ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড #পর্ব_৯ #সারিকা_হোসাইন

0
30

#ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড
#পর্ব_৯
#সারিকা_হোসাইন

“এক্সকিউজ মি,আম সরি ফর লেট”

চেয়ারে বসে অপেক্ষারত যুবক রিনরিনে মিষ্টি কন্ঠকে অনুসরণ করে ফোনের স্ক্রিন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে মাথা তুললো।সামনে দাঁড়ানো অসাধারন সুন্দরী মানবীকে দেখে মুহূর্তের ব্যাবধানে হার্টবিট মিস করলো।পুরো মস্তিষ্ক ফাঁকা মনে হলো যুবকের কাছে।বুকে জমানো দলা পাকানো উচ্ছাস গুলো আন্দোলন করে বাইরে বেরিয়ে আসার জন্য ভেতরে খুব পীড়া দিতে লাগলো।
রাজ্য যুবকের এমন চাহনিতে ভড়কে গিয়ে খুক খুক করে কেশে উঠলো।
সম্বিৎ ফিরে পেলো যুবক।হাতের ফোন টেবিলে রেখে মুখে প্রশস্ত হাসি ঝুলিয়ে দ্রুত দাঁড়িয়ে পাশে রাখা বিশাল লাল গোলাপের তোড়া এগিয়ে দিলো।

“থ্যাঙ্কস ফর কামিং হেয়ার,আম ভেরি হ্যাপি টু সি ইউ।”

রাজ্য সঙ্কোচের সহিত ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে মাথা ঝুকিয়ে থ্যাঙ্কস জানালো।
“আপনি মনে হয় অনেক ক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলেন আমার জন্য।আমি আসলে…..

রাজ্যকে কথা শেষ করতে না দিয়ে নিজের চেয়ার ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এলো যুবকটি।রাজ্যের পিছনে দাঁড়িয়ে রাজ্যের জন্য বরাদ্দকৃত চেয়ার টেনে হাতের নির্দেশে অমায়িক হেসে বললো

“আপনি রিল্যাক্স হয়ে বসুন।আমি বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম না।আর সুন্দরীদের জন্য একটু আধটু অপেক্ষা করলে সেরকম কোনো কষ্ট হয়না।”

রাজ্য বুঝতে পারলো “বিদেশি ঝানু মাল,খুবই দক্ষ সকল বিষয়ে।ফ্লার্টিং লেভেল ও প্রশংসার দাবিদার”

ছেলেটি মুখে মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে রাজ্যের দিকে নিজের পেশীবহুল হাতটি বাড়ালো
“এনিওয়ে আম শেরহাম ফাইয়াজ, ইউ ক্যান কল মি অনলি শেরহাম”

রাজ্য দ্বিধানিত হয়ে নিজের হাত মেলে হালকা শেরহামের হাত ছুঁইয়ে সাথে সাথেই সরিয়ে নিলো।
“আমার নাম রাজ্য”

শেরহাম রাজ্যের পরিচয় পর্বে নাম শুনে আরেকটু বিগলিত হাসলো।এরপর টেবিলে রাখা মেনু কার্ড এর দিকে নজর বুলাতে বুলাতে হুট করে রাজ্যের দিকে দৃষ্টি মেলে কন্ঠ খানিকটা খাদে ফেলে বললো
“শেরহাম এর মানে জানেন?

রাজ্য বোকার মতো মাথা ডানে বামে নাড়িয়ে না বোধক ইঙ্গিত দিলো।
শেরহাম মেনুকার্ড রাজ্যের দিকে ঘুরিয়ে একটু মসকারার স্বরে বলে উঠলো
“শেরহাম মানে হচ্ছে রাজা।আর রাজার কাজ নিশ্চয়ই জানেন মিস রেহনুমা রাবাব রাজ্য”!

