ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড #পর্ব_২১ #সারিকা_হোসাইন

0
28

#ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড
#পর্ব_২১
#সারিকা_হোসাইন

_______
শরতের শেষ রাতে আকাশে কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ উঠেছে।কাস্তের ন্যায় বাঁকা চাঁদটি ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতের শেষ ভাগ কে ক্ষীণ আলোয় আলোকিত করার বৃথা চেষ্টা চালাচ্ছে।গুমোট প্রকৃতি থমথমে রূপ ধারণ করে মাটির তলের ভ্যাপসা উত্তাপ কে সারা ধরনী ময় ছড়িয়ে দিতে উগ্র হয়েছে।মাঝে মাঝে মৃদু দখিনা হাওয়া গাছের ফাক ফোকর গলিয়ে গায়ে এসে অল্প ছুঁয়ে দিচ্চে।আর কিছুক্ষন পরেই রাতের সকল কালিমা দূর হয়ে আলোকিত ভোর আসবে।আবার নতুন এক শুভ বা অশুভ দিনের সূচনা হবে।

শহর জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে খুবই নির্মম নিষ্ঠুর ভাবে নানান বয়সের মানুষ খু*ন হচ্ছে। পুলিশ,আর্মি,গোয়েন্দা পুলিশের স্পেশাল ফোর্স কেউ ই কোনোভাবেই সেই সিরিয়াল কিলারের হদিস পাচ্ছে না।ডিপার্টমেন্ট জুড়ে অস্থিরতা বিরাজমান।রুক্ষ বেনজির আশফী পর্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ভাঙা হাত সমেত বাকি অফিসার দের নিয়ে ব্রিফ মিটিংয়ে কেস সলভড করতে দিক নির্দেশনা দিয়ে চলেছেন সমানে।তবুও যেনো কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।

দিনে রাতে মিলিয়ে সাড়ে বাইশ ঘন্টা ডিউটি সেরে রাজ্য সবেই বাসায় ফিরেছে।একদিকে ডিউটির চাপ অন্যদিকে শেরহাম নামক মানুষটার অতি রঞ্জিত বাড়াবাড়ি কোনোটাই তার ভালো ঠেকছে না।সারাদিনের কর্মব্যাস্ততার মধ্যেও যুবরাজের চিন্তা বারবার হানা দিচ্ছে বেহায়া মস্তিষ্কে।

এই অদ্ভুত পুরুষটা তাকে বেশ বেকাবু করে ফেলেছে এই কদিনে এটা রাজ্য খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছে।তাই জন্যই তো চিফের চোখ ফাঁকি দিয়ে একবার করে হলেও গুলশান সোসাইটির সেই এপার্টমেন্টের কাছে বেশ কয়েকবার ঢু মেরে এসেছে সে।কিন্তু আফসোসের বিষয় এই এক সপ্তাহে একদিন ও যুবরাজের দেখা পায়নি সে।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় শেরহাম কে বেশ কয়েকবার ওই এলাকায় সন্দেহ জনক ভাবে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে !

আনমনে নিজের ইউনিফর্ম এর বাটন খুলে চলেছে রাজ্য

“শেরহাম ওই এলাকায় এভাবে চোরের মতো কেনো ঘুরছে?লোকটাকে মোটেও সুবিধার লাগছে না।তার আচরণ গুলো পর্যন্ত অদ্ভুত।একবার তাকে ফলো করবো নাকি?

