যাবহৃত সিম সমেত মোবাইল টি মিসিং ছিলো।

―এতো দিন পরে এই কালা মানিক কিভাবে বেছে বেছে এই ফোনটি ই খুঁজে বের করলো?”

―কি রহস্য এখানে?

―”লোকটির সাথে কালা মানিকের কোনো যোগ সূত্র নেই তো?

সারা রাতের নির্ঘুম আর ডিউটির প্রেসারে মাথা টনটন করে উঠলো রাজ্যের।
কোনোমতে মাথা চেপে ধরে সেই দোকান থেকে প্রস্থান নিয়ে পায়ে চলা সিঁড়ির দিকে এগিয়ে গেলো।
এই মুহূর্তে তার রুফটপে উঠা অত্যান্ত জরুরি।
গোয়েন্দা ইনফরমেশন মোতাবেক শপিংমল এর অপজিট সাইডে যেই নয়তলা বিশিষ্ট লাক্সারি হোটেল টি রয়েছে তার আট তলায় দক্ষিণ পাশের যেকোনো একটি রুমে কালা মানিক রয়েছে।
পুলিশ যত টুকু অনুসন্ধান করেছে সেই মোতাবেক নাম কালা মানিক হলেও লোকটি ধবধবে ফর্সা।শক্ত পোক্ত গোফওয়ালা মাঝবয়সী একজন ব্যক্তি।
রাজ্য মাথা নিচু করে হাটতে হাটতে হঠাৎই কিছুর সাথে ধাক্কা খেয়ে চোখ মেলে উপরে তাকায়।
সামনে দাঁড়ানো অদ্ভুত রকমের সৌন্দর্যে ভরপুর বিশালাকার সুঠামদেহী সুপুরুষ দেখে রাজ্য কিছুটা ভড়কে গেলো।

এরকম যুবকের দেখা সচরাচর পাওয়া যায়না বললেই চলে।
হাতে,কপালে ব্যান্ডেজ লাগানো,লাল টকটকে ঠোঁট দুটোর মাঝখানে জলন্ত সিগারেট ঠাসানো।
চোখের দৃষ্টি গোলকধাঁধার ন্যায়।এধরনের দৃষ্টি দিয়ে যে কাউকে মুহূর্তেই হিপ্নোটাইস করা যায়।
ঘাড় সমান স্টাইল করে কাটা চুল গুলো যুবকের সৌন্দর্য অন্য সব পুরুষের থেকে হাজার গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
বুকের কাছে শার্টের বাটন খোলা থাকার দরুন গলার কাছে ভয়ংকর এক সাপের লকলকে জিভ বের করা হা করানো ট্যাটু দেখেই যে কারো শরীর শিউরে উঠতে বাধ্য।

যুবকের এমন আলাদা শিহরণ জাগানো সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবার বদলে আশ্চর্য হয়ে নিজেকে সামলে সরে দাঁড়ালো রাজ্য।
এরপর বিনয়ের সাথে মিহি কন্ঠে বলে উঠলো―

“আম এক্সট্রিমলি সরি, প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড।
কথাটি বলেই রাজ্য রাস্তা ছেড়ে দিয়ে নিজের গন্তব্যের দিকে হাঁটা দেয়।
এদিকে সুপুরুষ যুবক ভ্রু কুঁচকে নিয়ন্ত্রণ হীন রাগ নিয়ে সামনে দাঁড়ানো মানবীর দিকে নজর দেয়।
মুহূর্তেই ঠোঁট প্রশস্ত হয়ে রাগ পানি হয়ে আপনাআপনি কন্ঠ থেকে নির্গত হয় আবেশ জড়ানো বাক্য।
“সুবহানাল্লাহ”

রাজ্যের যাবার পানে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিজের হৃদযন্ত্রের হার্টবিট মিস করে এ পাশের পুরুষ।
পাশে দাঁড়ানো রায়াফ সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে গলা খাকরি দিয়ে নিচু কন্ঠে বলে উঠে

“এভাবে বুকে হাত চেপে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?কোনো প্রবলেম হচ্ছে?

“মরে যাচ্ছি বন্ধু।এই ঘাতকিনী আমাকে ঘায়েল করেছে।”
যুবরাজের মুখে এমন উদ্ভট বাণী শুনে রায়াফ ফিক করে হেসে উঠলো।
তবুও যুবরাজের মধ্যে কোনো হেলদোল লক্ষীত হলো না।
রায়াফ দ্বিতীয় দফায় বাহুতে পাঞ্চ মেরে বলে উঠলো

” যেটা করতে এসেছিস সেটা করবি না?
“নাকি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঢং করবি?

যুবরাজ বুকে হাত রেখে মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় বলে উঠলো

“তোর ভাবীর সৌন্দর্য দর্শনের উসিলায় হামলাকারীর জান আমি ভিক্ষা দিয়ে দিলাম ব্রো।

রায়াফ যুবরাজের কথার আগা মাথা না বুঝে যুবরাজ কে টেনে এক কর্নারে এনে দাঁড় করিয়ে চাপা কন্ঠে বলে উঠলো
“এসব কি বলছিস এখানে এভাবে জোরে জোরে?
“মেয়েটাকে তুই জানিস?

হুঁশ ফিরলো যুবরাজের।রায়াফের কথার প্রতিত্তর না করে ভরাট কন্ঠে বলে উঠলো

“মেয়েটা আমার হৃদয় চুরি করে নিয়ে গিয়েছে ব্রো।চল চুর ধরে আনি।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here