#ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড
#পর্ব_২৪
#সারিকা_হোসাইন
———
বিশাল ঘন জঙ্গলের বড় বড় গজারি আর নাম না জানা উঁচু বৃক্ষের অন্ধকার পেরিয়ে একদম শেষ মাথায় সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে পরিত্যক্ত একটি প্রাসাদ তুল্য বাড়ি।দেখে মনে হচ্ছে ব্রিটিশ আমলে তৈরি।বাড়িটির খসে পড়া দালানে শেওলা আর পাহাড়ি বুনো লতায় ছেয়ে আছে।জায়গায় জায়গায় মাকড়ের বড় বড় জালের বিস্তার।মাথার উপরে থেকে থেকেই অদ্ভুত প্রাণীর ভয়ংকর ডাক শোনা যাচ্ছে।যদিও এখন প্রায় দুপুর কিন্তু মনে হচ্ছে ঘুটঘুটে সন্ধ্যা।মাঝে মাঝেই বিষাক্ত সাপের হিস হিস নিঃশ্বাসের শব্দ কর্ণ কুহরে এসে বাড়ি খাচ্ছে।কোনো সাধারন মানুষ তো দূরে থাক পৃথিবীর সর্বশেষ যেই সাহসী ব্যাক্তি অবশিষ্ট আছে সেও হয়তো এখানে পা মাড়াতে আপত্তি জানাবে।
প্রাসাদ তুল্য সেই বাড়ির বেজমেন্ট জুড়ে মানুষের পচে যাওয়া র*ক্ত আর মাংসের বিশ্রী উটকো গন্ধ।সেই গন্ধে এক সেকেন্ড টেকাও যেনো দায় হয়ে পড়েছে।কক্ষের মেঝেতে দেয়ালে কিছু কিছু রক্তের ছাপ একদম তরতাজা।দেখে মনে হচ্ছে কেবলই কোনো মানুষ বা প্রাণীর প্রাণ বধ করা হয়েছে।পুরো মেঝে জুড়ে মানুষের খাবলা খাবলা হাড় যুক্ত মাংস আর হাড় পড়ে রয়েছে।আলো বা রোদ কিছুই প্রবেশ না করার কারনে রক্ত গুলো শুকিয়ে যাবার বদলে জমাট বেঁধে পোকা জন্ম দেবার উপক্রম হয়েছে।
ভ্যাপসা গরম,স্যাৎস্যাতে পরিবেশ,অপরিচিত পোকামাকড় আর পচা গন্ধে যে কারো পেট গুলিয়ে বমি আসতে সেকেন্ড সময়ের ব্যাবধান ও লাগবে না।কিন্তু দুজন জলজ্যান্ত লম্বা চওড়া সুঠাম দেহের সুদর্শন যুবক কোনো প্রকার অস্বস্তি ছাড়াই দুজন দুজনের দিকে ক্রুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে।ভাবখানা এমন তারা পরিস্কার তকতকে সুন্দর রণ ভূমিতে যুদ্ধের ঘোষণা করছে।
যুবরাজের সাইবেরিয়ান হাসকি কুকুরটা লাল টকটকে লম্বা জীভ খানা বের করে গড়গড় শব্দ করতে করতে শেরহামের চারপাশে চক্রাকারে ঘুরে যাচ্ছে।যুবরাজ হুকুম করা মাত্রই যেনো সে তার বিষাক্ত চোখা দাঁত গুলো জায়গা মতো বসিয়ে ছিড়ে আনবে রক্তের নালি।
সিগারেট এর শেষ টান দিয়ে যুবরাজ উঠে দাঁড়ালো।এরপর শেরহামের সামনে এসে দাঁড়িয়ে হো হো শব্দ তুলে কিছুক্ষণ হেসে মুহূর্তেই মুখে কাঠিন্য ভাব আনলো।,
“হাও ডু ইউ ফিল ইন মাই হেল ব্রো?ডিড ইউ লাইক দ্যা প্লেস?টেল মি হাও ক্যান আই সার্ভ ইউ?”
এমন জঘন্য পরিস্থিতি তে যুবরাজের এমন হেয়ালিপনা দেখে শেরহামের মাথায় যন্ত্রনা ধরে গেলো।মাথার মগজে কিলবিলিয়ে উঠা ক্রোধ কে জিহবার ডগায় এনে শেরহাম যুবরাজের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো
“এতো ভাবে তোকে মাটিতে মুখ থুবড়ে আছাড় খাওয়ালাম তবুও আমার সম্পর্কে তোর জ্ঞান বোধ কিছু হয়নি নাকি?