শেরহামের মুখে নিজের পুরো নাম শুনে কিছুটা অবাক হয়ে রাজ্য শেরহামের চোখে চোখ রাখলো।
মিনিট খানেক অপচয় করার পরেও সেরকম কিছুই উদঘাটন করা গেলো না তার চোখের মণি থেকে।রাজ্যের কাছে মনে হলো লোকটির চোখ দুটো গোলকধাঁধা বৈকি আর কিছুই নয়।
দেখে মনে হয় সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে কিন্তু প্রবেশ করলেই গোলকধাঁধার চক্করে নির্ঘাত মৃত্যু।

শেরহাম রাজ্যের মতিগতি বুঝলো কি না কে জানে?রাজ্যের পানে নেশাক্ত চোখে তাকিয়ে কন্ঠে খানিক নম্রতা ঢেলে বললো
“চলুন কিছু খেয়ে নেয়া যাক, খালি মুখে কথা বলতে পানসে পানসে ফিল হচ্ছে”

শেরহামের হাত থেকে মেনুকার্ড নিয়ে কিছুক্ষন তাতে চোখ বুলালো রাজ্য।বেছে বেছে নিজের জন্য একটা আইসড আমেরিকানো আর একটা স্যান্ডউইচ ওর্ডার করে শেরহামের দিকে এগিয়ে দিলো।

মুচকি হেসে মেনুকার্ড টি নিয়ে শেরহাম খুবই চিন্তিত হয়ে কিছু একটা খুঁজে চললো।
শেরহামের চিন্তিত মুখ রাজ্যের মনে উদ্বিগ্নতা সৃষ্টি করলো

“আপনাকে অনেক চিন্তিত লাগছে মিস্টার শেরহাম ফাইয়াজ।আপনি কি খুঁজছেন এভাবে মেনুকার্ডে?

―”দেখছি সব চেয়ে তিতকুটে কোন আইটেম টা রয়েছে এদের”

―”তিক্ত স্বাদ দিয়ে কি করবেন আপনি?”

“আপনার মিষ্টতা কতটুকু তা পরিমাপ করবো মিস রাজ্য।”

ওয়াইটার রাজ্যের ওর্ডার কৃত খাবার সামনে সার্ভ করতেই এক সিপ কফি মুখে তুলে মাথা নিচু করে আনমনে কিছু ভেবে চললো সে।

“ওই ঠোঁট ওই চোখ তার অনেক পরিচিত।কোথাও কোনভাবে শিহরণ জাগানো ঠোঁট গুলো তাকে ছুঁইয়েছে।কিন্তু কোথায় এতো আন্তরিক ভাবে দেখা হয়েছিলো তাদের?

রাজ্যের ভাবনার ছেদন হলো শেরহামের আঙুলের তুড়িতে।

“কি ব্যাপার সামনের রাজা সাহেব কে পাত্তা না দিয়ে কার ভাবনায় মশগুল হয়েছেন”?

শেরহাম কে যতো দেখছে ততো অবাক হচ্ছে রাজ্য।যে কোনো মেয়েকে সে এই মিষ্টি কথা বলে নিমিষেই পটিয়ে নিতে পারবে।কিন্তু তার এই রঙ ঢং যুক্ত কথা রাজ্যের মোটেও ভালো লাগছে না।তার মন মস্তিষ্ক জুড়ে শুধু ঘুরে বেড়াচ্ছে যুবরাজের মায়াবী মুখ খানা।

কফি জার হাতে নিয়ে মুখে স্ট্র কিঞ্চিৎ ঢুকিয়ে শেরহামের দিকে তাকিয়ে অস্ফুট স্বরে বলে উঠলো―

“চোখের সামনে অদ্ভুত ট্যাটু ওয়ালা ছেলেটা কেনো বার বার ভেসে উঠে মনে উচাটনের সৃষ্টি করছে?”