শার্ট খুলে হ্যাঙ্গারে ঝুলাতেই হঠাৎই বেলকনির থাই গ্লাস এর দিকে নজর যায় রাজ্যের।লম্বা চওড়া এক বিশালাকার মানবের কালো ছায়া সেখানে স্পষ্ট।সারা রাতের ডিউটির পর যেখানে একটু আরামের ঘুমের প্রয়োজন সেই সময়ে এমন আগন্তুক এর আবির্ভাব মোটেও ভালো ঠেকলো না রাজ্যের কাছে।লোকটির অস্তিত্ব তার মস্তিষ্কে ক্রোধের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ সৃষ্টি করলো।

“তুই যেই হোস তোকে আমি দেখে ছাড়বো”

রাগে ফোস ফোস করতে করতে কোমরে গুঁজে রাখা রিভলবার হাতে নিয়ে ধপাধপ পা ফেলে বেলকনির দিকে অগ্রসর হলো রাজ্য।
কয়েক কদম যেতেই মৃদু বাতাসের ঝাপটায় অতি পরিচিত পুরুষালি সুবাস ভুরভুর করে নাসা রন্ধ্রে বাড়ি খেলো।

হাত থেকে রিভলবার টি আপনা আপনি পড়ে গিয়ে টাইলসের মেঝেতে কর্কশ শব্দ তুললো।এমন শব্দেও ওপাশের মানবের অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটলো না।
নিজের হাত দুটো শক্ত করে মুষ্ঠি পাকিয়ে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো রাজ্য।
না চাইতেও বুকের খাঁচা ঠেলে কান্নার হিড়িক আসছে তার।এই অসভ্য পুরুষের জন্য হঠাৎ এমন অহেতুক কান্নার মানে খুঁজে পাচ্ছে না রাজ্য।

“এই নিষ্ঠুর পুরুষ যদি জানে এই মানবীর অশ্রু কণা তার জন্য ঝড়ছে তবে কি সে অনুতপ্ত হবে নাকি হাসি ঠাট্টা করে উড়িয়ে দেবে?আমি তো তাকে এখনো ভালো করে চিন্তেই পারলাম না।আর না পারলাম তার মনের পাজেল সলভড করতে।”

ধীরে ধীরে ঠকঠক শব্দ তুলে বেলকনি থেকে রাজ্যের কক্ষের দিকে এগিয়ে এলো যুবক।নিজের উপচে উঠা অশ্রুকে কঠিন ভাবে ঠেকাতে চোখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে ফেললো রাজ্য।নিজেকে কোনো ভাবেই আর ধরে রাখতে পারছে না সে।

“একা একা ভালোবেসে কাছে পাবার বাসনা বুঝি এতোটাই যন্ত্রণাদায়ক?

রাজ্যের চোখ থেকে মোটা মোটা ভারী অশ্রুদানা খসে মেঝেতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সমানে।সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই নোনা জলের ঢেউ উপভোগ করছে যুবকটি।লজ্জায় কষ্টে থরথর করে কেঁপে উঠতেই সামনে দাঁড়ানো কঠিন হৃদয়ের পুরুষের শার্টের কলার খামচে ধরে বুকে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো রাজ্য।

“আপনি খুব খারাপ যুবরাজ শাহীর,আপনি জঘন্য।আমাকে ভালোবাসতে বাধ্য করে ঠিক দূরে সরে গেলেন আপনি।একবার আমার খুজটাও নিলেন না”

রাজ্যের এমন অসহায় আহাজারীর কান্নায় চোখে জ্বালা শুরু হলো যুবরাজের।নিজের ভেতরের অসহ্য যন্ত্রনা গিলে খাবার বৃথা চেষ্টায় তার অ্যাডামস অ্যাপল পর্যন্ত বিষিয়ে উঠলো।নিজের শক্ত খোলস থেকে বেরিয়ে পেশীবহুল বৃহৎ শক্ত দুই হাতের বেষ্টনীতে রাজ্যকে আবদ্ধ করে ধরে আসা গলায় নিজের অপরাধ স্বীকার করলো যুবরাজ

“আম সরি, আম রিয়েলি সরি মাই বিলভড।আমার নিজেকে আয়ত্তে আনতে গিয়ে তোমাকেই কষ্ট দিয়ে ফেলেছি ।আমাকে শাস্তি দাও”