যুবরাজ ক্রোধিত নজরে শেরহামের হাত পাকড়াও করে মুহূর্তেই জোরে টান দিয়ে শেরহামের হাত থেকে একটা লোম টেনে তুলে ফেললো নিমিষেই।সেই লোম শেরহামের চোখের সামনে তুলে ধরে দাঁতে দাঁত পিষে বললো
“তুই আমার একটা বা*ল ও বাঁকা করতে পারিস নি ”
যুবরাজের কথা শুনে শেরহাম প্রচন্ড অদ্ভুত হাসলো।যুবরাজের হাত থেকে সেই টেনে তোলা লোম ফু দিয়ে হাওয়ায় উড়িয়ে প্যান্টের পকেটে দুই হাত গুঁজে ফিক করে হেসে দিলো।
“তোর প্রেয়সী ম্যাগান কে কিভাবে মেরেছিলাম জানিস?আশা করি তার এপার্টমেন্টে গিয়ে স্বচক্ষে দেখেছিস।শালী সেই একটা জিনিস ছিলো,রাত ভর আদর দিয়েছিলাম।তোর জন্যও রাখতে চেয়েছিলাম।কিন্তু আমারই মন ভরছিলো না।।এজন্য তোকে ভাগ দিতে পারিনি।সরি রে!
বলেই আরেক চোট বিশ্রী হাসলো শেরহাম।
সহসাই নিজের শরীরের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে শেরহামের মুখ বরারব এক ঘুষি বসিয়ে দিলো যুবরাজ।সেই ঘুষির শক্তিতে সামান্য দূরে ছিটকে গেলো শেরহাম।
জমাট বাঁধা রক্তে স্লিপ খেয়ে হাটু মুড়ে নোংরা মেঝেতে বসে পড়লো শেরহাম।এরপর ঠোঁটে হাত দিতেই আঙুলের সাথে তরতাজা রক্ত উঠে এলো।চোখের সামনে সেই রক্ত মেলে ধরে জিভ দিয়ে চেটে ঠোঁটের রক্ত টুকু গিলে নিলো।এরপর অদ্ভুত ভঙ্গিতে নেশাক্ত মানুষের মতো আঙুলের রক্ত গুলো চেটে চেটে খেতে লাগলো।
“রক্ত খেতে চাস?দেবো নাকি এক গ্লাস তরতাজা উষ্ণ রক্ত?
রক্তের কথা শুনতেই চক চকে চোখে কুকুরের মতো জিভ বেরিয়ে এলো শেরহামের।সেই লোভাতুর মুখশ্রী দেখে সশব্দে হাসলো যুবরাজ।
“আমি তোকে এভাবে মা*রবো না রে শেরহাম।কারন তুই একজন অসুস্থ পাগল,তুই রোগে আক্রান্ত।তোকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তবেই আমি চূড়ান্ত শাস্তি দিয়ে তোর পাপের খেলা সাঙ্গ করবো।
যুবরাজের মুখে নিজ সম্পর্কে এমন অমূলক কথা বার্তা শুনে রাগের পারদ চটে গেলো শেরহামের।সেটা দেখে যুবরাজ যেনো বেশ মজা পেলো।
“তোকে এ পর্যন্ত কেনো এনেছি জানিস?
শেরহাম কে কোন উত্তর দেবার সুযোগ না দিয়েই শার্টের কলার ধরে টেনে তুললো যুবরাজ।বাধ্য দাসের ন্যায় শেরহাম উঠে দাঁড়াতেই যুবরাজ বলে উঠলো
“চল তোকে কিছু ট্রেইলার দেখাই”
শেরহাম কে কলার ধরে টেনে হিচড়ে নোংরা আবর্জনা যুক্ত সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে চলেছে যুবরাজ।সাথে কুকুরটি বিশ্বস্ত পাহারাদারের ন্যায় তাদের পিছন পিছন সতর্ক দৃষ্টিতে হেটে চলেছে।
সিঁড়ি ধরে হাটতে হাটতে হঠাৎই তারা একটা দরজার সামনে এসে দাড়ালো।দরজাটি দেখে মনে হচ্ছে কিছুদিন আগেই বেশ যত্নের সহিত বানানো হয়েছে।যেই সেই দরজা নয় একদম লোহার তৈরি ভারী পোক্ত দরজা।আর সেই দরজার সামনে ঝুলানো হয়েছে বিশাল আকারের দুটো তালা।
রহস্যময় হাসি ঝুলিয়ে প্যান্টের পকেটে হাতড়ে বিশাল তলার জন্য বিশাল এক চাবির চড়া বের করে আনলো যুবরাজ।এরপর সেই চাবি দিয়ে তালা খুলতেই ভেসে এলো মানুষের আত্ম চিৎকার আর বিশ্রী গন্ধ।