********
ধারালো চাকুর ধারে যুবরাজের হাত কেটে টুপটুপ করে রক্ত ঝরে যাচ্ছে রেস্টুরেন্টের ছাই রঙা চকচকে টাইলসে,সাথে চোখ থেকে গড়িয়ে পড়লো উষ্ণ জলের ধারা।সেদিকে যুবরাজের কোনো খেয়াল নেই।চোখের সামনে সে যাকে হাসতে হাসতে কথা বলতে দেখছে তার চোখ দুটো উপরে ফেলে জিভ টেনে ছিড়ে জবাই করতে ইচ্ছে করছে এই মুহূর্তে।
রায়াফ যুবরাজের দিকে তাকিয়ে যুবরাজের দৃষ্টি অনুসরণ করে যা বুঝার তা বুঝে গেলো।কাউকে কিচ্ছুটি টের পেতে না দিয়ে দ্রুত বিল মিটিয়ে টেনে হিচড়ে যুবরাজকে রেস্টুরেন্টের বাইরে নিয়ে যেতেই নিজের সর্বস্ব দিয়ে রায়াফের মুখ বরাবর এক ঘুষি বসিয়ে দিলো যুবরাজ।
মুহূর্তেই রায়াফের ঠোঁট কেটে রঞ্জন উষ্ণ তরল পদার্থ বেরিয়ে এলো।রায়াফ নিজের ব্যাথাকে গায়ে না মেখে যুবরাজকে জাপ্টে ধরে গাড়িতে তুলে দ্রুত গাড়ি স্টার্ট দিয়ে স্থান ত্যাগ করলো।

যুবরাজ গাড়িতে বসে উন্মাদের মতো আচরণ করছে।রায়াফ কিভাবে সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করবে সেটা ভেবেই বারবার নিজের চুল খামচে উদ্ভ্রান্তের মতো গাড়ি ড্রাইভ করে যাচ্ছে।

“আমাকে ওখান থেকে কেনো নিয়ে এলি মাদার চু*?

যুবরাজের বিশ্রী গালাগালেও রায়াফ কোনো টু শব্দ করলো না।
কিছুক্ষন পর যুবরাজ নিজেকে স্বাভাবিক করে আহত কন্ঠে বলে উঠলো
“আমাকে বারে নামিয়ে দে”আজ রাতে বাসায় ফিরবো না আমি।”

রায়াফ বাধ্য দাসের ন্যায় যুবরাজকে বারে নিয়ে একটা চেয়ারে বসিয়ে দিলো।
যুবরাজের দিকে তাকিয়ে বার ম্যানেজার চোখ টিপে বলে উঠলো
“দেশি নাকি বিদেশি?”

নিজের পকেট হাতড়ে কার্ড বের করে ম্যানেজার এর দিকে ছুড়ে মারলো যুবরাজ।
“এই যুবরাজ শাহিরকে আজ পর্যন্ত কেউ জিজ্ঞেস করেনি তার কি পছন্দ।চেহারা দেখেই মানুষ বুঝে গিয়েছে হুয়াট আই ওয়ান্ট”?

ম্যানেজার কাঁপা কাঁপা হাতে কার্ড টি তুলে ভয়ে সরি স্যার বলতে বলতে জায়গা ত্যাগ করলো।
মদের উটকো গন্ধ আর মানুষের অশ্লীল বেলেল্লাপনা কাজে রায়াফের দম বন্ধ লাগলো।সুগন্ধি টিস্যু দিয়ে নিজের নাক চেপে ধরে কোনোমতে বমির উদ্রেক আয়ত্তে এনে যুবরাজের উদ্দেশ্যে ধীর কন্ঠে বলে উঠলো―

“তোর কাজ শেষ হলে আমাকে কল করিস, এখানে জঘন্য লাগছে আমার।পার্কিং এরিয়াতেই আছি আমি”

রায়াফ প্রস্থান করতেই ওয়েস্টার্ন পোশাক পরিহিত একটি সুন্দরী মেয়ে সিগারেট ফুকতে ফুকতে যুবরাজের পাশে এসে দাড়ালো।
মুখে কুটিল হাসি ঝুলিয়ে নেশাক্ত চোখে নিজের বক্ষদেশ যুবরাজের পিঠে ঠেকিয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বলে উঠলো

“হায় হ্যান্ডসাম !ডু ইউ ওয়ান্ট টু স্পেন্ড এ নাইট উইথ মি”?