যুবরাজের মুখে শাস্তির কথা শুনে কলার ছেড়ে যুবরাজের মায়াবী মুখের দিকে তাকালো রাজ্য।অন্ধকার কক্ষে চাঁদের মৃদু আলোয় তার ছলছলে চোখ স্পষ্ট।যুবরাজকে দুই হাতে শক্ত করে জড়িয়ে পুনরায় যুবরাজের বুকে মাথা ছোয়ালো রাজ্য।

রাজ্যের মাথায় গাঢ় চুম্বন একে খোলা জানালা ভেদ করে দূর আকাশের বাঁকা চাঁদের দিকে দৃষ্টি পাতলো যুবরাজ।

“তুমি আমাকে ভালোবেসে ভুল করছো রাজ্য।আমাকে ভালোবাসলে বেঁচে থেকেই মৃত্যু যন্ত্রনা পাবে তুমি।আমি কখনোই চাইবো না তোমার ভাইয়ের সাথে যেই ঘটনা ঘটেছে তার দ্বিতীয় বার পুনরাবৃত্তি হোক।এরজন্য আমাকে মরতে হলে তাতেই আমি রাজি আছি।”

মনে মনে কথা গুলো বলে নিজের থেকে সরিয়ে রাজ্যের দুই বাহু ধরে সামনে দাঁড় করালো যুবরাজ।নিজের সকল দরদ লুকিয়ে রাজ্যকে স্বাভাবিক করতে দুস্টু চোখে এক ভ্রু উঁচিয়ে রসিকতা মিশ্রিত কন্ঠে বলে উঠলো

“তুমি কি আমাকে সিডিউস করার ধান্দা করছো জান?আমি কিন্তু এমনি এক কাঠি উপরে।আমাকে এভাবে আকর্ষণীয় রূপে সিডিউস করার কোনো প্রয়োজন নেই।দেবো নাকি এক চোট ভালোবাসা?

যুবরাজের এমন ঠোঁট কাটা কথায় লজ্জায় দুই কান ঝা ঝা করে উঠলো রাজ্যের।নিজের দিকে তাকিয়ে নিজেই চাপা আর্তনাদ করে দুই হাত ক্র্শ করে বুকে চেপে ধরলো।চিকন ফিতার সাদা রঙের ভেস্ট ভেদ করে শরীরের নিষিদ্ধ জিনিসের শেপ দৃষ্টি গত।হ্যাঙ্গারে ঝোলানো শার্টের দিকে অসহায় ভঙ্গিতে তাকিয়ে দুই ঠোঁট চেপে ধরে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইলো রাজ্য।

“আপনি আসলেই একটা অসভ্য।আপনি ভুতের মতো ওখানে কোন দুঃখে দাঁড়িয়ে ছিলেন?

―তাই বলে ভুতের সামনে তুমি শার্ট খুলে চলে যাবে?

―ইচ্ছে করে গিয়েছি নাকি?

―তাহলে কিভাবে গিয়েছো?

―আরে আমি ভেবেছি কোনো কিলার এজন্য…….

―এজন্য কিলার কে কিল করতে তুমি শার্ট খুলে ফেলবে?

রাজ্য মৃদু চিৎকার করে বলে উঠলো

“আমি ড্রেস চেঞ্জ করতে গিয়ে আপনাকে দেখেছি।

―ওহ আমার জন্য শার্ট খুলেছো?

রাজ্য যুবরাজের বুকে হালকা পাঞ্চ মেরে নেশাক্ত কন্ঠে বলে উঠলো
“আর একবার আমাকে জ্বালালে একদম মে*রে দেবো।

“এরকম ঘোর লাগানো দৃশ্য দেখে আমি হাজার বার মরতে রাজি আছি সোনামনি!”

“এবার কিন্তু আমার সত্যি সত্যি অনেক লজ্জা লাগছে”

ঝকঝকে সাদা দাঁতে নিজের ওষ্ঠ কামড়ে ধরে মেপে হাসলো যুবরাজ।এরপর ঘোর লাগানো কন্ঠে বলে উঠলো

“এভাবে লজ্জার কি আছে বেইব?হাত দুটো ছাড়া তো আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না।এতেই এতো লাজ?আমি নিজে থেকে যা যা দেখেছি সেটা জানলে তো তুমি এক্ষুনি ম*রে যাবে!