“আমাদের ছেড়ে দাও,মুক্তি দাও।আর সহ্য করতে পারছি না।বেঁচে থেকেও মৃত্যু যন্ত্রনা আর সহ্য হচ্ছে না””
প্লিজ গিভ আস ফ্রিডম ফ্রম দ্যা হেল”
বাংলা ইংরেজি মিশেলে বিভিন্ন নারী পুরুষের আহাজারি পূর্ন চিৎকারে কান ভারী হয়ে এলো শেরহামের।দুই হাত দিয়ে কান চেপে ধরে চোখ বন্ধ করে জোরে চিৎকার করে উঠলো
“প্লিজ স্টপ,আই সে স্টপ য়েলিং”
কিন্তু কারাগারের ন্যায় বন্দিদশায় থাকা মানুষ গুলো চুপ করার পরিবর্তে আরো জোরে জোরে শেরহামের নাম ধরে চিৎকার করতে লাগলো।সেই চিৎকারের আওয়াজে যুবরাজ হা হা শব্দ তুলে হাসতে লাগলো।হাসি থামিয়ে শক্ত হাতের থাবায় শেরহামের চুলের ঝুটি ধরে প্রত্যেকটা বন্দির কাছে নিয়ে নিয়ে যুবরাজ তাদের চেহারা দেখিয়ে বলে উঠলো
“দেখে নে ভাই ভালো করে দেখে নে।এদের সাথে নিয়েই তো আমার গুছানো জীবন টা এলোমেলো করেছিলিস তাই না?দেখ আজকে আমি দিব্যি আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছি কিন্তু তোর সাগরেদ রা আমার অন্ধকার নরকে বন্দি।
কথা গুলো বলতে বলতে যুবরাজের গলা ধরে এলো।ভেসে উঠলো চোখের সামনে অতীত স্মৃতি।সেই হাস্যজল দিন,গুছানো পরিপাটি জীবন নিজের বাবার চাইতেও আপন পিতৃতুল্য ফুপা।পিছু টান হীন স্বচ্ছ ভবিষ্যত।আর নিজের পছন্দের মানুষকে ভালোবেসে সুখের সংসার বাধার তীব্র বাসনা।
অতীত ভাবতে ভাবতে জল গড়িয়ে পড়লো যুবরাজের চোখ থেকে।নিজের চোখের জল গুলোকে আঙুলের সাহায্যে মুছে যুবরাজ হুংকার ছেড়ে বলে উঠলো
“আমার ফুপাকে কেনো গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ছিলিস শেরহাম ?সে আমাকে সন্তানের মতো ভালোবাসতো এটাই তার অপরাধ ছিলো তোর কাছে?তাকে খু*ন করে খুব মজা পেয়েছিলিস না?কিন্তু জানিস মায়ের মতো ফুপুকে ওই সময় আমি কিভাবে সামলে নিয়েছি?সে তো আজ পর্যন্ত জানেইনা তুই যে তার স্বামীর খু*নি!
তোকে তো আমি এমনি এমনি ছেড়ে দেব না রে শেরহাম।দেখ যার সাহায্যে গাড়ি চাপা দিয়ে আমার ফুপাকে মে*রে ছিলি সেও আমার নরকের অতিথি।
কথাটি বলেই শেরহাম কে সেই ট্রাক ড্রাইভার এর সামনে এনে দাঁড় করালো।
শীর্ন লোকটিকে দেখে চিনতে বেশ বেগ পেতে হলো শেরহামের।কারন একেতো কক্ষে আলো কম তার মধ্যে লোকটি দাড়ি চুলে ভুতের মতো হয়ে রয়েছে।মোটা ফর্সা লোকটির শরীরের সমস্ত জৌলুস ঢাকা পড়েছে শীর্নতায়।চোখ দুটো গর্তে ঢুকে দৃষ্টি ঘোলা হয়ে রয়েছে।দেখে মনে হচ্চে কতো দিনের অনাহারী।
শেরহাম কে দেখে লোকটি বন্দি কক্ষের গ্রিল ধরে কোনো রকমে দাঁড়িয়ে হুহু করে কেঁদে উঠলো
“প্লিজ সেইভ মি ফ্রম দিস ডেভিল”
ডেভিল বলার সাথে সাথেই যুবরাজ ঝটপট তালা খুলে ভেটরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি মারতে লাগলো মাঝ বয়সী লোকটাকে।
ট্রাক ড্রাইভার মাটিতে লুটিয়ে জ্ঞান হারানোর আগ পর্যন্ত মারতে থাকলো যুবরাজ।লোকটি জ্ঞান হারাতেই সজোড়ে এক লাথি বসিয়ে দিলো বুক বরাবর এরপর বাইরে বেরিয়ে আবার তালা লাগিয়ে শেরহামের সামনে এসে হাপাতে হাপাতে বলে উঠলো
“ডু ইউ লাইক মাই হেল?