মেয়েটির বিশ্রী আবদার আর শরীর ছোয়ানোর ভঙ্গিমায় পায়ের রক্ত মাথায় উঠে গেলো যুবরাজের।
মদের গ্লাস ফেলে মেয়েটির কোঁকড়ানো চুলের মুঠি চেপে ধরতেই মেয়েটি আর্তনাদ করে বলে উঠলো
“আই লাইক উইল্ড টর্চার”

এবার যেনো নিজের জ্ঞান পুরোটাই হারিয়ে ফেললে যুবরাজ।
মেয়েটির গলা চেপে ধরে দাঁতে দাঁত পিষে হিস হিস করে বলে উঠলো
“দু টাকার মেয়ে হয়ে তোর নোংরা শরীর দিয়ে কোন সাহসে আমাকে ছুঁয়েছিস?
মেয়েটি যুবরাজের চোখের দিকে তাকিয়ে ভয়ে শিউরে উঠলো,মুহূর্তেই তার নেশা কেটে গিয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে এলো।যেই চক্ষুদ্বয় কিছুক্ষন আগেও নেশায় এলোমেলো দৃষ্টি হয়ে ছিলো সেই চোখ এখন আহত চিতার জলন্ত দৃষ্টি মনে হচ্ছে।
মেয়েটির কন্ঠ রোধ হয়ে সমস্ত কথা তালগোল পাকিয়ে গেলো।নিজের দুর্বল ছোট ছোট দুই হাত দ্বারা যুবরাজের থাবার মতো হাতটি গলা থেকে সরাতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে মেয়েটিকে।ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সামান্য হাতের বাধন আলগা করতে সক্ষম হলো মেয়েটি।নিজের প্রাণ হাতে পেতেই গড়গড় করে বলে উঠলো

“আমি ভুল করে ফেলেছি স্যার।আম রিয়েলি সরি।আজকের মতো ছেড়ে দিন,আর কখনো আপনার সামনে আসবো না।”

মেয়েটির কাকুতি মিনতিতে যুবরাজের রাগ সপ্তম আকাশ ছুলো।নিজের পুরো শক্তি দিয়ে মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে ছুড়ে ফেলতেই কোনায় এক কাঁচের টেবিলের সাথে বাড়ি খেয়ে মেঝেতে ছিটকে লুটিয়ে পড়লো।

********
রায়াফের ঠোঁট ফুলে দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে।টনটনে ব্যাথায় মাথা ধরে আছে তার।আশপাশ হেটে বার থেকে কয়েক গজ দূরেই একটা ফার্মেসি দেখতে পেলো।
দৌড়ে সেখানে ঢুকে এন্টিসেপটিক আর ওয়েন্ট মেন্ট নিলো।
নিয়ে ফার্মেসি থেকে বেরুতেই একটি মেয়ের সাথে ধাক্কা খেলো।
রায়াফ মাথা নিচু করেই মেয়েটির উদ্দেশ্যে বলে উঠলো

“আম সরি ম্যাডাম।আসলে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে না দেখে আপনাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলেছি।

মেয়েটি রায়াফের এমন প্রশংসনীয় আচরণে মুগ্ধ হয়ে বিগলিত হয়ে যায়।

“আরে এতো সরি বলার কি আছে?আমিও তাড়াহুড়োয় আপনাকে দেখতে পায়নি।আর তাছাড়া আমি কিছু মনেও করিনি।

মেয়েটির স্পষ্ট সুন্দর আওয়াজে মেয়েটির দিকে চোখ তুলে তাকালো রায়াফ।
শ্যাম বর্ণের ছিমছাম হালকা গড়নের মেয়েটির মুখের মিষ্টি হাসি প্রথম ঝলকেই রায়াফের চোখে মুগ্ধতা ছড়ালো।মেয়েটি আরো অনেক কিছুই বলে চললো রায়াফ সেগুলো কানেও শুনলো না।
শেষে মেয়েটি বলে উঠলো

“আরে আপনার ঠোঁট দেখি অনেকটাই কেটে গিয়েছে।।এখনই অয়েন্টমেন্ট না লাগালে ইনফেকশন হয়ে যাবে।

মুহূর্তেই নিজের বীভৎস চেহারা মনে হতেই লজ্জায় মাথা নুইয়ে ফেললো রায়াফ।
“আমি আসছি”
বলেই হন্তদন্ত করে গাড়ির দিকে হাঁটা দিলো।
মেয়েটিও পিছন পিছন এসে রায়াফকে ধরে ফেললো

“চলুন আপনাকে ড্রেসিং করে ক্রিম লাগিয়ে দেই।
মেয়েটির এমন বাচ্চা সুলভ আবদারে কেঁপে উঠলো রায়াফ।

“একজন অপরিচিত মানুষকে আপনি ওয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে দিবেন?