“কি দেখেছেন আপনি?
অবাক স্বরে নেত্র বিস্ফারিত করে শুধালো রাজ্য।

একটা চেয়ার টেনে বসে রাজ্যকে হাতে ধরে টেনে কোলে বসিয়ে তার গলার ভাঁজে মুখ ডুবিয়ে মাদকতা মিশ্রিত কন্ঠে যুবরাজ বলে উঠলো
“সব”!

যুবরাজের উষ্ণ স্পর্শে কেঁপে উঠে যুবরাজের ঘাড়ের চুলে টেনে ধরলো রাজ্য।শিহরণ জাগানো এই স্পর্শ তার সহ্যের বাহিরে।মনে হচ্ছে এমন স্পর্শ সে আগেও পেয়েছে।

“এই স্পর্শ আমার খুব চেনা যুবরাজ শাহীর”

“আমি দিয়েছি তাই”
নেশাক্ত কন্ঠে সহজ স্বীকারোক্তি যুবরাজের।

“কবে”?
অবাক মিশ্রিত কন্ঠে জানতে চায় রাজ্য।

দ্বিধাহীন উত্তর দেয় যুবরাজ

“প্রতিদিন”

যুবরাজের কোল থেকে চট করে উঠে দাঁড়ালো রাজ্য।চারপাশে ইতোমধ্যে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে।অল্প কিছুক্ষণ এর মধ্যেই সূর্যটা লাল আভা ছড়াবে।মোডের ব্যাঘাত ঘটায় অসহায় বাচ্চাদের মতো মুখশ্রী নিয়ে রাজ্যের পানে চাইলো যুবরাজ।তার ইনোসেন্ট চেহারা দেখে মনে হচ্ছে কেউ তাকে চকলেট এর লোভ দেখিয়ে সামনে থেকে কেড়ে নিয়েছে।

“কি হয়েছে সোনা?উঠে গেলে কেনো?

“আপনি প্রতিদিন এসে কি করেছেন আমার সাথে সত্যি করে বলুন”

কাঁদো কাঁদো মুখশ্রী তে কথা খানা বলে যুবরাজের উত্তেরের প্রতীক্ষায় রইলো রাজ্য।

ফুঁস করে লম্বা শ্বাস ছেড়ে যুবরাজ হাঁটুতে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ালো যুবরাজ।এরপর সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলে উঠলো

“কিছু করলে এতদিন তোমার ছেলে আমাকে পাপা ডাকতো।”

“একদম হেঁয়ালি করবেন না আমার সাথে।সত্যি সত্যি আমি কিন্তু সিরিয়াস মোডে আছি।”

দু পা এগিয়ে রাজ্যের এলোমেলো হওয়া চুল গুলো কানের পিঠে গুঁজে দিয়ে যুবরাজ আদুরে কন্ঠে বলে উঠলো

“আরে পাগল কিছুই করিনি।শুধু চুমু খেয়ে জড়িয়ে ধরেছি।সারা রাত ঘুমিয়ে আবার ভোর বেলা চলে গেছি।তোমার অনুমতি ছাড়া ওসব করার ছেলে আমি নই বাবু।”

“তাহলে আমি টের পেলাম না কেনো?
বড় বড় চোখে জানতে চাইলো রাজ্য।

“ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছি না হলে তুমি আমাকে আদরের জন্য খামচে ধরতে”

“আপনি একটা অসভ্য বেহায়া”
মেকি রাগ দেখিয়ে বলে উঠলো রাজ্য।

“জানি”
বলেই দাঁত কেলিয়ে বিগলিত হাসলো যুবরাজ

“আমি এখন ঘুমাবো।আপনি চলে যান।মা দেখে ফেললে সর্বনাশ হবে”