*********
সাদাফ শাহীরের কক্ষের দরজার সামনে বুকে দুই হাত চেপে দাঁড়িয়ে আছে সামিনা।নবনীতা মৃত্যুর পর থেকেই সাদাফ শাহীর খুবই কঠিন এবং সাধারণ জীবন যাপন করেন।কারো সাথে খুব একটা মিশন না বললেই হয়।প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে ওতো মাখামাখি কথাও বলেন না।বাড়ির চাকর বাকর প্রয়োজনীয় কাজ সারার জন্য তার কক্ষে আসেন।আর মাঝে মাঝে সামিনা আসেন তার খুঁজ খবর নেবার জন্য।আজো সামিনা এসেছে।তবে খুজ খবর নিতে নয় বরং নিজের ছেলের জীবনের হিসেব চুকাতে।
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সামিনা মনের মধ্যে কথা গুলো গুছিয়ে নিলেন।কথা গুছাতে গিয়েই টসটসে চোখের জলে গাল ভিজে উঠলো।সেগুলো দুই হাতের করপুটে মুছে ধীর কন্ঠে সামিনা বললো
“ভাইয়া আসবো?
রাতের খাবার শেষ করে রাতের ওষুধ পত্র খেয়ে সাদাফ শাহীর সবেই শুতে যাচ্ছিলেন।আজকাল তার সব কিছুতেই বিরক্ত লাগে।একমাত্র ছেলের চিন্তায় প্রাণ হাঁসফাঁস করে।তবুও তো সে মানুষ।সন্তান হোক আর যাই হোক অপরাধের উর্ধে গিয়ে সন্তানকে ভালোবাসা সম্ভব নয়।
সামিনার কন্ঠ শুনে বিছানায় উঠতে নিয়ে থেমে গেলেন সাদাফ।টেবিল ল্যাম্প এর ক্ষীণ আলোয় সামিনার কাতর মুখশ্রী স্পষ্ট।
“এতো রাতে এলি যে?জরুরি কিছু বলবি?
ধীরপায়ে সামিনা সাদাফ শাহীরের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে উঠলেন
“নবনীতার ভাইয়ের ছেলে আমার ছেলের জীবনটা এভাবে নরক বানিয়ে দিলো আর বাবা হয়ে তুমি সেটার খুজ পর্যন্ত নিলে না?কেমন বাবা তুমি?
সামিনার এমন অদ্ভুত ভয়ংকর কথায় চমকে উঠলেন সাদাফ।
“কি বলছিস তুই এসব সামু?
“ভুল কিছুই বলিনি ভাইয়া।আমার ছেলের হৃদয়ে যেই তুষের আগুন জলছে এটার খুজ কেনো তুমি একবারো নিলেনা?অন্যের কথা শুনে তো ঠিকই বাড়ি ছাড়া করলে আমার মানিক কে।তাহলে যার জন্য আমার ছেলে নরক যন্ত্রনা ভোগ করছে তাকে কেনো কিছু করলে না?
সাদাফ শাহীর সামিনার এসব কথার আগা মাথা কিছুই বুঝতে না পেরে অবুঝ বালকের ন্যায় তাকিয়ে রইলেন।
ভাইয়ের মনোভাব বুঝতে পেরে সামিনা একে একে সব কিছু খুলে বললেন সাদাফ শাহীর কে।
পুরো ঘটনা শুনে সাদাফ শাহীর বুক চেপে ধরে বিছানায় শুয়ে পড়লেন।
“আমার বুকে প্রচন্ড যন্ত্রনা হচ্ছে সামিনা।তুই এসব কি শোনালি আমাকে?আমি যে আমার মাতৃ হীন ছেলের প্রতি অবিচার করে ফেলেছি রে বোন।কবে কবে আমার অবুঝ ছেলেটা এতোটা বড় হয়ে গেলো?এতো বড় ঘটনার কিচ্ছুটি জানালো না আমাদের?
ছোট শিশুর ন্যায় কেঁদে উঠলেন সাদাফ।সাথে ডুকরে কেঁদে ওঠে বুক ভিজালেন সামিনা।
বেড সাইড টেবিল হাতড়ে নিজের মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ডায়াল করলেন যুবরাজের নম্বর।
প্রথম রিং হতেই ফোন তুললো যুবরাজ।
কান্নার দমকে কথাই বলতে পারছে না সাদাফ শাহীর।শুধু ভাঙা গলায় ডেকে উঠলেন
“আমার আব্বা”!
#চলবে