মেয়েটি হেসে বললো
“আমি একজন পাবলিক সার্ভিসর, আপনিও যেহেতু একজন পাবলিক তাহলে সার্ভিস দিতে প্রবলেম কোথায়?

মেয়েটির বাচ্চা বাচ্চা চেহারা আর মিষ্টি হাসি দুটোই চূড়ান্ত ভাবে মুগ্ধ করলো রায়াফ কে।মেয়েটি ক্ষত পরিস্কার করে কটন বাড এর সাহায্যে আলতো হাতে ঠোঁটের উপর অয়েন্টমেন্ট এর প্রলেপ লাগিয়ে দিলো।
মেয়েটির কাজ শেষ হতেই হাত ঝাড়া দিয়ে বলে উঠলো
“শেষ”

মেয়েটির হাত ঝাড়ার শব্দে ধ্যান ভাঙলো রায়াফের।সে কোনো ব্যাথা বা জলুনি কিচ্ছুটি টের পেলো না।আর পাবেই বা কিভাবে সমুদ্রের মতো স্বচ্ছ চোখে ডুব দিলে আর কি দুনিয়াবী কোনো হুশ থাকবার কথা?

মেয়েটি নিজের হাত বাড়িয়ে বলে উঠলো
“বাই দ্যা ওয়ে আমি এনি রহমান'”

মেয়েটির নরম তুলতুলে ছোট হাতে আলতো হাত ছুয়ালো রায়াফ।
“রেদোয়ান রায়াফ”

পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো,আসছি।
পকেট থেকে নিজের ফোন বের করে একটি নম্বর ডায়াল করে দ্রুত পদে প্রস্থান নিলো এনি।

——–
নিজের বন্ধ অন্ধকার কক্ষে বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে রাজ্য।কিছুতেই তার অক্ষিপটে ঘুম ধরা দিচ্ছে না।সে আজ সুদর্শন ড্যাসিং একজন টাকাওয়ালা হাঙ্ক এর সাথে দেখা করেছে।বাকি সব মেয়েদের মতো তার উচিত ডেট করা ছেলেটির চিন্তায় মশগুল থাকা।কিন্তু তার বেলায় হয়েছে অন্য ঘটনা।
সে কিছুতেই যুবরাজের চেহারা মন থেকে মুছতে পারছে না।বেহায়া মন বারবার দ্বিতীয় দফায় তার সান্নিধ্য চাচ্ছে।তাই জন্যই তো শেরহামের সাথে দ্রুত কথা শেষ করে যুবরাজের টেবিলে ফিরে এসেছিলো সে।
কিন্তু অদ্ভুত বিষয় গুছানো খাবার ঠিকই পড়ে ছিলো টেবিলে কিন্তু যুবরাজ ছিলো না
চিন্তায় চিন্তায় রাজ্যর মাথা ফেটে যাবার উপক্রম।নিজের মাথা থেকে যুবরাজের চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে রুমের লাইটস অন করে দিলো।
দ্রুত পোশাক পাল্টে একটা জিন্স আর টিশার্ট গায়ে জড়িয়ে একটা রিভলবার আর টর্চ হাতে নিয়ে নিজের বেলকনির পাইপ বেয়ে ঝাঁপিয়ে নেমে গেলো।
নিজেকে নিজেই বুঝালো
“অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা তাই কাজে ডুবে থাকাই শ্রেয়”
নিজের কলিগ এনিকে ফোন বের করে মেসেজ পাঠালো
“চিপ কমান্ডার এর বাড়িতে ভুত দেখতে যাচ্ছি।জেগে থাকলে তোর আমন্ত্রণ রইলো ভুতের বাড়িতে।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here