যাবার কথা মনে পড়তেই মন ভার হলো যুবরাজের।বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টিয়ে রাজ্যের দুই হাত ধরে আবদার জানালো

“আরেকটু থাকি?
“একদম না”
“যাবো?
“আলবাত”
“না গেলে কি হবে?
“বাবা আপনাকে ফাঁসিতে ঝুলাবে”
“আমি ফাঁসিতে ঝুলতে রাজি আছি”

*********
“তোর মাংসের টেস্ট কেমন হবে যুবরাজ?আর তোর কলিজার ভুনা?”
তোকে কিছু করতে না পেরে শহরের অসহায় মানুষ গুলোকে অযথা মেরে যাচ্ছি”এটা কোনো কথা বল?
অবশ্য এর জন্য তুই পুরোপুরি দায়ী।আমাকে কেউ দোষ দিতে পারবে না।আজ যদি আমার হাতে তুই মরে যাস তাহলেই তো সব খেল খতম।।

ডক্টর রেহানের বোনকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম কষ্ট দিয়ে মারতে চেয়েছিলাম।ভেবেছিলাম ওটা তোর প্রেয়সী।
প্রেয়সীর নৃশংস মৃত্যু একজন প্রেমিক পুরুষের জন্য কতোটা কষ্টের এটা তোর থেকে ভালো আর কে জানে বল?
কিন্তু খুঁজ নিয়ে জেনেছি তোর সাথে মেয়েটির কোনো লেনাদেনা নেই।কিন্তু আমি ডিসাইড করেছি ওকে মারবো।তোর সাথে লেনাদেনা থাকুক বা না থাকুক।
আমাকে ইগনোর এর সাহস দেখিয়েছে এই টুকুন মেয়ে।শেরহামের জীবনে কোনো অপ্রাপ্তির রেকর্ড থাকবে না।আমি ঠিক ওকে বিয়ে করে আমার আসল রূপ চেনাবো।

ঘুটঘুটে অন্ধকার কক্ষে পাতানো ইজি চেয়ারে সমানে দোলে দোলে আবোল তাবোল বকে যাচ্ছে শেরহাম।পুরো ঘর অগোছালো নোংরা আর আষ্টেময় গন্ধে বমির উদ্রেক তোলার জন্য যথেষ্ট।সেই অসহনীয় পরিবেশে দিব্যি খোশমেজাজে দিন রাত পার করছে শেরহাম।পুরো ঘর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মানুষের হাড়, দাঁত আর মাথার খুলি।আবার কারো কারো অর্ধ পচে যাওয়া ক্ষত বিক্ষত শরীর।বাইরে থেকে ফিটফাট প্রাসাদ তুল্য বাড়িটির ভেতরে এমন ভ্যাম্পায়ার দুর্গ এটা ভেতরে না প্রবেশ করলে কেউ বাইরে থেকে অনুমান ই করতে পারবে না।

শেরহামের চিন্তার ব্যাঘাত ঘটলো টেলিফোন এর টুনটুন শব্দে।শব্দ শেরহামের একদম পছন্দ নয়।অন্ধকার কক্ষ আর নীরবতা মিশ্রিত পরিবেশ দুটো তার বেশ পছন্দ।টেলিফোন এর শব্দে ক্রোধে গড়গড় করতে করতে চেয়ার ফেলে নিজের কক্ষ পেরিয়ে রক্তাক্ত সিঁড়ি বেয়ে ড্রয়িং রুমে নেমে এলো শেরহাম।এদিকে অস্বস্তিকর টেলিফোন বেজেই চলেছে।
রাগে গজ গজ করতে করতে দাঁত খেচিয়ে ফোন কানে তুললো শেরহাম।

“কি ব্যাপার আব্দুল ফোন তুলছিস না কেনো?আর ওই পাগল টার কি অবস্থা?

“মমের মতো আব্দুল কে ও রান্না করে খেয়ে ফেলেছি বাবা।বেশি তদারকি আমার একদম পছন্দ নয়।

#চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here